১.➤উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও ।
২.➤উপসর্গ কাকে বলে ? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভুমিকা বা গুরুত্ব কী ?
অথবা➤ উপসর্গের বৈশিষ্ট্য বা কাজ কী ? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভুমিকা বা গুরুত্ব কী ?
১. যে সব অব্যয় নাম শব্দের পূর্বে বসে অর্থের সংকোচন সম্প্রসারণ করে এবং নতুন শব্দ গঠন করে ঐ সকল অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে।
খ. শব্দ বা ধাতুর আদিতে যা যোগ হয় তাকে উপসর্গ বলে।
যেমন:- মন একটি শব্দ। এর আগে ‘অপ’ যোগ হয়ে ‘অপমান’।যদি ‘পরি’ যোগ করা হয় তাহলে পরিমান’ হবে।
‘অভি’ অব্যয়টি যোগ হলে হবে ‘অভিমান ’।
অব্যয়
অপ+মান =অপমান
পরি+মান =পরিমাণ
অভি+মান =অভিমান
২.যে সব অব্যয় নাম শব্দের পূর্বে বসে অর্থের সংকোচন সম্প্রসারণ করে এবং নতুন শব্দ গঠন করে েঐ সকল অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে। [উপসর্গ সবসময় ধাতুর বা শব্দমূলের পূর্বে বসে ]
বাংলা ভাষাতে উপসর্গ তিন প্রকার
ক. বাংলা উপসর্গ ২১টি খ. সাংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি গ. বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষাতে খাঁটি বাংরা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি খাঁটি বাংলা শব্দের পূর্বে এগুলো যুক্ত হয।
যথা: অ ,অঘা,অজ,অনা,আ ,আড়, আন ,আব ,ইতি, উন (উনা) কদ ,কু, নি,পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা ।
শব্দ গঠন:
- অ+কাজ= অকাজ [এখানে অ উপসর্গ কাজ শব্দের পূর্বে বসে বিপরীত অকাজ শব্দটি গঠিত হয়েছে]
- অঘা+চন্ডী= অঘাচন্ডী
- ভর+দুপুর= ভরদুপুর
- রাম+ছাগল= রামছাগল
- ভর+পেট= ভরপেট
ক, নতুল অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে। যেমন:ছায়া থেকে প্রচ্ছাযা, (গাঢ় ছায়া)
খ.শব্দের অর্থ পরিপূর্ণ হয়। পুষ্টি থেকে পরিপুষ্টি
গ. শব্দে র অর্থ সম্প্রসারিত হয়। তাপ থেকে প্রতাপ (পরাক্রম)
ঘ.শব্দের অর্থের সীমা সংকুচিত হয়। রাজি থেকে নিমরাজি (পূণূ রাজি থেকে অর্ধ্বেক রাজি )
ঙ.শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে। কথা থেকে উপকথা (কল্পিত গল্প )
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনের এক বিশেষ প্রক্রিয়া।যদিও উপসর্গের কোন নিজস্ব কোন অর্থ নেই কিন্তু অন্য অর্থবোধক শব্দের পূর্বে বসিয়া নতুন অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে, সর্বোপরি ভাষার সৌন্দর্য, মাধুর্য ,সাবলীলতা ও গতিশীলতা সৃষ্টিতে উপসর্গের গুরুত্ব অপরীসিম।
প্রশ্ন: উপসর্গ কাকে বলে। উপসর্গের অর্থবাচকতা নাই ,কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে ।আলোচনা কর /উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
বাংলায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে ,যা স্বাধীন ভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না ্। কিন্তু এগুলো অন্য শব্দের আগে বসে। এই অব্যয় গুলোর প্রভাবে নতুন অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি হয় এবং শব্দের অর্থের পূর্ণতা দান করে অথবা অর্থের সম্প্রসারণ করে ,সংকোচন করে ভাষায় ব্যবহৃত এসকল গুরুত্বপূর্ন অব্যয়কে উপসর্গবলে। উপসর্গ তিন প্রকার সংষ্কৃতি উপসর্গ, খাটি বাংলা উপসর্গ এবং বিদেশি উপসর্গ।
যেমন : প্র , আ , বি , ইত্যাদি উপসর্গগুলোর কোন অর্থবাচকতা নেই অর্থাৎ নিজস্ব কোন অর্থনেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে যা অন্য শব্দের পুর্বে বসে অর্থপুর্ণ হয়ে উঠে যেমন:- প্র+ হার ==প্রহার , আ+ হার =আহার , বি+হার = বিহার
উপসর্গ যুক্ত হয়ে শব্দের সাধারণত পাঁচ ধরনের পরিবর্তন হয়।
ক, নতুল অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে। যেমন:ছায়া থেকে প্রচ্ছাযা, (গাঢ় ছায়া)
খ.শব্দের অর্থ পরিপূর্ণ হয়। পুষ্টি থেকে পরিপুষ্টি
গ. শব্দে র অর্থ সম্প্রসারিত হয়। তাপ থেকে প্রতাপ (পরাক্রম)
ঘ.শব্দের অর্থের সীমা সংকুচিত হয়। রাজি থেকে নিমরাজি (পূণূ রাজি থেকে অর্ধ্বেক রাজি )
ঙ.শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে। কথা থেকে উপকথা (কল্পিত গল্প )
পরিষেশে বলা যায উপসর্গ গুলোর নিজস্ব কোন অর্থ না থাকলেও এই অব্যয় সমুহ শব্দের আগে যোগ হয়ে নতুন নতুন অর্থের সৃষ্টি করে যা ভাষার গতিশীলতা , সৌন্দর্য, ও অর্থের পরিপূর্ণতা আনয়ন করে যা বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । সুতরাং এ কথা বলা যায় উপসর্গের কো অর্থবাচকতা নাই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা অাছে।
শব্দগঠন
প্রশ্ন:বাংলা শব্দ গঠন প্রণালি সংক্ষেপে আলোচনা কর ?
➤ শব্দগঠন বলতে কী বোঝ ? কী কী উপা্য়ে বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা
➤শব্দগঠন কী ? বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
উত্তর:--শব্দের অর্থ বৈচিত্র্যর জন্য নানাভাবে তার রুপান্তর সাধন করা হয় । এভাবে বিভিন্ন অর্থে ব্যাবহার উপযোগী করে তোলার জন্যে শব্দ তৈরী করার প্রক্রিয়াকে এক কথায় শব্দগঠন বলে। শব্দগঠন প্রধানত উপসর্গ
,প্রত্যয়, সমাস--এই তিনটি উপায়ে হয়ে থাকে।
ক. শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করে :যেমন হার শব্দের পূর্বে প্র উপসর্গ যোগ করলে পাওয়া যাায় নতুন অর্থবোধক শব্দ প্রহার (প্র+হার=প্রহার) । এরকম আহার ,অনাচার ,কুশাসন,অধিকার ইত্যাদি।
খ. শব্দের শেষে প্রত্যয় যোগ করে ;ঢাকা শব্দের পরে আই প্রত্যয় যোগ হয়ে নতুন শব্দ অর্থবোধক শব্দ ঢাকাই’ (ঢাক+আই=ঢাকাই) পাওয়া যাবে । এরকম জলা (জল+আ) রোগা ( রোগ+আ)
গ. সমাসের সাহায্যে একাধিক শব্দকে এক শব্দে পরিণত করে :যেমন-- চৌ রাস্তার সমাহার =চৌরাস্তা,
চাঁদের মতো মুখ= চাঁদমুখ ইত্যাদি।
ঘ.সন্ধির সাহায্যে শব্দগঠন: ক) বচ্=তব্য =বক্তব্য
ঙ. দ্বিরুক্তির সাহায্যে শব্দগঠন:
বাংলা ভাষায় একব িশব্দ বা পদ দুইবার ব্যবহৃত হয়ে অন্য একটি অর্থ প্রকাশ করে । তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে যেমন অমার জ্বর জ্বর লাগছে। এখানে ‘জ্বর জ্বর’ দ্বিরুক্ত শব্দটি ঠিক ‘জ্বর’ অর্থ প্রকাশ করছেনা জ্বরের ভাব প্রকাশ করছে।
‘ভেজা ভেজা’ ‘ঘন ঘন’ ‘কাপড় চোপর’ ‘ঘরে ঘরে’
প্রশ্ন:➤বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের প্রয়োজন আলোচনা কর।
অথবা
প্রশ্নঃ ➤ধাতু থেকে শব্দ এবং শব্দ থেকে নতুন শব্দ কীভাবে গঠিত হয়। প্রত্যেকটির দুটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর ঃ-
চলমান➥