সাম্যবাদী
-কাজী নজরুল ইসলাম
কবি পরিচিতি:জন্ম: ২৫শে মে, ১৮৯৯ সালমৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (৭৭ বছর)
সমাধি:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গন
জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায়
জাতিসত্তা : বাঙালি বাংলাদেশী (১৯৭২-১৯৭৬)
ধর্ম: ইসলাম
দাম্পত্য সঙ্গী: প্রমিলা দেবী ,নার্গিস আসার খানম
পিতাকে হারান- আট বছর বয়সে।
লেটো দলে যোগ দেন- বারো বছর বয়সে। ডাক নাম:অন্য নাম দুখু মিয়া
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪) শুরু হওয়ার পর ১৯১৭ সালে ৪৯ নম্বর বাঙ্গালি পল্টনে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন।
পুরষ্কার: পদ্মভূষণ (ভারত সরকার)- ১৯৬০ সাল, একুশে পদক, জগত্তারিণী স্বর্ণপদকসহ অসখ্য পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
মৃত্যু: ২৯শে আগষ্ট, ১৯৭৬ সাল
মূলভাব:
কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িকতার এক
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তাঁর সাম্যবাদী কবিতা।মানবাতার এমন
উচ্চারণ খুব কম কবির কবিতায় দেখা যায়।
সাম্যবাদী কবিতাটি সংকলন করা হয়েছে আব্দুল
কাদির সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত
‘নজরুল রচনাবলী’ থেকে। একটি বৈষম্যহীন
অসাম্প্রদায়িক মানব সমাজ গঠনের গভীর প্রত্যয়
ঘোষিত হয়েছে এ-কবিতায়।কবি সাম্যের গান
গেয়ে গোটা মানব সমাজ কে এক পতাকাতলে
আনতে চান। কবি বিশ্বস করেন- কোনো
সাম্প্রদায়িক পরিচয়ে পরিচিত না হয়ে মানুষ হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠাই
গৌরবের। কবি নজরুলের জীবন ধারার এ-
আদর্শ আজও প্রত্যেকটি সত্যিকার মানুষের
জীবন-পথের পাথেয়।
কিন্তু এখনও মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিয়ে
মাতামাতি করছে। শোষন করছে একজন
আরেকজনকে ।একজনের বিরুদ্ধে
আরেকজনকে উস্কে দেয়া হচ্ছে।ধর্ম,বর্ণ
আর গোষ্ঠির আজুহাতে মানুষ মানবতাকে পদদলিত
করছে। একজন আরকেজনের কাছ থেকে
যোজন যোজন দূরে সরে যাচ্ছে।নজরুল এ-
কবিতায় সস্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন
:সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।বাইরের
ধর্ম নয় অন্তর ধর্মেকে তাই তিনি প্রাধান্য
দিয়েছেন। ধর্মগ্রন্থ লব্ধ জ্ঞান
যথোপযুক্তভাবে উপলব্ধি করতে হলে
প্রয়োজন প্রগাঢ় মানবিকতাবোধ।মান
ুষের
হৃদয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো তীর্থ
নেই-এ বিশ্বাস কবির স্বোপর্জিত অনুভব।এ
কারণে কবি মানবিক মেলবন্ধনের এক অপূর্ব
সংগীত পরিবেশন করতে বেশি আগ্রহী ।
সাম্যের এ-গানে মানুষে মানুষে সব ব্যবধান
ঘূচে যাবে। মানবাতার সুবাস ছড়ানোর আত্মার
উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ-জীবনকে পবিত্র
করে তোলা সম্ভব-সাম্যবাদ কবিতায় এ-মর্মবাণী
ঘোষিত হয়েছে।
সাম্যবাদী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন:
১। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?
ও বন্ধু
মানুষ মানুষকে পণ্য করে
মানুষ মানুষকে জীবিকা করে
পুরনো ইতিহাস ফিরে এলে
লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু
বলো কী তোমার ক্ষতি
জীবনের অথৈ নদী
পার হয় তোমাকে ধরে
দুর্বল মানুষ যদি
ক. 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থ কত সালে প্রকাশিত হয়? 一一 ১
খ. 'কেন খুঁজে ফের দেবতা-ঠাকুর মৃত-পুঁথি-কঙ্কালে?'- এ উক্তি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? 一一 ২
গ. উদ্দীপকে সাম্যবাদী কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে- ব্যাখ্যা করো। 一一৩
ঘ. 'উদ্দীষ্ট চেতনায় ভাস্বর নজরুলের জীবন'- উদ্দীপক ও সাম্যবাদী কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো। 一一৪
১। ‘এ বয়স জানে রক্তদানের পূণ্য
বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য
সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।’
ক. কাজী নজরুল ইসলামের মতে কী সবচেয়ে বড় দাসত্ব? 一一 ১
খ. প্রাবন্ধিক নিজের সত্যকে ভগবান মনে করার মধ্যে দম্ভ দেখেননি কেন? 一一 ২
গ. তুমি কী মনে করো উদ্দীপকটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? কেন? ব্যাখ্যা করো।一一 ৩
ঘ. উদ্দীপকে তারুণ্যের যে দুর্বার সাধনা ধ্বনিত হয়েছে তা ‘আমার পথ’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।一一 ৪
সাম্যবাদী কবিতার বহুনির্বাচনী নমূনা প্রশ্ন
১।‘সাম্যবাদী’ কবিতাটি নজরুলের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
- ক) অগ্নিবীণা
- খ) বিষের বাঁশি
- গ) সাম্যবাদী
- ঘ) চক্রবাক
২। জেরুজালেম কোথায়?
- ক) জর্দানে
- খ) সৌদি আরবে
- গ) ফিলিস্তিনে
- ঘ) ইরানে
৩। মহাবীর প্রতিষ্ঠিত ধর্মের নাম কী?
- ক) পার্সি ধর্ম
- খ) জৈন ধর্ম
- গ) ইহুদি ধর্ম
- ঘ) হিন্দু ধর্ম
৪। ‘পথে ফোটে তাজা ফুল’ এখানে ‘পথ’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
- ক) মহামানব
- খ) ধর্মগ্রন্থ
- গ) সাধারণ মানুষ
- ঘ) পবিত্র জায়গা
৫। ‘আবেস্তা’ কিসের নাম?
- ক) ধর্মগ্রন্থ
- খ) ভাষা
- গ) জাতি
- ঘ) সম্প্রদায়
৬। ‘দেউল’ শব্দের সমার্থক হিসেবে কোনটি গ্রহণযোগ্য?
- ক) মন
- খ) অন্তর
- গ) মন্দির
- ঘ) হৃদয়
৭। কবি সাম্যের গান গেয়েছেন কেন?
- ক) সাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের জন্য
- খ) অসম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের জন্য
- গ) মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির জন্য
- ঘ) নিজের আদর্শ প্রচারের জন্য
৮। বিশ্ব-দেউল কোনটি?
- ক) বাড়ি
- খ) হৃদয়
- গ) স্থাপনা
- ঘ) শরীর
৯। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় ‘জেন্দা’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
- ক) জীবন্ত
- খ) জাতি
- গ) ভাষা
- ঘ) ধর্মগ্রন্থ
১০। কাকে ‘বাঁশির কিশোর’ বলা হয়েছে?
- ক) যিশুখ্রিস্টকে
- খ) শ্রীকৃষ্ণকে
- গ) গৌতম বুদ্ধকে
- ঘ) মহাবীরকে
১১। মৃত পুঁথি-কঙ্কাল কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
- ক) পুরনো বই-পুস্তক
- খ) মানুষের কঙ্কাল
- গ) অতীত ইতিহাস
- ঘ) পুরনো ধ্যান-ধারণা
১২ নিজ প্রাণ খুলে দেখলে কি পাওয়া যাাবে ?
- ক) সকল যুগাবতার
- খ)সকল শাস্ত্র *
- গ)সকল দেবতা
- ঘ)পুথিঁ কঙ্কাল
১৩ বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষদের কী বলা হয় ।
- ক)যুগাবতার *
- খ)বিশ্ব দউল
- গ)মহাপুরুষ
- ঘ)শাক্যমুনি
১৪.কনফুসিয়াস কোান দেশের দার্শনিক ছিলেন?
- ক. থােইল্যান্ড
- খ. চীন
- গ. ভিয়েতনাম
- ঘ. জাপান উত্তর:খ. চীন
১৫.শ্রীকৃষ্ঞর মৃখনিঃসৃত বাণী কোনটি ?
- ক.শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
- খ.শ্রীমদ্ভগবদ্
- গ. রামায়ন
- ঘ.বেদ উত্তর: ক.শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা