মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

বিদায় ভাষণ

                                                                  বিাদায ভাষণ 

  আজকের বিদায়ী অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি জনাব---অত্র স্কুলের  শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ। বিদায অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল  ছাত্র/ছাত্রী,অভিবাবক সবাই কে সালাম। আসসালামুয়ালাইকুম।

বিদায় তিন অক্ষরের একটি শব্দ , অাক্ষরিক অর্থ হল প্রস্থানের অনুমতি,বিচ্ছেদ। আজ যে বিদায নিব সেটা হল স্থানান্তরের  বিদায,এক জায়গা হতে অন্য জায়গায়  উচ্চতর ক্লাসে পড়ালেখার জন্যে সাময়িক  বিদায।বিদায় মধ্যে কিছু হারানোর ইঙ্গিত থাকে,এত দিনের পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে  আমাদের আজ চলে যেতে হবে ভেবে মন খুব খারাপ লাগছে ,দীর্ঘ  পাঁচ বৎসর অত্র বিদ্যালয়ে এক সাথে ছিলাম,কত স্মৃতি কত হাসি ঠাট্টা খুনশুটি  সব ছেড়ে আজ আমাদের কে চলে যেতে হবে।ব্যাথা ভরা মন নিয়ে  বিদায় নিতে হবে এটাই সত্য।

অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা  দীর্ঘ দিনের ছাত্রজীবনে  অতন্ত্য যত্ন  সহকারে আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা আসিনাই কিন্তু শিক্ষিকাদের  রোদ বৃষ্টি ঝড়ে অনেক কষ্ট করে,অামাদের শিক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা তা কখনও ভুলব না ।  আমরা আপনাদের নিকট কোন ভুল ত্রুটি করে  থাকি  আমাদের  ক্ষমা করে দিবেন।বিদায়ী সকল ছাত্র্র ছাত্রীদের পক্ষ হতে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আমাদের কে মাফ কবে দিবেন,আমাদের জন্য দোয়া করবেন্।স্কুলের সকল ছোটভাই  বোনদের জন্য স্মৃতি ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারলাম না।তোমাদের প্রতি রইল অকৃত্রিম ভালবাসা আশির্বাদ,দোয়া।   আমি আমার শিক্ষকদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ূ কামানা করি, সকলকে  বিদায় জানাচ্ছি।

জাতীয় কবি কণ্ঠে আজ  বলি --
তুমি অমন ক‘রে গো বারে বারে জল -ছল-ছল চোখে চেয়ো না,
জল -ছল-ছল চোখে চেয়ো না।।
ঐ কাতর কণ্ঠে থেকে থেকে,শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না,
শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না।।
হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা,
আজো তবে শুধু হেসে যাও , আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।
ঐ ব্যথাতুর আঁখি কাঁদো -কাঁদো মুখ
দেখি আর শুধু হেসে যাও, আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।

---সবাইকে ধন্যবাদ