বাংলা ২য় পত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলা ২য় পত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৯

বাংরা ২য় পত্র সংলাপ


উত্তর:
‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিষয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ নিচে দেওয়া হলো—

ছাত্র: স্যার, আসতে পারি?
শিক্ষক: হ্যাঁ, জামান, আসো।
ছাত্র: স্যার, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
শিক্ষক: বাহ্! তোমার আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে। বলো, তোমার কী প্রশ্ন?
ছাত্র: ধন্যবাদ, স্যার। ভাষা আন্দোলনের মূল ঘটনা ১৯৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ঘটে। কিন্তু এর সূত্রপাত ঠিক কবে ঘটে?
শিক্ষক: মূলত ১৯৪৮ সালে রেসকোর্স ময়দানে জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিলে বাঙালি প্রথম এ হীন চক্রান্তের কথা জানতে পারে। এখান থেকেই মূলত আন্দোলনের সূচনা।
ছাত্র: কিন্তু এ আন্দোলন তো গড়ে উঠেছিল ছাত্রদের দ্বারা।
শিক্ষক: প্রাথমিকভাবে ছাত্ররা এ আন্দোলন চালিয়ে নিলেও এতে সর্বস্তরের মানুষের একাত্মতা ও অংশগ্রহণ ছিল। রেসকোর্সের ঘোষণার তিন দিন পরে জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘোষণা দিলে তাঁরা সেখানেই তত্ক্ষণাত প্রতিবাদ করেন।
ছাত্র: তাঁরা সংগঠিত হলেন কীভাবে? যখন ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কারফিউ ছিল।
শিক্ষক: দেশের প্রশ্নে সবাই এক। তা ছাড়া রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিল।
ছাত্র: মিছিলে গুলি করা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের কাছে, বেলা তিনটায়।
শিক্ষক: হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের নির্দেশে। ক্ষমতা আর আমলাতন্ত্র তাঁকে অন্ধ করে ফেলেছিল।
ছাত্র: আচ্ছা স্যার, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার ঘোষণা কবে আসে?
শিক্ষক: আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৬-এর সংবিধানে।
ছাত্র: তার মানে এ ঘটনার প্রভাব ও আন্দোলন ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ছিল?
শিক্ষক: একুশের প্রভাব এখনো আমাদের মধ্যে আছে। যত দিন বাঙালি আছে, তত দিনই থাকবে। আমি তোমাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী দিচ্ছি। এতে তুমি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সব ঘটনাপ্রবাহ জানতে পারবে।

ছাত্র: ধন্যবাদ, স্যার। অনেক ধন্যবাদ।

*সংলাপ
প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ বাংলা ২য় পত্রের ১১(ক) নম্বর প্রশ্ন অর্থাত্ সংলাপ নিয়ে কয়েকটি প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

প্রশ্ন: শহরের যানজট নিয়ে দুজন যাত্রীর সংলাপ লেখো।

উত্তর: ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে রহিম ও করিম নামের দুই যাত্রীর মধ্যে সংলাপ নিচে দেওয়া হলো।
রহিম: পুরোই অসহ্য। এত যানজট আর ভালো লাগে না।
করিম: ঠিক বলেছেন। শহরের মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা এত বেড়েছে যে প্রতিনিয়ত যানজটে পড়তে হচ্ছে।
রহিম: আরে ভাই, শোনেন। কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসতে লাগে দুই ঘণ্টার মতো। আর সায়েদাবাদ থেকে মিরপুর আসতে লাগে তিন ঘণ্টা। কেমন লাগে, একবার চিন্তা করছেন?
করিম: আমাদের শহরে গাড়ি ও মানুষের ব্যাপক বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইন না মানা, ট্রাফিক পুলিশের অদক্ষতার জন্যই তো আমাদের এই অবস্থা।
রহিম: এই শহরে আমরা ছোটবেলা থেকে দেখছি গাড়ির ড্রাইভার কত সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চালায়। আর এখন?
করিম: ড্রাইভাররা এখন কোনো ট্রাফিক আইন মানতে চায় না। যতক্ষণ প্রয়োজন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে, যাত্রী নামায়-ওঠায়, অবৈধ পার্কিং করে, সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালায়। এগুলোই এই যানজটের মূল কারণ।
রহিম: আমার মনে হয়, জনগণও সচেতন নয়, তাহলে হয়তো এই যানজট থেকে মুক্তির একটা পথ তৈরি হতো।
করিম: সবার অংশগ্রহণে এই যানজটমুক্ত ঢাকা শহর তৈরি করা খুবই প্রয়োজন।
রহিম: ঠিকই বলেছেন। তবে এ জন্য ট্রাফিক পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।
করিম: অবশ্যই। তারাই পারে আইন প্রণয়ন করে সবার মধ্যে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে। এই ট্রাফিক আইনগুলো প্রচার ও প্রয়োগে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
রহিম: দেশের যেকোনো কাজই আজ মন্থর গতিতে চলছে। শুধু যানজটের কারণে সময়মতো অফিসে না যাওয়া, স্কুলে না পৌঁছা, চাকরিক্ষেত্রে মানুষকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
করিম: আমারও গতকাল রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগেছে বাসায় পৌঁছাতে।
রহিম: আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসায় মানুষ আজ বেশি বেশি গাড়ি কিনছে। ফলে পরিবহন-সংকট ও যানজট আরও বেড়ে গেছে।
করিম: আজ মানুষ বুঝতে পারছে বসবাস ও কর্মক্ষেত্রের জন্য ঢাকা শহর কতটা ঝুঁকির কবলে রয়েছে । এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
রহিম: ঠিক আছে, ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।
করিম: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সহকারী অধ্যাপক
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ঢাকা

x Click on the X to close Girl in a jacket Girl in a jacket

বাংলা ২য় পত্র (ব্যাকরণ অংশ )-৩০ নম্বর

১৷ বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানের ৬টি নিয়ম উদাহারণ সহ লিখ৷
২৷ ণ-ত্ব বিধান কাকে বলে? ণত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম লিখ৷
৩৷ ষ- ত্ব বিধান কাকে বলে? ষ ত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম লিখ৷
৪৷ অর্থগতভাবে বাংলাভাষার শব্দ সমূহকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? উদাহারণ সহ আলোচনা কর৷
৫৷ উৎপত্তিগত দিক দিয়ে বাংলাভাষার শব্দ সমূহকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? উদাহারণ সহ আলোচনা কর৷
৬৷ সর্বনাম শব্দ কাকে বলে? উদাহারণ সহ সর্বনাম শব্দের শ্রেণী বিভাগ আলোচনা কর৷
৭৷ "উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তূ অর্থদ্যোতকথা আছে"— বুঝিয়ে লিখ৷
৮৷ সন্ধি ও সমাসের মধ্য ছয়টি পার্থক্য উদাহারণ সহ লিখ৷
৯৷ গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কি কি? উদাহারণ সহ আলোচনা কর৷
১০৷ বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যর কি কি বৈশিষ্ট্য থাকার দরকার উদাহারণ সহ আলোচনা কর৷
১১৷ পারিভাষিক শব্দ বলতে কি বুঝ? কয়েকটি পারিভাষিক শব্দের উদাহারণ দাও৷
১২৷ উপসর্গ কাকে বলে? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা কি আলোচনা কর৷
১৩৷ বাংলা বানানের 'ই' কার ব্যবহারের ছয়টি নিয়ম লিখ৷
১৪। বাক্যতত্ত্ব শিখেন ( সকল ধরনের বাক্য চিনেন, তৈরী করা শিখেন) এবং প্র‍্যাক্টিস (২০০১-২০১৭ বোর্ড)
১৫। বাক্য শুদ্ধিকরণ (২০০১-২০১৭ বোর্ড শিখেন)
১৬ ।কারক,বিভক্তি ও প্রত্যয় নির্ণয় শিখবে৷

