প্রত্যেকটি কাজ করার বিভিন্ন কার্যকরি পদ্ধতি থাকে। এই পদ্ধতিগুলো মানুষ তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞা থেকে শেখে। কিন্তু সব পদ্ধতিই যে কারর্যকরি হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর এই কারণেই প্রত্যেক ফিল্ডেই সফলতা এবং ব্যর্থতা আছে।
বই মানুষের এমন এক সঙ্গী যে কোনো অভিযোগ করে নাঃ; হতাশ ব্যক্তির জন্য আশার আলো জ্বেলে দেয় বই, গাফেল ব্যক্তির মনে চিন্তার খোরক যোগায়, জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বোঝায়। বইয়ের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই, এর আবদার কেবলে এতটুকুই- পাঠক যেন তার থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু বই থেকে উপকৃত হওয়া ব্যক্তিভেদে পার্থক্য করে। এটা নির্ভর করছে আপনি কেন বই পড়ছেন, কোন পদ্ধতিতে বই পড়ছেন এবং পড়ার পর কী করছেন- এর ওপরে। বই পড়ারো অনেক কৌশল আছে। নিম্নে কিছু কার্যকরি পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
১। প্রস্তুতিমূলক অধ্যয়ন:
প্রস্তুতিমূলক এবং বৈষয়িক অবকাঠামোগত অধ্যয়ন। বইয়ের নাম, সূচিপত্র, কোন অধ্যায়ে কী আলোচিত হয়েছে, প্রবন্ধগুলির শিরোনাম ও উপশিরোনামগুলো কী কী, ব্যবহারিক টিপস, পরিশিষ্ট- এসবে হালকাভাবে নজর বুলিয়ে নিন। এতে আপনার স্মৃতিতে পুরো বইটির বিষয়-কাঠামোর একটি মাইন্ড-ম্যাপ তৈরি হবে।
২। বিস্তারিত অধ্যয়ন:
সম্পূর্ণ বা সবিস্তারে অধ্যয়ন। এই ধাপে কভার-টু-কভার, লাইল-বাই-লাইন পড়ুন। বুঝে বুঝে পড়ুন। প্রতিটি পয়েন্টে আপনার মস্তিষ্ককে কাজ দিন। প্রতিটি তথ্যকে ফিল্টারিং করুন- একমত হচ্ছে কিংবা দ্বিমত করছেন, চিন্তাভাবনা করে হাইলাইট করুন। বইয়ের সারবস্তু কী, তা বুঝার চেষ্টা করুন এবং আপনার ব্যবহারিক জীবনে কোন বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, সেদিকে দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত রাখুন। এভাবে পুরো বইটি গভীরভাবে পড়ুন। পড়তে পড়তে ভাবুন, আর ভাবতে ভাবতে পড়ুন।
৩। নিরীক্ষণমূলক অধ্যয়ন:
এটি পূনঃনিরীক্ষণ বা পর্যালোচনামূলক অধ্যয়ন। আপনার টুকে রাখা মার্জিনের মন্তব্যগুলোর কোনো পয়েন্টে একমত হলে কেন একমত হয়েছেন এবং দ্বিমত করলে কেন করেছেন- এসব নিয়ে পর্যালোচনা করুন, পুনঃনিরীক্ষা চালান। হাইলাইট করে রাখা বিভিন্ন অংশ আবারও বুঝে বুঝে পড়ুন। হৃদয়ঙ্গম করুন। এর সাথে মস্তিষ্কে জমে থাকা অন্যান্য চিন্তা/তথ্যের যোগসূত্র তৈরি করুন। বইটির কোন বিষয়গুলো আপনার জন্য অধিক প্রাসঙ্গিক, এই মুহূর্তে কোনগুলো দিয়ে আপনার জীবনে পরিবর্তন সূচনা করতে চান- এসব বিষয়ে তথ্য ও আইডিয়া জানার্লে নোট করুন।
গভীরভাবে পাঠ অনুবাধন, দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি সংরক্ষণ, সেইসাথে বাস্তবজীবনে তার সুফল অর্জনে এই ধাপটি বেশ ফলপ্রসূ।
৪। সম্পূরক অধ্যয়ন:
এই ধাপটাকে সাধারণ অধ্যয়ন বলতে পারি। মোটামুটিভাবে পুরো বইটা আবার এক নজর পড়ে নেয়া। এটা অনেকটা স্ক্যানিং বা ভিজুয়ালাইজিং- এর মতো। এতে করে তিনটি ধাপের পাঠের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য তৈরি হবে এবং পূনর্পাঠের সুবাদে তথ্যগুলো মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে সাপোর্ট পাবে। এই ধাপটি আপনি খুব কম সময়ে সম্পন্ন করতে পারেন, কিন্তু বইটিকে মনের মণিকোঠায় চিরকালের জন্য উজ্জ্বল করে ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
বোনাস টিপস:
>> আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়নের মনোভাব নিয়ে পড়ুন। আল্লাহ্ বলেছেন, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করলো সে সফল হলো। ‘বই পাঠ, অনুবাধন, ও আত্মসংস্কারের মধ্য দিয়ে আপনি প্রতিনিয়ত সফলতার পথে অগ্রসর হচ্ছেন’ এই ভাবনা মনে জাগরুক রাখুন।
>> একসাথে তিনের অধিক বিষয়বস্তু নিয়ে পড়াশোনা থেকে বিরত থাকুন। এতে একসাথে তিনটি আলাদা আলাদা বিষয়ে চিন্তাশক্তিকে সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীভূত করে রাখাটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। একই সময়ে একটি বিষয়ে বই পড়া শেষ করে পরবর্তী বিষয়ে মনোযোগী হলে অধিক ভালো।
>> একটি বই পাঠকে একটি প্রজেক্ট ওয়ার্ক হিসেবে মূল্যায়ন করুন। কাজগুলোকে চাংকিং করে নিন। চাংকিং মানে আপনার সময়-সুবিধা বুঝে কাজগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে নেয়া। যেমন মনে করুন: ১৪০ পৃষ্ঠার একটি বই পাঠের প্রজেক্ট হাতে নিলেন। এর জন্য দিন নির্ধারণ করলেন সাতদিন। তাহলে আপনাকে প্রতিদিন ২০ পৃষ্ঠা করে পড়তে হচ্ছে।
>> পড়ার সময় সেলফোনসহ সমস্ত সোস্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখুন। ভাল হয় ফোন সাইলেন্ট করে অন্য রুমে রেখে আসলে, নয়ত আমরা যারা এসবে এ্যাডিক্টেড, আমাদের ব্রেন প্রতিনিয়ত সিগনাল দিতে থাকবে। পড়ার সময় কেবলই পড়ুন।
>> পড়ার ফাঁকে ফাঁকে সামান্য বিরতি নিয়ে পানি কিংবা চা-কফি পান করুন। সামান্য পায়চারি করুন। হাত মুখ ধুয়ে আসুন, অথবা সম্ভব হলে ওযু করে আসুন। সালাতের ওয়াক্ত হলে মাসজিদে যান। এরপর এসে আবার পড়তে বসুন।
>> হাতের বইটিকে জীবনের শেষ বই হিসেবে পড়ুন। ভাবুন, হতে পারে এর একটিমাত্র লাইন আপনার চিন্তার দ্বার খুলে দিবে; এর একটিমাত্র টিপস আমাকে আল্লাহর অভিমুখি হতে প্রেরণা যোগাবে।
>> এমনভাবে পড়ুন এবং এর ভাব ও মর্ম আয়ত্বে আনুন যেনো আপনি তা অন্যকেও ভালোভাবে বুঝাতে সক্ষম হন।
>>পড়ুন এবং কাজে নামুন<<
১। অধ্যয়ন থেকে লিখিত জার্নালের নোট সামনে রেখে কীভাবে আপনার প্রতিদিনের কাজেকর্মে পরিবর্তন আনতে চান?- তার প্রয়োগ-পদ্ধতি নিয়ে ভাবুন, কৌশল নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। বার্ষিক, মাসিক, সাপ্তাহিক, প্রতিদিনের গোল সেট করুন। রুটিন বানানোর কার্যকরি সব কৌশল এবং ফ্রি হ্যান্ডবুক পেতে productivemuslim সাইটের এই কন্টেন্টগুলো ব্যবহার করতে পারেন- https://goo.gl/
২। সেলফ-হেলপ বা আত্মশুদ্ধিমূলক বইকে ‘ওয়ার্ক বুক’ হিসেবে গ্রহণ করুন। অধ্যয়ন করার সাথে সাথে হোমওয়ার্ক শুরু করে দিন। মনে রাখুন, ব্যবসায়িক সফলতার বই পড়লেই আপনি ব্যবসায় উন্নতি করবেন না, সুবক্তা হওয়ার বই পড়লেই আপনি রাতারাতি সুবক্তা হয়ে যাবেন না, প্রচুর ইসলামিক বই পড়লেই আপনার পুরো লাইফ স্টাইল পরিবর্তন হয়ে যাবে না, যতক্ষণ না আপনার দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষাগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন।
ঘুরে দাঁড়াও(প্রকাশতিব্য) বইতে ওয়েল ইবরাহিম খুব চমৎকার একটি কথা বলেছেন, যা প্রতিনিয়ত আমাদের স্মরণ রাখা উচিত-
