শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

ইতিহাস প্রশ্নের উত্তর


উদ্দীপক: ওয়াহিদ সাহেব একজন ধর্ম.প্রাণ সমাজপতি । কিন্তু তার চারিত্রিক গুনাবলী সরলতা ও ধর্মানুরাগের সুযোগে কতিপয় স্বার্থান্বেষী তার বিরুদ্ধে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অভিযোগ উহ্থাপন করে । তিনি এসব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করা সত্বেও চক্রান্তকারীরা ও নিয়ে মারাত্নক বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করে এর্ব এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে । এতে সমাজের মানুষের মধ্যে বিভান্তি দেখা দেয় ।

ক.৬৪৪ সালে কে খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহন করে ।
খ.কাকে এবং কেন আসাদুল্লাহ্‌ বলা হয় ।
গ.উদ্দীপকের ঘটনার সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন খলিফার মিল পাওয়া যায় ? লেখ ।
ঘ.উক্ত হত্যাকান্ডের ফলাফল কী হয়েছিল ? বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর :-
ক.৬৪৪ সালে হযরত ওসমান (রা:) খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

খ.হয়রত আলী (রা:) প্রতিটি যুদ্ধে অসীম বীরত্ব ও অপূর্ব রনকৌশল প্রর্দশন করেন । একক যুদ্ধে তিনি বহু শত্রুকে ধরাশায়ী ও নিহত করেন। কথিত আছে , খাইবার যুদ্ধে সুরক্ষিত কামুস দূর্গের লৌহদ্বার তিনি এক ধাক্কায় উৎপাটিত করেন এবং সেই কপাট পরে সংযোজিত করতে ৭০ জন যুবকের প্রয়োজন ছিল। আলী (রা:) এর এই শীর্য বীর্জ দেখে মহানবী (সা:) তাকে আসাদুল্লাহ্‌ বা আল্লাহর সিংহ উপাধি দিয়েছিলেন।

গ.উদ্দীপকের ঘটনার সাথে আমার পাঠ্যবইয়ের আলোচিত খলিফা ওসমান (রা:) এর মিল রয়েছে। ওয়াহিদ সাহেব ধর্মপ্রান সমাজপতি। কিন্তু তার চারিত্রিক সরলতা ও ধর্মানুসারে সুযোগে কতিপয় স্বার্থান্বেষী তার বিরোদ্ধে কিছু বিভ্রান্তি কর ও অযৌক্তিক অভিয়োগ উপস্থাপন করে। তিনি এসব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করা সত্বেও চক্রান্তকারীরা এ নিয়ে মারাত্নক বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে। উদ্দীপকে ওয়াহিদ সাহেবের বিরোদ্ধে যেমন কতিপয় ভিক্তিহীন অভিযোগ উহ্থাপন করে তাকে হত্যা করা হয় তদ্রুপ খলিফা ওসমান (রা:)এর বিরোদ্ধে ও কতিপয় অযৌক্তিক ও ভিক্তীহিন অভিযোগ অভিযোগ উহ্থাপন করা হয়। খলিফা ওসমান (রা:)এর শাসনামলের শেষের দিকে কতিপয় সুবিধাবাধী লোক ওসমান (রা:)এর বিরোদ্ধে কিছু আভিযোগ আনেন। এ সকল অভিযোগের ভিতর ছিল স্বজনপ্রীতি ,বায়তুল মালের অর্থ আত্নসাৎ কুরআন শরীফ পোড়ানো , আবুজর গিফারীকে নির্বাসনে দেওয়া , পশু চারণ ভূমি ব্যাক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার প্রভৃতি।কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করলে প্রতীয়মান হয় য়ে এ সকল অভিযোগ ছিল ভিক্তিহীন ও বানোয়াট অযৌক্তিক। কিন্তু এ অভিযোগকে পুজি করে কতিপয় লোক তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল। খলিফা ওসমান রা:) এ অভিযোগগুলো খন্ডন করলেও তার ব্যাক্তিগত সচিব মারওয়ানের দুরভিসন্ধিতে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তারা চরম ঐদ্ধত্য হয়ে উঠে িএবং খলিফার উপর আক্রমণ চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

ঘ)উক্ত হত্যাকান্ড তাথা হযরত উসমান (রা:) এর হত্যাকান্ড ইসলামের ইতিহাসে গতিপ্রবাহ নির্ধারনের গভীর ও সুদুর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। হযরত উসমান হত্যা ইসলামের অন্য যেকোনো ঘটনা অপেক্ষা অধিকতর যুগান্তকারী তার হত্যার কারণে ইসলামের ও মুসলিম বিশ্বের সুদূরপ্রসারী ফলাফল নিচে তুলে ধরা হলো।
গৃহযুদ্ধের সুচনা: প্রথম দুই খলিফার আমলে মুসলিমদের মধ্যে যে ঐক্য ও সংহতি গড়ে ওঠে তা হযরত উসমান রা: এর আমলে নষ্ট হয়ে যায়। হযরত উসমান রা: এর হত্যাকান্ডকে ভিক্তি করে উষ্ট্রের যুদ্ধ সিফফিনের যুদ্ধ এবং কারবালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
খিলাফতের মর্যাদা হানি : তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রা: এর হত্যাকান্ড ইসলামের ঐক্যের প্রতীক খিলাফতের ধমীয় ও নৈতিক মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে। বিদ্রোহী মুসলিম কর্তৃক একজন খলিফার প্রাণ সংহার দ্ভারা যে বেদনাবিধুর নজির সৃষ্টি হলো তা ইসলামের ঐক্যের প্রতীক খিলাফতের ধর্মীয় ও নৈতিক মর্যাদাকে মারাত্নকভাবে ম্লান করে।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের উদ্ভব : হযরত উসমান রা : এর হত্যাকান্ডের পর মুসলিম রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ও বহুমুখী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন পথ ও মতের সৃষ্টি হয় ।
গনতন্ত্রের সমাধি: হযরত ওসমান রা: হত্যাকান্ডের পর অনেকেই খলিফা হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে কুটকৌশলে হযরত মুয়াবিয়া বিজয়ী হয়ে ৬৬১ সালে খলিফা নির্বাচিত হন।তার ছেলেকে পরবর্তী শাসক নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের সমাধি রচিত হয়।
খলিফার প্রাধান্য বিলোপ :হযরত ওসমান রা: হত্যাকান্ডের পর থেকে মদিনা শরীফের প্রাধান্য বিলোপ হতে থাকে।

উদ্দীপক: বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানি মুদ্রা প্রচলিত ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর গহমান টাকশাল স্থাপন করে বাংলাদেশী জাতীয় মুদ্রা প্রচলন করে। ফলে ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ঘটে এবং দেশ এগিয়ে যায়।

ক.আব্দুল্লাহ ইবনে যোবায়ের কোন যুদ্ধে নিহত হন।
খ.ময়ূর বাহিনী বলতে কী বোঝায়।
গ.উদ্দীপকের ঘটনার সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন উমাইয়া শাসকের মিল রয়েছে ? লিখ।
ঘ.উক্ত শাসক আর কোন কোণ ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদ গড়ে তোলেন।
বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল অত্যন্ত সুরক্ষিত ছিল। মুসলমানরা অনেকবার চেষ্টা করেও সুরক্ষা ভেদ করতে পারেনি। শত্রুর মোকাবিলা এবং সময় বাঁচানোর জন্য সুলতান দ্বিতীয় মহম্মদ কাঠের তক্তার ওপরে চর্বি মেখে এক রাতে ৭০টি জাহাজ পাহাড়ের ওপর দিয়ে টেনে সেখানে প্রবেশ করান এবং কনস্টান্টিনোপল বিজয় করেন। ফলে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন হয় এবং মুসলিম শাসন ইউরোপে সম্প্রসারিত হয়। নির্যাতিত খ্রিস্টানরা মুসলমানদের সাদরে গ্রহণ করে। মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি ইউরোপে বিস্তার লাভ করে।
প্রশ্ন:
ক. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলায় কোন বংশের রাজত্ব ছিল। -১
খ. বর্ণপ্রথা ব্যাখ্যা করো। -২
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় মুহম্মদের অভিযানের সাথে বখতিয়ার খলজির বঙ্গ অভিযানের কৌশলগত কী মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।- ৩
ঘ. উদ্দীপকের অভিযানের ফলাফলের সাথে বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিষয়ের ফলাফলের তুলনামূলক আলোচনা করো। -৪

উত্তর: ক. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলায় সেন রাজবংশের রাজত্ব ছিল।
উত্তর: খ. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে হিন্দুরা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—এ চারটি জাতি বা বর্ণে বিভক্ত ছিল। সমাজে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের প্রভাব বেশি ছিল এবং এ প্রথা ভারতে চরম আকার ধারণ করে। উত্তর: গ. উদ্দীপকের ঘটনা এবং বঙ্গ বিজয় ঘটনা বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই যে উভয় অভিযানে কৌশলগত মিল রয়েছে। উভয়েই মূল পথে অভিযান না করে বিকল্প পথে অভিযান করেছেন। উভয় অভিযানের ক্ষেত্রে সময়ের একটি ব্যাপার লক্ষ করা যায়। কনস্টান্টিনোপল অভিযান পরিচালনা করা হয় রাতের বেলায় যখন বাইজান্টাইন সম্রাটের বাহিনী বিশ্রামে ব্যাপৃত। অন্যদিকে, বঙ্গ বিজয়ের ক্ষেত্রে মাত্র ১৮ জন অশ্বারোহী নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের সময় আক্রমণকালে লক্ষণ সেনের সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া উভয়ের আক্রমণ এত দ্রুত ও ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ছিল যে সেনাবাহিনীর লোকজন বুঝে ওঠার আগেই প্রাসাদ দখল ও পদানত হয়।
উত্তর: ঘ. সুলতান দ্বিতীয় মুহম্মদ কর্তৃক খ্রিস্টান সাম্রাজ্য বাইজান্টাইন বিজয়ের ফলে মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। তেমনি মধ্যযুগীয় বাংলার ইতিহাসে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয় বাংলার ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে ছিল, যেমন বঙ্গ বিজয়ের মাধ্যমে বখতিয়ার খলজি বাংলায় হিন্দু আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্যযুগ থেকে বাংলায় মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিকাশ ঘটান। তিনি বাংলায় একটি ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও শাসনপ্রণালি গড়ে তোলেন। এ বিজয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা বঙ্গের সামাজিক পটভূমিতে একটি নতুন চিন্তাধারা বয়ে নিয়ে আসেন, ফলে হিন্দু সমাজের মুসলিম বিপ্লবের সূত্রপাত হয় এবং একটি ধর্মীয় সংস্কারের সূচনা হয়। ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বখতিয়ার লক্ষেৗতে অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। এ বিজয়ের ফলে ভারতবর্ষে মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হয় এবং মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি ভারতবর্ষে বিস্তার লাভ করে। স্যার যদুনাথ সরকার যথার্থই বলেন, ‘যতদিন বাংলায় ইসলাম ধর্ম থাকবে, বখতিয়ার খলজি তত দিন স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।’

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯

ইসলামের ইতিহাস বহুনির্বাচনী /প্রথম পত্র


HTML5 Icon
ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্র
বহুনির্বাচনী নমুনা প্রশ্ন:
১.মুহম্মদ শব্দের অর্থ কী ?
ক.উচ্চ মর্যাদা খ.সম্মানিত
গ.দক্ষতা সম্পন্ন ঘ.প্রশংসিত
উত্তর ঘ.প্রশংসিত
২.ইতিহাসের জনক কে ?
ক.হোমার খ.হেরোডোটাস
গ.এরিস্টটল ঘ.প্লেটো
উত্তর খ.হেরোডোটাস
৩.আরব দেশকে জাজিরাতুল আরব বলাহয় কেন ?
ক.মরুভূমির দেশ বলে খ.আরব পবিত্র ভূমি হওয়ার জন্য
গ.আরব সাগরের তীরে অবস্তিত বলে ঘ.তিন দিকে জল দ্বারা বেষ্টিত তওয়ার করণে
উত্তর খ.আরব পবিত্র ভূমি হওয়ার জন্য
৪.৫৭০ সালকে হস্থির সাল বলা হয় কেন ?
ক. হস্থি যুদ্ধ হয়েছিল বলে খ.হস্তি দ্বারা কাবা ঘর ধংস্ব হয়েছিল বলে
গ.কাবাঘর ধংসের জন্য হস্থির পিঠে করে এসেছিল বলে ঘ. আব্রাহাম মক্কাকে অনেক হস্থি উপহার দিয়েছিল বলে
উত্তর গ.কাবাঘর ধংসের জন্য হস্থির পিঠে করে এসেছিল বলে
৫. মদিনার পূর্ব নাম কি?
ক.কুফা খ.হেজাজ
গ.ইয়াসরিব ঘ. কুবা
উত্তর গ.ইয়াসরিব
৬.হযরত মুহাম্মদ (স.) মদিনা সনদ প্রণয়ন করেন । এত তার কো ন গুণটি পরিলক্ষিত হয ?
ক. ধৈর্যাশীলতা খ. সমাজ সচেনতা
গ.রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ঘ. ধর্মীয় অনুশাসন
উত্তর গ.রাজনৈতিক দূরদর্শিতা
৭.মহানবী (স.) কর্তৃক গঠিত শন্তি সংঘের নাম কী ?
ক.যুব সংঘ খ. সমাজ উন্নয় কমিটি গ.হিল ফুল ফুজুল ঘ.দারুল নদওয়া
উত্তর গ.হিল ফুল ফুজুল
৮. উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ কী ছিল ?
ক.গনিমাহ লাভের স্পৃহা খ.হামজা রা: এর শাহাদাৎ বরণ
গ.নেতার নির্দেশ অমান্য ঘ.কুরাইশ সৈন্যের সংখ্যাধিক্য
উত্তর ক.গনিমাহ লাভের স্পৃহা
৯.মিসর বিজয়ী মুসলিম সেনাপতির নাম কি ?
ক. খালিদ বিন ওয়ালিদ খ. আবু ওবায়দা
গ. আমর বিন অলআস ঘ. সাদ বিন আবিওয়াক্কাস
উত্তর গ.
১০.বেদুইনদের পোশাক ছিল ?
ক.সাদাসিধা লম্বা কোর্তা খ.রঙ্গিন কোর্তা
গ. পাজামা পাঞ্জাবী ঘ. লম্বা মাদানী
উ্ত্তর ক.সাদাসিধা লম্বা কোর্তা
১১. কোন উমাইয়া খলিফাকে শ্রেষ্ঠ বিজেতা বলা হয় ?
ক.মুয়াবিয়া খ. আল-ওয়ালিদ
গ.ওমর বিন আব্দুল আজিজ ঘ. আব্দুল মালিক
উ্ত্তর খ. আল-ওয়ালিদ
উদ্দীপকটি পড়ে ১২ও ১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও ।
পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার আদেশ তার সেনাপতি মীরজাফর আলী খান পালন না করায় নবাব ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন।

১২. উক্ত ঘটনা মহানবী সা: এর কোন ঘটনাকে স্মরন করিয়ে দেয় ?
ক.বদর খ.খন্দক
গ. তাবুক ঘ.উহুদ
উ্ত্তর ঘ.উহুদ
১৩. কোন মুসলিম সেনাপতি স্পেন জয় করেন ?
ক. মুহাম্মদ বিন কাশিম খ. তারিখ বিন জিয়াদ
গ. ওকাবা বিন নাফি ঘ.আবু মুসলিম
উ্ত্তর খ. তারিখ বিন জিয়াদ
১৪. খলিফা আবু বক্‌র (রা:) কে সিদ্দিক উপাধি দেওয়া হয়েছিল কেন ?
ক. সত্যবাদিতার জন্য খ. ভন্ড নবীদের দমন করেন বলে
গ. যাকাত আদায়ে কঠোর ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন বলে ঘ.অধিক দানশীল ছিলেন বলে
উ্ত্তর ক. সত্যবাদিতার জন্য
১৫. কারবালা কোথায় অবস্থিত ?
ক.সিরিয়ায় খ. ইরাকে
গ. মিশরে ঘ. স্পেনে
উ্ত্তর খ. ইরাকে
উদ্দীপকটি পড়ে ১৬ও১৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও সম্রাট আলেকজান্ডার রাজত্বকালে গ্রিকদের অগ্রযাত্রা এশিয়া ইউরোপ ও আফ্রিাকায় বিস্তৃত হয় । তিনি দিগ্বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃত সুপরিচিত ।
১৬. সম্রাট আলেকজান্ডারের ন্যায় কোন উমাইয়া শাসক সম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন ?
ক. ইয়াজিদ খ. আব্দুল মালিক
গ. প্রথম ওয়ালিদ ঘ. হিশাম
উ্ত্তর গ. প্রথম ওয়ালিদ
১৭. উদ্দীপকের ন্যায় উক্ত শাসকের কর্মকান্ডের ফলে কী ঘটেছিল ?
ক. শত্রু সংখ্যা বৃদ্ধি খ.মুসলমানদের অসন্তুুষ্টি
গ. ইসলামের প্রসার ঘ. রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা
উ্ত্তর খ.মুসলমানদের অসন্তুুষ্টি
১৮. খলিফা আাল মামুরে রাজত্বকলকে অগাষ্টান যুগের সাথে তুলনা করা হয় কেন ?
ক. রাজ্য বিস্তারের জন্য খ. বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য
গ. ধর্ম প্রচারের জন্য ঘ. জ্ঞান বিজ্ঞানের জন্য
উ্ত্তর ঘ. জ্ঞান বিজ্ঞানের জন্য
১৯. অস সাফফাহ শব্দের অর্থ কী ?
ক. কঠিন খ.নিষ্ঠুর
গ. রক্তপিপাসু ঘ. হত্যাকারী
উ্ত্তর গ. রক্তপিপাসু
২০. আরবের জোয়ার অব আর্ক কাকে বলা হয় ?
ক. আব্বাসকে খ. লায়লাকে
গ. জুবায়দাকে ঘ.আজ জোহারাকে
উ্ত্তর খ. লায়লাকে
২১. খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজিজকে পঞ্চম খোলাফোয়ে রাশেদীন বলা হয় কেন ?
ক.খোলাফায়ে রাশেদীন নীতি অনুসরণ করার জন্য খ.খারেজীদের প্রতি উদার মনোভারে জন্য
গ. মাওয়ালিদের প্রতি সদয় ব্যবহারের জন্য ঘ. অমুসলিমদের প্রতি সহনশীলতা প্রর্দশনের জন্য
উ্ত্তর ক.খোলাফায়ে রাশেদীন নীতি অনুসরণ করার জন্য
২২. কাকে গাজী উপাধি দেওয়া হয় ?
ক. সালাউদ্দিন আইয়ূবী খ. নুরুদ্দীন জং
গ. মুতাসিম বিল্লাহ ঘ. আল হাকিম
উ্ত্তর ক. সালাউদ্দিন আইয়ূবী
২৪. খলিফা হারুন অর রশীদের দুই পুত্রের মধ্যে দ্বন্দ যথার্থ হওয়ার কারণ কি ?
ক. মামুনের আরামপ্রিয়তা খ. আমিনের রাজকার্য়ে অবহেলা
গ. মামুনের শত্রুতা ঘ. আমিনের শমরকুশলতা
উ্ত্তর খ. আমিনের রাজকার্য়ে অবহেলা
উদ্দীপকটি পড়ে ২৫ও২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও । মতিন মিয়া সব সময় নারী শিক্ষা বিরোধিতা করতেন । তবে তার কন্যা হাবিবা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুয়োগ পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত খুশী হন । পরবর্তী তে নিজ এলাকার সকলকে মেয়েদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আগ্রহী করে তোলেন ।
২৫. নারী শিক্ষায় মতিন মিয়ার উদ্যোগে গহণে মুহম্মদ(স:)এর কোন শিক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে ?
ক. হাজরের আওয়াদ খ.আকাবার শপথ
গ. মদিনা সনদ ঘ. বিদায় হজের ভাষণ
উ্ত্তর ঘ. বিদায় হজের ভাষণ
২৬. মহানবি (সা:) উক্তশিক্ষার ফলে -- ?
ক. গোত্র দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে খ. সাম্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে
গ. গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ঘ. ইসলামের দ্রূত প্রসার ঘটে
উ্ত্তর ঘ. ইসলামের দ্রূত প্রসার ঘটে
২৭. খোলাাফায়ে রাশেদীন শাসনকাল কত বছর ছিল । ?
ক. ৪০ বছর খ. ৩০ বছর
গ. ৩৫ বছর ঘ. ৫০ বছর
উ্ত্তর খ. ৩০ বছর
২৮. স্পেন বিজয় করেন কে ?
ক. হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খ. তারিক বিন জিয়াদ
গ. কুতাইবা বিন মুসলিম ঘ.মুহাম্মদ বিন কাসিম
উ্ত্তর খ. তারিক বিন জিয়াদ
২৯. খারেজী কারা ?
ক. একটি যুক্তিবাদী সম্প্রদায় খ.একটি গুপ্তঘাতম সম্প্রদায়
গ. একটি সাংস্কৃতিক দল ঘ. একটি রাজনৈতিক দল
উ্ত্তর ঘ. একটি রাজনৈতিক দল
৩০. ফাতেমীয় খিলাফত কত সালে প্রতিষ্টিত হয় ?
ক. ৬৬১ সনে খ. ৭৫০ সনে
গ. ৯০১ সনে ঘ. ৯০৯ সনে
উ্ত্তর ঘ. ৯০৯ সনে
৩১. জেরোজালেম প্রথম কখন মুসলিম অধিকারে আসে ?
ক. হযরত আবু বকর (রা:)এর সময় খ. হযরত ওমর (রা:) এর সময
গ. হযরত ওসমান (রা:) এর সময় ঘ.হযরত আলী (রা:) এর সময়
উ্ত্তর খ. হযরত ওমর (রা:) এর সময

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯

সৃজনশীল প্রশ্ন ইসলামের ইতিহাস


ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র
একাদশ শ্রেনী ২০১৮ইং মান ৭০নম্বর
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

১) নেতৃত্বের অন্যতম গুন হচ্ছে নিজের যাপিত মতাদর্শের প্রতি সকলকে আকৃষ্ট করা । এ ক্ষেত্রে ভাষণ বা বক্তৃতার কোন বিকল্প নেই । ধর্ম রাজনীতি, সমাজ , সংগঠনের প্রেরণা হিসেবে বরেণ্য নেতা ও মনীষীরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন । বিভিন্ন কারণে এসব ভাষাণের কোনটি আবার ইতিহাসের পাতায় ঠাই করে নিয়েছে স্বমহিমায় ।
ক.কত খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয় সম্পন্ন হয় । ১
খ.প্রতিনিধি প্রেরণের বছর বলতে কি বোঝ? ২
গ.মক্কা বিজয়ের গুরুত্ব আলোচনা কর । ৩
ঘ.বিদায় হজের ভাষণের তাৎপর্য আলোচনা কর । ৪

২)চীনা সভ্যতা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও নদীকেন্দ্রিক সমৃদ্ধ সভ্যতা। চীনা সভ্যতা মূলত কৃষিভিত্তিক। এখানকার প্রাচীন জনগোষ্ঠী হোয়াংহো নদীর দুই পাশের উর্বর এলাকাজুড়ে চাষ করত জব, গম, ধান ও নানা ধরনের শাকসবজি। তারা ব্যবহার করত পাথরের তৈরি ছুরি, তীরের ফলা, কুঠার ও হাড়ের তৈরি নানা ধরনের অস্ত্রশস্ত্র। কাপড় বোনা ও মাটির পাত্র নির্মাণপদ্ধতিও তাদের আয়ত্তে ছিল। পালন করত বিভিন্ন জাতের পশু, তারা রেশমকীটের চাষাবাদও জানত। এরা সুতা দিয়ে মজবুত ও সুন্দর বস্ত্রাদি বানাত। চীনারা খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে আবিষ্কার করে কাগজ। খ্রিষ্টের জন্মের আগেই চীনের মাটিতে বারুদ ও খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার মানব সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশে প্রভূত অবদান রেখেছে।
ক. সর্বপ্রাচীন ‘আইন সংহিতা’ কোনটি? ১
খ. ‘আসাবিয়াহ’ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. সভ্যতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উদ্দীপকে বর্ণিত সভ্যতার সঙ্গে মিশরীয় সভ্যতার কোন দিকের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. শিল্পক্ষেত্রে উদ্দীপকের সভ্যতার সঙ্গে মিশরীয় সভ্যতার অবদানের তুলনামূলক আলোচনা করো। ৪

৩)ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষক আবদুর মজিদ সাহেব ক্লসে একজন বিখ্যাত বক্তির সংস্কার সম্পর্কে বললেন , তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক । তার সংস্কারের ফলে এক সময়ের র্ববর এক জাতি র্মযাদার উচ্চাসনে সমাসীন হয় । সমাজ থেকে জুয়া খেলা , মদপডান , দাসত্ব প্রথা দূর করেন । তিনি সমাজে নারীর মর্যাদাও প্রতিষ্ঠা করেন।
ক.মদিনা সনদ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত হয় ?
খ.ইসলামে নারীর পর্দা সম্পর্কে পাচঁটি নিয়ম লেখ?
গ.শিক্ষক আব্দুল মজিদের আলোচ্য সংসকএরর বিষয়গুলো কোন বিখ্যাত ব্যাক্তির সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উক্ত বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক সম্পর্কে শিক্ষকের মন্তব্যের যর্থাথতা বিশ্লেষণ কর ।

৪)সাভার রানা প্লাজায় শিল্প কারকানা পরিচালনায় কায়েমি শোষক চক্র মুনাফার পাহাড় গড়ে তুলতে তৎপর হয় । সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে আর্ত মানবতার উদ্ধার কার্যে যোগদানের লক্ষ্যে প্রকৌশলী এজাজ আহমদ চৌধুরী কর্মস্থল ও সংসার ফেলে সাভারে ছুটে আসেন । উদ্ধার কাজে অপরিমিত অবদান বাখার এক পর্যায়ে তিনি আহত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন । রাষ্টীয মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয় ।
ক.আইয়্যামে জাহেলিয়া কী ? ১
খ.যাকাত বিরোধী আন্দোলন বলতে কী বোঝ ? ২
গ.উদ্দীপকের আলোকে ভন্ড নবীদের তৎপরতা আলোচনা কর । ৩
ঘ.তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে ত্রানকর্তা হিসেবে হযরত আবুবক্র (রা) কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর । ৪

৫.ইসলামের এক ক্রান্তিকালে তিনি খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন । মহানবি( সা:) এর অসমাপ্ত বাসনাসমূহ বাস্তবে রূপদান করেন । যাকাতবিরোধী আন্দোলন ও ভন্ড নবিদের অশুভ তৎপরতার ফলে আরব উপদ্বীপের প্রচলিত বিদ্রোহকে নির্বাপিত করেন।
ক.হযরত ওমর (রা:) কুরাইশ বংশের কোন গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন?
খ.বিদ্দা বলতে কি বোঝ?
গ.উদ্দীপকে কোন খলিফার ইঙ্গিত রয়েছে ?ব্যাখ্যা কর।
ঘ.ইসলামের ক্রান্তিকালে উক্ত খলিফা কীভাবে রাষ্ট্র সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্লেষণ কর ।

৬.পোশাক শিল্প বাংলাদেশের একটি উদীয়মান শিল্প । জাতীয় আয়ের বৃহদাংশ এ শিল্প থেকে আসলেও এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মৌলিক মানবিক চাহিদাগুলো পূরণের ক্ষেত্রে মালিক ও রাষ্ট্র নূন্যতম গুরুত্ব দিচ্ছে না । শ্রমিকদের শ্রমশোষন , দুর্ঘটনা ,সম্পদ ও জীবনহানি নৈমিত্তিক বিষয় য়া এ সম্ভাবনাময় সেক্টরটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
ক.রোম নগরী কোথায় অবস্থিত ? ১
খ.নগররাষ্ট্র বলতে কী বোঝ ? ২
গ.গ্রিসের সমাজে পেরিক্লিসের অবদান মূল্যায়ন কর । ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর “পোশাক শ্রমিকরা কার্যত আধুনিক কালের দাস” আলোচনা কর । ৪

৭ বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল অত্যন্ত সুরক্ষিত ছিল। মুসলমানরা অনেকবার চেষ্টা করেও সুরক্ষা ভেদ করতে পারেনি। শত্রুর মোকাবিলা এবং সময় বাঁচানোর জন্য সুলতান দ্বিতীয় মহম্মদ কাঠের তক্তার ওপরে চর্বি মেখে এক রাতে ৭০টি জাহাজ পাহাড়ের ওপর দিয়ে টেনে সেখানে প্রবেশ করান এবং কনস্টান্টিনোপল বিজয় করেন। ফলে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন হয় এবং মুসলিম শাসন ইউরোপে সম্প্রসারিত হয়। নির্যাতিত খ্রিস্টানরা মুসলমানদের সাদরে গ্রহণ করে। মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি ইউরোপে বিস্তার লাভ করে।

ক. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলায় কোন বংশের রাজত্ব ছিল। ১
খ. বর্ণপ্রথা ব্যাখ্যা করো। ২ গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় মুহম্মদের অভিযানের সাথে বখতিয়ার খলজির বঙ্গ অভিযানের কৌশলগত কী মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের অভিযানের ফলাফলের সাথে বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয়ের ফলাফলের তুলনামূলক আলোচনা করো। ৪

উত্তর: ক. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলায় সেন রাজবংশের রাজত্ব ছিল।
উত্তর: খ. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে হিন্দুরা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—এ চারটি জাতি বা বর্ণে বিভক্ত ছিল। সমাজে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের প্রভাব বেশি ছিল এবং এ প্রথা ভারতে চরম আকার ধারণ করে।
উত্তর: গ. উদ্দীপকের ঘটনা এবং বঙ্গ বিজয় ঘটনা বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই যে উভয় অভিযানে কৌশলগত মিল রয়েছে। উভয়েই মূল পথে অভিযান না করে বিকল্প পথে অভিযান করেছেন। উভয় অভিযানের ক্ষেত্রে সময়ের একটি ব্যাপার লক্ষ করা যায়। কনস্টান্টিনোপল অভিযান পরিচালনা করা হয় রাতের বেলায় যখন বাইজান্টাইন সম্রাটের বাহিনী বিশ্রামে ব্যাপৃত। অন্যদিকে, বঙ্গ বিজয়ের ক্ষেত্রে মাত্র ১৮ জন অশ্বারোহী নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের সময় আক্রমণকালে লক্ষণ সেনের সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া উভয়ের আক্রমণ এত দ্রুত ও ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ছিল যে সেনাবাহিনীর লোকজন বুঝে ওঠার আগেই প্রাসাদ দখল ও পদানত হয়। উত্তর: ঘ. সুলতান দ্বিতীয় মুহম্মদ কর্তৃক খ্রিস্টান সাম্রাজ্য বাইজান্টাইন বিজয়ের ফলে মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। তেমনি মধ্যযুগীয় বাংলার ইতিহাসে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয় বাংলার ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে ছিল, যেমন বঙ্গ বিজয়ের মাধ্যমে বখতিয়ার খলজি বাংলায় হিন্দু আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্যযুগ থেকে বাংলায় মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিকাশ ঘটান। তিনি বাংলায় একটি ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও শাসনপ্রণালি গড়ে তোলেন। এ বিজয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা বঙ্গের সামাজিক পটভূমিতে একটি নতুন চিন্তাধারা বয়ে নিয়ে আসেন, ফলে হিন্দু সমাজের মুসলিম বিপ্লবের সূত্রপাত হয় এবং একটি ধর্মীয় সংস্কারের সূচনা হয়। ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বখতিয়ার লক্ষেৗতে অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। এ বিজয়ের ফলে ভারতবর্ষে মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হয় এবং মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি ভারতবর্ষে বিস্তার লাভ করে। স্যার যদুনাথ সরকার যথার্থই বলেন, ‘যতদিন বাংলায় ইসলাম ধর্ম থাকবে, বখতিয়ার খলজি তত দিন স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।

