বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি ১ম পত্র প্রশ্ন


২০/২/২০২০

সৃজনশীর প্রশ্ন (অধ্যায় অনুযায়ী)

সকল অধ্যায়ের সাথে মিল রেখে ১১ টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে উত্তর দিতে হবে ৭ টি প্রশ্নের এবং বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০টি ( ৭০+৩০ = ১০০ নম্বর)

(অধ্যায় নং ১) প্রাক-ইসলমি আরব
(অধ্যায় নং ২) হযরত মোহাম্মদ সা:)
(অধ্যায় নং ৩ ) খুলাফায়ে রাশেদিন

(অধ্যায় নং ৪ ) উমাইয়া খিলাফত

উদ্ধৃতি:১.জনাব আলী আজম দয়ালু ,সদাশয় ও প্রজাবৎসল খিলিফা । তিনি চারিত্রিক দিক দিয়ে ছিলেন সরল , অনাড়ম্বর ধর্মানুরাগী ও কর্তব্যপরায়ণ । তিনি খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন । ভ্যাট ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করে তিনি শিল্প ও ব্যবসার বাণিজ্য উন্নতি সাধন করেন । তিনি ভিন্ন মতাবলম্বীদের শাসনকার্যে নিয়োগ করে এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন । তার বৈদেশিক নীতি ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা ও সংহতি বিধান ।
ক.উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
খ.খলিফা সুলাইমানকে আর্শীবাদের চাবি বলা হয় কেন ?
গ.উদ্দীপকে কোন উমাইয়া খলিফার প্র্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ? ব্যাখ্যা দাও ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত খলিফার বৈদেশিক নীতি পার্যালোচনা কর ।

২.হযরত মুয়াবিয়া (রা:) নি:সন্দেহে বিশ্বের সমসাময়িক শ্রেষ্ঠ নরপতিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন । সামরিক সংগঠন হিসেবে তিনি ছিলেন সমালে শীর্ষস্থানীয় । তিনি বুদ্ধিদীপ্ত সামরিক দক্ষতার বলে সিরিয়ার সেনাদের একটি প্রথম শ্রেণির শৃঙ্খলাপরায়ণ সেনাবাহিনীতে পরিণত করেন । কুটনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতার ফলে তিনি একটি শক্তিশালী উমাইয়া সম্রাজ্যের প্র্র্রতিষ্ঠাতার মর্যাদা লাভ করেন।
ক.হযরত মুয়াবিয়া (রা:) কখন জন্মগ্রহণ করেন?
খ.হযরত মুয়াবিয়া (রা:) এর ইন্তিকার সম্পর্কে লিখ ।
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যক্তির চরিত্র সর্ম্পকে কী জান লেখ ।
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যক্তির কৃতিত্ব সম্পর্কে লেখ ।

(অধ্যায় নং ৫) আব্বাসি খিলাফত
উদ্ধৃতি:১. রোমান রাজা ফউডাল খুবই ধার্মিক ছিলেন । তবে রাজনৈতিক স্বার্থে তিনি খুবই নৃসংস ছিলেন । প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে ভেবে তিনি তার প্রধান সেনাপতিকে হত্যা করলে সেনাাপতির সমর্থকদের দ্বারা যে বিদ্রোহ দেখা দেয় রাজা তাও অতি কঠোর হস্তে দমন করে । তার ধার্মিকতার সুযোগ নিতে একদল প্রজা তাকে প্রভূ বলে পূজা করতে এলে এক মারাত্বক পরিস্থিতির তৈরি হয় । সৌভাগ্যক্রমে রাজা সবকিছু মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। ক.বাগদাদ নগর কে প্রতিষ্ঠাতা কাকে বলা হয় ।
খ. খলিফা মনসুর কর্তৃক আলী বংশীয়দের প্রতি দুর্বব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে রাজা ফউডাল তাঁর প্রধান সেনাপতির প্রতি যে ব্যবহার করেছেন খলিফা আল মনসুর তার কোন সেনাপতির প্রতি সে আচরণ করেছিলেন ?
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধর্মীয় ঘটনার মতোই রাওয়ান্দিয়া সম্প্রদায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল রাজা ফিউডালের মতোই খলিফা আল-মনসুর তা দমনে সক্ষম হয়েছিলেন -উক্তিটি বিশ্লেসণ কর ।

২.দাদির কাছে নাতিন জ্বীন-পরী আর রাক্ষসদের গল্প শুনছিল । পরী কীভাবে ছোট মেয়েকে নিয়ে আকা্শে পাড়ি দিল তা শুনে নাতিন অবাক হয়ে যায় । সিন্দবাদ নাবিক এক নিমিষে দৈত্যকে হত্যা করে ফেলে তা শুনে নাতিন শানুর চক্ষু একবারে লাল হয়ে যায় । তখন দাদি বলল জান , এটা কোন সময়ের গল্প ? হারুন যখন রাজা ছিলেন, এটা হলো সেই সময়ের গল্প ।
ক.খলিফা হারুন-অর-রশীদ কত সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন ?
খ.নহরে জুবাইদা খাল খনন করা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.শানু তার দাদির কাছে যে রাজার সময়ের গল্প শুনেছে, রোমানদের সাথে তর সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.“উক্ত শাসক ছিলেন আব্বাসি খিলাফতের শ্রেষ্ঠ শাসক” -উক্তিটির যর্থাথতা যাচাই কর ।

( অধ্যায় নং ৬) স্পেনে উমাইয়া শাসন
১.পিতামহের মৃত্যুর পর আব্দুর রহিম মাত্র ১২ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করে রাজ্যের সেচ প্রকল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেন । যার ফলে সম্রাজ্যের কৃষি ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্পের যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে । তার সময়ে কমপক্ষে ১০০০ জাহাজ এবং শুধুমাত্র রাজধানীতেই ১৩,০০০ তাঁত শিল্প ছিল । তিনি বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের সমন্বয়ে িএকটি বিশাল ও শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন। এ বহিনী স্লাভ বাহিনী নামে পরিচিত ছিল ।

ক.স্পেন বিজয়ী মুসলিকম সেনাপতির নাম কি ?
খ.কর্ডোভাকে ইউরোপের বাতিঘর বলার কারণ কী ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে স্পেনে উমাইয়া যুগের কোন খলিফার মিল পাওয়া যায় ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে কৃষি ও শিল্পের উন্নতিতে উক্ত খলিফার কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর ।

২.ভাগ্যবিপর্যয়ের কারণে সুলতানপুরের শাকিল চৌধুরী পূর্বপুরুষের জমিদারি হতে বিতাড়িত হন । তিনি নিজের গনিষ্ঠ সহচরদের কয়েকজনকে নিয়ে দুরবর্তী মামার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং জমিদারির অংশবিশেষ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন । শাকিল চৌধুরী এখানে অবস্থান গ্রহণের পর পার্শ্ববর্তী শক্তিশালী শাসকের শান্তি প্রস্তাব গ্রহনের ভান করে কৌশলে তার শাসিত অঞ্চল দখল করে নেয় । কিন্ত এতেও চুরান্ত বিজয় সম্পন্ন হয় না । তাকে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় । অবশেষে শুধু জয়লাভই নয় বরং তিনি জনগণের আস্থাও অর্জন করেন ।

ক.স্পেন ও আফ্রিকার মধ্যবর্তী প্রণালির নাম কী ?
খ.প্রথম আব্দুর রহমানকে কুরাইশদের বাজপাখি বলা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকের শকিল চৌধুরীর সাথে কোন উমাইয়া যুবরাজের মিল রয়েছে ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে জমিদারী অংশবিশেষ দখলের মতো উক্ত যুবরাজ দখলিকৃত অঞ্চলে কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তা বিশ্লেষণ কর ।

৩. মহানবি (সা:) এর ওফাতের মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীর তিনটি মহাদেশে মুসলিম সম্যাজ্যের বিস্তৃত ঘটে । এরই ধারাবাহিকতায় ইউরোপের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশ স্পেন মুসলমানদের পতাকাতলে আসে । ১৪৯২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত মুসলমানরা স্পেন শাসন করে । উমাইয়া আমিরাত ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে তাদের এ শাসনব্যবস্থা চলে ।

ক.স্পেনে মুসলমানদের শাসন কত বছর চলছিল ?
খ.স্পেনে আক্রমণের কারণ কী ছিল ?
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত রাষ্ট্রে মুসলিম বিজয়ের পূর্বের অবস্থা কেমন ছিল ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশে মুসলমানদের আক্রমণের ঘটনাটি লেখ ।

(অধ্যায় নং ৭) উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমি খিলাফত
১. জাপানের রাজা হিরোহিতো যখন জনসমক্ষে আসেন তখান সবাই অবাক । ইনিতো তাদের মতোই একজন মানুস অথচ একদল পুরোহিত এতদিন বলে আসডছিল তিনি মানুষ নন বরং দেবতা । পুরোহিতদের বলা এসব কাহিনী যখন রাজার গোচরে যায় তখান তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে জনগনের মাঝে মিলেমিশেই দেশ শাসন করবেন । যে সমস্ত পুরোহি এসব কাহিনী প্রচার করেছিল তাদের তিনি কঠোর শাস্তি প্রদান করেন। রাজা হিরোহিতের শাসন বিষয়ক সিদ্ধান্ত তাকে জাপানের প্রথম রাজা হিসএব অমর করে রাখে ।
ক.উত্তর আফ্রিকার কোন বংশের শাসনকে উৎখাত করে ফাতেমি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
খ.উত্তর আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠিত খিলাফতকে ফাতেমি খিলাফত বলার কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত রাজা হিরোহিতোর সাথে উত্তর আফ্রিকার কোন ফাতেমি খলিফার সামঞ্জস্য দেখা যায় ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে পুরোহিতোদের প্রচারণার নিরিখে উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমি খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আবু আব্দুল্লাহ্‌ আলশারীয় অর্মকান্ড মূল্যায়ন কর ।

২ .হাসানপুর গ্রামের কাঞ্চন ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গ্রামের সকল অত্যাচারীদের ধ্বংস করে গ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং নিজের বংশকে রক্ষা করে স্বীয় প্রভুত্ব কায়েম করেন । অবশেষে ভবিষ্যৎনেতৃত্বের কথা ভেবে বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করে অন্য আরেকটি বংশকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে যান ।
ক.আল-মাহদী কত বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন ?
খ.ফাতেমিরা কীভাবে তাদের বংশ প্রতিষ্ঠা করে ? ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে কাঞ্চনের মধ্যে ইতিহাসের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে ? তার বিদ্রোহ দমন ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.“কাঞ্চনের স্বীয় প্রভুত্ব কায়েম করার মতোই ইতহাসের ফাতেমিগণ উত্তর আফ্রিকা ও মিশরে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে” উক্তিটি ফাতেমি শাসন প্রতিষ্ঠার আলোকে বিশ্লেষণ কর ।

৩.ইতিহাসের নিয়ম অনুযায়ী গোত্র ,জাতি এবং সম্প্রদায়গত দ্বন্দ্বে বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং পতনও ঘটেছে ৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে এক শাসক তাঁর পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন । তিনি রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করেন । গোত্রীয় নেতাদের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করেন । ইতহাসে তিনি আকও স্মরনীয় ।
ক.উবায়দুল্লাহ্‌ আল মাহদী কত বছর রাজত্ব করেন ?
খ.ইসমাঈলীয় কারা ?ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত শাসকের সাথে তোমার পঠিত শাসকের শাসন যুগের বিবরণ দাও ।
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত সময়টি ছিল ফাতেমীয় খিলাফতের স্বর্ণযুগ মতামত প্রদান কর ।

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ণত্ব-বিধান ষত্ব বিধান


প্রশ্ন: ণত্ব-বিধান কাকে বলে ?উদাহরণসহ ণত্ব-বিধানেবর পাঁচটি নিয়ম লেখ ।
অথবা,ণত্ব-বিধান বলতে কি বোঝ ? ণত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ ।

