বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯

প্রাকৃতিক ভূগোল প্রথম অধ্যায়

বহুনির্বাচনী নমুনা

প্রথম অধ্যায় : প্রাকৃতিক ভূগোল
১। পরিমণ্ডল ও বায়ুমণ্ডল উভয়ই কোথায় অবস্থিত?
ক. পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডলে খ. পৃথিবীর পুরুমণ্ডলে
গ. পৃথিবীর উপরিভাগে ঘ. মহাশূন্যে
উত্তর:গ. পৃথিবীর উপরিভাগে

২। পৃথিবীর ভূমিরূপকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর: খ. তিন

৩। পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা কতভাগ পানি?
ক. ৫০ খ. ৬০
গ. ৭১ ঘ. ৮০
উত্তর:গ. ৭১

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিক্ষক একাদশ শ্রেণিতে ভূগোল ক্লাসে বললেন পৃথিবী বিভিন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে অর্থাৎ পৃথিবীর জলভাগ, স্থলভাগ ও বায়ুমণ্ডলের উৎপত্তি হয়েছে।

৪। উদ্দীপকের বিষয়গুলো কোন ভূগোলে আলোচনা করা হয়?
ক. গাণিতিক ভূগোলে খ. মানব ভূগোলে
গ. প্রাকৃতিক ভূগোলে ঘ. জ্যোতিবিদ্যা ভূগোলে
উত্তর:গ. প্রাকৃতিক ভূগোলে

৫। পৃথিবী বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে-
i. তরল অবস্থার মধ্য দিয়ে
ii. কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে
iii. বাষ্পীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:খ. i ও iii

৬। ভূগোলবিদরা প্রাকৃতিক ভূগোল সম্পর্কে-
i. গবেষণা করেন
ii. জ্ঞানার্জন করতে পারেন
iii. পর্যালোচনা করেন
কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর;খ. i ও iii

৭। অভ্যন্তরীণ পানির প্রধান উৎস কী?
ক. নদী খ. পুকুর
গ. সমুদ্র ঘ. মহাসাগর
উত্তর:ক. নদী

৮। কিসের ওপর নির্ভর করে কৃষিকাজ গড়ে ওঠে?
ক. বায়ুর ওপর খ. পানির ওপর
গ. খনিজের ওপর ঘ. মৃত্তিকার ওপর
উত্তর:ঘ. মৃত্তিকার ওপর

৯। শিলার একটি বিশেষ রূপ কী?
ক. বায়ু খ. মৃত্তিকা
গ. পানি ঘ. খনিজ

উত্তর:খ. মৃত্তিকা
১০। আবহাওয়ার দীর্ঘ সময়ের গড় ফলকে কী বলে?
ক. জলবায়ু খ. বায়ুমণ্ডল
গ. তাপমাত্রা ঘ. বায়ুপ্রবাহ
উত্তর;ক. জলবায়ু

১১। জলবায়ুবিদ্যায় আলোচনা করা হয়-
i. জলবায়ুর উপাদান
ii. বায়ুমণ্ডলের উপাদান
iii. জলবায়ুর নিয়ামক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:খ. i ও iii

১২। ভূপৃষ্ঠের আয়তন কত?
ক. ২৫ লাখ বর্গকিলোমিটার
খ. ৩৫ কোটি বর্গকিলোমিটার
গ. ৩৫ কোটি ২৫ লাখ বর্গকিলোমিটার
ঘ. ৩৬ কোটি বর্গকিলোমিটার
উত্তর:ক. ২৫ লাখ বর্গকিলোমিটার

১৩। অশ্মমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত কোনটি?
ক. বায়ুর উপাদান খ. মহীসোপান
গ. মহীঢাল ঘ. শিলা ও খনিজ
উত্তর:খ. মহীসোপান

১৪। প্রাকৃতিক পরিবেশের মূল উপাদান-
i. জড় উপাদান
ii. জীব উপাদান
iii. উদ্ভিদ ও প্রাণী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:খ. i ও iii

১৫। বন্যা কোন ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত?
ক. মানব ভূগোল
খ. নগর ভূগোল
গ. প্রাকৃতিক ভূগোল
ঘ. জনসংখ্যা ভূগোল
উত্তর:ক. মানব ভূগোল

১৬। পৃথিবীকে বেষ্টন করে যে বায়বীয় পদার্থের আবরণ রয়েছে তাকে বলে-
ক. জীবমণ্ডল খ. বায়ুমণ্ডল
গ. বারিমণ্ডল ঘ. অশ্মমণ্ডল
উত্তর:খ. বায়ুমণ্ডল

১৭। ভূগোলের কোন অংশে পানিসম্পদ আলোচিত হয়?
ক. জলবায়ুতত্ত্বে খ. হিমবাহ তত্ত্বে
গ. বারিতত্ত্বে ঘ. ভূমিরূপবিদ্যায়
উত্তর:ক. জলবায়ুতত্ত্বে

১৮। কোনটি প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্তর্গত?
ক. চিনিশিল্প খ. বায়ুপ্রবাহ
গ. জনসংখ্যা ঘ. পরিবার
উত্তর:খ. বায়ুপ্রবাহ

১৯। Geography শব্দটির জনক কে?
ক. কার্ল রিটার খ. টলেমি
গ. স্ট্র্যাবো ঘ. ইরাটোসথেনিস
উত্তর:ঘ. ইরাটোসথেনিস

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রফিক তার বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে দেখল মাছ ও ব্যাঙ আছে। আবার স্বচ্ছ পানির ভেতর দিয়ে কিছু জলজ উদ্ভিদ ও গুল্ম-লতা দেখা যাচ্ছে। একই পুকুরে এত কিছুর সন্নিবেশ সে আগে লক্ষ করেনি।

২০। উদ্দীপকে উল্লিখিত পুকুরের এই পরিবেশকে কী বলে?
ক. কার্বন চক্র খ. পানিচক্র
গ. ইকোসিস্টেম ঘ. নাইট্রোজেন চক্র
উত্তর:গ. ইকোসিস্টেম

২১। উদ্দীপকের বিষয়গুলো ভূগোলের যে যে শাখায় আলোচিত হয়-
i. জীবমণ্ডলে
ii. সমুদ্রতত্ত্বে
iii. ভূমিরূপতত্ত্বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:ক. i ও ii

২২। পানির সর্বাধিক রূপ সম্পর্কে কোন বিষয়ে আলোচিত হয়?
ক. সমুদ্রবিদ্যায় খ. জলবায়ুবিদ্যায়
গ. বারিবিদ্যায় ঘ. উপকূলীয় ভূগোলে
উত্তর:গ.বারিবিদ্যায়

২৩। পৃথিবীর ভূমিরূপ সম্পর্কে আলোচিত হয় ভূগোলের কোন অংশে?
ক. ভূমিরূপবিদ্যায় খ. সমুদ্রবিদ্যায়
গ. জীবভূগোলে ঘ. মৃত্তিকা ভূগোলে
উত্তর:ক.ভূমিরূপবিদ্যায়
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও ১. গ ২. খ ৩. গ ৪. গ ৫. খ ৬. খ ৭. ক ৮. ঘ ৯. খ ১০. ক ১১. খ ১২. ক ১৩. খ ১৪ খ ১৫ ক ১৬ খ ১৭ ক ১৮ খ ১৯ ঘ ২০ গ ২১ ক ২২ গ

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯

ইসলামের ইতহাস ২য় পত্র


ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এইচএসসি
জ্ঞানমুলক প্রশ্ন প্রথম অধ্যায়

১.তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কত সালে সংগঠিত হয় ১৮৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘঠিত হয়

২.আরবদের সিন্ধু অভিযানের প্রাক্কালে সিন্ধু ও মুলতানের রাজা কে ছিলেন? আরবদের সিন্ধু অভিযানের প্রাক্কালে সিন্ধু ও মুলতানের রাজা কে ছিলেন দাহির

৩.সুলতান মাহমুদ কোন রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন? সুলতান মাহমুদ গজনির শাসনকর্তা ছিলেন।

৪. অরবরা সিন্ধু বিজয়ের পূর্বে কোন কোন অঞ্চল দখল করেন? আরবরা সিন্ধু পূর্বে বুখারা, সমরখন্দ, ফারগানা ,দখল করেন

৫.রাজা দাহির কিভাবে মারা যান ? রাজা দাহির তরবারির আঘাতে মারা যান

৬.কত খৃষ্টাব্দে আরব বাহিনী মুলতান দখল করে ? ৭১৩ খ্রিষ্টাব্দে আরব বাহিনী মুলতান দখল করে

৭.কত খৃষ্টাব্দে আরব বাহিনী মুলতান দখণ করে? ৭১৩ খৃষ্টাব্দে

৮.রাজা দাহিরের দুই কন্যা মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ করেন? শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন

৯.সিন্ধু বিজয়ের ফলে সামাজিক ক্ষেত্রে কী পরির্বতন লক্ষ করা যায়? সিন্ধু বাসীর দৈনন্দিন জীবনে আরবীয় বৈশিষ্ট্যের প্রবেশ ঘটে

১০.আরবগণ সর্বপ্রথম দাবা খেলা শিক্ষা গ্রহণ করেন ? হিন্দুদের নিকট হতে দাবা খেলা

১১.গজনি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? গজনি বংশের প্রতিষ্ঠা্তা সুবক্তগীন

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯

ইসলামের ইতিহাস ২য় পত্র বহুনির্বাচনী


MCQ প্রশ্ন ইসলামের ইতিহাস ২য়পত্র (প্রখম অধ্যায় )


transparent
১. ভারত বর্ষের প্রচীনতম অধিবাসী কারা ?
ক.আর্য
খ. শক্‌
গ.হুন
ঘ. দ্রাবিড়
ঘ. দ্রাবিড়
২.সুলতান মাহমুদ কোন রাজ্যের সুলতান ছিলেন ?
ক.পাঞ্জাব
খ.ফারগানা
গ.গজনি
ঘ. ঘুর
গ.গজনি
৩. ইয়ামিন -উদ-দৌলা ও আমির-উল মিল্লাত কার উপাধি ?
ক) মুহাম্মদ বিন কাসিমের
খ) সুলতান মাহমুদের
গ) মুহাম্মদ ঘুরীর
ঘ) কুতুবউদ্দীন আইবেক

খ) সুলতান মাহমুদের

৪ . সুলতান মাহমুদের বার বার ভারত অভিযানের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
ক)ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক
খ) ধর্মীয় ও সামাজিক
গ) রাজনৈতিকও অর্থনৈতিক
ঘ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক

গ) রাজনৈতিকও অর্থনৈতিক

৫. তরাইনের প্রথম যুদ্ধে কে বিজয়ী হন?
ক. মুহাম্মদ ঘুরী
খ.কুতুবউদ্দীন আইবেক
গ. পৃথ্বিরাজ
ঘ. জয়চাঁদ
গ. পৃথ্বিরাজ
৬. সিন্ধুর শাসানকর্তা কে ছিলেন ?
ক.মুহাম্মদ বিন কাসিম
খ.রাজা দাহির
গ.হাজ্জাজ বিন ইউসূফ
ঘ.সুলতান মাহমুদ
গ.হাজ্জাজ বিন ইউসূফ
৭. ভারতের কোন প্রদেশ বস্ত্র উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিলেন?
ক.বিহার
খ.মধ্যপ্রদেশ
গ.পাঞ্জাব
ঘ.বাংলা
ঘ.বাংলা
৮. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় ছিল?
ক.বিহার
খ.বানারসীতে
গ.উদন্তপুর
ঘ.আজমীরে
ক.বিহার
৯. খলিফা ওয়ালিদের সম্রাজ্যবাদী গভর্নর কে ছিলেন?
ক.কুতাইবা
খ.হাজ্জাজ বিন ইউসূফ
গ.তারিক বিন জিয়াদ
ঘ.মুসা বিন নুসাইর
খ.হাজ্জাজ বিন ইউসূফ
১০. কত সালে হযরত মুহাম্মদ (সা:) নবুয়ত লাভ করেণ?
ক. ৬১০ সালে
খ. ৬১২ সালে
গ. ৬১১ সালে
ঘ. ৬১০ সালে
ক. ৬১০ সালে
১১. প্রাচীনকালে ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল ?
ক. আমেরিকার
খ. আরবের
গ. ব্রিটেনের
ঘ. আফ্রিকার
খ. আরবের
১২. কাদের স্থায়ী কোন পেশা ছিল না?
ক. যাযাবরদের
খ. হিন্দুদের
গ. তামিলদের
ঘ. বাঙালির
ক. যাযাবরদের
১৩. মেরকানের বর্তমান নাম কি ?
ক. বেলুচিস্তান
খ. সিন্ধু
গ. পাঞ্জাব
ঘ. দিল্লি
ক. বেলুচিস্তান
১৪. কার নেতৃত্বে মুসলমানরা মেকরান দখল করেন ?
ক. হাজ্জাজ বিন ইউসূফ
খ. মুহাম্মদ বিন কাসিম
গ. ইবন আল হারবি আল বাহিত্ত
ঘ. মুয়াবিয়া
খ. মুহাম্মদ বিন কাসিম
১৫. কারা আরবদের সিন্ধু আক্রমণে উৎসাহিত করে?
ক.পাঠানরা
খ.জাঠরা
গ.বালুচরা
ঘ. পাঞ্জাবীরা
খ.জাঠরা
১৬.কোন খলিফার শাসনামল ছিল মুসলিমদের সম্প্রসারণের যুগ ?
ক. খলিফা ওয়ালিদের
খ. হযরত মুায়াবিয়া
গ. হয়রত ওসমান (রা:)
ঘ. হযরত আলী (রা:)
ক. খলিফা ওয়ালিদের
১৭. কখন মুসলমানগণ বুখারা , সমরকন্দ ও হিরাত দখল করেন ?
ক. সপ্তম শতাব্দীতে
খ. অষ্টম শতাব্দীতে
গ. নবম শতাব্দীতে
ঘ. দশম শতাব্দীতে
খ.অষ্টম শতাব্দীতে
১৮. হাজ্জজ বিন ইউসূফ কোথাকার গর্ভনর ছিলেন ?
ক. ইরানের
খ. আরবের
গ. সিরিয়ার
ঘ. ইরাকের
ঘ.ইরাকের
১৯. সিংহলের বর্তমান নাম কি ?
ক. শ্রীলঙ্কা
খ. সিলোন
গ. তামিল নাড়ু
ঘ. গুজরাট
ক. শ্রীলঙ্কা
২০. কোন বন্দরে মুসলিম জাহাজগুলো জলদস্যু কর্তৃক ‍লুন্ঠিত হয় ?
ক. করাচিবন্দর
খ. দেবল বন্দর
গ. মাদ্রাজ বন্দর
ঘ. চট্রগ্রাম বন্দর
খ.দেবল বন্দর
২১. সিংহলরাজ কোন ধর্ম গ্রহণ করেন? ?
ক. বৌদ্ধ ধর্ম
খ. খ্রীষ্ট্রান ধর্ম
গ. ইসলাম ধর্ম
ঘ. জৈন ধর্ম
গ.ইসলাম ধর্ম
২২.হাজ্জাজ বিন ইউসূফ কার নিকট লুন্ঠিত জাহাজগুলোর ক্ষতিপুরণ দাবি করেন ?
ক. দহিরের নিকট
খ. সিংহলরাজের নিকট
গ. উমাইয়া খলিফার নিকট
ঘ. ওবায়দুল্লার নিকট
ক.দাহিরের নিকট
২৩. দেবল বন্দর বর্তমানে কি নামে পরিচিত ? ?
ক. করাচি
খ. বানবোর
গ. মেরকান
ঘ. লাহোর
২৪. মুহাম্মদ বিন কাসিম কে ছিলেন ? ?
ক. হজ্জাজ বিন ইউসুফের ভ্রাতুষ্পুত্র
খ. হজ্জাজ বিন ইউসুফের ছেলে
গ. হজ্জাজ বিন ইউসুফের ভাই
ঘ. হজ্জাজ বিন ইউসুফের ভাগ্নে
২৫. জয়সিংহ কে ছিলেন ? ?
ক. রাজা দাহিরের ভাই
খ. রাজা দাহিরের ভ্রাতুষ্পুত্র
গ. রাজা দাহিরের পুত্র
ঘ. রাজা দাহিরের মামা
২৬.আরবরা কত বছর সিন্ধু শাসন করেন? ?
ক. ১০০বছর
খ. ১২০ বছর
গ. ১৩০ বছর
ঘ. ১৫০ বছর
২৭. মুহম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কোন শাসন ব্যবস্থা চালু করেন? ?
ক. সামরিক শাসন
খ. গনতন্ত্র
গ. ইসলামি
ঘ. একনায়কতন্ত্র
২৮. গজনি কোথায় অবস্থিত ? ?
ক. কান্দাহারে
খ. পেশোয়ারে
গ. আফগানিস্থানে
ঘ. তুর্কিমেনিস্তানে
২৯. কখন থেকে গজনি বংশের শাসনকাল শুরু হয় ? ?
ক. ৯৭৫ খ্রিষ্ট্রাব্দে
খ. ৯৭৬খ্রিষ্ট্রাব্দে
গ. ৯৭৭ খ্রিষ্ট্রাব্দে
ঘ. ৯৮০ খ্রিষ্ট্রাব্দে
৩০. সুলতান মাহমুদ সোমনাথ অভিযান করেন কত খ্রিষ্ট্রাব্দে ? ?
ক.১০২৩ খ্রিষ্ট্রাব্দে
খ. ১০২৪ খ্রিষ্ট্রাব্দে
গ. ১০২৬ খ্রিষ্ট্রাব্দে
ঘ. ১০৩০ খ্রিষ্ট্রাব্দে
৩১. মহাকবি ফেরদৌসীর কালোত্তীর্ণ গ্রন্থ কোনটি ?
ক. শাহনামা
খ. বাবুরনামা
গ. শাহরিস্তান
ঘ. ফেরদৌসনামা
৩২. মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর নগরী ছিল কোনটি ?
ক. কাবুল
খ. সমরখন্দ
গ. বোখারা
ঘ. গজনি

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৯

বিড়াল গল্প MCQ


সঠিক উত্তর ক.সাধুরা

সঠিক উত্তর ক.যুক্তিনিষ্ঠ মনোভঙ্গি

সঠিক উত্তর ঘ.ওয়েলিংটন

সঠিক উত্তর খ) ঐতিহ্যবোধ

সঠিক উত্তর ক) রোগ

সঠিক উত্তর ক)সমাজতান্ত্রিক

সঠিক উত্তর খ) দারিদ্র

সঠিক উত্তর গ) হুকা

সঠিক উত্তর খ) সাহিত্যরত্ন

সঠিক উত্তর: গ) বঙ্গদর্শন

সঠিক উত্তর: ক) দুর্গেশনন্দিনী

সঠিক উত্তর: খ.কৃপণ ধনীর

সঠিক উত্তর: ক) ন্যায়শাস্ত্রে পন্ডিত ব্যক্তি

সঠিক উত্তর: ঘ) অধিকার চেতনা

সঠিক উত্তর: গ) বিড়াল

সঠিক উত্তর: ক) সমাজতান্ত্রিক

সঠিক উত্তর: ক)ব্যঙ্গ

সঠিক উত্তর:ক) সাধুরা

সঠিক উত্তর: ঘ) নির্বিকারত্ব

সঠিক উত্তর: ঘ) তার স্বভাব জানা ছিল বলে

সঠিক উত্তর: ক)সমাজের শ্রেণী বৈষম্য

সঠিক উত্তর: ঘ) তার স্বভাব জানা ছিল বলে

সঠিক উত্তর: খ) কমলাকান্তের দপ্তর

সঠিক উত্তর: গ)মানুষ

সঠিক উত্তর: ঘ) দুর্দশাগ্রস্ত বোঝাতে

সঠিক উত্তর: খ) মেও

সঠিক উত্তর: খ) মঙ্গলা

সঠিক উত্তর: গ) আফিম

সঠিক উত্তর: খ)

সঠিক উত্তর: খ) উপন্যাস

উদ্দীপকটি পড়ে ৩১ ও ৩২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
এলাকায় একজন ধনী ব্যক্তি এলে তাঁর সেবা করার জন্য সাধারণ জনগণ হুমড়ি খেয়ে পড়ল। উত্সুক জনতার ধাক্কায় ক্ষুধার্ত ভিক্ষুকটি রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছিল। সেদিকে কারো খেয়াল নেই।

সঠিক উত্তর: খ)তেলা মাথায় তেল দেওয়া

সঠিক উত্তর: খ) অনাহারী মার্জারের

Lorem ipsum dolor.

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯

প্রতিবেদন


প্রতিবেদন

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
প্রধান শিক্ষক,
…… হাই স্কুল, লালমনিরহাট ।
বিষয় : বিদ্যালয়ে আয়োজিত আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে প্রতিবেদন।
সূত্র :শা .ল.বি.২০১৫/২৭(ক)

মহোদয়,
সম্প্রতি সমাপ্ত ,…… হাইস্কুলের ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশে আদিষ্ট হয়ে নিম্নলিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
……… হাই স্কুলে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদ্যাপিত

১.‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষে ……… স্কুলে ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন হয়েছিল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন স্কুলের বাংলা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক জনাব ‘ক’ ২.দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয় সকাল ৭টায় প্রভাতফেরির মাধ্যমে। খুব ভোর থেকেই স্কুলের আশেপাশের ছাত্র-ছাত্রীরা খালি পায়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হয়। তাদের সঙ্গে যোগদান করেন শিক্ষকবৃন্দ। স্কুল মাঠের দক্ষিন প্রান্তে শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ প্রদানের সিদ্ধান্ত করা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খালিপায়ে শোভাযাত্রা শুরু হলে সবার কণ্ঠে অনুরণিত হয় একুশে ফেব্রুয়ারির অমর গান: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’ ধীর পদক্ষেপে অগ্রসরমান শোভাযাত্রা এক ভাবগম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি করে। শহিদ মিনারের পাদদেশে মিছিল উপনীত হলে প্রধান শিক্ষক প্রথম পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অমর শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ফুলের তোড়া শহিদ মিনারে অর্পণ করে।

৩.আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পরবর্তী কর্মসূচি ছিল আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। প্রথমে বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবিগণের কবিতা থেকে নির্বাচিত কবিতাবলি আবৃত্তি করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনাােনা হয়। শিক্ষার্থীরাই ছিল এ পর্যায়ে কবিতা রচয়িতা ও আবৃত্তিকার। আবৃত্তি শেষে শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। দেশাত্মবোধক গানই ছিল এপর্যায়ের কর্মসূচি। স্কুলের শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করে।

৪.বিকেলবেলায় আয়োজন করা হয়েছিল আলোচনা সভার। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ‘ ক’। স্কুলের দুজন শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর আলোচনা করে। এ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বদরবারে আরো উল্লেখযোগ্যভাবে এ দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান রাখা হয়। এ পর্যায়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা :’ হ’ দশম শ্রেণি,বিজ্ঞান বিভাগ,রোল: ০৩
…… হাই স্কুল, লালমনিরহাট ।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : …… স্কুলে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদ্যাপিত।
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রতিবেদন তৈরির সময় : সকাল ৭ টা।
Girl in a jacket

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

নেকলেস


Mountains
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর:


----- গ্যী দ্য মোপাসা
নেকলেস গল্পের প্রধান চরিত্রে দেখা যায় “মাদাম মাতিলদা” নামের এক ভদ্র মহিলাকে। সে অত্যন্ত লোভী ও বিলাসী প্রকৃতির একজন মানুষ ছিল। সে নিজেকে সবার সামনে সুন্দর ও ধণীত্ব-ভাব প্রকাশ করতে চাইতো। মাদাম মাতিলদার বিবাহ হয়েছিল শিক্ষা পরিষদের এক সামন্য কেরানির সঙ্গে তার স্বামী নাম লোইসেল।

একদিন সন্ধায় জনশিক্ষা মন্ত্রী ও মার্দাম জর্জ লোইসেল ও তার স্ত্রীকে তাদের বাসায় বল নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে। কিন্তু মাদাম লোইসেল তার স্বামীর পাওয়া এই আমন্ত্রণে যেতে অস্মতি জানাই। তার কারণ ছিল অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তার কোনো ভালো পোষাক নেই। এজন্য সে এই বল নাচের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না।

লোইসেল কষ্ঠ করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। গ্রীস্মের ছুটিতে বন্ধুদের সাথে পাখি শিকারে যাওয়ার জন্য বন্দুক কিনবে বলে। যে পরিমাণ টাকা জমিয়েছিল ঠিক সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে তার স্ত্রীকে বল নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পোশাক কিনে দিলো।

তারপর, অনুষ্ঠানের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই মাদাম লোইসেলের মধ্য অনুষ্ঠানে যেতে না চাওয়ার ভাব ভঙ্গি প্রকাশ পেতে থাকে। এবার যেতে না চাওয়ার কারণ তার কোনো মনি-মুক্তা নেই। অবশেষে তার স্বামীর পরামর্শে মাদাম লোইসেলের বান্ধবী ফোরসটিয়ারের কাছ থেকে একটি হিরার কন্ঠ হার ধার নিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে সম্মত হয়।

বল নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেল তার সৌন্দর্যের অনেক প্রশংসা লাভ করে। অনুষ্ঠান শেষে তারা ভোর বেলা বাসার উদ্দেশ্য রইনা দেয়। মাদাম লোইসেল বাসায় ফিরে আয়নার সামনে দাড়াতেই লক্ষ করে তার গলায় হিরার হারটি নেই। মাদাম লোইসেল আঁতকে উঠে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানাই। তার স্বামী সেই মাত্রই হারটি খুঁজতে বাহির হয়ে যায়।

এরপর অনেক খোঁজা-খুজি তারপর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও আর হারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। হারটি খুঁজে না পাওয়ায় লোইসেলে ৩৬ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে একটি হিরার হার ক্রয় করে। এই হারটি লোইসেল তার বাবার মৃত্যুর পর পাওয়া ১৮ হাজার ফ্রাঁ ও বাকি টাকা ধার নিয়ে ক্রয় করে। হারটি ক্রয় করতে গিয়ে তাদের অনেক ধার দিনাশ পড়েতে হয়।

বিশাল ধার দিনার বোঝা মাঁথায় নিয়ে তারা তাদের বাসাটি ছেড়ে অন্যত্রে একটি কম টাকার ছোট বাসা ভাড়া নেয়। এবং তারা দুইজন কাজ শুরু করলো। মাদাম লোইসেল আগে যে কাজ করত না সে কাজ গুলো এখন করতে শুরু করলো। অবশেষে, তারা ১০ বছর পরিশ্রম করার পর তাদের সকল ধার দিনা পরিশোধ করলো। এবং ধার দিনা পরিশোধ করার পাশাপাশি তার কিছু সঞ্চয়ও করলো।

দশ বছর পরে এমতাবস্থায় একদিন ঘটনা ক্রমে মাদাম লোইসেলের তার বান্ধবী ফোরস্টিয়ারের সাথে দেখা হয়। প্রথমে তার বান্ধবী তাকে চিনতে পারেনি কারণ তার চেহারায় এখন আর আগের মত সৌন্দর্য নেই। সে তার বান্ধবীর সাথে গত দশ বছরের ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করলো। ঘটনা শুনে মাদাম ফোরস্টিয়ার বলল, ‘হায়, আমার বেচারী মাতিলদ! আমারটি ছিল নকল হার। তার দাম পাঁচশত ফাঁর বেশি হবে না।’ – “নেকলেস” গল্পের এই অপ্রত্যাশিত শেষের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ছিল।

গল্পটির মূলভাব ও শিক্ষা:

“নেকলেস” গল্পটিতে দেখা যায় উচ্চবিলাসী ও লোভী এক নারীর চরিত্র। বিলাসীতার কারণে মুহূর্তেই নির্ষ হয়ে যেতে। এবং পরিশ্রমে ফলে ধার-দিনা পরিশোধ করার মাধ্যমে “পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি” উক্তিটি প্রকাশ পেয়েছে। আবার গল্পের শেষ অপ্রত্যাশিত বাক্য থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, একটু অসাবধানতা জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ”


পাঠপরিচিতি:--

“তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মাদী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। সাধারণভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত আনন্দের উৎস। বসন্ত-প্রকৃতির অপরূপসৌন্দর্য যে কবিমনে আনন্দের শিহরন জাগাবে এবং তিনি তাকে ভাবে ছন্দে সুরে ফুটিয়ে তুলবে সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু কবিমন যদি কোন কারণে শোকাচ্ছন্ন কিংবা বেদনা ভারাতুর থাকে তবে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য সত্ত্বেত কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারবে না।

এ কবিতায় কবির ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপথ ঘটেছে। তাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে (১৯৩২) কবির জীবন প্রচণ্ড শূন্যতা নেমে আসে। তার ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে এক বিষণ্নতা। কবিমন আচ্ছন্ন হয়ে যায় রিক্ততার হাহাকারে। “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাকে আচ্ছন্ন করে আছে এই বিষাদময় রিক্ততার সুর। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা।

কবিতাটির আরেকটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর নাটকীয়তা। গঠনরীতির দিক থেকে একটি সংলাপনির্ভর রচনা। কবিতার আবেগময় ভাববস্তুর বেদনাঘন বিষণ্নতার সুর এবং সুললিত ছন্দ এতই মাধুর্যমণ্ডিত যে তা সহজেই পাঠকের অন্তর ছুঁয়ে যায়।

সুজনশীল প্রশ্নের উত্তর

তাহারে পরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন


** তাহারেই পড়ে মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর

প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের

==>

বহুনির্বাচনী









প্রতিবেদন লেখার নমুনা


Bootstrap Example

প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

প্রশ্ন :কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করো। উত্তর :
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
‘মুক্তিযোদ্ধা’ কলেজ, যশোর।
বিষয় : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এটি এখানে পেশ করছি-
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫ গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ক্রীড়ানুষ্ঠানটি সফল করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষকসহ সবাই যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে ‘ক’ বিদ্যালয়ের সুবিশাল মাঠ যেভাবে সাজানো হয়েছিল, তা সুধীজনের দৃষ্টি কেড়েছে। সকাল ৯ ঘটিকায় প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পায়রা ও বেলুন ওড়ানো, মশাল প্রজ্বালন, বিএনসিসি গার্লস গাইড ও বিভিন্ন হাউসের কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রধান অতিথিকে সম্মান ও সালাম জানানোর সব আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সকাল ১০টায় বিভিন্ন হাউসের ক্রীড়ানুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ ও উচ্চ লাফ, বর্শা, চাকতি ও লৌহগোলক নিক্ষেপসহ ছিল বিভিন্ন রকমের দৌড়।

পুরুষ অভিভাবক বনাম স্কুল শিক্ষকদের রশি টানাটানি, মহিলা অভিভাবক বনাম শিক্ষিকাদের ‘বালিশ যার বিপদ তার’- পর্ব দুটি খুবই উপভোগ্য ছিল। শিক্ষার্থীদের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য দর্শক সারি থেকে অনেকেই আসন ছেড়ে বাইরে চলে আসায় খানিকটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
প্রধান শিক্ষকের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠের পর বিজয়ী প্রতিযোগীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ বছর স্কুলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দশম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হাসান ও নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকেয়া খানম।
পুরস্কার বিতরণ শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দেন, তা অনেকের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের দুটি পর্বই ছিল অত্যন্ত সুবিন্যস্ত। এর পরও অভিভাবকদের আসনব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গেছে। এর পরও এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

প্রতিবেদক : নুজহাত ফাতিমা ইথা
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫
প্রতিবেদন তৈরির সময় : বিকেল ৪টা
তারিখ : ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

কবিতা ১২


বিখ্যাত কবি-দের কবিতা


রবীন্দ্রনাথ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুল

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুলyyy

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj666

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ 6

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু 7

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


no mame

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram
ট্যাব কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট দেখতে সুবিধা বেশী

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

আঠার বছর বয়স কবিতা

এই পৃষ্ঠার কাজ চলিতেছে আঠারো বছর বয়স

Girl in a jacket
×

আঠারো বছর
Flowers in Chania কবি পরিচিতি :

সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায়। তাঁর পিতার নাম নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য, মায়ের নাম সুনীতি দেবী। ছোটবেলা থেকেই সুকান্ত ছিলেন অত্যন্ত রাজনীতি-সচেতন। তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’র কিশোরসভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুকান্ত তাঁর কাব্যে অন্যায়-অবিচার শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিপ্লব ও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে তাঁর কবিতা মুক্তিকামী বাঙালির মনে বিশেষ শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।

‘ছাড়পত্র’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: ‘ঘুম নেই’, ‘পূর্বাভাস’। অন্যান্য রচনা: মিঠেকড়া’, ‘অভিযান’, ‘হরতাল’ ইত্যাদি। তিনি ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘অকাল’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।

. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই মে মাত্র একুশ বছর বয়সে প্রতিভাবান এ কবির অকালমৃত্যু হয়।

মূল কবিতা:
আঠারো বছর বয়স
- সুকান্ত ভট্টাচার্য---ছাড়পত্র
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা। এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে। আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা, এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা। আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান, দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ। আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো, এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো। তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি, এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে, বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে। এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়- এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।

পাঠ-পরিচিতি

============

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে জবিনের ঝুঁকি নেবার উপযোগী। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত। এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর।

কিন্তু এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত-এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন কাজীয়

×


বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:
১. -- ?
ক) ---
খ) ---
গ) --
ঘ. বস্তুবাদী ইহজাগতিক প্রাণী
উত্তর: --

২. -- ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ










অপরিচিতা গল্প


Girl in a jacket Mountains


গল্প= অপরিচিতা। লেখক= রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
লেখক পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ এ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জননী সারদা দেবী।
. বিশ্বকবি অভিধায় সম্ভাষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প রচয়িতা এবং ছোটগল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পি। তাঁর লেখনীতেই বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব, বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটেছে। তাঁর ছোটগল্প বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পগুলোর সমতুল্য। ১২৮৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ষোল বছর বয়সে ‘ভিখারিনী’ গল্প রচনার মাধ্যমে ছোটগল্প লেখক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পর থেকে জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ চৌষট্টি বছরে তিনি অখণ্ড ‘গল্পগুচ্ছে’ সংকলিকত ৯৫টি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এর বাহিরেও ‘সে’, ‘গল্পসল্প’ ও ‘লিপিকা’ গ্রন্থে রয়েছে তাঁর আরও গল্প সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সর্বশেষ গল্পটির নাম ‘মুসলমানীর গল্প’।

. পারিবারিক জমিদারি তদারকির সূত্রে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাসের কালই রবীন্দ্র্রনাথের ছোটগল্পরচনার স্বর্ণযুগ। ‘সোনার তরী’ কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোও তিনি একই সময়ে রচনা করেন। প্রকৃতির পটে জীবনকে স্থাপনকরে জীবনের গতিময় বিশ্বজনীন প্রকাশই রবীন্দ্রগল্পের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তবে বিশ শতকের রচিত গল্পে প্রকৃতি ও গীতময়তার স্থলে বাস্তবতাই প্রাধান্য পেয়েছে। গল্পকার হিসেবে তিনি যেমন বরেণ্য, ঔপন্যাসিক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে তাঁর স্থান সুনির্দিষ্ট।

. তাঁর রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘চোখের বালি’, ‘গোরা’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে-বাহিরে’, ‘শেষের কবিতা’, ‘যোগাযোগ’ বাংলা উপন্যাসের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। নাটক রচনার ক্ষেত্রেও রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব অবিসংবাদিত। তাঁর রচিত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাট্যগ্রন্থগুলো হলো : ‘রাজা’, ‘অচলায়তন’, ‘ডাকঘর’, ‘মুক্তধারা’, ‘রক্তকরবী’।

. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগস্ট (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাবসান ঘটে।

. মূলরচনা-১
-

শব্দার্থ ও মূলভাব

কবি পরিচিতি



পাঠ-পরিচিতি
‘অপরিচিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪) কার্তিক সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয় রবীন্দ্রগল্পের সংকলন ‘গল্পসপ্তম’-এ এবং পরে, ‘গল্পগুচ্ছ’ তৃতীয় খণ্ডে (১৯২৭)।শব্দার্থ ও টীকা

‘অপরিচিতা’ গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে যে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারীর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, তার নাম কল্যাণী। অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মম বলি হয়েছে এমন নারীদের গল্প ইতঃপূর্বে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু এই গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথকতা শোনালেন তিনি। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন এবং কন্যা কল্যাণীর স্বতন্ত্র বীক্ষা ও আচরণে সমাজে গেড়ে-বসা ঘৃণ্য যৌতুকপ্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। পিতার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ এবং কন্যা কল্যাণীর দেশচেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি সার্থক। ‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প। গল্পের কথক অনুপম বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের যুদ্ধ সংলগ্ন সময়ের সেই বাঙালি যুবক, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর উপাধি অর্জন করেও ব্যক্তিত্বরহিত, পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় পুতুলমাত্র। তাকে দেখলে আজো মনে হয়, সে যেন মায়ের কোলসংলগ্ন শিশুমাত্র। তারই বিয়ে উপলক্ষে যৌতুক নিয়ে নারীর চরম অবমাননাকালে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা-সম্প্রদানে অসম্মতি গল্পটির শীর্ষ মুহূর্ত। অনুপম নিজের গল্প বলতে গিয়ে ব্যাঙ্গার্থে জানিয়ে দিয়েছে সেই অঘটন সংঘটনের কথাটি। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রত্যাখ্যান নতুন এক সময়ের আশু আবির্ভাবকেই সংকেতবহ করে তুলেছে। কর্মীর ভূমিকায় বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্ত। ‘অপরিচিতা’ মনস্তাপে ভেঙেপড়া এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপস্খালনের অকপট কথামালা। অনুপমের আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্যা হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফুরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিও কীর্তিত হয়েছে।।

অপরিচিতা


** অপরিচিতা গল্প মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর

প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের

==>

অপরিচিতা