মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯

পৌারনীীত ও সুশাসন ২য় পত্র


অধ্যায় ১০ম:নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয় (শৃজনশীল প্রশ্ন)


উদ্ধৃতি: খনেপুর বাজারে সবজি ও ফলের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের পণ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের জন্য জরিমানা করে। ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে জেনে শুনে নগরিক সমস্যার সৃষ্টি করেছেন।

ক.এইডস্‌ এর পুর্ণরুপ কী
খ.বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন বলতে কী বোঝায় ?
গ.উদ্দীপকে উল্লেখিত সবজি ও ফল বিক্রেতাদের কর্মকান্ড কোন সমস্যা নির্দেশ করে?
ঘ.বনির্ত সমস্যা নিরসনকল্পে তোমার সুপারিশ লেখ।

উত্তর:
ক) AIDS এর পূর্ণরুপ Acquired immune Deficiency Ssyndrome

খ) বিশ্বে উষ্ঞায়নের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন বলা হয়। বায়ুমন্ডলে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গ্যস যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মিথেনের এক ধরনের তাপ ধারণক্ষম প্রভাব রয়েছে। বায়ূমন্ডলে এ রকম নানা ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মাশূন্যে তাপ নির্গমনে বাধার সৃষ্টি করছে , যার ফলাফল হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন। যখন বায়ূমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যায় তখান স্বভাবিকভাবেই মহাশূন্যে তাপের বিকিরণ কমে য়ায় এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যা বৈশ্বিক উষ্ঞায়ন হিসেবে পরিচিত।

গ) উদ্দীপকে বর্নিত সমস্যাটিপ বাংলাদেশের খাদ্যে ভেজাল সমস্যার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। সাধারণভাবে খাদ্যে ভেজাল বলতে খটি বা আসল পন্যের সাথে মিশ্রণ ঘটিয়ে বিক্রয় করাকে বোঝায়। এতে দ্রব্যের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিশুদ্ধতা হারায় । বর্তমান যুগে খাদ্যে ভেজাল একটি মারাত্নক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়। খাদ্যদ্রব্যের সাথে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রণ করে কিছু অসাধু ,লীতি বিবর্জিত ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে থাকে উদ্দীপকেও এ সমস্যার প্রতিফলন লক্ষণীয়।

উদ্দীপক খাদ্যে ভেজাল মিশ্রনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভেজাল খাদ্য। মাছ, মাংস, তরিতরকারি থেকে শুরুকরে তৈরী খাবার , ফলমূল এমনকি শিশু খাদ্যে পর্যন্ত ভেজালের ভয়াঙ্কর দৌরাত্ন্য সৃষ্টি হয়েছে । এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর সীমাহীন মুনাফা অর্জনের লোভে , নাগরিকদের অসচেতনতা এবং অইন প্রয়োগগে প্রশাসনের শিথিলতার কারণে দিন দিন এ সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে পুষ্টির অভাব থেকে ভোক্তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উদ্দীপকেও এ সমস্যাটির কথা বলা হয়েছে।

ঘ) উদ্দীপকের আহনা খাদ্যে ভেজাল সমস্যাটির সম্মুখীন হয়েছে। আর এ সমস্যাটি প্রতিবোধ করতে হলে সরকার ,ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সকল পর্যায়ে বিভিনান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল প্রতিকার বা প্রতিরোধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে:
১.খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী BSTI-, এর দ্বারা মানোর্ত্তিণ হরার সার্টিফিকেট অর্জন এবং তা প্রদর্শন করতে হবে।
২.BSTI-এর দ্বারা পরিক্ষীত নয় ,এমন উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রী বাজারজাত করা হলে কঠিন শাস্তির বিধান এবং তা কার্যকর করতে হবে। ৩.হোটেল রেস্তোরাঁয় পচা-বাসি খাবার যেন পরিবেশন করা না হয় সেজন্য নজরদারি জোরদার করতে হবে।
৪.অসৎ ব্যবসায়ী , উৎপাদক , পরিবেশকদের বিরুদ্ধে কী শাস্তি প্রদান করা হলো , ভ্রাম্যমান আদালত কী করছে তা নিউজ এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে।
৫.চাল- ঢাল- আটা-ময়দা ,ফলমূল প্রভৃতির আড়তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে এবং অসৎ ব্যবসায়ীদের শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৬.খাদ্যের ভেজালের বিরোদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়েতুলতে হবে।
৭.জনগণ যেন সহজেই ভেজাল খাদ্য চিনতে পারে সে পদ্ধতি প্রচার করতে হবে।

সর্বোপরি ,জনগণের সচেতনতা , সাবধানতা ,ব্যবসায়ীদের সততা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এ সমস্যাটি প্রতিরোধ করা সম্ভব ।