“চিন্তা করুন আপনি একটি বই পড়ছেন, অথচ এ থেকে আরোহিত জ্ঞান আপনি জীবনে বাস্তবায়ন করছেন না। এতে শুধু আপনার টাকা ও শক্তিরই অপচয় হচ্ছে না, সাথে সময়েরও অপচয় হচ্ছে।”
৩। অর্জিত জ্ঞান কল্যাণের পথে কাজে লাগানোর জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। এবং কাজে প্রয়োগ করতে পারা পর আত্মতৃপ্তিতে ভোগার বদলে আল্লাহর শুকুর আদায় করুন, এবং আরো উন্নতি কীভাবে করা যায়- ভাবুন।
৪। পড়া শেষে নিজের ভাষায় নিজের মতো করে বইটির একটি সারাংশ লিখুন বইয়ের নোট সেকশনে। বইয়ে দাগাদাগি, কমেন্টস লেখা, রিভিউ লিখতে বলা- এগুলো অনেকে পছন্দ না করলেও বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের ব্রেনের ডোপামিন(যা ভালো অনুভূতি দেয় এবং যে কাজটা করার দ্বারা ভালো অনুভূত হয়েছে, সেই কাজটা পুনরায় করার প্রতি আগ্রহ দান করে) নির্গত করাই উদ্দেশ্য। বই পড়তে পড়তে যেন আপনি বিরক্ত হয়ে না যান, পড়াকে মজা হিসেবে নিতে পারেন- সে জন্য এগুলো বলা। আমরা যদি মাসের পর মাস একই পদ্ধতিতে বই পড়তে থাকি, তাহলে পড়ার যে প্রভাব সেটা মনে বেশী দিন থাকবে না। তাই বই পড়ার সময় দাগানো, কমেন্ট লেখা, রিভিউ লেখা- এগুলো আপনার পড়াকে চাঙ্গা রাখতে, স্মরণ রাখতে এবং সামনে আরো বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করবে।
৫। বইটির বিভিন্ন দিক নিয়ে অন্যদের সাথে মতামত শেয়ার করুন এবং এর কল্যাণকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিন আপনার আশপাশের মানুষদের মাঝে। এতে অন্যরা অনুপ্রাণীত হওয়ার পাশাপাশি আপনার মনে এক অপার্থিব ভালো লাগা তৈরি হবে।
৬। বইয়ের যে বাক্যগুলো আপনাকে খুব টাচ করে, সেগুলো বইয়ের শেষে লিখে রাখুন, অথবা আপনার পার্সোনাল ডায়েরিতে একটি টাইটেলের নীচে লিখে রাখুন; যাতে জীবনের যে কোনো সময় মোটিভেট হতে আপনার ডায়েরির পাতা আপনার কাজে আসে।
৭। লাইফ চেঞ্জিং বিষয়গুলোর ভিতর প্রতিমাসে কমপক্ষে ২টি বিষয় নিজের ওপর প্রয়োগ করুন।
**ইতিহাসের বই থেকে কীভাবে উপকৃত হবেন?
১। সর্বপ্রথম আমাদেরকে জানতে হবে, ইতিহাসের বইগুলো স্রেফ ইনফোরমেশনের ভাণ্ডার নয়। লেখক তার বইতে সেই ঘটনাগুলোকেই ফোকাস করা, যা সে খুব গুরত্বপূর্ণ মনে করে, সে সঠিক বলে বিশ্বাস করে, যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। তার প্রতিটি উল্লেখিত ঘটনার ভিতর একটি উদ্দেশ্য থাকে, যা উদ্ভাবন করার মাঝেই পাঠকের সাফল্য। মূলত ইতিহাসগ্রন্থগুলো ‘কনভার্সেসন’ এর মতো; যেখানে লেখক পাঠকের সাথে কথা বলে। পাঠককে একটি ঘটনা বিভিন্ন দিক থেকে দেখায়। যাতে পাঠক সেই ঘটনা নিয়ে ভাবে এবং ইতিহাসের সারনির্যাস যা লেখক বোঝাতে চাচ্ছেন, তা উপলব্ধি করতে পারে।
২। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক ইতিহাসগ্রন্থ মানেই খণ্ডন। লেখক তার গ্রন্থে কোনো না কোনো ইতিহাসবিধের ব্যাখ্যাকে রিফিউট করবে। এখানে পাঠককে খুব সূক্ষ্মভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে। লেখকের যুক্তিগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং মস্তিষ্কে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভাবতে হবে।
৩। ঘটনা প্রবাহ অধ্যয়নের মাঝে আপনি এমন অনেক কিছু পাবেন, যা আপনার মনে একটি নতুন আইডিয়া দেবে। এমন কিছু, যা দ্বারা আপনি আপনার বর্তমানের কোনো কিছুর সমাধান পাচ্ছেন। এগুলোই হচ্ছে গল্পের জেমস। বিজ্ঞ ইতিহাসবিদরা নিজেরাই প্রতিটি ঘটনা থেকে জেমস লিখে দেন, কিন্তু কলেবর বড় হওয়ায় অনেকে সেটা করেন না। এমতাবস্থায় পাঠকের দায়িত্ব হচ্ছে সেই জেমসগুলো খুঁজে বের করা এবং কলম বা মার্কার দিয়ে মার্ক করে রাখা। ফুট নোটে খুব কম শব্দে মার্ক করার কারণটা লিখে রাখা। এবং যে পৃষ্ঠায় আপনি জেমস পেয়েছেন, তা সূচিতে উল্লেখ করে রাখতে পারেন উক্ত পেইজের ওপর স্টার চিহ্ন দেয়ার মাধ্যমে। যাতে ভবিষ্যতে আপনি বইটি হাতে নিলে খুব সহজেই আপনার জেমসগুলো পেয়ে যান।
ইতিহাসের গ্রন্থগুলো তিনটি স্টেইজে অধ্যয়ন করা যায়। যথা:
১। দ্রুত পঠন
– অর্থাৎ গল্পের মতো পুরো বইটি খুব দ্রুত শেষ করে ফেলা। এ্যানালাইসিস না করা। এই অধ্যয়ন আপনাকে পুরো বই নিয়ে একটি মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করে দেবে।
২। ধীরে ধীরে পড়া
– এ সময়ে যুক্তি, দলীল নিয়ে ভাবা; নিজেকে প্রশ্ন করা, কেন লেখক এই যুক্তি এবং দলীল দিলেন? জরুরী লাইনগুলো হাই লাইট করা। তবে খুব বেশী হাই লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রত্যেক চ্যাপ্টার শেষে নিজেকে বিরতি দেয়া এবং পুরো চ্যাপ্টারের শিক্ষা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবা অথবা নোট করা।
৩। ফাইনাল টাচ
– আপনি যখন ১ম এবং ২য় স্টেজ সম্পন্ন করে আসবেন, তখন আপনার সামনে পুরো বইয়ের থিম উপস্থিত। আপনি জানেন প্রতিটি যুক্তির কারণ, ঘটনার গুরুত্ব এবং লেখকের ভুলগুলো। তো এখন আপনার কাজ হচ্ছে, আপনার নোট এবং দাগানো লাইনগুলো আরেকবার পড়া। নিজের লেখা নোট নিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করা- ‘আমি যা লিখলাম, কতটা সঠিক এবং কতটা গুরুত্ব বহন করে?’ এভাবে আপনার নোটের ঘষামাজা করুন। খুব ভাল হয় যদি এই স্টেইজে এসে বই থেকে আপনার অনুধাবিত প্রতিটি শিক্ষা নিয়ে ডায়েরি বা গুগল ডকে রিভিউ লিখতে পারেন।
এই ৩টি স্টেইজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং ইতিহাস অধ্যয়নের আরও টিপস পেতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন http://wcaleb.org/blog/how-to-read
দ্রষ্টব্য: আপনি যদি বিনোদনের নিয়তে গল্পের মতো পড়তে চান, তাহলে ওপরের নিয়মগুলো অনুসরণের প্রয়োজন নেই।
সর্বশেষ কথা:
একটি বই অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সময়ের দিকে নজর রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্লান করে অধ্যয়ন করা অনেক অনেক জরুরী। বাজারে, বা বুক রিভিউ গ্রুপে কোনো বই নিয়ে আলোড়ণ তৈরি হলেই সেটা কিনে না ফেলে বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কিনুন। গাটের পয়সা খরচ করে একটি বই কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই বইটি কেন কিনবো? এই মুহূর্তে আমার জন্য তা কতটা জরুরী?” মনে রাখবেন, বিক্ষিপ্ত অধ্যয়ন আপনার জ্ঞান মন সবকিছুকেই বিক্ষিপ্ত করে দেবে। পড়ার সময় দুর্বোধ্য বিষয়ের পেছনে বেশী সময় ব্যয় করবেন না। এখানে বেশী সময় অপচয় করার দ্বারা আপনি বিরক্ত হয়ে যাবেন। এছাড়া আপনার দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে। কিছু চ্যাপ্টার থাকবে যা আপনাকে খুব বেশী অনুপ্রাণিত করবে, সেই চ্যাপ্টারগুলো প্রয়োজনে একাধিকবার অধ্যয়ন করুন। সবশেষে- পড়াকে উপভোগ করতে শিখুন।
https://www.wafilife.com/techniques-of-reading/