**১৭৷ পারিভাষিক শব্দ অবশ্যই শিখবেন(২০০১-২০১৭ বোর্ড শিখেন)

⏩সারাংশ - সারমর্ম / ভাবসম্প্রসারণ (যে কোন ১টি)



সারাংশ:
*** ১। কোন সভ্য জাতিকে অসভ্য ------ আবশ্যকতা নেই।
*** ২। শ্রমকে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ কর ------ সংসার
কর্মক্ষেত্র।
*** ৩। প্রকৃত জ্ঞানের স্পৃহা না থাকিলে --------- হবে না।
*** ৪। মানুষের মূল্য কোথায়? চরিত্র ------- নেই। (ঢা:,রা:১৫)
*** ৫। আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে ----- খুজলেই নয়।
(চ:,সি:১৫)
*** ৬। তুমি জীবনকে স্বার্থক সুন্দর ------ হইয়া উঠিবে।
** ৭। খুব ছোট ছিদ্রের ------ উৎস / মানুষের সুন্দর মুখ ---- নয়।
** ৮। জাতি শুধু ঐশ্বর্য-সম্ভার ------ সাহিত্যিকদের। (য:, ব:১৫)
৯৷ মাতৃস্নেহের তুলনা নাই..,. রক্ষা করিতে ব্যস্ত হয়৷
১০৷ স্বাধীন হবার জন্য যেমন সাধনার........ না করে উপায় নেই৷
১১৷ ছাত্রজীবন আমাদের ভবিষ্যত জীবন....... সম্ভবনার পথ৷

সারমর্ম:-
*** ১। দৈন্য যদি আসে আসুক ------ দুহাত বাড়াস।
*** ২। স্বাধীনতা স্পর্শমনি ------- আখ্যা দানে বীর।
*** ৩। এসেছে নতুন শিশু,----/ কোথায় স্বর্গ, কেথায় নরক ---
*** ৪। তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি ---------- তরুর মতন।
*** ৫। বহুদিন ধরে বহুক্রোশ ঘুরে ------------ শিশির বিন্দু।
** ৬। শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে, ------ ফিরে?
** ৭। ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দূর্বলতা,-----/ বিশ¡জোড়া
পাঠশালা মোর ----।
৮৷ লক্ষ লক্ষ হা ঘরে দূর্গত...... ফক্ষত মূর্তি আগে৷
৯৷ আমি মরু কবি গাহি সেই..... বন্ধনা করি তিরে৷
১০৷ আঠার বছর বয়েসে আঘাত...... নতুন কিছু কর৷

ভাবসম্প্রসারণ:
১. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।
২. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
৩. দন্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
৪. স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ; বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনও শিখেনি বাঁচিতে।
৫. স্বদেশের উপকারে নেই যার মন, কেবলে মানুষ তারে পশু সেইজন।
৬. সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা।
৭. দুর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যাজ্য/ দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপস্বরূপ।
৮৷ কীর্তিমানের মৃত্যৃ নেই৷
৯৷সকলের তরে সকলে আমরা.... পরের তরে **
১. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত / দুঃখের মতো পরশপাথর আর নেই।
২. ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি।
৩. প্রাণ থাকলে প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
৪. আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে... ..., প্রত্যেকে আমরা
পরের তরে।
৫. রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
৬৷ যে সহে সে রহে৷
৭৷ তুমি অধম বলিয়া তাই আমি কেন উত্তম হইবনা৷
৮৷ জীবে প্রেম করে যেজন...... সেবিছে ঈশ্বর৷
৯৷ এ জগতে হায় সে বেশি চায়..... কাঙ্গালের ধন চুরি৷
.

⏩ সংলাপ/ক্ষুদে গল্প লিখন(যে কোন ১টি )

সংলাপ:
১. পরীক্ষার প্রস্তুতির সম্পর্কে দুই সহপাঠীর মধ্যে সংলাপ।
২. সাম্প্রতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
৩. সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ। ৪. দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি নিয়ে দুই সহকর্মীর মধ্যে সংলাপ।
৫. ভবিষ্যত জীবনের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
৬. শিক্ষা সফর / বই মেলা প্রসঙ্গে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
৭। মাদকাসক্তি ও ধুমপানের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
৮। সামাজিক অবক্ষয় / ইভটিজিং বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ।
৯৷ বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব দুই বন্ধুর মধ্য সংলাপ৷
১০৷ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার....
১১৷ শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা ...
১২৷ পরিবেশ দূষন সম্পর্কে দুই...
১৩৷ নারী শিক্ষার গুরুত্ব...

ক্ষুদে গল্প লিখন:
১. একজন মুক্তিযোদ্ধা
২. একতাই বল / বিপদে বন্ধুর পরিচয়
৩. রক্তঝরা ফেব্রুয়ারি/বিজয় দিবস
৪. দেশত্ববোধ
৫. স্মরণীয় যারা চিরদিন
৬.ডিজিটাল বাংলাদেশ
৭. সততার পুরস্কার / মিথ্যাবাদী রাখাল

⏩প্রতিবেদন / ভাষণ রচনা কর


১৷ সম্পতি চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদন লিখ৷
২৷যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা এই সম্পর্কে....
৩৷ বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে....
৪৷ তোমার কলেজ লাইব্রেরীর সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী....
৫৷ বর্তমানে রাস্তাঘাটের দুরাবস্থার সম্পর্কে....
৬৷ খাদ্য ভেজাল ও এর প্রতিকার সম্পর্কে......
৭৷ দূর্নীতি ও তার প্রতিকার সম্পর্কে...
৮৷ ঘূর্ণিঝড়/বন্যা উপদ্রত এলাকার...
৯৷ "পরিবেশগত ভারসাম্যর জন্য চাই বৃক্ষরোপন" এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন
১০৷ তোমার কলেজে উদযাপিত স্বাধীনতা/জাতীয়/ভাষা দিবস উপলক্ষ্য....
১১৷ কলেজের বিতর্ক/ক্রীড়া দিবস উদযাপন এর বিবরণ দিয়ে....
ভাষণ/দিনলিপি লিখন/অভিজ্ঞতা বর্ণনা:
⏩ভাষণ:
১৷ "মাদকাশক্তির কারণ ও প্রতিকার" শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপন করার জন্য একটি ভাষণ তৈরি কর|
২৷ "সড়ক দূর্ঘটনা: তার কারণ ও প্রতিকার" শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ তৈরি কর|
৩৷ দূর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি৷
৪৷ খাদ্যভেজাল,তার কারণ ও তার প্রতিকার" শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপন করার জন্য একটি ভাষণ তৈরি কর|
৫৷ আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বর্ণনা করে একটি ভাষণ তৈরি কর|
৬৷ এইডস কি বাচঁতে হলে জানতে হবে" শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ তৈরি কর|
৭৷ জাতিগঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা সম্পর্কিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ তৈরি কর|
৮৷ খাদ্য ভেজাল ও এর প্রতিকার সম্পর্কে/ ইভটিজিং প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা সম্পর্কিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ তৈরি কর|

⏩চিঠি/খুদে বার্তা/আবেদন পত্র: (যেকোন একটি)


খুদেবার্তা/ইমেইল:
১৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধুকে খুদেবার্তা
২৷ সড়ক দূর্ঘটনায় আহত বন্ধুর জন্য রক্ত ও আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি ইমেইল তৈরি কর
৩৷ বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুর নিকট খুদে বার্তা
৪৷ তোমার কলেজে অনুষ্ঠিতব্য কোন অনুষ্ঠান/ সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় দেশবরণ্য কোন গণ্যমান্য ব্যাক্তিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য খুদে বার্তার
৫৷ ইন্টাররনেট/ফেসবুক অতি ব্যবহারে কুফল সম্পর্কে জানিয়ে ছোটভাই এর নিকট
আবেদন পত্র:
১৷শিক্ষা সফরের যাওয়ার অনুমতি চয়ে অধ্যক্ষের....
২৷ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদের নিজের যোগ্যতা উল্লেখ করে..
৩৷ কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য....
৪৷ যানজট নিরসনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদপত্র বরাবর..
৫৷ রাস্তা সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদপত্র বরাবর..
ব্যাক্তিগত পত্র: ১৷ তোমার দেখা ঐতিহাসিক জায়গার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর.....
২৷ বইমেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট....
৩৷ বিজ্ঞানমেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী....
মানপত্র:
১৷ তোমার কলেজের একজন শিক্ষক বিদায় উপলক্ষ্য একটি মানপত্র
২৷ তোমার কলেজের নবাগত ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জানিয়ে মানপত্র
৩৷ তোমার কলেজর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকল্পে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট একটি

স্নারকলিপি রচনা কর৷
৪৷ কলেজে বরণ্য কোন ব্যাক্তি/কবি/লেখক এর আগমণ উপলক্ষ্য মানপত্র

⏩ প্রবন্ধ রচনা:


***১৷ শ্রমের মর্যাদা
***২৷ মানব কল্যাণে বিজ্ঞান/কম্পিউটার
***৩৷ অধ্যবসায়
***৪৷ স্বদেশপ্রেম
***৫৷ শীতের সকাল
৬৷ মাদকাশক্তির কুফল ও প্রতিকার>
৭৷

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিবেদন লেখা



বাংলা দ্বিতীয় পত্র এইচ এস সি - প্রতিবেদন তৈরীর নমুনা

১। তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি জরিপ করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।
অথবা, তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।

বরাবর
প্রধান শিক্ষক
বড়াইল হাই স্কুল, রাজশাহী।
বিষয় : লাইব্রেরি জরিপবিষয়ক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে।

জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার প্রেরিত পত্র নং-২০১৬/৩/২৭-ক-১-এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য প্রতিবেদনটি পেশ করছি। বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি

বড়াইল হাই স্কুল গ্রন্থাগারটি ১৯৯০ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় বইপত্র ক্রয় না করায় এর আশানুরূপ উন্নতি সাধিত হয়নি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং বইয়ের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও বইয়ের সংখ্যা বাড়েনি; বরং কমেছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের আর্থিক দীনতার কারণে গ্রন্থাগারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ কখনো যথেষ্ট ছিল না।

১। কিছু অসৎ কর্মচারীর কারসাজিতে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো গ্রন্থাগার থেকে চুরি হয়েছে।
২। গ্রন্থাগার গঠনকালে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক না থাকায় সুষ্ঠুভাবে তা গড়ে ওঠেনি।
৩। বইয়ের তালিকা তৈরিতে কোনো বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অনুসৃত হয়নি। দশমিক পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রন্থাগারিক অনভিজ্ঞ বলে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়নি।
৪। পুস্তকের রক্ষণাবেক্ষণে তেমন কোনো সচেতনতা নেই। বিদ্যালয় লাইব্রেরিতে ক্যাটালগ নেই, বই ইস্যু এবং ফেরত নেওয়ার ব্যাপারেও অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান।
এসব অবস্থা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে গ্রন্থাগারটি কলেজের জন্য তেমন কোনো উপকারে আসেনি। এ অবস্থায় নিম্নোক্ত সুপারিশ পেশ করছি, যার বাস্তবায়নে গ্রন্থাগারটি যথার্থ উপকারে আসতে পারে—

ক) অনতিবিলম্বে গ্রন্থাগারের সব পুস্তকের হিসাব গ্রহণ করে দশমিক পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি করা দরকার।
খ) ছাত্রদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আরো বইপত্র সংগ্রহ করা জরুরি। বিষয় নির্বাচনে বিশেষ তত্পর হতে হবে।
গ) বইপত্র বাড়িতে ইস্যু করা ও পাঠাগারে পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের দুই ধরনের গ্রন্থাগার কার্ড ইস্যু করতে হবে।
ঘ) বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ঙ) গ্রন্থাগারের জন্য স্বতন্ত্র তহবিল গড়ে তুলতে হবে এবং তাতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক চাঁদা দিতে হবে।
এ প্রতিবেদন তৈরিতে যেসব শিক্ষক ও ছাত্র সহায়তা করেছেন, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রতিবেদনের শিরোনাম:বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি
প্রতিবেদকের নাম:ও ঠিকানা:অ,ক,হাইস্কুল
প্রতিবেদকের স্থান: অ ,ক হাইস্কুল রাজশাহী
তারিখ:২২জুন ২০১৮ইং
প্রতিবেদন তৈরীর সময়:সকাণ ১০ঘটিকা



২। তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।

বরাবর
প্রধান শিক্ষক
c বিদ্যালয়, saver।

বিষয় : বিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।

জনাব
সম্প্রতি সমাপ্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরিতে আদিষ্ট হয়ে নিম্নলিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করছি (আদেশ নং বি. ক/১০২ (৪) ২০১৬)।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্‌যাপন

১। গত ১৫ থেকে ২২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত হয়।

২। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সারা বছর নিয়মিত লেখাপড়ার পর নতুন বছরের এ সময়ে প্রতিযোগিতার এ আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

৩। যেসব বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, নির্ধারিত বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, গল্প বলা, রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি, আধুনিক গান, পল্লীগীতি ইত্যাদি।

৪। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষানীতিই নকলপ্রবণতার জন্য দায়ী’। এ প্রতিযোগিতায় নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন প্রখ্যাত লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ প্রতিযোগিতায় নবম শ্রেণির প্যানেল বিজয়ী হয়। তারা বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

৫। বিদ্যালয়ের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা ছিল ১১০ জন। সব ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক এ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করেন।

৬। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা ছিল। পুরস্কার হিসেবে বাছাইকৃত ও প্রয়োজনীয় বই প্রদান করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে দশম শ্রেণির সুলতানা রাজিয়া পুরস্কৃত হয়েছে।

৭। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক ড. আশরাফ সিদ্দিকী।

প্রতিবেদনের শিরোনাম:বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি
প্রতিবেদকের নাম:ও ঠিকানা:অ,ক,হাইস্কুল
প্রতিবেদকের স্থান: অ ,ক হাইস্কুল রাজশাহী
তারিখ:২২জুন ২০১৮ইং
প্রতিবেদন তৈরীর সময়:সকাণ ১০ঘটিকা



বি:দ্র:
প্রতিবেদন লিখতে হলে আবেদনপত্রের মতো একটা সংক্ষিপ্ত সংযুক্ত পত্র লেখা উত্তম। তবে এক্ষেত্রে সূত্র নম্বর (যেমন : ক. হা. স্কুল, বাসাসাস/০৪/০২/২০১৫) অবশ্যই লিখতে হবে। অতঃপর পরের পৃষ্ঠায় উপরের মাঝে শিরোনাম লিখে তিন- চারটি প্যারায় মূল বক্তব্য লিখে নিচে প্রতিবেদকের নাম, ঠিকানা, প্রতিবেদন তৈরির স্থান ও সময় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আর সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লিখতে হলে সূত্র নম্বর লেখা যাবে না।

সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮

বাংলা ২য়পত্র প্রশ্ন

উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড প্রশ্নের নমুনা

সময়:৩ঘন্টা [দ্রষ্টব্য-:ডান পাশের সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক। একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ দূষণীয়] পূর্ণমান-১০০

ক.বিভাগ(ব্যাকরণ)-৩০

১। ক) বাংলা উচ্চারণের যেকোনো ৫টি নিয়ম লেখো ৫
অথবা
খ) যেকোনো ৫টি শব্দের উচ্চারণ লেখো
নিঃশেষ, অণু, মাদল, বৈধ, পরী, লক্ষণ, পদ্য, প্রণীত

২। ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে অ-তত্সম শব্দের বানানের ৫টি নিয়ম লেখো ৫
অথবা
খ) যেকোনো ৫টি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখো
ক্ষীণজীবী, শান্তনা, ক্রিতকার্য, সদ্যজাত, বয়োকনিষ্ঠ, দূরদর্শীতা, ভোগলিক, আশীষ।

৩। ক) উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো ৫
অথবা
খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষণ নির্বাচন করো সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। হঠাত্ টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হলো। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল।

৪। ক) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো (যেকোনো ৫টি) ৫ জাদুকর, চতুর্ভুজ, বাহুলতা, মধ্যবয়সী, সুকণ্ঠ, সহজাত, জলেস্থলে, লাঠালাঠি
অথবা
খ) প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করো (যেকোনো ৫টি)
দর্শনীয়, কর্মী, বৃষ্টি, দোকানদার, সোনালি, দোলনা, ঢাকাই, নায়ক।

৫। ক) বাক্য কাকে বলে? গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখো ৫
অথবা
খ) বাক্যান্তর করো (যেকোনো ৫টি)
i) এইমাত্র যে এল সে একজন ছাত্র। (সরল)
ii) কী ভয়ংকর ঘটনা! (নির্দেশাত্মক)
iii) তার নাম রেশমা। (জিজ্ঞাসাসূচক)
iv) তোমার যাওয়াই উচিত। (অনুজ্ঞাসূচক)
v) লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ। (সরল)
vi) সাহসীরাই সফল হয়েছে। (কার্যকরণাত্মক)
vii) সে সুস্থ নয়। (অস্তিবাচক)
viii) তুমি অন্যায় করেছ। (নেতিবাচক)

৬। ক) যেকোনো ৫টি বাক্য শুদ্ধ করে লেখো ৫
i) পরবর্তীতে আপনি আবার আসবেন।
ii) নতুন নতুন ছেলেগুলো স্কুলে বড় উত্পাত করছে।
iii) আমি আপনার জ্ঞাতার্থে এই সংবাদ লিখিলাম।
iv) আমি আপনাকে অন্তরের অন্তস্তল হতে ধন্যবাদ দিলাম।
v) অন্যায়ের প্রতিফল দুর্নিবার্য।
vi) বৃক্ষটি সমূলসহ উত্পাটিত হইয়াছে।
vii) আমার আর বাঁচিবার স্বাদ নাই।
viii) কারও ফাগুন মাস আর কারও সর্বনাশ।
অথবা
খ) অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ করো।
বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে রাতুল ফিরে এল। সে খুবই সুবুদ্ধিমান। তার আপাদমস্তক পর্যন্ত ভেজা। পোশাক পাল্টানো আবশ্যকীয়। কিন্তু প্রথমেই সে আকণ্ঠ ভোজন করিল। তা দেখে রাতুলের মা বিস্মিত হলো। তবে রাতুল নিঃসন্দিহান যে তার অসুখ হবে না।

খ.বিভাগ(নির্মিত)-৭০

৭। ক) যেকোনো ১০টি শব্দের বাংলা পারিভাষিক রূপ লেখো ১০
Faculty, Embargo, Adviser, Sabotage, White-paper, Manuscript, Oath, Code, Auditor, Fiction, Index, Quack, Civil war, Boycott, Expert.
অথবা
খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ করো
Punctuality is to be cultivated and formed into a hibit. This quality is to be acquired through all our works from our boyhood. Boyhood is the seed time. The habit formed at this time will continue all through our life.

৮। ক) তোমার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনের একটি দিনলিপি বা রোজনামচা রচনা করো ১০
অথবা
খ) কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির একটি ভাষণ তৈরি করো
৯। ক) বাংলায় এমন একটি ই-মেইল তৈরি করো, যা প্রবাসী বন্ধুকে তোমার এলাকা ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করবে ১০
অথবা
খ) ডাকযোগে বই প্রেরণের অনুরোধ জানিয়ে একটি প্রকাশনা কেন্দ্রের ম্যানেজার বরাবর ব্যবসায়িক পত্র লেখো

১০। ক) সারাংশ লেখো ১০
কোনো সভ্য জাতিকে অসভ্য করার ইচ্ছা যদি কারও থাকে, তা হলে তাদের সব বই ধ্বংস করতে হবে এবং সকল পণ্ডিতকে হত্যা করতে হবে। এতে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। লেখক, সাহিত্যিক ও পণ্ডিতেরাই জাতির আত্মা। এই আত্মাকে যারা অবহেলা করে, তারা বাঁচে না। দেশ বা জাতিকে উন্নত করতে হলে জ্ঞান ও সাহিত্যের বিকল্প নেই; পণ্ডিত ও সাহিত্যিক ছাড়া উপায় নেই।
অথবা
খ) ভাবসম্প্রসারণ করো
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।

১১। ক) শিক্ষাসফর প্রসঙ্গে দুই বন্ধুর কথোপকথন রচনা করো ১০
অথবা
খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে ‘দুর্ঘটনা’ বিষয়ে একটি খুদে গল্প রচনা করো হঠাত্ রিকশার ডান চাকাটি খুলে দৌড়াতে লাগল।...

১২। যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখো
ক) বাংলাদেশকে যেমন দেখতে চাই
খ) তোমার প্রিয় লেখক
গ) আধুনিক জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব
ঘ) বই পড়ার আনন্দ
ঙ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

লিঙ্ক link.

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

সন্ধি


Girl in a jacket

প্রশ্ন: সন্ধি বলতে কী বোঝো? সন্ধি কয় প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।.


উত্তর: পাশাপাশি দুটি ধ্বনি দ্রুত উচ্চারণকালে সম্পূর্ণ বা আংশিক মিলিত হয় অথবা একটি লোপ পায় কিংবা একটি অপরটির প্রভাবে পরিবর্তিত হয়, এরূপ পরিবর্তন, লোপ বা মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়; গৈ + অক = গায়ক; নে + অন = নয়ন; ষট + আনন = ষড়ানন।

সন্ধির প্রকারভেদ: বাংলা ভাষায় সন্ধি তিন প্রকার। যেমন:
১. স্বরসন্ধি: স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনে স্বরসন্ধি হয়। যেমন: নর + অধম = নরাধম; শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা।
২. ব্যঞ্জন সন্ধি: ব্যঞ্জন ধ্বনির সথে স্বরধ্বনি অথবা ব্যঞ্জন ধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জন ধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। যেমন: তত্ + অন্ত = তদন্ত; সত্ + জন = সজ্জন।
৩. বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সঙ্গে স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জন বর্ণের মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। যেমন: মনঃ+যোগ=মনোযোগ; পুনঃ+আয় =পুনরায়।
এ ছাড়া খাঁটি বাংলা সন্ধি আছে। যেমন: দিন+এক = দিনেক; আধা+উলি = আধুলি।



প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তর: সন্ধির প্রয়োজনীয়তা: সন্ধি ভাষার শ্রুতিমধুরতা আনে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সন্ধির ফলে ভাষা সংক্ষিপ্ত হয়। তা ছাড়া সন্ধির মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দ গঠন করা হয়। ফলে ভাষা নির্মাণে সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। অনেকে বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন না। বাংলা উচ্চারণরীতির সঙ্গে বাংলা সন্ধির নিয়ম জড়িত। সংস্কৃতের অনুসরণে বাংলা ভাষায় সন্ধি এসেছে। সংস্কৃত শব্দের সন্ধি সংস্কৃত নিয়ম অক্ষুণ্ন রেখেই বাংলা ভাষায় প্রচলিত। সাধারণত তত্সম শব্দের সঙ্গে তত্সম শব্দের সন্ধি হয়। বাংলা শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের সন্ধি করা বিধেয় না। সন্ধি উচ্চারণের সরলীকরণ করে, ভাষার সহজ ও স্বচ্ছন্দ গতি নিশ্চিত করে। সুতরাং, সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।




প্রশ্ন: সন্ধি কাকে বলে? সন্ধির সাহায্যে কীভাবে শব্দ গঠন করা যায়, উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: সন্ধি অর্থ মিলন। পরস্পর সন্নিহিত দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধিতে পূর্বপদের বর্ণের সঙ্গে পরপদের প্রথম বর্ণের মিলন ঘটে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়, শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা।

সন্ধির সাহায্যে শব্দ গঠনে পদ্ধতি: সন্ধির কাজ হচ্ছে বর্ণের সঙ্গে বর্ণ মিলিয়ে নতুন শব্দ গঠন করা। যেমন: নরাধম। এখানে ‘নর’ এবং ‘অধম’—এ দুটি পদের মিলন হয়েছে। ‘নর’-এর অন্ত্যস্বর ‘অ’ আর ‘অধম’-এর আদ্যস্বর ‘অ’ উভয়ে মিলে আ-কার হয়েছে। আর এই ‘আ’-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হওয়ার ফলে নতুন শব্দ ‘নরাধম’ সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপভাবে, অ বা আ-কারের পর ই-কার থাকলে ‘অ’ বা ‘আ’-এর স্থানে এ-কার হয়। এ-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়। যেমন: শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা। এমনিভাবে পরস্পর সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনে সন্ধি নতুন শব্দ গঠন করে।


一一一一一一
mozahid
00/7/2018,

বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

প্রত্যয় নির্ণয় কর


প্রত্যয় নির্ণয় কর

স্মরণ রাখতে হবে।
১. কৃৎ প্রত্যয়ের প্রদত্ত শব্দ দ্বারা কাজ বোঝাবে [কারণ কৃৎ প্রত্যয়ের শব্দটি গঠিত হয ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যোগে , আর ধাতু হল ক্রিয়ার মূল। ক্রিয়া দ্বারা কোনো কাজ করাকে বোঝায় ]। যেমন: করা চলা দিয়ে কোনো কাজকে বোঝাচ্ছে ।এরুপ কাজ বোঝালে সহজেই প্রদত্ত শব্দটির মূলকে আমরা ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি , আর এর সঙ্গে যুক্ত বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিই শুধু কৃৎ প্রত্যয়।
২.কৃৎ প্রত্যয়ের শব্দটিকে যখন বিশ্লেষণ করা হয় তখন প্রকৃতিটি অবশ্যই ধাতু হবে এবং ধাতুর সঙ্গে ‘√’ চিহ্ন থাকবে।
৩.ধাতু অর্থযুক্ত হবে , বিন্তু ভাষায় এদের স্বাধীন ব্যবহার থাকবেনা যেমন: গম কৃ এদের অর্থ আছে কিন্তু ভাষায় এদের স্বাধীন ব্যবহার নেই। এভাবে আমরা সহজেই কৃৎ প্রত্যয়কি চিহ্নিত করতে পারি।


বিভিন্ন বোর্ডের ১৭ বছরের প্রশ্নের উত্তর প্রত্যয় নির্ণয়

প্রকৃতি ও প্রত্যয় শব্দ প্রত্যয়ের নাম
অন্ত+ইম= অন্তিম তদ্ধিত প্রত্যয়
অঙ্গ+ইক= আঙ্গিক তদ্ধিত প্রত্যয়
অগ্নি+ এয়= আগ্নেয় তদ্ধিত প্রত্যয়
অর্থ +ইক= আর্থিক তদ্ধিত প্রত্যয়
অনু+√রাগ্‌+ইন= অনুরাগী কৃৎ প্রত্যয়
আঁজল+আ= আঁজলা তদ্ধিত প্রত্যয়
আত্নজ+আ= আত্নজা তদ্ধিত প্রত্যয়
আধ+উলি= আধুলি>আধলি তদ্ধিত প্রত্যয়
আষাঢ়+ ইয়া = আষাঢ়িয়া>আষাঢ়ে তদ্ধিত প্রত্যয়
আদি+য= আদ্য তদ্ধিত প্রত্যয়
ইচ্ছা+উক= ইচ্ছুক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইতর+আমি= ইতরামি তদ্ধিত প্রত্যয়
√উড়ু +উয়া>ও= উড়ো কৃৎ প্রত্যয়
√ উঠ+তি = উঠতি কৃৎ প্রত্যয়
উতর+আই= উতরাই তদ্ধিত প্রত্যয়
√উজা+আনো= উজানো>উজান কৃৎ প্রত্যয
√বচ্‌+ইত= উচিত কৃৎ প্রত্যয়
√বচ+ত= উক্ত কৃৎ প্রত্যয়
√ বচ+তি= উক্তি কৃৎ প্রত্যয়
√ বপ+ত = উপ্ত কৃৎ প্রত্যয়
ইতিহাস+ইক = ঐতিহাসিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইচ্ছা+ইক= ঐচ্ছিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইহ+ ইক= ঐহিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ক,খ
কম+তি কমতি তদ্ধিত প্রত্যয়
√কর+আ করা কৃৎ প্রত্যয়
কলম+দানি কলমদানি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ কাঁদ+না কাঁনা>কান্না কৃৎ প্রত্যয়
কাঁদন+ইয়া= কাঁদনিয়া>কাঁদুনে তদ্ধিত প্রত্যয়
কাঠ+উরিয়া= কাঠুরিয়া>কাঠুরে তদ্ধিত প্রত্যয়
কাণ্ডার+ই= কাণ্ডারি তদ্ধিত প্রত্যয
কবি+য়= কাব্য তদ্ধিত প্রত্যয়
কুশ+ইক/কুশিক+অ= কৌশিক তদ্ধিত প্রত্যয়
কুশল +অ= কৌশল তদ্ধিত প্রত্যয়
কুঠি+আল = কুঠিয়াল তদ্ধিত প্রত্যয়
√ কৃ+অক= কারক কৃৎ প্রত্যয়
√কৃ+য়= কার্য কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃ+অনীয় = করণীয় কৃৎ প্রত্যয
√কৃ+তব্য = কর্তব্য কৃৎ প্রত্যয়
√কৃষ+অক কৃষক কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃ+তৃ = কৃতৃ>কর্ত। কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃত্‌+তি= কীর্তি কৃৎ প্রত্যয়
√ ক্রী+তৃ = ক্রেতা কৃৎ প্রত্যয়
√খা+আনো= খাওয়ানো কৃৎ প্রত্যয়
√ খা+উকা খাউকা>খেকো কৃৎ প্রত্যয়
খুকি্+ উ= খুকু তদ্ধিত প্রত্যয়
√খেল+অনা= খেলনা কৃৎ প্রত্যয়
খে+চর+অ= খেচর কৃৎ প্রত্যয়
√ খ্যা+তি = খ্যাতি কৃৎ প্রত্যয়
√ ক্ষুদ+আই= খোদাই কৃৎ প্রত্যয়
গ,ঘ
√ গম্‌+তব্য গন্তব্য কৃৎ প্রত্যয়
√ গণ্‌+অন্+আ= গণনা কৃৎ প্রত্যয়
√ গাহ্‌+ইয়ে= গাহিয়ে>গাইয়ে কৃৎ প্রত্যয়
গাঁ+উয়া= গাঁউয়া>গেঁয়ো তদ্ধিত প্রত্যয়
গাছ্‌+উয়া= গাছুয়া>গেছো তদ্ধিত প্রত্যয়
গাছ+টি= গাছটি তদ্ধিত প্রত্যয়
গাড়ি+ওয়ান= গাড়োয়ান তদ্ধিত প্রত্যয়
গুরু+অ= গৌরব তদ্ধিত প্রত্যয়
গোয়াল+আ= গোয়ালা তদ্ধিত প্রত্যয়
গ্রাম্য+তা= গ্রাম্যতা তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘর+আমি= ঘরামি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ ঘাট্‌+তি= ঘাটতি কৃৎ প্রত্যয়
√হন্‌+অক ঘাতক কৃৎ প্রত্যয
√মুড়্‌+ক (অক)= মোড়ক কৃৎ প্রত্যয়
ঘোর+আল= ঘোরাল তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘোলা+টিয়া= ঘোলাটিয়া তদ্ধিত প্রত্যয়
চ,ছ,জ,ঝ
চতুর+আলি= চতুরালি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ চল+অন্ত= চলন্ত কৃৎ প্রত্যয়
√চির্‌+অনি= চিরনি>চিরুনি কৃৎ প্রত্যয়
√ চিন্‌+আ = চেনা কৃৎ প্রত্যয়
ছাওয়াল+ইয়া= ছেলে তদ্ধিত প্রত্যয়
ছেলে+আমি= ছেলেমি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ জন্‌+অক= জনক কৃৎ প্রত্যয়
√ ফল্‌+অন্ত= ফলন্ত কৃৎ প্রত্যয়
জবান+বন্দি= জবানবন্দি তদ্ধিত প্রত্যয়
জমা+আন= জমান তদ্ধিত প্রত্যয়
ক্লিক করুন

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রকৃতি ও প্রত্যয়


১. প্রকৃতি কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর:ক্রিয়া অথবা শব্দের মূল অংশকে প্রকৃতি বলে।যেমন: পড়া এর মূল অংশ হলো পড়্।সুতারাং পড়্ হলো প্রকৃতি
প্রকারভেদ:

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা:
১. ক্রিয়া প্রকৃতি।
২. নাম প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি : ক্রিয়ার মূল অংশকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে।ক্রিয়া প্রকৃতিকে ধাতুও বলা হয়।যেমন: চলন্ত ক্রিয়ার মূল হলো চল্।
নাম প্রকৃতি : কোন শব্দের মূল অংশকে নাম প্রকৃতি বলে।নাম প্রকৃতি অন্য নাম শব্দ প্রকৃতি।যেমন: ফুলেল শব্দের মূল অংশ হলো ফুল।সুতারাং ফুল হলো নাম প্রকৃতি।


২. প্রত্যয় কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: প্রত্যয় হলো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা প্রকৃতির পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।যেমন: চলন্ত এর চল্ হলো প্রকৃতি, কিন্তু এর সাথে যুক্ত অন্ত হলো প্রত্যয়।
প্রত্যয় এর প্রকারভেদ :
প্রত্যয় দুই প্রকার।যথা:
১. কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিৎ প্রত্যয়।

কৃৎ প্রত্যয়:ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।যেমন: পড়্+আ=পড়া,এর আ হলো কৃৎ প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয় দুই প্রকার।
১. বাংলা কৃৎ প্রত্যয়।
২. সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।

তদ্ধিৎ প্রত্যয়:নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে তদ্ধিৎ প্রত্যয় বলে।যেমন:শিশু+অ = শৈশব।এখানে অ হলো তদ্ধিৎ প্রত্যয়। তদ্ধিৎ প্রত্যয় তিন প্রকার।যথা:
১. বাংলা তদ্ধিৎ প্রত্যয়
২. সংস্কৃত তদ্ধিৎ প্রত্যয়
৩. বিদেশি তদ্ধিৎ প্রত্যয়


৩. কৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত পদ কাকে বলে?
উত্তর:কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে কৃদন্ত পদ বলে।
আর তদ্ধিৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে তদ্ধিতান্ত পদ বলে।




প্রশ্ন: ‘ইনী’ এবং ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে পাঁচটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
উত্তর :‘ইনী’—প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ ও বাক্য :
১. বন্দী + ইনী = বন্দিনী : একসময় বাঙালি মুসলিম নারীদের ঘরে বন্দিনী হয়ে থাকতে হতো।
২. অধিকারী + ইনী = অধিকারিণী : এই ঘরের অধিকারিণী রীতা গতকাল পটল তুলেছে।
৩. প্রণয়ী + ইনী = প্রণয়িনী : নিপা বলল, ‘আজীবন তোমার প্রণয়িনী হয়ে থাকব। ’
৪. গৃহী + ইনী = গৃহিণী : বাংলাদেশের বেশির ভাগ মহিলাই পেশায় গৃহিণী।
৫. অনুরাগী + ইনী = অনুরাগিনী : মেয়েটি তার স্বামীর প্রতি অত্যন্ত অনুরাগিনী।

‘ইত’ —প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ ও বাক্য :
১. বিকার + ইত = বিকৃত : বিকৃত রুচির মানুষ সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত।
২. পরিবর্তন + ইত = পরিবর্তিত : সময়ের পরিবর্তনে মানুষের চিন্তাধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে।
৩. শিক্ষা + ইত = শিক্ষিত : শিক্ষিত ব্যক্তি সবার কাছে সম্মানিত।
৪. প্রচলন + ইত = প্রচলিত : প্রচলিত রীতি-নীতির বাইরে কিছু করা খুবই কঠিন।
৫. লজ্জা + ইত = লজ্জিত: দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আমজাদ সাহেব খুবই লজ্জিত হলেন। প্রশ্ন: ইক ইনী প্রত্যয়যোগে পাচঁটি শব্দের উদাহরণ দাও। উত্তর: ইক প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ :উপনিবেশিক+ইক=ঔপনিবেশিক, প্রকৃতি+ইক=প্রাকৃতিক, অর্থ+ইক= আর্থিক , নগর+ইক= নাগরিক,বিপ্লব+ইক= বৈপ্লবিক। ইনী প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: বন্দী+ইনী=বন্দিনী, গৃহ+ইনী=গৃহিনী, অধিকার +ইনী= অধিকারিণী, অনুগামী+ইনী=অনুগামিনী,প্রনয়+ইনী=প্রণয়িনী ।

ক্লিক করুন

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

সমোচ্চারিত শব্দ

দুটি শব্দের প্রায় একই রকম উচ্চারণ তাদের কে বলা হয় সমোচ্চারিত শব্দ । বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো শব্দ আছে যাদের উচ্চারণ একই রকম হলেও অর্থের দিক থেকে পার্থক্য বিদ্যমান। এ সব শব্দকে প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলে। সমোচ্চারিত শব্দের বানান এবং  এর অর্থ জানা না থাকলে বাক্যের অর্থের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।এজন্য শব্দগুলোর উচ্চরণ বানান সঠিক কোনটি হবে তা  শেখা প্রয়োজন।
কতগুলো প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ অর্থ বাক্যেপ্রয়োগ দেওয়া হল।

অন্ন (ভাত)     --দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্ব দতিতে মানুষের মুখে অন্ন   ওঠা দায়
অন্য (অপর)  --সংস্কার , সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল ।

অনু (পশ্চাৎ)      --এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের  মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো ।
অণু (ক্ষুদ্রতম অংশ)  --এটুকু ভাতে আমার  পেটের অণুটুকুও ভরবে না।

অনুপ(উপমাহীন)
অনূপ(জলা ,বিল )

অনিষ্ট (ক্ষতি)
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন)

অংশ (ভাগ)
অংস (কাঁধ)

অলিক (কপাল )
অলীক (অবাস্তব)

অর্ঘ (মুল্য)
অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ)

অশ্ম (প্রস্তর )
অশ্ব (ঘোড়া)

অবদান (মহৎ কর্ম )
অবধান (মনোযোগ)

অনুদিত (যা উদিত হয় নি)
অনূদিত (ভাষান্তরিত)

অভি (সম্মুখে)
অভী (ভয়হীন)

অশন (আহার)
অসন (ক্ষেপণ)

অসুর (দৈত্য)
অশূর (যে বীর নয় )

অন্ত  ( মৃত্যু )
অন্ত্য (শেষ )
অন্তঃ  ( মধ্যে )

অবিরাম (অনবরত)
অভিরাম (সুন্দর )

অনিল (বাতাস )
অনীল  (নীল নয় যা )

অভিভাষণ (বক্তৃতা)
অভিবাসন (দেশান্তরে বসতি)

অবতরণ (নিচে নামা)
অবতারণ (প্রসঙ্গ উহ্থাপন)

আদি (মূল )
আধি (মনঃকষ্ট )
আঁধি (প্রবল ঝড়)

অশা (ভরসা)
আসা (আগমন)

আপন (নিজ)
আপণ (দোকান)

আবাস (বাসস্থান)
আভাস (ইঙ্গিত)
আভাষ (আলাপ, ভুমিকা)

আষাঢ় (মাসের নাম)
আসার  (বষণ)

আশি (সংখ্যা)
আশী (সাপের দাঁত)
আসি (আগমন করি)

আবরণ (আচ্ছাদন)
আভরন (অলংকার )

আত্ন (স্বয়ং)
আত্ত (গৃহীত)

অদাড় (আস্তাকুঁড়)
আধার (পাত্র)
আঁধার (অন্ধকার )

আবৃত্তি (সরব পাঠ )
আবৃতি (আবরণ)

অাসক্তি (অনুরাগ)
আসত্তি  (নৈকট্য)

ইতি (শেষ)
ঈতি (কৃষিতে উপদ্রপ)

উপাদান (উপকরণ )
উপাধান (বালিশ)

উৎপত (পাখি)
উৎপথ (কুপথ)

উদ্দেশ (সন্ধান)
উদ্দেশ্য (লক্ষ্য )

একদা (এককালে )
একধা (এক প্রকারে )

একতা (ঐক্য )
এক তা (কাগজের এক পাতা )

এণ (কৃষ্ণসার মৃগ)
এন ( দোষ /পাপ )

ওষধি (একবার ফল দেয় যে গাছ)
ঔষধি (ঔষধের গাছ)
কৃত-যা করা হয়েছে ক্রীত-যা কেনা হয়েছে কমল-পদ্ম কোমল-নরম কোণ-দিক কোন-








প্রশ্ন: অর্থপার্থক্য দেখিয়ে বাক্য রচনা কর ?
শমন ,সমন; সাম,শ্যাম; সামি,স্বামী; সাক্ষর ,স্বাক্ষর ;বারি ,বাড়ি; শারি,শাড়ি; হার, হাড়; দার ,দাঁড়;



বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

সমাার্থক শব্দ


Flowers in Chania

সমার্থক শব্দ । একার্থক শব্দ
প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ?

যে সকল শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে তাকে সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ বলে।

প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কখন হয়।

যে সকল শব্দ একই অর্থপ্রকাশ করে বা একই অর্থে ব্যবহার করা যায় ,তাদের বলা হয় প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলে। সমার্থক শব্দ বাংলা ভাষার এ কটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ, সৌন্দর্য রুপায়ণ,তথা ব্যাবহার মাধূর্য্যময় অবয়ব গঠনে প্রতিশব্দ গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রতিশব্দের ব্যবহারের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল।

১.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি হয়
২.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দের বার বার প্রয়োগজনিত সমস্যার সমাধার করা যায়।
৩.এর ব্যবহারে প্রকাশশৈলীতে অভিনবত্ব আসে।
৪.বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
৫.এর মাধ্যামে পাঠক নাানা ধরনের নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচয় হয়।
৭.নানা ধরনের সাহিত্য রচনায় ,কবিতায় মিল দেওয়ায, বক্তৃতা আকর্ষণীয় করার জন্য সাহিত্যের ভাবকে পাঠকের মনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন সমার্থক শব্দের প্রয়োজন পরে।

সমার্থক বা প্রতিশব্দের নমুনা :-

অক্ষম= ক্ষমতাহীন, অসমর্থ,হতবল,বলহীন,হীনবল ,অপারগ,সামর্থ্যহীন,অসহায়,অযোগ্য

অক্ষয়= চিরন্তন,ক্ষয়হীন,নাশহীন,অব্যয়,অলয় অনশ্বর ,স্থায়ী,অমর,

অঙ্গ= দেহ, শরীর ,অবয়ব,গা,গতর,দেহাংশ,আকৃতি,গাত্র

অঙ্গীকার= প্রতিজ্ঞা,সংকল্প,পণ ,শপথ,প্রতিশ্রুতি,জবান,হলফ,বাগদান।

অচেতন= অসাড়,নিশ্চেতন,সংজ্ঞাহীন, বেহুঁস,

অজ্ঞ= মূর্খ, নির্বো্ধ, অশিক্ষিত,জ্ঞানহীন,বেকুব,অজ্ঞানী

অতিরিক্ত= অত্যধিক,বেশি,মেলা,অনেক,প্রতুল,ভূরি

অতীত= গতদিন, তৎকাল ,পূর্ব,সেকাল,আগের

অত্যাচর= পীড়ন ,উৎপীড়ন,নিপীড়ন ,নির্যাতন,জুলুম

অদুশ্য= অলক্ষিত,অদৃষ্ট,অগোচর,অদেখা,নাদেখা

অধ্যয়ন= শিক্ষণ,লেখাপড়া, শিক্ষাগ্রহন,পঠন, পাঠ,জ্ঞানার্জন,বিদ্যাভ্যাস

অনন্ত= সীমাহীন,অন্তহীন,শাশত্ব,অশেষ,চিরস্থায়ী,চিরায়ত,অপার,চিরন্তন,চির,অসীম,নিরবধি,অবিনাশী

অনিবার্য= অবধারিত,অব্যর্থ,অমোঘ,দুর্নিবার,অলঙ্গনীয়,অসংবরণীয়

অনুকরণ= অনুসরণ , নকল , প্রতিরুপীকরণ,সাদৃশ্যকরণ,

অনেক= বেশি, নানা একাধিক,বহু,অঢেল,যথেষ্ট,অজস্র,

অভাব= অনটন,দারিদ্র,দৈন্য, দীনতা.দুরবস্থা,দুস্থিতি,ঘাটতি,

অগ্নি = অনল, পাবক, আগুন, দহন,সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

অন্ধকার = আঁধার, তমঃ, তমিস্রা,তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম

অখন্ড = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত,পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।

অপূর্ব= অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক,অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব,চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।

অক্ষয় = চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন,অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়,অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।

অঙ্গ = দেহ,শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র,বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি,দেহাংশ

অবস্থা= দশা, রকম, প্রকার,গতিক,হাল,স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা,ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।

আইন = বিধান, কানুন, বিহিতক,অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি,ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।

আসল= খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।

আনন্দ= হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত,সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।

আদি= প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,প্রাচীন, মূল।

অতনু= মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প

আকাশ = আসমান, অম্বর, গগন,নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ

আলোক = আলো, জ্যোতি, কিরণ,দীপ্তি, প্রভা

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

ঈশ্বর = আল্লাহ্ , খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ,
অমরেশ, পরেশ, লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক, ভগবান, ধাতা।

উঁচু = উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।

উদাহরণ = দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির,নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।

উত্তম = প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।

একতা= ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ,সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।

কপাল= ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট,নিয়তি, অলিক

কোকিল= পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

কষ্ট = মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ,সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।

খ্যাতি = যশ,প্রসিদ্ধি,সুখ্যাতি,সুনাম,নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি।

কন্যা= মেয়ে, দুহিতা, দুলালী,আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

ঘোড়া= অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

মেঘ= ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।

সূর্য = দিবাকর, প্রভাকর, ভাস্কর, রবি, তপন, দিনেশ, ভানু, রোদ, সবিতা, আদিত্য, মার্তন্ড, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, অংশু, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

পৃথিবী = ধরা, ধরাধাম, ধরণী, ধরিত্রী, ভুবন, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, বিশ্ব, পৃথিবী, দুনিয়া, জগত, সংসার, সৃষ্টি, মর্ত, মর্তধাম, মহী, মেদিনী, অবনী, স্থলভাগ, ভূ-মণ্ডল, ইহলোক

আলো = বাতি, প্রদীপ, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা,

সাগর = সমুদ্র, বারিধি, পারাবার, পাথার, বারীন্দ্র, অর্ণব, সিন্ধু, জলনিধি, জলধি, জলধর, সায়র, জলাধিপতি, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, বারীন্দ্র, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

অগ্নি = আগুন, জ্বালানি, তেজ, শিখা, অনল, বহ্নি, হুতাশন, পাবক, দহন, সর্বভূক, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

পর্বত =পাহাড়, অচল, অদ্রি, গিরি, ভূধর, শৈল, অটল, চূড়া, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র

সোনা= স্বর্ণ, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ

বন = কানন অরণ্য, জঙ্গল, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহ

পাখি = পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ

আকাশ = গগন, অম্বর, নভঃ, ব্যোম, ঊর্ধ্বলোক, মেঘমণ্ডল, আসমান, নভোমণ্ডল, খগ, অন্তরীক্ষ

অন্ধকার = আঁধার, তমসা, তিমির, তমঃ, তমিস্রা, আন্ধার,

তমস্র ঈশ্বর = সৃষ্টিকর্তা, ভগবান, বিধাতা, বিষ্ণু, আল্লাহ, খোদা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, আদিনাথ

দেবতা = অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অজর, ঠাকুর

জল = পানি, অম্বু, জীবন, নীর সলিল, বারি, উদক, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়

বৃক্ষ = গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ

বায়ু = বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ

চাঁদ = চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, সুধাংশু, হিমাংশু, চন্দ্রমা, শশী, সুধাকর, সোম, ইন্দু, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত

মানুষ = লোক,মানব, মনুষ্য, , জন, নৃ, নর

মৃত্যু = ইন্তেকাল, ইহলীলা-সংবরণ, ইহলোক ত্যাগ, চিরবিদায়, জান্নাতবাসী হওয়া, দেহত্যাগ, পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, পরলোকগমন, লোকান্তরগমন,

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, স্বর্গলাভ

মহৎ = উন্নত, উদার, মহান, বড়, বিশিষ্ট, বিশাল, বৃহৎ, মস্ত, মহানুভব, বদান্য, মহীয়ান

পণ্ডিত = বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ

চালাক = চতুর, বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, সপ্রতিভ

সাহসী = অভীক, নির্ভীক

অপূর্ব =আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, অদ্ভুত, সুন্দর

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত

খেচর=পাখি, পক্ষ ি, বিহগ, বিহঙ্গ, দ্বিজ, খগ, বিহঙ্গম , কচর, চিরিয়া

গভীর =অগাধ, প্রগাঢ়, নিবিড়, অতল , গহন, গম্ভীর ,অতলস্পর্শী, অথই

গঙ্গা=ভাগীরথী,শিবপত্নী, গোমতী , কৃষ্ণবেণী, পিনাকিনী,কাবেরী

গরু=ধেনু, গো, গাভি , পয়স্বিনী,গোরু মূর্খ

কপাল = ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

পর্দা = আড়াল, পরদা, পর্দা, যবনিকা, মশারি, অভিনয়শেষ, অবগুণ্ঠন, আবরণ, ছদ্মবেশ, ত্তড়, আচ্ছাদন, প্রাবরণ, মুড়ি, বিছানার চাদর, ঝিল্লী, জীবদেহের ঝিল্লি, উদ্ভিদ্দেহের ঝিল্লি

মাটি = ক্ষিতি, মৃত্তিকা উত্তম = সেরা, শ্রেষ্ঠ, প্রকৃষ্ট, ভালো, অগ্রণী, অতুল

দৃষ্টান্ত = উদাহরণ, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা

একতা = ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, একাত্মতা, একীভাব

পূর্ণ = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, অখন্ড, সমগ্র, সমাগ্রিক

আদি = প্রথম, প্রাচীন, মূল, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,

আইন = নিয়ম, কানুন, বিধি, বিধান, ধারা, অনুবিধি। বিহিতক, অধিনিয়ম, উপবিধি, বিল, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা আসল = প্রকৃত, খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, যথার্থ

আনন্দ = সুখ, হাসি, খুশি, হাসিখুশি, মজা, হর্ষ, হরষ, পুলক,স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ,প্রমোদ,উল্লাস, তুষ্টি

দু:খ = কষ্ট, মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস

অবস্থা = দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল

অক্ষয় = ক্ষয়হীন, চিরন্তন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী

খ্যাতি = যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী,

ফুল = পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন

পদ্ম = কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ

মেঘ = জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর

বিদ্যুত = বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা

নদী = তটিনী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী

নৌকা = নাও, তরণী, জলযান, তরী

তীর = কূট, তট, সৈকত, কূল, পাড়, পুলিন, ধার, কিনারা

ঢেউ= তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরী, বীচি, মওজ

রাত = রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা

দিন = দিবস, দিবা, দিনমান

দেহ = গা, গতর, গাত্র, তনু, শরীর, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, অঙ্গ, অবয়ব, , কাঠামো, আকৃতি

ঘর = গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান

ধন = অর্থ, বিত্ত, বিভব, সম্পদদেহ,

দ্বন্দ্ব = বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ

নারী = অবলা, কামিনী, মহিলা, স্ত্রীলোক, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, ভাসিনী, কান্তা, সীমন্তনী

স্ত্রী = পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ, অর্ধাঙ্গী, জীবন সাথী, বউ, গৃহিণী, গিন্নী

পিতা = বাবা, আব্বা, জনক,

মাতা = মা, গর্ভধারিণী, প্রসূতি, জননী, জন্মদাত্রী

পুত্র = ছেলে, তনয়, নন্দন, সুত, আত্মজ

কন্যা = মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

কোকিল = পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

গরু = গো, গাভী, ধেনু

রাজা = নৃপতি, নরপতি, ভূপতি, বাদশাহ

স্বর্গ = দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত

বিলাস = আরাম, শৌখিনতা

উঁচু = লম্বা, দীর্ঘ, মহৎ, বড় বড়, উঁচা, উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, নিরলস, অনলস, পরিশ্রমী, অদম্য, উদ্যমী, অশ্রান্ত

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম

সাপ = অহি, আশীবিষ, নাগ, ফণী, ভুজঙ্গ, সর্প, উরহ,নাগিনী, ভুজগ, ভুজঙ্গম,সরীসৃপ, ফণাধর, বিষধর,বায়ুভুক

হাতি = হস্তী, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর

ঘোড়া = অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

হাত = কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি

চুল = অলক, কুন্তল, কেশ, চিকুর

চোখ = অক্ষি, চক্ষু, নয়ন, নেত্র, লোচন, আঁখি, দর্শনেন্দ্রিয়

কান = কর্ণ, শ্রবণ লাল = লোহিত, রক্তবর্ণ

স্ত্রী=ভার্যা, পত্নী,সহধর্মিণী দার ,জায়া,বনিতা,ধর্মপত্নী

সমূহ=সকল ,বৃন্দ,নিচয়,সমুদয়,মালা, রাজি

সিংহ=পশুরাজ,কেশরী,মৃগরাজ,মৃগেন্দ্র

সাদা=শ্বেত শুভ্র,ধবল ,সফেদ,নির্মল,সহজ

সৎ=সত্য,নিত্য,সাধু,শুভ,

সম্মেলন=সভা, জমায়েত,মিটিং,বৈঠক,অধিবেশন,সমাবেশ

স্বত্ব=স্বামিত্ব,মালিকানা,অধিকার ,অংশিত্ব,প্রভুত্ব

সদস্য=সভ্য, পারিষদ,পার্ষদ,মেম্বার

সুন্দরী=রুপবতী , রুপসী,সূরুপা,

স্বভাব=নিজভাব ,চরিত্র,আচরণ ,প্রকৃতি

সাধন=সম্পাদন, উপায় , সাধনা, আরাধনা,সহায় ,সাফল্য

হাতি=গজ,হস্তী , করী , দ্বিপ, বারণ,দম্ভী,নাগ,রদী ,ঐরাবত,

হওয়া =ঘটা,জন্মানো,উৎপন্ন,বৃদ্ধি,মেলা, জোটা, বাড়া,

হীন=নীচ,অধম ,নিন্দনীয়, অবনত, গরিব, অক্ষম

হরিণ=মৃগ,কুরঙ্গ,সারঙ্গ সুনয়ন,