সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায়। তাঁর পিতার নাম নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য, মায়ের নাম সুনীতি দেবী। ছোটবেলা থেকেই সুকান্ত ছিলেন অত্যন্ত রাজনীতি-সচেতন। তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’র কিশোরসভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুকান্ত তাঁর কাব্যে অন্যায়-অবিচার শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিপ্লব ও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে তাঁর কবিতা মুক্তিকামী বাঙালির মনে বিশেষ শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।
‘ছাড়পত্র’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: ‘ঘুম নেই’, ‘পূর্বাভাস’। অন্যান্য রচনা: মিঠেকড়া’, ‘অভিযান’, ‘হরতাল’ ইত্যাদি। তিনি ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘অকাল’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।
.
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই মে মাত্র একুশ বছর বয়সে প্রতিভাবান এ কবির অকালমৃত্যু হয়।
মূল কবিতা:
আঠারো বছর বয়স
- সুকান্ত ভট্টাচার্য---ছাড়পত্র
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,
এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়-
আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।
এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য
বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য
সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।
আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর
তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,
এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।
আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার
পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,
দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার
ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।
আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে
অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,
এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে
এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।
তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।
এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়-
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।
পাঠ-পরিচিতি
============
সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে জবিনের ঝুঁকি নেবার উপযোগী। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত। এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর।
কিন্তু এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত-এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন কাজীয়
×
সৃজনশীল প্রশ্ন:=
আআআ----------------
×
মহাজাগতিক কিউরেটর সংখ্যাবাচক তথ্য:
বিভিন্ন প্রানীর নমুনা সংগ্রহ করছেন-২ জন কিউরেটর
কিউরেটররা খুটিয়ে দেখছিলেন -সৌরজগতের ৩য় গ্রহটি
মানুষ জন্ম নিয়েছে পৃথিবীতে-মাত্র দুই মিলিয়ন বছর আগে
গল্পে উল্লেখিত প্রাণীর সংখ্যা- ১১ টি
রচনার আলোচনা:
অন্য প্রাণীর সংস্পর্শে এলে জীবনের লক্ষণ দেখা যায়-ভাইরাসে
সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ-পৃথিবী
ব্যাকটেরিয়া-পরজীবী প্রাণী
উষ্ণ রক্তের প্রাণীর মধ্য বিকাশ ঘটেছে-নিম্নশ্রেণির বুদ্ধির
পৃথিবীর সকল প্রাণীর জন্য মূল গঠন-ডিএনএ
সকল ডিএনএ তৈরি-একই বেস পেয়ার দিয়ে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের গঠন সহজ ও বৈচিত্র্য নেই
নীল তিমি আকারে বড় বলে সংরক্ষন কঠিন
গাছপালা স্থির প্রানবিশিষ্ট
গাছপালার সালোকসংশ্লেষণে প্রয়োজন হয়- খাদ্য প্রস্তুতে
প্রানীজগতে একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী-সাপ
সাপের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত নয়
ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়ে-সাপ
কিউরেটরের কুকুর পছন্দ হওয়ার কারন -এরা দলবদ্ধ
নিজের স্বকীয়তা হারিয়েছে- কুকুর
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রাণী-মানুষ
প্রায় দুই মিলিয়ন বছর আগে জন্ম নিয়েছে -মানুষ
প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে -মানুষ
মানুষের নির্বুদ্ধিতার জন্য হ্রাস পাচ্ছে -ওজোন স্তর
অত্যন্ত সুবিবেচক প্রাণী -পিপড়া
ডাইনোসরের সময় থেকে বেঁচে আছে-পিপড়া
নিজের শরীরের চেয়ে দশগুন ভার বহন করতে পারে-পিপড়া
কিউরেটর গল্পের সূচনা – বিভিন্ন প্রানীর নমুনা সংগ্রহে দুজন কিউরেটরের পৃথিবীতে আগমন
মানুষের নিজের আত্মকেন্দ্রিকতায় নিজের জীবন বিপন্ন করছে
কিউরেটর শব্দের অর্থ-জাদুঘর রক্ষক
ওজোন স্তর পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে
লুপ্ত হওয়া বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী-ডাইনোসর
গল্পে হলুদ ডোরাকাটা প্রানী- বাঘ
অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষ আলাদা-বুদ্ধি বিবেচনায়
DNA পূর্ণরূপ- DEOXYRIBO NUCLEIC ACID
×
কিউরেটর শব্দের অর্থ-জাদুঘর রক্ষক
ওজোন স্তর পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে
লুপ্ত হওয়া বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী-ডাইনোসর
গল্পে হলুদ ডোরাকাটা প্রানী- বাঘ
অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষ আলাদা-বুদ্ধি বিবেচনায় Ut wisi enim ad minim veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat. Ut wisi enim ad minim veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat. 5. Ut wisi enim ad minim veniam,
২. -- ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ
×
✿গদ্য - মহাজাগতিক কিউরেটর
✿লেখক পরিচিতি
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৩এ ডিসেম্বর পিতার কর্মস্থল সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদ, জননী আয়েশা আখতার খাতুন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনা জেলায়। তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয় বগুড়ায়। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়পক পদে নিযুক্ত হন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলা ভাষায় রচিত সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির একচ্ছত্র সম্রাট। ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ রচনার মাধ্যমে এ-ধারার সাহিত্য তাঁর প্রথম আবির্ভাব। বিজ্ঞানকে উপলক্ষ্য করে কল্পনার বিস্তারে অসামান্যতা তাঁর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও স্বপ্নচারী রোমান্টিক। তাঁর সাহিত্যে ও বিজ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠা ও মানবীয় কল্পনার সম্মিলন ঘটেছে। মাতৃভূমি, মানুষ ও ধরিত্রীর প্রতি নৈতিকতা দায়বদ্ধতা তাঁর সাহিত্যিক মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের বিজ্ঞানমুখী তরুণ-প্রজন্মের তিনি আইডল বা আদর্শ। কিশোর উপন্যাস এবং ছোটগল্প রচনাতেও তিনি দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এবং ‘আমি তপু’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। ‘মহাকাশে মহাত্রাস’, ‘টুকুনজিল’, ‘নিঃসঙ্গ গ্রহচারী’, ‘একজন আতিমানবী’, ‘ফোবিয়ানের যাত্রী’সহ অনেক পাঠকপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির তিনি সৃষ্টা। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান লেখক হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
শব্দার্থ ও টীকা
মহাজাগতিক- মহাজগৎ সম্বন্ধীয়।
কিউরেটর - জাদুঘর রক্ষক। জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তথা পরিচালক।
প্রজাতি - প্রাণীর বংশগত শ্রেণি।
এককোষী- একটি মাত্র কোষবিশিষ্ট্য প্রানী।
সরীসৃপ - বুকে ভর দিয়ে চলে এমন প্রাণী।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ-যা থেকে এমন রশ্মির বিকিরণ ঘটে যা অস্বচ্ছ পদার্থের মধ্য দিয়ে দেখা যায়।
ওজোন ও স্তরক-বয়ুমন্ডলের উপরিভাগে ওজোন গ্যাসে পূর্ণ স্তর বিশেষ, যা আমাদের সূর্যের অতিবেগুণি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
নিউক্লিয়ার বোমা - পারমাণবিক বোমা।
ডানোসর - লুপ্ত হওয় বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী।
গ্যালাক্সি - ছায়াপথ।
পাঠ-পরিচিতি
‘জলজ’ গ্রন্থের অন্তর্গত “মহাজাগতিক কিউরেটর” গল্পটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘সায়েন্স ফিকশন সমগ্র’ তৃতীয় খণ্ড (২০০২) থেকে গৃহীত হয়েছে। “মহাজাগতিক কিউরেটর” বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলেও এতে দেশকালের প্রভাবপুষ্ট মানবকল্যাণকর্মী লেখকের জীবনদৃষ্টির প্রতিফলন ঘটেছে। অনন্ত মহাজগৎ থেকে আগত মহাজাগতিক কাউন্সিলের দুজন কিউরেটর এর বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নমুনা সংগ্রহে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আগমনের তথ্য দিয়ে গল্পটির সূচনা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন কিউরেটরের সংলাপ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে গল্পটি নাট্যগুণ লাভ করেছে। প্রজাতির যাচাই-বাছাই কালে পৃথিবীর নানা প্রাণীর গুণাগুণ কিউরেটরদের সংলাপে উঠে আসে। ‘মানুষ’ নামক প্রজাতি বিবেচনার ক্ষেত্রে কিউরেটর দুজনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা মূলত কল্পকাহিনীর লেখকেরও মনের কথা। দুজন কিউরেটর পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে মানুষের কারণেই হ্রাস ঘটে যাচ্ছে ওজোন স্তরের। মানুষই নির্বিচারে গাছ কেটে ধ্বংস করে চলেছে প্রকৃতির ভারসাম্য। পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মানুষই নিউক্লিয়ার বোঝা ফেলছে একে অন্যের ওপর। এক পরিস্থিতিতেও তারা পৃথিবীর বুদ্ধিমান বলে কথিত। ‘মানুষ’ প্রজাতির নির্বুদ্ধিতায় তারা শঙ্কিত হয়। অবশেষে তারা পরিশ্রমী সুশৃঙ্খল সামাজিক প্রাণী পিঁপড়াকেই শনাক্ত করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজাতি হিসেবে। ডাইনোসরের যুগ থেকে এখনো বেঁচে থাকা সুবিবেচক ও পরোপকারী পিঁপড়াকে তারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী বিবেচনায় সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কল্পকাহিনির রসের সঙ্গে সমাজ, পরিবেশ ও পৃথিবী সম্পর্কে সচেতন লেখকের তীব্র শ্লেষ ও পরিহাসের মিশ্রণ গল্পটিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।
✿গুরুত্বপূর্ণ
১. কোন গ্রহটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে মহাজাগতিক কিউরেটররা বেশ সন্তুষ্ট - তৃতীয় গ্রহ (পৃথিবী)
২. কাকে প্রাণহীন বলা যায় - ভাইরাস
৩. ভাইরাসের মাঝে কখন জীবনের লক্ষণ দেখা যায়- অন্য প্রাণির সংস্পর্শে ত্রলে
৪. কোন ধরনের প্রাণিদের বেঁচে থাকার পদ্ধতি ভিন্ন - পানিতে থাকা প্রাণিদের
৫. কোন ধরনের প্রাণিদের একটির ভিতরে আবার অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধিরর বিকাশ হয়েছে - গরম রক্তের স্তন্যপায়ী প্রাণিদের
৬. কোথায় কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই - ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে
৭. সব প্রাণির মূল গঠনটি কী দিয়ে হয়েছে - DNA
৮. সব প্রাণির DNA - একই রকম
৯. সবচেয়ে সহজ ও সবচেয়ে কঠিন প্রাণিটির গঠন কেমন - একই রকম
১০. সব প্রাণি কী দিয়ে তৈরি - একই বেস পেয়ার দিয়ে
১১. DNA দিয়ে তৈরি আছে - প্রাণিটির বিকাশের নকশা
১২. আকারে ছোট, গঠন সহজ, মাঝে কোনো বৈচিত্র নেই - ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার
১৩. আকারে বড় এবং সংরক্ষণ কঠিন - হাতি বা নীল তিমি
১৪. সাপ - সরীসৃপ
১৫. বাঘ - স্তন্যপায়ী
১৬. একসাথে থাকে ও দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় - কুকুর
১৭. নিজের স্বকীয়তা হারিয়েছে - কুকুর
১৮. স্বকীয়তা লোপ পাচ্ছে - গৃহপালিত প্রাণিদের
১৯. দীর্ঘ সময় খেতে হয় ও ঘাস লতা পাতা খেয়ে কাটায় - হনিণ
২০. সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে - মানুষ
২১. মানুষ ত্রকে অন্যের উপর কোন বোমা ফেলছে - নিউক্লিয়ার
২২. পৃথিবী ত্রক সময় নিয়ন্ত্রণ করবে কারা - পিঁপড়া
২৩. মহাকাশে মহা ত্রাস -একটি সায়েন্স ফিকশন।
২৪.বাংলাদেশে বিজ্ঞানমন্স্ক সাহিত্যিক --মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
২৫.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন --২০০৪ সালে।
২৬,সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহের নাম --পৃথিবী।
×
Tokyo is the capital of Japanয-ফলা বনাম য-ফলা আকার দেয়া বানান
আমাদের এখন উচিত, বানানের এলেবেলে বিশয়গুলো মিটিয়ে ফেলা। বাঙলা ভাষার সারল্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। একুশের মাস এলে কতো বিলাপ শোনা যায়। দুখিনি বাঙলা ভাশা বলে কতো লেখা প্রকাশিত হয়। অবাক হই আমি। বাঙলাকে তো আমরাই দুঃখ দিচ্ছি তাকে বাঙলামন্ত না করে। আর ফোঁটা কাটা অনুস্বারবাদিদের অনুসারিরা আমোদ পাচ্ছে।
ড. বেগম জাহান আরা
প্রমিত বাঙলা বানান নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। এই ভাশাটা সাধু ভাষা থেকে আলাদা রুপের এবং মুখের ভাষা থেকেও আলাদা রুপের। কথা বলার সময় আমরা যে ভাবে উচ্চারন করি, লেখার সময় তাকেই সাজিয়ে প্রকাশ করতে চেশটা করি লিপিতে। ফলে বানান নিয়ে ভাবতেই হয়েছে সেকালে, এবং ভাবতে হচ্ছে একালেও। মানুশের সাজগোজের ব্যাপারে সৌন্দর্যের যে চেতনাটা মনের ভেতর কাজ করে, যে খুঁতখুঁতানি আরো ভালো সাজের জন্য আকুল হয়, সেই রকম এক প্রকার চেতনা কাজ করে প্রমিত ভাশা বানান রিতি নিয়ে। বানানকে আরও উচ্চারনানুগ এবং আরও লাগসই লিপিতে কি ভাবে প্রকাশ করা যায়, সেটা থাকে চেতনার ভেতরে। তবে উচ্চারনানুগ বানানের প্রতি আমাদের প্রবল ঝোঁক এখন। এই আলোচনায় কিছু দ্রিশটান্ত তুলে ধরতে চেশটা করবো।
প্রমিত বাঙলায় অনেক শব্দের আদি বর্নে শুধু য-ফলা দিয়ে লেখা হলেও তার উচ্চারন হয় এ'-কারান্ত (অ+য-ফলা আকার)। যেমন, ব্যয়, ব্যবহার, ব্যত্যয়, ব্যবস্থা, ন্যস্ত, ত্যক্ত, ইত্যাদি। কোনো শব্দের আদি সর দিত্ব হচ্ছে না য-ফলার জন্য। এই শব্দগুলো আমরা উচ্চারন করিঃ ব্যায়, ব্যাবহার, ব্যাত্যয়, ব্যাবস্থা, ন্যাস্ত, ত্যাক্ত, এই ভাবে। মানে, লিপি উচ্চারনকে প্রকাশ করতে পারছে না। অথবা বলা যায়, উচ্চারন অনুযায়ি লিপি হচ্ছে না।.
×
MCQ Test of মহাজাগতিক কিউরেটর
Q-1: এই সুন্দুর গ্রহ থেকে এ রকম স্বেচ্ছাধ্বংসকারী প্রাণী আমরা নিতে পারি না । কোন প্রাণীটি ?
Right Answer : মানুষ
Q-2: নিচের কোন প্রাণীটির গঠনে বৈচিত্র্য নেই বলেই কিউরেটররা মনে করে ?
Right Answer : ভাইরাস
Q-3: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত ?
Right Answer : জলজ
Q-4: পৃথিবী এক সময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে- কারা ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-5: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কোনটিকে অত্যন্ত সুবিবেচক বলা হয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-6: এদের কেউ সৈনিক, কেউ শ্রমিক মহাজাগতিক কিউরেটর রচনায় কাদের কথা বলা হয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-7: বিজ্ঞানমনস্ক তরুণ প্রজন্মের আইডল কোন লেখক ?
Right Answer : মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Q-8: সব ডিএন এ একই ধরনের কী দিয়ে তৈরি ?
Right Answer : বেসপেয়ার
Q-9: মহাজাগতিক কিউরেটররা মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কী কারণে ?