উত্তর:- ণত্ব-বিধান: যে বিধান বা নিয়মে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য -‘ণ’ তে পরিণত হয় তাকে ণত্ব-বিধান বলে ।
ণত্ব-বিধানের নিয়ম: কেবল তৎসম শব্দে এ বিধান প্রযোজ্য হবে । বিদেশি বা দেশি শব্দে হবে না ।

১. ঋ, র, ষ এর পরবর্তী দন্ত ন মূর্ধন্য ণ হয় । যথা: ঋণ, ক্ষণ, পূর্ণ, ইত্যাদি
২. ঋ, র, ষ এর পরে স্বরবর্ণ ক-বর্গ প-বর্গ য, ব, হ, বা ং থাকলে তার পরবর্তী দন্ত ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয় । যথা-দর্পন, শ্রবণ , গ্রহণ হরিণ ,রেণু , লক্ষণ, ভক্ষণ, ইত্যাদি
৩. কিন্তু যদি ঋ র ষ এর পরে স্বরবর্ণ ক-বর্গ প-বর্গ য, ব, হ, বা ং থাকলে তার পরবর্তী দন্ত ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না । যথা- দর্শন, মর্দন, প্রার্থনা , নর্তন , বর্ধন ইত্যাদি
৪. ত, থ, দ, ধ এর পূর্বে সংযুুক্ত বর্ণে দন্ত ‘ন’ হয় মূর্ধন্য হয় না যথা- দৃষ্টান্ত, বৃন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন, রন্ধন ইত্যাদি ।
৫. খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে মূর্ধন্য হয় না যথা -ট্রেন, কুরআন, ইরান, তুরান, রিপন, সোনা ইত্যাদি


প্রশ্ন: ষত্ব বিধান বলতে কি বুঝ ? ষত্ব বিধানের পাচঁটি নিষম লেখ ।

ষত্ব-বিধান:-যে নিয়ম অনুসারে দন্ত্য ‘স’ মূর্ধণ্য ষ তে পরিণত হয় তাকে ষত্ব বিধান বলে ।


১.ঋ কার এর পর দন্ত্য স মূধণ্য ‘ষ’ হয় যেমন: ‍ঋষি, বৃষি সৃষ্টি, কৃষ্ট

২. অ আ ভিন্ন স্বরবর্ণ এবং ক ও র এর পরবর্তী প্রত্যায়িত দন্ত্য ‘স’ মূর্ধণ্য ‘ষ’ হয় যেমন: ভীষণ, অর্কষণ, বিমর্ষ, জিগীষা, ঘর্ষণ, কৃষক

৩.নি:, দু:, বহি:, আবি:, চতু:, উপসর্গ বা শব্দগুলোর পর ক খ প ফ থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধণ্য ‘ষ’ হয় । যেমন: দু:+কর= দুষ্কর, বহি:+কার=বহিষ্কার, আবি:+কার=আবিষ্কার, চতু:+পদ=চতুষ্পদ,নি:+ফল=নিষ্ফল

৪.ট ও ঠ বর্ণের সাথে দন্ত্য ‘স’ যুক্ত হয়ে যুক্তব্যঞ্জন তৈরি করলে দন্ত্য ‘স’ মূর্ধণ ‘ষ’ হয় যেমন: কষ্ট, স্পষ্ট, বিশিষ্ট, নষ্ট, গোষ্ঠী ওষ্ঠ ইত্যাদি

৫.খটিঁ বাংলা ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ হয় না । যেমন: জিনিস, গ্রিস, মিশর, পুলিস, স্টোভ ইত্যাদি ।

৬.কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ হয় যেমন: ভাষণ পাষন্ড, আষাঢ়, ইষৎ, ঔষধ, কোষ, তষার, প্রত্যুষ, পাষাণ, ভূষণ, ভাষা, ভীষন, মহিষ, বিশেষ্য, বিশেষণ, মুষিক, মেষ, শোষণ, ষোল, শেষ ইত্যাদি।