মেথির ব্যবহার :
মেথির সহজ ব্যবহার
মেথি একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয় । ইউনানী , কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার হয় । মেথি বীজ মসলা (পাঁচ ফোড়ন) হিসাবে এটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় । আমরা এটা প্রতিনিয়ত খাদ্যের সাথে খেয়ে থাকি । অনেকেই খাদ্যে পাচঁ ফোড়ঁন ব্যবহার করেন । ভেষজ ঔষধ হিসাবে আমরা মেথি ব্যবহার করতে পারি মেথির ঔষধি গুণ অনেক ।
মেথি সম্পর্কে বুনিয়াদি তথ্য-
ক) যে অংশ ব্যবহার করা হয়: বীজ ও পাতা
খ) কর্মশক্তি সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান : গরম ,উষ্ণ বীর্জ
গ) সংস্কৃত নাম : বহুপর্ণি
ঘ) সাধারণ নাম: মেথি, মেথিদানা, গ্রিক হে
ঙ) পারিবার : ফ্যারিয়েসি (মটরের পরিবার )
চ) পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০গ্রাম মেথিতে আছে ৩২৩ কিলো ক্যালোরি শক্তি ।
নিন্মে মেথির সচরাচর ব্যবহার দেওয়া হল:
মেথি একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয় । ইউনানী , কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার হয় । মেথি বীজ মসলা (পাঁচ ফোড়ন) হিসাবে এটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় । আমরা এটা প্রতিনিয়ত খাদ্যের সাথে খেয়ে থাকি । অনেকেই খাদ্যে পাচঁ ফোড়ঁন ব্যবহার করেন । ভেষজ ঔষধ হিসাবে আমরা মেথি ব্যবহার করতে পারি মেথির ঔষধি গুণ অনেক ।
ছবি: মেথি শাক
ক) যে অংশ ব্যবহার করা হয়: বীজ ও পাতা
খ) কর্মশক্তি সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান : গরম ,উষ্ণ বীর্জ
গ) সংস্কৃত নাম : বহুপর্ণি
ঘ) সাধারণ নাম: মেথি, মেথিদানা, গ্রিক হে
ঙ) পারিবার : ফ্যারিয়েসি (মটরের পরিবার )
চ) পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০গ্রাম মেথিতে আছে ৩২৩ কিলো ক্যালোরি শক্তি ।
নিন্মে মেথির সচরাচর ব্যবহার দেওয়া হল:
১ ওজন কমাতে :
প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে জন্ম নেয় মেথি। এগুলো চিবিয়ে গিলে খাওয়া যায় এবং পাকস্থলীর ফাঁকা স্থান এরা পূর্ণ করে। এতে ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। খুব বেশি নয়, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সামান্য মেথি চিবিয়ে খান। এতেই স্পষ্ট বুঝবেন উপকার পাচ্ছেন। স্থূলতা কমাতে প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করতে পারেন। দুটি আলাদা গ্লাসে পানি নিয়ে প্রতিটিতে এক টেবিল চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এই পানি পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করে। ২ জ্বর ও খুসখুসে গলার জন্য :
লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে এক টেবিল চামচ মেথি চিবিয়ে খেলে জ্বর থেকে মুক্তি মেলে। আবার এতে রয়েছে মুসিলেজ নামের এক ধরনের যৌগ, যা গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। নারীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়েও এর উপকারিতা রয়েছে। মেথিতে রয়েছে সাইটো-ইস্ট্রোজেন, যা নারীদেহে প্রোলাকটিন নামের হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়। এই হরমোন নারীদেহকে সুগঠিত করে। এ ছাড়া ঋতুকালীন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় মেথি। ৩ চুলপড়া রোধে:
স্বাস্থ্যহীন চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয় মেথি। চুল পড়া রোধে বহুকাল ধরে মেথির কদর চলে আসছে। এটি খেতেও পারেন, বা বেটে মাথায় দিতে পারেন। বিস্ময়কর উপকারিতা মিলবে। মেথি বাটা সারা রাত নারিকেল তেলের মধ্যে চুবিয়ে রেখে সকালে চুলে মাখুন। ঘণ্টাখানেক পর গোসল করে ফেলুন। ৪ হজমে সহায়ক:
বুকে বা পেটের ওপরের দিকে এসিডের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় মেথি। সেই সঙ্গে বদহজমের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ সবই দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বের করে দেয়। উপকার পেতে স্রেফ পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে খেলেই হবে। পানিটাও খেতে ভুলবেন না। ৫ রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
দেহে গ্লুকোজের মাত্রা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মেথি। এর অ্যামাইনো এসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন ক্ষরণে সহায়তা করে। এতে দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। (তবে ডায়াবেটিকস রোগীরা খাদ্যের সাথে যে পরিমান খাবেন এটাই স্বাভাবিক অতিরিক্ত ঔষধ হিসাবে খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।) ৬.ত্বকের উজ্জ্বলতায় :
রূপচর্চায়ও মেথিকে শীর্ষে রাখা যায়। সারা দেহে বয়ে বেড়ানো নানা ক্ষতিকর উপাদান চেহারায় বলিরেখা ফেলে দেয়। এ ছাড়া চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সৃষ্টিতেও ওস্তাদ এগুলো। মেথি দেহের সব অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঝেঁটিয়ে বিদায় করে।
৭ খুশকি দূর করতে:
বিশেষ ধরনের চুলে প্রচুর খুশকির উৎপাত ঘটে। মাথার শুষ্ক ও মৃত ত্বক থেকে খুশকি হয়। গোটা রাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে তা বেটে পেস্ট তৈরি করুন। এতে ইচ্ছে হলে দই মেশাতে পারেন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগান। মিনিট তিরিশেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।ছবি: মেথি দানা
৮.সন্তান জন্মদানকে কিছুটা সহজ করতে:
( এক্ষেত্রে ডা, এর পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিৎ ) ৯. বুকের দুধ তৈরিতে:
বাচ্চা জন্ম দেয়ার কিছু পরে মেথির ক্যাপসুল বা মেথির চা খেলে স্তনপান করানো নারীদের দুধের উৎপাদন বাড়ে। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার এক বা দুই দিন পরে মেথি খেলে দুধের পরিমান বাড়ে। কিন্তু সব গবেষণায় এ রকমটা দেখা যায় না। ১০. পুরুষের বন্ধ্যাত্ব :
প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে মেথির তেল দৈনিক তিনবার করে ৪ মাস খেলে বীর্যের সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু মেথির বিঁচির অন্য অংশ খেলে এমন ফলাফল পাওয়া যায় না। মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। ১১. ব্রণ রোধে :
মেথি বীজ ব্রণের বিস্তারকে প্রতিরোধ করে । ত্বকের এপিডারমিস স্তরে জড়ো হওয়া বিষাক্ত উপাদানকে বের করে দেয় । এছাড়া ও ব্রণের দাগকে হলকা করতে এবং পোড়াদাগ দূর করতেও মেথি বীজ ব্যবহার করা হয় । মেথি বীজ পেস্ট করে তার সাথে মধু যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন । এই পেস্ট মুখের ব্রণের উপর লাগিয়ে সারারাত রাখুন এবং সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । কয়েক দিন লাগালে পার্থক্য দেখতে পাবেন । ১২ কৃমি রোধ:-
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকাল বেলা পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে । রোগ জীবাণু মধ্যে বিশেষত উল্লেখযোগ্য হল কৃমি । বিদ্র:- তবে মেথি অতিরিক্ত মাএায় সেবনে উষ্ণ প্রকৃতির লোকের জন্য ক্ষতিকর। মেথি অনেক মাএায় সেবন নিষেধ। মেথি দৈনিক ৫ থেকে ১০গ্রাম পর্যন্ত সেবন করা যায়।