Right Answer : পৃথিবীকে ধ্বংস করেছে বলে
Q-10: ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে মৌলিক পার্থক্য না থাকার কারণ-
Right Answer : গঠনপ্রক্রিয়া একই
Q-11: মহাজাগতিক কিউরেটর প্রবন্ধে কয়টি প্রাণীর কথা উল্লেখ রয়েছে ?
Right Answer : ১২
Q-12: এখান প্রাণের বিকাশ ঘটেছে উক্তিটি কার ?
Right Answer : প্রথম কিউরেটরের
Q-13: পিঁপড়ারা কোন ধরনের প্রাণী ?
Right Answer : পরিশ্রমী শৃঙ্খলাপূর্ণ সামাজিক প্রাণী
Q-14: অন্য কোন প্রাণীর সংস্পর্শে এলেই ভাইরাসের মাঝে জীবনের লক্ষণ দেখা যায় কেন ?
Right Answer : অন্যের জৈবিক ক্রিয়ায়
Q-15: ঐ ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময়তো নাই- এভাবে একাগ্রচিত্তে কারা কাজ করে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-16: পৃথিবী নামক গ্রহটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে তারা কী হলো ?
Right Answer : সন্তুন্ট
Q-17: পৃথিবীতে রয়েছে-
Right Answer : এককোষী থেকে লক্ষ-কোটি কোষী প্রাণী
Q-18: না আসলে এটি জটিল প্রাণ নয়। খুব সহজ এবং সাধারণ- উক্তিটি কার ?
Right Answer : দ্বিতীয় প্রাণীর
Q-19: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কোন প্রাণী অন্যকে বাঁচানোর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়ে যাচ্ছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-20: পৃথিবী নামক গ্রহটিতে কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ?
Right Answer : মানুষ
Q-21: মুহাম্মদ জাফর ইকবালের পৈতৃক নিবাস কোথায় ?
Right Answer : নেত্রকোনায়
Q-22: প্রথম কিউরেটরের পাখিকে পছন্দ করার কারণ-
Right Answer : ওড়ার ক্ষমতা
Q-23: মহাজাগতিক কিউরেট রচনায় উল্লিখিত সব প্রাণীর সৃষ্টি মূল গঠন কোনটি ?
Right Answer : DNA
Q-24: মহাজাগতিক কিউরেটর রচনার আলোকে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ হিসেবে নিচের কোনটি গ্রহনযোগ্য ?
Right Answer : পৃথিবী
Q-25: কিউরেটরদের মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার প্রাণী কোনটি ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-26: তৃণভোজী প্রাণী তার অর্থ জানো ? কোন প্রাণী সম্পর্কে বলা হয়েছে ?
Right Answer : হরিণ
Q-27: পিঁপড়াদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ নেই কেন ?
Right Answer : এরা সামাজিক ও একতাবদ্ধ বলে
Q-28: সঠিক বানান কোনটি ?
Right Answer : পিপীলিকা
Q-29: অন্য কোনো প্রাণীর সংস্পর্শে এলেই কোনটির মাঝে জীবনের লক্ষণ দেখা যায় ?
Right Answer : ভাইরাস
Q-30: পরজীবী বলতে বোঝায়-
Right Answer : অন্য জীবের ভেতরে ও বাহিরে থাকে
Q-31: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে প্রাণের শুরু হয়েছে কোথা থেকে ?
Right Answer : ভাইরাস
Q-32: কিউরেটরদ্বয় শঙ্কিত হয় মানুষ প্রজাতির-
Right Answer : নির্বুদ্ধিতায়
Q-33: এরা সামাজিক প্রাণী। এরা দল বেঁধে থাকে। এদের মাঝে শ্রমিক আছে, সৈনিক আছে। বংশ বিস্তারের জন্য চমৎকার একটা পদ্ধতি আছে। কাদের সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়ার সম্পর্কে
Q-34: কিউরেটর বলতে কোনটি বোঝানো হয়েছে ?
Right Answer : জাদুঘর রক্ষক
Q-35: গৃহপালিত প্রাণী হওয়ার গরুর স্বাধীন কোনো স্বকীয়তা নেই। এখানে গরুর সাথে মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পের কার মিল রয়েছে ?
Right Answer : কুকুরের
Q-36: মুহম্মদ জাফর ইকবাল কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
Right Answer : ১৯৫২
Q-37: সরীসৃপের দেহের তাপমাত্রা কেমন ?
Right Answer : নিয়ন্ত্রিত নয়
Q-38: কোথাও কোথাও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।- কারা
Right Answer : মানুষ
Q-39: মহাজাগতিক কিউরেটররা মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন ?
Right Answer : পৃথিবীকে ধ্বংস করছে বলে
Q-40: মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী নয় কথাটি কোন যুক্তিতে বলা হয়েছে ?
Right Answer : মানুষ ওজোন স্তর শেষ করছে
Q-41: কিউরেটররা কোন প্রাণিটা সহাজগতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-42: পিপড়েরা কোন যুগ থেকে এখানো টিকে আছে ?
Right Answer : ডাইনোসরের যুগ
Q-43: সৌরজগতের কোন গ্রহটিতে দুজন মহাজাগতিক কিউরেটর এসেছিল ?
Right Answer : তৃতীয়
Q-44: কিউরেটরদের কাছে কোন প্রাণিটি বেশ কৌতূহল উদ্দীপক ?
Right Answer : সাপ
Q-45: মহাজাগতিক কিউরেটর প্রবন্ধে বর্ণিত কাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত নয় ?
Right Answer : সরীসৃপের
Q-46: মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয় মানুষ সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে মানুষ-
Right Answer : আত্মঘাতী
Q-47: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কিউরেটরদের কুকুর সংগ্রহ না করার কারণ-
Right Answer : স্বকীয়তার অভাব
Q-48: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে আলাদাভবে প্রাণহীন বলা যায় যে প্রাণীকে-
Right Answer : ভাইরাস
Q-49: মহাজাগতিক কিউরেটর রচনায় কারা প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করে না ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-50: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কাকে প্রাণিজগতে পিছিয়ে পড়া প্রাণী বলা হয়েছে ?
Right Answer : সরীসৃপ
Q-51: একটি মাত্র কোষবিশিষ্ট প্রাণীকে কী বলা হয় ?
Right Answer : এককোষী
Q-52: মুহাম্মদ জাফর ইকবালের পৈত্রিক নিবাস কোথায়?
Right Answer : নেত্রকোনা
Q-53: সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ কোনটি?
Right Answer : পৃথিবী
Q-54: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পটি কোন গ্রহকে কেন্দ্র করে লেখা?
Right Answer : পৃথিবী
Q-55: গৃহপালিত প্রানী হওয়ায় গরুর স্বাধীন কোনো স্বকীয়তা নেই। গরুর সাথে মহাজগতিক কিউরেটর গল্পের কার মিল রয়েছে?
Right Answer : কুকুরের
Q-56: মহাজাগতিক কিউরেটরদের মতে কোন প্রাণীটি একা একা থাকতে পছন্দ করে?
Right Answer : বাঘ
Q-57: মহজাগতি কিউরেটর গল্পে কোন প্রাণীটি তাদরে নজিস্বতা হারিয়েছে?
Right Answer : কুকুর
Q-58: প্রথম কিউরেটর খাঁটি প্রানী হিসেবে কোনটির সমর্থন করেছিলেন?
Right Answer : পিঁপড়াকে
Q-59: এদের কেও সৈনিক, কেও শ্রমিক মহাজাগতিক কিউরেটর রচনায় কাদের কথা বলা হয়েছে?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-60: বিপদে দিশেহারা হয়না। অন্যকে বাঁচানোর জন্য অকাতারে প্রাণ দেয়। এই বৈশিষ্ট্য গুলো পৃথিবীতে কাদের বৈশিষ্টের সাথে তুলনীয়?
Right Answer : পিঁপড়ার
Q-61: কিউরেটরদের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার প্রাণী কোনটি?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-62: কিউরেটরদের বর্ণনা থেকে পৃথিবীর কোন প্রাণীর পেশাগত বৈচিত্র্যের ধারনা পাওয়া যায়?
Right Answer : মানুষ
Q-63: কিউরেটর বলতে কোনটি বোঝানো হয়েছে?
Right Answer : জাদুঘর রক্ষক
London
London is the capital city of England. It is the most populous city in the United Kingdom, with a metropolitan area of over 13 million inhabitants.
Standing on the River Thames, London has been a major settlement for two millennia, its history going back to its founding by the Romans, who named it Londinium.