বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

এক নজরে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণধ্বনির উচ্চারণ রীতি


র্ব্ণ গঠন স্বচ্ছরূপ অস্বচ্ছ নাম উদাহরণ কৌশল
ক+ক=ক্ক ক্ক .... ক-য়ে ক উচ্চারণের সময় দুবার বলতে হয় যেমন ধাক্কা মক্কা
ক্ব ক+ব ক্ব ক্ব .. ক-য়ে ব ফলা উচ্চারণের সময় দুবার উচ্চারণ করতে হয়
ক্ষ ক=ষ=ক্ষ ক্ষ ক্ষ ক-য়ে ষ খিও খ অথবা কখ এর মতো উচ্চারিত হবে যেমন ক্ষেত্র,রক্ষা
হ্ম হ=ম=হ্ম হ্ম হ্ম হ-য়ে ম প্রথমে ম উচ্চারণ হবে তার পর হ যেমন: ব্রাহ্মণ,=ব্রাহমন অর্থাৎ বর্ণবিপর্যযে হম > মহ ।
জ্ঞ জ+ঞ=জ্ঞ জ্ঞ জ্ঞ বর্গী জ য়ে ইয়ো উচ্চারন হল গৃগ্যঁ গ্যঁ । যেমন : জ্ঞান, বিজ্ঞান, ।
ঞ্জ ঞ+জ=ঞ্জ ঞ্জ ঞ্জ ইয়ো তে বর্গীয় জ উচ্চারণ হবে নজ যেমন: অঞ্জন,গঞ্জনা ।
ঞ্চ ঞ+চ=ঞ্চ ঞ্চ ঞ্চ ইয়ো তে চ উচ্চরণ হবে ন্‌চ যেমন: অঞ্চল,=অনচল পঞ্চম পন্ চম
ঞ্ছ ঞ+ছ=ঞ্ছ ঞ্ছ ঞ্ছ ইয়ো তে ছ উচ্চারণ হবে ন্‌ছ যেমন:বাঞ্ছা,লাঞ্ছনা=লান্ ছনা
ঞ্ঝ ঞ+ঝ=ঞ্ঝ ঞ্ঝ ঞ+ঝ ইয়ো তে ঝ উচ্চরণ হবে ন্‌ঝ যেমন: ঝঞ্ঝা ঝনঝা ঝঞ্ঝাট ঝনঝাট
ষ্ণ ষ+ণ ষ্ণ ষ্ণ ষ তে ণ উচ্চরণ হবে শ্‌ন যেমন: উষ্ণ উশনো কৃষ্ণ ক্রিশনো
ট্ট ট+ট=ট্ট ট্ট ট্ট ট তে ট উচ্চরণ হবে ট্‌ট যেমন: চট্টগ্রাম চটটোগ্রাম
ট্র ট+র=ট্র (্র)=ফলা ট্র ট্র ট য়ে র(্র) উচ্চারণ হবে ট্‌র। যেমন:উষ্ট্র=উশটরো রাষ্ট্র রাশটরো
ত্ত ত+ত=ত্ত ত্ত ত্ত ত য়ে ত উচ্চারণ হবে ত্‌ত যেমন: উত্তাল=উৎতাল,মত্ত=মৎতো
ক্ত ক+ত=ক্ত ক্ত ক্ত ক-য়ে ত উচ্চরণ হবে ক্‌ত । ভক্তি=ভোকতি ,শক্ত=শকতো
ত্ন ত+ন=ত্ন ত্ন ত্ন ত-য়ে ন উচ্চরণ হবে ত্‌ন। যত্ন যৎনো রত্ন=রৎনো
ত্ম ত+ম=ত্ম ত্ম ত্ম ত-য়ে ম উচ্চরণ হবে ত্‌তাঁ । আত্মা=আৎতাঁ আত্মীয়=আৎতিঁও
ত্র ত্‌+র=ত্র ত্র ত্র ত য়ে ব ফলা উচ্চারণ হবে ত্‌ত্র। যেমন:যাত্রী=যাৎত্রী
ত্রু ত্‌+র্‌+উ=ত্রু ত্রু ত্রু ত য়ে ্র ‍ু উচ্চরণ হবে ত্রু ত্‌ত্রু শত্রু ত্রুটি
ক্র ক+্র=ক্র ক্র ক্্র কয়ে র ফলা উচ্চরণ হবে ক্র/ক্‌ক্র। য়েমন : ক্রয় ক্রন্দন ক্রোনদোন
বি:

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ বা ফলা

ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। বাংলায় ফলা চিহ্ন ৭ টি

য-ফলা (্য) : ব্যাঙ,খ্যাতি,সহ্য । ন-ফলা (ন /ন): বিভিন্ন, যত্ন, রত্ন
ব-ফলা (‍্ব) :পক্ব,বিশ্ব াশ্ব । ণ-ফলা (ণ):পুবাহ্ণ অপরাহ্ণ
ম-ফলা (ম): পদ্ম,সম্মান , স্মরণ ল-ফলা (ল) :ক্লান্ত, ম্লান , অম্ল
র -ফলা (্র):প্রমাণ,শ্রান্ত,ক্রয় -----
ফলাযোগে শব্দঃ আহ্বান,অব্বা,অম্মা,হাম্বা,মধ্যাহ্ণ,গোস্বা,গোব্বারা ,কম্বল,সম্বল,অম্বর,অশ্ব,আশ্বিন,ব্যাথা,জেব্রা,ব্রাশ,ট্রুথ ব্রাশ,ব্রেক,

সাধুও ও চলিত ভাষার পাঁচটি করে পার্থক্য লেখ ? :
১. সাধুভাষা লিখিতভাবে ভাব প্রকাশের সর্বজন স্বীকৃত সাধারণ রূপ। ১. সমাজের পারস্পরিক ভাব বিনিময় ও কথোপকথনের উপযুক্ত বাহন হলো চলিত ভাষা।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়মের অনুসারী। ২. কিন্তু চলিত ভাষা ব্যাকরণের সকল নিয়ম মেনে চলে না।
৩. সাধুভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি। ৩.অন্যদিকে,চলিত ভাষায় তদ্ভব,অর্ধতদ্ভব ও বিদেশী শব্দের প্রয়োগ বেশি।
৪. সাধু ভাষায় অপিনিহিত ও অভিশ্রুতির ব্যবহার ৪.চলিত রীতিতে এদের প্রয়োগ করা হয়।
৫. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। ৫. চলিত ভাষা পরিবর্তনীয়।
৬. সাধু ভাষা বেশ প্রাচীন। ৬.চলিত ভাষা অপেক্ষাকৃত আধুনিক।
৭.সাধুভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। ৭. চলিত রীতিতে সর্বনামগুলো সংকুচিত রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- এ, সে, এরা, তারা ইত্যাদি।
৮. সাধু ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযোগী নয়। ৮.চলিত ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা,নাটকের ও সংলাপের উপযোগী।
৯. সাধু ভাষা কোন অঞ্চল বিশেষের প্রভাবাধীন নয় ৯.কিন্তু চলিত ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবাধীন।

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

দিনলিপি লিখন

Flowers in Chania দিনলিপি লিখন

(১)একজন শিক্ষার্থীর দিনলিপি

২৪.৪.২০১৮ ইং

প্রতিদিনের দিনলিপি লেখার শুরুতেই প্রথমেই আমার জীবন ভাবনা গুলো লিখে রাখি।আজ ২৪ এপ্রির রোজ মঙ্গল বার। সময় সকার ৯:০০টা। আমার জীবনের আরও একটি সম্ভাবনাময় দিনের সূত্রপাত হল প্রতিটি দিনই আমার কাছে নতুন সম্ভাবনাময় এবং জীবন গঠনের আর একটি নতুন আহ্বান।

ভোর ৫ টা সকাল ৭টা
আজ ঘুম থেকে উঠেছি খুব ভোরে। তারপর হাতমুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়ে বাইরে বেরুই। এক ঘন্টা হাটাহাটি করি ,একটু ব্যায়ামও করি। তার পর নাস্তা শেষ করে পড়তে বসি।

সকাল ৭টা হতে ৮টা
সকালে লেখাপড়ার খুব একটা সময় আমি পাই না ।তাই যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিই। বিাশেষভাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো । ইংরেজী গ্রমারের কোন সুত্র ভুলে গেলে তা বার বার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করি। আর যে বিষয় গুলো বুঝতে পারিনা সেগুলো খাতায় টুকে রাখি তারপর কলেজে গিয়ে বন্ধুবান্ধবীদের নিকট হতে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রয়োজনে স্যারের সাহায্য নেই।

সকাল ৮টা হতে ৯টা
এক ঘন্টার মধ্যে গোসল ,খাওয়া দাওয়া এবং কলেজের জন্য প্রস্তুত হওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। বেশ তাড়াহুড়ো করতে হয়। অনেক সময় খাবার না খেয়েই কলেজে ছুটতে হয়। মাকে বলি পেটে খিদে নেই ,কলেজ থেকে ফিরে এসে খাব। মা বিষয়টি ঠিকই বুঝেন। একটি কেক বিস্কুট হাতে দিয়ে বলেন রিকসায় যেতে যেতে খেয়ে নিস। রিকসায় বসে খেতে আমার ভাল লাগেনা। মার দেয়া খাবার ব্যাগে পরে থাকতে খাকেতে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাস্তায় পথ শিশুকে আমি দিয়ে দিই তারা পেয়ে খুবই খুশি হয়। তাদের আনন্দ দেখে মনে হয় আরও বেশি যদি আমি দিতে পারতাম।

সকান ৯টা হতে ২টা
এই সময়টা আমার কলেজে কাটে। কখনও তা তিনটে কিংবা চারটে গড়ায় ।তা অবশ্য নির্ভর করে কলেজ রুটিনের উপর ।বেশির ভাগ সময় কলেজ ২টার সময় ছুটি হয়ে যায়। আজ ছুটি হযেছে আরও এক ঘন্টা আগে। ২য় ঘন্টার পর ছুটির ঘোষনা হয়। কলেজ উন্নয়ন নিয়ে আজ স্যারদের বিষেশ মিটিং আছে।

২টা থেকে বিকেল ৪টা
এ সময় টা সাধারনত বাসায় কাটে। বাসায় এই সময়টা গল্পের বই অথবা টেলিভিশন দেখে কাটে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের বাসায় যাই। অাজ বাসায় ফিরে মায়ের সাথে মার্কেটে যাই মা আমার জন্য সুন্দর একটা হাতঘড়ি কিনলেন।

বিকেল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬্টা
এ সময়টা হল আমার খেলার সময়। আজকাল যদিও খেলার মাঠ বলতে কিছু নেই। খেলা বলতে এখন যা বুঝায় তা হল যন্ত্রনিয়ে খেলা মোবাইল ফোনে কথা বলা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা অথবা কম্পিউটার নিয়ে বসা।

সন্ধ্যা ৬টা হতে ১১টা
একটানা দু ঘন্ট পড়া শেষে হয় খবর দেখি না হয় টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান , বিশেষত নাটক দেখি।সে সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার কাজটা শেষ করি । ঘুমুতে যাওয়ার আগে দিনলিপি লিখি । পরবর্তী দিনের কার্যক্রম ঠিক করে ঘুমুতে যাই।
২৪.৪.২০১৮ইং রাত ১১টা ১০মি:



সমোচ্চারিত শব্দ

দুটি শব্দের প্রায় একই রকম উচ্চারণ তাদের কে বলা হয় সমোচ্চারিত শব্দ । বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো শব্দ আছে যাদের উচ্চারণ একই রকম হলেও অর্থের দিক থেকে পার্থক্য বিদ্যমান। এ সব শব্দকে প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলে। সমোচ্চারিত শব্দের বানান এবং  এর অর্থ জানা না থাকলে বাক্যের অর্থের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।এজন্য শব্দগুলোর উচ্চরণ বানান সঠিক কোনটি হবে তা  শেখা প্রয়োজন।
কতগুলো প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ অর্থ বাক্যেপ্রয়োগ দেওয়া হল।

অন্ন (ভাত)     --দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্ব দতিতে মানুষের মুখে অন্ন   ওঠা দায়
অন্য (অপর)  --সংস্কার , সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল ।

অনু (পশ্চাৎ)      --এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের  মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো ।
অণু (ক্ষুদ্রতম অংশ)  --এটুকু ভাতে আমার  পেটের অণুটুকুও ভরবে না।

অনুপ(উপমাহীন)
অনূপ(জলা ,বিল )

অনিষ্ট (ক্ষতি)
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন)

অংশ (ভাগ)
অংস (কাঁধ)

অলিক (কপাল )
অলীক (অবাস্তব)

অর্ঘ (মুল্য)
অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ)

অশ্ম (প্রস্তর )
অশ্ব (ঘোড়া)

অবদান (মহৎ কর্ম )
অবধান (মনোযোগ)

অনুদিত (যা উদিত হয় নি)
অনূদিত (ভাষান্তরিত)

অভি (সম্মুখে)
অভী (ভয়হীন)

অশন (আহার)
অসন (ক্ষেপণ)

অসুর (দৈত্য)
অশূর (যে বীর নয় )

অন্ত  ( মৃত্যু )
অন্ত্য (শেষ )
অন্তঃ  ( মধ্যে )

অবিরাম (অনবরত)
অভিরাম (সুন্দর )

অনিল (বাতাস )
অনীল  (নীল নয় যা )

অভিভাষণ (বক্তৃতা)
অভিবাসন (দেশান্তরে বসতি)

অবতরণ (নিচে নামা)
অবতারণ (প্রসঙ্গ উহ্থাপন)

আদি (মূল )
আধি (মনঃকষ্ট )
আঁধি (প্রবল ঝড়)

অশা (ভরসা)
আসা (আগমন)

আপন (নিজ)
আপণ (দোকান)

আবাস (বাসস্থান)
আভাস (ইঙ্গিত)
আভাষ (আলাপ, ভুমিকা)

আষাঢ় (মাসের নাম)
আসার  (বষণ)

আশি (সংখ্যা)
আশী (সাপের দাঁত)
আসি (আগমন করি)

আবরণ (আচ্ছাদন)
আভরন (অলংকার )

আত্ন (স্বয়ং)
আত্ত (গৃহীত)

অদাড় (আস্তাকুঁড়)
আধার (পাত্র)
আঁধার (অন্ধকার )

আবৃত্তি (সরব পাঠ )
আবৃতি (আবরণ)

অাসক্তি (অনুরাগ)
আসত্তি  (নৈকট্য)

ইতি (শেষ)
ঈতি (কৃষিতে উপদ্রপ)

উপাদান (উপকরণ )
উপাধান (বালিশ)

উৎপত (পাখি)
উৎপথ (কুপথ)

উদ্দেশ (সন্ধান)
উদ্দেশ্য (লক্ষ্য )

একদা (এককালে )
একধা (এক প্রকারে )

একতা (ঐক্য )
এক তা (কাগজের এক পাতা )

এণ (কৃষ্ণসার মৃগ)
এন ( দোষ /পাপ )

ওষধি (একবার ফল দেয় যে গাছ)
ঔষধি (ঔষধের গাছ)
কৃত-যা করা হয়েছে ক্রীত-যা কেনা হয়েছে কমল-পদ্ম কোমল-নরম কোণ-দিক কোন-








প্রশ্ন: অর্থপার্থক্য দেখিয়ে বাক্য রচনা কর ?
শমন ,সমন; সাম,শ্যাম; সামি,স্বামী; সাক্ষর ,স্বাক্ষর ;বারি ,বাড়ি; শারি,শাড়ি; হার, হাড়; দার ,দাঁড়;



রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

বাগধারা বা বাগবিধি

বাগধারা বা বাগবিধি

অ ,আ

অকাল কুষ্মান্ড (অকেজো)অকাল কুম্মান্ড লোকটা গতকালও কাজটা শেষ করতে পরেনি ।
অকালপক্ব(ইঁচড়ে পাকা)এমন অকালপক্ব ছেলেকে যে শিক্ষকরা প্রশ্রয় দেবে না তাতে সন্দেহ নেই।
অকূল পাথার (মহাবিপদ) ভালো কলেজে ভর্তি হতে না পেরে অনেক ছাত্র অকূল পাথারে পড়েছে।
অক্কা পাওয়া (মরে যাওয়া) যে কোন দিনই থুত্থুড়ে বুড়োটা অক্কা পেতে পারে।
অগাধ জলের মাছ (সুচতুর ব্যক্তি) মোড়ল সাহেব অগাধ জলের মাছ,তাঁকে বোঝা বড় কঠিন।
অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা) ২০০৭ সালে বংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলংকা সফর ছিল অগ্নিপরীক্ষা।
অগ্নিশর্মা (খুবই রাগান্বিত) লোকটাকে বেয়াববি দেখে বাবা রেগে অগ্নিশর্মা হলেন।
অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যবিড়ম্বনা) অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।
অনধিকার চর্চা(অজানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ)আমি ব্যবসায়ী মানুষ,সাহিত্যের আলোচনা আমার জন্যে অনধিকার চর্চা।
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা(অনুরোধে কষ্ট স্বীকার)অনুরোধে অনেক ঢেঁকি গিলেছি,এথন আর পারছি না।
অন্ধের যষ্টি/নড়ি(অক্ষম লোকের একমাত্র অবলম্বন)একমাত্র নাতিটি বুড়ির অন্ধের যষ্টি।
অন্ধকার দেখা (বিপদে সমাধানের উপায় না দেখা)বাবার অকাল-মৃত্যুতে মেয়েটা চোখে অন্ধকার দেথতে লাগল।
অন্ধকারে ঢিল ছোড়া(আন্দাজে কিছু করা) অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে আসল ঘটনাটা জেনে এসো।
অমবস্যার চাঁদ(দুর্লভ ব্যক্তি বা বস্তু) আপনি দেখেছি অমবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছেন।আপনার দেখাই মিলছে না।
অরণ্যে রোদন(নিষ্ফল অনুনয়) লোকটা হাড়কৃপণ,ওর কাছে কিছু চাওয়া আর অরণ্যে রোদন একই কথা।
অর্ধচন্দ্র (গলা ধাক্কা) দারোয়ান উটকো লোকটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দিলেন।
আকাশকুসুম(অবাস্তব ভাবনা) শহরের সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া অনেকের জন্য এখন আকাশকুসুম ব্যাপার।
আকাশ থেকে পড়া(স্তম্বিত হওয়া) পাপিয়ার কথা শুনে তাসলিমা যেন আকাশ থেকে পড়ল।
আকাশ-পাতাল(সীমাহীন) শহর ও গ্রামের জীবনযাত্রায় এখনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
আকাশ ভেঙে পড়া (মহাবিপদে পড়া) বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় অনেক পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।
আকাশে তোলা(অতিরিক্ত প্রশংসা করা) কেউ কেউ স্বার্থ হাসিলের জন্য কমকর্তাদের আকাশে তোলে।
আকাশের চাঁদ(দুর্লভ বস্তু) সেরা কলেজে ভর্তি হতে পেরে ভাইয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন।
আক্কেল গুডুম(হতবুদ্ধি অবস্হা) ছেলেটার কথাবার্তা শুনে তো আমার আক্কেল গুডুম।
আক্কেল সেলামি(বোকামির দন্ড) ধাপ্পাবাজ লোকটার পাল্লায় পড়ে টাকাগুলো আক্কেল সেলামি দিতে হল।
আখের গোছানো(ভবিষ্যৎ গুছিয়ে নেওয়া) দুর্নীতিবাজরা আখের গুছিয়ে নিলেও পার পাচ্ছে না।
আঙুল ফুলে কলা গাছ(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া) শেয়ারের ব্যবসায় কুদ্দুস সাহেব এখন আঙুল ফুলে কলা গাছ।
আট কপালে (হতভাগ্য) আট কপালে লোকের ক্ষেত্রে চাকরি জোটা মুশকিল।
আঠারো মাসে বছর(ঢিলেমি) আমার মতামা সব কাজে দেরি করেন।সবাই বলেন তার নাকি আঠার মাসে বছর।
আদাজল খেয়ে লাগা(উঠে পড়ে লাগা) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য মাহমুদ আদাজল খেয়ে লেগেছে।
আদায় কাঁচকলায়(শত্রুভাবাপন্ন্) ওদের ভাইয়ে ভাইয়ে আদায় কাঁচকলায় সম্পক,কেউ কাউকে সাহায্য করে না।
আবোল–তাবোল(এলোমেলো কথা) আসল ঘটনাটা লুকুতে গিয়ে সে আবোল–তাবোল বকে চলছে।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অকেজো লোক) ও একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি,ওকে দিয়ে কাজটা হবে না।
আমলে আনা(গুরুত্ব দেওয়া) পুলিশ দারোআনের কোন কথাই আমলে আনল না।
আলালের ঘরের দুলাল(বড় লোকের আদুরে ছেলে) এই আলালের ঘরের দুলালটিকাজ দেখলে ভয় পায়।
আষাঢ়ে গল্প (বানানো কথা) সময়মত কাজে আসোনি, তার জন্য আষাঢ়ে গল্প বলার দরকার কি?
আসমান-জমিন ফারাক (বিপুল ব্যবধান) ধনী ও গরিবের জীবনযাত্রায় আসমান –জমিন ফারাক।
আস্তানা গড়া(সাময়িকভাবে কোথাও থাকতে শুরু করা) বানভাসি লোকগুলো বাঁধের ওপর আস্তানা গেড়েছে।
আহলাদে আটখানা(আনন্দে আত্নহারা) মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে সে আহলাদে আটখানা।

ই,ঈ,উ, ঊ,এ

ইঁচড়ে পাকা (অল্প বয়সে পেকে গেছে এমন)ওই ইঁচড়ে পাকা ছেলেটাকে পাত্তা দিলেই ঘাড়েচেপে বসবে।
উভয় সংকট(দু দিকেই বিপদ) বিজ্ঞান না বাণিজ্য,কোনটা পড়ব এ নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছি।
উলুবনে মুক্তো ছড়ানো(অপাত্রে মুল্যবান কিছু প্রদান) ওকে জ্ঞান দেওয়া আর উলোবনে মুক্তো ছড়ানো এখই কথা।
এঁটে উঠা(সমানে পাল্লা দিতে পারা) তোমার সঙ্গে এঁটে উঠা কঠিন।
এক কথার মানুষ(কথা রাথে এমন) আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন,আমি এক জকথার মানুষ।
একচোখা(পক্ষপাতদুষ্ট) একচোখা লোকের কাছে কখনো সুবিচার আশা করা যায় না।
এলাহি কান্ড(বিরাট আয়োজন) সওদাগর সাহেবের মেয়ের বিয়ে,এলাহি কান্ড তো হবেই।
একাই একশ(যথেষ্ট সমথ) ঐ পুঁচকো ছোঁড়াকে মোকাবেলার জন্য আমি একাই এক শ।
এসপার ওসপার(যে–কোনভাবে মীমাংশা) ঝামেলাটা আর সহজ হয় না।এবার এসপার ওসপার করতেই হবে।
ওত পাতা(সুযোগের অপেক্ষা থাকা) বিড়ালটা মাছ চুরি করার জন্য ওত পেতে রয়েছে।

ক,খ,গ

কড়ায় গন্ডায় (সূক্ষ্ম হিসেব অনুযায়ী) ও তাঁর পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে এসেছিল।
কথার কথা(হালকা কথা) আমি কথার কথায় একটি মন্তব্য করেছি আর তাতেই রাজু ক্ষেপে গেল।
কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ) ছেলেটা হঠৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা- চাচির কপাল ফিরেছে।
কলুর বলদ(অন্যের জন্য একটানা খাটুনি) সংসারের হাল ধরতে ছোট মামা কলুর বলদের মত ঘানি টানছেন।
কাঁচা পয়সা(অল্প আয়াসে নগদ উপার্জন) দুর্নীতি করে অনেকে কাঁচা পয়াসা কামাই করছে।
কাঁঠালের আমসত্ব(অসম্ভব বস্তু) বাংলায় ১০০-তে ১০০ নম্বর পাওয়া কাঁঠালের আমসত্বের মতো।
কাছাঢিলা(অগোছালো স্বভাবের) যেমন কাছাঢিলা লোক তুমি,ছাতা তুমি হারাবে না তো কে হারাবে।
কাঠখড় পোড়ানো(নানারকম চেষ্টা ও পরিশ্রম) কাজটা হাসিলের জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হল।
কাঠের পুতুল(নির্জীব, অসার লোক) কোন কোন মন্ত্রী হয়ে যান কাঠে পুতুল,সব কাজ চালান তাঁর সচিব।
কান খাড়া করা(মনোযোগী হওয়া) আদালতে কী রায় হয় তা শোনার জন্য আইনজীবিরা কান খাড়া করে রইল।
কান পাতলা(বিশ্বাসপ্রবণ) বড় সাহেব এমন কান পাতলা যে তার অধীন কাজ করাই মুশকিল।
কান ভারী করা(কারও বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃষ্টি) তুমি নাকি আমার বিরূদ্ধে বড়কর্তার কান ভারী করেছ?
কুল কাঠের আগুন(তীব্র মন:কষ্ট) লাঞ্ছনা অপমানে তার মনের মধ্যে কুল কাঠের আগুন জ্বলতে লাগল।
কূপমন্ডূক(সংকীর্ণমনা লোক) আমাদের সমাজে কূপমন্ডূক লোকের অভাব নেই।
কেউকেটা (নিন্দার্থে গণ্যমান্য লোক) আপনি যে এমন কেউকেটা যে আপনার কথা শুনতেই হবে!
কেঁচে গন্ডূষ করা(পুনরায় প্রথম থেকে শুরূ করা) পুরো হিসাবটাই ভুল হয়েছে।আবার কেঁচে গন্ডূষ করতে হবে।
কোমর বাঁধা(কাজে উঠে পড়ে লাগা) পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য তাহমিনা কোমর বেঁধে পড়াশুনায় লেগেছে।
খন্ড প্রলয়(তুমুল কান্ড) মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে পাশের বাসায় একটি খন্ড প্রলয় ঘটে গেছে।
খয়ের খাঁ(খোশামোদকারী,চাটুকার) ক্ষমতাসীনদের চারপাশে খঁয়ের খাঁ লোকদের ভিড় জমে যায়।
খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সহায়তা) খুঁটির জোর আছে বলেই বারবার বদলি ঠেকায়।
গড্ডালিকা প্রবাহ(অন্ধের মতো অনুসরণ) বিত্তের মোহে সমাজের অনেক লোক গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়।
গন্ডারের চামড়া(অপমান বা তিরস্কার গায়ে লাগায় না এমন) ওর বোধ হয় গন্ডারের চামড়া,তাই শত অপমানেও কোনো ভাবান্তর নেই।
গদাই লশকারি চাল(ঢিলিমি) এমন গদাই লশকরি চালে চললে কাজটা এ মাসে ও শেষ হবে না।
গলগ্রহ(দায় বা বোঝা) অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে না থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।
গাছে তুলে মই কাড়া(কাজে নামিয়ে সরে পড়া) তোমার ভরসায় এত বড় কাজে হাত দিয়েছি।এখন গাছে তুলে মই কেড়ে নিচ্ছ যে।
গায়ে পড়া(অযাচিত ঘনিষ্ঠতা) অমন গায়ে পড়া লোককে চেয়ারম্যান সাহেব পাত্তা দিবেন বলে মনে হয় না।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো(কোন দায়িত্ব গ্রহণ না করা) ও নেবে দায়িত্ব?গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানোই যে ওর স্বভাব।
গোঁয়ার গোবিন্দ(নির্বোধ ও একগুঁযে লোক) কাজটা বুঝে শুনে করবে।গোঁয়ার গোবিন্দের মতো করলে চলবে না।
গোড়ায় গলদ (মূল কিংবা শুরুতে ভুল) বিয়ের আয়োজনে গোড়ায় গলদ ছিল বলে এত বিশৃঙ্থলা।
গোবর গণেশ (বোকা,অকর্ণন্য লোক) ছেলেটার না আছে বুদ্ধি, না পারে কোন কাজ ও একেবারে গোবর গণেশ।
গোল্লায় যাওয়া(উচ্ছন্নে যাওয়া) বাবামায়ের আদরের ঠেলায় ছেলেটা গোল্লায় গেছে।

ঘ,ঙ,চ,ছ,জ,ঝ,ঠ

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া(উদ্বেগ–উৎকন্ঠা খেকে স্বস্তি) ছেলেটা ঘরে ফিরে আসায় সবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।
ঘাস কাটা(বাজে কাজে সময় নষ্ট করা) অণ্যেরা কাজ করবে আর তুমি বসে বসে ঘাস কাটবে ?তা হবে না।
ঘোড়া রোগ(উৎকট বাতিক) ভাত জোটে না,বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করতে চায় গরিবের ঘোড়ারোগ আর কি!
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া(ওপরওয়ালাকে এড়িয়ে কাজ হাসিল) সরকারি অফিসে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া কঠিন।
গোড়ার ডিম (অস্তিত্বহহীন বস্তু) ও তোকে বইটা দেবে?ঘোড়ার ডিম দেবে।
চাঁদের হাট(সুখের সংসার) অবসর জীবনে শরীফ সাহেব কৃতি সন্তানদের নিযে চাঁদের হাট বসিয়েছেন।
চোখে চোখে রাখা(সতর্ক নজরদারি) অজানা–অচেনা কেউ এলে তাকে চোখে চোখে রাখা দরকার।
চোখে ধুলো দেওয়া(ফাঁকি দেওয়া) পুলিশের চোথে ধুলো দিয়ে অপরাধী গা ঢাকা দিয়েছে।
চোখের বালি(চক্ষুশূল,ক্রোধ বা বিরক্তির কারণ) মা–মরা ছেলেটা কত শান্ত,তবু সে তার সৎ-মায়ের চোখের বালি।
ছিনিমিনি খেলা(বেহিসাবি খরচ) উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে অনেক ছিনিমিনি থেলা হয়েছে।
ছেঁকে ধরা (ঘিরে ধরা): বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সবাই কারখানার মালিককে ছেঁকে ধরেছে।
ছেলের হাতের মোয়া (সহজপ্রাপ্য জিনিস): ভালো ফলাফল ছেলের হাতের মোয়া নয়,এর জন্য যথেষ্ট পড়াশুনা দরকার।
জগাখিছুড়ি(অবাঞ্ছিত জটিলতা) তোমার জগাখিছুড়ি কাজ দেখলে আমার মাথা গরম হয়ে উঠে।
জিলিপির প্যাঁচ (কুটিল বুদ্ধি):ওর মনে যে এত জিলিপির প্যাঁচ তা বুঝব কি করে।
ঝোপ বুঝে কোপ মারা(সুযোগ বুঝে কাজ করা):ঝোপ বুঝে কোপ মারতে না পারলে ব্যাবসায়ে টেকা মুশকিল।
টনক নড়া(চৈতন্য হওয়া)ব্যবসায় লাঠে উঠতেই তার টনক নড়ল ।
ঠাঁট বজায় রাথা(অভাব লুকানো)জমিদরি নেই,কিন্তু চৌধুরী বংশ এখন ও জমিদারি ঠাঁট বজায় আছে।
ঠোঁট কাটা(স্পষ্টবাদী) ঠোঁট কাটা লোক অনেকেরই অপছন্দ।

ড,ঢ,ন,প,ফ,ব

ডুমুরের ফুল(অদৃশ্য ব্যক্তি বা বস্তু) কী ব্যাপার ! তুমি হঠাৎ ডুমুরের ফুল হয়ে উঠলে যে?
ঢিমে তেতালা(খুবই মন্থর গতি) এমন ঢিমে তেতালাভাবে পড়াশুনা করলে সিলেবাস শেষ হবে না।
তালকানা (তালজ্ঞান বর্জিত) উনি তালকানা লোক।ওর কাছে পরিপাটি কাজ আশা করছ কেন?
থ বনে যাওয়া(বিস্ময়ে হতবাক হওয়া) লোকটার কান্ড দেখে সবাই থ বনে গেল।
তাসের ঘর (ভঙ্গুর ): ওদের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মত ভেঙে গেছে।
তামার বিষ (অর্থের কুপ্রভাব) তামার বিষে ওরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।
দা–কুমড়ো (নিদারুণ শত্রুতা) ভাইয়ে ভাইয়ে এখন একেবারে দা-কুমড়ো সম্বন্ধ।
দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু) ধনীর দুলাল ছেলেটাকে দুধের মাছিরা ঘিরে রেখেছে।
দুমুখো সাপ(দু রকম আচরণকারী,ক্ষতিকর লোক) লোকটা আস্ত দুমুখো সাপ,তোমাকে বলেছে একরকম আমাকে অন্যরকম।
ধরাকে সরা জ্ঞান করা(অতিরিক্ত দম্ভে কিছুই গ্রাহ্য না করা) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করল।
ননির পুতুল (অল্প শ্রমে কাতর) ফারিহা তো ননির পুতুল,এত পরিশ্রমের কাজ ওকে দিতে হবে না।
নাক গলানো(অনধিকার চর্চা) যে-কোন ব্যাপারে নাক গলানো কারো কারো স্বভাব।
নেই আাঁকড়া(নাছোড়বান্দা) কী যে নেই আাঁকড়া লোকের পাল্লায় পড়েছি!রেহাই মিলছে না।
পটল তোলা(মারা যাওয়া) চাঁদাবাজরা পটল তুলছে শুনে এলাকার লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
পথে বসা(সর্বস্বান্ত হওয়া) বন্যায় সব হারিয়ে অনেকে এবার পথে বসেছে।
পালের গোদা(দলের চাঁই,সর্দার) পুলিশ পালের গোঁদোকে কোর্টে চালান দিয়েছে।
পুকুর চুরি(বড় রকম চুরি):রাস্তা মেরামত না করেই ঠিকাদার ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে, এ যে রীতিমতো পুকুর চুরি।
ফাঁক–ফোকর(দোষত্রুটি) আইনের ফাঁক-ফোকর গলে সন্ত্রাসীরা জামিনে খালাস পেয়ে যাচ্ছে।
ফেঁপে উঠা(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া) চোরাচালানি করে কেউ কেউ রাতারাতি ফেঁপে উঠেছে।
ফোঁড়ন কাটা(টিপ্পনী কাটা)কথার মাঝখানে ফোঁড়ন কাটা ওর স্বভাব।
ফোপড়দালালি(নাক গলানো আচরণ) সব ব্যাপারে ওর ফোপড়দালালি করার অভ্যাস।
বকধার্মিক(ভন্ড) সমাজে বকধার্মিক লোকের অভাব নেই।
বর্ণচোরা আম(কপট লোক) লোকটা একটা বর্ণচোরা আম ।বাইরে থেকে ওকে বোঝা মুশকিল।
বাঁ হাতের ব্যাপার(ঘুষ দেওয়া-নেওয়া) এ অফিসে বাঁ হাতের ব্যাপার ছাড়া ফাইল নড়ে না।
বাজিয়ে দেখা(পরখ করা) সে ঘটনাটা জানে কিনা একটু বাজিয়ে দেখতে হবে।
বাপের বেটা(সাহসী)শাবাশ! বাপের বেটার মতই করছিস কাজটা।
বালির বাঁধ(ক্ষণস্হায়ী) বড়লোকের ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বালির বাঁধ একই কথা।
বিড়াল–তপস্বী(ভন্ড সাধু) সমাজে মাঝে মাঝে বিড়াল তপস্বীদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
বিদ্যার জাহাজ(মূর্খ বা অশিক্ষিত লোক) যে নিজে বিদ্যার জাহাজ সে অন্যকে কী শেখাবে?
বুকের পাটা(সাহস) মাস্তানটার বিরুদ্ধে তুই অভিযোগ করছিস!তোর বুকের পাটা আছে বলতে হবে।
বুদ্ধির ঢ়েঁকি(নির্বোধ) এই কাজের জন্য চাই চালাক-চতুর লোক,বুদ্ধির ঢেঁকি দিয়ে একাজ হবে না।

ভ,

ভিজে বেড়াল(বাইরে নীরিহ ভেতরে ধূত) ভিজে বেড়ালদের অনেক সময় চেনা যায় না।
ভরাডুবি(সর্বনাশ): আদমজি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটচাষিদের এবার ভরাডুবি হয়েছে।
ভূতের বেগার(অযথা শ্রম দান)সরাক্ষণ ভুতের বেগার খাটছি, লাভ কিছুই হবে না।
মামাবাড়ির আবদার(চাইলেই পাওয়া যায় এমন):গতকাল ১০০ টাকা নিলে।আজ আবার ২০০ টাকা চাইছ।একি মামাবাড়ির আবদার নাকি?
মিছরির ছুরি(আপাতত মধুর হলেও শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক) তোমার কথাগুলো ঠিক যেন মিছরির ছুরি।
যক্ষের ধন(কৃপণের কড়ি): পৈতৃক ভিটেটা সে যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছে।
রুই–কাতলা(প্রভাবশালী): সমাজের রুই–কাতলাদের দাপটে চুনোপুঁটিদের আবস্হা এখন কাহিল।
লেফাফা দুরস্ত(বাইরের ঠাঁট ষোল আনা): ঘরে যে এমন টানাটানি,তা ওর লেফাফা ভাব দেখে কে বুঝবে?
রাশভারি(গম্ভীর) আমাদের প্রধান শিক্ষক রাশভারি লোক।সবাই ওকে ভয় পায়।
শাপে বর(অনিষ্টে ইস্ট লাভ) আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে ঢুকেছেন । এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।
সেয়ানে সেয়ানে(দুই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে) দুজনের মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে অনেকদিন।
সোনায় সোহাগা(সার্থক মিল) পরীক্ষায় পাস করতে না–করতেই এমন ভালো চাকরি পাওয়া,এ যে সোনায সোহাগা!
হ-য-ব-র-ল(উল্টোপাল্টো) অনুষ্ঠানের হ-য-ব-র ল দেথে চলে এসেছি।
হাড়-হাভাতে(একেবারে নি:স্ব): হাড়-হাভাতে ছেলেটাযে কীভাবে এই সংসারে এসে জুটল বলতে পারবে না।
হাতটান(ছেটখাট চুরির অভ্যাস) ছেলেটা কাজে-কর্মে বেশ ওস্তাদ।তবে দোষের মধ্যে হাতটান আছে।
হাতের পাঁচ(শেষ সম্বল)হাতেরপাঁচ হিসাবে হাজারখানেক টাকা আছে।তোমাকে ধার দেব কেমন করে?
হালে পানি পাওয়া (কাজ হাসিলের উপায় না পাওয়া)

এক কথায় প্রকাশ


Flowers in Chania এক কথায় প্রকাশ


অকালে পক্ব হয়েছে যে – অকালপক্ব।
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান – প্রত্যক্ষ।
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার – অনভিজ্ঞ।
অহংকার নেই যার – নিরহংকার।
অনেকের মধ্যে একজন – অন্যতম।
অনুতে বা পশ্চাতে বা পরে জন্মেছে যে – অনুজ।
অশ্বের ডাক – হ্রেষা।
অবশ্য হবে বা ঘটবে যা – অবশ্যম্ভাবী।
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা – অনুসন্ধিৎসা।
অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে – অনুসন্ধিৎসু।
অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা্।
অপকার করবার ইচ্ছা – অপচিকীর্ষা।
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে – অবিমৃষ্যকারী।
অগ্রে জন্মেছে যে – অগ্রজ।
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয় – নাতিশীতোষ্ণ।
অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি – দক্ষ।
অতি দীর্ঘ নয় যা – নাতিদীর্ঘ।
অতিক্রম করা যায় না যা – অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য।
অরিকে দমন করে যে – অরিন্দম।
অণকে দেখা যায় যার দ্বারা --অণুবীক্ষণ
অবজ্ঞায় নাক উচু করে যে --উন্নাসিক
অতীতের বিষয়ের জন্য শোক প্রকাশ --গতানুশোচনা।
অতিকষ্টে যা নিবারণ করা যায় --দুর্নিবার ।
অল্প পরিশ্রমে শ্রান্ত নারী --ফুলটুসি।
অলংকারের ধ্বণি --শিঞ্জন।
অনুচিত বল প্রয়োগকারী --হঠকারী।
অহনের পূর্বাংশ--পূর্বাহ্ণ
অহনের মধ্যাংশ --মধ্যাহ্ন
অবিবাহিত ব্যক্তি--অকৃতদার /অনূঢ়
আপনাকে ভূলে থাকে যে --আত্নভোলা
অশ্ব রাখার স্থান----আস্তাবল
অর্ধেক সম্মত-- নিমরাজি।


আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত – আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত ।
আকাশে উরে বেড়ায় যে – আকাশচারি, খেচর ।
আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ ।
আচারে নিষ্ঠা আছে যার – আচারনিষ্ঠ ।
আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা – আত্মকেন্দ্রিক ।
আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে- পণ্ডিতম্মন্য ।
আপনার রং লুকায় যে বা যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না – বর্ণচোরা ।
আট প্রহর যা পরা যায় – আটপৌরে ।
আয় অনুসারে ব্যয় করে যে – মিতব্যয়ী ।
আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার – আস্তিক ।
আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার – নাস্তিক ।
আকাশে বেড়ায় যে --খেচর, আকাশচারী
আকাশের মাধ্যমে আগত বাণী---আকাশবাণী।
আকাশ ও পৃথিবী ---ক্রন্দসী।
আঘাতের বিপরীত---প্রত্যাঘাত
আকাশের রং---আকাশী
আগামী কালের পরের দিন--পরশু
আকালের বছর ---দুর্বছর
আকাশে যে বিচরণ করে-- নভশ্চর
আবক্ষ জলে নেমে স্নান--আবগাহন
আশা ভঙ্গজনিত খেদ----বিষাদ
ই ঈ
ইতিহাস রচনা করেন যিনি – ঐতিহাসিক ।
ইতস্তত ভ্রমণ--বিচরণ প্রসর।
উসলামি শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দেশন---ফতোয়া
ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি – ইতিহাসবেত্তা ।
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে – ইন্দ্রজিৎ ।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে – জিতেন্দ্রিয়ি ।
ঈষৎ আমিষ বা আঁষ গন্ধ যার – আঁষটে ।]
ঈষৎ রক্তবর্ণ--আরক্ত
ঈষৎ পীত বর্ণ---আপীত।
ঈষৎ আমিষ (আশ)গন্ধ যার--আঁষটে


উপকার করবার ইচ্ছা – উপচিকীর্ষা ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে – কৃতজ্ঞ ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে – অকৃতজ্ঞ ।
উপকারীর অপকার করে যে – কৃতঘ্ন ।
একই সময়ে বর্তমান – সমসাময়িক ।
একই মায়ের সন্তান – সহোদর ।
এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত – একাদিক্রমে ।
একই গুরুর শিষ্য – সতীর্থ ।
উদগিরণর করা হয়েছে এমন--উগীর্ণ
উল্লেখ করা হয় না যা ---উহ্য
উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগের ক্ষমতা ---প্রত্যূৎপন্নমতিত্ব
উদ্দাম নৃত্য --তাণ্ডব
উর্ধ্ব থেকে নেমে আসা----অবতরণ।
ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি---ঋৃত্বিক।
ক খ
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী --কর্মঠ
কথায় বর্ণনা যায় না যা--- অনির্বচনীয়
কষ্টে নিবারণ করা যায় যা বা যা সহজে নিবারণ করা যায় না -– দুর্নিবার
কষ্টে লাভ করা যায় যা বা যা সহজে লাভ করা যায় না -– দুর্লভ
কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা--- অনিবার্য
কোন কিছুতেই ভয় নেই যার--- নির্ভীক, অকুতোভয়
কেউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে সম্মুখে সংঘটিত –- চাক্ষুষ
কৃষ্ণ পক্ষের শেষ তিথি--আমাবস্যা
কথায় যা প্রকাশ করা যায় না --অনির্বচনীয়
বলা উচিত নয় যা --অকথ্য /অবাচ্য
কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ--অধঃকায়।
কাম ক্রোধ লোভাদির বশীভূত---অজিতেন্দ্রিয়।
কখনও যা চিন্তা করা যায় না --অচিন্তনীয়
কোথাও উচু কোথাও বা নিচু---বন্ধুর

গ ঘ
গোরু রাখার স্থান--গোয়াল
গুরুুর ভাব ---গরিমা
গাছে উঠতে পটু যে --গেছো
গো দুহনকারী কন্যা --দুহিতা
গাড়ি চালায় যে --গড়োয়ান
গমন করতে পারে যে ---জঙ্গম
গমন করার ইচ্ছা ---গন্তকাম
ঘোড়ার গাড়ির চালক ---কোচওয়ান
ঘোড়া রাখার স্থান---ঘোড়াশাল
ঘোড় অন্ধকার রাত্রি---তামসী
ঘটনার বিবরণ দান ---প্রতিবেদন।
ঘোড়ার ডাক -----হ্রেষা

চ ছ জ ঝ
চৈত্র মাসের ফসল –- চৈতালি
জীবিত থেকেও যে মৃত – জীবন্মৃত
জানার ইচ্ছা – জিজ্ঞাসা
জানতে ইচ্ছুক – জিজ্ঞাসু
জ্বল জ্বল করছে যা – জাজ্বল্যমান
জয় করার ইচ্ছা – জিগীষা
জয় করতে ইচ্ছুক – জিগীষু
জানু পর্যন্ত লম্বিত – আজানুলম্বিত
তল স্পর্শ করা যায় না যার – অতলস্পর্শী
তীর ছোঁড়ে যে – তীরন্দাজ
দিনে যে একবার আহার করে – একাহারী
দীপ্তি পাচ্ছে যা – দীপ্যমান
দু’বার জন্মে যে – দ্বিজ
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার – নশ্বর
নদী মেখলা যে দেশের – নদীমেখলা
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে – নাবিক
নিজেকে যে বড়ো মনে করে – হামবড়া
নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ
বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী
বিশ্বজনের হিতকর – বিশ্বজনীন
ব্যাকরণ জানেন যিনি – বৈয়াকরণ
বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি – বৈজ্ঞানিক
বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি--- বৈদান্তিক
বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে--- জ্যেষ্ঠ
বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে--- কনিষ্ঠ
ভোজন করার ইচ্ছা--- ‍বুভুক্ষা
মৃতের মত অবস্থা যার--- মুমূর্ষু
মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়--- মুষ্টিমেয়
মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত-- মৃন্ময়
মর্মকে পীড়া দেয় যা-- মর্মন্তুদ
মাটি ভেদ করে ওঠে যা-- উদ্ভিদ
মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে-- ভাগাড়
মন হরণ করে যা- মনোহর
মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী

যা ,যে
যা দমন করা যায় না- --অদম্য
যা দমন করা কষ্টকর--- দুর্দমনীয়
যা নিবারণ করা কষ্টকর--- দুর্নিবার
যা পূর্বে ছিল এখন নেই--- ভূতপূর্ব
যা বালকের মধ্যেই সুলভ---বালকসুলভ
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে--- অযত্নলব্ধ
যা ঘুমিয়ে আছে--- সুপ্ত
যা বার বার দুলছে--- দোদুল্যমান
যা দীপ্তি পাচ্ছে---দেদীপ্যমান
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না--- অনন্যসাধারণ
যা পূর্বে দেখা যায় নি--- অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে জয় করা যায়--- দুর্জয়
যা কষ্টে লাভ করা যায়--- দুর্লভ
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে--- অধীত
যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়--- দুরধ্যয়
যা জলে চরে--- জলচর
যা স্থলে চরে--- স্থলচর
যা জলে ও স্থলে চরে--- উভচর
যা বলা হয় নি--- অনুক্ত
যা কখনো নষ্ট হয় না--- অবিনশ্বর
যা মর্ম স্পর্শ করে--- মর্মস্পর্শী
যা বলার যোগ্য নয়--- অকথ্য
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না--- অজ্ঞাতকুলশীল
যা চিন্তা করা যায় না--- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু--- বন্ধুর
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়--- ব্যয়বহুল
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- --নাতিশীতোষ্ণ
যার বিশেষ খ্যাতি আছে--- বিখ্যাত
যা আঘাত পায় নি- --অনাহত
যা উদিত হচ্ছে- --উদীয়মান
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে--- বর্ধিষ্ণু
যা পূর্বে শোনা যায় নি---- অশ্রুতপূর্ব
যা সহজে ভাঙ্গে--- ভঙ্গুর
যা সহজে জীর্ণ হয়--- সুপাচ্য
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না -– দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য
যা খাওয়ার যোগ্য--- খাদ্য
যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়--- চর্ব্য
যা চুষে খেতে হয়--- চোষ্য
যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য--- লেহ্য
যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- --পেয়
যা পানের অযোগ্য--- অপেয়
যা বপন করা হয়েছে--- উপ্ত
যা বলা হয়েছে--- উক্ত
যার অন্য উপায় নেই--- অনন্যোপায়
যার কোন উপায় নেই--- নিরুপায়
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে--- প্রত্যুৎপন্নমতি
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- --সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই--- অকুতোভয়
যার আকার কুৎসিত--- কদাকার
যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি--- অজাতশত্রু
যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি--- অজাতশ্মশ্রু
যার কিছু নেই--- অকিঞ্চন
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে--- বীতস্পৃহ
যে শুনেই মনে রাখতে পারে---শ্রুতিধর
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে--- উদ্বাস্তু
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়--- স্বয়ংবরা
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না--- বনস্পতি
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে--- হাতুড়ে
যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে--- মৃতবৎসা
যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না--- আগাছা
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে--- পরগাছা ।
যে পুরুষ বিয়ে করেছে--- কৃতদার ।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি--- অনূঢ়া ।
যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ--- রোরুদ্যমানা) ।
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না--- অপরিণামদর্শী
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে--- অবিমৃশ্যকারী।
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই--- অবিসংবাদী্
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ--- শ্বাপদসংকুল।
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়--- সর্বংসহা।
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে--- বীরপ্রসূ।
যে নারীর কোন সন্তান হয় না--- বন্ধ্যা।
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে--- কাকবন্ধ্যা।
যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে--- প্রোষিতভর্তৃকা।
যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে--- প্রোষিতপত্নীক।
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর--- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা)।
যে রব শুনে এসেছে--- রবাহুত।
যে লাফিয়ে চলে--- প্লবগ।
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি--- অসূর্যম্পশ্যা্
যে নারীর স্বামী মারা গেছে--- বিধবা।
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে--- নবোঢ়া।
যিনি বক্তৃতা দানে পটু--- বাগ্মী।
লাভ করার ইচ্ছা--- লিপ্সা।

প ফ
পাখির ডাক----কূজন।
পূর্বে যা চিন্তা করা হয় নি ---অচিন্তিতপূর্ব।
পুত্র নেই যার ---অপুত্র্।
পৃথিবীর সাথে সম্পর্কযুক্ত যা ---পার্থিব্
পান করার যোগ্য নয় ---অপেয়।
পশ্চাতে গমন করে যে ---অনুগামী।
পরাজিত করা যায় না ---অপরাজেয়।
পংক্তিতে বসার অযোগ্য --অপাংক্তেয়।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত – আপাদমস্তক।
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী – প্রিয়ংবদা।
পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে – জাতিস্মর।
পান করার যোগ্য –- পেয়।
পান করার ইচ্ছা – -পিপাসা।
পা ধোয়ার পানি---পাদ্য।
পাপ করতে যে পটু---পাপিষ্ঠ।
পশু হত্যা করে যে ---কসাই।
পরের ভালো যে দেখতে পারে না ---পরশ্রীকাতর।
পরিণাম চিন্তা করে যে কাজ করে ---পরণামদর্শী।
পুরাকালের বিষয়ে যিনি জানেন--- পুরাতা্ত্ত্বিক।
পায়ে হেঁটে গমন করে না যে ---পন্নগ।
পন্ডিত হয়েও মূর্খ যে-- -পণ্ডিতমূর্খ।
পায়ে হাঁটা---পদব্রজ।
পাঁচ মেশালি মসলা ---পাঁচফোড়ন।
পড়া হয়েছে যা ---পঠিত।
পড়ার উপযুক্ত---পঠিতব্য।
পথিকদের আহারাদি করার গৃহ--- পান্থশালা।
পূর্বকাল সম্পর্কিত---প্রাক্তন।
পূর্বে ছিল এখন নেই-- -ভূতপূর্ব।
পুনরায় জীবনপ্রাপ্ত---পুনর্জন্ম।
পরিমিত ব্যয় করে যে ---মিতব্যয়ী।
পরিব্রাজকের ভিক্ষা--- মাধুকরী।
পূর্ণিমার চাঁদ---রাকা।
পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে ---দেদীপ্যমান।
পরিমিত আহার করে যে ---মিতাহারী।
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়--- ওষধিব।
ফুল হতে জাত---ফুলেল।
ফুটছে এমন ---ফুটন্ত।
ফল প্রসব করে য়া ---ফলপ্রসু।
ফুলদিয়ে তৈরী গয়না ---পুস্পাভরণ।
ফূল সাজিযে রাখা হয় যে পাত্রে---ফুলদানি।
ফিকা কমলা রং---বাসন্তী
ফুরায় না যা ---অফুরন্ত।
বসন আলগা যার---অসংবৃত।
ফুলের বাইরের আবরন---বৃত্তি।

ব ,ভ
বেতন দেওয়া হয়না যাকে---অবৈতনিক।
বিসংবাদ নেই যাতে---অবিসংবাদিত।
বিদেশে থাকে যে ---প্রবাসী।
বিশ্বজনের হিতকর ---বিশ্বজনীন।
বহুর মধ্যে েএকটি ---অন্যতম।
বাক্য ও মনের অগোচর ---অবাঙমনসগোচর।
বর্ণনা করা যায় না যা ---অবর্ণনীয়।
বমন করার ইচ্ছা---বিবমিষা
বৃহৎ অরণ্য---অরণ্যানী
বোধ নেই যার---নির্বোধ
বসে আছে যে ---আসীন,উপবিষ্ট
বাল্যে পৌঢ় তুল্য আচরণকারী---ইঁচরে পাকা
বুকে হেটে গমন করে যে ---উরগ
বলা হয়েছে যা ---উক্ত
বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে যে---উদ্বাস্তু
বপন করা হয়েছে ---উপ্ত
বাতাসে উবে যায েএমন---উদ্বায়ী
বয়সে সবচেয়ে ছোট য---কনিষ্ঠ
বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ---জো
বীঁনার ঝঙ্কার---নিক্বন
বনের অগ্নি- -দাবানল
বাঘের চামড়া--কৃত্তি
বাঘের ডাক--হুঙ্কার
বচনে কুশল --বাগ্মী
বিবদ করে যে--- বিবাদমান
বেদ সম্বন্ধীয়---বৈদিক
বিদ্যা আছে যার---বিদ্বান
যে গাছে ফুল হয় না কিন্তু ফল হয --বনস্পতি
ব্যাকরণ জানেন যিনি--বৈয়াকরণ
বাক্যের দ্বারা কৃত কলহ--বচসা
বোনের বর --বোনাই
বিহায়াসে ( আকাশে) গমন করে যে --বিহঙ্গ,বিহগ
বৃদ্ধিপাওয়া যার স্বভাব--বর্ধিষ্ণু
বেশি কথা বলে যে --বাচাল
বহু দেখেছে যে--ভূয়োদর্শী, বহুদর্শী
বিধিকে অতিক্রম না করে -- যথাবিধি
ভিতর থেকে গোপনে ক্ষতিসাধন--অর্ন্তঘাত
ভাবা যায় না যা--অভাবনীয়
ভূ-কেন্দ্রের দিকে জড়বস্তুর অকর্ষণ--অতিকর্ষ
ভ্রমরের শব্দ--গুঞ্জন

শ স ষ হ
শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা।
শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম।
শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন।
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন।
সকলের জন্য প্রযোজ্য-- সর্বজনীন।
সকলের জন্য হিতকর-- সার্বজনীন।
স্ত্রীর বশীভূত হয় যে-- স্ত্রৈণ।
সেবা করার ইচ্ছা-- শুশ্রুষা।
হনন/হত্যা করার ইচ্ছা-- জিঘাংসা।
হরিণের চামড়া-- অজিন্।
হাতির ডাক-- বৃংহতি।
সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত--আসমুদ্রহিমাচল।
সন্ন্যাসীর আশ্রম-- আখড়া।
সংসারের প্রতি বিরাগ--নির্বেদ।
সাপের খোলস --নির্মোক।
সম্রাট বা রাজাদের বিবরণ--শাহানামা রাজাবলি।
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান --সস্ত্রীক।
শুভ ক্ষণে জন্ম যার--ক্ষণজন্মা।

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা


আমি কিংবদন্তির কথা বলছি--আবু জাফর ওবায়দুল্লা


আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল।
তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন
অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন
পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা,
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।
আমি উচ্চারিত সত্যের মতো
স্বপ্নের কথা বলছি।
উনুনের আগুনে আলোকিত
একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলছি।
আমি আমার মা’য়ের কথা বলছি,
তিনি বলতেন প্রবহমান নদী
যে সাতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে নদীতে ভাসতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মা’য়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি
গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলছি
আমি আমার ভালোবাসার কথা বলছি।
ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়
যুদ্ধ আসে ভালোবেসে
মা’য়ের ছেলেরা চলে যায়,
আমি আমার ভাইয়ের কথা বলছি।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে সন্তানের জন্য মরতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে ভালোবেসে যুদ্ধে যেতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে সূর্যকে হৃদপিন্ডে ধরে রাখতে পারে না।
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
কারণ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন।
আমরা কি তা’র মতো কবিতার কথা বলতে পারবো,
আমরা কি তা’র মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারবো!
তিনি মৃত্তিকার গভীরে
কর্ষণের কথা বলতেন
অবগাহিত ক্ষেত্রে
পরিচ্ছন্ন বীজ বপনের কথা বলতেন
সবত্সা গাভীর মত
দুগ্ধবতী শস্যের পরিচর্যার কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
যে কর্ষণ করে তাঁর প্রতিটি স্বেদবিন্দু কবিতা
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
শস্যহীন প্রান্তর তাকে পরিহাস করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মাতৃস্তন্য থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্ষুধার্ত থেকে যাবে।
যখন প্রবঞ্চক ভূস্বামীর প্রচন্ড দাবদাহ
আমাদের শস্যকে বিপর্যস্ত করলো
তখন আমরা শ্রাবণের মেঘের মত
যূথবদ্ধ হলাম।
বর্ষণের স্নিগ্ধ প্রলেপে
মৃত মৃত্তিকাকে সঞ্জীবিত করলাম।
বারিসিক্ত ভূমিতে
পরিচ্ছন্ন বীজ বপন করলাম।
সুগঠিত স্বেদবিন্দুর মত
শস্যের সৌকর্য অবলোকন করলাম,
এবং এক অবিশ্বাস্য আঘ্রাণ
আনিঃশ্বাস গ্রহণ করলাম।
তখন বিষসর্প প্রভুগণ
অন্ধকার গহ্বরে প্রবেশ করলো
এবং আমরা ঘন সন্নিবিষ্ট তাম্রলিপির মত
রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হলাম।
তখন আমরা সমবেত কন্ঠে
কবিতাকে ধারণ করলাম।
দিগন্ত বিদীর্ণ করা বজ্রের উদ্ভাসন কবিতা
রক্তজবার মত প্রতিরোধের উচ্চারণ কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
পরভৃতের গ্লানি তাকে ভূলুন্ঠিত করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
অভ্যূত্থানের জলোচ্ছ্বাস তাকে নতজানু করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
পলিমাটির সৌরভ তাকে পরিত্যাগ করবে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তিনি স্বপ্নের মত সত্য ভাষণের কথা বলতেন
সুপ্রাচীন সংগীতের আশ্চর্য ব্যাপ্তির কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
যখন কবিকে হত্যা করা হল
তখন আমরা নদী এবং সমুদ্রের মোহনার মত
সৌভ্রত্রে সম্মিলিত হলাম।
প্রজ্জ্বলিত সূর্যের মত অগ্নিগর্ভ হলাম।
ক্ষিপ্রগতি বিদ্যুতের মত
ত্রিভূবন পরিভ্রমণ করলাম।
এবং হিংস্র ঘাতক নতজানু হয়ে
কবিতার কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলো।
তখন আমরা দুঃখকে ক্রোধ
এবং ক্রোধকে আনন্দিত করলাম।
নদী এবং সমুদ্রে মোহনার মত
সম্মিলিত কন্ঠস্বর কবিতা
অবদমিত ক্রোধের আনন্দিত উত্সারণ কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে তরঙ্গের সৌহার্দ থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
নিঃসঙ্গ বিষাদ তাকে অভিশপ্ত করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মূক ও বধির থেকে যাবে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
আমি একগুচ্ছ রক্তজবার কথা বলছি।
আমি জলোচ্ছ্বাসের মত
অভ্যূত্থানের কথা বলছি
উত্ক্ষিপ্ত নক্ষত্রের মত
কমলের চোখের কথা বলছি
প্রস্ফুটিত পুষ্পের মত
সহস্র ক্ষতের কথা বলছি
আমি নিরুদ্দিষ্ট সন্তানের জননীর কথা বলছি
আমি বহ্নমান মৃত্যু
এবং স্বাধীনতার কথা বলছি।
যখন রাজশক্তি আমাদের আঘাত করলো
তখন আমরা প্রাচীণ সংগীতের মত
ঋজু এবং সংহত হলাম।
পর্বত শৃংগের মত
মহাকাশকে স্পর্শ করলাম।
দিকচক্রবালের মত
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলাম;
এবং শ্বেত সন্ত্রাসকে
সমূলে উত্পাটিত করলাম।
তখন আমরা নক্ষত্রপুঞ্জের মত
উজ্জ্বল এবং প্রশান্ত হলাম।
উত্ক্ষিপ্ত নক্ষত্রের প্রস্ফুটিত ক্ষতচিহ্ন কবিতা
স্পর্ধিত মধ্যাহ্নের আলোকিত উম্মোচন কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে নীলিমাকে স্পর্শ করতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মধ্যাহ্নের প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত হতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে সন্ত্রাসের প্রতিহত করতে পারে না।
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি শ্রমজীবী মানুষের
উদ্বেল অভিযাত্রার কথা বলছি
আদিবাস অরণ্যের
অনার্য সংহতির কথা বলছি
শৃংখলিত বৃক্ষের
উর্দ্ধমুখী অহংকারের কথা বলছি,
আমি অতীত এবং সমকালের কথা বলছি।
শৃংখলিত বৃক্ষের উর্দ্ধমুখী অহংকার কবিতা
আদিবাস অরণ্যের অনার্য সংহতি কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
যূথভ্রষ্ট বিশৃংখলা তাকে বিপর্যস্ত করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
বিভ্রান্ত অবক্ষয় তাকে দৃষ্টিহীন করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম হীনমন্য থেকে যাবে।
যখন আমরা নগরীতে প্রবেশ করলাম
তখন চতুর্দিকে ক্ষুধা।
নিঃসঙ্গ মৃত্তিকা শস্যহীন
ফলবতী বৃক্ষরাজি নিস্ফল
এবং ভাসমান ভূখন্ডের মত
ছিন্নমূল মানুষেরা ক্ষুধার্ত।
যখন আমরা নগরীতে প্রবেশ করলাম
তখন আদিগন্ত বিশৃংখলা।
নিরুদ্দিষ্ট সন্তানের জননী শোকসন্তপ্ত
দীর্ঘদেহ পুত্রগণ বিভ্রান্ত
এবং রক্তবর্ণ কমলের মত
বিস্ফোরিত নেত্র দৃষ্টিহীন।
তখন আমরা পূর্বপুরুষকে
স্মরণ করলাম।
প্রপিতামহের বীর গাঁথা
স্মরণ করলাম।
আদিবাসী অরণ্য এবং নতজানু শ্বাপদের কথা
স্মরণ করলাম।
তখন আমরা পর্বতের মত অবিচল
এবং ধ্রুবনক্ষত্রের মত স্থির লক্ষ্য হলাম।
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি স্থির লক্ষ্য মানুষের
সশস্ত্র অভ্যুত্থানের কথা বলছি
শ্রেণীযুদ্ধের অলিন্দে
ইতিহাসের বিচরণের কথা বলছি
আমি ইতিহাস এবং স্বপ্নের কথা বলছি।
স্বপ্নের মত সত্যভাষণ ইতিহাস
ইতিহাসের আনন্দিত অভিজ্ঞান কবিতা
যে বিনিদ্র সে স্বপ্ন দেখতে পারে না
যে অসুখী সে কবিতা লিখতে পারে না।
যে উদ্গত অংকুরের মত আনন্দিত
সে কবি
যে সত্যের মত স্বপ্নভাবী
সে কবি
যখন মানুষ মানুষকে ভালবাসবে
তখন প্রত্যেকে কবি।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি বিচলিত বর্তমান
এবং অন্তিম সংগ্রামের কথা বলছি।
খন্ডযুদ্ধের বিরতিতে
আমরা ভূমি কর্ষণ করেছি।
হত্যা এবং ঘাতকের সংকীর্ণ ছায়াপথে
পরিচ্ছন্ন বীজ বপন করেছি।
এবং প্রবহমান নদীর সুকুমার দাক্ষিণ্যে
শস্যের পরিচর্যা করছি।
আমাদের মুখাবয়ব অসুন্দর
কারণ বিকৃতির প্রতি ঘৃণা
মানুষকে কুশ্রী করে দ্যায়।
আমাদের কণ্ঠস্বর রূঢ়
কারণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
কণ্ঠকে কর্কশ করে তোলে।
আমাদের পৃষ্ঠদেশে নাক্ষত্রিক ক্ষতচিহ্ন
কারণ উচ্চারিত শব্দ আশ্চর্য বিশ্বাসঘাতক
আমাদেরকে বারবার বধ্যভূমিতে উপনীত করেছে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমার সন্তানেরা
আমি তোমাদের বলছি।
যেদিন প্রতিটি উচ্চারিত শব্দ
সূর্যের মত সত্য হবে
সেই ভবিষ্যতের কথা বলছি,
সেই ভবিষ্যতের কবিতার কথা বলছি।
আমি বিষসর্প প্রভুদের
চির প্রয়াণের কথা বলছি
দ্বন্দ্ব এবং বিরোধের
পরিসমাপ্তির কথা বলছি
সুতীব্র ঘৃণার
চূড়ান্ত অবসানের কথা বলছি।
আমি সুপুরুষ ভালবাসার
সুকণ্ঠ সংগীতের কথা বলছি।
যে কর্ষণ করে
শস্যের সম্ভার তাকে সমৃদ্ধ করবে।
যে মত্স্য লালন করে
প্রবহমান নদী তাকে পুরস্কৃত করবে।
যে গাভীর পরিচর্যা করে
জননীর আশীর্বাদ তাকে দীর্ঘায়ু করবে।
যে লৌহখন্ডকে প্রজ্জ্বলিত করে
ইস্পাতের তরবারি তাকে সশস্ত্র করবে।
দীর্ঘদেহ পুত্রগণ
আমি তোমাদের বলছি।
আমি আমার মায়ের কথা বলছি
বোনের মৃত্যুর কথা বলছি
ভাইয়ের যুদ্ধের কথা বলছি
আমি আমার ভালবাসার কথা বলছি।
আমি কবি এবং কবিতার কথা বলছি।
সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা
সুপুরুষ ভালবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কবিতা
জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি মুক্ত শব্দ কবিতা
রক্তজবার মতো প্রতিরোধের উচ্চারণ কবিতা।
আমরা কি তাঁর মত কবিতার কথা বলতে পারবো
আমরা কি তাঁর মত স্বাধীনতার কথা বলতে পারবো ?



বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

সমাার্থক শব্দ


Flowers in Chania

সমার্থক শব্দ । একার্থক শব্দ
প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ?

যে সকল শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে তাকে সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ বলে।

প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কখন হয়।

যে সকল শব্দ একই অর্থপ্রকাশ করে বা একই অর্থে ব্যবহার করা যায় ,তাদের বলা হয় প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলে। সমার্থক শব্দ বাংলা ভাষার এ কটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ, সৌন্দর্য রুপায়ণ,তথা ব্যাবহার মাধূর্য্যময় অবয়ব গঠনে প্রতিশব্দ গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রতিশব্দের ব্যবহারের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল।

১.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি হয়
২.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দের বার বার প্রয়োগজনিত সমস্যার সমাধার করা যায়।
৩.এর ব্যবহারে প্রকাশশৈলীতে অভিনবত্ব আসে।
৪.বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
৫.এর মাধ্যামে পাঠক নাানা ধরনের নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচয় হয়।
৭.নানা ধরনের সাহিত্য রচনায় ,কবিতায় মিল দেওয়ায, বক্তৃতা আকর্ষণীয় করার জন্য সাহিত্যের ভাবকে পাঠকের মনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন সমার্থক শব্দের প্রয়োজন পরে।

সমার্থক বা প্রতিশব্দের নমুনা :-

অক্ষম= ক্ষমতাহীন, অসমর্থ,হতবল,বলহীন,হীনবল ,অপারগ,সামর্থ্যহীন,অসহায়,অযোগ্য

অক্ষয়= চিরন্তন,ক্ষয়হীন,নাশহীন,অব্যয়,অলয় অনশ্বর ,স্থায়ী,অমর,

অঙ্গ= দেহ, শরীর ,অবয়ব,গা,গতর,দেহাংশ,আকৃতি,গাত্র

অঙ্গীকার= প্রতিজ্ঞা,সংকল্প,পণ ,শপথ,প্রতিশ্রুতি,জবান,হলফ,বাগদান।

অচেতন= অসাড়,নিশ্চেতন,সংজ্ঞাহীন, বেহুঁস,

অজ্ঞ= মূর্খ, নির্বো্ধ, অশিক্ষিত,জ্ঞানহীন,বেকুব,অজ্ঞানী

অতিরিক্ত= অত্যধিক,বেশি,মেলা,অনেক,প্রতুল,ভূরি

অতীত= গতদিন, তৎকাল ,পূর্ব,সেকাল,আগের

অত্যাচর= পীড়ন ,উৎপীড়ন,নিপীড়ন ,নির্যাতন,জুলুম

অদুশ্য= অলক্ষিত,অদৃষ্ট,অগোচর,অদেখা,নাদেখা

অধ্যয়ন= শিক্ষণ,লেখাপড়া, শিক্ষাগ্রহন,পঠন, পাঠ,জ্ঞানার্জন,বিদ্যাভ্যাস

অনন্ত= সীমাহীন,অন্তহীন,শাশত্ব,অশেষ,চিরস্থায়ী,চিরায়ত,অপার,চিরন্তন,চির,অসীম,নিরবধি,অবিনাশী

অনিবার্য= অবধারিত,অব্যর্থ,অমোঘ,দুর্নিবার,অলঙ্গনীয়,অসংবরণীয়

অনুকরণ= অনুসরণ , নকল , প্রতিরুপীকরণ,সাদৃশ্যকরণ,

অনেক= বেশি, নানা একাধিক,বহু,অঢেল,যথেষ্ট,অজস্র,

অভাব= অনটন,দারিদ্র,দৈন্য, দীনতা.দুরবস্থা,দুস্থিতি,ঘাটতি,

অগ্নি = অনল, পাবক, আগুন, দহন,সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

অন্ধকার = আঁধার, তমঃ, তমিস্রা,তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম

অখন্ড = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত,পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।

অপূর্ব= অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক,অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব,চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।

অক্ষয় = চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন,অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়,অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।

অঙ্গ = দেহ,শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র,বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি,দেহাংশ

অবস্থা= দশা, রকম, প্রকার,গতিক,হাল,স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা,ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।

আইন = বিধান, কানুন, বিহিতক,অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি,ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।

আসল= খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।

আনন্দ= হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত,সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।

আদি= প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,প্রাচীন, মূল।

অতনু= মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প

আকাশ = আসমান, অম্বর, গগন,নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ

আলোক = আলো, জ্যোতি, কিরণ,দীপ্তি, প্রভা

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

ঈশ্বর = আল্লাহ্ , খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ,
অমরেশ, পরেশ, লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক, ভগবান, ধাতা।

উঁচু = উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।

উদাহরণ = দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির,নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।

উত্তম = প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।

একতা= ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ,সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।

কপাল= ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট,নিয়তি, অলিক

কোকিল= পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

কষ্ট = মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ,সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।

খ্যাতি = যশ,প্রসিদ্ধি,সুখ্যাতি,সুনাম,নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি।

কন্যা= মেয়ে, দুহিতা, দুলালী,আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

ঘোড়া= অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

মেঘ= ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।

সূর্য = দিবাকর, প্রভাকর, ভাস্কর, রবি, তপন, দিনেশ, ভানু, রোদ, সবিতা, আদিত্য, মার্তন্ড, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, অংশু, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

পৃথিবী = ধরা, ধরাধাম, ধরণী, ধরিত্রী, ভুবন, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, বিশ্ব, পৃথিবী, দুনিয়া, জগত, সংসার, সৃষ্টি, মর্ত, মর্তধাম, মহী, মেদিনী, অবনী, স্থলভাগ, ভূ-মণ্ডল, ইহলোক

আলো = বাতি, প্রদীপ, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা,

সাগর = সমুদ্র, বারিধি, পারাবার, পাথার, বারীন্দ্র, অর্ণব, সিন্ধু, জলনিধি, জলধি, জলধর, সায়র, জলাধিপতি, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, বারীন্দ্র, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

অগ্নি = আগুন, জ্বালানি, তেজ, শিখা, অনল, বহ্নি, হুতাশন, পাবক, দহন, সর্বভূক, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

পর্বত =পাহাড়, অচল, অদ্রি, গিরি, ভূধর, শৈল, অটল, চূড়া, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র

সোনা= স্বর্ণ, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ

বন = কানন অরণ্য, জঙ্গল, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহ

পাখি = পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ

আকাশ = গগন, অম্বর, নভঃ, ব্যোম, ঊর্ধ্বলোক, মেঘমণ্ডল, আসমান, নভোমণ্ডল, খগ, অন্তরীক্ষ

অন্ধকার = আঁধার, তমসা, তিমির, তমঃ, তমিস্রা, আন্ধার,

তমস্র ঈশ্বর = সৃষ্টিকর্তা, ভগবান, বিধাতা, বিষ্ণু, আল্লাহ, খোদা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, আদিনাথ

দেবতা = অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অজর, ঠাকুর

জল = পানি, অম্বু, জীবন, নীর সলিল, বারি, উদক, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়

বৃক্ষ = গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ

বায়ু = বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ

চাঁদ = চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, সুধাংশু, হিমাংশু, চন্দ্রমা, শশী, সুধাকর, সোম, ইন্দু, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত

মানুষ = লোক,মানব, মনুষ্য, , জন, নৃ, নর

মৃত্যু = ইন্তেকাল, ইহলীলা-সংবরণ, ইহলোক ত্যাগ, চিরবিদায়, জান্নাতবাসী হওয়া, দেহত্যাগ, পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, পরলোকগমন, লোকান্তরগমন,

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, স্বর্গলাভ

মহৎ = উন্নত, উদার, মহান, বড়, বিশিষ্ট, বিশাল, বৃহৎ, মস্ত, মহানুভব, বদান্য, মহীয়ান

পণ্ডিত = বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ

চালাক = চতুর, বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, সপ্রতিভ

সাহসী = অভীক, নির্ভীক

অপূর্ব =আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, অদ্ভুত, সুন্দর

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত

খেচর=পাখি, পক্ষ ি, বিহগ, বিহঙ্গ, দ্বিজ, খগ, বিহঙ্গম , কচর, চিরিয়া

গভীর =অগাধ, প্রগাঢ়, নিবিড়, অতল , গহন, গম্ভীর ,অতলস্পর্শী, অথই

গঙ্গা=ভাগীরথী,শিবপত্নী, গোমতী , কৃষ্ণবেণী, পিনাকিনী,কাবেরী

গরু=ধেনু, গো, গাভি , পয়স্বিনী,গোরু মূর্খ

কপাল = ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

পর্দা = আড়াল, পরদা, পর্দা, যবনিকা, মশারি, অভিনয়শেষ, অবগুণ্ঠন, আবরণ, ছদ্মবেশ, ত্তড়, আচ্ছাদন, প্রাবরণ, মুড়ি, বিছানার চাদর, ঝিল্লী, জীবদেহের ঝিল্লি, উদ্ভিদ্দেহের ঝিল্লি

মাটি = ক্ষিতি, মৃত্তিকা উত্তম = সেরা, শ্রেষ্ঠ, প্রকৃষ্ট, ভালো, অগ্রণী, অতুল

দৃষ্টান্ত = উদাহরণ, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা

একতা = ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, একাত্মতা, একীভাব

পূর্ণ = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, অখন্ড, সমগ্র, সমাগ্রিক

আদি = প্রথম, প্রাচীন, মূল, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,

আইন = নিয়ম, কানুন, বিধি, বিধান, ধারা, অনুবিধি। বিহিতক, অধিনিয়ম, উপবিধি, বিল, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা আসল = প্রকৃত, খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, যথার্থ

আনন্দ = সুখ, হাসি, খুশি, হাসিখুশি, মজা, হর্ষ, হরষ, পুলক,স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ,প্রমোদ,উল্লাস, তুষ্টি

দু:খ = কষ্ট, মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস

অবস্থা = দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল

অক্ষয় = ক্ষয়হীন, চিরন্তন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী

খ্যাতি = যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী,

ফুল = পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন

পদ্ম = কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ

মেঘ = জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর

বিদ্যুত = বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা

নদী = তটিনী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী

নৌকা = নাও, তরণী, জলযান, তরী

তীর = কূট, তট, সৈকত, কূল, পাড়, পুলিন, ধার, কিনারা

ঢেউ= তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরী, বীচি, মওজ

রাত = রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা

দিন = দিবস, দিবা, দিনমান

দেহ = গা, গতর, গাত্র, তনু, শরীর, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, অঙ্গ, অবয়ব, , কাঠামো, আকৃতি

ঘর = গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান

ধন = অর্থ, বিত্ত, বিভব, সম্পদদেহ,

দ্বন্দ্ব = বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ

নারী = অবলা, কামিনী, মহিলা, স্ত্রীলোক, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, ভাসিনী, কান্তা, সীমন্তনী

স্ত্রী = পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ, অর্ধাঙ্গী, জীবন সাথী, বউ, গৃহিণী, গিন্নী

পিতা = বাবা, আব্বা, জনক,

মাতা = মা, গর্ভধারিণী, প্রসূতি, জননী, জন্মদাত্রী

পুত্র = ছেলে, তনয়, নন্দন, সুত, আত্মজ

কন্যা = মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

কোকিল = পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

গরু = গো, গাভী, ধেনু

রাজা = নৃপতি, নরপতি, ভূপতি, বাদশাহ

স্বর্গ = দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত

বিলাস = আরাম, শৌখিনতা

উঁচু = লম্বা, দীর্ঘ, মহৎ, বড় বড়, উঁচা, উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, নিরলস, অনলস, পরিশ্রমী, অদম্য, উদ্যমী, অশ্রান্ত

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম

সাপ = অহি, আশীবিষ, নাগ, ফণী, ভুজঙ্গ, সর্প, উরহ,নাগিনী, ভুজগ, ভুজঙ্গম,সরীসৃপ, ফণাধর, বিষধর,বায়ুভুক

হাতি = হস্তী, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর

ঘোড়া = অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

হাত = কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি

চুল = অলক, কুন্তল, কেশ, চিকুর

চোখ = অক্ষি, চক্ষু, নয়ন, নেত্র, লোচন, আঁখি, দর্শনেন্দ্রিয়

কান = কর্ণ, শ্রবণ লাল = লোহিত, রক্তবর্ণ

স্ত্রী=ভার্যা, পত্নী,সহধর্মিণী দার ,জায়া,বনিতা,ধর্মপত্নী

সমূহ=সকল ,বৃন্দ,নিচয়,সমুদয়,মালা, রাজি

সিংহ=পশুরাজ,কেশরী,মৃগরাজ,মৃগেন্দ্র

সাদা=শ্বেত শুভ্র,ধবল ,সফেদ,নির্মল,সহজ

সৎ=সত্য,নিত্য,সাধু,শুভ,

সম্মেলন=সভা, জমায়েত,মিটিং,বৈঠক,অধিবেশন,সমাবেশ

স্বত্ব=স্বামিত্ব,মালিকানা,অধিকার ,অংশিত্ব,প্রভুত্ব

সদস্য=সভ্য, পারিষদ,পার্ষদ,মেম্বার

সুন্দরী=রুপবতী , রুপসী,সূরুপা,

স্বভাব=নিজভাব ,চরিত্র,আচরণ ,প্রকৃতি

সাধন=সম্পাদন, উপায় , সাধনা, আরাধনা,সহায় ,সাফল্য

হাতি=গজ,হস্তী , করী , দ্বিপ, বারণ,দম্ভী,নাগ,রদী ,ঐরাবত,

হওয়া =ঘটা,জন্মানো,উৎপন্ন,বৃদ্ধি,মেলা, জোটা, বাড়া,

হীন=নীচ,অধম ,নিন্দনীয়, অবনত, গরিব, অক্ষম

হরিণ=মৃগ,কুরঙ্গ,সারঙ্গ সুনয়ন,

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা


কে

– ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত

বল দেখি এ জগতে ধার্মিক কে হয়,
সর্ব জীবে দয়া যার, ধার্মিক সে হয়।
বল দেখি এ জগতে সুখী বলি কারে,
সতত আরোগী যেই, সুখী বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে বিজ্ঞ বলি কারে,
হিতাহিত বোধ যার, বিজ্ঞ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে ধীর বলি কারে,
বিপদে যে স্থির থাকে, ধীর বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে মূর্খ বলি কারে,
নিজ কার্য নষ্ট করে, মূর্খ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে সাধু বলি কারে,
পরের যে ভাল করে, সাধু বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে জ্ঞানী বলি কারে,
নিজ বোধ আছে যার জ্ঞানী বলি তারে।
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

শুভেচ্ছা বার্তা

সকল বাঙ্গালীর হৃদয়
র্স্পশ করা পহেলা বৈশাখের  এই দিনটিতে 
সবাইকে শুভেচ্ছা
”শুভ নবর্বষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ ”



সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা

গেয়র্গ ট্রাকলের কবিতা 
    রাজু  আলাউদ্দিন অনুদিত


বাতায়নের সামনে সাদা তুষার ঝরে পরে ,   

উচ্চরোলে সান্ধ্যকালীন ঘণ্টা বেজে ওঠে ,
অনেকেরই জন্য টেবিল সাজিয়ে রাখা আছে,
ঘরের মধ্যে অথৈ আয়োজন।

তমসাময় পথের মাথায়  এসে
প্রবেশ করে অনেক পান্থজন
এই পৃথিবীর শীতল রস থেকে
দয়াাময়ী বৃক্ষ ফোটায় সোনালী সম্ভার।

শান্ত পায়ে পান্থ প্রবেশ করে;
প্রবেশ-পথ তীব্র ব্যথায় অসাড় হয়ে আছে।
দিব্য আলোর  টেবিলে ওই রুটি এবং মদ
দীপ্ত হেয়ে  ওঠে।



   ট্রাম্পেট

মুণ্ড- ছাট উইলোর নীচে খেলে বাদামী শিশুরা
উইলোর মাথা জুড়ে সতুন পাতার উদগম,
ট্রাম্পেটের সুর ভেসে যায় ।
কেঁপে ওঠে চার্চ -প্রাঙ্গন।মেপল  বৃক্ষের বিলাপের মধ্যে দিয়ে
গাঢ় লাল পতাকারা আলোড়িত হয়,
বাইরে মাঠের কাছে অশ্বারোহীরা ,
ঘানিগুলো শুন্য পরে আছে।
কিংবা রাতের বেলা গান গায় মেষপালকেরা ,

পুরুষ হরিণগুলো নিজেদের আগুনের আলোর ভিতরে ঢুকে যায় ,
অরণ্যর প্রবীন বিলাপ;
কালো দেয়ালের সামনে নৃত্যশীল মানুষের ভীড় জমে ওঠে;
গাঢ় লাল পতাকায় ,পাগলামিতে,
হাস্য আর ট্রাম্পেটের হল্লায় মুখরিত প্রান্তরখানি।



ঘুম

অভিশপ্ত  কালো বিষ , তুমি,
সাদা ঘুম।
সন্ধ্যার আবরণে বিরল বাগানগুলো
বাদুর , ঊর্ণনাভ,
রাত্রির পোকা আর বিষাক্ত সাপের  দখেলে।

আগন্তুক,সূর্যাস্তের রক্তিমাভায়
তোমার হারানো ছায়া।
বেদনার লোনা দরিয়ায়
বিষন্ন জাহাজ।
অয়োময় বিধ্বস্ত নগরীর উপর দিয়ে
রাত্রির শেষে দিকে সাদা পাখি
উড়ে চলে যায়।

ধ্বনি বর্ণ

মানুষের সাথে মানুষের সামাজিকতা রক্ষায় তার প্রধান উাপায় হল মূখ খোলা আওয়াজ করা  আর সে ধ্বণিগুলোর একমাত্র শর্ত হচ্ছে  তার অর্থ থাকা চাই। কেবল অর্থপূর্ন আওয়াজকে ধ্বণি বলে।
 ভাষার মৌলিক উপাদান হল ধ্বণি। ভাষা হচ্ছে বাগযন্ত্রের সাহায্যে  উচ্চারিত ধ্বনির সমষ্টি।

ধ্বণি এবং বর্ণ

আমরা যখন কথা বলি ধ্বনি সাজিয়ে আর আমরা  যখন কাগজে লিখি বর্ণের পর  বর্ণ সাজিয়ে ।অর্থাৎ বর্ণের মাধ্যমে ভাষার শব্দ চিত্ররূপে অঙ্কিত করা হয়।
বর্ণ: যে সাব প্রতীক বা চিহ্ন দিয়ে ধ্বনি নির্দেশ করা হয় তাকে বর্ণ বলে।
বর্ণমালা : বাংলা ভাষায় যতগুলো বর্ণচিহ্ন ‍রহিয়াছে তাদের কে একত্রে বর্নমালা বলা হয়।
যে সমস্ত বর্ণ বাংলা স্বরধ্বণিগুলিকে উপস্থাপিত করে তারা স্বরবর্ণ তেমনি যে সকল বর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ গুলিকে নির্দেশ করে তাকে ব্যঞ্জন বর্ণ বলে
প্রত্যেক ভাষার ব্যবহৃত ধ্বনিগুলিকে বিচার  করলে কতগুলো ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য ধ্বনি  একক পাওয়া যায়। এদের বলা হয় ধ্বনিমূল বা মৌলিক ধ্বণি
বাংলা ভাষায় ধ্বণি  মূলকে ‍দুটো ভাগে ভাগ করা যায় : ১ .স্বর ধ্বণি ২.ব্যঞ্জনধ্বনি  যথাক্রমে-স্বরবর্ণ
  ব্যাঞ্জনবর্ণ বলা হয়।

বাংলা বর্ণমালা :
১. স্বর বর্ণ: অ আ ই ঈ উ ঊ  ঋ এ ঐ ও ঔ

২.ব্যঞ্জনবর্ণ:
ক খ গ ঘ ঙ
চ ছ জ ঝ ঞ
ট ঠ ড ঢ ণ
ত থ দ ধ ন
প ফ ব ভ ম
য র ল
শ ষ স হ
ড় ঢ় য়
ৎং ঃ  ঁ
--------------------
মোট- ১১+৩৯= ৫০টি

বাংলা ভাষায় মাত্রা




রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা

কবিতা
খাঁদু দাদু
..........কাজী নজরুর ইসলাম
ও মা! তোমার বাবার নাকে কে মেরেছে ল্যাং?
খ্যাঁদা নাকে নাচছে ন্যাদা- নাক ড্যাঙ্গা-ড্যাং- ড্যাং!
ওঁর নাকতাকে কে করল খ্যাঁদ্যা রাঁদা বুলিয়ে?
চামচিকে- ছা ব'সে যেন ন্যাজুড় ঝুলিয়ে।
বুড়ো গরুর টিকে যেন শুয়ে কোলা ব্যাং।
অ মা! আমি হেসে মরি, ন্যাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।

ওঁর খ্যাঁদা নাকের ছ্যাঁদা দিয়ে টুকি কে দেয় 'টু'!
ছোড়দি বলে সর্দি ওটা, এ রাম! ওয়াক! থুঃ!
কাছিম যেন উপুড় হয়ে ছড়িয়ে আছেন ঠ্যাং!
অ মা! আমি হেসে মরি, ন্যাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।

দাদু বুঝি চিনাম্যান মা, নাম বুঝি চাং চু,
তাই বুঝি ওঁর মুখটা অমন চ্যাপটা সুধাংশু।
জাপান দেশের নোটীশ উনি নাকে এঁটেছেন!
অ মা! আমি হেসে মরি, ন্যাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।

দাদুর নাকি ছিল না মা অমন বাদুড়- নাক
ঘুম দিলে ঐ চ্যাপটা নাকেই বাজতো সাতটা শাঁখ।
দিদিমা তাই থ্যাবড়া মেরে ধ্যাবড়া করেছেন!
অ মা! আমি হেসে মরি, ন্যাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।

লম্ফানন্দে লাফ দিয়ে মা চলতে বেঁজির ছা
দাড়ির জালে প'ড়ে দাদুর আটকে গেছে গা,
বিল্লি- বাচ্চা দিল্লি যেতে নাসিক এসেছেন!
অ মা! আমি হেসে মরি, ন্যাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।

দিদিমা কি দাদুর নাকে টাঙাতে 'আলমানাক'
গজাল ঠুঁকে দেছেন ভেঙ্গে বাঁকা নাকের কাঁখ?
মুচি এসে দাদুর আমার নাক করেছেন 'ট্যান'!
অ মা! আমি হেসে মরি, ন্যাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।

বাঁশির মতন নাসিকা মা মেলে নাসিকে,
সেথায় নিয়ে চল দাদু দেখন -হাসিকে!
সেথায় গিয়ে করুন দাদু গরুড় দেবের ধ্যান,
খাঁদু দাদু নাকু হবেন, নাক ডেঙ্গাডেং ড্যাং।


তোমারে পড়িছে মনে - প্রেমের কবিতা, বিরহের কবিতা
- কাজী নজরুল ইসলাম
তোমারে পড়িছে মনে
তোমারে পড়িছে মনে
আজি নীপ-বালিকার ভীরু-শিহরণে,
যুথিকার অশ্রুসিক্ত ছলছল মুখে
কেতকী-বধূর অবগুন্ঠিত ও বুকে-
তোমারে পড়িছে মনে।
হয়তো তেমনি আজি দূর বাতায়নে
ঝিলিমিলি-তলে

ম্লান লুলিত অঞ্ছলে
চাহিয়া বসিয়া আছ একা,
বারে বারে মুছে যায় আঁখি-জল-লেখা।
বারে বারে নিভে যায় শিয়রেরে বাতি,
তুমি জাগ, জাগে সাথে বরষার রাতি।

সিক্ত-পক্ষ পাখী
তোমার চাঁপার ডালে বসিয়া একাকী
হয়ত তেমনি করি, ডাকিছ সাথীরে,
তুমি চাহি' আছ শুধু দূর শৈল-শিরে ।।
তোমার আঁখির ঘন নীলাঞ্জন ছায়া
গগনে গগনে আজ ধরিয়াছে কায়া । ...
আজি হেথা রচি' নব নীপ-মালা--
স্মরণ পারের প্রিয়া, একান্তে নিরালা
অকারণে !-জানি আমি জানি
তোমারে পাব না আমি। এই গান এই মালাখানি
রহিবে তাদেরি কন্ঠে- যাহাদেরে কভু
চাহি নাই, কুসুমে কাঁটার মত জড়ায়ে রহিল যারা তবু।
বহে আজি দিশাহারা শ্রাবণের অশান্ত পবন,
তারি মত ছুটে ফেরে দিকে দিকে উচাটন মন,
খুঁজে যায় মোর গীত-সুর

কোথা কোন্ বাতায়নে বসি' তুমি বিরহ-বিধুর।
তোমার গগনে নেভে বারে বারে বিজলীর দীপ,
আমার অঙ্গনে হেথা বিকশিয়া ঝরে যায় নীপ।
তোমার গগনে ঝরে ধারা অবিরল,
আমার নয়নে হেথা জল নাই, বুকে ব্যথা করে টলমল।
আমার বেদনা আজি রূপ ধরি' শত গীত-সুরে
নিখিল বিরহী-কন্ঠে--বিরহিণী--তব তরে ঝুরে!
এ-পারে ও-পারে মোরা, নাই নাই কূল!
তুমি দাও আঁখি-জল, আমি দেই ফুল!
কাজী নজরুল ইসলাম
কাব্যগ্রন্থ - চক্রবাক

.

কবিতা

বিদ্রোহী
--কবি কাজী নজরুল ইসলাম

          বল বীর-
বল উন্নত মম শির !
শির নেহারী আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর! 
বল বীর -
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার ‘আসন’ আরশ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির !
আমি চিরদুর্দম,দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ , আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস !
আমি মহাভায় , আমি অভিশাপ পৃথ্বীর ,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার !
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
অামি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল !
আমি মানি না কো কোনো আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঞড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী -সুত বিশ্ব-বিধাতৃর !

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির !
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই , আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাণ্বীর ,আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল ,
আমি চল-চঞ্চল , ঠমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দেই তিন দোল ;
আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল।
আমি তাই  করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’
করি শত্রুর সাথে গলাগলি , ধরি মৃত্যুর  সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা !
আমি মহামারী , আমি ভীতি এ ধরীত্রির ;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির !আমি চির-দূরন্ত দুর্মর
আমি দূর্দম মম প্রাণের  পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ। আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ , আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি , আমি ধ্বংস , আমি লোকালয় , আমি শ্মশান,
আমি অবসান , নিশাবসান। আমি ঈন্দ্রাণী -সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য়
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের  বাঁশরী আর হাতে রণ তূর্য ;আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমমেশ , ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল  বাীর -
চির-উন্নত মম শির ! আমি সন্ন্যাসী সুর  সৈনিক,
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান  গৈরিক।
অামি বেদুইন , আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া  করি না কাহারে কূর্ণিশ।
আমি বজ্র , আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার,
অামি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল , ধর্মরাজের দণ্ড,
আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচণ্ড !
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বমিত্র-শিষ্য,
আমিদাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।
আমি প্রাণ -খোলা  হাসি উল্লাস, আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস
আমি মহাপ্রলয়ের দ্বদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত , কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ , আমি বিধির দর্পহারী!
আমি প্রভঞ্জনের  উচ্ছাস আমি বরিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল , আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল ঊর্মির হিন্দোল-দোল! আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী , তন্বী নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম , আমি ধন্যি ! আমি উন্মন, মন-উদাসীর ,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর।
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের ,
আমি অবমানিতের  মরম-বেদনা , বিষ-জ্বালা , প্রিয় লাঞ্ছিতি বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা , ব্যাথা সূনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর -কম্পন আমি থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর !
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা , তাঁর কাঁকণ-চুড়ির কন্-কন্।
আমি চির শিশু, চির কিশোর ,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচল কাচুলি নিচোর !
আমি উত্তর-বায়ু মলয় -অনিল  উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির ,গভীর রাগিণী,বেণু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা ,  আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়াছবি!
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি , এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ !
আমি সহসা আমারে চিনেছি , আমার খুলিয়া  গিয়াছে সব বাঁধ ! আমি উহ্থান, আমি পতন , আমি অচেতন
চিতে চেতন,
আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী , মানব -বিজয় -কেতন।
ছুটি ঝড়ের মতন করতালী দিয়া
স্বর্গ মর্ত্য-করতলে ,
তাজী বোরবাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলো ! আমি বসুধা -বক্ষে আগ্রেয়াদ্রী, বাড়ব বহ্নি, কালানল ,
আমি পাতালে মাতাল ,অগ্নি-পাথার -কলরোল-কল কোলাহল !
আমি তড়িতে চড়িয়া , উড়ে চলি  জোড় তুড়ি দিয় দিয়া লম্ফ,
আমি ত্রাস সঞ্চারি, ভুবনে সহসা , সঞ্চারি ভূমিকম্প। ধরি বাসুকির ফণা জাপটি-
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের  পাখা সাপটি। আমি দেবশিশু , আমি চঞ্চল ,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া  ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!
আমি অর্ফিয়াসের  বাঁশরী,
মহা-সিন্ধু উতলা ঘুমঘুম
ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম
মম বাঁশরীর তানে পাশরি।
আমি শ্যমের হাতের বাঁশরী । আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া ,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোযখে নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া !
আমি বিদ্রোহ-বাহী  নিখিল অখিল ব্যাপিয়া ! আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরনীরে কর বরণীয়া, কভূ বিপুল ধ্বংস ধন্যা-
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষহইতে যুগল কন্যা !
আমি অন্যায় , আমি উল্কা , আমি শনি,
আমি ধুমকেতু জ্বলা,  বিষধর কাল-ফণী!
আমি ছিন্নমস্তা চণ্ডী , আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে  বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি ! আমি মৃন্ময় , আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয় ,  আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির -দুর্জয়,
জগদীশ্বর -ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ--পাতাল মর্ত্যে!
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ।
আমি সহসা আমারে চিনেছি , আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধা !
আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার ,
        নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদারা!
আমি হল বলরাম-স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি’ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।
মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল ,আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না ,
অত্যাচারীর খকড়গ কৃপাণ ভমি রণ -ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত !
আমি বিদ্রোহী ভূগু, ভগবান বুকে ্ এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্ট্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন !
আমি চির -বিদ্রোহী বীর-
        বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির !
[অগ্নি-বীণা]

wkpdm=nor-c,nora.toua
-------🌿------

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা বানানের নিয়ম ‘ম’ ফলা


◼️প্রশ্নঃ বাংলা বানানের ক্ষেত্রে `ম’ ফলার নিয়ম গুলো আলোচনা কর।
১.পদের প্রথমে ব্যঞ্জনবর্ণের ‘ম’ ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত তার কোন উচ্চারণ হয় না , যেমন স্মরণ (শঁরোন্)  শ্মশান (শঁশান্) স্মৃতি (সৃঁতি)
২.পদের মধ্যে বা অন্তে ‘ম’ –ফলা সংযুক্ত বর্ণের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে থাকে। `ম' যেহেতু নাসিক্য ধ্বনি সেজন্য দ্বিত্ব উচ্চারিত শেষ ধ্বনি সামান্য নাসিক্য প্রভাবিত হয়। ছদ্ম (ছদদোঁ) পদ্ম (পদদোঁ) আত্ম (আততোঁ) আকস্মাৎ(আকশশাঁত) রশ্মি(রোশশিঁ)
৩.কিন্তু বাংলা ভাষায় পদের মধ্যে কিংবা অন্তে সর্বত্র  ‘ম’ ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয় না ।
যেমনঃ-
গ+ম-ফলা : বাগ্মী, যুগ্ম(জুগমো)
ঙ+ম-ফলা: বাঙ্ময়, বাঙ্ময়ী(বাঙ্ মোয়ী)
ট্+ম-ফলাঃ কুট্মল (কটমল্)কুট্মলিত(কটমোলিত)
ণ+ম-ফলাঃ হিরণ্ময়(হিরন্ ময়)ষাণ্মাসিক(শান্ মাসিক্)
ন্+ম-ফলাঃ উন্মাদ উন্মার্গ চিন্ময় জগন্ময় জন্ম মৃন্ময়
ম্+ম-ফলাঃ সম্মান , সম্মতি সম্মামনা
ল্+ম-ফলাঃ গুল্ম বাল্মীকি
৪.যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘ম’ ফলার উচ্চারণ হয় না , তবে এ ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের শেষ বর্ণটিকে প্রমিত উচ্চারণে সামান্য সানুনাসিক করে তোলে যথা: সূক্ষ্ম লক্ষ্মী (ল+ক+ষ+ম+ী ) লক্ষ্মণ (ল+ক+ষ+ম+ণ) {লক্ খোঁন্} এখানে ম অক্ষরটি বানানে থাকলেও উচ্চারণ  হয়নি ।
৫.এছাড়া বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কতিপয় ‘ম’ ফলা যুক্ত বানান ও উচ্চারণে সাংস্কৃতি রীতি অনুসৃত।কুস্মান্ড , স্মিত আয়ূস্মতী ইত্যাদি।

◼️প্রশ্ন:-বাংলা বানানে ঙ ,ঞ ধ্বনির উচ্চারণ এর নিয়ম লেখ।
১.  ঙ এবং ং এর উচ্চারণ অং হয় । যেমন ব্যাঙ (ব্যাং)বাঙালি (বাংআলি) বঙ্কিম (বংকিম) রঙ (রং)
২. ঞ এর উচ্চারণ তিন রকম হয় ।
৩ স্বতন্ত্র ঞ এর মতো যেমন মিঞা(মিয়া) মিঞ (মিঁয়ো)
৪.  যুক্ত ঞ+চ/ছ/জ/ঝ- ন এর মতো উচ্চারণ হয় যেমন: অঞ্চল (অনচল) বাঞ্ছা (বানছা) ব্যঞ্জন (ব্যানজোন) ঝঞ্ঝা(ঝনঝা)
আর যদি জ+ঞ হয়  তাহলে উচ্চারণ হবে গ বা গূগঁ এর মতো যেমন জ্ঞান (গ্যাঁন),যজ্ঞ (যোগগোঁ) জ্ঞানী জ্ঞাতো বিজ্ঞ বিজ্ঞপ্তি,বিজ্ঞান,অকৃতজ্ঞ,
জ্ঞাতি,(গ্যাঁতো) জ্ঞাতব্য,জিজ্ঞাস্য [এসকল বানানের ক্ষেত্রে জ+ঞ=গ গগঁ এর উচ্চারণ হব]



  
বাংলা ১ম পত্র  প্রশ্ন

   বিষয়:বাংলা ১ম পত্র                                                         পূর্ণ মান৭০ কোড-১০১

 [ বি:দ্য  ডান পাশের সংখ্যায় পূর্ণমান জ্ঞাপক ক-বিভাগ হতে ৩টি, খ-বিভাগ হতে ৩টি এবং গ-বিভাগ হতে ১টি সর্মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ দুষণীয়]

              ক-বিভাগ(গদ্য)
. বান্দবান সরকারি মহিলা কলেজ প্রঙ্গণে ‘রকস মিউজিয়ম’ অবস্থিত। রকস  মিউজিয়মে বাঙালি
সংস্কৃতির বহু পুরনো লোকজ উপাদান সংরক্ষিত রয়েছে । বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে ।এই মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বহু বছরের পুরনো বাঙালি জাতির ব্যবহৃত অস্ত্রাদি,তৈজসপত্র,গীতবাদ্য ,নৃত্যে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, জলযান হিসেবে ব্যবহৃতহ নৌকা এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বিভিন্ন আকৃতির পাথর ও কোহিনূর শিলালিপি । বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশনস্বরুপ।

ক.পাশ্চাত্যদেশে জাদুঘরতত্ত্ব কী বিষয় হিসেবে বিকশিত?                                 ১
খ.‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী? ব্যাখ্যা করো ।                                                ২
গ.উদ্দীপকে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তুলে ধরো ।  ৩
ঘ.“বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশন স্বরুপ।” মন্তব্যটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন করো ।      ৪

২.নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায় ।অনুভুতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে।তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম ;পার্থক্য কেবল তরুলতা ও জীব জন্তুর বৃদ্ধির ওপর তাদের নিজেদের কোন হাত নেই,মানুষের বৃদ্ধির ওপর তার নিজের হাত রয়েছে।আর এখানেই মানুষের মর্যাদা ।মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয় আত্নিকও । মানুষের আত্না সৃষ্টি  করে নিতে হয় , তা তৈরি পাওয়া যায় না ।

ক.পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর কোথায় ছিল ?         ১
খ.জাদুঘরের প্রথান কাজ কি ?                  ২
গ.উদ্দীপকটির সাথে জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়গত অনৈক্য রয়েছে । আলোচনা কর ।     ৩
ঘ.বৃক্ষের মতো জাদঘরও আমাদেরকে সার্থকতার গান শোনায ।’—তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।  ৪

৩.মুক্তিযোদ্ধা  রুমি তার মামার নিকট আগরতলা থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই জুন তারিখে একটি চিঠি লেখ্ তার কিছু অংশ- প্রিয় পাশা মামা
আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লরছি ।আমরা জয়ী হব । আমাদের সবার জন্য দোয়া করো । কি লিখব বুঝতে পারছি না-কত কী নিয়ে যে লেখার আছে।নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ,ভয়াবহ ধ্বংসের  যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য।ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত বরেছে, মানব ইতহাসে যার তুলনা নেই।আর  নিউটন যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব। 

ক.রইনকোট গল্পটি কত খ্রিষ্ট্রাব্দে প্রকাশিত হয়?   ১
খ.‘মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর  রেইনকোটের ওপর।’একথা কেন বলা হয়েছে।   ২
গ.উদ্দীপকের  রুমি ‘রেইনকোট’ গল্পের  কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ? বর্ণনা  দাও।     ৩
ঘ.উদ্দীপকটি  ‘রেইনকোট’ গল্পের সামগ্রিক  দিক ধারণ করতে পেরেছে কি ? যুক্তিসহ প্রতিপন্ন করো ।   ৪

৪.‘হে দরিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের সন্মান।’

ক. ‘নেকলেস’ গল্পটিতে কে দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারেন?                  ১
খ. দারিদ্রের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবসথা কেমন হয়েছিল?        ২
গ. কবিতাংশে কবির ভাবনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য নিরুপণ করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের চেতনার বিষয়টি মাদাম লোইসেলের মধ্যে থাকলে তাঁর পরিণতি হতো ভিন্ন”-মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।                                                                 ৪

৫.মানুষের চেয়ে বড় আকৃতির অসংখ্য প্রাণী পৃথিবীতে আছে,কিন্তু তাদের  বিবেক আর বিবেচনা করার শক্তি নেই। ফলে তারা ভালো-মন্দ পৃথক করার ক্ষমতা রাখে না।বস্তুত মনই হচ্ছে সভ্যতার ও সমাজের মূল স্তম্ভ ।প্রাণের দিক থেকে মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর নানা সাদৃশ্য আছে ,কিন্তু মনের দিক থেকে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য ।আর ।এই স্বাতন্ত্র্য বা বৈসাদৃশ্যের মূল কারন হচ্ছে ক্ষমাশীলতা ।

ক.সকল প্রাণীর মূল গঠন উপাদান কী ?     ১
খ.‘না, মানুষকে নেওয়া ঠিক হবে না।’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?   ২
গ.উদ্দীপকের মানুষের সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে বর্ণিত মানুষের বৈসাদৃশ্য কোথায়?ব্যাখ্যা করো।                                                                     ৩
ঘ.‘সুবিবেচক হলে মানুষ সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত’তুমি কি মন্তব্যটির সাথে একমত?উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলল্বনে বিশ্লেষণ করো।                     ৪
                                  খ-বিভাগ(পদ্য)

৬.পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে মানুষকে বলা হয়েছে –‘অমৃতস্য পুত্রা’আশরাফুল মাখলুকাত’।বিজ্ঞানেও বলা হয়েছে-homo sapiens একমাত্র মানুষেরই রয়েছে সভ্যতা এবং সে সভ্যতার চোখ ঝলসানো অগ্রগতি।আবার মানুষের সামনেই রয়েছে হিরোসিমা ও নাগাসাকির ধ্বংসযজ্ঞ ।ইসরায়েলি গোলার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ফিলিস্তিন।মার্কিন হামলার বিধ্বস্ত ইরাক, আফগানিস্তান  প্রস্তুত রয়েছে আমাদের এই পৃথিবরি মতো কুড়িটি পৃথিবী মাত্র দশ মিনিটে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার মতো মারণাস্ত্র্ কবি তাই
যথার্থই বলেন-মানুষ আত্নভেদী আত্ননাশী নীলপতঙ্গ।
একদিন পাঁজরের হাড় দিয়ে গড়েছে এ পৃথিবী
একদিন মানুষই ধ্বংস করবে তাক।

ক.প্রণিজগত একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী কোনটি ?   ১
খ.‘ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে আসলে কোন মৌলিক পাথর্ক্য নেই –ব্যাখ্যা করো ।  ২
গ.উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্পে পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে মানুষকে শ্রেষ্ঠ ও বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গ্রহণ না করার যৌক্তিকতাকে সমর্থন করে ?তুলে ধরো।            ৩
ঘ.‘মানবসভ্যতার ভালো-মন্দের দায় একমাত্র মানুষেরেই’-উদ্দীপক এবং ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলম্বনে সিদ্ধান্তটি পযার্লোচনা করো।                      ৪
৭.কবির  পক্ষে সমাজকে বোঝা দরকার, কবিতার অস্থিরতার ভেতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কার জ্ঞান।কাল বা সময় বৈনাশিক;কিন্তু সে সেই সমস্ত কুয়াশাগুলোকেই কেটে কেটে চলছে,যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপ্তি বাড়াবার পক্ষে অন্তরায়ের মতো।এই সমস্ত চেতনা নিয়েই মানবতার ও কবিমানসের ঐতিহ্য।
ক.কবিতার মুক্ত শব্দগুলো কোথা থেকে উচ্চারিত হয় ?  ১
খ.পূবর্পুরুষ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?      ২
গ.উদ্দীপকের ইতিহাস চেতনা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’কবিতায় কোন পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে তা তুলে ধরো।  ৩
ঘ.“উদ্দীপকের মানবতাও কবিমানস ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ।”বিশ্লেষণ করো ।৪
৮.পুকুরের ঘাটে বসে কবিতার বই  পড়ছিল রাশেদ।হঠাৎ তার বন্ধু অর্ক এসে বিদ্রুপ ভরা কণ্ঠে বলল-এত কবিতা পড়ে কী হবে?পুকুরে সাঁতার কাটি। রাশেদ মাথা তুলে বলল-শোন,যে কবিতা পড়ে না ,সে সাঁতার কাটায় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।

ক.আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কোন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন ? ১
খ.যে কবিতা শুনতে জানেনা ,সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না কেন?        ২
গ.উদ্দীপ ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য চিহ্নিত করো ।        ৩
ঘ.‘যে কবিতা পড়ে না ,সে সাঁতার কাটায় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়’‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার অালোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।                             ৪

৯.বনের পাখি বলে,‘খাচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।’
খাঁচার পাখি বলে,‘বনের পাখি,আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলি।’
বনের পাখি বরে না,
আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।’
খাঁচার পাখি বলে ‘হায়
আমি কেমনে বনে বাহিরিব।’

ক.‘লোক-লোকান্তর ‘কবিতায় কবির চেতনারুপ পাখি কীসের ডালে বসে আছে।   ১
খ.‘মাথার ওপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে দোলে বন্য পানপাতা..‘চরণটির মধ্য দিয়ে কী প্রকাশ পেয়েছে?  ২
গ.উদ্দীপকের খাঁচার পাখি এবং ‘লোক-লোকান্তর ‘কবিতার পাখির মধ্যে বৈসাদৃশ্য নিরুপণ করো।   ৩
ঘ.“উদ্দীপক ও ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতা উভয় ক্ষেত্রেই পাথি মুক্তির প্রতীক।”উক্তিটি বিশ্লেষণ কর ।  ৪

১০.বাঙালি বহু রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে অর্জিত করেছে স্বাধীন এক রাষ্ট্র। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ,ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুহ্থান এবং অবশেষে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির প্রতিবাদী সত্তার পরিচালক। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে স্বধীনতার ডাক দিয়ে বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন  বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন মাতৃভূমি।
ক. কত বঙ্গাব্দে নূরলদীনের ডাকে মানুষ জেগে উঠেছিল?   ১
খ. ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’-কেন?   ২
গ.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকের সাথে ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।  ৩
ঘ.‘বাঙালি জাতি চিরকালই শোষণের বিরোদ্ধে সোচ্চার’ উদ্দীপক ও ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো ।  ৪
                            গ বিভাগন (লালসালু উপন্যাস)
১১.উত্তরাঞ্চলকে অনেকেই বলেন ,‘বাহেরমুল্লুক’। সেই ‘বাহেরমুল্লুকের’ অনেক স্থানই  ফি-বছর তিস্তা-ব্রহ্মপু্ত্রের ভায়াল ভাঙনের কবলে পড়ে।এই ভাঙন কবলিত গৃহহীন মনসুর মিয়া সপরিবারে চলে যান সূদুর –দক্ষিণের দ্বীপাঞ্চলে। সেখানে ভেজষ চিকিৎসকের পেশায় তাঁর অল্পদিনেই সুনাম হয় ।জটিল রোগীর  আগমন ঘটলে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। উপার্জনের পয়সায় দ্বিপাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্যে স্কুল প্রতিষ্ঠার কথাও ভাবেন।

১২.ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে।বন্ধুদের সঙ্গে ছুটোছুটি করা ,অবাধে সাঁতার কাটা তার আনন্দের কাজ।তার বাবা অভাবের  তাড়নায় ‍ওয়াসিকাকে পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন।লোকটি গ্রামের মাতব্বর ।তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও চঞ্চল ও স্বাধনিচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।

ক.ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল?   ১
খ.‘সজোরে নড়তে থাকা পাখাটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. ওয়াসিকা লালসালু উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ-ব্যাখ্যা কর।                           ৩
ঘ.উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি –মূল্যায়ন কর ।                                                                                   ৪


বাংলা ১ম পত্র ঢাকা বোর্ড প্রশ্ন ২০১৮ সাল


এইচ এস সি প্রশ্ন 








বাংলা ২য় পত্র প্রশ্ন ২০১৮