⬀⬁১.প্রশ্নঃ- বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে ? বাংলা ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
অথবা
প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে যে শাস্ত্র পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
কোন ভাষা সমন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হলে সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজন অপরিসীম কারণ
১.ব্যাকরণ পাঠের মধ্য দিযে আমরা সচেতনভাবে ভাষাটির সার্থক ব্যবহার করতে পারি বা অন্য কেউ ভুল করলে সে ভুলটি কেন করল কি ধরনের ভুর করল তা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারি ।
২.একটি ভাষার ব্যকরণ জানলে আমাদের অন্য ভাষার ব্যকরণ জানতে সুবিধা হয় । পৃথিবীর সকল ভাষার সাথে একটি মৌলিক ঐক্য আছে।
৩. ব্যাকরন আমাদের শেখায় ভাষা নিয়মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
৪.ভাষার সৌন্দর্য সম্ভোগের জন্যও সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠ আবশ্যক।
৫.সাহিত্যের রস আস্বাদনের জন্য ব্যাকরণ জানা আবশ্যক।
৬.ব্যাকরণ পাঠের মাধ্যমে ভাষার স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা যায়।ভাষাকে আরো বিশুদ্ধভাবে লিখা বলা যায়। উল্লেখিত কারনে ব্যাকরণ পাঠ খুবই প্রয়োজন।
⍇প্রশ্নঃ বাংলা ব্যাকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
⍇প্রশ্নঃব্যাকরণে কী কী বিষয় আলোচিত হয় ? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
➤উত্তর ঃপ্রত্যেক ভাষাতেই তিনটি মৌলিক অংশ থাকে যথা--
১.ধ্বণি (sound) ২. শব্দ (word) ৩. বাক্য (sentence)
উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের সাথে আরও একটি উপাদান রয়েছে , তা হল অর্থ শব্দের অর্থবিচারে বাক্যের অর্থবিচার হয়
অতএব ভাষার মৌলিক অংশ চারটি যেমনঃ
১.ধ্বনি ২. শব্দ ৩.বাক্য ৪. অর্থ যার দরুন সকল ভাষাতেই ব্যকরণের চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় :
ক.ধ্বণিতত্ত্ব খ. বাক্যতত্ত্ব
গ.শব্দতত্ত্ব ঘ. অর্থতত্ত্ব
এই চার তত্ত্ব নিয়ে ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠে।
১.ধ্বনিতত্ত্বঃ ধ্বনির উচ্চারন প্রনালী , উচ্চারণ স্থান,ধ্বণির প্রতীক বা বর্ণের বিন্যাস ,ধ্বনিসংযোগন বা সন্ধি ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ ,ণত্ব ষত্ব -বিধান ইত্যাদি বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
২.শব্দতত্ত্বঃ এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে তৈরী হয় , শব্দের অর্থযুক্ত ক্ষুদ্রাংশকে বলাহয় রুপ। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্বও বলা হয়ে থাকে।এ অংশে শব্দের প্রকার , পদের পরিচয় , শব্দগঠন উপসর্গ, প্রত্যয় , বিভক্তি , লিঙ্গ, বচন ,ধাতু ,শব্দরূপ,কারক ,সমাস ,ক্রিয়া-প্রকরণ,ক্রিয়ার কাল,ক্রিয়ার ভাব, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৩. বাক্যতত্ত্বঃ বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালি , বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন , বিয়োজন ,এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা ,বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।
৪. অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থ বিচার ,বাক্যের অর্থবিচার অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ অর্থতত্বের আলোচ্য বিষয়।
অথবা
প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে যে শাস্ত্র পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
কোন ভাষা সমন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হলে সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজন অপরিসীম কারণ
১.ব্যাকরণ পাঠের মধ্য দিযে আমরা সচেতনভাবে ভাষাটির সার্থক ব্যবহার করতে পারি বা অন্য কেউ ভুল করলে সে ভুলটি কেন করল কি ধরনের ভুর করল তা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারি ।
২.একটি ভাষার ব্যকরণ জানলে আমাদের অন্য ভাষার ব্যকরণ জানতে সুবিধা হয় । পৃথিবীর সকল ভাষার সাথে একটি মৌলিক ঐক্য আছে।
৩. ব্যাকরন আমাদের শেখায় ভাষা নিয়মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
৪.ভাষার সৌন্দর্য সম্ভোগের জন্যও সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠ আবশ্যক।
৫.সাহিত্যের রস আস্বাদনের জন্য ব্যাকরণ জানা আবশ্যক।
৬.ব্যাকরণ পাঠের মাধ্যমে ভাষার স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা যায়।ভাষাকে আরো বিশুদ্ধভাবে লিখা বলা যায়। উল্লেখিত কারনে ব্যাকরণ পাঠ খুবই প্রয়োজন।
⍇প্রশ্নঃ বাংলা ব্যাকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
⍇প্রশ্নঃব্যাকরণে কী কী বিষয় আলোচিত হয় ? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
➤উত্তর ঃপ্রত্যেক ভাষাতেই তিনটি মৌলিক অংশ থাকে যথা--
১.ধ্বণি (sound) ২. শব্দ (word) ৩. বাক্য (sentence)
উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের সাথে আরও একটি উপাদান রয়েছে , তা হল অর্থ শব্দের অর্থবিচারে বাক্যের অর্থবিচার হয়
অতএব ভাষার মৌলিক অংশ চারটি যেমনঃ
১.ধ্বনি ২. শব্দ ৩.বাক্য ৪. অর্থ যার দরুন সকল ভাষাতেই ব্যকরণের চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় :
ক.ধ্বণিতত্ত্ব খ. বাক্যতত্ত্ব
গ.শব্দতত্ত্ব ঘ. অর্থতত্ত্ব
এই চার তত্ত্ব নিয়ে ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠে।
১.ধ্বনিতত্ত্বঃ ধ্বনির উচ্চারন প্রনালী , উচ্চারণ স্থান,ধ্বণির প্রতীক বা বর্ণের বিন্যাস ,ধ্বনিসংযোগন বা সন্ধি ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ ,ণত্ব ষত্ব -বিধান ইত্যাদি বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
২.শব্দতত্ত্বঃ এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে তৈরী হয় , শব্দের অর্থযুক্ত ক্ষুদ্রাংশকে বলাহয় রুপ। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্বও বলা হয়ে থাকে।এ অংশে শব্দের প্রকার , পদের পরিচয় , শব্দগঠন উপসর্গ, প্রত্যয় , বিভক্তি , লিঙ্গ, বচন ,ধাতু ,শব্দরূপ,কারক ,সমাস ,ক্রিয়া-প্রকরণ,ক্রিয়ার কাল,ক্রিয়ার ভাব, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৩. বাক্যতত্ত্বঃ বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালি , বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন , বিয়োজন ,এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা ,বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।
৪. অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থ বিচার ,বাক্যের অর্থবিচার অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ অর্থতত্বের আলোচ্য বিষয়।