রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

বাক্যতত্বের উপর ৪টি প্রশ্ন ,সর্বাধিক বোর্ড প্রশ্ন হয়

⬀⬀১. অর্থানুসারে বাক্যকে কদ ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও।
অথবা
অর্থানুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও।
⬋⬀
➤বাগভঙ্গি বা অর্থানুসারে বাক্য কে সাত ভাগে ভাগ করা যায় যথা:
১.বর্ননাত্বক  বা নির্দেশাত্বক  বাক্য
২.প্রশ্নবোধক বা প্রশ্নাাত্বক বাক্য
৩.অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
৪.ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য
৫.কার্যকারণাত্বক বাক্য
৬.সংশয়সূচক বাক্য
৭.আবেগসূচক বাক্য

১. যে বাক্যে কোন বক্তব্য সাধারনভাবে বিবৃত হয় তাকে  বর্নণাত্বক বাক্য বলে। একে  নির্দেশমূলক , নির্দেশাত্বক ,বিবৃতিমূলক বাক্য  বলা হয়। যেমন; সূর্য পূর্বদিকে উঠে। সে রোজ এখানে আসে।
২.যে বাক্যে কোন কিছু জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নসূচক অর্থ প্রকাশ পায  তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে ্ যেমন: তোমর নাম কি ? কোথায় যাচ্ছ।
৩. যে বাক্যে  আদেশ ,  অনুরোধ , উপদেশ ,নিষেধ  প্রকাশ পায় তাকে অনুজ্ঞা বা আদেশসূচক বাক্য বলে  যেমন ; কাছে এসো, দযা করে আমার কাজটা করো   সুচেতনা ঐ  খানে যেয়ো নাকো তুমি , চল নাটক দেখে আসি।
৪.ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য  : যে বাক্যে ইচ্ছা , প্রার্থণা , প্রকাশ পায তাকে প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে।
যেমন;
 ই্চছা     আমি যদি নায়ক হতাম ?
প্রার্থনা    মহারাজের জয় হোক।

৫. যদি কোন বাক্যে ক্রিয়া নিষ্পত্তি কোন শর্ত সাপেক্ষে হয় তাহলে তাকে কার্যকারণাত্বক বাক্য বলে।
৬. নির্দেশাত্বক বাক্যে বক্তব্য বিষয়  সম্পর্কে  সন্দেহ,  সংশয় ,  সম্ভাবনা ,অনুমান ইত্যাদি ভাব থাকলে  তাকে বলা হয় সন্দেহমূলক বাক্য যেমন: ছেলেটা চকরি পেয়ে যাবে ,সম্ভবত আগামী মাসে পরীক্ষার ফল বেরোবে।
৭. যে বা্ক্যে বিস্ময় ,হর্ষ,  শোক ঘৃণা, ক্রোধ, ভয় ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে আবেগসূচক বাক্য বল।যেমন;

বিস্ময়  :কী সাংঘাতিক লোক!
হর্ষ       :ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে, আমি বনফুল গো!
ঘৃণা      : ছিঃ ছিঃ অন কথা মুখে আনলে কী করে ?
শোক    : হায় হায় ! কী যন্ত্রনায় যে পড়েছি
ক্রোধ    : এত বড় স্পর্ধা ! মুখের ওপর কথা বলে আমি তোমাকে দেখে নেব।
ভয়       :ওরে বাবা রে ,খেয়ে ফেলল রে!
আবেগ   :বাহ্ সুন্দর লিখেছ তো !
আদর    : বড্ড শুকিয়ে গেছিস  রে !



⬀⬀২.বাক্য কাকে  বলে ? গঠন অনুসারে বাক্য কত  প্রকার কি কি ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
গঠনরীতি অনুসারে বাক্য কত প্রকার কী কী ? উদাহরণসহ লেখ।

উত্তর : ড. সুনীতিকুমার  চট্রোপাধ্যায়ের মতে , কোনও ভাষায়  যে উক্তির সার্থকতা আছে এবং গঠনের  দিক থেকে যা  স্বংসম্পূর্ন , সেরুপ একক উক্তিকে ব্যাকরণে বাক্য বলে।
অথবা  যে সুবিন্যস্ত পদ সমষ্টি  দ্বরা কোনও বিষয়ে বক্তার মনের ভাব প্রকাশ পায়  তাকে বাক্য বলে।
গঠনগত  দিক দিয়ে বাক্য প্রধানত তিন প্রকার। যথা

১.সরল বাক্য (simple sentence )
২.জটিল বা মিশ্র বাক্য ( complex sentence )
৩.যৌগিক বাক্য(compound sentence)





⬀⬀৩.একটি সার্থক বাক্য গঠনের কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক  উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
কোন বিষয়ের উপর  বাক্যের সার্থকতা  নির্ভর করে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:- একটি  সার্থক বা আদর্শ বাক্য  গঠনের জন্য তিনটি গুণ  বা বৈশিষ্ট্য আবশ্যক।
১.আকাংক্ষা  ২. আসত্তি (নৈকট্য) ৪. যোগ্যতা
উল্লেখিত তিনটি শিষ্ট্য না থাকলে সার্থক বাক্য গঠিত হবে না এবং  বক্তার মনোভাবও যথাযথভাবে প্রকাশ পাবে না।

১ আকাঙ্ক্ষা:- বাক্যের অর্থ বোঝাবার জন্য  যতগুলো পদের প্রয়োজন বাক্যে যদি তার সব  কটি  না থাকে এবং  কোনো একটা বা একাধিক পদ বাদ থাকে , তবে ওই অবশিষ্ট  বাদ থাকা পদ মোনার ইচ্ছাকে  বাক্যের আকাঙক্ষা বলে । অন্যভাবেও বলা যায় , বাক্যের অর্থ  ভালোভাবে বোঝার জন্যে এক পদ শোনার পর অপর পদ শোনার  ইচ্ছাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন : ১. ঢাকা বাংলাদেশের.......... ২.  অর্থই অনর্থের.........
উপরের দুটি বাক্যেই  আরও  শুনার আগ্রহ রয়েছে




২.আসত্তি:-
৩.যোগ্যতা :-



⬀⬀৪. সরল বাক্য যোগিক বাক্যের  মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তর :


➤৫.বন্ধনীর নির্দেশানুসারে বাক্যান্তর কর : সকল বোর্ডের  ২০১৬ হইতে ২০১৭ পর্যন্ত