বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

লেবু পানি খাওয়ার উপকারীতা


দিনের শুরুতে লেবুর উপকারিতা

Lights
তৃষ্ণা মেটাতে লেবুর শরবতের ‍তুলনা নেই। তবে ঘুম থেকে উঠেই কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সকালের ঘুম থেকে উঠে লেবুপানি খাওয়ার উপকারিতাগুলো উল্লেখ করা হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের হাটবাজারে যেসব লেবু পাওয়া যায় তার ওজন সাধারণত ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। এই ৬০ গ্রাম ওজনের একটি লেবুতে পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন সি ২৮.৬ মিলিগ্রাম, সাইট্রিক এসিড ২.৮৫ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৭.৯৩ মাইক্রোগ্রাম, প্রোটিন ০.২৩ গ্রাম, শ্বেতসার ৫.২৬ গ্রাম, বিটা ক্যারোটিন ১.৮৩ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন এ ১২.২০ মাইক্রোগ্রাম, কোলিন ৩.১১ মিলিগ্রাম, বায়োট্রিক ০.১৮ মাইক্রোগ্রাম, লুটিন স্পাজিয়াক্সথিন ৪.৪৯ মাইক্রোগ্রাম, আলফা টোকোফেরল (ভিটামিন-ই) ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.০২ মিলিগ্রাম, বি২ ০.০১ মিলিগ্রাম, বি৩ ০.০৬ মিলিগ্রাম, বি৬ ০.০৩ মিলিগ্রাম, কপার ০.০২ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪.২৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩.৬৬ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৫.৬৪ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ১৫.২৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩.৬৬ মিলিগ্রাম, খাদ্য আঁশ ০.২৪ গ্রাম।

হজমে সাহায্য করে দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। অন্যদিকে লেবু পাকস্থলি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আর বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ সিট্রাস গোত্রের ফল যেমন লেবু, বাতাবি লেবু বা কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অসকর্বিক অ্যাসিড। ভিটামিন সি ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং অসকর্বিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন গ্রহণে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ক্ষারের সমন্বয় শরীরে হাইড্রোজেনের পরিমাণের উপর অনেকাংশে সুস্থতা নির্ভর করে। সর্বমোট পিএইচ বা পাওয়ার অফ হাইড্রোজেন স্কেল হল ১ থেকে ১৪। মানবদেহে ৭ মাত্রার পিএইচ থাকা স্বাভাবিক। এর থেকে কম বা বেশি হলে শরীরে রোগের বিস্তার হতে পারে।

অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় ফল হলেও লেবু মানবদেহে পিএইচ’য়ের মাত্রা সমন্বয় করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা বেশি মাংস, পনির বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের জন্য লেবু সবচেয়ে বেশি উপকারী।

বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন পানির মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়। লেবু হচ্ছে প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। তাছাড়া লেবুর সিট্রিক এসিড পাকস্থলি পরিষ্কার রেখে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

শক্তি বর্ধক পানি এবং লেবুর রস শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন যুক্ত করে। ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হয়। এটি মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

Lights
ত্বক সুন্দর করে দীর্ঘক্ষণ পানিশূণ্য থাকলে ত্বক ম্লান দেখায়। সকালে লেবুর শরবত খেলে এর ভিটামিন সি ত্বক সুস্থ রাখে। আর লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ।

কিডনি পাথর- লেবুতে উপস্থিত লবন বা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে “ক্যালসিয়াম অক্সালেট ” নামক পাথর গঠনে বাধা দেয় । সবচেয়ে সাধারণ কিডনি পাথর গওলোর মধ্যে এটি একটি ।

মুত্র নালীর সংক্রমন দূর- যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘঠে । তা হলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন । এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে ।

চোখের স্বাস্থ্য - লেবুর রস চোখের স্বা্স্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোকের সমস্যার বিরোদ্ধে লড়াই করে ।

ক্যান্সার প্রতিরোধে-লেবু অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় । বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর তুলনা মেলা ভার ।

এছাড়া গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু পানি। এটা শুধু নারীর শরীরই ভালো রাখে না। বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মাকেও গর্ভকালে রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে।

দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত ব্যথা কমায়।

যাদের এই সমস্যা আছে রোজ আধা কাপ পানির মাঝে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

সর্তকতা : লেবু কেটে সরাসরি কামড়িয়ে খাবেন না। এতে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। যাদের কিডনি বা গলব্লাডারের সমস্যা আছে তারা লেবুর খোসা খাবেন না। যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস আছে তারা লেবুর রসের সাথে লবণ এবং চিনি মিশিয়ে খাবেন না। যাদের শরীরে স্বাস্থ্য বেশি তারা লেবুর শরবতে চিনি মিশাবেন না। যদি কারো লেবুর শরবত খেলে শরীরে সমস্যা হয় বা যারা রোগী তাদের সমস্যা হলে লেবু খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কোনো অবস্থাতেই শুধু লেবুর রস খাবেন না বা শরীরে কোনো অংশে লাগাবেন না। বেশি সময় লেবু কেটে রাখবেন না। তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র:দৈনিক সংগ্রাম

bangla.bdnews24.com



মেথির ব্যবহার


মেথির ব্যবহার :

মেথির সহজ ব্যবহার
মেথি একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয় । ইউনানী , কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার হয় । মেথি বীজ মসলা (পাঁচ ফোড়ন) হিসাবে এটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় । আমরা এটা প্রতিনিয়ত খাদ্যের সাথে খেয়ে থাকি । অনেকেই খাদ্যে পাচঁ ফোড়ঁন ব্যবহার করেন । ভেষজ ঔষধ হিসাবে আমরা মেথি ব্যবহার করতে পারি মেথির ঔষধি গুণ অনেক ।

Lights

ছবি: মেথি শাক

মেথি সম্পর্কে বুনিয়াদি তথ্য-
ক) যে অংশ ব্যবহার করা হয়: বীজ ও পাতা
খ) কর্মশক্তি সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান : গরম ,উষ্ণ বীর্জ
গ) সংস্কৃত নাম : বহুপর্ণি
ঘ) সাধারণ নাম: মেথি, মেথিদানা, গ্রিক হে
ঙ) পারিবার : ফ্যারিয়েসি (মটরের পরিবার )
চ) পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০গ্রাম মেথিতে আছে ৩২৩ কিলো ক্যালোরি শক্তি ।

নিন্মে মেথির সচরাচর ব্যবহার দেওয়া হল:
১ ওজন কমাতে :
প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে জন্ম নেয় মেথি। এগুলো চিবিয়ে গিলে খাওয়া যায় এবং পাকস্থলীর ফাঁকা স্থান এরা পূর্ণ করে। এতে ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। খুব বেশি নয়, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সামান্য মেথি চিবিয়ে খান। এতেই স্পষ্ট বুঝবেন উপকার পাচ্ছেন। স্থূলতা কমাতে প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করতে পারেন। দুটি আলাদা গ্লাসে পানি নিয়ে প্রতিটিতে এক টেবিল চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এই পানি পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

২ জ্বর ও খুসখুসে গলার জন্য :
লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে এক টেবিল চামচ মেথি চিবিয়ে খেলে জ্বর থেকে মুক্তি মেলে। আবার এতে রয়েছে মুসিলেজ নামের এক ধরনের যৌগ, যা গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। নারীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়েও এর উপকারিতা রয়েছে। মেথিতে রয়েছে সাইটো-ইস্ট্রোজেন, যা নারীদেহে প্রোলাকটিন নামের হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়। এই হরমোন নারীদেহকে সুগঠিত করে। এ ছাড়া ঋতুকালীন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় মেথি।

৩ চুলপড়া রোধে:
স্বাস্থ্যহীন চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয় মেথি। চুল পড়া রোধে বহুকাল ধরে মেথির কদর চলে আসছে। এটি খেতেও পারেন, বা বেটে মাথায় দিতে পারেন। বিস্ময়কর উপকারিতা মিলবে। মেথি বাটা সারা রাত নারিকেল তেলের মধ্যে চুবিয়ে রেখে সকালে চুলে মাখুন। ঘণ্টাখানেক পর গোসল করে ফেলুন।

৪ হজমে সহায়ক:
বুকে বা পেটের ওপরের দিকে এসিডের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় মেথি। সেই সঙ্গে বদহজমের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ সবই দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বের করে দেয়। উপকার পেতে স্রেফ পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে খেলেই হবে। পানিটাও খেতে ভুলবেন না।

৫ রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
দেহে গ্লুকোজের মাত্রা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মেথি। এর অ্যামাইনো এসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন ক্ষরণে সহায়তা করে। এতে দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। (তবে ডায়াবেটিকস রোগীরা খাদ্যের সাথে যে পরিমান খাবেন এটাই স্বাভাবিক অতিরিক্ত ঔষধ হিসাবে খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।)

৬.ত্বকের উজ্জ্বলতায় :
রূপচর্চায়ও মেথিকে শীর্ষে রাখা যায়। সারা দেহে বয়ে বেড়ানো নানা ক্ষতিকর উপাদান চেহারায় বলিরেখা ফেলে দেয়। এ ছাড়া চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সৃষ্টিতেও ওস্তাদ এগুলো। মেথি দেহের সব অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঝেঁটিয়ে বিদায় করে।

৭ খুশকি দূর করতে:
বিশেষ ধরনের চুলে প্রচুর খুশকির উৎপাত ঘটে। মাথার শুষ্ক ও মৃত ত্বক থেকে খুশকি হয়। গোটা রাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে তা বেটে পেস্ট তৈরি করুন। এতে ইচ্ছে হলে দই মেশাতে পারেন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগান। মিনিট তিরিশেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।

Lights

ছবি: মেথি দানা

৮.সন্তান জন্মদানকে কিছুটা সহজ করতে:
( এক্ষেত্রে ডা, এর পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিৎ )

৯. বুকের দুধ তৈরিতে:
বাচ্চা জন্ম দেয়ার কিছু পরে মেথির ক্যাপসুল বা মেথির চা খেলে স্তনপান করানো নারীদের দুধের উৎপাদন বাড়ে। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার এক বা দুই দিন পরে মেথি খেলে দুধের পরিমান বাড়ে। কিন্তু সব গবেষণায় এ রকমটা দেখা যায় না।

১০. পুরুষের বন্ধ্যাত্ব :
প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে মেথির তেল দৈনিক তিনবার করে ৪ মাস খেলে বীর্যের সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু মেথির বিঁচির অন্য অংশ খেলে এমন ফলাফল পাওয়া যায় না। মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

১১. ব্রণ রোধে :
মেথি বীজ ব্রণের বিস্তারকে প্রতিরোধ করে । ত্বকের এপিডারমিস স্তরে জড়ো হওয়া বিষাক্ত উপাদানকে বের করে দেয় । এছাড়া ও ব্রণের দাগকে হলকা করতে এবং পোড়াদাগ দূর করতেও মেথি বীজ ব্যবহার করা হয় । মেথি বীজ পেস্ট করে তার সাথে মধু যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন । এই পেস্ট মুখের ব্রণের উপর লাগিয়ে সারারাত রাখুন এবং সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । কয়েক দিন লাগালে পার্থক্য দেখতে পাবেন ।

১২ কৃমি রোধ:-
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকাল বেলা পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে । রোগ জীবাণু মধ্যে বিশেষত উল্লেখযোগ্য হল কৃমি ।

বিদ্র:- তবে মেথি অতিরিক্ত মাএায় সেবনে উষ্ণ প্রকৃতির লোকের জন্য ক্ষতিকর। মেথি অনেক মাএায় সেবন নিষেধ। মেথি দৈনিক ৫ থেকে ১০গ্রাম পর্যন্ত সেবন করা যায়।

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

সূফিবাদ


Bootstrap Example

সুফিবাদের উৎপত্তি

প্রশ্নঃসূফিবাদ কি? সুফিবাদের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা কর। সূফিবাদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ

আল্লাহের নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য দীন হল ইসলাম।আল্লাহতা’য়ালা মানব জীবনের সকল কর্মকাণ্ড সমূহ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)এর মাধ্যমে এ জীবন বিধান পেশ করেছেন।ইসলাম ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,ইহলৌকিক ও পারলৌকিক প্রভৃতি বিষয় ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকে।মানব জীবনের প্রতিটি প্রতিদিকে দুটি স্তর রয়েছে যার একটি হল বাহ্যিক(বস্তুগত) দিক আরেকটি হল আভ্যন্তরীন (আধ্যাত্মিক) দিক।ইসলাম মানুষের দুটি দিক নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে।মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত এ শুধু তার দেহের জন্য করে নাই বরং তার একটি বাতিনী দিক আছে যা হল আত্মা।আত্মার শান্তির জন্য মানবতা যুগে যুগে জড়বাদ,বস্তুবাদের আবর্তে ঘুরছে।কিন্তু প্রকৃত শান্তি তারা খুজে পায় নাই।তাই কবি শেখ সাদী (র.)বলেন, “এই সমুদ্রে হাজার কিশতী ডুবে গেছে;কিন্তু একটিও ভেসে উঠে নদীর তীরে পৌছে নাই”।

জড়বাদ মানুষের যে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে তা বুদ্বিবাদ তা পূর্ণ করতে পারে নাই আর তার শূন্যতা পূরণ করেছে ইসলামের আধ্যাত্মিকতা।আর ইসলামের এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নাম হল সূফীবাদ।মানুষের জীবন আত্মা এবং দেহের সমন্বয় গঠিত।যে জ্ঞানের সাহায্যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা যায় তাই হল তাসাউফ। সূফি শব্দের উৎপত্তি

সূফি শব্দটি কোন শব্দ হতে এসেছে সে ব্যাপারে মুসলিম পণ্ডিতদের ভিতর বেশ কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়।সেগুলো নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলঃ

প্রথম মতামতঃ
ইবনে খালিদুন,ড. এ.ই আফিফী,আল-কালবাদী,আর-রুদবারী,আবূ নসর আস-সাররাজ প্রমুখ পণ্ডিতগণের মতে,সূফী শব্দটি সূফূন হতে নির্গত যাত অর্থ হল পশম।পশমী বস্ত্র সরলতা ও আড়ম্বহীনতার প্রতীক।হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) ও তার সাহাবাগণ বিলাসী জীবন-যাপনের পরিবর্তে সাদা-সিদে পোশাক পরতেন এবং পরবর্তীতে সূফীগণ সাদাসিধা জীবন-যাপনের জন্য এই পোশাল গ্রহণ করে কম্বল-সম্বল করে চলেন বলে তাদেরকে সূফী বলা হয়।

দ্বিতীয় মতামত,
কারো মতে সূফী কথাটি সফফুন হতে নির্গত যার অর্থ হল কাতার,শ্রেণী,লাইন ইত্যাদি।যেহেতু সে মর্যাদার দিক দিয়ে প্রথম শ্রেণীর লোক।এজন্য তাদের সূফী বলা হয়।

তৃতীয় মতামত,
আলী হাজাবিরী,মোল্লা জামী (র।) এর মতে, সূফী কথাটি সাফা হতে নির্গত যার অর্থ হল পবিত্রতা,আত্মশুদ্বি ও স্বচ্ছলতা।যারা আত্মার পবিত্রকরণ সাধনায় নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে সূফী বলা হয়।

চতুর্থ মতামত,
কিছু পাশ্চত্যের পণ্ডিত বলেছেন যে সূফী কথাটি সোফিয়া বা সোফিস্ট কথা হতে নির্গত হয়েছে যার অর্থ হল জ্ঞান।কিছু মানুষ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী বলে তাদেরকে সূফী বলা হয় আর এ শাস্ত্রকে তাসাউফ বলা হয়।
তবে শেষোক্ত মতামত একেবারে অগ্রহণযোগ্য।কারণ বিদেশি কোন শব্দ হতে ইসলামের কোন একটি বিষয় নির্গত হবে তা হতে পারে না। অন্যদিকে প্রথম তিনটি মতামতের ভিত্তিতে যে সূফী শব্দটি এসেছে তাও অনেকে মানতে নারাজ। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ আব্দুল মালেক ও মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ স্যারের “ইসলামে সূফী দর্শন” নামক প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে,

সূফী কথাটি যে সুফূন(পশম) হতে নির্গত তা গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ এর দ্বারা সূফীদের কেবল পোশাক-পরিচ্ছেদ ও অবয়বের কথা বলা হয়েছে।যেহেতু সূফিবাদ মানুষের বাতিনী দিকের পরিচায়ক তাই এই বাহ্যিক দিকের নির্দেশক পশম হতে সূফীর উৎপত্তি হয়েছে তা যুক্তিসঙ্গত নয়।আবার সাফা(পবিত্রতা) হতে যে সূফী কথাটি এসেছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ এটা হল সূফীদের জীবন-সাধনার একটি নির্দেশক মাত্র।আবার সফফুন হতে সূফী এসেছে এ কথাও বিশ্বাস করা যায় না কারণ তা একটি কাল্পনিক ধারনামাত্র। একমাত্র আহলে সূফফা(বারান্দার অধিবাসী) শব্দে সূফী তত্ত্বের ও সূফী জীবনের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন দিক পরিস্ফূট হয়ে উঠে।তারাই পশমী পোশাক সর্বদা পরিধান করতেন এবং সর্বদা আল্লাহের যিকিরে মশগুল থাকতেন।তারা আল্লাহের সম্মানে চাদরাবৃত।তারাই নবী করিম (সাঃ) এর সাহচর্যে থেকে সর্বদা আভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। কাজেই আহলে সুফফা হতে যে সূফী কথাটির উদ্ভব ঘটেছে তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। (সূত্রঃ ইসলাম ও আধ্যাত্মিকতাঃ১০৩)

সূফিবাদের পারিভাষিক সংজ্ঞা:
সূফীবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মুসলিম দার্শনিকবৃন্দ ও আধ্যাত্মিক সাধনায় সাধনাকারী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।তার ভিতর প্রধান প্রধান কয়েকটি সংজ্ঞা হল নিম্নরুপঃ

ইমাম শামী (র.) বলেন, “সূফীবাদ হল আধ্যত্মিক জ্ঞান যে জ্ঞানের সাহায্যে মানুষের সৎ গুণাবলীর প্রকারভেদ এবং তা অর্জনের পন্থা ও অসৎ গুণাবলীর প্রকারভেদ ও তা থেকে রক্ষার উপায় জানা যায়।”

জুনায়েদ বাগদাদী(রঃ) বলেছেন, “আত্মিক পবিত্রতা অর্জন ও আল্লাহ ছাড়া সবকিছু হতে প্রভাবমুক্ত হওয়ার নাম হল ”

যুন্নন মিসরীর মতে, “আল্লাহ ছাড়া আর যা কিছু আছে সবকিছু বর্জন করার নাম হল সূফীবাদ।”

ইমাম গাযযালী(র.)বলেন, “তাসাউফ এমন একটি বিদ্যা যা মানুষকে পশু হতে উন্নীত করে,মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত প্ররযায়ে পৌছিয়ে দেয়।” তিনি আরো বলেন, “সূফীবাদ হল মু’মিনদের অন্তরের জ্যোতি যা নবী করীম (সাঃ) এর প্রদীপ হতে গ্রহণ করা হয়েছে।”

বায়জীদ বোস্তামী (র.) বলেন, “আল্লাহের ইবাদতে মগ্ন থাকা ও আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে পার্থিব দুঃখ-কষ্ট বরণ করার নাম হল সূফীবাদ।”

শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া (র.) বলেন, “তাসাউফ মানুষের আত্মার বিশোধনের শিক্ষা দান করে।তার নৈতিক জীবনেকে উন্নীত করে এবং স্থায়ী নিয়ামতের আধিকারী করার উদ্দেশ্যে মানুষের ভেতরের ও বাইরের জীবনকে গড়ে তুলে। এর বিষয়বস্তু হল আত্মার পবিত্রতা ও লক্ষ্য হল চিরন্তন সুখ শান্তি অর্জন।”

আবূ মুহাম্মদ আয-যারিনি বলেছেন, “Sufism is the building up of good habits and freeing of heart from all evil desires.” তাহলে বলা যায় যে, নবী করিম (সাঃ) এর নির্দেশিত পথে আত্মশুদ্বি করে ইসলামের বাহ্য ও অন্তর জীবনের প্রেমপূর্ণ বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে পরম সত্তার পূর্ণ জ্ঞানার্জন ও তার নৈকট্য লাভজনিত রহস্যময় উপলব্ধিকে সূফীবাদ বলা হয়।

সূফিবাদের উৎপত্তি
সূফিবাদের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে পণ্ডিতদের ভিতর মতবিরোধ লক্ষ্য করা যায়।সূফীবাদ কথাটি মুসলমানদের ভিতর থেকে কিভাবে এসেছে সেসব মতামতসমূহ নিম্নঃরুপঃ
১. বেদান্ত ও বৌদ্ব দর্শনের প্রভাব
২. খ্রিষ্টনিয় ও নিও-প্লেটানিক প্রভাব
৩.পারসিক প্রভাব
৪.কুরআন হাদীসের প্রভাব

উপরের তিনটি মতবাদকে আভ্যন্তরীন মতবাদ বলা হয় আর শেষেরটিকে বাহ্যিক উৎস বলা হয়।এসকল মতবাদ নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলঃ
১. বেদান্ত ও বৌদ্ব দর্শনের প্রভাবঃ
পশ্চাত্যের কিছু চিন্তাবিদ তথা গোল্ডযিহার,এইচ মার্টেন এর মতে,সূফিবাদ বেদান্ত দর্ষন ও বৌদ্ব দর্শন হতে উদ্ভূত।কারণ,মুসলমানেরা যখন ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করে এরপর থেকে ভারতীয় সন্ন্যাসী ও বেদান্ত বৌদ্বদের প্রভাবে প্রভান্বিত হয়ে মুসলমানগণ কঠোর সংযম ও কৃচ্ছতা সাধনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলে।আর সে থেকে মুসলমানদের ভিতর সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে। পারতপক্ষে এ ধরনের মতামত ঐতিহাসিক দৃষ্টিভংগী অনুযায়ী সঠিক নয়।কারণ ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানেরা আসার অনেক আগে থেকে সুফিবাদ কথাটির উদ্ভব ঘটেছিল।হাসান বসরী,যুন্নুন মিসরী,আবুল হাশিম কূফী,ইব্রাহীম বিন আদহাম রাবিয়া বিসরী প্রমুখ সূফিদের আবির্ভাব ও সাধনা প্রমাণ করে যে,সূফিবাদ ভারতীয় আমদানি নয়,ইসলামের আধ্যাত্মিক শিক্ষার ফলে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে।তাছাড়া বৌদ্ব সন্যাসীগণ জাগতিক কার্যক্রমলে সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করে আর তার ধ্যান-সাধনার জন্য নির্জন জায়গা বেছে নিয়েছে।অন্যদিকে মুসলিম সূফী-সাধকগণ আল্লাহ পাকের ধ্যান করার সাথে সাথে সংসারও করে থাকেন। আবার বৌদ্ব ধর্মে নির্বাণ সত্তায় আত্মবিলোপ শেষ আর মুসলিম সূফিগণ ফানাকে শেষ স্তর বলে মনে করে না বরং তারা বাকাবিল্লাহকে সূফী-পথ পরিক্রমার সর্বশেষ স্তর মনে করে থাকে।সুতরাং,বৌদ্ব ও বেদান্ত হতে সূফিবাদের উৎপত্তি হয়েছে এ ধরনের মতবাদ সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন।

২.খ্রিষ্টিয় ও নিওপ্লেটিক মতবাদঃ
অধ্যাপক নিকলশন ও ভনক্রেমার এ মতামত ব্যক্ত করেছেন যে, মুসলমানদের ভিতর সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটেছে খ্রিষ্টিয় ও নিওপ্লেটিক মতবাদ হতে।তারা এ কথা অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলেছেন যে, যখন মুসলিমরা মিসর,সিরিয়া,প্যালাষ্টাইন প্রভৃতি দেশ জয় করতে থাকে সে অবস্থায় খ্রিষ্টীয় চিন্তা-দর্শন মুসলিম চিন্তা-দর্শনের ভিতর আবির্ভূত হয় এবং এরই প্রভাবে তপস্যা ও সংযমবাদের অনুপ্রবেশ সূফীদের ভিতর ঢুকে আর সেই থেকে সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটেছিল। নিকেলসন এ কথা অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলেছেন যে,সে সময় মুসলিম সম্রাজ্যের অনেক জায়গায় জাষ্টিয়ানদের আধিপাত্য ছিল আর সে থেকে সূফিবাদের উৎপত্তি হয়েছে।পারতপক্ষে এ ধরনের মতাবাদ সঠিক নয়।কারণ মুসলিম সূফি-সাধকগণ খ্রিষ্ট্রীয় সন্যাসীদের ন্যায় সংসার বিরাগী নয়।আর তাছাড়া মহানবী (সাঃ),সাহাবা ও তাবিঈদের সময় হতে এ ধরনের আধ্যাত্মিক সাধনায় মুসলমানেরা নিয়োজিত ছিল।তাই খ্রিষ্ট্রীয় ও নিউপ্লেটনিক মতবাদ হতে যে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটেছে এ ধরনের কথা সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক।

৩. পারসিক প্রভাবঃ
ঐতিহাসিক ব্রাউনি আর তার কিছু অনুসারীরা বলেছেন যে,সূফিবাদের উৎপত্তি ঘটেছে পারসিক প্রভাব হতে।তারা এ যুক্তি সকলের সামনে তুলে ধরেছে যে, পারসিক জাতি ছিল এক অহংকারী ও দম্ভ জাতি।কিন্তু তাদের উপর যখন আরবেরা জয় করল তখন হতে তাদের ভিতরে এক ধরনের হতাশা কাজ করতে শুরু করল।সেখান থেকে তারা আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত থাকের ব্যাপারে এক ভিন্ন চিন্তা-ধারা আবিষ্কার করে আর সেখান থেকে সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটে আর তারই ধারাবাহিকতায় পারস্যে অনেক দার্শনিক আবির্ভূত হয়।পারস্যের ভিতর যে ম্যানিকীয় ও ম্যাজদেকীয় ধর্মের অস্তিত্ব ভিতর সূফিবাদের কৃচ্ছতাপূর্ণ জীবন-যাপনের উপকরণ খুজে পাওয়া যায়। পারতপক্ষে এ ধরনের কথাও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।কারন বেশিরভাগ সূফী পারস্যের হলেও তার মানে এ বুঝায় না যে, সূফিবাদ পারস্য হতে এসেছে।কারন আবূ বকর ইবনুল আরাবী ও ইবনুল ফরিদসহ অনেক দার্শনিক আরবীভাষী ছিলেন। আর আমাদের প্রিয়নবী (সাঃ),সাহাবীগণ ও তাবিঈগণের সময় হতে এক ধরনের তাপস্যা শুরু হয় এবং তারা বিদেশী ধ্যান-ধারনা থেকে সম্পূর্ণমুক্ত ছিলেন।।

৪.কুরআন ও হাদীসের প্রভাবঃ
সূফিবাদ যে কোন বাইরের চিন্তা-দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয় নাই তা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।ইসলামী আধ্যাত্মিক শিক্ষার মূল উৎস হল আল-কুরআন।যদিও কুরআন ও হাদীসে সূফিবাদ শব্দটি সরাসরি ব্যবহার করা হয় নাই তবুও কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও রাসূল(সাঃ) এর অসংখ্য হাদীসের দ্বারা সূফিবাদ তথা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দিকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।ইবনে খালিদুন অত্যন্ত জোড় গলায় বলেছেন যে, সূফিবাদ এমন এক ধর্মীয় বিজ্ঞান যার উৎপত্তি খোদ ইসলাম হতে হয়েছে”। কুরআনের অসংখ্য আয়াত রয়েছে যার দ্বারা মরমীধারাকে ইসলাম বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছে।সেখান হতে কিছু আয়াত নীচে উল্লেখ করা হলঃ

“তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে।”[বাকারাঃ২৫৫]

“তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক”[হাদীদঃ৪]

“তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।” [হাদীদঃ৩]

“আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।” [ক্বাফঃ১৬]

“সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো”। [বাকারাঃ১৫২]

“যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।” [আ্নকাবূতঃ৬৯]

“তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে,” [বাইয়েনাহঃ৫]

হাদীসের দ্বারা তাসাইফের কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।একবার রাসূলে করীম (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ইহসান কি? তিনি উত্তরে বলেছিলেন,“ইহসান হল এ বিষয় যে,তুমি যখন নামায পড়বে তখন তুমি এ মনে করবে যে আল্লাহকে তুমি দেখছ আর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই মনে করবে যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন”।

হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি নিজেকে চিনল,সে আল্লাহকে চিনল”। হাদীসে কুদসীতে আরও এসেছে যে, আল্লাহ বলেন, “যখন আমি আমার কোন বান্দাকে ভালবাসি তখন আমি তার ধ্যান-অনুধ্যানে ও কাজে কর্মে নিকটবর্তী হই। আমি তার চোখ হই যা দিয়ে সে দেখে,আমি তার কান হই যা দিয়ে সে শুনতে পায়,আমি তার হাত হই যার সাহায্যে বিভিন্ন জিনিস ধরে।”

অর্থাৎ,কুরআনে অসঅংখ্য আয়াত ও হাদীসের দ্বারা এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে সূফিবাদ কুরআন-হাদীস হতে নিঃস্বরিত এক ধরনের বাতিনী জ্ঞান।এ ছাড়াও আমরা এ বিষয়টি লক্ষ্য করে দেখতে পাই যে, নবী করিম (সাঃ) হেরা গুহায় গভীর ধ্যানে নিমজ্জিত থাকতেন যার দ্বারা বুঝা যায় যে তিনি আধ্যাত্মিক জীবন সাধনায় প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতেন। নবী করীম (সাঃ) এর জীবদ্দশায় আহলে সুফফার কিছু লোক আল্লাহ পাকের ধ্যান সাধনায় এমন সময় ব্যয় করেছেন যার দ্বারা ধারনা করা হয় যে সূফিবাদ কথাটির উৎপত্তি ঘটেছে। অতঃপর খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় হযরত আবূ বকর(রাঃ),উমার(রাঃ),উসমান(রাঃ) ও আলী(রাঃ) প্রত্যেকে তারা শাসনকার্য পরিচালনার পাশাপাশি অসংখ্য ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্যস্ত থাকতেন। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, “ আলী(রাঃ) এর মৃত্যুর সাথে খিলাফত ধংসব হতে থাকে আর দামেস্কে যে বর্বরোচিত অত্যাচার শুরু হতে থাকে সেখান থেকে কিছু মানুষ একান্তে ইবাদত বন্দেগী করতে বাধ্য আর সেখান থেকে অতীন্দ্রয়বাদ স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হতে থাকে”।

কুরআন ও হাদীসে সূফিবাদকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে।তা হল ইলমে বাতিনী,ইলমে লাদুন্নী,ইলমে ইলমে তরীকত,ইলমে মারিফত ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছে। সে সময় হতে হাসান বসরীসহ প্রমুখ তাবিয়ীর মাধ্যমে মরমীবাদ প্রকাশ হতে থাকে।উমাইয়্যা খিলাফত আমলে মানুষের বাহ্যিক চিন্তা-চেতনার এতটা বিকাশ ঘটে নাই যতটা বিকাশ ঘটেছিল আব্বাসীয়দের আমলে।সে সময় সূফিবাদের একটি চূড়ান্তরুপ লাভ করে।সে অর্থাত,হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদ নামে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী মরমীধারার উদ্ভব ঘটে।সে সময় যেসমস্ত কারনে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে তার প্রধান প্রধান কারনসমূহ নিম্নরুপঃ

(১)খলিফা হারুন-উর-রশিদের ইন্তেকালের পর তার দুই পুত্র আমীন ও মামুনের ভিতর যখন মতবিরোধ দেখা দেয় তখন এক বীভীষীকাময় রাজনোইতিক অবস্থা বিরাজমান ছিল।অন্যদিকে ইসমাইলীয়া,বাতিনিয়া ও কারামাতিয়া প্রভৃতি সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ ধর্মের নামে অভীষ্ট রাজনীতির প্রচারণা চালাতে থাকে।এমতাবস্থায় কিছু লোকজন রাজনীতি থেকে কিছু মানুষ ইবাদতে ধ্যান-মগ্নে থাকার প্র্যাস পান এববগ এর ভিতর শান্তি তারা খুজে পেয়েছিল।

(২)আব্বাসীয়দের খিলাফতামালে মুতাযিলা সম্প্রদায়ের চিন্তা-চেতনার আবির্ভাব ঘটেছিল সেখানে মানুষের ভিতর এক ধরনের সংশায়াত্মক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল আর মুতাযিলাদের সাথে অন্যান্য গোষ্ঠির ভিতর যে দ্বন্দ্বের আবির্ভাব হয়েছিল তা থেকে পরিত্রানের জন্য কিছু লোক আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে শান্তি খুজে পাওয়ার প্রয়াস খুজে পেয়েছিল।

(৩)হানাফী,শাফিয়ী,মালিকি ও হাম্বলী মাযহাব যে আবেগ বর্জিত পরহেজগারিতা নিয়ে এসেছিল সে অবস্থায় সম্পূর্ণ আবেগধর্মী অবস্থার দিকে এক দল মানুষ ধাবিত হচ্ছিল। তাহলে আমরা বলতে পারি যে,তাসাইফের উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে বাহিরের কোন চিন্তা-ধারনা থেকে নয় বরং কুরআন-হাদীস ও মুসলমানদের নিজস্ব চিন্তা-ধারাকে কেন্দ্র করে হয়েছে।মহানবী(সাঃ) এর জীবদ্দশায় এর উৎপত্তি ঘটেছিল যা

সুফিবাদের ক্রমবিকাশঃ

প্রকৃতপক্ষে সূফিবাদের আবির্ভাব মুহাম্মদ(সাঃ) এর সময় হতে শুরু হয়।অতঃপর যাকে সর্বপ্রথম মুসলিম সূফী হিসেবে চিহ্নতি করা হয় সে হল হযরত হাসান বিসরি(র.) তার জ্ঞানতত্ত্বের আলোকে সূফী-সাধকগণ সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তার ভিতর মরমী ও দার্শনিক চিন্তা-ধারার এক অপূর্ব মিলন ঘটেছিল।এছাড়াও সর্বপ্রথম সূফী হিসেবে যার নাম স্বীকৃতি দেওয়া হয় সে হল আবয় হাশিম কূফী।কেউ কেউ আবার জাবির বিন হাইয়্যানকে প্রথম সূফী হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।এরপর হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্বি পেতে থাকে।এ সময়ের উল্লেখযোগ্য সূফীগণ হলেন ইব্রাহীম বিন আদহাম,রাবিয়া বসরী,দাউদ আত-তায়ী ও ফুযায়ল বিন হাইয়ায প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।তাদের কার্যকলাপ ও বাণী থেকে আস্তে আস্তে কৃচ্ছতা জীবনে উদ্ভব ঘটতে থাকে। এরপরে সূফিবাদের ক্রমবিকাশে যুন্নুন মিসরীর ভূমিকা ছিল ব্যাপক।তিনি ইসলামী মরমীবাদকে স্তভ হিসেবে স্থাপিত করেছিল।তাই তাকে সূফিবাদের সর্বপ্রথম ব্যাখ্যাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।তিনি হাল ও মাকাম সম্পর্কে সূফী-সংক্রান্ত সূত্র প্রদান করেন।অতঃপর যুনায়েদ বাগদাদী যুন্নুন মিসরীর ধারনাকে আরো উন্নতি ও সুসংবদ্ব করেন।

কালক্রমে সূফিবাদের ভিতর সর্বেশ্ববাদের ধ্যান-ধারনা যুক্ত হতে থাকে।এ ধরনের মতাবাদের মূল প্রবক্তা ছিলেন বায়জীদ বোস্তামী ও মানসুর হাল্লাজ।তবে মানসুর হাল্লাজের বক্তব্য কিছুটা বিতর্কিত ছিল যে জন্য তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।অতঃপ্অর ইমামা আল গাযযালী এর সময় থেকে গোড়া সুন্নিবাদী মতবাদ সূফিবাদের ভিতরে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেয়।তিনি গোড়া ইসলাম ও সূফিবাদের ভিতর একটি সুন্দর মিল তৈরী করেন।।তার সময় অনেল সূফীর আগমন হয় যার মধ্যে আব্দুল কাদির জিলানী,ফরিদ উদ্দিন আত্তার,আল-কুশাউরী,শিহাবুদ্দিন সোহয়ার্দীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সপ্তম হিজরীতে স্পেনে ইবনুল আরাবী সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তিনি সর্বেশ্বরবাদের প্রচলন করেন।তার তার প্রতিষ্ঠিত মতবাদের নাম ছিল “ওয়াহাদুল অজুদ”।তার এই মরমী ধারার ক্রমবিকাশে সাহায্য করেছিলেন জালালুদ্দিন রুমি (র.)।তার মসনবী শরীফ পৃথিবীর ইতিহাস এক অমূল্য গ্রন্থ হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে।ইবনুল আরাবীর এই মতবাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রুকুনুদ্দিন আলাউদ্দৌলা একটি পৃথক মতবাদ গঠন করেন যা শুহুদিয়া নামে পরিচিত।তার এই সম্প্রদায়কে বাহাউদ্দীন বিশেষভাবে সমর্থন দিয়েছেন এবং হিজরী একাদশ শতাব্দীতে এ মতবাদটি ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে রাখে। পরবর্তীতে সূফী-সাধকদের ভিতর কাশানী,আলজিলি এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।অতঃপর ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক সূফীর আবির্ভাব ঘটে যাদের ভিতর খাজা মইনুদ্দিন চিশতী,বাহাউদ্দিন,শিহাবুদ্দিন,মুজ্জাদিদ আলফে সানীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।বিশেষ করে আলফে সানী সূফিবাদকে ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন করে উজ্জীবিত করেন।তিনি প্রকৃতপক্ষে এ শুহুদিয়া সম্প্রদায়কে বিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।অতঃপর ১৮৩৭ সালে মুহাম্মদ বিন আলী ১৮৩৭ সালে আলজেরিয়াতে একটি পৃথক সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে সূফিবাদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় ক্রমবিকাশ হতে থাকে।

সূফীবাদের স্তর পরিক্রমা

ক) শরীয়তঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যাবতীয় বিধানকে শরীয়ত বলা হয়। সর্বপ্রথম শরীয়তের পূর্ণ অনুসারী হতে হয়। শরীয়তের যাবতীয় বিধানের মধ্য দিয়ে সুফী তার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর অনুগত করেন। শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ ব্যতীত কেউ সুফী হতে পারবে না। সুফীরা এ কথাটি জোর দিয়ে বললেও তাদের আচার-আচরণ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ অনেক সুফীকেই দেখা যায় তারা মারেফতের দোহাই দিয়ে শরীয়তের বিধান মানতে আদৌ প্রস্তুত নন।

খ) তরীকতঃ সুফীদের পরিভাষায় তরীকত হচ্ছে; শরীয়তের যাবতীয় বিধান অনুশীলনের পর তাকে আধ্যাত্মিক গুরুর শরণাপন্ন হতে হবে। এ পর্যায়ে তাকে বিনা প্রশ্নে গুরুর আনুগত্য করতে হবে।

গ) মারেফতঃ সুফীদের পরিভাষায় মারেফত হচ্ছে, এমন এক স্তর যার মধ্যে বান্দাহ উপনীত হলে সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে। এ স্তরে পৌঁছতে পারলে তার অন্তর আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। তখন তিনি সকল বস্তুর আসল তত্ত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করেন। মানব জীবন ও সৃষ্টি জীবনের গুপ্ত রহস্য তার নিকট সপষ্ট হয়ে ভেসে ওঠে।

ঘ) হাকিকতঃ সুফীদের ধারণায় তাদের কেউ এ স্তরে পৌঁছতে পারলে আন্তরিকভাবে আল্লাহর প্রেমের স্বাদ ও পরমাত্মার সাথে তার যোগাযোগ হয়। এটা হচ্ছে সুফী সাধনার চুড়ান্ত স্তর। এ স্তরে উন্নীত হলে সুফী ধ্যানের মাধ্যমে নিজস্ব অস্তিত্ব আল্লাহর নিকট বিলীন করে দেন। উপরোক্ত নিয়মে ভক্তদের নামকরণ করা ও স্তরভেদ করা একটি বানোয়াট পদ্ধতি। ইসলামের প্রথম যুগে এগুলোর কোন অস্থিত্ব ছিল না। পরবর্তীতে সুফীরা এগুলো নিজের খেয়াল খুশী মত তৈরী করেছে।

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

ভূগোল ১ম পত্র


প্রথম অধ্যায় (প্রাকৃতিক ভূগোল )

১। বিপ্লব স্যার ভূগোল ক্লাসে পড়াতে গিয়ে বললেন , মানুয়ের জীবনের সাথে ভূগোলের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত । পৃথিবীকে জানতে হলে ভূগোল পাঠ প্রয়োজন । প্রতিনিয়ত ভূগোল সম্পর্কে মানুষের ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে । বর্তমানে ভূগোলশাস্ত্রের পরিধি ও গুরুত্ব ব্যাপক ।
ক.ভূগোল কাকে বলে ?
খ. প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখা পৃথিবীর অভ্যন্তরীন অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে --ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকের উল্লিখিত বিষয় পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর ।
ঘ. পৃথিবীকে জানতে হলে ভূগোল পাঠের প্রয়োজন --উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষন কর ।

২। তারেক স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বললেন , ভূমিরূপবিদ্যা , সমুদ্রবিদ্যা জলবায়ুবিদ্যা সম্পর্কে সকলের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন । আলোচনা থেকে ছাত্র ছাত্রী উপলব্ধি করল এ বিষয়গুলো জানরেত হলে প্রাকৃতিক ভূগোল পাঠ অতি প্রয়োজন ।
ক .প্রাকৃতিক ভূগোল কাকে বলে ?
খ. বৃষ্টিপাতের কারণ প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখায় আলোচনা করা হয় ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয় ছাড়াও প্রাকৃতিক ভূগোল পাঠে আরও যা জানা যায় তা ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়গুলোর সাথে প্রকৃতিক ভূগোলের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর ।

বহুর্নিবাচনি প্রশ্ন অধ্যায় ভিক্তিক -- প্রথম অধ্যায় (প্রাকৃতিক ভূগোল )


১। জিও শব্দের অর্থ কী ?
পৃথিবী খ বর্ণনা
গ ভূগোল ঘ বায়ূমন্ডল

২। জিওগ্রাফী শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ?
ক.রিচার্ড হার্টসোল খ ই এ ম্যাকনি
গ. ইরাটসথেনিস ঘ . ডাডলি স্ট্যাম্প

৩। প্রাকৃতিক ভূগোলের বৈশিষ্ট্য হলো --
ক.পরির্বতনশীলতা খ অপরির্বতনশীলতা
গ.প্রাণি সম্পর্কে আলোচনা করা ঘ. বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান

৪। প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো পৃথিবীর
ক .নগর ও বসতি সম্পর্কে জানা খ . প্রাকৃতিক অবয়ব অধ্যয়ন করা
গ.জনসংখ্যা বয়স কাঠামো জানা ঘ.প্রাকৃতিক অবয়ব গঠন ও পরির্বতন প্রক্রিয়া জানা

৫। নিচের কোনটি অশ্বমন্ডলের অর্ন্তভূক্ত ?
ক.শিলা ও খনিজ খ . বায়ূর উপাদান
গ. সমুদ্রস্রোত ঘ. মহীসোপান

৬। ভূপৃষ্ঠের শতকারা কত ভাগ পানি ?
খ. ৬৯ ভাগ খ . ৭২ ভাগ
গ.৭৩ ভাগ ঘ . ৭৪ ভাগ

৭। প্রাকৃতিক ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় কোনটি ?
ক.মৃত্তিকা বিশ্লেষণ খ মহাকাশ গবেষণা
গ.জীবের উৎপত্তি ঘ. বায়ূমন্ডলীয়স তাৎপর্য
৮। কোনটি প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্তর্গত ?
ক. জনসংখ্যা খ. পরিবার
গ. বায়ূ প্রবাহ ঘ. সমুদ্র স্রোত
বহুনির্বাচনী নমুনা
প্রথম অধ্যায় : প্রাকৃতিক ভূগোল
৯। পরিমণ্ডল ও বায়ুমণ্ডল উভয়ই কোথায় অবস্থিত?
ক. পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডলে খ. পৃথিবীর পুরুমণ্ডলে
গ. পৃথিবীর উপরিভাগে ঘ. মহাশূন্যে

১০। পৃথিবীর ভূমিরূপকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ

১১। পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা কতভাগ পানি?
ক. ৫০ খ. ৬০
গ. ৭১ ঘ. ৮০
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিক্ষক একাদশ শ্রেণিতে ভূগোল ক্লাসে বললেন পৃথিবী বিভিন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে অর্থাৎ পৃথিবীর জলভাগ, স্থলভাগ ও বায়ুমণ্ডলের উৎপত্তি হয়েছে।

১২। উদ্দীপকের বিষয়গুলো কোন ভূগোলে আলোচনা করা হয়?
ক. গাণিতিক ভূগোলে খ. মানব ভূগোলে
গ. প্রাকৃতিক ভূগোলে ঘ. জ্যোতিবিদ্যা ভূগোলে

১৩। পৃথিবী বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে-
i. তরল অবস্থার মধ্য দিয়ে
ii. কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে
iii. বাষ্পীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii

১৪। ভূগোলবিদরা প্রাকৃতিক ভূগোল সম্পর্কে-
i. গবেষণা করেন
ii. জ্ঞানার্জন করতে পারেন
iii. পর্যালোচনা করেন
কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii

১৫। অভ্যন্তরীণ পানির প্রধান উৎস কী?
ক. নদী খ. পুকুর
গ. সমুদ্র ঘ. মহাসাগর

১৬। কিসের ওপর নির্ভর করে কৃষিকাজ গড়ে ওঠে?
ক. বায়ুর ওপর খ. পানির ওপর
গ. খনিজের ওপর ঘ. মৃত্তিকার ওপর

১৭। শিলার একটি বিশেষ রূপ কী?
ক. বায়ু খ. মৃত্তিকা
গ. পানি ঘ. খনিজ
উত্তর:খ. মৃত্তিকা
১৮। আবহাওয়ার দীর্ঘ সময়ের গড় ফলকে কী বলে?
ক. জলবায়ু খ. বায়ুমণ্ডল
গ. তাপমাত্রা ঘ. বায়ুপ্রবাহ
উত্তর;ক. জলবায়ু
১৯। জলবায়ুবিদ্যায় আলোচনা করা হয়-
i. জলবায়ুর উপাদান
ii. বায়ুমণ্ডলের উপাদান
iii. জলবায়ুর নিয়ামক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:খ. i ও iii



“If you think you are too small to make a difference, try sleeping with a mosquito.”
– Dalai Lama

John Doe

A leader is one who knows the way, goes the way, and shows the way.
--John C. Maxwell

John Doe

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

কবিতা



John Doe
আলী হাসান শিমুল প্রকাশ ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯ইং:-


শরতের স্লান বিল --- এডিথ স্যোডেরগ্রান :

শরতের স্লান বিল
কী ভারী স্বপ্ন দ্যাখো তুমি বারে-বারে
বসন্ত-সাদা দ্বীপ
ডুবেছে যা পারাবারে।

শরতের স্লান বিল,
লুকায় তোমার বীচি,
তোমার আয়না ভুলে যায় যত
শুভদিন হারিয়েছি।

শরতের স্লান বিল
উচু আকাশেরে হাল্কা, নীরব বহে,
ক্ষণেকের তরে জীবন-মরণ
ঘুম-ঘুম চোখে চুম্বন করে দোঁহে।
(Pale Lake of Autumn)

তুমি – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে
তোমার দু’চোখে তবু ভীরুতার হিম।
রাত্রিময় আকাশে মিলনান্ত নীলে
ছোট এই পৃথিবীকে করেছো অসীম।

বেদনা-মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর
অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না
তুমিই প্রতীক বুঝি এই পৃথিবীর
আবার কখনো ভাবি অপার্থিবা কিনা।

সারারাত পৃথিবীতে সূর্যের মতন
দুপুর-দগ্ধ পায়ে করি পরিক্রমা,
তারপর সায়াহ্নের মতো বিস্মরণ-
জীবনকে, স্থির জানি, তুমি দেবে ক্ষমা

তোমার শরীরে তুমি গেঁথে রাখো গান
রাত্রিকে করেছো তাই ঝঙ্কারমুখর
তোমার ও সান্নিধ্যের অপরূপ ঘ্রাণ
অজান্তে জীবনে রাখো জয়ের সাক্ষর।


কালো বা সাদা----- এডিথ স্যোডেরগ্রান

সেতুদের নীচে নদীগুলি ব’য়ে যায়,
পথপাশে ফুল করে সব রোশনাই,
মাঠেদের কানে, ফিসফিস করে নু’য়ে-নু’য়ে পড়ে বন।
আমার জন্য উচুনিচু কিছু নাই,
অথবা কালো বা সাদা,
সেইদিন থেকে, যখন ধবল পোশাকের এক নারী
দেখেছি আমার প্রিয়ের বাহুতে বাঁধা।
(Black or White)

তারার ঝাঁক----- এডিথ স্যোডেরগ্রান

রাত্রি এলে
আমি দাঁড়াই সিঁড়িতে আর শুনি
অযুত তারার গুনগুনুনি আমার বাগানটিতে
এবং আমি আঁধারে দাঁড়ানো।
ঐ খশল একটা তারা ঠুং ক’রে!
খালি-পায়ে হাঁটিস না রে ঘাসে;
বাগান ভ’রে আছে ভাঙা-কাচে।
(The Stars)

বিজ্ঞাপন অথবা ছবি
পাখির মেলা
Cinque Terre Cinque Terre Cinque Terre

তোমার চোখ এতো লাল কেন? – নির্মলেন্দু গুণ


আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।

আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন ?’

