প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
প্রশ্ন :কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করো।
উত্তর :
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
‘মুক্তিযোদ্ধা’ কলেজ, যশোর।
বিষয় : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এটি এখানে পেশ করছি-
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫
গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ক্রীড়ানুষ্ঠানটি সফল করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষকসহ সবাই যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে ‘ক’ বিদ্যালয়ের সুবিশাল মাঠ যেভাবে সাজানো হয়েছিল, তা সুধীজনের দৃষ্টি কেড়েছে।
সকাল ৯ ঘটিকায় প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পায়রা ও বেলুন ওড়ানো, মশাল প্রজ্বালন, বিএনসিসি গার্লস গাইড ও বিভিন্ন হাউসের কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রধান অতিথিকে সম্মান ও সালাম জানানোর সব আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ১০টায় বিভিন্ন হাউসের ক্রীড়ানুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ ও উচ্চ লাফ, বর্শা, চাকতি ও লৌহগোলক নিক্ষেপসহ ছিল বিভিন্ন রকমের দৌড়।
পুরুষ অভিভাবক বনাম স্কুল শিক্ষকদের রশি টানাটানি, মহিলা অভিভাবক বনাম শিক্ষিকাদের ‘বালিশ যার বিপদ তার’- পর্ব দুটি খুবই উপভোগ্য ছিল। শিক্ষার্থীদের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য দর্শক সারি থেকে অনেকেই আসন ছেড়ে বাইরে চলে আসায় খানিকটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
প্রধান শিক্ষকের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠের পর বিজয়ী প্রতিযোগীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ বছর স্কুলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দশম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হাসান ও নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকেয়া খানম।
পুরস্কার বিতরণ শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দেন, তা অনেকের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের দুটি পর্বই ছিল অত্যন্ত সুবিন্যস্ত। এর পরও অভিভাবকদের আসনব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গেছে। এর পরও এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫
প্রতিবেদন তৈরির সময় : বিকেল ৪টা
তারিখ : ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