মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা বানানের নিয়ম ‘ম’ ফলা


◼️প্রশ্নঃ বাংলা বানানের ক্ষেত্রে `ম’ ফলার নিয়ম গুলো আলোচনা কর।
১.পদের প্রথমে ব্যঞ্জনবর্ণের ‘ম’ ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত তার কোন উচ্চারণ হয় না , যেমন স্মরণ (শঁরোন্)  শ্মশান (শঁশান্) স্মৃতি (সৃঁতি)
২.পদের মধ্যে বা অন্তে ‘ম’ –ফলা সংযুক্ত বর্ণের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে থাকে। `ম' যেহেতু নাসিক্য ধ্বনি সেজন্য দ্বিত্ব উচ্চারিত শেষ ধ্বনি সামান্য নাসিক্য প্রভাবিত হয়। ছদ্ম (ছদদোঁ) পদ্ম (পদদোঁ) আত্ম (আততোঁ) আকস্মাৎ(আকশশাঁত) রশ্মি(রোশশিঁ)
৩.কিন্তু বাংলা ভাষায় পদের মধ্যে কিংবা অন্তে সর্বত্র  ‘ম’ ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয় না ।
যেমনঃ-
গ+ম-ফলা : বাগ্মী, যুগ্ম(জুগমো)
ঙ+ম-ফলা: বাঙ্ময়, বাঙ্ময়ী(বাঙ্ মোয়ী)
ট্+ম-ফলাঃ কুট্মল (কটমল্)কুট্মলিত(কটমোলিত)
ণ+ম-ফলাঃ হিরণ্ময়(হিরন্ ময়)ষাণ্মাসিক(শান্ মাসিক্)
ন্+ম-ফলাঃ উন্মাদ উন্মার্গ চিন্ময় জগন্ময় জন্ম মৃন্ময়
ম্+ম-ফলাঃ সম্মান , সম্মতি সম্মামনা
ল্+ম-ফলাঃ গুল্ম বাল্মীকি
৪.যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘ম’ ফলার উচ্চারণ হয় না , তবে এ ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের শেষ বর্ণটিকে প্রমিত উচ্চারণে সামান্য সানুনাসিক করে তোলে যথা: সূক্ষ্ম লক্ষ্মী (ল+ক+ষ+ম+ী ) লক্ষ্মণ (ল+ক+ষ+ম+ণ) {লক্ খোঁন্} এখানে ম অক্ষরটি বানানে থাকলেও উচ্চারণ  হয়নি ।
৫.এছাড়া বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কতিপয় ‘ম’ ফলা যুক্ত বানান ও উচ্চারণে সাংস্কৃতি রীতি অনুসৃত।কুস্মান্ড , স্মিত আয়ূস্মতী ইত্যাদি।

◼️প্রশ্ন:-বাংলা বানানে ঙ ,ঞ ধ্বনির উচ্চারণ এর নিয়ম লেখ।
১.  ঙ এবং ং এর উচ্চারণ অং হয় । যেমন ব্যাঙ (ব্যাং)বাঙালি (বাংআলি) বঙ্কিম (বংকিম) রঙ (রং)
২. ঞ এর উচ্চারণ তিন রকম হয় ।
৩ স্বতন্ত্র ঞ এর মতো যেমন মিঞা(মিয়া) মিঞ (মিঁয়ো)
৪.  যুক্ত ঞ+চ/ছ/জ/ঝ- ন এর মতো উচ্চারণ হয় যেমন: অঞ্চল (অনচল) বাঞ্ছা (বানছা) ব্যঞ্জন (ব্যানজোন) ঝঞ্ঝা(ঝনঝা)
আর যদি জ+ঞ হয়  তাহলে উচ্চারণ হবে গ বা গূগঁ এর মতো যেমন জ্ঞান (গ্যাঁন),যজ্ঞ (যোগগোঁ) জ্ঞানী জ্ঞাতো বিজ্ঞ বিজ্ঞপ্তি,বিজ্ঞান,অকৃতজ্ঞ,
জ্ঞাতি,(গ্যাঁতো) জ্ঞাতব্য,জিজ্ঞাস্য [এসকল বানানের ক্ষেত্রে জ+ঞ=গ গগঁ এর উচ্চারণ হব]