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

লালসালু উপন্যাস


shimul

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর :

উদ্দীপক ১:ছোট বয়সে মাজেদা বিবির উচ্ছলতা, দুরন্তপনা, লাফালাফি, দৌড়ঝাঁপ কোনো কমতি ছিল না । বিচয়ের পর সেই মাজেদা বিবি একেবারেই বদলে গেল । স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে সে কথা বলে না । মানুষের বিপদে আপদে দোয়া করে । ধর্মপালনে সবসময় সচেষ্ট । কিন্তু মাজেদা বিবির মনে কোনো শান্তি নেই । কারণ চার বছর পার হওয়ার পরেও কোনো সন্তান হয়নি তার । স্বমীর কাছে তাই পাশের গ্রামে আসা পিরের কাছে পানি পড়া খেয়ে সন্তান লাভের বাসনা জানায় মাজেদা বিবি।

প্রশ্ন:ক.মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম কী ? ১
খ.মজিদের শাক্তি ওপর থেকে আসে, আসে ঐ সালু কাপড়ে আবৃত মাজার থেকে,--উক্তিটি ব্যাখ্যা কর । ২
গ.উদ্দীপকের মাজেদা বিবির সাথে লালসালু উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে ?ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.গ্রমের ধর্মভীরু অশিক্ষিত মানুষের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায় পিরের প্রতি অন্ধভক্তি -উদ্দীপক ও লালসালু উপন্যাসের আলোকে মন্তব্যটির ব্যাখ্যা কর । ৪

উত্তর:ক. মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম রহিমা ।

খ.মজিদ মহাব্বতনগর গ্রামে যে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার শক্তি সে পেয়েছিল সালু কাপড়ে আবৃত মাজার থেকে প্রশ্নের উক্তিটিতে এ কথাই প্রকাশিত হয়েছে । মজিদ মহব্বতনগর গ্রামে আগন্তুক হিসেবে প্রবেশ করে একসময় সেই গ্রামেই মজিদ শক্তির শিকড় গেড়েছিল । এই শক্তি সে পেয়েছিল মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সকল মানুষের বিশ্বাস থেকে । সালু কাপড়ে আবৃত মাজারটি মজিদকে দিয়েছিল শক্তি যা দিয়ে গ্রামে সে প্রভাব বিস্তার করেছিল । প্রশ্নের উক্তিটি দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে ।

গ.উদ্দীপকের মাজেদা বিবির সাথে লালসালু উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীরির নি:সন্তান স্ত্রী আমেনা সাদৃশ্যপূর্ণ । স্বামীভক্ত ও ধর্মভীরু স্ত্রী আমেনা চরিত্রটি দীর্ঘ দিনের সংসারেও নি:সন্তান থেকে যায় । এদিকে খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী আনুবিবির প্রতিবছর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি আমেনা বিবির মাঝে আরো হতাশা তৈরী করে । সন্তান লাভের আশায় আমেনা বিবি খালেক ব্যাপারীকে আওয়ালপুরের পিরের নিকট থেকে পানি পড়া এনে দিতে বলে । ব্যাপারী তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ছোটো ভাই ধলা মিয়াকে পানি পড়া আনতে আওয়ালপুরের পিরের নিকট্ পাঠাতে চায় ।

উদ্দীপকের মাজেদা বিবি বিয়ের চার বছর পরেও নি:সন্তান থেকে যায় । স্বামী অনুগত মাজেদার মনে তাই কোনো শান্তি নেই । সন্তান কামনায় সে ব্যাকুল হয়ে পরে । তাই স্বামীর কাছে পাশের গায়ে আসা পিরের পানি পড়া খেয়ে সন্তান লাভের বাসনা জানায় । আর লালসালু উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর স্ত্রীও আমেনাও সন্তান লাভের আশায় গোপনে আওয়ালপুরের পিরের বাছে যায় পানি পড়া আনতে । অতএব বলতে পারি , নি:সন্তান হওয়া ও সন্তান লাভের আশায় পিরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের দিক থেকে খালেক ব্যাপারীর স্ত্রঅ আমেনা ও মাজেদা বিবির মাঝে সাদৃশ্য বিদ্যমান রয়েছে ।

ঘ.গ্রামের ধর্মভীরু , অশিক্ষিত মানুষের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায় পিরের প্রতি অন্ধভক্তিতে --উক্তিটি যথার্থ । লালসালু উপন্যাসের গ্রামের মানুষগুলো পিরের প্রতি অবিচল ও অন্ধবিশ্বাসে নিবিষ্ট থাকে । কুসংস্কারাচ্ছন্ন এ মানুষগুলোর ধর্মভীরুতার ছত্রছায়ায় মজিদের মতো পিরেরা সমাজে শক্ত ভিত তৈরী করে । উদ্দীপকের বর্ণনায়ও গ্রামের মানুষগুলোকে পিরের অন্ধভক্তিতে আচ্ছন্ন দেখা যায় ।

উদ্দীপকের মাজেদা বিবি ও তার স্বামী পিরের প্রতি দারুণ অনুরক্ত । মাজেদার বিয়ের চার বছর পার হলেও সে নি:সন্তান । তাই তার ভরসা পাশের গ্রামে আসা পীরের পানি পড়া । পানি পড়া খেলে তার সন্তান হবে এমন ধারণা অজ্ঞতা ও অশিক্ষারই বহি:প্রকাশ গ্রামের মানুয়ের অজ্ঞতাই এর জন্য দায়ী ।

লালসালু উপন্যাসে সমাজ ধর্মভীরুতা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও অজ্ঞতার এ অনন্য দৃষ্টান্ত । ‍মহব্বতনগরের প্রতিটি মানুষ যেন এমন প্রাগৈতিহাসিক ধারণায় ঋদ্ধ(সমৃদ্ধ,বৃদ্ধিপ্রাপ্ত) হয়ে আছে ।ফলে তাদের মধ্যে মুক্তচিন্তা, বিবেক বুদ্ধি ও আধিুনিক ধ্যান-ধারণার যথেষ্ট অবাব পরিলক্ষিত হয় । স্বর্থান্বেষী মহল এমন সামাজের মানুষকে সহজেই প্রতারিত করতে সক্ষম হয় । যেমনটি পেরেছে বন্ড, প্রতারক, পির মজিদ । মোদাচ্ছের পিরের নামে অজ্ঞাত এক কবরকে মাজার বলে চালিয়ে দিয়েও সে সফল হয় । কারণ গ্রামের ধর্মভীরু মানুষগুলো অজ্ঞতার ফলে বাস্তবজ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে । রহিমা, আমেনা বিবি হাসুনির মা প্রভৃতি নারী চরিত্রগুলোও এখানে ধর্মান্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন আঅেচ্য উপন্যাস ও উদ্দীপকে পিরের প্রতি এমন অন্ধভক্তি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিরই সার্মথক রূপায়ণ



উদ্দীপক ২:সিলেট জেলার জালালাবাদ উপজেলায় রিসিতা নামের এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন । পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন বণৈ অভিয়োগ উঠেছে । ঘটনার পর থেকে রিসিতার ভাসুর ও ননদ পলাতক ।

ক.আক্কাস কে ?
খ.তাহেরের বাপ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় কেন ?
গ.উদ্দীপকের গৃহবধূ ও লালসালু উপন্যাসের জমিলার মধ্যে সাদৃশ্য নির্ণয় করো ।
ঘ.উদ্দীপকটি লালসালু উপন্যাসের একটি বিশেষ দিককেই প্রতিকায়িত করেছে ’--বিশ্লেষণ কর ।

ক. আক্কাস মহব্বতনগর গ্রামের মোদাব্বের মিঞার ছেলে ।

খ. সামাজিাকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে অপমানে ও লজ্জায় তাহেরের বাপ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ।
তাহেরের বাপ বউয়ের সাথে সারাক্ষণ ঝগড়া করত এবং তাহেরের বাপ বউকে ইচ্ছেমতো মারত । চরিত্র নিয়ে পরস্পরের দোষারোপের বিষণয়টি মহব্বতনগর গ্রামের এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে । এই নিয়ে সালিশ বসালে তাহেরের বাপকে চরমভাবে অপদস্ত করে মজিদ । এই অপমান সহ্যকরতে না পেরে তাহেরের বাপ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ।

গ. উদ্দীপকে গৃহবধু রিসিতা ও লালসালু উপন্যাসের জমিলার মধ্যে পুরুষতান্ত্রিকতার ছোবলে নারী জীবনের বাস্তবচিত্র নির্মানে সাদৃশ্য রয়েছে । লালসালু উপন্যাসের জমিলা পুরুষতান্ত্রিক সমাজবাস্তবতার কাছে বিপন্ন এক নারী চরিত্র । তবে প্রতিবাদী আচরণে জমিলা আলোচ্য উপন্যাসে মুক্তির এক সুবাতাস হিসেবে বিবেচ্য । মজিদের সাথে তার অসম বিয়ে সম্পন্ন হয় । বয়সের অপরিপক্কতার কারণে তার মধ্য ছিল দাযিত্ববোধ ও সচেতনতার অভাব । কিন্তু বয়সের দোহাইয়ে সে মজিদের নিষ্টুরতা বা আক্রোশ থেকে রেহাই পায় না ।
উদ্দীপকের রিসিতাও জমিলার মতোই পুরুষতান্ত্রিক বেড়াজালে বিপন্ন এক নারী । পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । আমাদের সমাজ জীবনে নারী এমনই কোনঠাসা হয়ে রয়েছে যে তা রীতিমতো অমানবিক । অর্থাৎ পুরুষতন্ত্রের হিংস্রতার কাছে বিপন্ন ও অসহায় হওয়ার দিক থেকে দুটি চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ ।


ঘ. লালসালু উপন্যাসের কাহিনি ও ঘটনা বিন্যাস প্রামীণ সামাজ বাস্তবতার সার্থক উপস্থাপন, যার একটি বিশেষ দিককে উদ্দীপকটি প্রতিকায়িত করেছে ।

লালসালু উপন্যাসের বিষয় হচ্ছে যুগ যুগ ধরে শেকড়গাড়া কুসংস্কার অন্ধ-বিশ্বাস ও ভীতির সঙ্গে সুস্থ জীবন প্রত্যাশার দন্দ্ব । মজিদ মহব্বতনগরবাসীর সরলতা ও ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসকে পুঁজি করে ধর্মব্যবসায় নিজের অভাবনীয় স্বার্থ হাসিল করে। মানুষকে ধরর্মের অন্ধ মোহে আকৃষ্ট করে সে নিজের কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে । মজিদের শাসন ও শোষণের শিকার তার অল্পবয়সি স্ত্রী জমিলা ।

উদ্দীপকে রিসিতা উপন্যাসের জমিলার প্রতিনিধি হয়ে উঠে এসেছে । কারণ রিসিতা শ্বশুরবাড়িতে পুরুষতান্ত্রিক অমানবিকতার শিকার । তার মতো জমিলাও মজিদের পুরুষতান্ত্রিক আচরণের শিকার । উদ্দীপকের রিসিতা লালসালু উপন্যাসের একটি মাত্র চরিত্রের ভিতর দিয়ে নারী জীবনের দু:খ দুর্দশার চিত্র মনে করিয়ে দেয় । তবে সেই চরিত্র অর্থাৎ জমিলাই লালসালু উপন্যাসের প্রেক্ষাপট উপস্থাপনায় এক মাত্র উপস্থাপক নয়

লালসালু উপন্যাসে উপন্যাসের জমিলা নরীধর্ম , হৃদয়ধর্ম ও সজীবতার যোগ্য প্রতিনিধি । তবে উপন্যাসের সম্পূণর্ প্রেক্ষাপট তাকে ঘিরে নয় বরং তার স্বামী মজিদকে ঘিরেই কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে অর্থাৎ জমিলাও মজিদকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে । আর সেই চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র হিসেবে উদ্দীপকের রিসিতা উপন্যাসের একটি বিশেষ দিককে প্রতিকায়িত করেছে ।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

বই পড়ার কৌশল

প্রত্যেকটি কাজ করার বিভিন্ন কার্যকরি পদ্ধতি থাকে। এই পদ্ধতিগুলো মানুষ তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞা থেকে শেখে। কিন্তু সব পদ্ধতিই যে কারর্যকরি হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর এই কারণেই প্রত্যেক ফিল্ডেই সফলতা এবং ব্যর্থতা আছে। বই মানুষের এমন এক সঙ্গী যে কোনো অভিযোগ করে নাঃ; হতাশ ব্যক্তির জন্য আশার আলো জ্বেলে দেয় বই, গাফেল ব্যক্তির মনে চিন্তার খোরক যোগায়, জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বোঝায়। বইয়ের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই, এর আবদার কেবলে এতটুকুই- পাঠক যেন তার থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু বই থেকে উপকৃত হওয়া ব্যক্তিভেদে পার্থক্য করে। এটা নির্ভর করছে আপনি কেন বই পড়ছেন, কোন পদ্ধতিতে বই পড়ছেন এবং পড়ার পর কী করছেন- এর ওপরে। বই পড়ারো অনেক কৌশল আছে। নিম্নে কিছু কার্যকরি পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:

১। প্রস্তুতিমূলক অধ্যয়ন:
প্রস্তুতিমূলক এবং বৈষয়িক অবকাঠামোগত অধ্যয়ন। বইয়ের নাম, সূচিপত্র, কোন অধ্যায়ে কী আলোচিত হয়েছে, প্রবন্ধগুলির শিরোনাম ও উপশিরোনামগুলো কী কী, ব্যবহারিক টিপস, পরিশিষ্ট- এসবে হালকাভাবে নজর বুলিয়ে নিন। এতে আপনার স্মৃতিতে পুরো বইটির বিষয়-কাঠামোর একটি মাইন্ড-ম্যাপ তৈরি হবে।

২। বিস্তারিত অধ্যয়ন:
সম্পূর্ণ বা সবিস্তারে অধ্যয়ন। এই ধাপে কভার-টু-কভার, লাইল-বাই-লাইন পড়ুন। বুঝে বুঝে পড়ুন। প্রতিটি পয়েন্টে আপনার মস্তিষ্ককে কাজ দিন। প্রতিটি তথ্যকে ফিল্টারিং করুন- একমত হচ্ছে কিংবা দ্বিমত করছেন, চিন্তাভাবনা করে হাইলাইট করুন। বইয়ের সারবস্তু কী, তা বুঝার চেষ্টা করুন এবং আপনার ব্যবহারিক জীবনে কোন বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, সেদিকে দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত রাখুন। এভাবে পুরো বইটি গভীরভাবে পড়ুন। পড়তে পড়তে ভাবুন, আর ভাবতে ভাবতে পড়ুন।

৩। নিরীক্ষণমূলক অধ্যয়ন:
এটি পূনঃনিরীক্ষণ বা পর্যালোচনামূলক অধ্যয়ন। আপনার টুকে রাখা মার্জিনের মন্তব্যগুলোর কোনো পয়েন্টে একমত হলে কেন একমত হয়েছেন এবং দ্বিমত করলে কেন করেছেন- এসব নিয়ে পর্যালোচনা করুন, পুনঃনিরীক্ষা চালান। হাইলাইট করে রাখা বিভিন্ন অংশ আবারও বুঝে বুঝে পড়ুন। হৃদয়ঙ্গম করুন। এর সাথে মস্তিষ্কে জমে থাকা অন্যান্য চিন্তা/তথ্যের যোগসূত্র তৈরি করুন। বইটির কোন বিষয়গুলো আপনার জন্য অধিক প্রাসঙ্গিক, এই মুহূর্তে কোনগুলো দিয়ে আপনার জীবনে পরিবর্তন সূচনা করতে চান- এসব বিষয়ে তথ্য ও আইডিয়া জানার্লে নোট করুন। গভীরভাবে পাঠ অনুবাধন, দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি সংরক্ষণ, সেইসাথে বাস্তবজীবনে তার সুফল অর্জনে এই ধাপটি বেশ ফলপ্রসূ।

৪। সম্পূরক অধ্যয়ন:
এই ধাপটাকে সাধারণ অধ্যয়ন বলতে পারি। মোটামুটিভাবে পুরো বইটা আবার এক নজর পড়ে নেয়া। এটা অনেকটা স্ক্যানিং বা ভিজুয়ালাইজিং- এর মতো। এতে করে তিনটি ধাপের পাঠের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য তৈরি হবে এবং পূনর্পাঠের সুবাদে তথ্যগুলো মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে সাপোর্ট পাবে। এই ধাপটি আপনি খুব কম সময়ে সম্পন্ন করতে পারেন, কিন্তু বইটিকে মনের মণিকোঠায় চিরকালের জন্য উজ্জ্বল করে ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

বোনাস টিপস:
>> আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়নের মনোভাব নিয়ে পড়ুন। আল্লাহ্‌ বলেছেন, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করলো সে সফল হলো। ‘বই পাঠ, অনুবাধন, ও আত্মসংস্কারের মধ্য দিয়ে আপনি প্রতিনিয়ত সফলতার পথে অগ্রসর হচ্ছেন’ এই ভাবনা মনে জাগরুক রাখুন।
>> একসাথে তিনের অধিক বিষয়বস্তু নিয়ে পড়াশোনা থেকে বিরত থাকুন। এতে একসাথে তিনটি আলাদা আলাদা বিষয়ে চিন্তাশক্তিকে সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীভূত করে রাখাটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। একই সময়ে একটি বিষয়ে বই পড়া শেষ করে পরবর্তী বিষয়ে মনোযোগী হলে অধিক ভালো।
>> একটি বই পাঠকে একটি প্রজেক্ট ওয়ার্ক হিসেবে মূল্যায়ন করুন। কাজগুলোকে চাংকিং করে নিন। চাংকিং মানে আপনার সময়-সুবিধা বুঝে কাজগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে নেয়া। যেমন মনে করুন: ১৪০ পৃষ্ঠার একটি বই পাঠের প্রজেক্ট হাতে নিলেন। এর জন্য দিন নির্ধারণ করলেন সাতদিন। তাহলে আপনাকে প্রতিদিন ২০ পৃষ্ঠা করে পড়তে হচ্ছে।
>> পড়ার সময় সেলফোনসহ সমস্ত সোস্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখুন। ভাল হয় ফোন সাইলেন্ট করে অন্য রুমে রেখে আসলে, নয়ত আমরা যারা এসবে এ্যাডিক্টেড, আমাদের ব্রেন প্রতিনিয়ত সিগনাল দিতে থাকবে। পড়ার সময় কেবলই পড়ুন।
>> পড়ার ফাঁকে ফাঁকে সামান্য বিরতি নিয়ে পানি কিংবা চা-কফি পান করুন। সামান্য পায়চারি করুন। হাত মুখ ধুয়ে আসুন, অথবা সম্ভব হলে ওযু করে আসুন। সালাতের ওয়াক্ত হলে মাসজিদে যান। এরপর এসে আবার পড়তে বসুন।
>> হাতের বইটিকে জীবনের শেষ বই হিসেবে পড়ুন। ভাবুন, হতে পারে এর একটিমাত্র লাইন আপনার চিন্তার দ্বার খুলে দিবে; এর একটিমাত্র টিপস আমাকে আল্লাহর অভিমুখি হতে প্রেরণা যোগাবে।
>> এমনভাবে পড়ুন এবং এর ভাব ও মর্ম আয়ত্বে আনুন যেনো আপনি তা অন্যকেও ভালোভাবে বুঝাতে সক্ষম হন।

>>পড়ুন এবং কাজে নামুন<<
১। অধ্যয়ন থেকে লিখিত জার্নালের নোট সামনে রেখে কীভাবে আপনার প্রতিদিনের কাজেকর্মে পরিবর্তন আনতে চান?- তার প্রয়োগ-পদ্ধতি নিয়ে ভাবুন, কৌশল নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। বার্ষিক, মাসিক, সাপ্তাহিক, প্রতিদিনের গোল সেট করুন। রুটিন বানানোর কার্যকরি সব কৌশল এবং ফ্রি হ্যান্ডবুক পেতে productivemuslim সাইটের এই কন্টেন্টগুলো ব্যবহার করতে পারেন- https://goo.gl/
২। সেলফ-হেলপ বা আত্মশুদ্ধিমূলক বইকে ‘ওয়ার্ক বুক’ হিসেবে গ্রহণ করুন। অধ্যয়ন করার সাথে সাথে হোমওয়ার্ক শুরু করে দিন। মনে রাখুন, ব্যবসায়িক সফলতার বই পড়লেই আপনি ব্যবসায় উন্নতি করবেন না, সুবক্তা হওয়ার বই পড়লেই আপনি রাতারাতি সুবক্তা হয়ে যাবেন না, প্রচুর ইসলামিক বই পড়লেই আপনার পুরো লাইফ স্টাইল পরিবর্তন হয়ে যাবে না, যতক্ষণ না আপনার দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষাগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন।
ঘুরে দাঁড়াও(প্রকাশতিব্য) বইতে ওয়েল ইবরাহিম খুব চমৎকার একটি কথা বলেছেন, যা প্রতিনিয়ত আমাদের স্মরণ রাখা উচিত- “চিন্তা করুন আপনি একটি বই পড়ছেন, অথচ এ থেকে আরোহিত জ্ঞান আপনি জীবনে বাস্তবায়ন করছেন না। এতে শুধু আপনার টাকা ও শক্তিরই অপচয় হচ্ছে না, সাথে সময়েরও অপচয় হচ্ছে।”
৩। অর্জিত জ্ঞান কল্যাণের পথে কাজে লাগানোর জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। এবং কাজে প্রয়োগ করতে পারা পর আত্মতৃপ্তিতে ভোগার বদলে আল্লাহর শুকুর আদায় করুন, এবং আরো উন্নতি কীভাবে করা যায়- ভাবুন।
৪। পড়া শেষে নিজের ভাষায় নিজের মতো করে বইটির একটি সারাংশ লিখুন বইয়ের নোট সেকশনে। বইয়ে দাগাদাগি, কমেন্টস লেখা, রিভিউ লিখতে বলা- এগুলো অনেকে পছন্দ না করলেও বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের ব্রেনের ডোপামিন(যা ভালো অনুভূতি দেয় এবং যে কাজটা করার দ্বারা ভালো অনুভূত হয়েছে, সেই কাজটা পুনরায় করার প্রতি আগ্রহ দান করে) নির্গত করাই উদ্দেশ্য। বই পড়তে পড়তে যেন আপনি বিরক্ত হয়ে না যান, পড়াকে মজা হিসেবে নিতে পারেন- সে জন্য এগুলো বলা। আমরা যদি মাসের পর মাস একই পদ্ধতিতে বই পড়তে থাকি, তাহলে পড়ার যে প্রভাব সেটা মনে বেশী দিন থাকবে না। তাই বই পড়ার সময় দাগানো, কমেন্ট লেখা, রিভিউ লেখা- এগুলো আপনার পড়াকে চাঙ্গা রাখতে, স্মরণ রাখতে এবং সামনে আরো বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করবে।
৫। বইটির বিভিন্ন দিক নিয়ে অন্যদের সাথে মতামত শেয়ার করুন এবং এর কল্যাণকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিন আপনার আশপাশের মানুষদের মাঝে। এতে অন্যরা অনুপ্রাণীত হওয়ার পাশাপাশি আপনার মনে এক অপার্থিব ভালো লাগা তৈরি হবে।
৬। বইয়ের যে বাক্যগুলো আপনাকে খুব টাচ করে, সেগুলো বইয়ের শেষে লিখে রাখুন, অথবা আপনার পার্সোনাল ডায়েরিতে একটি টাইটেলের নীচে লিখে রাখুন; যাতে জীবনের যে কোনো সময় মোটিভেট হতে আপনার ডায়েরির পাতা আপনার কাজে আসে।
৭। লাইফ চেঞ্জিং বিষয়গুলোর ভিতর প্রতিমাসে কমপক্ষে ২টি বিষয় নিজের ওপর প্রয়োগ করুন।


**ইতিহাসের বই থেকে কীভাবে উপকৃত হবেন?
১। সর্বপ্রথম আমাদেরকে জানতে হবে, ইতিহাসের বইগুলো স্রেফ ইনফোরমেশনের ভাণ্ডার নয়। লেখক তার বইতে সেই ঘটনাগুলোকেই ফোকাস করা, যা সে খুব গুরত্বপূর্ণ মনে করে, সে সঠিক বলে বিশ্বাস করে, যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। তার প্রতিটি উল্লেখিত ঘটনার ভিতর একটি উদ্দেশ্য থাকে, যা উদ্ভাবন করার মাঝেই পাঠকের সাফল্য। মূলত ইতিহাসগ্রন্থগুলো ‘কনভার্সেসন’ এর মতো; যেখানে লেখক পাঠকের সাথে কথা বলে। পাঠককে একটি ঘটনা বিভিন্ন দিক থেকে দেখায়। যাতে পাঠক সেই ঘটনা নিয়ে ভাবে এবং ইতিহাসের সারনির্যাস যা লেখক বোঝাতে চাচ্ছেন, তা উপলব্ধি করতে পারে।
২। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক ইতিহাসগ্রন্থ মানেই খণ্ডন। লেখক তার গ্রন্থে কোনো না কোনো ইতিহাসবিধের ব্যাখ্যাকে রিফিউট করবে। এখানে পাঠককে খুব সূক্ষ্মভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে। লেখকের যুক্তিগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং মস্তিষ্কে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভাবতে হবে।
৩। ঘটনা প্রবাহ অধ্যয়নের মাঝে আপনি এমন অনেক কিছু পাবেন, যা আপনার মনে একটি নতুন আইডিয়া দেবে। এমন কিছু, যা দ্বারা আপনি আপনার বর্তমানের কোনো কিছুর সমাধান পাচ্ছেন। এগুলোই হচ্ছে গল্পের জেমস। বিজ্ঞ ইতিহাসবিদরা নিজেরাই প্রতিটি ঘটনা থেকে জেমস লিখে দেন, কিন্তু কলেবর বড় হওয়ায় অনেকে সেটা করেন না। এমতাবস্থায় পাঠকের দায়িত্ব হচ্ছে সেই জেমসগুলো খুঁজে বের করা এবং কলম বা মার্কার দিয়ে মার্ক করে রাখা। ফুট নোটে খুব কম শব্দে মার্ক করার কারণটা লিখে রাখা। এবং যে পৃষ্ঠায় আপনি জেমস পেয়েছেন, তা সূচিতে উল্লেখ করে রাখতে পারেন উক্ত পেইজের ওপর স্টার চিহ্ন দেয়ার মাধ্যমে। যাতে ভবিষ্যতে আপনি বইটি হাতে নিলে খুব সহজেই আপনার জেমসগুলো পেয়ে যান।

ইতিহাসের গ্রন্থগুলো তিনটি স্টেইজে অধ্যয়ন করা যায়। যথা:
১। দ্রুত পঠন
– অর্থাৎ গল্পের মতো পুরো বইটি খুব দ্রুত শেষ করে ফেলা। এ্যানালাইসিস না করা। এই অধ্যয়ন আপনাকে পুরো বই নিয়ে একটি মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করে দেবে।

২। ধীরে ধীরে পড়া – এ সময়ে যুক্তি, দলীল নিয়ে ভাবা; নিজেকে প্রশ্ন করা, কেন লেখক এই যুক্তি এবং দলীল দিলেন? জরুরী লাইনগুলো হাই লাইট করা। তবে খুব বেশী হাই লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রত্যেক চ্যাপ্টার শেষে নিজেকে বিরতি দেয়া এবং পুরো চ্যাপ্টারের শিক্ষা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবা অথবা নোট করা।

৩। ফাইনাল টাচ
– আপনি যখন ১ম এবং ২য় স্টেজ সম্পন্ন করে আসবেন, তখন আপনার সামনে পুরো বইয়ের থিম উপস্থিত। আপনি জানেন প্রতিটি যুক্তির কারণ, ঘটনার গুরুত্ব এবং লেখকের ভুলগুলো। তো এখন আপনার কাজ হচ্ছে, আপনার নোট এবং দাগানো লাইনগুলো আরেকবার পড়া। নিজের লেখা নোট নিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করা- ‘আমি যা লিখলাম, কতটা সঠিক এবং কতটা গুরুত্ব বহন করে?’ এভাবে আপনার নোটের ঘষামাজা করুন। খুব ভাল হয় যদি এই স্টেইজে এসে বই থেকে আপনার অনুধাবিত প্রতিটি শিক্ষা নিয়ে ডায়েরি বা গুগল ডকে রিভিউ লিখতে পারেন। এই ৩টি স্টেইজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং ইতিহাস অধ্যয়নের আরও টিপস পেতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন http://wcaleb.org/blog/how-to-read

দ্রষ্টব্য: আপনি যদি বিনোদনের নিয়তে গল্পের মতো পড়তে চান, তাহলে ওপরের নিয়মগুলো অনুসরণের প্রয়োজন নেই।

সর্বশেষ কথা:
একটি বই অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সময়ের দিকে নজর রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্লান করে অধ্যয়ন করা অনেক অনেক জরুরী। বাজারে, বা বুক রিভিউ গ্রুপে কোনো বই নিয়ে আলোড়ণ তৈরি হলেই সেটা কিনে না ফেলে বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কিনুন। গাটের পয়সা খরচ করে একটি বই কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই বইটি কেন কিনবো? এই মুহূর্তে আমার জন্য তা কতটা জরুরী?” মনে রাখবেন, বিক্ষিপ্ত অধ্যয়ন আপনার জ্ঞান মন সবকিছুকেই বিক্ষিপ্ত করে দেবে। পড়ার সময় দুর্বোধ্য বিষয়ের পেছনে বেশী সময় ব্যয় করবেন না। এখানে বেশী সময় অপচয় করার দ্বারা আপনি বিরক্ত হয়ে যাবেন। এছাড়া আপনার দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে। কিছু চ্যাপ্টার থাকবে যা আপনাকে খুব বেশী অনুপ্রাণিত করবে, সেই চ্যাপ্টারগুলো প্রয়োজনে একাধিকবার অধ্যয়ন করুন। সবশেষে- পড়াকে উপভোগ করতে শিখুন।

https://www.wafilife.com/techniques-of-reading/



বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

নমুনা

Bootstrap Example

This part is inside a .container class.

The .container class provides a responsive fixed width container.

Resize the browser window to see that its width (max-width) will change at different breakpoints.

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯

কবি ও কবিতা


☰ খুলন

এই পৃষ্ঠার কাজ চলিতেছে ?

বাংলার মুখ – জীবনানন্দ দাশ

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতো ব্ড় পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দয়েলপাখি – চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশথের করে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ
দেখেছিল; বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে –
কৃষ্ণা-দ্বাদশীর জোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায় –
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল – একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদ-নদী-ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়।

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯

পৌারনীীত ও সুশাসন ২য় পত্র


অধ্যায় ১০ম:নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয় (শৃজনশীল প্রশ্ন)


উদ্ধৃতি: খনেপুর বাজারে সবজি ও ফলের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের পণ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের জন্য জরিমানা করে। ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে জেনে শুনে নগরিক সমস্যার সৃষ্টি করেছেন।

ক.এইডস্‌ এর পুর্ণরুপ কী
খ.বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন বলতে কী বোঝায় ?
গ.উদ্দীপকে উল্লেখিত সবজি ও ফল বিক্রেতাদের কর্মকান্ড কোন সমস্যা নির্দেশ করে?
ঘ.বনির্ত সমস্যা নিরসনকল্পে তোমার সুপারিশ লেখ।

উত্তর:
ক) AIDS এর পূর্ণরুপ Acquired immune Deficiency Ssyndrome

খ) বিশ্বে উষ্ঞায়নের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন বলা হয়। বায়ুমন্ডলে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গ্যস যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মিথেনের এক ধরনের তাপ ধারণক্ষম প্রভাব রয়েছে। বায়ূমন্ডলে এ রকম নানা ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মাশূন্যে তাপ নির্গমনে বাধার সৃষ্টি করছে , যার ফলাফল হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন। যখন বায়ূমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যায় তখান স্বভাবিকভাবেই মহাশূন্যে তাপের বিকিরণ কমে য়ায় এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যা বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন হিসেবে পরিচিত।

গ) উদ্দীপকে বর্নিত সমস্যাটিপ বাংলাদেশের খাদ্যে ভেজাল সমস্যার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। সাধারণভাবে খাদ্যে ভেজাল বলতে খটি বা আসল পন্যের সাথে মিশ্রণ ঘটিয়ে বিক্রয় করাকে বোঝায়। এতে দ্রব্যের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিশুদ্ধতা হারায় । বর্তমান যুগে খাদ্যে ভেজাল একটি মারাত্নক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়। খাদ্যদ্রব্যের সাথে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রণ করে কিছু অসাধু ,লীতি বিবর্জিত ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে থাকে উদ্দীপকেও এ সমস্যার প্রতিফলন লক্ষণীয়।

উদ্দীপক খাদ্যে ভেজাল মিশ্রনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভেজাল খাদ্য। মাছ, মাংস, তরিতরকারি থেকে শুরুকরে তৈরী খাবার , ফলমূল এমনকি শিশু খাদ্যে পর্যন্ত ভেজালের ভয়াঙ্কর দৌরাত্ন্য সৃষ্টি হয়েছে । এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর সীমাহীন মুনাফা অর্জনের লোভে , নাগরিকদের অসচেতনতা এবং অইন প্রয়োগগে প্রশাসনের শিথিলতার কারণে দিন দিন এ সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে পুষ্টির অভাব থেকে ভোক্তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উদ্দীপকেও এ সমস্যাটির কথা বলা হয়েছে।

ঘ) উদ্দীপকের আহনা খাদ্যে ভেজাল সমস্যাটির সম্মুখীন হয়েছে। আর এ সমস্যাটি প্রতিবোধ করতে হলে সরকার ,ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সকল পর্যায়ে বিভিনান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল প্রতিকার বা প্রতিরোধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে:
১.খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী BSTI-, এর দ্বারা মানোর্ত্তিণ হরার সার্টিফিকেট অর্জন এবং তা প্রদর্শন করতে হবে।
২.BSTI-এর দ্বারা পরিক্ষীত নয় ,এমন উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রী বাজারজাত করা হলে কঠিন শাস্তির বিধান এবং তা কার্যকর করতে হবে। ৩.হোটেল রেস্তোরাঁয় পচা-বাসি খাবার যেন পরিবেশন করা না হয় সেজন্য নজরদারি জোরদার করতে হবে।
৪.অসৎ ব্যবসায়ী , উৎপাদক , পরিবেশকদের বিরুদ্ধে কী শাস্তি প্রদান করা হলো , ভ্রাম্যমান আদালত কী করছে তা নিউজ এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে।
৫.চাল- ঢাল- আটা-ময়দা ,ফলমূল প্রভৃতির আড়তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে এবং অসৎ ব্যবসায়ীদের শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৬.খাদ্যের ভেজালের বিরোদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়েতুলতে হবে।
৭.জনগণ যেন সহজেই ভেজাল খাদ্য চিনতে পারে সে পদ্ধতি প্রচার করতে হবে।

সর্বোপরি ,জনগণের সচেতনতা , সাবধানতা ,ব্যবসায়ীদের সততা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এ সমস্যাটি প্রতিরোধ করা সম্ভব ।

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র


HSC

অধ্যায় অনুযায়ী সৃজনশীল প্রশ্ন:

সূচী:--

অধ্যায় সমূহ পৌরনীতির সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র
অধ্যায় ১.ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের বিকাশ
অধ্যায় ২.পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ (১৯৪৭-১৯৭১)
অধ্যায় ৩.রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব:বাংলাদেশের স্বাধীনতা
অধ্যায় ৪.বাংলাদেশের সংবিধান
অধ্যায় ৫.বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামো
অধ্যায় ৬.স্থানীয় শাসন
অধ্যায় ৭.সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান
অধ্যায় ৮.বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা
অধ্যায় ৯.বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি
অধ্যায় ১০.নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয়
মানবন্টন ও প্রশ্ন কাঠামো পৌরনীতি ও সুশাসন : দ্বিতীয় পত্র পূর্ণমান --১০০
সৃজনশীল প্রশ্ন:৭০ নম্বর

মোট এগারটি প্রশ্ন থাকবে । যেকোন সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে । প্রতিটি প্রম্নের মান (১০) ৭*১০=৭০
জ্ঞান দক্ষতা যাচাই -------১
অনুধাবন দক্ষতা যাচাই ----২
প্রয়োগ দক্ষতা যাচাই ------৩
উচ্চতর দক্ষতা যাচাই -----৪
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০টি সব কয়টির উত্তর দিতে হবে প্রতি প্রশ্নের মান (১)পাশ নম্বর :২৩+১০= ৩৩

Girl in a jacket মানবিক বিভাগের বিষয় সমূহ:
সৃজনশীল অংশ: ১ম এবং ২য় পত্র মিলে ৪৬ নাম্বার পেলেই পাশ । একপত্রে ১০নম্বর ও অন্যটিতে৩৬ নম্বর পেলেও পাশ।
বহুনির্বাচনী অংশ: দুই পত্র মিলে ২০ পেলেই পাশএক পত্রে ০৫ এবং অন্য পত্রে এ ১৫ পেলেও পাশ ।

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সাধারণ জ্ঞান


সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ)
১) বৈদেশিক নীতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর:একটি বৈদেশিক নীতি মূলত তার জাতীয় স্বার্থ প্রচারের উদ্দেশ্যে একটি রাষ্ট্র দ্বারা গৃহীত হয় এমন অবস্থান এবং কৌশলগুলি বোঝায়।

২.মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান কে?
উত্তর: সচিব।

৩.প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রধান কে?
উত্তর: মুখ্য সচিব।

৪.রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের প্রধান কে?
উত্তর: মুখ্য সচিব।

৫.বাংলাদেশে মোট মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কতটি?
উত্তর: ৪১টি। (প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মন্ত্রণালয়সহ)

৬.রেলপথ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গঠিত হয় কবে?
উত্তর: ৪ডিসেম্বর ২০১১সালে।

৭.প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কবে গঠিত হয়?
উত্তর: ২জানুয়ারি, ২০০৩.

৮.প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয় কবে?
উত্তর:২০ডিসেম্বর, ২০০১।

৯.পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কবে গঠিত হয়?
উত্তর:১৫ জুলাই,১৯৯৮

সাধারণ জ্ঞান
১.বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কি ?
উত্তর: বাংলাদেশ ব্যাংক।

২. উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তক কে ?
উত্তর: হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ।

৩. কার শাসনামলে উপমহাদেশে পুলিশ সার্ভিস চালু করা হয়?
উত্তর: লর্ড ক্যানিংয়ের।

৪. প্রথম জেলা গঠিত হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা।

৫. ‘দুবলার চর’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: সুন্দরবনের দক্ষিণ উপকূলে।

৬. আনসার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: গাজিপুরের শফিপুরে।

৭. বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তর পাহাড় কোনটি ?
উত্তর:গারো পাহাড়।

৮. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কোনটি ?
উত্তর: তাজিনডং।

৯. বাংলাদেশের প্রথম মহিলা বিগ্রেডিয়ার কে?
উত্তর: সুরাইয়া বেগম ।

১০. খরিপ শস্য বলতে বুঝায়?
উঃ গ্রীষ্মকালীন শস্যকে।
১১. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে
কৃষিখাতের অবদান কত?
উঃ ২১.৯১%।
১২. বাংলাদেশের শস্য ভান্ডার বলা হয় কোন জেলাকে?
উঃ বরিশাল।
১৩. বাংলাদেশে বানিজ্যিকভাবে প্রথমকখন চা চাষ করা হয়?
উঃ ১৯৫৪ সালে।
১৪. গম গবেষণা কেন্দ্র কোন জেলায় অবস্থিত?
উঃ দিনাজপুর।
১৫. বাংলদেশের প্রথম চা বাগান কোনটি?
উঃ সিলেটের মালনিছড়া।
১৬. সবচেয়ে বেশী চা জন্মে কোন জেলায়?
উঃ মৌলভীবাজার জেলায়।
১৭. বাংলাদেশের চা গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে।
১৮. বাংলাদেশে মোট চা বাগানের সংখ্যা কত?
উঃ ১৫৯ টি।
১৯. বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী রেশম উৎপন্ন হয়?
উঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জে।
২০. বাংলাদেশ রেশম বোর্ড কোথায় অবস্থিত?
উঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জে।
২১. বাংলাদেশে কোথায় সবচেয়ে বেশী তামাক জন্মে ?
উঃ রংপুরে।
২২. বাংলাদেশে কোথায় সবচেয়ে বেশীতুলা জন্মে ?
উঃ যশোরে।
২৩. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প কোনটি?
উঃ তিস্তা বাধ প্রকল্প।
২৪. বাংলাদেশে ধান গবেষনা কেন্দ্রের সংক্ষিপ্ত নাম কি এবং কোথায় ?
উঃ BRRI, গাজিপুর।


মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এইচ এস সি ভূগোল ১ম পত্র

ভূগোল ১ম পত্র

১। প্রাকৃতিক ভূগোলের সংজ্ঞা দাও। এর প্রকৃতি ও পরিসর লেখ।
উত্তর:প্রাকৃতিক প্রপঞ্চকসমূহের আঞ্চলিক তারতম্য বিশ্লেষণ করাকে প্রাকৃতিক ভূগোল বলা হয় । প্রাকৃতিক ভূগোলের পরিসর ব্যাপক । পৃথিবীর জন্ম আকার আয়তন পৃথিবীর উপগ্রহ চন্দ্র সূর্যের আবস্থান ভূপ্রকৃতি শিলা খনিজ ।ইত্যাদি বিষয় সমূহ প্রাকৃতিক ভূগোলের পরিসর । আলোচনার জন্য প্রাকৃতিক ভূগোল কে নিন্মলিখিত ভাবে ভাগ করে আলোচনা করা হয় ।
১.ভুমিরূপবিদ্যা
২.জলবায়ূবিদ্যা
৩.সমুদ্রবিদ্যা
৪.জীবভূগোল
১.ভূমিরূপবিদ্যা:-ভূগোলের ভূমিরূপবিদ্যায় পৃথিবীর সৃষ্টি , পৃথিবীর আভ্যন্তরীন অবস্থা পাহাড় পর্বত বিভিন্নপ্রকার ভূমিরূপ নদ-নদীর উ্ৎপত্তি বায়ূর কার্য হিমবাহের কার্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা কর হয়
২.জলবায়ূবিদ্যা :জলবায়ূবিদ্যায় বায়ূর স্তর বিন্যাস, বায়ূর উপাদান, বায়ূর গঠন, বায়ূর ধর্ম, বায়ূর তাপ-চাপ, বারিমন্ডল জলবায়ূ নিয়ে আলোচনা করে ।
৩.সমূদ্রবিদ্যা : সাগর সর্ম্পকিত আলোচনা করে ।
৪.জীবভূগোল : জীবভূগোল ভূগোলের নতুন শাখা । উদ্ভিদের উৎপত্তি ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করে

২।প্রাকৃতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও উপাদান লেখ।
উত্তর : প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো প্রাকৃতিক বিষয়াদি । ভূপৃষ্ঠের সকল বিষয়ের ক্রিয়া ,প্রতিক্রিয়ার অবস্থার সুন্দর বর্ণনা পাওয়া যায় প্রাকৃতিক ভূগোলে । প্রাকৃতিক ভূগোলের বিষবস্তুগুলোকে তিনটি ভাগের মাধ্যমে আলোচনা করা হয় ।
ক) অশ্বমন্ডল খ) বায়ূমন্ডল গ) বারিমন্ডল
অশ্বমন্ডল :ভূপৃষ্ঠের বহিরাবরণকেই অশ্বমন্ডল বলে । অশ্বমন্ডল প্রায় ১২৮০ থেমে ১৬০০ কিলোমিটার গভীর । অশ্বমন্ডলকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।
অশ্বমন্ডলের অর্ন্তগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিস্মরূপ:

১।ভূঅভ্যন্তর:
২।খনিজ ও শিলা:
৩।ভূআলোড়ন:
৪।ভূমিকম্প:
৫।নদ-নদী:
৬।বিভিনান প্রকার প্রাকৃতিক পরির্বতন:

খ)বায়ূমন্ডল:আমাদের এ পৃথিবী নানাপ্রকার গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা পরিবেষ্টিত । এসব গ্যাসীয় উপাদানের সাধারন নাম বায়ূ ।
বায়ূবন্ডলের আলেচ্যবিষয়বস্তু হল
১।বায়ূর উপাদান ও বায়ূমন্ডলের স্তরবিন্যাস :
২।জলবায়ূ :

(গ)বারিমন্ডল:বারিমন্ডলের আলোচ্যবিষয়বস্তু হল
১। জলও স্থলভাগের অবস্থান:
২।সাগর -মহাসাগর :
৩।সমুদ্র্স্রোত:
৪।সমুদ্রতলের ভূপ্রকৃতি:
৫। জোয়ার ভাটা :

ভূগোল প্রখম পত্র বহুনির্বাচনী


এইচ,এস সি ভূগোল প্রথম পত্র ৩০ নম্বর:

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (মান : ৩০)
১। কোন ভূগোলকে ‘মানবভূমি ধারা’ বলা হয়?
ক. মানব খ. অর্থনৈতিক
গ. প্রাকৃতিক ঘ. ভূমিরূপ

উত্তর: গ.প্রাকৃতিক

২। পৃথিবীর মোট পানির অধিকাংশ কোথায় বিরাজ করে?
ক. সমুদ্রে খ. ভূগর্ভে
গ. হিমবাহে ঘ. জীবমণ্ডলে

উত্তর:খ.ভূগর্ভে

৩। উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোনটির ঘনত্ব হ্রাস পায়?
ক. বারিমণ্ডল খ. বায়ুমণ্ডল
গ. কেন্দ্র মণ্ডল ঘ. অশ্মমণ্ডল

উত্তর:খ.বায়ূমন্ডল

৪। আলোচনার সুবিধার্থে সমুদ্রতত্ত্বের বিষয়বস্তুকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়?
ক. ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫

উত্তর:গ.৪

৫। বিংশ শতাব্দী থেকে প্রাকৃতিক ভূগোলে কোন বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে?
ক. জীবতত্ত্ব খ. সমুদ্রতত্ত্ব
গ. বারিতত্ত্ব ঘ. উপকূলীয় ভূগোল

উত্তর:ক.জীবতত্ব

৬। জলবায়ু বিদ্যায় আলোচনা করা হয়—
i. জলবায়ুর উপাদান
ii. জলবায়ুর নিয়ামক
iii. বায়ুমণ্ডলের উপাদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্তর:খ. i ও iii

৭। প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন—
i. জৈব উপাদান
ii. অজৈব উপাদান
iii. নির্জীব উপাদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্তর:ক. i ও ii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকৃতি ও পরিসর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বারিতত্ত্ব, সমুদ্রতত্ত্ব, উপকূলীয় ভূগোল প্রায় কাছাকাছি বিষয়।
৮। উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়গুলো কোন ভূগোলে আলোচনা করা হয়?
ক. মানব খ. প্রাকৃতিক
গ. গাণিতিক ঘ. অর্থনৈতিক

উত্তর:খ. প্রাকৃতিক

৯। উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়গুলো হলো—
i. বারিতত্ত্ব
ii. সমুদ্রতত্ত্ব
iii. জীবতত্ত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্ত: ক. i ও ii

১০। ভূগোলের কোন অংশে পানি নিয়ে আলোচনা করা হয়?
ক. বারিতত্ত্ব খ. হিমবাহতত্ত্ব
গ. জলবায়ুতত্ত্ব ঘ. ভূমিরূপতত্ত্ব

উত্তর:ক.বারিতত্ব

১১। ফেলসিক স্তরের গঠনকারী উপাদান—
i. ম্যাগনেসিয়াম
ii. সিলিকন
iii. অ্যালুমিনিয়াম নিচের কোনটি সঠিক? ক. i ও ii খ. ii ও iii গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. ii ও iii

১২। জীবমণ্ডলের আলোচ্য বিষয়বস্তু—
i. উদ্ভিদ
ii. মানুষ
iii. জীবজন্তু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

১৩। অভ্যন্তরীণ পানির প্রধান উৎস কী?
ক. নদী খ. পুকুর
গ. সমুদ্র ঘ. মহাসাগর

উত্তর:ক.নদী

নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
Paris
১৪। উদ্দীপকের মণ্ডল তিনটি আলোচনা করা হয় কোন ভূগোলে?
ক. প্রাকৃতিক খ. আঞ্চলিক
গ. জনসংখ্যা ঘ. রাজনৈতিক

উত্তর:ক.প্রাকৃতিক

১৫। উদ্দীপকে গোলাকার স্থানটি কিসের ওপর নির্ভরশীল?
i. অশ্মমণ্ডল
ii. বারিমণ্ডল
iii. বায়ুমণ্ডল
নিচের কোনটি সঠিক? ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i!ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: গ. i!ও iii

১৬। পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে—
ক. জীবমণ্ডল খ. বারিমণ্ডল
গ. বায়ুমণ্ডল ঘ. অশ্মমণ্ডল

উত্তর: গ. বায়ুমণ্ডল

১৭। সমুদ্রের প্রভাব যে দিক থেকে অপরিসীম—
i. দেশরক্ষা
ii. পরিবহন
iii. খাদ্যসংস্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্তর:ঘ. i, ii ও iii

১৮। মানচিত্র ছোট-বড় করা যায় কোন যন্ত্রের সাহায্যে?
ক. পেন্টোগ্রাফ খ. স্পিডোমিটার
গ. ওপিসোমিটার ঘ. ন্যানোমিটার

উত্তর:ক. পেন্টোগ্রাফ

১৯। এক মাইল সমান কত ইঞ্চি?
ক. ৬৩৬৩০ খ. ৬৩৩৬০
গ. ৬৪৩৬০ ঘ. ৬৩৩৪০

উত্তর: খ. ৬৩৩৬০

২০। সেনাবাহিনী কোন ধরনের মানচিত্র ব্যবহার করে?
ক. মৌজা খ. দেয়াল
গ. ভূচিত্রাবলি ঘ. প্রাকৃতিকবিষয়ক

উত্তর: গ. ভূচিত্রাবলি

২১। ল্যাটিন ভাষায় কাপড়ের টুকরাকে কী বলে?
ক. Mapa খ. Map
গ. Mape ঘ. Mappa

উত্তর: ঘ. Mappa

২২। সরল স্কেল অঙ্কন করতে একটি সরলরেখাকে কয়টি অংশে বিভক্ত করা হয়?
ক. ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫

উত্তর: ক. ২

২৩। আগেকার দিনে কিসের ওপর মানচিত্র আঁকা হতো?
ক. পাথর খ. কাগজ
গ. কাপড় ঘ. মাটি
উত্তর: গ. কাপড়

২৪। দূরত্ব নির্ণয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্কেল—
i. সরল
ii. কর্ণীয়
iii. ভার্নিয়ার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii

২৫। পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম বদ্বীপ কোনটি?
ক. বাংলাদেশ খ. মিসিসিপি
গ. নরওয়ে ঘ. ফিনল্যান্ড

উত্তর: ক. বাংলাদেশ

২৬। ভূমি থেকে উঁচু বিস্তীর্ণ ভূমিকে কী বলে? ক. সমভূমি খ. মালভূমি
গ. পর্বত ঘ. পাহাড়

উত্তর: খ. মালভূমি

২৭। সক্রিয় বদ্বীপ কোন কোন এলাকাজুড়ে বিস্তৃত?
ক. বরিশাল ও ফরিদপুর
খ. যশোর ও কুষ্টিয়া
গ. ভোলা ও ঝালকাঠি
ঘ. সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী

উত্তর: ক. বরিশাল

২৮। ‘হাইল’ হাওর কোন এলাকায় অবস্থিত?
ক. ছাতক খ. ফেঞ্চুগঞ্জ
গ. শ্রীমঙ্গল ঘ. জগন্নাথপুর

উত্তর: ঘ. জগন্নাথপুর

২৯। ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়—
i. অভ্যন্তরীণ চাপে
ii. অভ্যন্তরীণ তাপে
iii. পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের চাপে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ.i ii ও iii

উত্তর: খ. ii ও iii

৩০। মহাদেশীয় ভূত্বক গঠনকারী শিলাস্তর
i. ফেলসিক
ii. মেহোবিচ্ছেদ
iii. মেফিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. ii ও iii