গেয়র্গ ট্রাকলের কবিতা
রাজু আলাউদ্দিন অনুদিত
বাতায়নের সামনে সাদা তুষার ঝরে পরে ,
অনেকেরই জন্য টেবিল সাজিয়ে রাখা আছে,
ঘরের মধ্যে অথৈ আয়োজন।
তমসাময় পথের মাথায় এসে
প্রবেশ করে অনেক পান্থজন
এই পৃথিবীর শীতল রস থেকে
দয়াাময়ী বৃক্ষ ফোটায় সোনালী সম্ভার।
শান্ত পায়ে পান্থ প্রবেশ করে;
প্রবেশ-পথ তীব্র ব্যথায় অসাড় হয়ে আছে।
দিব্য আলোর টেবিলে ওই রুটি এবং মদ
দীপ্ত হেয়ে ওঠে।
ট্রাম্পেট
মুণ্ড- ছাট উইলোর নীচে খেলে বাদামী শিশুরা
উইলোর মাথা জুড়ে সতুন পাতার উদগম,
ট্রাম্পেটের সুর ভেসে যায় ।
কেঁপে ওঠে চার্চ -প্রাঙ্গন।মেপল বৃক্ষের বিলাপের মধ্যে দিয়ে
গাঢ় লাল পতাকারা আলোড়িত হয়,
বাইরে মাঠের কাছে অশ্বারোহীরা ,
ঘানিগুলো শুন্য পরে আছে।
কিংবা রাতের বেলা গান গায় মেষপালকেরা ,
পুরুষ হরিণগুলো নিজেদের আগুনের আলোর ভিতরে ঢুকে যায় ,
অরণ্যর প্রবীন বিলাপ;
কালো দেয়ালের সামনে নৃত্যশীল মানুষের ভীড় জমে ওঠে;
গাঢ় লাল পতাকায় ,পাগলামিতে,
হাস্য আর ট্রাম্পেটের হল্লায় মুখরিত প্রান্তরখানি।
ঘুম
অভিশপ্ত কালো বিষ , তুমি,
সাদা ঘুম।
সন্ধ্যার আবরণে বিরল বাগানগুলো
বাদুর , ঊর্ণনাভ,
রাত্রির পোকা আর বিষাক্ত সাপের দখেলে।
আগন্তুক,সূর্যাস্তের রক্তিমাভায়
তোমার হারানো ছায়া।
বেদনার লোনা দরিয়ায়
বিষন্ন জাহাজ।
অয়োময় বিধ্বস্ত নগরীর উপর দিয়ে
রাত্রির শেষে দিকে সাদা পাখি
উড়ে চলে যায়।