বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ বা ফলা

ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। বাংলায় ফলা চিহ্ন ৭ টি

য-ফলা (্য) : ব্যাঙ,খ্যাতি,সহ্য । ন-ফলা (ন /ন): বিভিন্ন, যত্ন, রত্ন
ব-ফলা (‍্ব) :পক্ব,বিশ্ব াশ্ব । ণ-ফলা (ণ):পুবাহ্ণ অপরাহ্ণ
ম-ফলা (ম): পদ্ম,সম্মান , স্মরণ ল-ফলা (ল) :ক্লান্ত, ম্লান , অম্ল
র -ফলা (্র):প্রমাণ,শ্রান্ত,ক্রয় -----
ফলাযোগে শব্দঃ আহ্বান,অব্বা,অম্মা,হাম্বা,মধ্যাহ্ণ,গোস্বা,গোব্বারা ,কম্বল,সম্বল,অম্বর,অশ্ব,আশ্বিন,ব্যাথা,জেব্রা,ব্রাশ,ট্রুথ ব্রাশ,ব্রেক,

সাধুও ও চলিত ভাষার পাঁচটি করে পার্থক্য লেখ ? :
১. সাধুভাষা লিখিতভাবে ভাব প্রকাশের সর্বজন স্বীকৃত সাধারণ রূপ। ১. সমাজের পারস্পরিক ভাব বিনিময় ও কথোপকথনের উপযুক্ত বাহন হলো চলিত ভাষা।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়মের অনুসারী। ২. কিন্তু চলিত ভাষা ব্যাকরণের সকল নিয়ম মেনে চলে না।
৩. সাধুভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি। ৩.অন্যদিকে,চলিত ভাষায় তদ্ভব,অর্ধতদ্ভব ও বিদেশী শব্দের প্রয়োগ বেশি।
৪. সাধু ভাষায় অপিনিহিত ও অভিশ্রুতির ব্যবহার ৪.চলিত রীতিতে এদের প্রয়োগ করা হয়।
৫. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। ৫. চলিত ভাষা পরিবর্তনীয়।
৬. সাধু ভাষা বেশ প্রাচীন। ৬.চলিত ভাষা অপেক্ষাকৃত আধুনিক।
৭.সাধুভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। ৭. চলিত রীতিতে সর্বনামগুলো সংকুচিত রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- এ, সে, এরা, তারা ইত্যাদি।
৮. সাধু ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযোগী নয়। ৮.চলিত ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা,নাটকের ও সংলাপের উপযোগী।
৯. সাধু ভাষা কোন অঞ্চল বিশেষের প্রভাবাধীন নয় ৯.কিন্তু চলিত ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবাধীন।