বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

লেবু পানি খাওয়ার উপকারীতা


দিনের শুরুতে লেবুর উপকারিতা

Lights
তৃষ্ণা মেটাতে লেবুর শরবতের ‍তুলনা নেই। তবে ঘুম থেকে উঠেই কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সকালের ঘুম থেকে উঠে লেবুপানি খাওয়ার উপকারিতাগুলো উল্লেখ করা হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের হাটবাজারে যেসব লেবু পাওয়া যায় তার ওজন সাধারণত ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। এই ৬০ গ্রাম ওজনের একটি লেবুতে পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন সি ২৮.৬ মিলিগ্রাম, সাইট্রিক এসিড ২.৮৫ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৭.৯৩ মাইক্রোগ্রাম, প্রোটিন ০.২৩ গ্রাম, শ্বেতসার ৫.২৬ গ্রাম, বিটা ক্যারোটিন ১.৮৩ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন এ ১২.২০ মাইক্রোগ্রাম, কোলিন ৩.১১ মিলিগ্রাম, বায়োট্রিক ০.১৮ মাইক্রোগ্রাম, লুটিন স্পাজিয়াক্সথিন ৪.৪৯ মাইক্রোগ্রাম, আলফা টোকোফেরল (ভিটামিন-ই) ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.০২ মিলিগ্রাম, বি২ ০.০১ মিলিগ্রাম, বি৩ ০.০৬ মিলিগ্রাম, বি৬ ০.০৩ মিলিগ্রাম, কপার ০.০২ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪.২৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩.৬৬ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৫.৬৪ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ১৫.২৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩.৬৬ মিলিগ্রাম, খাদ্য আঁশ ০.২৪ গ্রাম।

হজমে সাহায্য করে দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। অন্যদিকে লেবু পাকস্থলি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আর বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ সিট্রাস গোত্রের ফল যেমন লেবু, বাতাবি লেবু বা কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অসকর্বিক অ্যাসিড। ভিটামিন সি ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং অসকর্বিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন গ্রহণে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ক্ষারের সমন্বয় শরীরে হাইড্রোজেনের পরিমাণের উপর অনেকাংশে সুস্থতা নির্ভর করে। সর্বমোট পিএইচ বা পাওয়ার অফ হাইড্রোজেন স্কেল হল ১ থেকে ১৪। মানবদেহে ৭ মাত্রার পিএইচ থাকা স্বাভাবিক। এর থেকে কম বা বেশি হলে শরীরে রোগের বিস্তার হতে পারে।

অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় ফল হলেও লেবু মানবদেহে পিএইচ’য়ের মাত্রা সমন্বয় করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা বেশি মাংস, পনির বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের জন্য লেবু সবচেয়ে বেশি উপকারী।

বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন পানির মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়। লেবু হচ্ছে প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। তাছাড়া লেবুর সিট্রিক এসিড পাকস্থলি পরিষ্কার রেখে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

শক্তি বর্ধক পানি এবং লেবুর রস শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন যুক্ত করে। ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হয়। এটি মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

Lights
ত্বক সুন্দর করে দীর্ঘক্ষণ পানিশূণ্য থাকলে ত্বক ম্লান দেখায়। সকালে লেবুর শরবত খেলে এর ভিটামিন সি ত্বক সুস্থ রাখে। আর লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ।

কিডনি পাথর- লেবুতে উপস্থিত লবন বা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে “ক্যালসিয়াম অক্সালেট ” নামক পাথর গঠনে বাধা দেয় । সবচেয়ে সাধারণ কিডনি পাথর গওলোর মধ্যে এটি একটি ।

মুত্র নালীর সংক্রমন দূর- যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘঠে । তা হলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন । এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে ।

চোখের স্বাস্থ্য - লেবুর রস চোখের স্বা্স্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোকের সমস্যার বিরোদ্ধে লড়াই করে ।

ক্যান্সার প্রতিরোধে-লেবু অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় । বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর তুলনা মেলা ভার ।

এছাড়া গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু পানি। এটা শুধু নারীর শরীরই ভালো রাখে না। বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মাকেও গর্ভকালে রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে।

দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত ব্যথা কমায়।

যাদের এই সমস্যা আছে রোজ আধা কাপ পানির মাঝে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

সর্তকতা : লেবু কেটে সরাসরি কামড়িয়ে খাবেন না। এতে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। যাদের কিডনি বা গলব্লাডারের সমস্যা আছে তারা লেবুর খোসা খাবেন না। যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস আছে তারা লেবুর রসের সাথে লবণ এবং চিনি মিশিয়ে খাবেন না। যাদের শরীরে স্বাস্থ্য বেশি তারা লেবুর শরবতে চিনি মিশাবেন না। যদি কারো লেবুর শরবত খেলে শরীরে সমস্যা হয় বা যারা রোগী তাদের সমস্যা হলে লেবু খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কোনো অবস্থাতেই শুধু লেবুর রস খাবেন না বা শরীরে কোনো অংশে লাগাবেন না। বেশি সময় লেবু কেটে রাখবেন না। তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র:দৈনিক সংগ্রাম

bangla.bdnews24.com



মেথির ব্যবহার


মেথির ব্যবহার :

মেথির সহজ ব্যবহার
মেথি একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয় । ইউনানী , কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার হয় । মেথি বীজ মসলা (পাঁচ ফোড়ন) হিসাবে এটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় । আমরা এটা প্রতিনিয়ত খাদ্যের সাথে খেয়ে থাকি । অনেকেই খাদ্যে পাচঁ ফোড়ঁন ব্যবহার করেন । ভেষজ ঔষধ হিসাবে আমরা মেথি ব্যবহার করতে পারি মেথির ঔষধি গুণ অনেক ।

Lights

ছবি: মেথি শাক

মেথি সম্পর্কে বুনিয়াদি তথ্য-
ক) যে অংশ ব্যবহার করা হয়: বীজ ও পাতা
খ) কর্মশক্তি সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান : গরম ,উষ্ণ বীর্জ
গ) সংস্কৃত নাম : বহুপর্ণি
ঘ) সাধারণ নাম: মেথি, মেথিদানা, গ্রিক হে
ঙ) পারিবার : ফ্যারিয়েসি (মটরের পরিবার )
চ) পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০গ্রাম মেথিতে আছে ৩২৩ কিলো ক্যালোরি শক্তি ।

নিন্মে মেথির সচরাচর ব্যবহার দেওয়া হল:
১ ওজন কমাতে :
প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে জন্ম নেয় মেথি। এগুলো চিবিয়ে গিলে খাওয়া যায় এবং পাকস্থলীর ফাঁকা স্থান এরা পূর্ণ করে। এতে ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। খুব বেশি নয়, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সামান্য মেথি চিবিয়ে খান। এতেই স্পষ্ট বুঝবেন উপকার পাচ্ছেন। স্থূলতা কমাতে প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করতে পারেন। দুটি আলাদা গ্লাসে পানি নিয়ে প্রতিটিতে এক টেবিল চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এই পানি পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

২ জ্বর ও খুসখুসে গলার জন্য :
লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে এক টেবিল চামচ মেথি চিবিয়ে খেলে জ্বর থেকে মুক্তি মেলে। আবার এতে রয়েছে মুসিলেজ নামের এক ধরনের যৌগ, যা গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। নারীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়েও এর উপকারিতা রয়েছে। মেথিতে রয়েছে সাইটো-ইস্ট্রোজেন, যা নারীদেহে প্রোলাকটিন নামের হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়। এই হরমোন নারীদেহকে সুগঠিত করে। এ ছাড়া ঋতুকালীন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় মেথি।

৩ চুলপড়া রোধে:
স্বাস্থ্যহীন চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয় মেথি। চুল পড়া রোধে বহুকাল ধরে মেথির কদর চলে আসছে। এটি খেতেও পারেন, বা বেটে মাথায় দিতে পারেন। বিস্ময়কর উপকারিতা মিলবে। মেথি বাটা সারা রাত নারিকেল তেলের মধ্যে চুবিয়ে রেখে সকালে চুলে মাখুন। ঘণ্টাখানেক পর গোসল করে ফেলুন।

৪ হজমে সহায়ক:
বুকে বা পেটের ওপরের দিকে এসিডের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় মেথি। সেই সঙ্গে বদহজমের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ সবই দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বের করে দেয়। উপকার পেতে স্রেফ পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে খেলেই হবে। পানিটাও খেতে ভুলবেন না।

৫ রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
দেহে গ্লুকোজের মাত্রা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মেথি। এর অ্যামাইনো এসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন ক্ষরণে সহায়তা করে। এতে দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। (তবে ডায়াবেটিকস রোগীরা খাদ্যের সাথে যে পরিমান খাবেন এটাই স্বাভাবিক অতিরিক্ত ঔষধ হিসাবে খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।)

৬.ত্বকের উজ্জ্বলতায় :
রূপচর্চায়ও মেথিকে শীর্ষে রাখা যায়। সারা দেহে বয়ে বেড়ানো নানা ক্ষতিকর উপাদান চেহারায় বলিরেখা ফেলে দেয়। এ ছাড়া চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সৃষ্টিতেও ওস্তাদ এগুলো। মেথি দেহের সব অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঝেঁটিয়ে বিদায় করে।

৭ খুশকি দূর করতে:
বিশেষ ধরনের চুলে প্রচুর খুশকির উৎপাত ঘটে। মাথার শুষ্ক ও মৃত ত্বক থেকে খুশকি হয়। গোটা রাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে তা বেটে পেস্ট তৈরি করুন। এতে ইচ্ছে হলে দই মেশাতে পারেন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগান। মিনিট তিরিশেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।

Lights

ছবি: মেথি দানা

৮.সন্তান জন্মদানকে কিছুটা সহজ করতে:
( এক্ষেত্রে ডা, এর পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিৎ )

৯. বুকের দুধ তৈরিতে:
বাচ্চা জন্ম দেয়ার কিছু পরে মেথির ক্যাপসুল বা মেথির চা খেলে স্তনপান করানো নারীদের দুধের উৎপাদন বাড়ে। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার এক বা দুই দিন পরে মেথি খেলে দুধের পরিমান বাড়ে। কিন্তু সব গবেষণায় এ রকমটা দেখা যায় না।

১০. পুরুষের বন্ধ্যাত্ব :
প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে মেথির তেল দৈনিক তিনবার করে ৪ মাস খেলে বীর্যের সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু মেথির বিঁচির অন্য অংশ খেলে এমন ফলাফল পাওয়া যায় না। মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

১১. ব্রণ রোধে :
মেথি বীজ ব্রণের বিস্তারকে প্রতিরোধ করে । ত্বকের এপিডারমিস স্তরে জড়ো হওয়া বিষাক্ত উপাদানকে বের করে দেয় । এছাড়া ও ব্রণের দাগকে হলকা করতে এবং পোড়াদাগ দূর করতেও মেথি বীজ ব্যবহার করা হয় । মেথি বীজ পেস্ট করে তার সাথে মধু যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন । এই পেস্ট মুখের ব্রণের উপর লাগিয়ে সারারাত রাখুন এবং সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । কয়েক দিন লাগালে পার্থক্য দেখতে পাবেন ।

১২ কৃমি রোধ:-
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকাল বেলা পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে । রোগ জীবাণু মধ্যে বিশেষত উল্লেখযোগ্য হল কৃমি ।

বিদ্র:- তবে মেথি অতিরিক্ত মাএায় সেবনে উষ্ণ প্রকৃতির লোকের জন্য ক্ষতিকর। মেথি অনেক মাএায় সেবন নিষেধ। মেথি দৈনিক ৫ থেকে ১০গ্রাম পর্যন্ত সেবন করা যায়।

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

সূফিবাদ


Bootstrap Example

সুফিবাদের উৎপত্তি

প্রশ্নঃসূফিবাদ কি? সুফিবাদের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা কর। সূফিবাদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ

আল্লাহের নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য দীন হল ইসলাম।আল্লাহতা’য়ালা মানব জীবনের সকল কর্মকাণ্ড সমূহ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)এর মাধ্যমে এ জীবন বিধান পেশ করেছেন।ইসলাম ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,ইহলৌকিক ও পারলৌকিক প্রভৃতি বিষয় ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকে।মানব জীবনের প্রতিটি প্রতিদিকে দুটি স্তর রয়েছে যার একটি হল বাহ্যিক(বস্তুগত) দিক আরেকটি হল আভ্যন্তরীন (আধ্যাত্মিক) দিক।ইসলাম মানুষের দুটি দিক নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে।মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত এ শুধু তার দেহের জন্য করে নাই বরং তার একটি বাতিনী দিক আছে যা হল আত্মা।আত্মার শান্তির জন্য মানবতা যুগে যুগে জড়বাদ,বস্তুবাদের আবর্তে ঘুরছে।কিন্তু প্রকৃত শান্তি তারা খুজে পায় নাই।তাই কবি শেখ সাদী (র.)বলেন, “এই সমুদ্রে হাজার কিশতী ডুবে গেছে;কিন্তু একটিও ভেসে উঠে নদীর তীরে পৌছে নাই”।

জড়বাদ মানুষের যে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে তা বুদ্বিবাদ তা পূর্ণ করতে পারে নাই আর তার শূন্যতা পূরণ করেছে ইসলামের আধ্যাত্মিকতা।আর ইসলামের এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নাম হল সূফীবাদ।মানুষের জীবন আত্মা এবং দেহের সমন্বয় গঠিত।যে জ্ঞানের সাহায্যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা যায় তাই হল তাসাউফ। সূফি শব্দের উৎপত্তি

সূফি শব্দটি কোন শব্দ হতে এসেছে সে ব্যাপারে মুসলিম পণ্ডিতদের ভিতর বেশ কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়।সেগুলো নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলঃ

প্রথম মতামতঃ
ইবনে খালিদুন,ড. এ.ই আফিফী,আল-কালবাদী,আর-রুদবারী,আবূ নসর আস-সাররাজ প্রমুখ পণ্ডিতগণের মতে,সূফী শব্দটি সূফূন হতে নির্গত যাত অর্থ হল পশম।পশমী বস্ত্র সরলতা ও আড়ম্বহীনতার প্রতীক।হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) ও তার সাহাবাগণ বিলাসী জীবন-যাপনের পরিবর্তে সাদা-সিদে পোশাক পরতেন এবং পরবর্তীতে সূফীগণ সাদাসিধা জীবন-যাপনের জন্য এই পোশাল গ্রহণ করে কম্বল-সম্বল করে চলেন বলে তাদেরকে সূফী বলা হয়।

দ্বিতীয় মতামত,
কারো মতে সূফী কথাটি সফফুন হতে নির্গত যার অর্থ হল কাতার,শ্রেণী,লাইন ইত্যাদি।যেহেতু সে মর্যাদার দিক দিয়ে প্রথম শ্রেণীর লোক।এজন্য তাদের সূফী বলা হয়।

তৃতীয় মতামত,
আলী হাজাবিরী,মোল্লা জামী (র।) এর মতে, সূফী কথাটি সাফা হতে নির্গত যার অর্থ হল পবিত্রতা,আত্মশুদ্বি ও স্বচ্ছলতা।যারা আত্মার পবিত্রকরণ সাধনায় নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে সূফী বলা হয়।

চতুর্থ মতামত,
কিছু পাশ্চত্যের পণ্ডিত বলেছেন যে সূফী কথাটি সোফিয়া বা সোফিস্ট কথা হতে নির্গত হয়েছে যার অর্থ হল জ্ঞান।কিছু মানুষ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী বলে তাদেরকে সূফী বলা হয় আর এ শাস্ত্রকে তাসাউফ বলা হয়।
তবে শেষোক্ত মতামত একেবারে অগ্রহণযোগ্য।কারণ বিদেশি কোন শব্দ হতে ইসলামের কোন একটি বিষয় নির্গত হবে তা হতে পারে না। অন্যদিকে প্রথম তিনটি মতামতের ভিত্তিতে যে সূফী শব্দটি এসেছে তাও অনেকে মানতে নারাজ। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ আব্দুল মালেক ও মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ স্যারের “ইসলামে সূফী দর্শন” নামক প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে,

সূফী কথাটি যে সুফূন(পশম) হতে নির্গত তা গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ এর দ্বারা সূফীদের কেবল পোশাক-পরিচ্ছেদ ও অবয়বের কথা বলা হয়েছে।যেহেতু সূফিবাদ মানুষের বাতিনী দিকের পরিচায়ক তাই এই বাহ্যিক দিকের নির্দেশক পশম হতে সূফীর উৎপত্তি হয়েছে তা যুক্তিসঙ্গত নয়।আবার সাফা(পবিত্রতা) হতে যে সূফী কথাটি এসেছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ এটা হল সূফীদের জীবন-সাধনার একটি নির্দেশক মাত্র।আবার সফফুন হতে সূফী এসেছে এ কথাও বিশ্বাস করা যায় না কারণ তা একটি কাল্পনিক ধারনামাত্র। একমাত্র আহলে সূফফা(বারান্দার অধিবাসী) শব্দে সূফী তত্ত্বের ও সূফী জীবনের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন দিক পরিস্ফূট হয়ে উঠে।তারাই পশমী পোশাক সর্বদা পরিধান করতেন এবং সর্বদা আল্লাহের যিকিরে মশগুল থাকতেন।তারা আল্লাহের সম্মানে চাদরাবৃত।তারাই নবী করিম (সাঃ) এর সাহচর্যে থেকে সর্বদা আভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। কাজেই আহলে সুফফা হতে যে সূফী কথাটির উদ্ভব ঘটেছে তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। (সূত্রঃ ইসলাম ও আধ্যাত্মিকতাঃ১০৩)

সূফিবাদের পারিভাষিক সংজ্ঞা:
সূফীবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মুসলিম দার্শনিকবৃন্দ ও আধ্যাত্মিক সাধনায় সাধনাকারী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।তার ভিতর প্রধান প্রধান কয়েকটি সংজ্ঞা হল নিম্নরুপঃ

ইমাম শামী (র.) বলেন, “সূফীবাদ হল আধ্যত্মিক জ্ঞান যে জ্ঞানের সাহায্যে মানুষের সৎ গুণাবলীর প্রকারভেদ এবং তা অর্জনের পন্থা ও অসৎ গুণাবলীর প্রকারভেদ ও তা থেকে রক্ষার উপায় জানা যায়।”

জুনায়েদ বাগদাদী(রঃ) বলেছেন, “আত্মিক পবিত্রতা অর্জন ও আল্লাহ ছাড়া সবকিছু হতে প্রভাবমুক্ত হওয়ার নাম হল ”

যুন্নন মিসরীর মতে, “আল্লাহ ছাড়া আর যা কিছু আছে সবকিছু বর্জন করার নাম হল সূফীবাদ।”

ইমাম গাযযালী(র.)বলেন, “তাসাউফ এমন একটি বিদ্যা যা মানুষকে পশু হতে উন্নীত করে,মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত প্ররযায়ে পৌছিয়ে দেয়।” তিনি আরো বলেন, “সূফীবাদ হল মু’মিনদের অন্তরের জ্যোতি যা নবী করীম (সাঃ) এর প্রদীপ হতে গ্রহণ করা হয়েছে।”

বায়জীদ বোস্তামী (র.) বলেন, “আল্লাহের ইবাদতে মগ্ন থাকা ও আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে পার্থিব দুঃখ-কষ্ট বরণ করার নাম হল সূফীবাদ।”

শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া (র.) বলেন, “তাসাউফ মানুষের আত্মার বিশোধনের শিক্ষা দান করে।তার নৈতিক জীবনেকে উন্নীত করে এবং স্থায়ী নিয়ামতের আধিকারী করার উদ্দেশ্যে মানুষের ভেতরের ও বাইরের জীবনকে গড়ে তুলে। এর বিষয়বস্তু হল আত্মার পবিত্রতা ও লক্ষ্য হল চিরন্তন সুখ শান্তি অর্জন।”

আবূ মুহাম্মদ আয-যারিনি বলেছেন, “Sufism is the building up of good habits and freeing of heart from all evil desires.” তাহলে বলা যায় যে, নবী করিম (সাঃ) এর নির্দেশিত পথে আত্মশুদ্বি করে ইসলামের বাহ্য ও অন্তর জীবনের প্রেমপূর্ণ বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে পরম সত্তার পূর্ণ জ্ঞানার্জন ও তার নৈকট্য লাভজনিত রহস্যময় উপলব্ধিকে সূফীবাদ বলা হয়।

সূফিবাদের উৎপত্তি
সূফিবাদের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে পণ্ডিতদের ভিতর মতবিরোধ লক্ষ্য করা যায়।সূফীবাদ কথাটি মুসলমানদের ভিতর থেকে কিভাবে এসেছে সেসব মতামতসমূহ নিম্নঃরুপঃ
১. বেদান্ত ও বৌদ্ব দর্শনের প্রভাব
২. খ্রিষ্টনিয় ও নিও-প্লেটানিক প্রভাব
৩.পারসিক প্রভাব
৪.কুরআন হাদীসের প্রভাব

উপরের তিনটি মতবাদকে আভ্যন্তরীন মতবাদ বলা হয় আর শেষেরটিকে বাহ্যিক উৎস বলা হয়।এসকল মতবাদ নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলঃ
১. বেদান্ত ও বৌদ্ব দর্শনের প্রভাবঃ
পশ্চাত্যের কিছু চিন্তাবিদ তথা গোল্ডযিহার,এইচ মার্টেন এর মতে,সূফিবাদ বেদান্ত দর্ষন ও বৌদ্ব দর্শন হতে উদ্ভূত।কারণ,মুসলমানেরা যখন ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করে এরপর থেকে ভারতীয় সন্ন্যাসী ও বেদান্ত বৌদ্বদের প্রভাবে প্রভান্বিত হয়ে মুসলমানগণ কঠোর সংযম ও কৃচ্ছতা সাধনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলে।আর সে থেকে মুসলমানদের ভিতর সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে। পারতপক্ষে এ ধরনের মতামত ঐতিহাসিক দৃষ্টিভংগী অনুযায়ী সঠিক নয়।কারণ ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানেরা আসার অনেক আগে থেকে সুফিবাদ কথাটির উদ্ভব ঘটেছিল।হাসান বসরী,যুন্নুন মিসরী,আবুল হাশিম কূফী,ইব্রাহীম বিন আদহাম রাবিয়া বিসরী প্রমুখ সূফিদের আবির্ভাব ও সাধনা প্রমাণ করে যে,সূফিবাদ ভারতীয় আমদানি নয়,ইসলামের আধ্যাত্মিক শিক্ষার ফলে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে।তাছাড়া বৌদ্ব সন্যাসীগণ জাগতিক কার্যক্রমলে সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করে আর তার ধ্যান-সাধনার জন্য নির্জন জায়গা বেছে নিয়েছে।অন্যদিকে মুসলিম সূফী-সাধকগণ আল্লাহ পাকের ধ্যান করার সাথে সাথে সংসারও করে থাকেন। আবার বৌদ্ব ধর্মে নির্বাণ সত্তায় আত্মবিলোপ শেষ আর মুসলিম সূফিগণ ফানাকে শেষ স্তর বলে মনে করে না বরং তারা বাকাবিল্লাহকে সূফী-পথ পরিক্রমার সর্বশেষ স্তর মনে করে থাকে।সুতরাং,বৌদ্ব ও বেদান্ত হতে সূফিবাদের উৎপত্তি হয়েছে এ ধরনের মতবাদ সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন।

২.খ্রিষ্টিয় ও নিওপ্লেটিক মতবাদঃ
অধ্যাপক নিকলশন ও ভনক্রেমার এ মতামত ব্যক্ত করেছেন যে, মুসলমানদের ভিতর সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটেছে খ্রিষ্টিয় ও নিওপ্লেটিক মতবাদ হতে।তারা এ কথা অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলেছেন যে, যখন মুসলিমরা মিসর,সিরিয়া,প্যালাষ্টাইন প্রভৃতি দেশ জয় করতে থাকে সে অবস্থায় খ্রিষ্টীয় চিন্তা-দর্শন মুসলিম চিন্তা-দর্শনের ভিতর আবির্ভূত হয় এবং এরই প্রভাবে তপস্যা ও সংযমবাদের অনুপ্রবেশ সূফীদের ভিতর ঢুকে আর সেই থেকে সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটেছিল। নিকেলসন এ কথা অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলেছেন যে,সে সময় মুসলিম সম্রাজ্যের অনেক জায়গায় জাষ্টিয়ানদের আধিপাত্য ছিল আর সে থেকে সূফিবাদের উৎপত্তি হয়েছে।পারতপক্ষে এ ধরনের মতাবাদ সঠিক নয়।কারণ মুসলিম সূফি-সাধকগণ খ্রিষ্ট্রীয় সন্যাসীদের ন্যায় সংসার বিরাগী নয়।আর তাছাড়া মহানবী (সাঃ),সাহাবা ও তাবিঈদের সময় হতে এ ধরনের আধ্যাত্মিক সাধনায় মুসলমানেরা নিয়োজিত ছিল।তাই খ্রিষ্ট্রীয় ও নিউপ্লেটনিক মতবাদ হতে যে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটেছে এ ধরনের কথা সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক।

৩. পারসিক প্রভাবঃ
ঐতিহাসিক ব্রাউনি আর তার কিছু অনুসারীরা বলেছেন যে,সূফিবাদের উৎপত্তি ঘটেছে পারসিক প্রভাব হতে।তারা এ যুক্তি সকলের সামনে তুলে ধরেছে যে, পারসিক জাতি ছিল এক অহংকারী ও দম্ভ জাতি।কিন্তু তাদের উপর যখন আরবেরা জয় করল তখন হতে তাদের ভিতরে এক ধরনের হতাশা কাজ করতে শুরু করল।সেখান থেকে তারা আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত থাকের ব্যাপারে এক ভিন্ন চিন্তা-ধারা আবিষ্কার করে আর সেখান থেকে সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটে আর তারই ধারাবাহিকতায় পারস্যে অনেক দার্শনিক আবির্ভূত হয়।পারস্যের ভিতর যে ম্যানিকীয় ও ম্যাজদেকীয় ধর্মের অস্তিত্ব ভিতর সূফিবাদের কৃচ্ছতাপূর্ণ জীবন-যাপনের উপকরণ খুজে পাওয়া যায়। পারতপক্ষে এ ধরনের কথাও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।কারন বেশিরভাগ সূফী পারস্যের হলেও তার মানে এ বুঝায় না যে, সূফিবাদ পারস্য হতে এসেছে।কারন আবূ বকর ইবনুল আরাবী ও ইবনুল ফরিদসহ অনেক দার্শনিক আরবীভাষী ছিলেন। আর আমাদের প্রিয়নবী (সাঃ),সাহাবীগণ ও তাবিঈগণের সময় হতে এক ধরনের তাপস্যা শুরু হয় এবং তারা বিদেশী ধ্যান-ধারনা থেকে সম্পূর্ণমুক্ত ছিলেন।।

৪.কুরআন ও হাদীসের প্রভাবঃ
সূফিবাদ যে কোন বাইরের চিন্তা-দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয় নাই তা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।ইসলামী আধ্যাত্মিক শিক্ষার মূল উৎস হল আল-কুরআন।যদিও কুরআন ও হাদীসে সূফিবাদ শব্দটি সরাসরি ব্যবহার করা হয় নাই তবুও কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও রাসূল(সাঃ) এর অসংখ্য হাদীসের দ্বারা সূফিবাদ তথা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দিকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।ইবনে খালিদুন অত্যন্ত জোড় গলায় বলেছেন যে, সূফিবাদ এমন এক ধর্মীয় বিজ্ঞান যার উৎপত্তি খোদ ইসলাম হতে হয়েছে”। কুরআনের অসংখ্য আয়াত রয়েছে যার দ্বারা মরমীধারাকে ইসলাম বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছে।সেখান হতে কিছু আয়াত নীচে উল্লেখ করা হলঃ

“তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে।”[বাকারাঃ২৫৫]

“তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক”[হাদীদঃ৪]

“তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।” [হাদীদঃ৩]

“আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।” [ক্বাফঃ১৬]

“সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো”। [বাকারাঃ১৫২]

“যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।” [আ্নকাবূতঃ৬৯]

“তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে,” [বাইয়েনাহঃ৫]

হাদীসের দ্বারা তাসাইফের কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।একবার রাসূলে করীম (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ইহসান কি? তিনি উত্তরে বলেছিলেন,“ইহসান হল এ বিষয় যে,তুমি যখন নামায পড়বে তখন তুমি এ মনে করবে যে আল্লাহকে তুমি দেখছ আর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই মনে করবে যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন”।

হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি নিজেকে চিনল,সে আল্লাহকে চিনল”। হাদীসে কুদসীতে আরও এসেছে যে, আল্লাহ বলেন, “যখন আমি আমার কোন বান্দাকে ভালবাসি তখন আমি তার ধ্যান-অনুধ্যানে ও কাজে কর্মে নিকটবর্তী হই। আমি তার চোখ হই যা দিয়ে সে দেখে,আমি তার কান হই যা দিয়ে সে শুনতে পায়,আমি তার হাত হই যার সাহায্যে বিভিন্ন জিনিস ধরে।”

অর্থাৎ,কুরআনে অসঅংখ্য আয়াত ও হাদীসের দ্বারা এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে সূফিবাদ কুরআন-হাদীস হতে নিঃস্বরিত এক ধরনের বাতিনী জ্ঞান।এ ছাড়াও আমরা এ বিষয়টি লক্ষ্য করে দেখতে পাই যে, নবী করিম (সাঃ) হেরা গুহায় গভীর ধ্যানে নিমজ্জিত থাকতেন যার দ্বারা বুঝা যায় যে তিনি আধ্যাত্মিক জীবন সাধনায় প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতেন। নবী করীম (সাঃ) এর জীবদ্দশায় আহলে সুফফার কিছু লোক আল্লাহ পাকের ধ্যান সাধনায় এমন সময় ব্যয় করেছেন যার দ্বারা ধারনা করা হয় যে সূফিবাদ কথাটির উৎপত্তি ঘটেছে। অতঃপর খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় হযরত আবূ বকর(রাঃ),উমার(রাঃ),উসমান(রাঃ) ও আলী(রাঃ) প্রত্যেকে তারা শাসনকার্য পরিচালনার পাশাপাশি অসংখ্য ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্যস্ত থাকতেন। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, “ আলী(রাঃ) এর মৃত্যুর সাথে খিলাফত ধংসব হতে থাকে আর দামেস্কে যে বর্বরোচিত অত্যাচার শুরু হতে থাকে সেখান থেকে কিছু মানুষ একান্তে ইবাদত বন্দেগী করতে বাধ্য আর সেখান থেকে অতীন্দ্রয়বাদ স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হতে থাকে”।

কুরআন ও হাদীসে সূফিবাদকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে।তা হল ইলমে বাতিনী,ইলমে লাদুন্নী,ইলমে ইলমে তরীকত,ইলমে মারিফত ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছে। সে সময় হতে হাসান বসরীসহ প্রমুখ তাবিয়ীর মাধ্যমে মরমীবাদ প্রকাশ হতে থাকে।উমাইয়্যা খিলাফত আমলে মানুষের বাহ্যিক চিন্তা-চেতনার এতটা বিকাশ ঘটে নাই যতটা বিকাশ ঘটেছিল আব্বাসীয়দের আমলে।সে সময় সূফিবাদের একটি চূড়ান্তরুপ লাভ করে।সে অর্থাত,হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদ নামে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী মরমীধারার উদ্ভব ঘটে।সে সময় যেসমস্ত কারনে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে তার প্রধান প্রধান কারনসমূহ নিম্নরুপঃ

(১)খলিফা হারুন-উর-রশিদের ইন্তেকালের পর তার দুই পুত্র আমীন ও মামুনের ভিতর যখন মতবিরোধ দেখা দেয় তখন এক বীভীষীকাময় রাজনোইতিক অবস্থা বিরাজমান ছিল।অন্যদিকে ইসমাইলীয়া,বাতিনিয়া ও কারামাতিয়া প্রভৃতি সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ ধর্মের নামে অভীষ্ট রাজনীতির প্রচারণা চালাতে থাকে।এমতাবস্থায় কিছু লোকজন রাজনীতি থেকে কিছু মানুষ ইবাদতে ধ্যান-মগ্নে থাকার প্র্যাস পান এববগ এর ভিতর শান্তি তারা খুজে পেয়েছিল।

(২)আব্বাসীয়দের খিলাফতামালে মুতাযিলা সম্প্রদায়ের চিন্তা-চেতনার আবির্ভাব ঘটেছিল সেখানে মানুষের ভিতর এক ধরনের সংশায়াত্মক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল আর মুতাযিলাদের সাথে অন্যান্য গোষ্ঠির ভিতর যে দ্বন্দ্বের আবির্ভাব হয়েছিল তা থেকে পরিত্রানের জন্য কিছু লোক আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে শান্তি খুজে পাওয়ার প্রয়াস খুজে পেয়েছিল।

(৩)হানাফী,শাফিয়ী,মালিকি ও হাম্বলী মাযহাব যে আবেগ বর্জিত পরহেজগারিতা নিয়ে এসেছিল সে অবস্থায় সম্পূর্ণ আবেগধর্মী অবস্থার দিকে এক দল মানুষ ধাবিত হচ্ছিল। তাহলে আমরা বলতে পারি যে,তাসাইফের উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে বাহিরের কোন চিন্তা-ধারনা থেকে নয় বরং কুরআন-হাদীস ও মুসলমানদের নিজস্ব চিন্তা-ধারাকে কেন্দ্র করে হয়েছে।মহানবী(সাঃ) এর জীবদ্দশায় এর উৎপত্তি ঘটেছিল যা

সুফিবাদের ক্রমবিকাশঃ

প্রকৃতপক্ষে সূফিবাদের আবির্ভাব মুহাম্মদ(সাঃ) এর সময় হতে শুরু হয়।অতঃপর যাকে সর্বপ্রথম মুসলিম সূফী হিসেবে চিহ্নতি করা হয় সে হল হযরত হাসান বিসরি(র.) তার জ্ঞানতত্ত্বের আলোকে সূফী-সাধকগণ সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তার ভিতর মরমী ও দার্শনিক চিন্তা-ধারার এক অপূর্ব মিলন ঘটেছিল।এছাড়াও সর্বপ্রথম সূফী হিসেবে যার নাম স্বীকৃতি দেওয়া হয় সে হল আবয় হাশিম কূফী।কেউ কেউ আবার জাবির বিন হাইয়্যানকে প্রথম সূফী হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।এরপর হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্বি পেতে থাকে।এ সময়ের উল্লেখযোগ্য সূফীগণ হলেন ইব্রাহীম বিন আদহাম,রাবিয়া বসরী,দাউদ আত-তায়ী ও ফুযায়ল বিন হাইয়ায প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।তাদের কার্যকলাপ ও বাণী থেকে আস্তে আস্তে কৃচ্ছতা জীবনে উদ্ভব ঘটতে থাকে। এরপরে সূফিবাদের ক্রমবিকাশে যুন্নুন মিসরীর ভূমিকা ছিল ব্যাপক।তিনি ইসলামী মরমীবাদকে স্তভ হিসেবে স্থাপিত করেছিল।তাই তাকে সূফিবাদের সর্বপ্রথম ব্যাখ্যাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।তিনি হাল ও মাকাম সম্পর্কে সূফী-সংক্রান্ত সূত্র প্রদান করেন।অতঃপর যুনায়েদ বাগদাদী যুন্নুন মিসরীর ধারনাকে আরো উন্নতি ও সুসংবদ্ব করেন।

কালক্রমে সূফিবাদের ভিতর সর্বেশ্ববাদের ধ্যান-ধারনা যুক্ত হতে থাকে।এ ধরনের মতাবাদের মূল প্রবক্তা ছিলেন বায়জীদ বোস্তামী ও মানসুর হাল্লাজ।তবে মানসুর হাল্লাজের বক্তব্য কিছুটা বিতর্কিত ছিল যে জন্য তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।অতঃপ্অর ইমামা আল গাযযালী এর সময় থেকে গোড়া সুন্নিবাদী মতবাদ সূফিবাদের ভিতরে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেয়।তিনি গোড়া ইসলাম ও সূফিবাদের ভিতর একটি সুন্দর মিল তৈরী করেন।।তার সময় অনেল সূফীর আগমন হয় যার মধ্যে আব্দুল কাদির জিলানী,ফরিদ উদ্দিন আত্তার,আল-কুশাউরী,শিহাবুদ্দিন সোহয়ার্দীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সপ্তম হিজরীতে স্পেনে ইবনুল আরাবী সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তিনি সর্বেশ্বরবাদের প্রচলন করেন।তার তার প্রতিষ্ঠিত মতবাদের নাম ছিল “ওয়াহাদুল অজুদ”।তার এই মরমী ধারার ক্রমবিকাশে সাহায্য করেছিলেন জালালুদ্দিন রুমি (র.)।তার মসনবী শরীফ পৃথিবীর ইতিহাস এক অমূল্য গ্রন্থ হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে।ইবনুল আরাবীর এই মতবাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রুকুনুদ্দিন আলাউদ্দৌলা একটি পৃথক মতবাদ গঠন করেন যা শুহুদিয়া নামে পরিচিত।তার এই সম্প্রদায়কে বাহাউদ্দীন বিশেষভাবে সমর্থন দিয়েছেন এবং হিজরী একাদশ শতাব্দীতে এ মতবাদটি ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে রাখে। পরবর্তীতে সূফী-সাধকদের ভিতর কাশানী,আলজিলি এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।অতঃপর ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক সূফীর আবির্ভাব ঘটে যাদের ভিতর খাজা মইনুদ্দিন চিশতী,বাহাউদ্দিন,শিহাবুদ্দিন,মুজ্জাদিদ আলফে সানীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।বিশেষ করে আলফে সানী সূফিবাদকে ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন করে উজ্জীবিত করেন।তিনি প্রকৃতপক্ষে এ শুহুদিয়া সম্প্রদায়কে বিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।অতঃপর ১৮৩৭ সালে মুহাম্মদ বিন আলী ১৮৩৭ সালে আলজেরিয়াতে একটি পৃথক সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে সূফিবাদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় ক্রমবিকাশ হতে থাকে।

সূফীবাদের স্তর পরিক্রমা

ক) শরীয়তঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যাবতীয় বিধানকে শরীয়ত বলা হয়। সর্বপ্রথম শরীয়তের পূর্ণ অনুসারী হতে হয়। শরীয়তের যাবতীয় বিধানের মধ্য দিয়ে সুফী তার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর অনুগত করেন। শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ ব্যতীত কেউ সুফী হতে পারবে না। সুফীরা এ কথাটি জোর দিয়ে বললেও তাদের আচার-আচরণ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ অনেক সুফীকেই দেখা যায় তারা মারেফতের দোহাই দিয়ে শরীয়তের বিধান মানতে আদৌ প্রস্তুত নন।

খ) তরীকতঃ সুফীদের পরিভাষায় তরীকত হচ্ছে; শরীয়তের যাবতীয় বিধান অনুশীলনের পর তাকে আধ্যাত্মিক গুরুর শরণাপন্ন হতে হবে। এ পর্যায়ে তাকে বিনা প্রশ্নে গুরুর আনুগত্য করতে হবে।

গ) মারেফতঃ সুফীদের পরিভাষায় মারেফত হচ্ছে, এমন এক স্তর যার মধ্যে বান্দাহ উপনীত হলে সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে। এ স্তরে পৌঁছতে পারলে তার অন্তর আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। তখন তিনি সকল বস্তুর আসল তত্ত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করেন। মানব জীবন ও সৃষ্টি জীবনের গুপ্ত রহস্য তার নিকট সপষ্ট হয়ে ভেসে ওঠে।

ঘ) হাকিকতঃ সুফীদের ধারণায় তাদের কেউ এ স্তরে পৌঁছতে পারলে আন্তরিকভাবে আল্লাহর প্রেমের স্বাদ ও পরমাত্মার সাথে তার যোগাযোগ হয়। এটা হচ্ছে সুফী সাধনার চুড়ান্ত স্তর। এ স্তরে উন্নীত হলে সুফী ধ্যানের মাধ্যমে নিজস্ব অস্তিত্ব আল্লাহর নিকট বিলীন করে দেন। উপরোক্ত নিয়মে ভক্তদের নামকরণ করা ও স্তরভেদ করা একটি বানোয়াট পদ্ধতি। ইসলামের প্রথম যুগে এগুলোর কোন অস্থিত্ব ছিল না। পরবর্তীতে সুফীরা এগুলো নিজের খেয়াল খুশী মত তৈরী করেছে।

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

ভূগোল ১ম পত্র


প্রথম অধ্যায় (প্রাকৃতিক ভূগোল )

১। বিপ্লব স্যার ভূগোল ক্লাসে পড়াতে গিয়ে বললেন , মানুয়ের জীবনের সাথে ভূগোলের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত । পৃথিবীকে জানতে হলে ভূগোল পাঠ প্রয়োজন । প্রতিনিয়ত ভূগোল সম্পর্কে মানুষের ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে । বর্তমানে ভূগোলশাস্ত্রের পরিধি ও গুরুত্ব ব্যাপক ।
ক.ভূগোল কাকে বলে ?
খ. প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখা পৃথিবীর অভ্যন্তরীন অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে --ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকের উল্লিখিত বিষয় পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর ।
ঘ. পৃথিবীকে জানতে হলে ভূগোল পাঠের প্রয়োজন --উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষন কর ।

২। তারেক স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বললেন , ভূমিরূপবিদ্যা , সমুদ্রবিদ্যা জলবায়ুবিদ্যা সম্পর্কে সকলের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন । আলোচনা থেকে ছাত্র ছাত্রী উপলব্ধি করল এ বিষয়গুলো জানরেত হলে প্রাকৃতিক ভূগোল পাঠ অতি প্রয়োজন ।
ক .প্রাকৃতিক ভূগোল কাকে বলে ?
খ. বৃষ্টিপাতের কারণ প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখায় আলোচনা করা হয় ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয় ছাড়াও প্রাকৃতিক ভূগোল পাঠে আরও যা জানা যায় তা ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়গুলোর সাথে প্রকৃতিক ভূগোলের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর ।

বহুর্নিবাচনি প্রশ্ন অধ্যায় ভিক্তিক -- প্রথম অধ্যায় (প্রাকৃতিক ভূগোল )


১। জিও শব্দের অর্থ কী ?
পৃথিবী খ বর্ণনা
গ ভূগোল ঘ বায়ূমন্ডল

২। জিওগ্রাফী শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ?
ক.রিচার্ড হার্টসোল খ ই এ ম্যাকনি
গ. ইরাটসথেনিস ঘ . ডাডলি স্ট্যাম্প

৩। প্রাকৃতিক ভূগোলের বৈশিষ্ট্য হলো --
ক.পরির্বতনশীলতা খ অপরির্বতনশীলতা
গ.প্রাণি সম্পর্কে আলোচনা করা ঘ. বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান

৪। প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো পৃথিবীর
ক .নগর ও বসতি সম্পর্কে জানা খ . প্রাকৃতিক অবয়ব অধ্যয়ন করা
গ.জনসংখ্যা বয়স কাঠামো জানা ঘ.প্রাকৃতিক অবয়ব গঠন ও পরির্বতন প্রক্রিয়া জানা

৫। নিচের কোনটি অশ্বমন্ডলের অর্ন্তভূক্ত ?
ক.শিলা ও খনিজ খ . বায়ূর উপাদান
গ. সমুদ্রস্রোত ঘ. মহীসোপান

৬। ভূপৃষ্ঠের শতকারা কত ভাগ পানি ?
খ. ৬৯ ভাগ খ . ৭২ ভাগ
গ.৭৩ ভাগ ঘ . ৭৪ ভাগ

৭। প্রাকৃতিক ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় কোনটি ?
ক.মৃত্তিকা বিশ্লেষণ খ মহাকাশ গবেষণা
গ.জীবের উৎপত্তি ঘ. বায়ূমন্ডলীয়স তাৎপর্য
৮। কোনটি প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্তর্গত ?
ক. জনসংখ্যা খ. পরিবার
গ. বায়ূ প্রবাহ ঘ. সমুদ্র স্রোত
বহুনির্বাচনী নমুনা
প্রথম অধ্যায় : প্রাকৃতিক ভূগোল
৯। পরিমণ্ডল ও বায়ুমণ্ডল উভয়ই কোথায় অবস্থিত?
ক. পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডলে খ. পৃথিবীর পুরুমণ্ডলে
গ. পৃথিবীর উপরিভাগে ঘ. মহাশূন্যে

১০। পৃথিবীর ভূমিরূপকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ

১১। পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা কতভাগ পানি?
ক. ৫০ খ. ৬০
গ. ৭১ ঘ. ৮০
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিক্ষক একাদশ শ্রেণিতে ভূগোল ক্লাসে বললেন পৃথিবী বিভিন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে অর্থাৎ পৃথিবীর জলভাগ, স্থলভাগ ও বায়ুমণ্ডলের উৎপত্তি হয়েছে।

১২। উদ্দীপকের বিষয়গুলো কোন ভূগোলে আলোচনা করা হয়?
ক. গাণিতিক ভূগোলে খ. মানব ভূগোলে
গ. প্রাকৃতিক ভূগোলে ঘ. জ্যোতিবিদ্যা ভূগোলে

১৩। পৃথিবী বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে-
i. তরল অবস্থার মধ্য দিয়ে
ii. কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে
iii. বাষ্পীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii

১৪। ভূগোলবিদরা প্রাকৃতিক ভূগোল সম্পর্কে-
i. গবেষণা করেন
ii. জ্ঞানার্জন করতে পারেন
iii. পর্যালোচনা করেন
কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii

১৫। অভ্যন্তরীণ পানির প্রধান উৎস কী?
ক. নদী খ. পুকুর
গ. সমুদ্র ঘ. মহাসাগর

১৬। কিসের ওপর নির্ভর করে কৃষিকাজ গড়ে ওঠে?
ক. বায়ুর ওপর খ. পানির ওপর
গ. খনিজের ওপর ঘ. মৃত্তিকার ওপর

১৭। শিলার একটি বিশেষ রূপ কী?
ক. বায়ু খ. মৃত্তিকা
গ. পানি ঘ. খনিজ
উত্তর:খ. মৃত্তিকা
১৮। আবহাওয়ার দীর্ঘ সময়ের গড় ফলকে কী বলে?
ক. জলবায়ু খ. বায়ুমণ্ডল
গ. তাপমাত্রা ঘ. বায়ুপ্রবাহ
উত্তর;ক. জলবায়ু
১৯। জলবায়ুবিদ্যায় আলোচনা করা হয়-
i. জলবায়ুর উপাদান
ii. বায়ুমণ্ডলের উপাদান
iii. জলবায়ুর নিয়ামক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর:খ. i ও iii



“If you think you are too small to make a difference, try sleeping with a mosquito.”
– Dalai Lama

John Doe

A leader is one who knows the way, goes the way, and shows the way.
--John C. Maxwell

John Doe