মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

সন্ধি


Girl in a jacket

প্রশ্ন: সন্ধি বলতে কী বোঝো? সন্ধি কয় প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।.


উত্তর: পাশাপাশি দুটি ধ্বনি দ্রুত উচ্চারণকালে সম্পূর্ণ বা আংশিক মিলিত হয় অথবা একটি লোপ পায় কিংবা একটি অপরটির প্রভাবে পরিবর্তিত হয়, এরূপ পরিবর্তন, লোপ বা মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়; গৈ + অক = গায়ক; নে + অন = নয়ন; ষট + আনন = ষড়ানন।

সন্ধির প্রকারভেদ: বাংলা ভাষায় সন্ধি তিন প্রকার। যেমন:
১. স্বরসন্ধি: স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনে স্বরসন্ধি হয়। যেমন: নর + অধম = নরাধম; শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা।
২. ব্যঞ্জন সন্ধি: ব্যঞ্জন ধ্বনির সথে স্বরধ্বনি অথবা ব্যঞ্জন ধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জন ধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। যেমন: তত্ + অন্ত = তদন্ত; সত্ + জন = সজ্জন।
৩. বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সঙ্গে স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জন বর্ণের মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। যেমন: মনঃ+যোগ=মনোযোগ; পুনঃ+আয় =পুনরায়।
এ ছাড়া খাঁটি বাংলা সন্ধি আছে। যেমন: দিন+এক = দিনেক; আধা+উলি = আধুলি।



প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তর: সন্ধির প্রয়োজনীয়তা: সন্ধি ভাষার শ্রুতিমধুরতা আনে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সন্ধির ফলে ভাষা সংক্ষিপ্ত হয়। তা ছাড়া সন্ধির মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দ গঠন করা হয়। ফলে ভাষা নির্মাণে সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। অনেকে বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন না। বাংলা উচ্চারণরীতির সঙ্গে বাংলা সন্ধির নিয়ম জড়িত। সংস্কৃতের অনুসরণে বাংলা ভাষায় সন্ধি এসেছে। সংস্কৃত শব্দের সন্ধি সংস্কৃত নিয়ম অক্ষুণ্ন রেখেই বাংলা ভাষায় প্রচলিত। সাধারণত তত্সম শব্দের সঙ্গে তত্সম শব্দের সন্ধি হয়। বাংলা শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের সন্ধি করা বিধেয় না। সন্ধি উচ্চারণের সরলীকরণ করে, ভাষার সহজ ও স্বচ্ছন্দ গতি নিশ্চিত করে। সুতরাং, সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।




প্রশ্ন: সন্ধি কাকে বলে? সন্ধির সাহায্যে কীভাবে শব্দ গঠন করা যায়, উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: সন্ধি অর্থ মিলন। পরস্পর সন্নিহিত দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধিতে পূর্বপদের বর্ণের সঙ্গে পরপদের প্রথম বর্ণের মিলন ঘটে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়, শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা।

সন্ধির সাহায্যে শব্দ গঠনে পদ্ধতি: সন্ধির কাজ হচ্ছে বর্ণের সঙ্গে বর্ণ মিলিয়ে নতুন শব্দ গঠন করা। যেমন: নরাধম। এখানে ‘নর’ এবং ‘অধম’—এ দুটি পদের মিলন হয়েছে। ‘নর’-এর অন্ত্যস্বর ‘অ’ আর ‘অধম’-এর আদ্যস্বর ‘অ’ উভয়ে মিলে আ-কার হয়েছে। আর এই ‘আ’-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হওয়ার ফলে নতুন শব্দ ‘নরাধম’ সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপভাবে, অ বা আ-কারের পর ই-কার থাকলে ‘অ’ বা ‘আ’-এর স্থানে এ-কার হয়। এ-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়। যেমন: শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা। এমনিভাবে পরস্পর সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনে সন্ধি নতুন শব্দ গঠন করে।


一一一一一一
mozahid
00/7/2018,

বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

প্রত্যয় নির্ণয় কর


প্রত্যয় নির্ণয় কর

স্মরণ রাখতে হবে।
১. কৃৎ প্রত্যয়ের প্রদত্ত শব্দ দ্বারা কাজ বোঝাবে [কারণ কৃৎ প্রত্যয়ের শব্দটি গঠিত হয ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যোগে , আর ধাতু হল ক্রিয়ার মূল। ক্রিয়া দ্বারা কোনো কাজ করাকে বোঝায় ]। যেমন: করা চলা দিয়ে কোনো কাজকে বোঝাচ্ছে ।এরুপ কাজ বোঝালে সহজেই প্রদত্ত শব্দটির মূলকে আমরা ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি , আর এর সঙ্গে যুক্ত বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিই শুধু কৃৎ প্রত্যয়।
২.কৃৎ প্রত্যয়ের শব্দটিকে যখন বিশ্লেষণ করা হয় তখন প্রকৃতিটি অবশ্যই ধাতু হবে এবং ধাতুর সঙ্গে ‘√’ চিহ্ন থাকবে।
৩.ধাতু অর্থযুক্ত হবে , বিন্তু ভাষায় এদের স্বাধীন ব্যবহার থাকবেনা যেমন: গম কৃ এদের অর্থ আছে কিন্তু ভাষায় এদের স্বাধীন ব্যবহার নেই। এভাবে আমরা সহজেই কৃৎ প্রত্যয়কি চিহ্নিত করতে পারি।


বিভিন্ন বোর্ডের ১৭ বছরের প্রশ্নের উত্তর প্রত্যয় নির্ণয়

প্রকৃতি ও প্রত্যয় শব্দ প্রত্যয়ের নাম
অন্ত+ইম= অন্তিম তদ্ধিত প্রত্যয়
অঙ্গ+ইক= আঙ্গিক তদ্ধিত প্রত্যয়
অগ্নি+ এয়= আগ্নেয় তদ্ধিত প্রত্যয়
অর্থ +ইক= আর্থিক তদ্ধিত প্রত্যয়
অনু+√রাগ্‌+ইন= অনুরাগী কৃৎ প্রত্যয়
আঁজল+আ= আঁজলা তদ্ধিত প্রত্যয়
আত্নজ+আ= আত্নজা তদ্ধিত প্রত্যয়
আধ+উলি= আধুলি>আধলি তদ্ধিত প্রত্যয়
আষাঢ়+ ইয়া = আষাঢ়িয়া>আষাঢ়ে তদ্ধিত প্রত্যয়
আদি+য= আদ্য তদ্ধিত প্রত্যয়
ইচ্ছা+উক= ইচ্ছুক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইতর+আমি= ইতরামি তদ্ধিত প্রত্যয়
√উড়ু +উয়া>ও= উড়ো কৃৎ প্রত্যয়
√ উঠ+তি = উঠতি কৃৎ প্রত্যয়
উতর+আই= উতরাই তদ্ধিত প্রত্যয়
√উজা+আনো= উজানো>উজান কৃৎ প্রত্যয
√বচ্‌+ইত= উচিত কৃৎ প্রত্যয়
√বচ+ত= উক্ত কৃৎ প্রত্যয়
√ বচ+তি= উক্তি কৃৎ প্রত্যয়
√ বপ+ত = উপ্ত কৃৎ প্রত্যয়
ইতিহাস+ইক = ঐতিহাসিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইচ্ছা+ইক= ঐচ্ছিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইহ+ ইক= ঐহিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ক,খ
কম+তি কমতি তদ্ধিত প্রত্যয়
√কর+আ করা কৃৎ প্রত্যয়
কলম+দানি কলমদানি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ কাঁদ+না কাঁনা>কান্না কৃৎ প্রত্যয়
কাঁদন+ইয়া= কাঁদনিয়া>কাঁদুনে তদ্ধিত প্রত্যয়
কাঠ+উরিয়া= কাঠুরিয়া>কাঠুরে তদ্ধিত প্রত্যয়
কাণ্ডার+ই= কাণ্ডারি তদ্ধিত প্রত্যয
কবি+য়= কাব্য তদ্ধিত প্রত্যয়
কুশ+ইক/কুশিক+অ= কৌশিক তদ্ধিত প্রত্যয়
কুশল +অ= কৌশল তদ্ধিত প্রত্যয়
কুঠি+আল = কুঠিয়াল তদ্ধিত প্রত্যয়
√ কৃ+অক= কারক কৃৎ প্রত্যয়
√কৃ+য়= কার্য কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃ+অনীয় = করণীয় কৃৎ প্রত্যয
√কৃ+তব্য = কর্তব্য কৃৎ প্রত্যয়
√কৃষ+অক কৃষক কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃ+তৃ = কৃতৃ>কর্ত। কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃত্‌+তি= কীর্তি কৃৎ প্রত্যয়
√ ক্রী+তৃ = ক্রেতা কৃৎ প্রত্যয়
√খা+আনো= খাওয়ানো কৃৎ প্রত্যয়
√ খা+উকা খাউকা>খেকো কৃৎ প্রত্যয়
খুকি্+ উ= খুকু তদ্ধিত প্রত্যয়
√খেল+অনা= খেলনা কৃৎ প্রত্যয়
খে+চর+অ= খেচর কৃৎ প্রত্যয়
√ খ্যা+তি = খ্যাতি কৃৎ প্রত্যয়
√ ক্ষুদ+আই= খোদাই কৃৎ প্রত্যয়
গ,ঘ
√ গম্‌+তব্য গন্তব্য কৃৎ প্রত্যয়
√ গণ্‌+অন্+আ= গণনা কৃৎ প্রত্যয়
√ গাহ্‌+ইয়ে= গাহিয়ে>গাইয়ে কৃৎ প্রত্যয়
গাঁ+উয়া= গাঁউয়া>গেঁয়ো তদ্ধিত প্রত্যয়
গাছ্‌+উয়া= গাছুয়া>গেছো তদ্ধিত প্রত্যয়
গাছ+টি= গাছটি তদ্ধিত প্রত্যয়
গাড়ি+ওয়ান= গাড়োয়ান তদ্ধিত প্রত্যয়
গুরু+অ= গৌরব তদ্ধিত প্রত্যয়
গোয়াল+আ= গোয়ালা তদ্ধিত প্রত্যয়
গ্রাম্য+তা= গ্রাম্যতা তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘর+আমি= ঘরামি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ ঘাট্‌+তি= ঘাটতি কৃৎ প্রত্যয়
√হন্‌+অক ঘাতক কৃৎ প্রত্যয
√মুড়্‌+ক (অক)= মোড়ক কৃৎ প্রত্যয়
ঘোর+আল= ঘোরাল তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘোলা+টিয়া= ঘোলাটিয়া তদ্ধিত প্রত্যয়
চ,ছ,জ,ঝ
চতুর+আলি= চতুরালি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ চল+অন্ত= চলন্ত কৃৎ প্রত্যয়
√চির্‌+অনি= চিরনি>চিরুনি কৃৎ প্রত্যয়
√ চিন্‌+আ = চেনা কৃৎ প্রত্যয়
ছাওয়াল+ইয়া= ছেলে তদ্ধিত প্রত্যয়
ছেলে+আমি= ছেলেমি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ জন্‌+অক= জনক কৃৎ প্রত্যয়
√ ফল্‌+অন্ত= ফলন্ত কৃৎ প্রত্যয়
জবান+বন্দি= জবানবন্দি তদ্ধিত প্রত্যয়
জমা+আন= জমান তদ্ধিত প্রত্যয়
ক্লিক করুন

কবিতা


খতিয়ান

– রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে
অথচ আমার শস্যের মাঠ ভরা।
রোদ্দুর খুঁজে পাই না কখনো দিনে,
আলোতে ভাসায় রাতের বসুন্ধরা।
টোকা দিলে ঝরে পচা আঙুলের ঘাম,
ধস্ত তখন মগজের মাস্তুল
নাবিকেরা ভোলে নিজেদের ডাক নাম
চোখ জুড়ে ফোটে রক্তজবার ফুল।
ডেকে ওঠো যদি স্মৃতিভেজা ম্লান স্বরে,
উড়াও নীরবে নিভৃত রুমালখানা
পাখিরা ফিরবে পথ চিনে চিনে ঘরে
আমারি কেবল থাকবে না পথ জানা–
টোকা দিলে ঝরে পড়বে পুরনো ধুলো
চোখের কোণায় জমা একফোঁটা জল।
কার্পাস ফেটে বাতাসে ভাসবে তুলো
থাকবে না শুধু নিবেদিত তরুতল
জাগবে না বনভূমির সিথানে চাঁদ
বালির শরীরে সফেদ ফেনার ছোঁয়া
পড়বে না মনে অমীমাংসিত ফাঁদ
অবিকল রবে রয়েছে যেমন শোয়া
হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে
অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি
ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি


一一一一一一一
মহাপৃথিবী গ্রন্থ
mozahid
10/7/2018,thuesday

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮

বাংলা ২য় পত্র সাজেশন

HSC শিক্ষাবর্ষ:২০১৮-২০১৯ইং পরীক্ষা হবে আগামী ১ এপ্রিল ২০২০ইং


এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচী ২০২০ইং



ব্যাকরণ অংশ

১। সাধু ও চলিত ভাষার মৌলিক পার্থক্য গুলি লেখ।
২। সাধু ও চলিত ভাষার গঠনগত পার্থক্য উদাহরণসহ আলোচনা কর ।
৩। "এ" ধ্বনি উচ্চারণের যে কোন ৫ টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ। ২০১৮ইং
৪। উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বাংলা উচ্চারণের ৫ টি নিয়ম লেখ।
অথবা
“ বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের ছয়টি নিয়ম উদাহরণ সহ লিখ।

৫। অ -ধ্বনি উচ্চারণের পাচঁটি নিয়ম লেখ।
৬। শব্দের শেষে কোন কোন ক্ষেত্রে ‘অ লোপ পায় না। উদাহরণ সহ পাচঁটি নিয়ম লেখ ?
৭ । উদাহরণ সহ ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ?
৮। ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ?
৯। বাংলা বানানের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হয়।
১০। বাংলা বানানের উ-কার ব্যাবহারের উল্লেখ যোগ্য নিয়ম গুলো লিখ।
১১। বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মানুসারে অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১২। বাংলা বানানের ( ি) ই-কার ব্যবহারের ছয়টি নিয়ম লিখ।
১৩। ণ-ত্ব বিধান কী ? ণত্ব-বিধানের নিয়ম বা সূত্রগুলো আলোচনা কর।
১৪। ষ-ত্ব বিধান বলতে কি বোঝ ? ষ-ত্ব বিধানের ছয়টি নিয়ম আলোচনা কর।

১৫। শব্দের উচ্চারণ করে লেখ (বিগত সালের )
১৬। বানান শুদ্ধিকরণ -যে কোন পাঁচটি ( বোর্ড বই )
১৭। প্রত্যয়ের নাম সহ প্রকৃতি নির্ণয় কর যে কোন পাঁচটি ( বোর্ড বই)
১৮। ব্যা্সবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর। (বিগত সালের প্রশ্ন )

১৯। বিশেষ্য পদ কাকে বলে ? উদাহরণ সহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ বিশ্লেষণ কর।
২০। শব্দগঠন বলতে কি বোঝ ? কী কী উপায়ে সার্থক বাংলা ভাষার শব্দগঠিত হয় ?
২১। শব্দ কাকে বলে ? উৎস অনুসারে বা উৎপত্তিগত দিক থেকে বাংলা ভাষার শব্দ সমূহ কয়প্রকার ও কী কী উদাহরণসহ লেখ ।
২২। অনুর্সগ বলতে কী বুঝ , গঠন প্রকৃতি অনুসারে অনুসর্গকে কত ভাগে ভাগ করা যায়।

২৩। উপসর্গ কাকে বলে ? বাংলা শব্দগঠনে উপসর্গের ভূমিকা লিখ।
২৪। “উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই। অর্থদ্যোতকতা আছে।” ব্যাখ্যা কর বা উদাহরণসহ আলোচনা কর।
২৫। যোযক কাকে বলে ? যোযকের শ্রেণীবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।( ২০১৮ইং)
২৬। আবেগ শব্দ কলতে কী বোঝ ? কী কী অর্থে আবেগ শব্দ ব্যবহার হয় লেখ ।
“ উদাহরণ সহ আবেগ শব্দের শ্রেণি বিভাগ আলোচনা কর।

২৭। বাক্য কাকে বলে গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
২৮। বাক্য কাকে বলে একটি সার্থক বাক্যের কয়টি অংশ থাকে ? সেগুলো কি কি উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
২৯। অর্থানুসারে বাংলা বাক্যসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৩০। ব্যাকরণের শব্দ শ্রেণী বলতে কী বুঝ কত প্রকার কী কী উদাহরণ সহ লিখ।
৩১। ক্রিয়া বলতে কী বুঝ বাংলা ক্রিয়া পদের শ্রেণী বিভাগ লিখ।
৩২। সমাস কাকে বলে ? বাংলা ভাষায় সমাসের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কার।
৩৩। সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য উদাহরণসহ আলোচনা কর।
৩৪। উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শেণিবিভাগ আলোচনা কর।

উত্তরের জন্য ক্লিক করুন Link Button

নির্মিত অংশ :-৭০

পারিভাষিক শব্দ /অনুবাদ :-(বিগত সালের প্রশ্ন )




অভিজ্ঞতা -
১ । শীতের কোনো এক সকালের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর ।
২ । পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ভ্রমণে অর্জিত অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর ।
৩ । সমুদ্রকন্যা সেন্টমার্টিন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর ।
৪ । সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর ।
৫ । জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন-এর অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর ।


ভাষণ -
১। তোমার কলেজে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি কর ।
২। ১৬ ডিসেম্বর মহানবিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থাপনের জন্য একটি ভাষণ প্রস্তুত কর ।
৩। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপনের জন্য একটি ভাষণ প্রস্তুত কর ।
৪। স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ তৈরি কর ।
৫। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বর্ণনা করে একটি ভাষণ রচনা কর ।

দিনলিপি -
১। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ওপর একটি দিনলিপি লেখো ।
২। কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখো ।
৩। তোমার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনের একটি দিনলিপি রচনা করো ।
৪। একজন মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধকালীন দিনলিপি লেখো ।


ইমেইল :
১। বাংলা নববর্ষের উদযাপনের বৈচিত্র্য তুলে ধরে/শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে পাঠানোর জন্য একটি ই-মেইল প্রস্তুত করো ।
২। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে পরামর্শ জানিয়ে ছোট ভাইকে একটি ই-মেইল পাঠাও ।
৩। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে ই-মেইল পাঠাও ।

পত্রাবলী -
১। তোমার পঠিত একটি গ্রন্থ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি দাও ।
২। মাদকাসক্তির কুফল জানিয়ে তোমার ছোট ভাইকে একটি পত্র লেখ ।
৩। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শুন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র রচনা করো ।
৪। তোমার কলেজে নজরুল জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একখানি নিমন্ত্রণপত্র রচনা করো ।

খুদে গল্প -
১। প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে , আমার শৈশব স্মৃতি বিষয়ে একটি খুদে গল্প রচনা কর ।
" হারানো সে দিনের কথা বলব কী রে হায় _ _ _ _ _ _"
২। " সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন " বিষয়ক একটি খুদে গল্প লেখো ।
৩। "রেলগাড়ি" ভ্রমণ বিষয়ক একটি খুদে গল্প লেখো ।
৪। মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের পরিণাম বিষয়ে নিচের ইঙ্গিত অবলম্বনে একটি খুদে গল্প রচনা কর ।
"অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আশা অপিরিচিত এক নারী কণ্ঠ শুনে ,নিলয় বুঝতে পারে সে ডায়াল করেছে ভুল নাম্বারে _ _ _ _ _ _ "
৫।"বন্ধু" শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা করো ।

সংলাপ -
১। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা করো ।
২। বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সংলাপ রচনা করো ।
৩। নারী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা করো ।
৪। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ রচনা করো ।
৫। ইভটিজিং প্রতিরোধ বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করো ।

ভাবসম্প্রসারণ /সারাংশ :-

১। অর্থই অনর্থের মূল ।
২। গ্রন্থগত বিদ্যা আর _ _ _ _ _ ধন হলে প্রয়োজন ।
৩। জীবে প্রেম করে _ _ _ _ _ সেবিছে ঈশ্বর ।
৪। প্রাণ থাকিলে _ _ _ _ _ মানুষ হয়না ।
৫। স্বদেশের উপকারে _ _ _ _ _ পশু সেইজন ।
৬। তুমি অধম , তাই _ _ _ _ _ না কেন ?
৭। আপনারে লয়ে বিব্রত _ _ _ _ _ পরের তরে ।
৮। অন্যায় যে করে _ _ _ _ _ _ তৃণসম দহে ।

রচনা -
১। বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প ।
২। স্বদেশ প্রেম ।
৩। বই পড়ার আনন্দ ।
৪। কৃষিকাজে বিজ্ঞান ।
৫। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস


(ক) নিয়মানুবর্তিতা (খ) মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার
(গ) বাংলাদেশের বেকার সমনস্যা ও তার সমাধান (ঘ) কুটির শিল্প
(ঙ) বাংলাদেশের পোশাক শিল্প (চ) বিজয় দিবস
(ছ) রূপসী বাংলাদেশ । (জ) মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ও আমাদের দেশ প্রেম
(ঝ) আধুনিক তথ্য প্রযু্ক্তি ও বাংলাদেশ (ঞ) জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা
(ট) একটি শীতের সকাল


প্রিয় শিক্ষার্থী, যে সকল প্রশ্ন গুলো আপনি ভাল পারেন সেগুলো বেশি বেশি পড়েন আপনি হয়ত দেখবেন কিছু প্রশ্ন আপনি না পড়েও লিখতে পারেন, কারণ হল ঐ প্রশ্নগুলো আপনি আপনার জীবনে প্রায়ই পড়েন লেখেন বা কাউকে লিখেদেন সে গুলো আপনার অজান্তে জীবনে অনেক চর্চা করেছেন । এ সম্পর্কিত বিষয় আপনি বেশি বেশি পড়বেন, তার মধ্যে হল পত্র রচনা, দরখাস্ত লেখা, গল্প লেখা, দিনলিপি, অভিজ্ঞতা, ভাষণ, ইমেইল পাঠানো, ক্ষুদে বার্তা এবং সংলাপ আর প্রশ্নের শেষে থাকবে প্রবন্ধ লেখ জীবনে আপনি অনেক লেখার চেষ্টা করেছেন । কোন সময় ভাল হয়েছে আবার কখানও ভাল হয়নি একটা কিছু তো হয়েছিল । অর্থাৎ আমার পরামর্শ হলো নির্মিত অংশ আপনি একটু কম পড়লেই বেশী মনে থাকবে কারণ আপনার এই জিনিস গুলো বিভিন্ন সময়ে পড়া- লেখা, দেখা- শুনা, হয়েছে । এ জন্য বলছি নির্মিত অংশে আপনি অল্প পড়লেই আপনি ভাল ফলাফল করতে পারবেন ।

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রকৃতি ও প্রত্যয়


১. প্রকৃতি কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর:ক্রিয়া অথবা শব্দের মূল অংশকে প্রকৃতি বলে।যেমন: পড়া এর মূল অংশ হলো পড়্।সুতারাং পড়্ হলো প্রকৃতি
প্রকারভেদ:

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা:
১. ক্রিয়া প্রকৃতি।
২. নাম প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি : ক্রিয়ার মূল অংশকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে।ক্রিয়া প্রকৃতিকে ধাতুও বলা হয়।যেমন: চলন্ত ক্রিয়ার মূল হলো চল্।
নাম প্রকৃতি : কোন শব্দের মূল অংশকে নাম প্রকৃতি বলে।নাম প্রকৃতি অন্য নাম শব্দ প্রকৃতি।যেমন: ফুলেল শব্দের মূল অংশ হলো ফুল।সুতারাং ফুল হলো নাম প্রকৃতি।


২. প্রত্যয় কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: প্রত্যয় হলো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা প্রকৃতির পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।যেমন: চলন্ত এর চল্ হলো প্রকৃতি, কিন্তু এর সাথে যুক্ত অন্ত হলো প্রত্যয়।
প্রত্যয় এর প্রকারভেদ :
প্রত্যয় দুই প্রকার।যথা:
১. কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিৎ প্রত্যয়।

কৃৎ প্রত্যয়:ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।যেমন: পড়্+আ=পড়া,এর আ হলো কৃৎ প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয় দুই প্রকার।
১. বাংলা কৃৎ প্রত্যয়।
২. সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।

তদ্ধিৎ প্রত্যয়:নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে তদ্ধিৎ প্রত্যয় বলে।যেমন:শিশু+অ = শৈশব।এখানে অ হলো তদ্ধিৎ প্রত্যয়। তদ্ধিৎ প্রত্যয় তিন প্রকার।যথা:
১. বাংলা তদ্ধিৎ প্রত্যয়
২. সংস্কৃত তদ্ধিৎ প্রত্যয়
৩. বিদেশি তদ্ধিৎ প্রত্যয়


৩. কৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত পদ কাকে বলে?
উত্তর:কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে কৃদন্ত পদ বলে।
আর তদ্ধিৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে তদ্ধিতান্ত পদ বলে।




প্রশ্ন: ‘ইনী’ এবং ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে পাঁচটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
উত্তর :‘ইনী’—প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ ও বাক্য :
১. বন্দী + ইনী = বন্দিনী : একসময় বাঙালি মুসলিম নারীদের ঘরে বন্দিনী হয়ে থাকতে হতো।
২. অধিকারী + ইনী = অধিকারিণী : এই ঘরের অধিকারিণী রীতা গতকাল পটল তুলেছে।
৩. প্রণয়ী + ইনী = প্রণয়িনী : নিপা বলল, ‘আজীবন তোমার প্রণয়িনী হয়ে থাকব। ’
৪. গৃহী + ইনী = গৃহিণী : বাংলাদেশের বেশির ভাগ মহিলাই পেশায় গৃহিণী।
৫. অনুরাগী + ইনী = অনুরাগিনী : মেয়েটি তার স্বামীর প্রতি অত্যন্ত অনুরাগিনী।

‘ইত’ —প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ ও বাক্য :
১. বিকার + ইত = বিকৃত : বিকৃত রুচির মানুষ সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত।
২. পরিবর্তন + ইত = পরিবর্তিত : সময়ের পরিবর্তনে মানুষের চিন্তাধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে।
৩. শিক্ষা + ইত = শিক্ষিত : শিক্ষিত ব্যক্তি সবার কাছে সম্মানিত।
৪. প্রচলন + ইত = প্রচলিত : প্রচলিত রীতি-নীতির বাইরে কিছু করা খুবই কঠিন।
৫. লজ্জা + ইত = লজ্জিত: দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আমজাদ সাহেব খুবই লজ্জিত হলেন। প্রশ্ন: ইক ইনী প্রত্যয়যোগে পাচঁটি শব্দের উদাহরণ দাও। উত্তর: ইক প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ :উপনিবেশিক+ইক=ঔপনিবেশিক, প্রকৃতি+ইক=প্রাকৃতিক, অর্থ+ইক= আর্থিক , নগর+ইক= নাগরিক,বিপ্লব+ইক= বৈপ্লবিক। ইনী প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: বন্দী+ইনী=বন্দিনী, গৃহ+ইনী=গৃহিনী, অধিকার +ইনী= অধিকারিণী, অনুগামী+ইনী=অনুগামিনী,প্রনয়+ইনী=প্রণয়িনী ।

ক্লিক করুন

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

কবিতা


ঈদ মোবারক

- কাজী নজরুল ইসলাম



শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো,
কত বালু চরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো,
বরষের পরে আসিল ঈদ!
ভূখারীর দ্বারে সওগাত বয়ে রিজওয়ানের,
কন্টক-বনে আশ্বাস এনে গুল-বাগের,
সাকীরে ”জা’মের” দিলে তাগিদ!

খুশীর পাপিয়া পিউ পিউ গাহে দিগ্বিদিক,
বধু-জাগে আজ নিশীথ-বাসরে নির্নিমিখ্।
কোথা ফুলদানী, কাঁদিছে ফুল!
সুদূর প্রবাসে ঘুম নাহি আসে কার সখার,
মনে পড়ে শুধু সোঁদা সোঁদা বাস এলো খোঁপার,
আকুল কবরী উলঝলুল্!!

ওগো কা’ল সাঁঝে দ্বিতীয়া চাঁদের ইশারা কোন্
মুজদা এনেছে, সুখে ডগমগ মুকুলী মন!
আশাবরী-সুরে ঝুরে সানাই।
আতর সুবাসে কাতর হ’ল গো পাথর-দিল্,
দিলে দিলে আজ বন্ধকী দেনা—-নাই দলীল,
কবুলিয়াতের নাই বালাই।।

আজিকে এজিদে হাসেনে হোসেনে গলাগলি,
দোজখে বেহেশ্তে ফুলে ও আগুনে ঢলাঢলি,
শিরীঁ ফরহাদে জড়াজড়ি।
সাপিনীর মত বেঁধেছে লায়লি কায়েসে গো,
বাহুর বন্ধে চোখ বূঁজে বঁধু আয়েসে গো।
গালে গালে চুমু গড়াগড়ি।।

দাউ দাউ জ্বলে আজি স্ফুর্তির জাহান্নাম
শয়তান আজ বেহেশ্তে বিলায় শরাব-জাম,
দুশমন দোস্ত্ এক-জামাত!
আজি আরাফাত্-ময়দান পাতা গাঁয়ে গাঁয়ে,
কোলাকুলি করে বাদশা-ফকীরে ভায়ে ভায়ে,
কা’বা ধ’রে নাচে ”লাত্-মানাত”।।

আজি ইসলামী-ডঙ্কা গরজে ভরি’ জাহান,
নাই বড় ছোট–সকল মানুষ এক সমান,
রাজা প্রজা নয় কারো কেহ।
কে আমীর তুমি নওয়াব বাদশা বালাখানায়?
সকল কালের কলঙ্ক তুমি: জাগালে হায়
ইসলামে তুমি সন্দেহ।।

ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই,
সুখ-দুখ সম-ভাগ ক’রে নেব সকলে ভাই,
নাই অধিকার সঞ্চয়ের।
কারো অখিঁ-জলে কারো ঝাড়ে কিরে জ্বলিবেদীপ?
দু’জনার হবে বুলন্দ-নসিব, লাখে লাখে হবে বদনসিব?
এ নহে বিধান ইসলামের।।

ঈদ্-অল-ফিতর আনিয়াছে তাই নব বিধান,
ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান,
ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার!
ভোগের পিয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে,
তৃষ্ণাতুরের হিসসা আছে ও পিয়ালাতে,
দিয়া ভোগ কর, বীর, দেদারঅঅ

বুক খালি ক’রে আপনারে আজ দাও জাকাত,
ক’রো না হিসাবী, আজি হিসাবের অঙ্কপাত!
একদিন কর ভূল হিসাব
দিলে দিলে আজ খুনসুড়ি করে দিললগী,
আজিকে ছায়েলা-লায়েলা-চুমায় লাল যোগী!
জামশেদ-বেচে চায় শরাব।।

পথে পথে আজ হাঁকিব, বন্ধু,
ঈদ-মোবারক! আসসালাম!
ঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল-কালাম!
বিলিয়ে দেওয়ার আজিকে ঈদ।
আমার দানের অনুরাগে-রাঙা ঈদগা’ রে!
সকলের হাতে দিয়ে দিয়ে আজ আপনারে—
দেহ নয়, দিল হবে শহীদ।।

কলিকাতা


১৯শে চৈত্র, ১৩৩৩
Paris Paris This is a link

পরীক্ষামূলক ফটো গ্যালারী


পূর্ণ ছবি দেখতে ক্লিক করুন
×
×

সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮

ফটো গ্যালারী 22


https://i0.nicepik.com/files/938/48/901/nature-forest-oak-sun.jpg