উদ্দীপক ৮.বাহাউদ্দিন ভুইঞা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি নরসিংদী থেকে ৫টি বড় নৌকা বোঝাই করে মালামাল ঢাকায় পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের কাছাকাছি একদল ডাকাত মালামাল বোঝাই নৌকাগুলো ছিনতাই করে নেয়। এতে বাহাউদ্দিন সাহেব নারায়ণগঞ্জের চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।

ক. সিন্ধু বিজয়ের প্রাক্কালে আরব সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের গর্ভনর কে ছিলেন? ১
খ. "মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থায় বর্ণবৈষম্যের চিত্র ফুটে উঠে"- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বাহাউদ্দিন সাহেবের মালামালভর্তি নৌকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে ভারতবর্ষে মুসলিম অভিযানের কোন ঘটনার মিল রয়েছে- ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উক্ত অভিযানের ফলাফল পরবর্তী সময় ভারতবর্ষের ইতিহাসে কতটুকু প্রভাব ফেলেছিল তা বিশ্লেষণ করো। ৪

উত্তর: ক. সিন্ধু বিজয়ের প্রাক্কালে আরব সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের গর্ভনর কে ছিলেন? ১
উত্তর : সিন্ধু বিজয়ের প্রাক্কালে আরব সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের তথা ইরাক প্রদেশের গভর্নর ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ।
খ. "মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থায় বর্ণবৈষম্যের চিত্র ফুটে উঠে"- ব্যাখ্যা করো। ২
উত্তর : মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের সামাজিক অবস্থা সন্তোষজনক ছিল না। সমাজে হিন্দুদের প্রাধান্য ছিল বেশি। হিন্দু সমাজে সংকীর্ণ জাতিভেদ প্রথা বিস্তার লাভ করে। হিন্দু সমাজ মূলত চারটি বর্ণে বিভক্ত ছিল। যথা : ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রীয়, বৈশ্য ও শূদ্র। এই চারটি বর্ণের মধ্যে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করে। সমাজে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রীয়দের প্রভাব শীর্ষে থাকলেও বৈশ্য ও শূদ্ররাছিল অধঃপতিত ও নিষ্পেষিত। ব্রাহ্মণরা সমাজে উঁচু শ্রেণির তথা সুযোগ-সুবিধা বেশি পেত। তারা ধর্ম-কর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানে নিয়োজিত থাকত। ক্ষত্রীয়রা শাসন পরিচালনা, বৈশ্যরা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শূদ্ররা সাধারণ কাজকর্ম করত। শূদ্ররা সমাজে অপবিত্র ও অস্পৃশ্য বলে বিবেচিত হতো। সমাজ একটি কঠোর বর্ণনীতির আওতায় আবদ্ধ ছিল এবং এতে নিম্ন শ্রেণির লোকেরা ছিল অসহায় ও বঞ্চিত।

গ. উদ্দীপকে বাহাউদ্দিন সাহেবের মালামালভর্তি নৌকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে ভারতবর্ষে মুসলিম অভিযানের কোন ঘটনার মিল রয়েছে- ব্যাখ্যা করো। ৩ উত্তর : উদ্দীপকে বাহাউদ্দিন সাহেবের মালামালভর্তি নৌকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে ভারতবর্ষের সিন্ধু অভিযানের প্রত্যক্ষ কারণটির মিল রয়েছে। আরবদের সিন্ধু বিজয় ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। আরব সাম্রাজ্যের খলিফা ওয়ালিদের পূর্বাঞ্চলীয় গর্ভনর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নেতৃত্বে ৭১২ খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ বিন কাশিমের সেনাপতিত্বে সিন্ধুতে অভিযান প্রেরণ করা হয়। তখন সিন্ধুর রাজা ছিল দাহির। সিন্ধুর রাজা দাহিরের বিরুদ্ধে মুসলিম অভিযানের পেছনে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ- এ দুই ধরনের কারণই কার্যকর ছিল। উদ্দীপকে সিন্ধু অভিযানের প্রত্যক্ষ কারণকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা জলদস্যু কর্তৃক আরব জাহাজ লুণ্ঠনই ছিল সিন্ধু অভিযানের প্রত্যক্ষ কারণ। সিংহলে বসবাসকারী কিছু আরব বণিকের মৃত্যু হলে সিংহলরাজ সেসব বণিকদের স্ত্রীপুত্র ও খলিফা ওয়ালিদের জন্য কিছু মূল্যবান উপহার-উপঢৌকনপূর্ণ ৮টি জাহাজ আরবের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। কিন্তু সিন্ধুর দেবল বন্দরে এলে জলদস্যুরা জাহাজগুলো লুণ্ঠন করে। এতে হাজ্জাজ রাজা দাহিরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু সিন্ধুর রাজা দাহির এতে কর্ণপাত করলেন না। এতে হাজ্জাজ ক্ষুব্ধ হন এবং দাহিরের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেন। ঘ. উক্ত অভিযানের ফলাফল পরবর্তী সময় ভারতবর্ষের ইতিহাসে কতটুকু প্রভাব ফেলেছিল তা বিশ্লেষণ করো। ৪
উত্তর : এখানে উক্ত অভিযান বলতে মুহাম্মদ বিন কাশিমের সিন্ধু অভিযানের কথা বলা হয়েছে। আরবদের সিন্ধু অভিযান ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক চমকপ্রদ ঘটনা। মোহাম্মদ বিন কাশিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু ও পরবর্তী সময় মুলতান দখল করে সেখানে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। সিন্ধু তথা ভারতবর্ষে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা সুদূরপ্রসারি প্রভাব ফেলেছিল। R.C মজুমদার একে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে অনেক ঐতিহাসিক এ অভিযানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। লেমপুল বলেন, "ভারতবর্ষ ও ইসলামের ইতিহাসে এ বিজয় ছিল একটি উপাখ্যান মাত্র, একটি নিষ্ফল বিজয়।" রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আরবগণ কর্তৃক সিন্ধু বিজয় ইসলামের ইতিহাসে তাৎপর্যহীন ঘটনা বললেও ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব ছিল। কেননা ইসলামের প্রচার ও প্রসার এ ঘটনার মধ্য দিয়েই শুরু হয়। আবরদের সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পথও সুগম হয় এ অভিযানের পর। হিন্দু ও মুসলিম দুটি জাতির সংমিশ্রণের ফলে একটি নতুন সামাজিক কাঠামো ও সাংস্কৃতিক জীবনযাত্রা পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি শুধু রাজনৈতিক দিক বিবেচনা না করে সামগ্রিক দিক থেকে বলা যায়, আবরদের সিন্ধু বিজয় একেবারে তাৎপর্যহীন ছিল না। কেননা এ বিজয়ের পথ ধরেই পরবর্তী সময় মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

৯.চীনা সভ্যতা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও নদীকেন্দ্রিক সমৃদ্ধ সভ্যতা। চীনা সভ্যতা মূলত কৃষিভিত্তিক। এখানকার প্রাচীন জনগোষ্ঠী হোয়াংহো নদীর দুই পাশের উর্বর এলাকাজুড়ে চাষ করত জব, গম, ধান ও নানা ধরনের শাকসবজি। তারা ব্যবহার করত পাথরের তৈরি ছুরি, তীরের ফলা, কুঠার ও হাড়ের তৈরি নানা ধরনের অস্ত্রশস্ত্র। কাপড় বোনা ও মাটির পাত্র নির্মাণপদ্ধতিও তাদের আয়ত্তে ছিল। পালন করত বিভিন্ন জাতের পশু, তারা রেশমকীটের চাষাবাদও জানত। এরা সুতা দিয়ে মজবুত ও সুন্দর বস্ত্রাদি বানাত। চীনারা খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে আবিষ্কার করে কাগজ। খ্রিষ্টের জন্মের আগেই চীনের মাটিতে বারুদ ও খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার মানব সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশে প্রভূত অবদান রেখেছে।

ক. সর্বপ্রাচীন ‘আইন সংহিতা’ কোনটি? ১
খ. ‘আসাবিয়াহ’ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. সভ্যতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উদ্দীপকে বর্ণিত সভ্যতার সঙ্গে মিশরীয় সভ্যতার কোন দিকের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. শিল্পক্ষেত্রে উদ্দীপকের সভ্যতার সঙ্গে মিশরীয় সভ্যতার অবদানের তুলনামূলক আলোচনা করো। ৪

উত্তর: ক. সর্বপ্রাচীন ‘আইন সংহিতা’ হচ্ছে হাম্মুরাবি আইন।
উত্তর: খ. ইতিহাসে গোত্রপ্রীতি ও যুদ্ধপ্রীতির জন্য প্রাক্-ইসলামী যুগের আরববাসী ছিল বিখ্যাত। বেদুঈন আরবদের জাতীয়তাবোধ ও স্বদেশ অনুরাগ বলতে গোত্রপ্রীতিই বোঝাত। গোত্রপ্রথাই ছিল বেদুঈন সমাজের মূলভিত্তি। ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, ‘বেদুঈন সমাজের ভিত্তি হচ্ছে গোত্রীয় সংগঠন। আর আরব আসাবিয়াহ (কৌম চেতনা) হচ্ছে তাদের গোত্রের মূলমন্ত্র।’ গোত্রপ্রীতি ও রক্ত সম্পর্কের ওপর ভিত্তি এ কৌম চেতনা পরবর্তীকালে আরব জাতি গঠন এবং ইসলামের বিস্তৃতি সাধনে সহায়ক ছিল।
উত্তর: গ. চীনা সভ্যতা হোয়াংহো নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। চীনা সভ্যতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে হোয়াংহো নদীর যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি মিশরীয় সভ্যতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নীলনদের অবদানও অপরিসীম। মিশরকে বলা হয় নীল নদের দান বা ‘ The gift of the nile. প্রাচীন মিশর প্রধানত কৃষিপ্রধান দেশ ছিল। নীল নদের উর্বর অববাহিকায় কৃষি উৎপাদন ছিল সর্বাধিক। এখানকার প্রাচীন জনগোষ্ঠীও চৈনিক সভ্যতার মতো নীলনদের দুই পাশের উর্বর এলাকাজুড়ে চাষ করত বিভিন্ন ফসল। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নীলনদের উভয় তীর প্লাবিত হতো। প্লাবন শেষে পলিমাটিতে উভয় তীর দৈর্ঘ্যে ৬০০ মাইল প্রস্থে ১০ মাইল পর্যন্ত ভরে যায়। এ রকম সঞ্চিত পলিমাটির গুণে উভয় ভূ-ভাগ অত্যন্ত উর্বর হয়। ফলে প্রচুর শস্য, তুলা প্রভৃতি উৎপন্ন হওয়ায় মিশর একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হয়। গড়ে ওঠে একটি কৃষিভিত্তিক সমাজ। মিশরীয়রা কৃষি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতি সাধন করে। বিভিন্ন জাতের ফসল ও ফল-ফলাদির চাষাবাদ করে তারা খ্যাতি অর্জন করে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেও তারা উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধি আনে। কৃষির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মিশরে শিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করে।

উত্তর: ঘ. বিশ্ব সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান প্রায় জীবনের সব ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। উদ্দীপকে চীনা সভ্যতার চেয়েও শিল্প ক্ষেত্রে মিশরীয় সভ্যতার অবদান অপরিসীম। কেননা মিশরীয়রা স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জের ব্যবহার জানত। এগুলোর সাহায্যে তারা নানা প্রকার অলংকার, আসবাব নির্মাণ করত। অস্ত্রশস্ত্র তৈরিতেও তারা ছিল অত্যন্ত পারদর্শী। সুতি, পশমি এমনকি নানা প্রকার কারুকার্য খচিত বস্ত্র বয়নেও তাদের দক্ষতা ছিল। ধাতব পাত্র ও দ্রব্যাদি নির্মাণে, বস্ত্র বয়নে, মৃৎপাত্র নির্মাণে, হাতির দাঁতের তৈজসপত্র, বাদ্যযন্ত্র, খেলনা ইত্যাদি তৈরিতে পারদর্শী ছিল। তারা ‘প্যাপিরাস’ নামক এক প্রকার ঘাস থেকে কাগজ প্রস্তুত করত এবং শাকসবজির রস দিয়ে কালি প্রস্তুত করত। শিল্প ক্ষেত্রে এসব অবদান ছাড়াও সরকারপদ্ধতি, আইন, স্থাপত্য, শিল্পকলা, ভাস্কর্য, চিত্রকলা, কারুশিল্প, সাহিত্য, ধর্ম, দর্শন, চিকিৎসাশাস্ত্র, লিখনপদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক বর্ষ পঞ্জিকা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ব সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। তাই ঐতিহাসিক রালফ এবং বানর্স বলেন, ‘বর্তমান যুগের গুরুত্ব বিচারে প্রাচীনকালের খুব কম সভ্যতাই মিশরীয়দের অতিক্রম করতে পেরেছে।’

১০.ইসলামের এক কান্তিকালে তিনি খিলাফতের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন । মহানবি (স্)-এর অসমাপ্ত বসনাসমূহ বাস্তবে নূপদান করেন । যাকাতবিরোধী াান্দোলন ও ভন্ড নবিদের অশুভ তৎপরতার ফলে আরব উপদ্বীপে প্রচলিত বিদ্রোহকে নির্বাপিত করেন।

ক .হযরত মের (বা:)কুরােইশ বংশের কোন গোত্রে জন্মগ্রহন করেন? ১
খ.রিদ্দা বলতে কী বোঝায় ? ২
গ.উদ্দীপকে কোন খলিফার ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.ইসলামর কান্তিকালে উক্ত খলিফা কীভাবে রাষ্ট্র সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন।বিশ্লেষণ কর । ৪

১১.কামাল সাহেব ছাত্রদের বলেন, ইসলামের ইতিহাসে একজন খলিফার খেলাফতে গণতন্ত্রের আদর্শ যতদুর পালন করাহয়েছিল । সেই আদর্শ অদর্শ অর্জন করতে বিশ্বের আরও অধিক সময় লাগবে । জনগণের অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য তিনি রাত্রিবেলা একাকি ঘুরেবেড়াতেন । তার কোনো ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনী ছিল না ।

ক.ফুসতাত নগরীর গোড়াপত্তন হয় কত সালে ? ১
খ.উষ্ট্রের যুদ্ধের বণর্না দাও । ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত খলিফা আরব জাতীয়তাবাদ রক্ষার জন্য যে নীতি ঘোষনা করেছিলেন তা ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.অনুচ্ছেদের খলিফার জনহিতকর কার্যাবলী সম্পর্কে মতামত দাও । ৪

১২.ফাহিম তার পিতার নিকট থেকে জানতে পারে হয়রত মুহম্মদ (স:) –এর নাতিকে তাঁর আরেক সাহাবির পুত্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে । তার কারণ ঐসাহাবির সাথে হযরত মুহম্মদ (স:) –এর জামাতার সন্ধি শর্ত ছিল, মুহম্মদ(স:)-এর দৌহিত্রের ঐ সাহাবির মৃত্যুরপর শাসক হওয়ার কথা । কিন্তু ঐ সাহাবি এ শর্ত ভঙ্গ করে তার পুত্রকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন ফলে এতে বিরোধ নিশ্চিত হয়ে পড়ে । এছাড়া অন্যান্য অনেক কারণে ঐতিহাসিক একটি যুদ্ধ সংগঠিত হয় এরং হযরত মুহম্মদ (স:)-এর দৌহিত্র ঐ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন।

ক.উমাইয়া খিলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কাকে বলা হয় ?
খ.কাহিনার পরিণতি কী হয়েছিল ?
গ.উদ্দীপকের সাহাবির কৃতিত্বগুলো পাঠ্যবইয়ের আলোকে বণর্না কর ।
ঘ.শর্ত ভঙ্গকর অসৎ ছেলেকে উত্তরাধিকারী মনোনয়নই উদ্দীপকের যুদ্ধের মূল কারণ -মতামত প্রদান কর ।

১৩.তাহরিতি সম্রাজের শাসক সুলাইমান তারসাম্রাজ্য ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন । ডাক বিভাগের সংস্কার , রাজস্ব ব্যবস্থথার সংস্কার , স্থাপত্য শিল্পে ও উত্তরাধিকারী মনোনয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য । তাকে তাহরিতি বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।

ক.উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ? ১
খ.খলিফা দ্বিতীয় ইয়াযিদের রাজত্বকাল সম্পর্কে লেখ । ২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত সুলাইমানের রাজত্ব ব্যবস্থার আলোকে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত শাসকের রাজস্বব্যবস্থার ব্যখ্যা কর । ৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত তহিরিতি বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতার সাথে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কোন শাসকের মিল আছে ? আলোচনা কর ৪

১৪.মুছাপুর সাম্রাজ্যে দুজন কামারলের নাম পাওয়া য়ায়।প্রথম কামাল তার মৃত্যুর পূর্ব দু পুত্রকে সম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন।অন্যদিকে এক পুত্র জীবিত অবস্থায় আরার তার এক পুত্রকে মনোনয়নদান করেন।তবে তার ভাই তার মৃত্যুর পূর্বেই ইন্তেকাল করেন। যাহোক তারা রাজ্যে বিস্তার , যুদ্ধে বিজয় ,সমরাভিযান ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করেছিলেন।
ক.কুতাইবা কাদের পরাস্ত করে তুখারিস্তানে মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ? ১
খ.”দ্বিতীয় ওমরের ত্রুটিপূর্ন শাসন ব্যবস্থা ও সংস্কার উমাইয়া বংশের পদনকে ত্বরান্বিত কর “ ব্যাখ্যা কর । ২
গ.পাঠ্য পুস্তকের আলোকে মুছাপুরের সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের বর্ণনা দাও । ৩
ঘ.“মুছাপুরের শাসকবর্গের মতো এক ব্্যক্তিই সিন্ধু বিজয়ের নায়ক । “—মতামত প্রদান কর । ৪

১৫.ফারহানা তার দাদার নিকট ইসলামের ইতিহাসের এক আমীরের একটি নতুন খিলাফত প্রতিষ্ঠার গল্প শুনছিল । এ আমীরের বংশের লোকদের যখন গণহত্যা করা হয় , তখন সৌভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেচেঁ যান । একাধিক যুদ্ধে জয়লাভের পর বিতাড়িত, পলাতকও গৃহহীন ব্যাক্তিটি এক স্বাধীন রাজ্যের শাসক হন।
ক.আবু মুসলিম কে ছিলেন । ১
খ.কাকে . কেন কুরাইশদের বাজপাখি বলা হয়? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লেখিত আমীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তোমার পঠিত স্পেনীয় আমীরের কিরূপ মিল খুজেঁ পাওয়া যায় ? ব্যখ্যা কর । ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত আমীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শাসককে স্পেনের স্বাধীন উমাইয়া আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা বলার য়ৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর ।