বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ অংশ প্রশ্নাবলী

বাংলা ২য় পত্রের  ব্যকরণ অংশ 

✔️১.প্রশ্ন:   বাংলা  ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর ।লিংক
✔️২.প্রশ্ন:  ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
✔️৩.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
✔️৪.সাধু ও চলিত ভাষার  পাঁটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।৯,১০,১১ নং প্রশ্নের উ্ত্তর
৫.ব্যাকরণ কাকে বলে ? যে কোন দুইজন ভাষাবিদের বাংলা ব্যাকরণের সংজ্ঞা দাও ।

◼️বাংলা উচ্চারণের নিয়ম (ধব্ণিতত্ত্ব)
১.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বাংলা উচ্চারণের ৫টি নিয়ম লেখ।
২.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বিশুদ্ধ উচ্চারণ প্রয়োজন কেন আলোচনা কর।
৩ অ’ ধ্বণি (আদ্য-অ ) উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম  উদাহরণ সহ লেখ।
  অথবা
বাংলা উচ্চরণে কখন অ-ধ্বনি ও  রুপে  উচ্চারিত হয ? উদাহরণ সহ পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৪ উদাহরণসহ ‘ব’ ফলার উচ্চরণের  পাচঁটি  নিয়ম  লেখ।
৫.বাংলা ব্যকরণের পরিধি বা  আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
৬.
৭. ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৮.‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
 ৯.‘এ’ ধ্বনির উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১০. ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।১০,১১,১২. ১৩ ক্লিক করুন
১১. ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১২. বাংলা বানানে ই-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।
১৩. বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৪. উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৬বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৭ উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৮. বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুসারে শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।

◼️বাংলা বানানের নিয়ম (ধব্ণিত্ত্ব ) ১.বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
✔️২.আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৩.বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ
৪.বাংলা বানানে ‍ু কার ব্যবহারের নিয়ম লেখ।
✔️৫ প্রশ্ন ণত্ব-বিধান বলতে কী বোঝ ? পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৬ প্রশ্ন ষত্ব -বিধান বলতে কী বোঝ ? ষত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৭.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৮. বাংলা বানানে ঈ-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।

◼️বাংলা ভাষার ব্যকরণিক শব্দশ্রেণি (উপসর্গ, অনুর্সগ ,প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমাস ,ধাতু ক্রীয়ামূল , )

১. প্রশ্ন: ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলতে কি বোঝ। কত প্রকার কী কী ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
২ প্রশ্ন: পদ ও শব্দের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর ?
৩.প্রশ্ন শব্দবলতে কী বোঝ ? উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়। উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ***
৪.প্রশ্ন: অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে , ভাগ করা যায় উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ****
অথবা
অর্থের পার্থক্যের বিচারে বাংলা শব্দ কয় প্রকার কী কী , উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৫.প্রশ্ন: গঠন অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমুহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৬ প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? বাংলা শব্দগঠনের উপায়গুলো উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণ সহ আলো চনা কর।
অথবা
প্রশ্ন: কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় তা আলোচনা কর।
০০.প্রশ্ন: শব্দগঠন বলতে কী বোঝ । কী কী উপায়ে (সার্থক) বাংলা ভাষার শব্দগঠিত হয়?
০০.প্রশ্ন: অর্থের পার্থক্য বিচারে বা অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ লেখ।

৭.প্রশ্নঃ উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ ‍বুঝিয়ে দাও । link this question
০০’উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’ আলোচনা কর।
✔️৮.প্রশ্ন : প্রত্যয় বলতে কী বুঝ ? প্রত্যয় কত প্রকার কী কী উদাহরনসহ লেখ। ক্লিক করুন
৯.প্রশ্ন : প্রত্যয়যোগে কিভাবে শব্দ গঠিত হয় , উদাহরনসহ ্পাঁচটি নিয়ম আলোচনা কর।
১০.প্রশ্ন:সংজ্ঞা লিখ: প্রকৃতি প্রত্যয়,স্ত্রী প্রত্যয়, বিদেশি প্রত্যয়।
১১.প্রশ্ন: বিদেশি প্রত্যয়যোগে গঠিত পাঁচটি শব্দের উদাহরণ দাও।

✔️১২ প্রশ্ন : সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কী উদাহরনসহ লিখ।
✔️১৩.প্রশ্ন বাংলা ভাষায সন্ধির প্রয়োজনীয়তা /আবশ্যকতা আলোচনা কর।
১৪.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি পরিহার্য ? উদাহরন সহ আলোচনা কর

◼️ বাক্যতত্ত্ব ( যতি চিহ্ন ,বিভিন্ন প্রকার বাক্য )

০০প্রশ্ন:বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুযায়ী বাক্যর প্রকারভেদ কী কী ? বাক্যের তিনটি গুণ কী কী ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর ।
১.প্রশ্ন: বিরম চিহ্ন বলতে কী বোঝ। বাংলা ভাষায় বিরাম-চিহ্নের আবশ্যকতা আলোচনা কর । [রা, বো, ০৯]
২.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রধান প্রধান বিরাম চিহ্নের ব্যবহার বা প্রয়োগ দেখাও। [চ ,বো ,১২]
৩.প্রশ্ন: ড্যাশ চিহ্ন কি এর বিভিন্ন ব্যবহার দেখাও। [চ,বো,০৯ রা , বো, ১০]
৪.প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ------

◼️ নির্মিত অংশ ৭০ নম্বর
পারিভাষিক শব্দ (যতগুলো পড়া যায ) পারিভাষিক শব্দ লিংক
অনুবাদ ইংরেজি হতে বাংলা (কম পক্ষে ১০টা এবং বেশী বেশী চর্চা করতে হবে )
সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কেন।
সমোচ্চারিত শব্দ কাকে বলে
বাগধারা বাগবিধি
বাক্য সংকোচন এক কথায প্রকাশ
প্রবাদ বচন

🔲◼️ অনুবাদ ❇️অনুচ্ছেদ রচনা ❇️ দিনলিপি ❇️ অভিজ্ঞতা বর্ণনা ❇️প্রতিবেদন রচনা ❇️ ভাষন রচনা ❇️ ( ❇️❇️৫টা)
মুক্তিযুদ্ধের েএকদিন একজন মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি বর্ণনা কর । লিংক
ভাষন রচনা/ও প্রতিবেদন রচনা (প্রিয় শিক্ষার্থীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে ) ভাষণ লিংক
⏭ নমুনাঃ ১.স্কুল/কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।
⬀বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনমত গঠনের লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।

◼️সারাংশ ❇️, সারমর্ম ❇️❇️ভাবসম্প্রসারণ, ❇️সারসংক্ষেপ

অর্নিধারিত
◼️বৈদ্যুতিক চিঠি /ক্ষুদে বার্তা (ইমেইল ১টি ভাল ভাবে শিখলেই হবে)
পত্রলিখান/ আবেদন পত্র লেখা (যথাসাধ্য বেশী চর্চা করিবে )

১.ভি,পি,ডাকযোগে বই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক প্রকাশকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখ
। ⏭ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হারানো মালের ক্ষতিপুরন দাবি করে একটি পত্র লেখ।
⏭ কলেজের ক্রীড়া বিভাগের জন্য সামগ্রী র মূল্য তালিকা চেয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট পত্র লেখ ।
⏮ তোমার স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ক্রয় করা হবে এজন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠাগুলি হতে দরপত্র আহ্বান কর।
✔️⬁প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর। (এক পৃষ্ঠায় লিখতে হবে)
⬀ কোন প্রতিষ্ঠিত পোশাক শিল্পে প্রোডাকশন ম্যনেজার পদের জন্য চকুরীর জন্য একটি দরখাস্ত লিখ।
✔️🔂🔂 কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে /বিপণন কর্মকর্তা /ম্যনেজার /হিসাবরক্ষক পদের জন্য তোমার যোগ্যতার বিবরন দিয়ে একটি চকুরীর দরখাস্ত লিখ ।

◼️ সারাংশ সারমর্মও সারসক্ষেপ (যথাসাধ্য বেশী পড়ার চেষ্টা করা উচিৎ )
ভাবসম্প্রসারণ এই খানে ক্লিক করুন

◼️ সংলাপ,ক্ষুদে গল্প রচনা এই খানে ক্লিক করুন
১ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ তৈরী কর।
২ ভ্রমনের স্থান নির্বাচনের জন্য দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩ ইন্টার নেটের সুফল কূফল বিষয়ে পিতা-পুত্র ও মায়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

◼️প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা (যতটা সম্ভব এবং আপনার কলেজের ফাইনাল সাজেশান )
১ .বাংলাদেশের রুহিঙ্গা সমস্যা
২.পরিবেশ দুষন ও তার প্রতিকার
৩.বর্তমান সভ্যতায় বিদ্যুতের ভূমিকা
৪ ইন্টার নেট ও আজকের বিশ্ব
৫.কর্মমূখী শিক্ষা
৬.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
৭. মানবাধিকার
৮.বাংলাদেশ যানযট সমস্যা
৯.ডিজিটাল বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

বিদায় ভাষণ

                                                                  বিাদায ভাষণ 

  আজকের বিদায়ী অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি জনাব---অত্র স্কুলের  শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ। বিদায অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল  ছাত্র/ছাত্রী,অভিবাবক সবাই কে সালাম। আসসালামুয়ালাইকুম।

বিদায় তিন অক্ষরের একটি শব্দ , অাক্ষরিক অর্থ হল প্রস্থানের অনুমতি,বিচ্ছেদ। আজ যে বিদায নিব সেটা হল স্থানান্তরের  বিদায,এক জায়গা হতে অন্য জায়গায়  উচ্চতর ক্লাসে পড়ালেখার জন্যে সাময়িক  বিদায।বিদায় মধ্যে কিছু হারানোর ইঙ্গিত থাকে,এত দিনের পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে  আমাদের আজ চলে যেতে হবে ভেবে মন খুব খারাপ লাগছে ,দীর্ঘ  পাঁচ বৎসর অত্র বিদ্যালয়ে এক সাথে ছিলাম,কত স্মৃতি কত হাসি ঠাট্টা খুনশুটি  সব ছেড়ে আজ আমাদের কে চলে যেতে হবে।ব্যাথা ভরা মন নিয়ে  বিদায় নিতে হবে এটাই সত্য।

অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা  দীর্ঘ দিনের ছাত্রজীবনে  অতন্ত্য যত্ন  সহকারে আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা আসিনাই কিন্তু শিক্ষিকাদের  রোদ বৃষ্টি ঝড়ে অনেক কষ্ট করে,অামাদের শিক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা তা কখনও ভুলব না ।  আমরা আপনাদের নিকট কোন ভুল ত্রুটি করে  থাকি  আমাদের  ক্ষমা করে দিবেন।বিদায়ী সকল ছাত্র্র ছাত্রীদের পক্ষ হতে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আমাদের কে মাফ কবে দিবেন,আমাদের জন্য দোয়া করবেন্।স্কুলের সকল ছোটভাই  বোনদের জন্য স্মৃতি ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারলাম না।তোমাদের প্রতি রইল অকৃত্রিম ভালবাসা আশির্বাদ,দোয়া।   আমি আমার শিক্ষকদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ূ কামানা করি, সকলকে  বিদায় জানাচ্ছি।

জাতীয় কবি কণ্ঠে আজ  বলি --
তুমি অমন ক‘রে গো বারে বারে জল -ছল-ছল চোখে চেয়ো না,
জল -ছল-ছল চোখে চেয়ো না।।
ঐ কাতর কণ্ঠে থেকে থেকে,শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না,
শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না।।
হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা,
আজো তবে শুধু হেসে যাও , আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।
ঐ ব্যথাতুর আঁখি কাঁদো -কাঁদো মুখ
দেখি আর শুধু হেসে যাও, আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।

---সবাইকে ধন্যবাদ

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

ব্যবসায়িক পত্র


১.ভি,পি,ডাকযোগে বই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক প্রকাশকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখ।
➤রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হারানো মালের ক্ষতিপুরন দাবি করে  একটি পত্র লেখ।
➤কলেজের  ক্রীড়া বিভাগের জন্য সামগ্রী র মূল্য তালিকা চেয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট পত্র লেখ ।
➤তোমার স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ক্রয় করা হবে এজন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠাগুলি হতে দরপত্র আহ্বান কর।

তারিখ ০৭ মার্চ ২০১৮

ম্যানেজার
দি অ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস
৩৮, বাংলাবাজার মান্নান মার্কেট (দ্বিতীয় তলা )
ঢাকা-১১০০।

বিষয় ; ভি ,পি  ডাকযোগে বই পাঠানোর অনুরোধ।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। অনুগ্রহপূর্বক আপনাদের প্রকাশিত নিচের তালিকাভুক্ত বই গুলো এককপি করে নিম্নবর্ণিত  ঠিকানায় ভি,পি, , ডাকযোগে পাঠিয়ে বাধিত করবেন। এই সঙ্গে আগাম হিসেবে ২০০০/= টাকা মানি-অর্ডার করে পাঠালাম। বই পাওয়ার পর বাকী টাকা পরিশোধ করা হবে। আপনার ব্যবসার উন্নতি হোক। ধন্যবাদান্তে--
বিনীত
মো ঃঅলীহাসান মুজাহিদ
প্রথম বর্ষ (বিজ্ঞান শাখা ) রোল-৭
সরকারি  কলেজ সাভার  ঢাকা -১৩৪০
প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা

১.বাংলাদেশের সচিত্র তথ্যকোষ (দি অ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস)
২.উচ্চতর স্বর্নিভর বিশুদ্ধ ভাষা শিক্ষা (দি অ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস)
৩.টেকস্ট রেফারেন্স উচ্চমাধ্যমিক বাংলা  ১ম পত্র (দি অ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস)
৪.oxford world atlas -(দি অ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস)
৫. প্রমিত বাংলা অভিধান (বাংলা একাডেমি ) এবং আপনাদের প্রকাশিত নতুন বই এর তালিকা।

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

বাক্যতত্বের উপর ৪টি প্রশ্ন ,সর্বাধিক বোর্ড প্রশ্ন হয়

⬀⬀১. অর্থানুসারে বাক্যকে কদ ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও।
অথবা
অর্থানুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও।
⬋⬀
➤বাগভঙ্গি বা অর্থানুসারে বাক্য কে সাত ভাগে ভাগ করা যায় যথা:
১.বর্ননাত্বক  বা নির্দেশাত্বক  বাক্য
২.প্রশ্নবোধক বা প্রশ্নাাত্বক বাক্য
৩.অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
৪.ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য
৫.কার্যকারণাত্বক বাক্য
৬.সংশয়সূচক বাক্য
৭.আবেগসূচক বাক্য

১. যে বাক্যে কোন বক্তব্য সাধারনভাবে বিবৃত হয় তাকে  বর্নণাত্বক বাক্য বলে। একে  নির্দেশমূলক , নির্দেশাত্বক ,বিবৃতিমূলক বাক্য  বলা হয়। যেমন; সূর্য পূর্বদিকে উঠে। সে রোজ এখানে আসে।
২.যে বাক্যে কোন কিছু জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নসূচক অর্থ প্রকাশ পায  তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে ্ যেমন: তোমর নাম কি ? কোথায় যাচ্ছ।
৩. যে বাক্যে  আদেশ ,  অনুরোধ , উপদেশ ,নিষেধ  প্রকাশ পায় তাকে অনুজ্ঞা বা আদেশসূচক বাক্য বলে  যেমন ; কাছে এসো, দযা করে আমার কাজটা করো   সুচেতনা ঐ  খানে যেয়ো নাকো তুমি , চল নাটক দেখে আসি।
৪.ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য  : যে বাক্যে ইচ্ছা , প্রার্থণা , প্রকাশ পায তাকে প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে।
যেমন;
 ই্চছা     আমি যদি নায়ক হতাম ?
প্রার্থনা    মহারাজের জয় হোক।

৫. যদি কোন বাক্যে ক্রিয়া নিষ্পত্তি কোন শর্ত সাপেক্ষে হয় তাহলে তাকে কার্যকারণাত্বক বাক্য বলে।
৬. নির্দেশাত্বক বাক্যে বক্তব্য বিষয়  সম্পর্কে  সন্দেহ,  সংশয় ,  সম্ভাবনা ,অনুমান ইত্যাদি ভাব থাকলে  তাকে বলা হয় সন্দেহমূলক বাক্য যেমন: ছেলেটা চকরি পেয়ে যাবে ,সম্ভবত আগামী মাসে পরীক্ষার ফল বেরোবে।
৭. যে বা্ক্যে বিস্ময় ,হর্ষ,  শোক ঘৃণা, ক্রোধ, ভয় ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে আবেগসূচক বাক্য বল।যেমন;

বিস্ময়  :কী সাংঘাতিক লোক!
হর্ষ       :ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে, আমি বনফুল গো!
ঘৃণা      : ছিঃ ছিঃ অন কথা মুখে আনলে কী করে ?
শোক    : হায় হায় ! কী যন্ত্রনায় যে পড়েছি
ক্রোধ    : এত বড় স্পর্ধা ! মুখের ওপর কথা বলে আমি তোমাকে দেখে নেব।
ভয়       :ওরে বাবা রে ,খেয়ে ফেলল রে!
আবেগ   :বাহ্ সুন্দর লিখেছ তো !
আদর    : বড্ড শুকিয়ে গেছিস  রে !



⬀⬀২.বাক্য কাকে  বলে ? গঠন অনুসারে বাক্য কত  প্রকার কি কি ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
গঠনরীতি অনুসারে বাক্য কত প্রকার কী কী ? উদাহরণসহ লেখ।

উত্তর : ড. সুনীতিকুমার  চট্রোপাধ্যায়ের মতে , কোনও ভাষায়  যে উক্তির সার্থকতা আছে এবং গঠনের  দিক থেকে যা  স্বংসম্পূর্ন , সেরুপ একক উক্তিকে ব্যাকরণে বাক্য বলে।
অথবা  যে সুবিন্যস্ত পদ সমষ্টি  দ্বরা কোনও বিষয়ে বক্তার মনের ভাব প্রকাশ পায়  তাকে বাক্য বলে।
গঠনগত  দিক দিয়ে বাক্য প্রধানত তিন প্রকার। যথা

১.সরল বাক্য (simple sentence )
২.জটিল বা মিশ্র বাক্য ( complex sentence )
৩.যৌগিক বাক্য(compound sentence)





⬀⬀৩.একটি সার্থক বাক্য গঠনের কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক  উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
কোন বিষয়ের উপর  বাক্যের সার্থকতা  নির্ভর করে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:- একটি  সার্থক বা আদর্শ বাক্য  গঠনের জন্য তিনটি গুণ  বা বৈশিষ্ট্য আবশ্যক।
১.আকাংক্ষা  ২. আসত্তি (নৈকট্য) ৪. যোগ্যতা
উল্লেখিত তিনটি শিষ্ট্য না থাকলে সার্থক বাক্য গঠিত হবে না এবং  বক্তার মনোভাবও যথাযথভাবে প্রকাশ পাবে না।

১ আকাঙ্ক্ষা:- বাক্যের অর্থ বোঝাবার জন্য  যতগুলো পদের প্রয়োজন বাক্যে যদি তার সব  কটি  না থাকে এবং  কোনো একটা বা একাধিক পদ বাদ থাকে , তবে ওই অবশিষ্ট  বাদ থাকা পদ মোনার ইচ্ছাকে  বাক্যের আকাঙক্ষা বলে । অন্যভাবেও বলা যায় , বাক্যের অর্থ  ভালোভাবে বোঝার জন্যে এক পদ শোনার পর অপর পদ শোনার  ইচ্ছাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন : ১. ঢাকা বাংলাদেশের.......... ২.  অর্থই অনর্থের.........
উপরের দুটি বাক্যেই  আরও  শুনার আগ্রহ রয়েছে




২.আসত্তি:-
৩.যোগ্যতা :-



⬀⬀৪. সরল বাক্য যোগিক বাক্যের  মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তর :


➤৫.বন্ধনীর নির্দেশানুসারে বাক্যান্তর কর : সকল বোর্ডের  ২০১৬ হইতে ২০১৭ পর্যন্ত







শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

চাকুরীর জন্য দরখাস্ত

⬁ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর। (এক পৃষ্ঠায় লিখতে হবে)
অথবা
⬊ কোন  বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক’ পদের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর।
⬀কোন প্রতিষ্ঠিত পোশাক শিল্পে প্রোডাকশন ম্যনেজার পদের জন্য চকুরীর জন্য একটি দরখাস্ত লিখ।


বরাবর
মহাপরিচালক
প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তর
মিরপুর -চাকা।

বিষয় ঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন।
জনার,
বিনীত নিবেদন এই যে , গত ২২মার্চ ২০১৮ইং তারিখে  ‘দৈনিক ইত্তেফাক ’পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম য়ে ,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিছু সংখ্যক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আমে উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করছি।নিন্মে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হল।
১ .নাম                      মোঃ সাইফুল ইসলাম
২.পিতার নাম             মোঃ
৩.মাতার নাম           মোছাঃ
৪.স্থায়ী ঠিকানা          গ্রাম- কলমা , পোঃ-ডেইরী ফার্ম , উপজেলা : সাভার , জেলা ;ঢাকা ১৩৪১
৫.বর্তমার ঠিকানা      ঐ
৬. জন্ম তারিখ          ১০মে ২০০১
৭. জাতীয়তা              বাংলাদেশী
৮. ধর্ম                      ইসলাম (সুন্নি)
৯.শিক্ষাগত যোগ্যতা ;
  পরীক্ষার নাম              পাসের সাল             গ্রুপ                জিপিএ/বিভাগ           বোর্ড /বিশ্ববিদ্যালয়
 এস ,  এস , সি              ২০১১                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 এইচ , এস,  সি             ২০১৩                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 বি, এ (অনার্স)             ২০১৬                   মানবিক            দ্বিতীয় বিভাগ         সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১০.বৈবাহিক অবস্থা      : অবিবাহিত
১১.অভিজ্ঞতা  : একটি স্থানীয় প্রাথমি বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষাকতার  এক বৎসরের অভিজ্ঞতা। অনুগ্রহপূর্বক উপরোক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত পদের জন্য উপযুক্ত বলে নির্বাচিত হলে নিষ্ঠা ,সততা ও কঠোর পরিশ্রম সহকারে পবিত্র দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

বিনীত নিবেদন
[নিজ হাতে স্পষ্টাক্ষরে স্বাক্ষর ]
মোঃ সাইফুল ইসলাম

সংযুক্তি
১.পরীক্ষার মূল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
২. তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত  ছবি
৩.নাগরিকত্ব  ও চারিত্রিক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৪. অভিজ্ঞতা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৫.ব্যাংক ড্রাফট   নম্বর -


🔂🔂 কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে /বিপণন কর্মকর্তা /ম্যনেজার /হিসাবরক্ষক পদের জন্য তোমার যোগ্যতার বিবরন দিয়ে  একটি চকুরীর দরখাস্ত লিখ ।


তারিখ;০৯ এপ্রিল ,২০১৮

বরাবর
ব্যাবস্থাপনা পরিচালক
পাইওনিয়র  কেবলস্ লিমিটেড
মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা -- ঢাকা -১০০০

বিষয় ঃ ম্যানেজার পদে নিয়োগের  জন্য আবেদন।
জনার,
বিনীত নিবেদন এই যে , গত ২২মার্চ ২০১৮ইং তারিখে  ‘দৈনিক ইত্তেফাক ’পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম য়ে ,  আপানার সুনামধন্য পাইওনিয়র কেবলস্ কোম্পানিতে মর্কেটিং এর জন্য কিছু সংখ্যক  ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করছি।নিন্মে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ যাবতীয় কাগজ পত্র  জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হল।
১ .নাম                     মোঃ সাইফুল ইসলাম
২.পিতার নাম            মোঃ
৩.মাতার নাম           মোছাঃ
৪.স্থায়ী ঠিকানা          গ্রাম- কলমা , পোঃ-ডেইরী ফার্ম , উপজেলা : সাভার , জেলা ;ঢাকা ১৩৪১
৫.বর্তমার ঠিকানা     ঐ
৬. জন্ম তারিখ          ১০মে ২০০১
৭. জাতীয়তা              বাংলাদেশী
৮. ধর্ম                      ইসলাম (সুন্নি)
৯.শিক্ষাগত যোগ্যতা ;
  পরীক্ষার নাম              পাসের সাল             গ্রুপ                জিপিএ/বিভাগ           বোর্ড /বিশ্ববিদ্যালয়
 এস ,  এস , সি              ২০১১                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 এইচ , এস,  সি             ২০১৩                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 বি, এ (অনার্স)             ২০১৬                   মানবিক            দ্বিতীয় বিভাগ         সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১০.বৈবাহিক অবস্থা      : অবিবাহিত
১১.অভিজ্ঞতা  : বৃটিশ পিট্রোলিয়াম  বি, পি ,এল কোম্পানিতে হিসাবরক্ষক পদে এক বৎসরের  চাকুরীর  অভিজ্ঞতা। অনুগ্রহপূর্বক উপরোক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত পদের জন্য উপযুক্ত বলে নির্বাচিত হলে নিষ্ঠা ,সততা ও কঠোর পরিশ্রম সহকারে  দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

বিনীত নিবেদন
[নিজ হাতে স্পষ্টাক্ষরে স্বাক্ষর ]
মোঃ সাইফুল ইসলাম

সংযুক্তি
১.পরীক্ষার মূল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
২. তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত  ছবি
৩.নাগরিকত্ব  ও চারিত্রিক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৪. অভিজ্ঞতা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৫.ব্যাংক ড্রাফট   নম্বর -




বাংলা ২য়


ছাড়পত্র কবিতার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

১। ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ কত সালে প্রকাশিত হয়?

ক. ১৯৪৫
খ. ১৯৪৬
গ. ১৯৪৭
ঘ. ১৯৪৮

২। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কত বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল?

ক. ২১ বছর
খ. ২২ বছর
গ. ২৩ বছর
ঘ. ২৪ বছর

৩। কোন বয়সের ভয় নেই?

ক. পনেরো বছর বয়সের
খ. সতেরো বছর বয়সের
গ. আঠারো বছর বয়সের
ঘ. বিশ বছর বয়সের

৪।কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

ক. ১৯২৬
খ. ১৯২৭
গ. ১৯২৮
ঘ. ১৯২৯

৫।কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সে পদাঘাতে পাথর বাঁধা ভাঙতে চায় কেন?

ক. এ বয়স বেপরোয়া
খ. এ বয়স আবেগময়
গ. এ বয়স নির্ভীক
ঘ. এ বয়স উদ্যমী

৬।কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এ দেশের বুকে আঠারো বছর বয়স কামনা করার কারণ কোনটি?

ক. এ বয়স জড়তা ও স্থবিরতার বিরুদ্ধে
খ. এ বয়স পথ চলতে ভয় পায় না
গ. আঠারো বছর বয়স ভবিষ্যৎ জাতির কর্ণধার
ঘ. এ বয়সে মনে অনেক স্বপ্ন উঁকি দেয়

৭। আঠারো বছর বয়সে ছেলেরা রক্ত মূল্য দেয় কেন?

ক. স্বার্থ ও শান্তির জন্য
খ. সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের জন্য
গ. প্রশংসা পাওয়ার জন্য
ঘ. দেশমাতৃকার জন্য

৮। প্রাণবন্ত তরুণরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কেন?

ক. সামাজিক বৈষম্যে
খ. বয়সের ধর্ম
গ. শোষণরোধে
ঘ. সমাজ বিচ্ছিন্নে

৯।‘এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে’—চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক. জীবন বিপর্যয়
খ. অজস্র ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস
গ. সুগভীর সংবেদনশীলতা
ঘ. প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতা

১০।কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সের তরুণদের চলার গতিবেগ কোনটির সঙ্গে তুলনা করেছেন?

ক. বাতাসের
খ. দুর্যোগের
গ. স্টিমারের
ঘ. ঝড়ের

১১।সুকান্তের মতে কোন বয়স দুঃসহ?

ক. পনেরো বছর
খ. ষোলো বছর
গ. আঠারো বছর
ঘ. বিশ বছর

১২। একুশ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু ঘটে বাংলার কোন কবির?

ক. মধুসূদন দত্ত খ. জীবনানন্দ দাশ
গ. সুকান্ত ভট্টাচার্য ঘ. দিলওয়ার

১৩। আঠারো বছর বয়স নিচের কোন বিষয়টি সম্পর্কে জানে?

ক. প্রাণ দিতে
খ. রক্তদানের পুণ্য
গ. সংগ্রাম করতে
ঘ. আন্দোলন করতে

১৪। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটির রচয়িতা কে?

ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. সুকান্ত ভট্টাচার্য
ঘ. শামসুর রাহমান

১৫। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কে স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনের?

ক. তারুণ্য
খ. কৈশোর
গ. বার্ধক্য
ঘ. শৈশব

১৬। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কিসে পদার্পণ করে বলে মানুষ আত্মপ্রত্যয়ী হয়?

ক. বার্ধক্যে
খ. কৈশোরে
গ. বৈবাহিক জীবনে
ঘ. দুর্বিনীত যৌবনে

১৭। কবি সুকান্তের মতে কোন বয়স বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত?

ক. ষোলো বছর বয়স
খ. সতেরো বছর বয়স
গ. আঠারো বছর বয়স
ঘ. উনিশ বছর বয়স

১৮। কবি সুকান্তের মতে প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতাই কোন বয়সের বৈশিষ্ট্য?

ক. আঠারো বছর
খ. উনিশ বছর
গ. বিশ বছর
ঘ. একুশ বছর

১৯। কবি সুকান্তের মতে সামাজিক বৈষম্য ও ভেদাভেদ দেখে কারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে?

ক. প্রাণবন্ত বয়স্করা
খ. প্রাণবন্ত তরুণরা
গ. প্রাণবন্ত কিশোররা
ঘ. ভীরু কাপুরুষরা

২০। আঠারো বছর বয়সে সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে কী হতে পারে?

ক. বিশৃঙ্খলা
খ. উন্নতি
গ. পদস্খলন
ঘ. অধঃপতন

২১। আঠারো বছর বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কোনটি?

ক. তারা শুধু সংগ্রাম করতে পছন্দ করে
খ. মাথা নোয়ানো তাদের স্বভাববিরোধী
গ. এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর নয়
ঘ. এ বয়সে পথ চলতে যায় থেমে

২২। আঠারো বছর বয়সের সঙ্গে তুলনা করা যায়—

ক. কাপুরুষতা
খ. সংশয়
গ. ভীরুতা
ঘ. দুঃসাহস

২৩। দুঃসাহসের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হিসেবে কোনটি গ্রহণযোগ্য?

ক. দুঃ + সাহস
খ. দুস্ + সাহস
গ. দূঃ + সাহস
ঘ. দুর + সাহস

২৪। ‘বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি’—চরণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কোনটি?

ক. চারপাশের অন্যায়, অত্যাচারে তরুণরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে
খ. তারুণ স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনের
গ. মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে চলার ঝুঁকি
ঘ. দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা এ বয়সের তরুণদের মনকে ঘিরে ধরে

২৫। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি নেতিবাচক দিক কিভাবে নির্দেশ করেছেন?

ক. নৈতিক স্থান
খ. মনের স্থবিরতা
গ. নিজেকে সচেতনভাবে পরিচালনা করতে না পারা
ঘ. তারুণ্যের স্বপ্ন কামনা

২৬। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবির প্রার্থনা কী?

ক. তারুণ্যের জয়গান
খ. নতুন নতুন আবিষ্কার
গ. সমাজজীবনে তরুণের প্রেরণা
ঘ. তারুণ্য জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি

২৭।তরুণদের প্রতি কবি সুকান্তের আহ্বান কোনটি?
ক. তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করুক
খ. তারা জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হোক
গ. তারা সমাজে শুভ ও মঙ্গল বয়ে আনুক
ঘ. তারা নতুনের মধ্যে প্রেরণা হয়ে থাক
২৮। আঠারো বছর বয়স বলতে কবি মূলত নির্দেশ করেছেন—
i. জীবন সন্ধিঃক্ষণের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন
ii. নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন
iii. তেজদীপ্ত তারুণ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
২৯। আঠারো বছর বয়সকে কবি দুঃসহ বলেছেন কারণ—
i. এ সময় জীবন গড়ার প্রস্তুতি পর্ব
ii. এ সময়ে তরুণরা বেয়াড়া হয়
iii. এ বয়স হতেই তরুণরা জীবনে ঝুঁকি নিতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

৩০। তারুণ্যের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ—
i. দুঃসাহস
ii. পরনির্ভরশীলতা
iii. প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৩১। কবি সুকান্ত নিম্নের যেটির সঙ্গে তারুণ্যের তুলনা করেছেন—
i. বাষ্পের বেগ
ii. স্টিমারের গতি
iii. লঞ্চের গতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. i ও ii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

৩২। কবি এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে কামনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন—
i. তারুণ্যের জয়গান
ii. তারুণ্যের বন্দনা
iii. তারুণ্যের ভূমিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও। রানার বাবা রানাকে বলেন, আঠারো বছর বয়স মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ এ সময় মানুষের শরীরে থাকে অমিয় তেজ। এ বয়সে মানুষ যেকোনো দুঃসাহসিক কাজে নিঃসংকোচেএগিয়ে আসে। এ বয়স ঝুঁকি নেওয়ার বয়স। এ বয়সে দেশ ও দশের কল্যাণে এগিয়ে আসার মনোভাব জাগ্রত হয়। তাই এ বয়স সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের জন্য রক্ত দিতে জানে। ৩৩।উদ্দীপকের শেষ লাইনের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কোন চরণে?

ক. বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি খ. এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য
গ. এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
ঘ. দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার

৩৪। উদ্দীপকটির মাধ্যমে প্রকাশ ঘটেছে—
i. আঠারো বছর বয়সের জয়গান
ii. আঠারো বছর বয়স দুঃসাহসিক
iii. আঠারো বছর বয়স বিশৃঙ্খল

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। এ দেখে কাদেরের অন্তর কেঁদে ওঠে। সে ঘরে বসে থাকতে পারে না। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দৃঢ় মনোভাবের সঙ্গে শত্রুর বুলেট বোমার মোকাবিলা করতে থাকে। হঠাৎ একটা বুলেটের আঘাতে কাদেরের মৃত্যু হয়। কাদের শহীদ হয় স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে।

৩৫।উদ্দীপকের কাদের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কাদের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক. আঠারো বছর বয়সীদের
খ. কবির
গ. প্রবীণদের
ঘ. কিশোরদের

৩৬। কাদেরের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মধ্যে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে—

i. তরুণদের দুঃসাহসিকতা
ii. তরুণদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া
iii. বুলেটের আঘাতে প্রাণ দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. ii
গ. i ও ii
ঘ. i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
নাসিরের বয়স কম হলেও সাহস কম নয়। যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সে সবার আগে এগিয়ে আসে। দেশ ও দশের কল্যাণে সে যেমন অগণিত প্রাণ হরণ করতে পারে তেমনি নিজের প্রাণও দিতে পারে। সে নিজের প্রাণ দিতে দ্বিধাবোধ করবে না যদি তার প্রাণের বিনিময়ে মহৎ কিছু সংগঠিত হয়।

৩৭। আলোচ্য উদ্দীপকে তোমার পঠিত কোন কবিতার ছায়াপাত ঘটেছে?

ক. সাম্যবাদী
খ. সেই অস্ত্র
গ. ঐকতান
ঘ. আঠারো বছর বয়স

৩৮। উদ্দীপকের নাসির ও তরুণদের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়—

i. দুঃসাহসিকতা
ii. কল্যাণের মন্ত্রে দীক্ষিত
iii. দেশ ও দশের জন্য অনুগত প্রাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কামাল সাহেব একজন কবি। তিনি তাঁর কবিতায় সর্বদাই তারুণ্যের জয়গান তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন তারুণ্য শক্তি অপরিমেয়। এ শক্তির সঙ্গে লড়াই করে পৃথিবীর অন্য কোনো শক্তি টিকতে পারে না। তরুণরা যেকোনো অজেয়কে জয় করতে পারে। প্রবীণরা যে কাজ করতে ভয় পায় তরুণরা অনায়াসে সে কাজ করতে পারে।

৩৯। উদ্দীপকের কামাল সাহেব তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন কবিকে সমর্থন করে?

ক. কাজী নজরুল ইসলাম খ. সুকান্ত ভট্টার্চায্য *
ঘ. শামসুর রাহমান ঘ. আল মাহমুদ

৪০।উক্ত কবির কবিতার ভাবের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কবিতার বিষয়বস্তু—

i. তারুণ্যের জয়গান
ii. প্রবীণদের নিন্দা করা
iii. তারুণ্য শক্তির স্তুতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. ক ৫. গ ৬. ক ৭. খ ৮. ক ৯. খ ১০. গ ১১. গ ১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ ১৭. গ ১৮. ক ১৯. খ ২০. গ ২১. খ ২২. ঘ ২৩. ক ২৪. ঘ ২৫. গ ২৬. ঘ ২৭. খ ২৮. ঘ ২৯. খ ৩০. খ ৩১. খ ৩২. ঘ ৩৩. খ ৩৪. ক ৩৫. ক ৩৬. গ ৩৭. ঘ ৩৮. ঘ ৩৯. খ ৪০. খ

শব্দ

⬀⬀প্রশ্নঃ- বাংলা ভাষার শব্দ সমুহকে কটি ভাগে বিভক্ত করা যায় ? উদাহরণ সহ  আলোচনা কর ।

উত্তর:-  বাংলা ভাষার শব্দ সমুহকে উৎপত্তি অনুসারে  পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়
১)  তদ্বব শব্দ  ২)  তৎসম শব্দ  ৩)  অর্ধ-তৎসম শব্দ  ৪)  দেশি শব্দ  এবং  ৫)  বিদেশি শব্দ

১.তদ্বব শব্দ:- সংস্কৃত  শব্দ হতে রূপান্তর  এর মাধ্যমে বাংলায় যে সকল শব্দ ব্যবহার  হয়  তাকে তদ্বব শব্দ বলে যেমন:
সংস্কৃতিতে ছিল   চন্দ্র >চন্দ>চাঁদ   ;   হস্ত >হথ>হাত

২.তৎসম বা সংস্কৃত শব্দঃ- যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে অবিকৃত ভাবে পরিবর্তন ছাড়া বাংলা ভাষায়ে এসেছে  তাকে ত্ৎসম বা সংষ্কৃত শব্দ বলে যেমন:- চাহিদা , স্বাগতম, নির্বাণ , যোগ, যৌন , আর্য , আসন , অশ্রম , অবতার , আয়ুর্বেদ , বন্ধন, ভাং , ধুতি , লুঠ , মায়া , স্বামী , যোগী , লাখ,  লক্ষ্মী , লক্ষ্মণ  (ল+ক+ষ+ম+ণ) চন্দ্র , সূর্য, জল ,পৃথিবী , বৃক্ষ  ইত্যাদি

৩. অর্ধ তৎসম শব্দ:- যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে কিঞ্চিত বিকৃতভাবে বাংলায় এসেছে তাকে অর্ধ-তৎসম শব্দ  বলে 
যেমন:- নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন , গাত্র> গতর , জ্যোৎস্না > জোছনা ইত্যাদি।

৪. দেশি শব্দঃ- বাংলা ভাষায়  কিছু শব্দ বাংলায় রক্ষিত আছে  এ সকল শব্দকে দেশি শব্দ বলা হয় যেমন :  আলু , কালা, কুড়ি , খুকি , খোকা , খোঁচা , খোঁজ , চাল ,  চিংড়ি , চুলা  ,  ঝিনুক , ঝোল ,ঠ্যাং , ঢোল , পেট ,বোবা , মাঠ , মুড়ি , কুলা , গঞ্জ , চোঙা , ডাব , ডাগর , ডিঙা  ইত্যাদি

৫. বিদেশি শব্দ:-রাজনৈতিক ধর্মীয় ,বাণিজ্যিক কারনে যে সকল শব্দ বিদেশি ভাষা হতে বাংলা ভাষাতে স্থায়ী ভাবে স্থান করে নিয়েছে তাকে বিদেশি শব্দ বলে যেমন:

আরবি শব্দ:- আল্লাহ , ইসলাম ,ইদ , ঈদ , অাসল ,  এলাকা, ওজন , কবর ,  খবর ,  খালি ,  খেয়াল , গরিব, জবাব, জমা, জিনিস , তারিখ, দুনিয়া , নকল , ফকির , বদল  , বাকি , সাহেব , হিসেব , ইত্যাদি

ফার্সি শব্দ: আওয়াজ,  আন্দাজ, আয়না, আস্তে, কাগজ, খারাপ, খোদা, খুব, গরম, চশমা, চাকুরি, চাদর , জান,  জায়গা, ডেগচি, দম, দেরি, দোকান, পর্দা, বদ, বাগান, রাস্তা, রোজ, হিন্দু, ইত্যাদি ।

জাপানি শব্দ:- বোকা, চা,মাঙ্গা,

ওলন্দাজ শব্দ: ইস্কাবন , ইস্ক্রুপ , টেক্কা , তুরুপ, রুইতন , হরতন

তুর্কি শব্দ:- কোরমা , চকমক , দাদা , নানি , বাবা ,  বাবুর্চি , বেগম ,

ইংরেজি শব্দ:-  কলেজ , টিন,  নোট ,  পাউডার , পেন্সিল, ফুটপাত , ভোট ,অফিস,  জেল  , ডাক্তার ,  পুলিশ,  ব্যাংক , ইস্কুল , স্কুল , হাসপাতাল , হস্পিটাল , কাপ ,  গ্লাস, চেয়ার , টেবিল , বাক্স , লন্ঠন  ইত্যাদি

পর্তুগিজ শব্দ-  আলমারি ,  ইস্ত্রি , ইস্পাত, কামিজ , গামলা , চাবি ,জানালা , পেরেক , ফিতা , বারান্দা , বালতি , বেহালা , বোতাম , মেজ , সাবান , কেদারা ,  আতা , আনারস , কাজু , কপি ,  পাউ , পেঁপে , পেয়ারা ,  সাগু, সালাদ, ক্রুশ , গির্জা , যিশু , পাদ্রি , ইংরেজ ইত্যাদি


শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

বাংলা বানান

প্রশ্নঃ বাংলা বানানে -- কার   ‍ূ  ব্যবহারের নিয়মগুলো  লেখ।

১.দীর্ঘ উচ্চারিত ক্ষেত্রে এবং একাধিক উ--কার এর সমাবেশ সন্ধিঘটিত শব্দে ঊ--কার হবে । যেমনঃ- সন্ধির ক্ষেত্রে : মরু+উদ্যান,( মর  + দ্যান)= মরূদ্যান
কটু+উক্তি(কট + ক্তি)=কটূক্তি

২.তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে--কার হবে । যেমন ঊনত্রিংশ

৩.নিন্মলিখিত বানানগুলোতে সর্বদা ‘ঊ’ কার হবে । যেমন--অনুকূল , নুপূর , কূজন , কূট , গূঢ় , ঘূর্ণায়মান , চূড়া , ঘূর্ণি ,  চূর্ণ , হূত , দূর ,দূর্বা, দূষণ ,ধূলি ,পূজা , পূজনীয় ,পূর্তি ,পূরণ ,পূর্ণ ,পূর্ণিমা ,পূর্ব , পূর্বক , পূর্বাভাস ,পূর্বাহ্ন , ভূগোল ,ভূ  , ভূতক , ভূমি , ভূস্বামী , ভূমিষ্ঠ , ভূয়সী , ভূরি , ভূষণ , ভ্রূন , মূঢ় ,মূক , মূর্ছনা , মূর্ত , মূর্তি , মূলক , মূল্য , মূষিক , রূপ , রূপালি , রূপবতী ,শূকর ,শূককীট , শূদ্র , শূন্য ,শূল ,সূক্ষ , সূচক , সূচি , সূতিকাগার , সূত্র , কূপমন্ডুক।



২.বাংলা বানানে উ--কার ব্যবহারের নিয়মগুলো লেখ ।

. অর্ধতৎসম দেশি বিদেশি তদ্ভব  শব্দে --কার হয় ।
যেমনঃ-  তদ্ভব শব্দে  ধূলি>ধুলা ,  পূজা>পুজো , নূতন>নতুন ,সূত্র>সুতা

. দেশি শব্দেঃ  কুলা কুলো, বাদুর ধুয়ো ,পুড়ি, ইত্যাদি

৩. বিদেশি শব্দেঃ  শুরু মুনাফা, মুশকিল , মজবুত, মুলতবি , ফতুর , ফালতু, কুত্তা , সুদ চাবুক, খুশি, খুব, কুলি , হুন্ডি, সুইচ, সুইডেন, ডেপুটি , ইত্যাদি।

. ক্রিয়াবাচক শব্দে উ-- কার হবে   বুঝা, শুনা, ছুটা, ঝুলান , ঘুরা , শিশুন, করুন , বলুন, বসুন .আসুন,ভাবুন, মুচড়ানো, দুমড়ানো ইত্যাদি।

. নিন্মলিখিত প্রত্যয় যুগে  উ--কার হবে
উয়া             ঃ মেছুয়া,মাধুয়া,বনুয়া,নাটুয়া,পটুয়া ইত্যাদি
উক             ঃ  ভাবুক,মিশুক,নিন্দুক,ভালুক,হিংসুক,করুক ইত্যাদি
উনি             ঃ বকুনি,নাচুনি,কাঁদুনি,রাঁধুনি,গাঁথুনি,ইত্যাদি
উড়িয়া         ঃ সাপুড়িয়া,হাতুড়িয়া,
উরি             ঃ ডুবুরি,ধুনুরি,
তুত/তুতো     ঃ মাসতুতো,খুড়তুতো,পিসতুতো ইত্যাদি

৬. অনু , সু , উৎ , উপ , দুঃ  উপসর্গযুক্ত  শব্দে  ‍ূ  কার ব্যবহার হবে । যেমনঃ অনুকরণ অনুধাবন, অনুশোচনা, অনুভূতি,অনুমোদন, সুবোধ ,দুর্নাম, সুরেশ , সুদিন , সুজনেষু , উত্তরণ , উত্তরাধিকার , উৎকৃষ্ট, উৎকীর্ণ, উৎক্ষেপণ , উৎপাদন, উপকরণ, উপগ্রহ,উপদংশ, দুঃশাসন ইত্যাদি ।


প্রশ্ন:- বাংলা একাডেমি  প্রণীত বাংলা বানানের  নিয়ম অনুসারে তৎসম  শব্দের পাাঁচটি নিয়ম লেখ । 
উ্তর : নিচে বাংলা একাডেমি প্রনীত বাংলা বানানের  আধুনিক নিয়ম অনুসারে অ-তৎসম শব্দের পাঁচটি বানানের নিয়ম  সূত্র  উল্লেখ করা হল ।
১বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান  যথাযথ ও াপরিবর্তিত থাকবে । যেমন াভাীষ্ট , গভীর , অংশু , শস্য কৃষাণ
২. যে সকল সংস্কৃত শব্দে  ই ঈ বা উ ঊ উভয়ই শুদ্ধ সেইসব  শবেদ কেবল ই ্ব উ এবং তার  কারচিহ্ন  ্্ি  ‍ু  ব্যবহৃত হবে । যেমন কিংবদন্তি, খঞ্জনি , চিৎকার , ধমনি, ধূলি ,পদবি
৩. রেফ এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের   দ্বিত হবে না ।  যেমন:-অর্চনা,  অর্জন , অর্থ , কর্তন , কর্ম , কার্য  , গর্জন , মূর্ছা, কার্তিক , বার্ধক্য , বার্তা , সুর্য , কর্দম ।





চলমান---








বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

মানপত্র


[মানপত্র বলতে সংবর্ধনার জন্য প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপক ভিনন্দন পত্রকে বুঝায় । মানপত্রের মাধ্যমে কোন শ্রদ্ধেয় বা গুণীজনকে স্বাগত/অভিনন্দন/বিদায়/শ্রদ্ধা জানানো্ হয় । এতে ব্যাক্তির গুনাবলী প্র্রশংসা,ও তার কর্মগুন বর্ণনা করা হয় ।মানপত্রের গুনাবলী প্রকাশক কতিপয় সম্বোধন থাকে। এক একটি সম্বোধন, এক একটি অনুচ্ছেদ রচনা করা হয় ।এক অনুচ্ছেদ একটি ভাবের বাহন হয়ে থাকে। তুমি , আপনি দু ধরনের সম্বোধনই হতে পারে ।  এটা সুন্দর  ফ্রেমে বাঁধাই করেই বেশী দেওয়া হয়ে থাকে।]

মানপত্রের কয়েকটি  নমুনা


➤কলেজে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীকে স্বগত জানিয়ে /ছাত্র-ছাত্রীর সংবর্ধনা/নবীন বরণ উপলক্ষে একটি অভিনন্দন পত্র রচনা কর ।

সাভার  বিশ্ববিদ্যালয়  কলেজের একাদশ শ্রেণির 
নবাগত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উপলক্ষে অভিনন্দন
!!এসো হে নতুন!!
হে নবীন বন্ধুরা ,
নতুন স্বপ্নের সুষমা নিয়ে আলোর সাথী হয়ে তোমরা এসেছ এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যানিকেতনের সবুজ চত্বরে । তোমাদের পদচারণায়  আজ এ অঙ্গন মূখর । এখান থেকে শুরু হবে তোমাদের নবযাত্রা---যাত্রার প্রাক্কালে তোমরা আমাদের অজস্র শুভেচ্ছা গ্রহণ করো। আমরা তোমাদের বরণ করছি একরাস আনন্দ আর স্নেহ মায়া-মমতাপূর্ণ ভালোবাসা
দিয়ে।
হে শিক্ষার্থী বন্ধুরা ,
তোমরা বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র গন্ডি এবং স্নেহনীড় ছেড়ে বৃহৎ-বিশ্বের আলোর জগতে পদার্পণ করেছ। তোমাদের সামনে এক অনন্ত আলোর জগৎ।তোমরা এই আলোর জগতের যাত্রী/অভিসারী। আলোকিত মানুষ হবার  পথে যাত্রা তোমাদের সফল হোক --এটাই আমাদের কামনা। কবি কন্ঠের সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে বলি
শুনিতেছি আমি শোন ঐ দূরে -তূর্য নাদ,
ঘোষিছে নবীন ঊষার উদয় -সুসংবাদ।’
হে নবীন সাধক,
তোমাদের স্কূলজীবনে তোমাদের বাবা-মা ,শিক্ষক সকলেই তোমাদের উপর স্নেহদৃষ্টি রাখতেন ।তোমাদের চলার পথে তাঁরা ছিলেন অতন্ত্র প্রহরী। আজ হতে তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের নিজেদের নিতে ।তোমাদের যে উদ্দেশ্য বিদ্যাশিক্ষা,সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এখানে যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে তাহলে তোমাদের জীবন ব্যার্থতায় পর্যবসিত হবে ।তেমাদের অ্ভিযাত্রায় একাগ্র সাধনা ,কর্মে অনুরাগ,প্রচেষ্টা আন্তরিকতা আর জীবনের সামনে মহৎ আদর্শ বিরাজমান থাকলে জীবনের সফলতা অনিবার্য।

হে অভিযাত্রী দল,
উচ্ছল তারুণ্যের প্রাচুর্য তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান/বিরাজমান। আজ যখন তোমাদের বরণ করে নিচ্ছি এদেশ আমার উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ।বিশ্বায়নমূখী  আমাদের প্রিয় দেশটিতে এখনও অশিক্ষা দারিদ্র নৈরাজ্য সন্ত্রাস  ইত্যাদি ফেলেছে ভয়াল থাবা। তোমরা অফুরন্ত প্রানশক্তির অধিকারী। আমাদের বিশ্বাস ,প্রানবন্ত তারুন্য শিক্ষা সাধানায়,নিজেদের কে গড়ে তুলবে সারা বিশ্বের স্থপতি হিসাবে।সারা বিশ্ব তোমাদের দেখবে। এই প্রত্যাশায় পতাকা উড়িয়ে  আমরা তোমাদের আহ্বান করি।

হে বন্ধুগণ ,
আগমনের ধারায় তেমাদের মতো নবীনরুপে এই বিদ্যাপীঠে এসেছিলেন অসংখ্য তরুন। তাদের অনেকেই দেশ -বিদেশে স্মরনীয় হয়ে আছেন এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষাপেয়ে। তোমাদের সততা ,অধ্যবসায় ও কর্তব্যনিষ্ঠা, সংযত আচরণ,বিনম্র মনােবৃত্তি ,সুনিদিষ্ট লক্ষ্যাভিসার ,গভীর পাঠানুরাগ,তোমাদের দান করুক মহত্তর চারিত্রিক সম্পদ। সঠিক পথের দিশা পেতে বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের প্রতি সর্বদা বিনম্র হবে।তোমাদের জীবন হোক সুন্দর সার্থক।
অনেক অভিনন্দন সহ
দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী
সাভার  বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ 
সাভার-ঢাকা
২২.০৩.২০১৮ইং

স্কুল কলেজের জন্য ভাষণ রচনা কর


স্কুল কলেজের জন্য ভাষণ রচনা কর

নমুনাঃ ১.স্কুল/কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।

‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম,

আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং আমার শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক ও আমার সামনে উপবিষ্ট সকল শিক্ষার্থীদের কে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানাই,”আসসালামু আলাইকুম”। অত্যান্ত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আজ আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান। যদিও আমরা মনে করি এটা একটা বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র । কারণ মন থেকে চিরতরে বিদায় নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়েছি এবং এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ আমাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পড়িয়েছেন, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষাদিয়েছেন তা আমরা কখনও ভুলব না। এজন্য আমরা আপনাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।এই স্কুল কলেজে পড়ে থাকবে কৈশোর আর বয়সন্ধির অসংখ্য স্মৃতি বিজরিত রোমাঞ্চিত দিনগুলো। কিন্তু আজ ইচ্ছার বিরোদ্ধে আমাদের নিতে হবে বিদায় , এ বিদায় চির বিদায় নয় তবুও মনটা কেমন যেন করে ওঠে। আজ শিক্ষাজীবনের একটি অধ্যায় সমাপ্ত করে পরের অধ্যায়ে পা রাখার উদ্দেশ্যে আমরা বিদায় নিচ্ছি।আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনে আরো উন্নতি করে দেশ মাতৃকার উন্নয়নে কিছু করিতে পারি ।এছাড়া এখানে দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে আপনাদের অনেক শাসন-বাড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে যা সাময়িক বিরক্তির কারণ হলেও এখন এই শেষ মুহুর্তে বুঝতে পারছি এটা আমাদের জন্য কতটা দরকারী ছিল।

তাই আমাদের কোন আচরণে যদি কোন শিক্ষকশিক্ষিকা কষ্ট পেয়ে থাকেন আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন. মাফ করে দিবেন। আমি সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিনীত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বিদায় মুহুর্তে আর বেশী কিছু বলতে চাই না এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।

-----ধন্যবাদ সবাইকে।

নমুনাঃ২ তোমার কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।

‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’

আজকের অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি,অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ , আমার প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী এবং আমার ভাই ও বোনেরা ”আসসালামু আলাইকুম”

আজকের এই দিনটি আমি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি। জনাব মোঃ আসাদুজ্জমান আসাদ স্যারকে। যিনি অল্প সুযোগ সুবিধা নিয়ে শিক্ষার মাধ্যমে সবাইকে আলোকিত করার প্রয়াস নিয়ে অত্র স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন ।আমি আরও স্বরণ করছি জনার মোঃ আফজাল স্যার কে যিনি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছেন। পরবর্তীতে স্কুল থেকে কলেজে প্রতিষ্ঠা করে উচ্চশিক্ষার পথ সহজ করেছেন।যার ফলে আমরা অত্র কলেজ হতে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করতে পেরেছি।

আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন আামরা যেন এই কলেজের মুখ উজ্জল করতে পারি এবং প্রতিষ্ঠানটির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।
কবির ভাষায় বলতে চা্ই

কত স্মৃতি হাসি মাখা দিন
মিশে আছে এই খানে
প্রতিটি পাথর-বেঞ্চ-ঘন্টা সবার মাঝে
আমাদের ভালবাসা
আজ ছাড়িতে হবে এসব,
দিতে হবে বলি ,একি ব্যথা।
রচিত হবে স্মৃতির মাঠ,হবে কি আর কখনো এভাবে আসা ?

হে প্রিয় আলয় ,তোমায় বলি করি শেষ আরতি
আমাদে র যেন ভুলিও না তুমি,
রেখ মনে চিরদিন

সবশেষে ,
এই স্কুল থেকে চলে যাচ্ছি কিন্তু রেখে যাচ্ছি স্মৃতি।
আমাদের সকল ভুল , বেয়াদবি মাফ করে দিবেন
আর সকল ছোট ভাইদের জন্য
রইল শুভকামনা ।

--ধন্যবাদ সবাইকে

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

বৈদ্যুতিক চিঠি/ক্ষুদে বার্তা/পত্রলিখন অথবা আবেদন পত্র

Flowers in Chania বৈদ্যুতিক চিঠি,ক্ষুদে বার্তা,পত্র লিখন,আবেদন পত্র  ২টি প্রশ্ন থাকবে  ১টির উত্তর দিতে হবে ---১০নম্বর

১.➤বন্ধুরা মিলে বনভোজনে যাবে ঠিক করেছ। টাকা পাঠাতে বড় ভাইয়ের কাছে একটি  ই-মেইল বার্তা লেখ ?
➤সম্প্রতি পড়া কোনো বই সম্পর্কে বন্ধুকে একটি ই-মেইল বার্তা  লিখ
➤বন্ধুর পিতৃবিয়োগের সান্তনা জানিয়ে একটি ই মেইল বার্তা  লিখ
➤বড় বোনের বিয়ে উপলক্ষে বন্ধু সাথীকে নিমন্ত্রন জানিয়ে একটি  ই-মেইল প্রস্তুক কর ।
➤বাংলা নববর্ষ  উদযাপনের বৈচিত্র্য তুলে ধরে প্রবাসী বন্ধুকে পাঠানোর জন্য একটি  ই-মেইল  প্রস্তুত কর ।


উত্তর ঃ

To; sayla676@gmail.com
CC; carbon copy
BCC;blind carbon copy a copy  of an e-mail sent to someone whose name and address isn't visible     to  other recipients.
subject;-----টাকা পাঠানো প্রসঙ্গে

ভাইয়া,
আমার সালাম নিবে ।নিশ্চয় তুমি ভাল আছ । বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করেছে  যে এবারের শীতে বনভোজনে যাবে।ভাবছি আমিও যাব, কিন্তু বাবার পাঠানো টাকা ‍ দিয়ে বনভোজনের চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয় । তা ছাড়া কিছু কাপড়ও কেনা লাগবে। তাই তুমি যদি কিছু টাকা পাঠাতে ,তবে আমার জন্যে বিশেষ সুবিধা হতো। ই-মেইল পাওয়ার সাথে সাথে মতামত জানাবে ্ বাসার সবার প্রতি ভালোবাসা রইল।

তোমার ছোট বোন
সায়মা


২. ক্ষুদে বার্তাঃ প্রতিদিন  মোবাইল ফোনে যখন আমরা  কাউকে  এস এম এস পাঠা্ই সেটাই  হল ক্ষুদেবার্তা ক্ষুদে বার্তার ক্ষেত্রে তারিখ,সময় উল্লেক করার প্রয়োজন হয়না নাম্বার এর কলামে নাম্বার এবং লিখার অংশে মূলবক্তব্য লিখে সেন্ড । নাম্বার ০১৭০০০০০০০১

নমুনা:
প্রাপক নাম্বার ০১৭০০০০০০০১

‘ফাগুনের এই প্রথম দিনে তোমাকে
কৃষ্ঞচুড়ার শুভেচ্ছা সহ
আমাদের বাসায় পান্তা খাবার
 দাওয়াত রইল
         ---- কাকন



দিনলিপি/অভিজ্ঞতা/ভাষণ রচনা ও প্রতিবেদন

W3.CSS

Without a Container

দিনলিপি লিখন,অভিজ্ঞতা বর্ণনা,ভাষণ রচনা, ও প্রতিবেদন লেখা থেকে ২টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ।--১০ দিনলিপি এক ধরনের অভিজ্ঞতা বর্ননা ; দিনলিপির আভিধানিক অর্থহলো রোজনামচা বা দিনপঞ্জি ;দিনলিপির ইংরেজী পরিভাষা হল (Diary) ক.দিনলিপি একটি সাহিত্যকর্ম,গল্পের আকারে লিখা উত্তম খ,দিনলিপি লেখার সময় রোজনামচার বাদিকে তারিখ ,মাস,সাল , সময় ও দিনটি কী বার ছিল বিস্তারিত লিখতে হবে। গ.দিনলিপি সহজ সরল ভাষাতে লেখাই উত্তম ঘ.দিনলিপিতে বানোয়াট কিছু লেখা চল না ঙ.দিনলিপিতে নিজের অভিজ্ঞতা ,অভিমত প্রকাশ করা যায় চ.আমজনতা সাধারণত বিশেষ দিনের দিনলিপি লিখে থাকেন ঐ দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য ।
It provides correct margins, padding, alignments, and more, to most HTML elements.

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

বাংলা ২য় পত্র


১.➤উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ  ‍বুঝিয়ে দাও ।
২.➤উপসর্গ কাকে বলে ? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভুমিকা বা গুরুত্ব কী ?
অথবা➤  উপসর্গের বৈশিষ্ট্য  বা কাজ কী ? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভুমিকা বা গুরুত্ব কী ?


১.  যে সব অব্যয় নাম শব্দের পূর্বে  বসে অর্থের  সংকোচন সম্প্রসারণ করে এবং নতুন শব্দ গঠন করে  ঐ সকল অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে।
খ. শব্দ বা ধাতুর আদিতে যা  যোগ হয় তাকে উপসর্গ  বলে।

   যেমন:- মন একটি শব্দ। এর আগে ‘অপ’ যোগ হয়ে ‘অপমান’।যদি ‘পরি’ যোগ করা হয় তাহলে পরিমান’ হবে।
‘অভি’ অব্যয়টি যোগ হলে হবে  ‘অভিমান ’।
অব্যয় +ধাতু=নতুন শব্দ
অপ+মান =অপমান
পরি+মান =পরিমাণ
অভি+মান =অভিমান

২.যে সব অব্যয় নাম শব্দের পূর্বে  বসে অর্থের  সংকোচন সম্প্রসারণ করে এবং নতুন শব্দ গঠন করে েঐ সকল অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে। [উপসর্গ সবসময় ধাতুর বা শব্দমূলের পূর্বে বসে ]
 বাংলা ভাষাতে উপসর্গ তিন প্রকার
 ক. বাংলা উপসর্গ ২১টি  খ. সাংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ  ২০টি  গ. বিদেশি উপসর্গ

বাংলা ভাষাতে  খাঁটি বাংরা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি খাঁটি বাংলা শব্দের পূর্বে এগুলো যুক্ত হয।
যথা:   অ ,অঘা,অজ,অনা,আ ,আড়, আন ,আব ,ইতি, উন (উনা) কদ ,কু, নি,পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা ।
শব্দ গঠন:
  1. অ+কাজ=  অকাজ        [এখানে অ উপসর্গ  কাজ শব্দের পূর্বে বসে বিপরীত অকাজ শব্দটি গঠিত  হয়েছে]
  2. অঘা+চন্ডী= অঘাচন্ডী
  3. ভর+দুপুর= ভরদুপুর
  4. রাম+ছাগল= রামছাগল
  5. ভর+পেট=  ভরপেট
এখানে যেমন নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে তেমনি অর্থের ও পরির্বতন হয়েছে।উপসর্গ  যুক্ত হয়ে শব্দের সাধারণত পাঁচ ধরনের পরিবর্তন হয়।
ক,  নতুল অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে। যেমন:ছায়া থেকে প্রচ্ছাযা, (গাঢ় ছায়া)
খ.শব্দের অর্থ  পরিপূর্ণ হয়।                         পুষ্টি থেকে পরিপুষ্টি
গ. শব্দে র অর্থ সম্প্রসারিত হয়।                   তাপ থেকে প্রতাপ (পরাক্রম)
ঘ.শব্দের অর্থের সীমা সংকুচিত হয়।             রাজি থেকে নিমরাজি (পূণূ রাজি থেকে অর্ধ্বেক রাজি )
ঙ.শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে।                   কথা থেকে  উপকথা (কল্পিত গল্প )

    উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনের এক বিশেষ প্রক্রিয়া।যদিও উপসর্গের কোন নিজস্ব কোন অর্থ নেই কিন্তু অন্য অর্থবোধক শব্দের পূর্বে বসিয়া নতুন অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে, সর্বোপরি ভাষার সৌন্দর্য, মাধুর্য ,সাবলীলতা ও গতিশীলতা সৃষ্টিতে উপসর্গের গুরুত্ব অপরীসিম।

প্রশ্ন: উপসর্গ  কাকে বলে। উপসর্গের অর্থবাচকতা নাই ,কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে ।আলোচনা কর /উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

বাংলায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে ,যা স্বাধীন  ভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না ্। কিন্তু  এগুলো অন্য শব্দের আগে বসে। এই অব্যয়  গুলোর প্রভাবে নতুন অর্থবোধক শব্দের  সৃষ্টি হয় এবং শব্দের অর্থের পূর্ণতা দান করে অথবা অর্থের সম্প্রসারণ করে  ,সংকোচন করে  ভাষায় ব্যবহৃত  এসকল গুরুত্বপূর্ন অব্যয়কে উপসর্গবলে। উপসর্গ তিন প্রকার সংষ্কৃতি উপসর্গ, খাটি বাংলা উপসর্গ এবং বিদেশি উপসর্গ।

যেমন : প্র , আ , বি , ইত্যাদি উপসর্গগুলোর কোন অর্থবাচকতা নেই  অর্থাৎ নিজস্ব কোন অর্থনেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে যা অন্য শব্দের পুর্বে বসে অর্থপুর্ণ   হয়ে উঠে যেমন:- প্র+ হার ==প্রহার , আ+ হার =আহার , বি+হার  = বিহার

উপসর্গ  যুক্ত হয়ে শব্দের সাধারণত পাঁচ ধরনের পরিবর্তন হয়।
ক, নতুল অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে। যেমন:ছায়া থেকে প্রচ্ছাযা, (গাঢ় ছায়া)
খ.শব্দের অর্থ  পরিপূর্ণ হয়।                         পুষ্টি থেকে পরিপুষ্টি
গ. শব্দে র অর্থ সম্প্রসারিত হয়।                   তাপ থেকে প্রতাপ (পরাক্রম)
ঘ.শব্দের অর্থের সীমা সংকুচিত হয়।             রাজি থেকে নিমরাজি (পূণূ রাজি থেকে অর্ধ্বেক রাজি )
ঙ.শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে।                   কথা থেকে  উপকথা (কল্পিত গল্প )

পরিষেশে বলা যায  উপসর্গ গুলোর নিজস্ব কোন অর্থ না থাকলেও এই অব্যয়  সমুহ  শব্দের  আগে যোগ হয়ে নতুন নতুন অর্থের সৃষ্টি করে যা ভাষার গতিশীলতা , সৌন্দর্য, ও অর্থের পরিপূর্ণতা আনয়ন করে যা বাংলা  ভাষার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে  । সুতরাং  এ কথা বলা যায় উপসর্গের কো অর্থবাচকতা নাই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা   অাছে।



                                        শব্দগঠন


প্রশ্ন:বাংলা শব্দ গঠন প্রণালি সংক্ষেপে আলোচনা কর ?
➤ শব্দগঠন বলতে  কী বোঝ ? কী কী  উপা্য়ে বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা
➤শব্দগঠন কী ? বাংলা  ভাষায় শব্দগঠনের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ  লেখ।

উত্তর:--শব্দের  অর্থ বৈচিত্র্যর জন্য  নানাভাবে তার রুপান্তর সাধন  করা হয় ।  এভাবে বিভিন্ন অর্থে ব্যাবহার উপযোগী করে তোলার জন্যে শব্দ তৈরী করার প্রক্রিয়াকে এক কথায় শব্দগঠন বলে। শব্দগঠন  প্রধানত  উপসর্গ
,প্রত্যয়, সমাস--এই তিনটি উপায়ে  হয়ে থাকে।

ক. শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করে :যেমন হার শব্দের পূর্বে প্র উপসর্গ যোগ করলে পাওয়া যাায় নতুন অর্থবোধক শব্দ প্রহার (প্র+হার=প্রহার) । এরকম আহার ,অনাচার ,কুশাসন,অধিকার ইত্যাদি।

খ. শব্দের শেষে  প্রত্যয় যোগ করে ;ঢাকা শব্দের পরে আই প্রত্যয় যোগ হয়ে  নতুন শব্দ অর্থবোধক শব্দ ঢাকাই’ (ঢাক+আই=ঢাকাই) পাওয়া যাবে ।  এরকম  জলা (জল+আ) রোগা  ( রোগ+আ)

গ. সমাসের সাহায্যে একাধিক শব্দকে এক শব্দে পরিণত করে :যেমন-- চৌ রাস্তার সমাহার =চৌরাস্তা,
চাঁদের মতো মুখ=  চাঁদমুখ  ইত্যাদি।

ঘ.সন্ধির সাহায্যে শব্দগঠন: ক) বচ্=তব্য =বক্তব্য

ঙ. দ্বিরুক্তির সাহায্যে শব্দগঠন:
বাংলা ভাষায় একব িশব্দ বা পদ দুইবার ব্যবহৃত হয়ে অন্য একটি অর্থ  প্রকাশ করে । তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ  বলে যেমন অমার জ্বর জ্বর লাগছে। এখানে ‘জ্বর জ্বর’ দ্বিরুক্ত শব্দটি ঠিক ‘জ্বর’ অর্থ  প্রকাশ করছেনা  জ্বরের ভাব প্রকাশ করছে।
‘ভেজা ভেজা’ ‘ঘন ঘন’ ‘কাপড় চোপর’ ‘ঘরে ঘরে’



প্রশ্ন:➤বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের প্রয়োজন আলোচনা কর।
অথবা
প্রশ্নঃ ➤ধাতু থেকে শব্দ এবং শব্দ থেকে নতুন শব্দ কীভাবে গঠিত হয়। প্রত্যেকটির দুটি করে  উদাহরণ দাও।

উত্তর ঃ-










চলমান➥






বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

সৃজনশীল বোর্ড প্রশ্ন নমুনা

সৃজনশীল প্রশ্ন 
বাংলা ১ম পত্র

সময় ২ ঘন্টা ২০ মিনিট                                                                          মান ৭০  বিষয় কোড ১০১
ক-বিভাগ (গদ্য )
১ শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞনচর্চা ও মানুষত্বের  বিকাশ সাধন। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার লক্ষ্য পৌছানোর জন্য শিক্ষার্থীদের  লেখাপড়ার আগ্রহ কম আত্ননির্ভরশীল  হওয়ার জন্য তারা নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলে না । তাই আত্ন প্রতিষ্ঠা্র জন্য তদের খুটির জোরের আশ্রয় নিতে হয় । ফলে জ্ঞানার্জনের আনন্দ থেকে তারা দুরে সরে পড়ে ।এভাবে তারা নিজেদের উাপর আস্থা হারিয়ে ফেলে । পরিণতিতে  তাদের মধ্যে জন্ম নেয় হতাশা ও পরনির্ভরশীলতা ্

ক. ‘আমার পথ’  প্রবন্ধে ‘আমার পথ’ আমাকে কী দেখাবে ?                                                          ১
খ.অনুপমের সম্মার্জনা বলতে অামার পথ’ প্রবন্ধে কী বোঝানে হয়েছে ?                                           ২
গ.উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’প্রবন্ধের মিলসমূহ চিহ্নিত কর ।                                                   ৩
ঘ.নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে  তৈরী হয় পরনির্ভশীলতা --উদ্দীপক ও আমার পথ  প্রবন্ধ অবলম্বনে  মন্তব্যটি বিচার কর ।                                                                                                ৪

২.সমাজ পতিদের চাপে পড়ে ্শেষ পর্যন্ত সৌদামিনী  প্রকাশ করতে বাধ্য হয়  যে , তার পালিতপুত্র হরিদাস  নমশূদ্র নয় ।আর একথা জেনেই সে নিরুদিষ্ট হয়।সৌদামিনীর মাতৃত্বের অবসান হয় । ফলে অচিরেই তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে ্ সমাজের চাপে সৌদামিনীর মাতৃহৃদয়ের  বলি ঘটে ,তবে তাঁর হৃদয়ের হাহাকার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকো । তার দীর্ঘশ্বাসে উচ্চকিত হয় --মাতৃহৃদয়ের কাছে ধর্ম ,অর্থ সকলই তুচ্ছ । এভাবেই জয হয মানবিক সম্পর্কের ।
ক.আহ্বান গল্পে  লেখক বুড়িকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন ?                                                               ১
খ.“ওরা স্নেহাতুর  আত্না বহুদুর থেকে আমায় আহ্বান করে এনে “--ব্যাখ্যা কর ।                                   ২
গ.উদ্দীপকের সৌদামিনী মালো আহ্বান’গল্পের  কার সঙ্গে তুলনীয় ? আলোচনা কর ।                             ৩
ঘ. “উদ্দীপক ও আহ্বান গল্পে অপত্য স্নেহের নিকট সাম্প্রদায়িক চেতনা পরাজিত হয়েছে ।” --বিচার কর ।  ৪

৩. “তবুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দুর
ফল আস্বদনে ফায় আনন্দ প্রচুর ।
বিদায়ের কালে হাতে ভার ভেঙে লয়,
তবু তবু অকাতর , কিছু নাহি কয় ।
দুর্লভ মানব জন্ম পেয়েছো যখন
তবুর আদর্শ কর জীবনে গ্রহণ
পরার্থে আপন সুখ দিয়ে বিসর্জন
তুমিও হওগো ধন্য তবুর মতন ।”

ক.সাধনার ব্যাপারে বড় জিনিস কী ?                                                                                            ১
খ.‘অনবরত ধেয়ে চলা মানুষের সাধনা হওয়া উচিত নয়’ --বুঝিয়ে দাও ।                                          ২
গ.উদ্দীপকের সঙ্গে  ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধটি কিভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ?                                                    ৩
ঘ.‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে বিকাশ ও দানের কথা বর্ণিত  হলেও  উদ্দীপকে শুধুই  ত্যাগের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে ।--বিশ্লেষণ কর ।                                                                                                                            ৪
৪.
                                                                 খ- বিভাগ ((পদ্য )















মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮

বাংলা ২য় পত্র

পারিভাষিক শব্দঃ - ভাষা শব্দের পূর্বে ‘পরি’  উপসর্গযোগ হয়ে পরিভাষা শব্দটি গঠন হয়েছে । এর আক্ষরিক অর্থবিষেশ ভাষা । পারিভাষিক শব্দের অর্থ হলো কোন ভাষার মধ্যে বিশেষ অর্থে ব্যবহার যোগ্য শব্দ । বস্তুুত পরিভাষিক শব্দগুলো  জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুনিদিষ্টক্ষেত্রে সুনিদিষ্ট  অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
ফলে সব শব্দই পারিভাষিক শব্দ নয়, কিন্তু সব পারিভাষিক শব্দই সাধারন শব্দ ।
বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত পারিভাষা বা পারিভাষিক শব্দ-(এক নজরে ১৬ বছরের পারিভাষিক শব্দের উত্তর )

A--
abatement--উপশম
abbreviation--সংক্ষেপণ
abeyanc--স্থগিতকরণ
abolotion--বিলোপ
above par--অধিমূল্য
absolute--পরম
absorption--আত্নীয়করণ
abstain--বিরত হওয়া
accademy--শিক্ষায়তন
academic--শিক্ষায়তনিক/অধিবিদ্যা
academic year--শিক্ষাবর্ষ
accessories--সরঞ্জাম
accept--স্বীকার করা
accidental--আকস্মিক
account -general--মহা হিসাবরক্ষক
acknowledgement--প্রপ্তিস্বীকার
acting--ভারপ্রাপ্ত
acting editor--ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
acting appointment--সাময়িক নিয়োগ
adaptation--অভিযোজন
address of wellcome--সংর্বধনা ভাষণ
admiral--নৌ - সেনাপতি
adult educaton --বয়স্ক শিক্ষা
adult suffrage--প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার
adviser--উপদেষ্টা
advisory board--উপদেষ্টা পর্ষদ
aerodrome--বিমানঘাঁটি
affidavit--শপথনামা /হলপনামা
agenda--আলোচ্য সূচী
agronomist--কৃষিবিদ
air mail--বিমান-ডাক
allotment--বরাদ্দ
amusement--বিনোদন
amusement park --বিনোদন পার্ক
air maill--বিমান ডাক
amendment--সংশোধনী
amnesty--রাষ্ট্রীয় ক্ষমা
article--অনুচ্ছেদ
arrear--বকেয়া
assembly--পরিষদ
attestation--প্রত্যয়ন
auction--নিলাম
autobiography--আত্নজীবনী
autonomous--স্বায়ত্ত্ব শাসিত
B--
biblography--গ্রন্থপঞ্জি
black-out--নিস্প্রদীপ
blueprint--নীলনকশা
booklet--পুস্তিকা
bureau--সংস্থা
by-election--উপ-নির্বাচন
by-law--উপ-অাইন
bearer--বাহক
bidder--নিলাম ডাকিয়ে
banquet--ভোজসভা
bench--এজলাস
bacground--পটভূমি
boycott--বর্জন
bribery-ঘুষ
bureaucracy--আমলাতন্ত্র
broker--দালাল
C--
capitalist--পুঁজিবাদী
caption--পরিচিতি,পরিচয় নাম
catalogue--তালিকা,গ্রন্থতালিকা
cess--উপকর
code--সংকেত/বিধি
conduct--আচরণ
concession--রেয়াত/ছাড়/সুবিধা
Cbinet--মন্ত্রিপরিষদ
Caretaker--তত্বাবধায়ক
Ccaaual leave --নৈমিত্তক ছুটি
Census--আমশুমারী
chancellor--আচার্য
circular--বিজ্ঞপ্তি
co-ordination--সমন্বয়
code of conduct--আচরণবিধি
constitution--সংবিধান
consumer--ব্যবহারকারী
copyright--লেখস্বত্ব
cordon--বেষ্টনী
correspondent--সংবাদদাতা
counsel--পরামর্শ/অধিবক্তা/পরামর্শ
corruption--দুর্নীতি

D--

deed of gift--দানপত্র
deputation--প্রতিনিধিত্ব/প্রেষণ
dialect--উপভাষা
donor--দাতা
duel--দন্দ্বযুদ্ধ
dynamic--গতিশীল/গভীর
diagnosis--রোগনির্ণয়/নিদান
Dead-lock---অচলাবস্থা
demi-official--আধা সরকারী
demonstrator--প্রদর্শক
deputation--প্রেষণ
diplomat--কুটনীতিক
director general--মহাপরিচালক
document--দলিল




E---

edition--সংস্করণ
editor--সম্পাদক
encdyclopaedia--বিশ্বকোষ
equation--সমীকরণ
ex-officio--পদাধিকার বলে
expect--বিশেষজ্ঞ]
extension--সম্প্রসারণ
epitaph--এপিটাপ/সমাধিলিপি
epuality--সমতা
ethics--নীতিবিদ্যা
eye-wash--ধোঁকা
excuse--অজুহাত
F--
fiel--নথি
fine arts--চরুকলা
factual mistake--তথ্যগত ভ্রম
fair ledger--পাকা খতিয়ান
farce--প্রহসন
flat rate--সমাহার (fixed rate--বাঁধা হার )
follow-up--অনুসরণ করা
forecast--পূর্বাভাস
fundamental--মৌল/মৌলিক/মূল
fellowship--ফেলোবৃত্তি
field book--করচা বই
file keeper--নথিরক্ষক
fingerprint--আঙ্গুলের ছাপ/টিপসহি
firen-extinguisher--অগ্নিনির্বাপক
first information report--এজাহার
fiscal year--অর্থবৎসর

G--

gazetted--ঘোষিত
get-up--অঙ্গ সজ্জা
geology--ভূতত্ব
gist--সারমর্ম
green house--সবুজ বলয় /গ্রিন হাউস
goodwill--সুনাম
grant--অনুদান
green room--সাজ ঘর
gunny--চট

H---

hand bill--প্রচার পত্র
hearing--শুনানি
hood--বোরকা
heroin--হেরোইন
highway--মহাপথ
hygiene--স্বাস্থ্যবিদ্যা
home ministry--স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
honorary--অবৈতনিক
humanity--মানবতা
hypocrisy--কপটতা,ভন্ডামি
I--
idiom--বাগধারা
impeachment--অভিসংশন,মহাভিযোগ
initial--প্ররম্ভিক/অনুস্বাক্ষর
interim--অর্ন্তবতীকালীন
interview--সাক্ষাৎকার
interpreter--দোভাষী
invoice--চালান
investigation--অনুসন্ধান
irrigation--সেচ
key-word--মুল শব্দ

L--
leap year--অধিবর্ষ
lease--ইজারা
legend--কিংবদন্তি
lender--মহাজন/
lien--পূর্বস্বত্ব
light year--আলোক বর্ষ
M--
mass education--গণশিক্ষা
memorandum--স্মারকলিপি
mercury--পারদ
method--প্রণালি/পদ্ধতি
migration--প্রব্র্রজন
millennium--সহস্রাব্দ
mineral--খনিজ
misconduct--দুস্চরিত্র
museum--জাদুঘর
N--
nationality--জাতীয়তা
myth--পুরাণ
national assembly--জাতীয় পরিষদ
nationalisation--জাতীয়করণ
neutral--নিরপেক্ষ
note--মন্তব্য
notice board--বিজ্ঞপ্তি ফ লক
notification--প্রজ্ঞাপন
nursery--শিশুশালা ,তরুশালা
nutrition--পুষ্টি
O--
oath--শপথ
obedient--অনুগত
obligatory--দায়িত্বমূলক
occupation--বৃত্তি ,উপজীবিকা
octave--
office bearer--কর্মকর্তা
option--ইচ্ছা
optional--ঐচ্ছিক
organ--অঙ্গ ,যন্ত্র
P--
para--অনুচ্ছেদ
pay--বেতন,মাহিনা ,পরিশোধ করা
parliament--সংসদ
parole--প্যারোল/বচন/বন্দীর শর্তাধীন মুক্তি
passport--ছাড়পত্র
pass-word--সংকেত
pay-bill--বেতন পত্র
pay-order--পরিশোধ আদেশ
payee--প্রাপক
payslip--বেতনপত্রী/পে স্লীপ
penal code--দন্ড বিধি
phonetics--ধ্বণিবিজ্ঞান
pen friend--পত্র মিতা
plosive--স্পৃষ্ট
postmark--ডাকছাপ
pollution--দূষন
prepaid--আগাম প্রদত্ত
president--রাষ্ট্রপতি,সভাপতি
prescription--ব্যবস্থাপত্র
prime--প্রধান/মূখ্য
principal--অধক্ষ্য
principle--তত্ত্ব/সূত্র
public--সরকারি জন/জনসাধারণ
publicity--প্রচার
publication--প্রকাশনা
public fund--সরকারি তহবিল
public opinion--জনমত
public relations--জনসম্পর্ক
public service --জনসেবা
public works--গণপূর্ত
Q--
quarterly--ত্রৈমাসিক
quack--হাতুরে
query--জিজ্ঞাসা, প্রশ্ন
quarantine--সঙ্গরোধ
quack--সারি,সার
quota--যথাংশ,কোটা
R--
racism--জাতি-বিদ্বেষ
rank--পদমর্যাদা
ratio--অনুপাত
reality--বাস্তবতা
recommend--সুপারিশ করা
record room--মহাফেজ খানা
reform--সংস্কার ,সংস্কার করা
regiment--সৈন্যদল
registration--নিবন্ধন
referendum--গণভোট
refugee--উদ্বাস্তু/বাস্তুহারা
renew--নবায়ন
republic--প্রজাতন্ত্র
revenue--রাজস্ব
S---
routine--নিত্যক্রম
sabotage--অন্তর্ঘাত
salary--বেতন,মুজুরি
sanction--অনুমোদন/মঞ্জুরি
saving certificate--সঞ্চয়পত্র
scale--মাপনী
secondary--মাধ্যমিক
sestet--ষটক
settlment--নিষ্পত্তি
sir--মহোদ্বয়/জনাব/ স্যার
skull--করোটি
specialist--বিশেষজ্ঞ
sponsor--পোষক/পোষণ করা
stock-market--শেয়ার বাজার
subsidy--ভর্তুকি
surely--নিশ্চয়
surplus--উদ্বৃত্ত
T
tax--কর
telecommunication--টেলিযোগাযোগ
termination--অবসান
terminology--পরিভাষা
theory--তত্ত্ব
token--প্রতীক
tradition--ঐতিহ্য
trial--বিচার
tribunal--ন্যায়পীঠ/ট্রাইবুনাল
transparency--স্বচ্ছতা
treaty--সন্ধি

চলমান পাতা

















শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮

লোক-লোকান্তর --আল মাহমুদ

Girl in a jacket
✿লোক-লোকান্তর

✿লেখক-আল মাহমুদ

[সূত্র:নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স ০১৮]
আমার চেতনা যেন একটি সাদা ‍সত্যিকার পাখি,
বসে আছে সবুজ অরণ্যে িএক চন্দনের ডালে,
মাথার উপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে
দোলে বন্য পানলতা, সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি
হয়ে আছে ঠোঁট তার । আর দুটি চোখের কোটরে
কাটা সুপারির রঙ, পা সবুজ ,নখ তীব্র লাল
যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল
চোখ যেন রাখতে নারি আত বন্য ঝোপের ওপরে ।
তাকাতে পারি না আমি রুপে তার যেন এত ভয়
যখনি উজ্জ্বল হয় আমার এ চেতনার মণি,
মনে হয় কেটে যাবে ,ছিঁড়ে যাবে সমস্ত বাঁধুনি
সংসার সমাজ ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে লোকালয়।
লোক থেকে লোকান্তরে আমি যেন স্তব্ধ হয়ে শুনি
আহত কবির গান ।কবিতার অাসন্ন বিজয়।

কবি পরিচিতি:-আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালে ১১ই জুলাই ব্রাহ্মনণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর প্রকৃত নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ।কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড হাই স্কুলের পড়াশুনা করেন ।মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখি শুরু । আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ্ আজীবন আত্নপ্রত্যয়ী কবি ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা করে একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।

পেশা ------- : কবি,সম্পাদক ,সাংবাদিক
জাতীয়তা -- :বাংলাদেশী
জাতি ------ :বাঙালি
নাগরিকত্ব : বাংলাদেশ সহ বৃট্রিশ.পাকিস্তান
কবি সময়কাল : বিংশ শতাব্দী
ধরণ : কবিতা ,গল্প, উপন্যাস
উল্লেখযোগ্য রচনা:, লোক-লোকান্তর, কালের কলস, সোনালি কাবিন, কাবিলের বোন

পুরস্কার :বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জয়বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কার, সুফী মোতাহের হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, সমান্তরাল (ভারত) ভানুসিংহ সম্মাননা পদক, লেখিকা সঙ্ঘ পুরস্কার, হরফ সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার ইত্যাদি।

দাম্পত্য সঙ্গী : সৈয়দা নাদিরা বেগম

মূলভাব-

‘লোক-লোকান্তর’ কবির আত্মপরিচিতিমূলক কবিতা। বাস্তব জগতের বিরুদ্ধে পরিবেশের চরে কবি আহত হয়েছেন। তাই তাঁর চেতনার শান্তিকামী পাখিটি লোকালয় থেকে দূরে প্রকৃতির নিবিড় জগতে উড়ে চলে যায়। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে কবিতাসৃষ্টির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে। তাছাড়া তাঁর চোখে, চেতনায়, সর্বাঙ্গে বাংলার গ্রাম ও স্বাধীনতার ভাব মিশে আছে। বাস্তবতার চরে আহত পাখিটি সেখানে গান-কবিতার সুনিশ্চিত বিজয় লক্ষ্য করে, লোক থেকে লোকান্তরে গান গেয়ে যেতে চায়। ওইপ্রকৃতির জগৎটি প্রকৃতপক্ষে কবির অনিষ্ট সাহিত্যের জগৎ।

পাঠ পরিচিতি---------

এই কবিতাটি আলমাহমুদের লোক লোকান্তর কাব্যের নাম-কবিতা ।এটি কবির আত্নপরিচয়মুলক কবিতা ।কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসত্তা সুন্দরেরও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান । প্রাণের মধ্যে,প্রকৃতির মধ্যে সুষ্টির মধ্যে তার বসবাস ।কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান,এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রনা কবিকে কাতর করে , আহত করে । তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সুষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।

সৃজনশীল প্রশ্ন:- ১.
আমার মন চৈত্রে পলাতক
পলাশে আর আমের ডালে ডালে
সবুজ মাঠে মাঝবয়সী লালে
দন্ড দুই মুক্তি-সুখে জিরায়:
মাটির কাছে সব মানুস খাতক।

একটি গানে গহন স্বক্ষরে।
জানো কি সেই গানের আমি চাতক?

ক.লোক-লোকান্তর কোন জাতীয় কবিতা?
খ.আমার চেতনা যেন একটি সাদা সত্যিকার পাখি -বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ.উদ্দীপক ও লোক-লোকান্তর কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উক্ত দিক কবিসত্তার প্রকাশ --বিচার কর ।

১ প্রশ্নের উত্তর :-
ক.➤লোক লোকান্তর একটি আত্নপরিচয়মূলক কবিতা ।

খ.➤প্রশ্নোক্ত চরণটির মধ্যে দিয়ে কবির কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনার স্বরুপ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতির মহা সমারোহে কবি তাঁর কাব্যচেতনাকে আবিস্কার করেছেন একটি সত্যিকার সাদা পাখির অবয়বে। সবুজ অরণ্যে চন্দন -সুগন্ধের স্নিগ্ধতা নিযে তার আর্বিভাব; যা মূলত কবির কাব্যবোধেরই স্মারক। সে কারণে চরণটির রুপকে কবি মূলত তাাঁর কাব্যসত্তার মধুরতম অংশটিকে প্রজ্জ্বল করেছেন।

উপবোক্ত চরণটির মধ্যে কবির কাব্য চেতনার স্বরুপ প্রকাশিত হয়েছে।

গ.➤ লোক লোকান্তর কবিতায় কবিতায় অস্ফুট প্রকৃতির অনিন্দ্য উদ্ভাসনের অংশটিই উদ্দীপকে প্রকট হয়েছে; সেদিক থেকে কবিতা দুটি সাদৃশ্যপূর্ণ লোক লোকান্তর কবিতায় কবি প্রকৃতির সন্নিধানে তারঁ কাব্যবোধকে তুলে ধরেছেন শব্দসৌকর্যের বহুমাত্রিকতায়। সেখানে কবিচেতনা কোনো জড়াশ্রিত অবয়বকে ঘিরে অঙ্কুরিত হয়নি বরং তা আত্নপ্রকাশ করেছে একটি পাখির অবয়বে যা প্রাণপ্রচুর্যেরও প্রতীক।অর্থাৎ কবি প্রকৃতি ও প্রাণকে আশ্রয় করেই নিজেকে মেলে ধরেছেন।যেখানেই তাঁর অবস্থান হোক না কেন , প্রকৃতিই শেষাবধি তাঁর কবিসত্তাকে বাঁচিয়ে তুলেছে। উদ্দীপকের কাব্যাংশে কবির মধ্যে আমরা প্রকৃতির প্রতি টান অনুভব করতে দেখি । তিনি অবচেতন মনেও প্রকৃতির চিরায়ত আহ্বানকে উপেক্ষা করতে পারেননি। কবি হৃদয় এখানে তাঁর পাশের সকল অবয়বকে ভেঙে প্রকৃতির মাঝে আশ্রয় খুঁজেছে। আমরা লোক লোকান্তরের কবির মধ্যেও অনুরুপ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছি।

ঘ➤উদ্দীপকে উক্ত দিকটি কবি সত্ত্বার প্রকাশ বলে আমি মনে করি।

কবি আল মাহমুদ লোক লোকান্তর কবিতায় তাঁর আত্নচেতনাকে সত্যিকারের সপ্রাণ একটি পাখির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। প্রাণের মধ্যে প্রকৃতির মধ্যে জীবনের সৃষ্টির মধ্যে তাঁর কাব্যচেতনার বসবাস। কবি এই পাখির অবয়বে তাঁর কাব্যচেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান।তাঁর এই নান্দনিকবোধই তাঁকে কাব্যচেতনায় উদ্ধুদ্ধ করেছে । উদ্দীপকের কবিতাংশেও আমরা লোক লোকান্তর কবিতার প্রতিচ্ছায়া লক্ষ করি। সেখানেও কবি আত্নসত্তাকে প্রকৃতির পরতে পরতে খুঁজে পেয়েছেন । তাই নিজেকে তিনি মুক্ত করতে চেয়েছেন চৈত্ররুপ খরতা থেকে :পেতে চেয়েছেন বসন্তের স্নিগ্ধতা। কবির এই শাশ্বত কাব্যবোধ তাঁর সৃষ্টির নান্দনিক সূত্রকেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় যে , সপ্রাণ পাখির অস্তিত্বে দুই কবিই নিজের কাব্যের তথা সৃষ্টির নান্দনিকতাবোধকে প্রকাশ করেছেন্ তাই চারপাশের আবদ্ধতা তাঁদের সৃষ্টিকর্মে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সেই অবয়বকে ভেঙে তাঁরা আত্নসৌন্দর্যে জারিত হয়ে নান্দনিক কাব্যভাষা র্নিমান করেছেন। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: কবিতার বিজয় উচ্চারিত হয়েছে কোন কবিতায়
উ: লোক লোকান্তর
প্রশ্ন:যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল -এখানে কোন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
উ: কবিতার ইন্দ্রজাল
প্রশ্ন: পানের বনের চঞ্চলতায় কে চঞ্চল হয়ে ওঠে ?
উঃ শঙ্খচিল
শব্দার্থ ও টীকা
– আমরা চেতনা চন্দনের ডালে-কবি তাঁর কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনাকে সাদা এক সত্যিকার পাখির প্রতিমায় উপস্থাপন করেছেন। কবির এই চেতনা-পাখি বসে আছে সবুজ অরণ্যের কোনো এক চন্দনের ডালে। এই চন্দন সগন্ধি কাঠের গাছ। আর এর ফুল ঝাল-মিষ্টি লবঙ্গ। কবির কাব্যসত্তার মধুরতার সঙ্গে চন্দনের সম্পর্ক নিহিত। – মাথার ওপরে নিচে... হয়ে আছে ঠোঁট তার-চন্দনের ডালে বসে থাকা কবির চেতনা-পাখির ওপরে-নিচে বনচারী বাতাসের সঙ্গে দোল খায় পানলতা। প্রকৃতির এই রহস্যময়-সৌন্দর্যের মধ্যে সুগন্ধি পরাগে মাখামাখি হয়ে ওঠে কবির ঠোঁট, অস্তিত্বের স্বরূপ, কাব্যভাষা। – আরো দুটি চোখের কোটরে ... ঝোপের ওপরে -কবির অস্তিত্ব জুড়ে চিরায়ত গ্রামবাংলা-দৃষ্টিতে কাটা সুপারির রং। এ যেন চিরায়ত বাংলার রূপ। যতদূর চোখ যায়, কেবল চোখে পড়ে বাংলার অফুরন্ত রং। তার পা সবুজ, নখ তীব্র লাল-এ যেন মাটি আর আকাশে মেলে ধরা কবির নিসর্গ-উপলব্ধির অনিন্দ্যপ্রকাশ। আর সেই সমবেত সৌন্দর্যের তন্ত্রে-মন্ত্রে, রহস্যময়তায় ভরে উঠেছে কবির দৃষ্টি ।
– তাকাতে পারি না আমি...কবিতার আসন্ন বিজয়-সৃষ্টির প্রেরণায় কবি চিরকালই উদ্বুদ্ধ হন, উজ্জ্বল হয় তাঁর চেতনার মণি। পৃথিবীর কোনো বিধিবিধান, কোনো নিয়মকানুন, কোনো ধর্ম, কোনো সমাজ-সংস্কার বা লোকালয়ের অধীন তিনি আর তখন থাকেন না। তখন সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। একমাত্র সত্য হয়ে ওঠে চেতনার জগৎ, শব্দসৌধ। তাঁর সেই সৃষ্টির কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বিচিত্র টানাপোড়েন ও জীবন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তাকে উত্তীর্ণ হতে হয় কবিতার সার্বভৌমত্বে এবং জয় হয় কবিতার ।
পাঠ-পরিচিতি
এ কবিতাটি আল মাহমুদের ‘লোক-লোকান্তর‘ কাব্যের নাম-কবিতা। এটি কবির আত্মপরিচয়মূলক কবিতা। কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসত্তা সুন্দরের ও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান। প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে সৃষ্টির মধ্যে তার বসবাস। কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান। এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রণা কবিকে কাতর করে, আহত করে। তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সৃষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী-এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।

বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন লোক-লোকান্তর
১। আল মাহমুদ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৯৩৩ খ. ১৯৩৬*
গ. ১৯৬৩ ঘ. ১৯৬৬
২ কবির চেতনা কিসের মতো?
ক. পাখির খ. নদীর
গ. পাহাড়ের ঘ. মাঠের
৩। কবির চেতনা পাখির পায়ের রঙ কী ধরণের?
ক. তীব্র লাল খ. সবুজ*
গ. মেটে ঘ. সুপারি রং
৪। কবি কোথায় চোখ রাখতে পারেন না?
ক. চন্দনের ডালে খ. চেতনার মণিতে
গ. বন্য ঝোপের ওপর ঘ. বন্য পানলতায়
৫। কবি লোকান্তরে স্তব্ধ হয়ে কী শুনতে চান?
ক. পাখির গান খ. বিজয়ের গান
গ. আহত কবির গান ঘ. চেতনার গান
৬। চন্দনের ফুল কী রকম?
ক. তিক্ত খ. বিষাক্ত
গ. ঝাল-মিষ্টি ঘ. মিষ্টি
৭। চন্দনের ডালে কোন পাখি বসে থাকে?
ক. কোকিল খ. টিয়া
গ. স্বপ্নের পাখি ঘ. চেতনার পাখি*
৮। অরণ্য কেমন?
ক. নীল খ. সবুজ*
গ. হলুদ ঘ. কালো
৯। কবি কিসের মালা গাঁথতে চান?
ক. বকুল ফুলের খ. হিজল ফুলের
গ. পুঁথির ঘ. চিত্রকল্পের*
১০। কিসের ভেতর দিয়ে কবিকে উত্তীর্ণ হতে হয়?
ক. যুদ্ধের
খ. দৈন্যের
গ. কষ্টের
ঘ. জীবন সংগ্রামের*
১১।কবির মাথার চেতনা পাখির ওপরে কী দোলে?
ক. ফল
খ. ডাল
গ. পানলতা**
ঘ. লতাপাতা
১২। কবির চেতনা পাখির নখ কী রঙের?
ক. সুপারি রং
খ. সবুজ রং
গ. খয়েরি রং
ঘ. লাল রং*
১৩। কবি প্রকৃতির দিকে তাকাতে ভয় করেন কেন?
ক. ঝোপের কারণে
খ. অন্ধকারের কারণে
গ. বিপদাশঙ্কার কারণে
ঘ. রূপের আতিশয্যের কারণে*
১৪। আহত কবির গান বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক. সাদা পাখিকে
খ. বনের ঘুঘুকে
গ. চেতনাপ্রাপ্ত কবিকে**
ঘ. আঘাত পাওয়া কবিকে
১৫। কবি সত্যিকার পাখির মতো চন্দনের ডালে বসতে চান কেন?
ক. শখের কারণে
খ. চেতনার কারণে*
গ. প্রকৃতিপ্রেমিক
ঘ. স্বপ্নপিপাসু
১৬। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় ‘পরাগ’ বলতে বোঝায়—
ক. ফুলের রেণু
খ. সুগন্ধি বস্তু
গ. কাব্যভাষা*
ঘ. ফুলের গন্ধ
১৭। আর দুটি চোখের কোটরে কাটা সুপারির রং ‘চোখের কোটরে’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. চোখের গর্তে
খ. চোখের মণিতে
গ. দৃষ্টিতে*
ঘ. চোখের ভেতরে
১৮। কবির অস্তিত্ব জুড়ে রয়েছে—
ক. চিরায়ত গ্রামবাংলা*
খ. সুপারির রং
গ. আধুনিক বাংলা
ঘ. বাংলার অফুরন্ত রং
১৯। ‘নিসর্গ’ বলতে বোঝায়—
ক. অরণ্য
খ. নির্জন
গ. প্রকৃতি*
ঘ. স্বর্গীয় স্থান
২০। কবির কাছে সব কিছু তুচ্ছ হয়ে যায়—
ক. অবহেলায়
খ. অহংকারে
গ. চেতনালাভে*
ঘ. পৃথিবীর বিধিবিধান

ফক্স