শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়ায় এমন খাদ্য


১০ টি উপায়ে বৃদ্ধি করুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি অসুস্থতার হিড়িক পড়ে যায়। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ। এমন সমস্যাগুলোর কারণ একটাই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। আসুন, আজ জেনে নেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো।

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:৪১ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮, ১৬:০১

ছবি সংগৃহীত

প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি অসুস্থতার হিড়িক পড়ে যায়। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ। এমন সমস্যাগুলোর কারণ একটাই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে আমাদের শরীর পরিবেশের সাথে ঠিক খাপ খাওয়াতে পারে না, ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অসুস্থতার ব্যাপারটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি আমাদের পড়াশোনা এবং পেশাগত ক্ষেত্রেও তা সৃষ্টি করে বিড়ম্বনা। ভাবছেন কী করে এড়ানো যায় এই অসুস্থতা? একেবারেই সহজ। নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে তুলুন শক্তিশালী, এসব মৌসুমি রোগ-বালাই আপনাকে আর বিরক্ত করতে পারবে না। দেখে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলার ১০ টি কার্যকরী কৌশল।

১) খাবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করবেন না শরীরের যেসব কোষ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম, তাদের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় চিনি। এ কারণে খাবারে অতিরিক্ত চিনি মেশাবেন না। কোমল পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এর বদলে চিনি ছাড়া ফলের রস, চা এবং সাধারণ পানি দিয়ে তৃপ্তি মেটান। এতে যেমন শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাবে, তেমনি থাকবে ভেতর থেকে পরিষ্কার।

২) স্ট্রেস নেবেন না কিছু পরিমাণ স্ট্রেস জীবনেরই অংশ। কিন্তু এই স্ট্রেস যদি আপনাকে অসুস্থ করে ফেলে তবে বুঝতে হবে জীবন থেকে স্ট্রেস ঝেঁটিয়ে বিদায় দেবার সময় এসেছে। খুব বেশি স্ট্রেসের মাঝে থাকলে মানুষ ঠাণ্ডা, সর্দি, জ্বর এমনকি আরও গুরুতরস অব অসুখে পড়তে পারে। ক্রমাগত স্ট্রেস নিতে থাকলে শরীর কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনে ভরে যায়, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। স্ট্রেস বেশি নেবেন না, ধ্যান করুন, বুক ভরে শ্বাস নিন এবং যে সব কাজ বা মানুষ আপনার স্ট্রেস বাড়িয়ে চলেছে তাদেরকে জীবন থেকে ছাঁটাই করে দিন। ৩) আদা-রসুন

আদা একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ, যা শরীরকে রাখে উষ্ণ এবং ক্ষতিকর টক্সিন দেহে জমতে বাধা দেয়। বিশেষ করে ফুসফুস এবং সাইনাসের ক্ষতি হতে দেয় না আদা। আর রসুন কাঁচা খেতে পারলে তা খুবই উপকারি। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই মশলাটি।

৪) ভিটামিন সি এই ভিটামিনটা যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তা আমাদের সবারই জানা। অনেক তাজা ফল-মূলে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখুন নিয়মিত।

৫) খাদ্যতালিকায় রাখুন কপি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি এসব সবজি মূলত আমাদের যকৃৎ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ যকৃৎ শরীরের মাঝে থাকা বিষাক্ত পদার্থকে বের করে দেয়। এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসব কপি খেয়ে যকৃৎ সুস্থ রাখাটা খুবই জরুরী। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সব তাজা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাজা মানে তাজা, ফ্রিজে এক সপ্তাহ রেখে খাদ্যগুণ কমানো সবজি নয়। যতটা সম্ভব তাজা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন।

৬) শরীর রাখুন সচল সারা দিন ডেস্কে বসে কাজ করলে অথবা অলসতা করে শরীর অচল করে রাখাটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ইওপরে রাখতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। শরীর সচল থাকলে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং লিউকোসাইট (রোধ প্রতিরোধের এক ধরণের কোষ) এর পরিমাণ বাড়ায়। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে নিয়ম করে জিমে যেতে হবে। সে সময়টুকু না পেলে অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটতে যান, বাচ্চাদের সাথে খেলা করুন এমনকি টিভির সামনে নাচুন।

৭) আরাম করে ঘুমান ক্লান্তি থেকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই নয়, ইনসমনিয়া হতে পারে স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধির কারণ। প্রতি রাতে সময়মত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমান, রোগে ভোগার সম্ভাবনা কমবে।

৮) স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন বেশি ওজন যেমন খারাপ তেমনি খুব কম ওজনও কিন্তু খারাপ। নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর একটি ওজন বজায় রাখুন সঠিক খাদ্যভ্যাস, ব্যায়াম এবং স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপনের মাধ্যমে।

৯) প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে থাকুন পরিবারের মানুষ এবং বন্ধুদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে- এটা পরীক্ষিত সত্য। একাকী থাকেন যারা, তাদের চাইতে বন্ধুদের মাঝে থাকা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয় শক্তিশালী।

১০) মনকে রাখুন সুস্থ মন সুস্থ রাখুন, শান্ত রাখুন, শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলার শক্তি পাবে। এর জন্য ধ্যান করতে পারেন। শুধুহ তাই নয়, নিয়মিত প্রাণ খুলে হাসার অভ্যাসটাও আপনার উপকারে আসবে। এতে আপনার শরীর ধরে নেয় আপনি সুখি, এবং তাতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো থাকে। বিশ্বাস না হলে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না!.

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

করোনা আপটুডেট প্রতিদিন ।


১৯ দিনের প্রচেষ্টায় করোনার ভ্যাকসিন তৈরি

করোনা সত্য মিথ্যা প্রথম আলো

করোনা ভাইরাস আমাদের যা করা উচিৎ প্রথম আলো

কাগজে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না

করোনায় করণীয়, কীভাবে কোয়ারেন্টিন

করোনায় করেনীয়

করোনা লাইভ আপডেট খবর দেখুন

করোনা ভাইরাস এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ

পৃষ্ঠা তৈরী করা হয়নি ---

পৃষ্ঠা তৈরী করা হয়ন---

পৃষ্ঠা তৈরী করা হয়ন---

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০

অকাল বার্ধক্য আসে যে কারনে


চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়েে এমন কিছু খাবার

মানুষ চায় তার যৌবন ধরে রাখতে কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী জন্মিলে মরিতে হবে এটা সবারই জানা আছে । তবুও মানুষ তার যৌবন ধরে রাখার জন্য কত কিছুই না করে,যে সকল খা্দ্যাভাসের কারনে মানুষ সহজে বুড়িয়ে যার তা এখানে দেওয়া হল । যে সকল খাবার আমাদের বয়সকে সহজে বাড়িয়ে দেয় তাহা নিচে দেওয়া হল ।

১ মিষ্টি:

অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনি গ্রহণ করার ফলে চিনির অণুর সঙ্গে প্রোটিনের মিশ্রণে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু হয়, যাকে বলা হয় গ্লাইকেশন। আর এই প্রক্রিয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসের কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে। শুধু ত্বক নয়, দাঁতের জন্যও মিষ্টি ক্ষতিকর। চিনির কণা দাঁতের সঙ্গে আটকে থাকে, আর সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, দাঁত ক্ষয় করে আর বিবর্ণ করে দেয়। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর পানি দিয়ে মুখের ভেতর ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

২ অ্যালকোহল :

সুন্দর ত্বকের জন্য চাই সুস্থ যকৃত বা লিভার। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে সুস্থ লিভার। যদি লিভারে বিষাক্ত পদার্থ জমতে থাকে আর ঠিক মতো শরীর থেকে বের করতে না পারে তখন তকে ব্রণ, ফুষ্কুড়ি দেখা দেয়। আর অ্যালকোহল লিভারের কার্যক্রমে বাধা দেয়। তাছাড়া অ্যালকোহল ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়। আর অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেও ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে পারে।

৩ লবনাক্ত খাবার :

লবণ দিয়ে প্রতিটি খাবারই রান্না করা হয়। তবে খাবারে অতিরিক্ত লবণ ত্বকের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু কিছু টিনজাত খাবার সংরক্ষণ করতে সোডিয়াম ব্যবহার করা হয়। যা শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখাতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে কিছুটা ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।

৪.প্রক্রিয়াজাত মাংস :

সসেজ, বেকন, প্যাটি ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতে দারুণ মজা। তবে এই মাংসগুলো প্রক্রিয়জাত করতে ব্যবহার করা হয় সালফাইট এবং অন্যান্য প্রিজারভেটিভ। আর ওই উপাদানগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব খাবারকে বিদায় জানাতে না পারলে, অন্তত কম খান। পাশাপাশি বেশি করে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫ .রেড মিট :

চর্বিযুক্ত মাংস বেশি খাওয়া খারাপ। এ কথা আমরা সবাই জানি। কারণ রেড মিট বেশি খেলে বা প্রতিদিন গরুর মাংস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কোষ গঠণে বাধা প্রাপ্ত হয়। যা ত্বকের উপরেও প্রভাব ফেলে।

৬ .কফি : সারাদিনের অবসাদ দূর করতে কফির জুড়ি নেই। তবে ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে পারে কফির ক্যাফেইন। তাছাড়া দাঁতের জন্যও ক্ষতিকর কফি। তবে কফির অনেক উপকারও আছে। এরমধ্যে অন্যতম হল কফি স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই এই ধরনের পানীয় গ্রহণের কিছুক্ষণ পর পানি পান করার অভ্যেস করুন। ক্যাফেইন ধরনের পানীয়তে যে ক্ষার থাকে তা ধুয়ে দিবে পানি।

অকালে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ার আরও কিছু কারণ-

মানসিক চাপ: ঘরে বাইরে আজকাল প্রায় সবারই মানসিক চাপ একটু বেশি। কিন্তু এই মানসিক চাপ মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। অল্পতেই অতিরিক্ত অস্থির হয়ে পড়া, মানসিক চাপ নেওয়া মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা থাকবেই, সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন, স্বাভাবিকভাবে নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন নিজেকে।

রোদে ঘোরাঘুরি: সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মি ত্বকের যতোটা ক্ষতি করে অন্য কোনো কিছুই এতোটা ক্ষতি করতে পারে না। আপনি যদি সানস্ক্রিন না লাগিয়ে বেশি রোদে ঘোরাঘুরি করেন তাহলে বয়স ৩০ পার হতে না হতেই ত্বকে দেখা দেবে বয়সের ছাপ। এছাড়াও সানগ্লাস ব্যবহার না করার কারণে দৃষ্টিশক্তিরও সমস্যা দেখা দেয়।

খাদ্যাভ্যাস: বাইরের তেলেভাজা খাবার ফাস্ট ফুড এই সবই ত্বকের বয়স বাড়ানোর জন্য দায়ী খাবার। চিনি জাতীয় খাবারের কারণেই ত্বক হারাচ্ছে ইলাস্টিসিটি। যার কারণে বুড়িয়ে যাচ্ছে মানুষ। কোমল পানীয় পানের অভ্যাস থাকলে জেনে রাখুন, নিজের হাতেই ক্ষতি করছেন দাঁত ও হাড়ের। এতে অকালেই বার্ধক্য আসছে শরীরে।

ধূমপান ও মদ্যপান: অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু ধূমপান ও মদ্যপানের ফলে দেহ ও ত্বক দুটোরই বয়স বেড়ে যাচ্ছে অনেক। গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের প্রতিবছরে দেহের যতোটা ক্ষয় হয় তা সাধারণত ৫ বছরে হয়ে থাকে। মদ্যপানের ফলাফল প্রায় একই রকম। মানুষ নিজেই নিজেকে বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

পরিশ্রম না করা: গবেষণায় জানা যায় প্রতিবছর ধূমপানের ও মদ্যপানের কারণে যতো মানুষ মৃত্যুবরণ করেন ঠিক ততো মানুষই অলসতা ও অপরিশ্রমী হওয়ার জন্য করে থাকেন। শুনতে অবাক শোনালেও এটি সত্যি। শারীরিক পরিশ্রম করার মাধ্যমে নানা রোগ ও শারীরিক সমস্যা দেহে বাসা বাঁধতে পারে না। কিন্তু দেহে অলসতা থাকলে কিংবা বসা কাজের কারণে শারীরিক পরিশ্রম না করতে দেহ বার্ধক্যের দিকে যেতে থাকে।
উপুড় হয়ে ঘুমানো: অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু উপুড় হয়ে ঘুমানে মুখ বেকায়দাভাবে বালিশের ওপর থাকে যা ত্বকে রিংকেল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

এতে করে অল্প বয়সেই আপনাকে বেশ বয়স্ক মনে হয়। এছাড়াও খাবার হজমে সমস্যা এবং মেরুদণ্ডের ক্ষতি তো রয়েছেই। তাই সাবধান হওয়া বিশেষ প্রয়োজন।

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০

চিরসবুজ থাকার রহস্য জানুন


যৌবন ধরে রাখবে ৯ টি খাদ্য

১. মিষ্টি আলু : আপনার ত্বককে সুন্দর রাখাবে, মিষ্টি আলু অবিস্বাস্যভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার । মিষ্টি আলুতে আছে ক্যারোটিন । যা ত্বক উজ্জ্বল করার মূল উপাদান । এছাড়া ভিটামিন বি৬ বায়োটিন এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । তবে আপনি কিভাবে খাচ্ছেন সেটা লক্ষ্যণীয় ফ্রেন্সফ্রাই না খেয়ে সিদ্ধ খেলে ভাল ফল পাবেন ।

মিষ্টি আলু

২.আঙ্গুর : আঙ্গুর আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে সহায়তা করে । এছারা আপনার ব্রেইনকে ঠিক রাখবে । অ্যান্টোসায়ানিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা অনেকগুলি বেরিকে তাদের আকর্ষণীয় রঙ দেয়, আপনার ত্বকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে। মিডলবার্গ বলেছেন, "স্ট্রবেরি সিলিকার একটি ভাল উত্স, স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং সংযোজক টিস্যুগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেস খনিজ,"।

আঙ্গুর

৩.মটরশুটি: মটরশুটি প্রোটিন ফাইবার এবং বি ভিটামিনে পরিপূর্ণ এগুলো আপনার দেহের পক্ষে ভালো ত্বকের প্রদাহ কমায় বিভিন্ন ধরনের শিমের বিভিন্ন ধরণের নিদিষ্ট পুষ্টি রয়েছে , তবে আপনি আপনার পচ্ছন্দ মত খেতে পারেন । তবে বাজারে কৌটাজাত বিনস্‌ উচ্চ ফ্যাট প্রোটিন থাকে সেদিকে নক্ষ্য রাখতে হবে ।

মটরশুটি

৪.ওটস বা জই চূর্: ওটস এ আছে বি ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রোটিন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে। সেই বি ভিটামিনগুলি আপনার ত্বক, চুল এবং নখের জন্য দুর্দান্ত তবে তারা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে পুষ্ট করার জন্য আরও গভীর হয়। ফাইবার আপনার পাচনতন্ত্রকে ক্রমশ বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং প্রোটিন আপনার শক্তির স্তর বজায় রাখে।

ওটস্‌

৫.সামুদ্রিক পোনা বা ছোটমাছ:সামুদ্রিক মাছ যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় লাল মাংস বাদ দিয়ে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। তাতে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখা যাবে বহুদিন।

সামুদ্রিক মাছ

৬.কোকো চকোলেট(ডার্ক চকলেট): যারা চকলেট ভালোবাসেন তাদের জন্য ভালো খবর হলো ডার্ক চকলেট বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই যারা নিয়মিত প্রতিদিন ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খান তারা দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে পারেন।

চকোলেট

৭.বাদাম: পুষ্টির ঘাটতি দূর হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে এদেশে ঝাঁকিয়ে বাসা এই প্রকৃতিক উপাদনটির শরীরে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না।বাদাম হাড়ের স্বস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ,ব্রেন পাউয়ার বৃদ্ধিকরে ক্যান্সার এর মতো রোগ দুরে থাকে ,হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় ,ওজন নিয়ন্ত্রনে আনে ।

চীনাবাদাম

৮.পালংশাক: পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে। পালং শাক স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।

পালংশাক

৯. রসুন: রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

রসুন

এবং এসব খাবারের পাশাপাশি যথা সম্ভভ ঘুম অনুশীলন এবং স্ট্রেস হ্রাস গুরুত্বপূর্