জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর:
এইখানে ক্লিক করুন
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর:
১.গ্যীঁ দ্য মোপাসার পুরো নাম কি?
উত্তর:-হেনরি রেনটি আলবার্ট গ্যী দ্য মোপাসাট
২.পূনেন্দু দস্তিদার কত সালে জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তর:- ১৯০৯ সালে জন্মগ্রহণ করে।
৩.মাদাম লোইসেলের কত জন ভৃত্য থাকব বলে তিনি কল্পনা করেন ?
উত্তর:-দুই জন ভৃত্য থাকবে বলে কল্পনা করেন। সমুদ্র
৪. লোসেইল দম্পতি প্রায়ই কি দেখতে যেতেন?
উত্তর:-লোইসেল দম্পতি প্রায়ই থিয়েটার দেখতে যেতেন।
৫.পোশাক কেনার জন্য মাদাম লোইসেল কত ফ্রাঁ চেয়েছিলেন ?
উত্তর:-পোশাক কেনার জন্য মাদাম লোইসেল চারশত ফ্রাঁ চেয়েছিলেন
৬.বল নাচের অনুষ্ঠানে কার জয়জয়াকার ছিল ?
উত্তর:- বল নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেলের জয়জয়াকার ছিল ।
৭.বাক্সের ভিতরে কার নাম লেখা ছিল ?
উত্তর:-স্বর্ণ কারের নাম লেখা ছিল
৮.চামস্ এলিসিসে মাদাম লোইসেল কোন দিন ঘুরে ছিলেন?
উত্তর:-চামস্ এলিসিসে মাদাম লোইসেল রবিবার দিন ঘুরে ছিলেন
৯.অতিরিক্ত আয়ের জন্য মি লোইসেল কী করতেন ?
উত্তর:-অতিরিক্ত আয়ের মি লোইসের এক ব্যাবসায়ীর খাত লিখতেন ।
১০.স্যাটিন কিসের নাম ?
উত্তর:-স্যাটিন মসৃণ চকচকে রেশমি বস্ত্রের নাম ।
১১.প্যালেস রয়েল অর্থ কি?
উত্তর:-প্যালেস রয়েল অর্থ রাজকীয় প্রসাদ ।
নেকলেস গল্পের মূলভাব:
‘গল্পটির মূলভাব ও শিক্ষা:
“নেকলেস” গল্পটিতে দেখা যায় উচ্চবিলাসী ও লোভী এক নারীর চরিত্র। বিলাসীতার কারণে মুহূর্তেই নির্ষ হয়ে যেতে। এবং পরিশ্রমে ফলে ধার-দিনা পরিশোধ করার মাধ্যমে “পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি” উক্তিটি প্রকাশ পেয়েছে। আবার গল্পের শেষ অপ্রত্যাশিত বাক্য থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, একটু অসাবধানতা জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
----- গ্যী দ্য মোপাসা
নেকলেস গল্পের প্রধান চরিত্রে দেখা যায় “মাদাম মাতিলদা” নামের এক ভদ্র মহিলাকে। সে অত্যন্ত লোভী ও বিলাসী প্রকৃতির একজন মানুষ ছিল। সে নিজেকে সবার সামনে সুন্দর ও ধণীত্ব-ভাব প্রকাশ করতে চাইতো। মাদাম মাতিলদার বিবাহ হয়েছিল শিক্ষা পরিষদের এক সামন্য কেরানির সঙ্গে তার স্বামী নাম লোইসেল।
একদিন সন্ধায় জনশিক্ষা মন্ত্রী ও মার্দাম জর্জ লোইসেল ও তার স্ত্রীকে তাদের বাসায় বল নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে। কিন্তু মাদাম লোইসেল তার স্বামীর পাওয়া এই আমন্ত্রণে যেতে অস্মতি জানাই। তার কারণ ছিল অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তার কোনো ভালো পোষাক নেই। এজন্য সে এই বল নাচের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না।
লোইসেল কষ্ঠ করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। গ্রীস্মের ছুটিতে বন্ধুদের সাথে পাখি শিকারে যাওয়ার জন্য বন্দুক কিনবে বলে। যে পরিমাণ টাকা জমিয়েছিল ঠিক সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে তার স্ত্রীকে বল নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পোশাক কিনে দিলো।
তারপর, অনুষ্ঠানের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই মাদাম লোইসেলের মধ্য অনুষ্ঠানে যেতে না চাওয়ার ভাব ভঙ্গি প্রকাশ পেতে থাকে। এবার যেতে না চাওয়ার কারণ তার কোনো মনি-মুক্তা নেই। অবশেষে তার স্বামীর পরামর্শে মাদাম লোইসেলের বান্ধবী ফোরসটিয়ারের কাছ থেকে একটি হিরার কন্ঠ হার ধার নিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে সম্মত হয়।
বল নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেল তার সৌন্দর্যের অনেক প্রশংসা লাভ করে। অনুষ্ঠান শেষে তারা ভোর বেলা বাসার উদ্দেশ্য রইনা দেয়। মাদাম লোইসেল বাসায় ফিরে আয়নার সামনে দাড়াতেই লক্ষ করে তার গলায় হিরার হারটি নেই। মাদাম লোইসেল আঁতকে উঠে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানাই। তার স্বামী সেই মাত্রই হারটি খুঁজতে বাহির হয়ে যায়।
এরপর অনেক খোঁজা-খুজি তারপর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও আর হারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। হারটি খুঁজে না পাওয়ায় লোইসেলে ৩৬ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে একটি হিরার হার ক্রয় করে। এই হারটি লোইসেল তার বাবার মৃত্যুর পর পাওয়া ১৮ হাজার ফ্রাঁ ও বাকি টাকা ধার নিয়ে ক্রয় করে। হারটি ক্রয় করতে গিয়ে তাদের অনেক ধার দিনাশ পড়েতে হয়।
বিশাল ধার দিনার বোঝা মাঁথায় নিয়ে তারা তাদের বাসাটি ছেড়ে অন্যত্রে একটি কম টাকার ছোট বাসা ভাড়া নেয়। এবং তারা দুইজন কাজ শুরু করলো। মাদাম লোইসেল আগে যে কাজ করত না সে কাজ গুলো এখন করতে শুরু করলো। অবশেষে, তারা ১০ বছর পরিশ্রম করার পর তাদের সকল ধার দিনা পরিশোধ করলো। এবং ধার দিনা পরিশোধ করার পাশাপাশি তার কিছু সঞ্চয়ও করলো।
দশ বছর পরে এমতাবস্থায় একদিন ঘটনা ক্রমে মাদাম লোইসেলের তার বান্ধবী ফোরস্টিয়ারের সাথে দেখা হয়। প্রথমে তার বান্ধবী তাকে চিনতে পারেনি কারণ তার চেহারায় এখন আর আগের মত সৌন্দর্য নেই। সে তার বান্ধবীর সাথে গত দশ বছরের ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করলো। ঘটনা শুনে মাদাম ফোরস্টিয়ার বলল, ‘হায়, আমার বেচারী মাতিলদ! আমারটি ছিল নকল হার। তার দাম পাঁচশত ফাঁর বেশি হবে না।’ – “নেকলেস” গল্পের এই অপ্রত্যাশিত শেষের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ছিল।
গল্পটির মূলভাব ও শিক্ষা:
“নেকলেস” গল্পটিতে দেখা যায় উচ্চবিলাসী ও লোভী এক নারীর চরিত্র। বিলাসীতার কারণে মুহূর্তেই নির্ষ হয়ে যেতে। এবং পরিশ্রমে ফলে ধার-দিনা পরিশোধ করার মাধ্যমে “পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি” উক্তিটি প্রকাশ পেয়েছে। আবার গল্পের শেষ অপ্রত্যাশিত বাক্য থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, একটু অসাবধানতা জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ”
শব্দার্থ ও মূলভাব
শব্দার্থ ও টীকা
বরিয়া- বরণ করে,
লবে- নেবে
সমীর- বাতাস
উন্মনা- অন্যমনস্ক, অনুৎসুক
অলখ- অলক্ষ, দৃষ্টির অগোচর
পাথার- সমুদ্র
রচিয়া- রচনা করে
লহ- নাও
বন্দনা- স্তুতি
পুষ্পারতি- ফুলের বন্দনা বা নিবেদন
মাধবী- বাসন্তীলতা বা তার ফুল
অর্ঘ্যবিরচণ- অঞ্জলি বা উপহার রচনা।
কুহেলি- কুয়াশা
উত্তরী- চাদর, উত্তরীয়
লেখক পরিচিতি
গ্যী দ্য মোপাসাঁ
জন্ম : ১৮৫০, খ্রিষ্ট্রাব্দে ৫ই আগষ্ট ফ্রান্সের নর্মান্ডি শহরে জন্মগ্রহণ করেন । গ্যী দ্য মোপাসা ১৮৯৩ খ্রিষ্ট্রাব্দে ৬ই জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। তার পুরো নাম Henri- Renri-Albert-Guy de Maupassant
তার পিতার নাম গুস্তাভ দ্যা মোপাসাঁ ও মায়ের নাম লরা লি পয়টিভিন (Laure Le poittevin)
অসাধারন সংযম ও বিস্ময়কর জীবনবোধ তার রচনাকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
পূর্ণেন্দু দস্তিদার-
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ধলঘাট গ্রামে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ২০-এ জুন জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৯ই মে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ছিলেন একাধারে লেখক ও রাজনীতিবিদ। তাঁর পিতা চন্দ্রকুমার দস্তিদার ও মাতা কুমুদিনী দস্তিদার।
তিনি মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অংশ নেওয়ায় কারাবরণ করেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: ‘কবিয়াল রমেশ শীল’, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম’, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’।
এছাড়াও তাঁর অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘শেখভের গল্প’ ও ‘মোপাসাঁর গল্প’।
বিশ্ববিখ্যাত গল্পকার গী দ্য মোপাসাঁর শ্রেষ্ঠ গল্পগুলোর মধ্যে ‘নেকলেস’ অন্যতম।
ফরাসি ভাষায় গল্পটির নাম ‘La Parure’।
১৮৮৪ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ফরাসি পত্রিকা ‘La Gaulois’-এর গল্পটি প্রকাশিত হয় এবং সে বছরই ইংরেজিতে অনূদিত হয়।
একই সালে প্রকাশিত ‘নেকলেস’ শীর্ষক গল্পগ্রন্থের মধ্যে গল্পটি স্থান পায়।
অপ্রত্যাশিত কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয় সমাপ্তির জন্য গল্পটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
শব্দার্থ নেকলেস
‘কনভেন্ট - খ্রিস্টন নারী মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত স্কুল। মিশনারিদের আবাস।
মাসিঁয়ে – সৌজন্য প্রদর্শন ও সম্মান জানানোর জন্য ফ্রান্সে পুরুষদের মাসিঁয়ে সম্বোধন করা হয়।
মাদাম – সৌজন্য প্রদর্শন ও সম্মান জানানোর জন্য ফ্রান্সে মহিলাদের মাদাম সম্বোধন করা হয়।
ফ্রাঁ -ফরাসি মুদ্রার নাম। ২০০২ সাল পর্যন্ত এই মুদ্রা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় ফ্রান্স ইউরো ব্যবহার করে।
‘বল’ নাচ-বিনোদনমূলক সামাজিক নৃত্যানুষ্ঠান। ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বহু দেশে এই নৃত্য প্রচলিত।
ক্রশ - খ্রিস্টন ধর্মীয় প্রতীক।
স্যাটিন- Satin মসৃণ ও চকচকে রেশমি বস্ত্র।
প্যারী -প্যারিসের ফরাসি নাম।
প্যালেস রয়েল - রাজকীয় প্রাসাদ।
পাঠপরিচিতি:--
“তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মাদী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। সাধারণভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত আনন্দের উৎস। বসন্ত-প্রকৃতির অপরূপসৌন্দর্য যে কবিমনে আনন্দের শিহরন জাগাবে এবং তিনি তাকে ভাবে ছন্দে সুরে ফুটিয়ে তুলবে সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু কবিমন যদি কোন কারণে শোকাচ্ছন্ন কিংবা বেদনা ভারাতুর থাকে তবে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য সত্ত্বেত কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারবে না।
এ কবিতায় কবির ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপথ ঘটেছে। তাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে (১৯৩২) কবির জীবন প্রচণ্ড শূন্যতা নেমে আসে। তার ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে এক বিষণ্নতা। কবিমন আচ্ছন্ন হয়ে যায় রিক্ততার হাহাকারে। “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাকে আচ্ছন্ন করে আছে এই বিষাদময় রিক্ততার সুর। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা।
কবিতাটির আরেকটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর নাটকীয়তা। গঠনরীতির দিক থেকে একটি সংলাপনির্ভর রচনা। কবিতার আবেগময় ভাববস্তুর বেদনাঘন বিষণ্নতার সুর এবং সুললিত ছন্দ এতই মাধুর্যমণ্ডিত যে তা সহজেই পাঠকের অন্তর ছুঁয়ে যায়।
সুজনশীল প্রশ্নের উত্তর
তাহারে পরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন
প্রশ্ন:
ক. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? ১
খ. বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন কেন? ২
গ. অনুচ্ছেদের প্রথমাংশের ভাবটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কার সংলাপে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত ঋতুর সঙ্গে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতা ঋতুর দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য রয়েছে—এ উক্তিটির সঙ্গে তুমি কি একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
৪
উত্তর: ক. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি প্রথম মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
উত্তর: খ. যেকোনো সৌন্দর্য, বিশেষ করে প্রকৃতির সৌন্দর্য মানুষকে আনন্দ দান করে। বসন্তের সৌন্দর্য হলে তো কথাই নেই। কিন্তু স্বামীর অকাল মহাপ্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন থাকায় বসন্তের সৌন্দর্য কবির নিকট অর্থহীন।
প্রকৃতি বসন্তের আগমনে ফুলের সাজে সাজলেও, দক্ষিণা হাওয়া বইলেও কবিকে শীতের রিক্ততার বেদনার ছাপ আচ্ছন্ন করে রেখেছে। কবি তাঁর মনের প্রকৃত অবস্থাকে শীতের প্রকৃতিতে বিরাজমান অবস্থার সঙ্গে একটি মিল খুঁজে পাচ্ছেন। তিনি বসন্তের আগমনের আনন্দের পরিবর্তে প্রিয়তম সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিত মৃত্যুর বিষাদ ব্যথায় শীতের করুণ বিদায় বেলায় একাকার করে উপলব্ধি করছেন। বসন্ত তাঁর নিকট অর্থহীন।
উত্তর: গ. অনুচ্ছেদের প্রথমাংশের ভাবটি ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবিভক্তের সংলাপের চিত্র ফুটে উঠেছে।
বসন্তের আগমনে গাছে গাছে ফুল ফোটে; মানবমনে শিহরণ জাগে, প্রকৃতি বিচিত্র সাজে সজ্জিত হয়ে ফুল ও তার সৌরভ উপহার দিয়ে বসন্তকে বরণ করে। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি ও মানব মনে এক মহোৎসব বিরাজ করে। এর প্রভাবে সবাই প্রভাবিত। কবি ও এর ব্যতিক্রম নন। তবে কেন আজ এই উদাসীনতা তাঁর?
ঋতুরাজ বসন্ত তার রূপ নিয়ে ধরা দেয় প্রকৃতিতে। ফুল ফোটে, পলাশ রাঙায় মধুর রং, পাখি গান গায়, বাঁশি বাজে আনন্দে উদ্বেলিত হয় মানব মন। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি ও তাঁর ভক্তদের সংলাপে এমন কথা—
বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি?
ফুটেছে কি আমার মুকুল?
দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে
হয়েছে কি অধীর আকুল?”
বসন্তের এতসব আয়োজন সত্ত্বেও কবি আজ বসন্তকে বরণ ও তাঁর জন্য অর্ঘ্য রচনা করতে পারছেন না।—
ফুল কি ফোটে নি শাখে?
পুষ্পারতি রভে নি কি ঋতুর রাজন?
মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি?
করে নি সে অর্ঘ্য বিরচন?”
কেননা, তাঁর সাহিত্য প্রেরণার প্রিয় ব্যক্তির বিয়োগব্যথার কথা কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না। বসন্তের পরিবর্তে তিনি আজ শীত ঋতুকেই তাঁর ব্যথার সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন।
উত্তর: ঘ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত ঋতুর সঙ্গে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার ঋতুর দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে। কবি সুফিয়া কামালের ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় বসন্তের আগমনের আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার পরিবর্তে প্রকাশ পেয়েছে শীতের রিক্ততার বেদনার সুর। উদ্দীপকের কবিতাংশের সঙ্গে এ কবিতার দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য বেশ স্পষ্ট।
অনুচ্ছেদের সঙ্গে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার চেতনাগত ও আবেগগত পার্থক্য বেশ লক্ষণীয়। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় ঋতুরাজ বসন্তের প্রতি কবির আনন্দবিমুখতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। যেখানে কবি বসন্তকে বরণ করার নানা আয়োজনে ব্যস্ত থাকবেন, সেখানে তিনি নীরব-নিশ্চুপ। ভক্তদের অনুরোধেও এবার তিনি কোনো প্রকার সাড়া দিচ্ছেন না।
কবি শুধু কি বসন্তের ব্যাপারে উদাসীন? তা নয়, বরং কবির ভাবনা সম্পূর্ণ বিপরীত। কবির ভাবনা কবিতায়—
“কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্যাসী—
গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে
রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে,
ভুলিতে পারি না কোন মতে।”
অনুচ্ছেদের কবিতায় আমরা বসন্তের আগমনের জয়গান এবং প্রকৃতিতে যে আনন্দ ও সৌন্দর্যের সমারোহ তাই এখানে মুখ্য হয়ে ওঠে। শীতের জীর্ণতা ভেদ করে বসন্ত এসে প্রকৃতিতে মনোরম সাজ ও মধুর রাগ বিরাজ করছে। উভয় কবিতায় বসন্ত বিষয়বস্তু হলেও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে বসন্তের আনন্দের মাঝে শীতের রিক্ততার বিরাজ। অন্যদিকে অনুচ্ছেদের কবিতাংশে বসন্তের জয়গান, প্রাণের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ও প্রকৃতি জগতের সৌন্দর্য ও সৌরভের সমাহার বিস্তৃত হয়েছে। বসন্ত মানেই প্রাণের ঋতু। যেখানে আছে নবযৌবনের ছোঁয়া। শীতের পুরোনো জীর্ণতাকে শীর্ণ করে নতুন প্রাণের আবেগে মেতে ওঠার মধ্যেই বসন্তের সার্থকতা। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর ব্যতিক্রমও যে হয় না, তা নয়। কবির চেতনায় বসন্ত এবার অন্যভাবে ধরা পড়েছে। বসন্তে এবার তিনি শীত ঋতুতেই তাঁর হূদয়ের আর্তির সাযুজ্য খুঁজে পেয়েছেন। এভাবে বসন্ত ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার বসন্তের মিল ও অমিল পাওয়া যায়।
** তাহারেই পড়ে মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর
প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের
==>
বহুনির্বাচনী
বহুনির্বাচনী
১। ‘নেকলেস’ গল্পে কয়জন গৃহভৃত্যের কথা উল্লেখ রয়েছে?
ক. একজন খ. দুজন
গ. তিনজন ঘ. চারজন
২। সুরভিত প্রণয়লীলার কক্ষ—এখানে ‘প্রণয়লীলা’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. গল্পকাহিনী
খ.প্রেম সংলাপ
গ. জীবন সংলাপ
ঘ.প্রেমপত্র
৩। মাদাম লোইসেল অনুষ্ঠান শেষে কেন তাড়াতাড়ি চলে গেল?
ক. শরীর ক্লান্ত ছিল
খ. তার বিরক্ত বোধ হচ্ছিল
গ. দারিদ্র্য গোপন রাখতে
ঘ. দাম্ভিকতা প্রকাশ করতে
৪। কার্ড সংগ্রহ করতে মঁসিয়ের অনেক কষ্ট করতে হয় কেন?
ক. সে কার্ড পাওয়ার যোগ্য ছিল না
খ. অনেকের ভিড়ে কার্ড পাচ্ছিল না
গ. কর্মচারীদের বেশি দেওয়া হয়নি
ঘ. অনেক লোকের সমাগম
৫। মাদাম লোইসেলের জীবনে বৈচিত্র্য আসে কী কারণে?
ক. অনুষ্ঠানে নাচার জন্য
খ. হারখানা হারানোর জন্য
গ. বাড়িতে চুরি যাওয়ার জন্য
ঘ. নিজের ভুলের জন্য
৬। ফোরস্টিয়ার তার বন্ধু মাতিলদাকে প্রথম চিনতে পারল না কেন ?
ক. লোইসেলের চেহারার পরিবর্তন
খ. সম্পর্কের ছেদ পড়ন
গ.দীর্ঘদিনের ব্যবধান
ঘ. যোগাযোগ নেই বলে
৭। মঁসিয়ে কোন সময় তার স্ত্রীর অদ্ভুত কাজকর্মের বিষয় খেয়াল করে ?
ক. সন্ধ্যায়
খ. রাতে
গ. সকালে
ঘ. বিকেলে
৮। মাদাম লোইসেলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ফুটে উঠেছে—
ক. উচ্ছৃঙ্খলতা
খ. বিলাসিতা
গ. ধার্মিকতা
ঘ. ন্যায়পরায়ণতা
৯। মাতিলদা অনুষ্ঠানে যেতে চায় না যে কারণে—
i. ইচ্ছা নেই
ii. পোশাক নেই
iii. মণিমুক্তা নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
১০। নকল হারের দাম কত ছিল ?
ক. তিন শ ফ্রাঁ
খ. চার শ ফ্রাঁ
গ. পাঁচ শ ফ্রাঁ
ঘ. ছয় শ ফ্রাঁ
১১। হারটি ফেরত দেওয়ার সময় ফোরস্টিয়ারকে কেমন দেখাচ্ছিল?
ক. উল্লসিত
খ. উত্কণ্ঠিত
গ. উত্ফুল্ল
ঘ. নির্জীব
১২। রেনু বিলাসিতা পছন্দ করে; কিন্তু তা সম্ভব হয় না কখনোই। রেনুর সঙ্গে ‘নেকলেস’ গল্পের কার মিল রয়েছে?
ক. মাতিলদা
খ. মঁসিয়ে
গ. ফোরস্টিয়ার
ঘ. মঁসিয়ের সহকর্মীর
১৩। ‘গৌরবমণ্ডিত’ শব্দটির সঙ্গে যেটি সম্পর্কযুক্ত—
i. মহিমান্বিত
ii. গৌরবযুক্ত
iii. মর্যাদাপূর্ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
১৪। মঁসিয়ে হাতে কী নিয়ে ঘরে ফিরছিল?
ক. হীরার আংটি
খ. বড় খাম
গ. দামি শাড়ি
ঘ. একটি ফুল
১৫। মঁসিয়ের হাতের কার্ডটিতে কোন তারিখের কথা উল্লেখ রয়েছে?
ক. ২৮ ফেব্রুয়ারি
খ. ২৮ জানুয়ারি
গ. ১৮ ফেব্রুয়ারি
ঘ. ১৮ জানুয়ারি
১৬। প্যারিতে সন্ধ্যার পর কী দেখা যেত?
ক. বোরাক
খ. টুলেটুলি
গ. নিশাচর
ঘ. পাইক
১৭। মঁসিয়ে কত অর্থ সঞ্চয় করেছিল?
ক. ১০০ ফ্রাঁ
খ. ২০০ ফ্রাঁ
গ. ৩০০ ফ্রাঁ
ঘ. ৪০০ ফ্রাঁ
১৮। মাদাম লোইসেল মানস পরিবর্তনের স্বরূপ—
i. সামাজিক প্রেক্ষাপট
ii. বাস্তব জীবনবোধ
iii. আর্থিক দীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯ ও ২০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইসমিতা দরিদ্র ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও ভাগ্য বদলাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। নিয়তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সে তার অবস্থান বদলে দেয়।
১৯। উদ্দীপকের ইসমিতা ভাগ্য গড়ার কারিগর হিসেবে ‘নেকলেস’ গল্পে কোন চরিত্রের বৈপরীত্য প্রকাশ পেয়েছে?
ক. মাতিলদা
খ. ফোরস্টিয়ার
গ. মঁসিয়ে
ঘ. মাদাম জর্জ
২০। ইসমিতার মতো উক্ত চরিত্র ভাগ্য পরিবর্তনে যে ভূমিকা গ্রহণ করতে পারত—
i. কঠোর পরিশ্রম
ii. পরিমিত জীবন চালনা
iii. উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২১ ও ২২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
২১। উদ্দীপকের ভাববস্তুর সঙ্গে তোমার পঠিত কোন রচনার সাদৃশ্য রয়েছে?
ক. নেকলেস
খ. আহ্বান
গ. মাসি-পিসি
ঘ. বিড়াল
২২। উদ্দীপকের বিষয়টি গল্পের কোন দিকটিকে প্রকাশ করে?
ক. মাতিলদার নৈতিকতা
খ. মাতিলদার দারিদ্র্য
গ. মাতিলদার উচ্চাভিলাসিতা
ঘ. মাতিলদার উদারতা
২৩। বিউটি অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে। সে নাচে ও গানে অদ্বিতীয়। সব বয়সী লোক মুগ্ধ হয়ে যায় তার নাচে। উদ্দীপকটি কোন গল্পের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ক. মাসি-পিসি
খ. নেকলেস
গ. রেইনকোট
ঘ. বিড়াল
২৪। ‘নেকলেস’ রচনাটির উদ্দেশ্য কী?
ক. পরিমিত জীবনবোধ
খ. বিলাসিতা না করা
গ. দাম্ভিকতা পরিহার
ঘ. সহযোগী মনোভাব
২৫। হারানো হারখানা খুঁজে পেতে মঁসিয়ে ও লোইসেল কত দিন অপেক্ষা করেছিল?
ক. ৫ দিন
খ. ৭ দিন
গ. ৯ দিন
ঘ. ১১ দিন
২৬। লোইসেলের নখের রং কী রকম ছিল?
ক. লাল
খ. গোলাপি
গ. খয়েরি
ঘ. কমলা
২৭। কী ধরনের বক্সে হীরার হার রাখা ছিল?
ক. সোনালি বক্সে
খ. স্যাটিনের বক্সে
গ. মুক্তাখচিত বক্সে
ঘ. রুপার বক্সে
২৮। ‘নেকলেস’ গল্পের ক্ষেত্রে নিচের কোন যুক্তিটি প্রযোজ্য?
ক. মানুষের চাওয়ার শেষ নেই
খ. বিলাসিতাপূর্ণ জীবনই সবার কাম্য
গ. নিজের সামর্থ্য অনুসারে চলা উচিত
ঘ. দারিদ্র্য মানুষের নিত্যসঙ্গী
২৯। মহিন স্ত্রীকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে সে আতঙ্কে হতবুদ্ধি হয়ে গেল। এখানে ‘আতঙ্ক’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক. ভয়
খ. ত্রাস
গ. সন্ত্রস্ত
ঘ. শঙ্কিত
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
লিজা সব সময় ভাবত, ধনী পরিবারে তার জন্ম হলে অনেক বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারত। তার ঘরে থাকত দামি সব আসবাব কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
৩০। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নেকলেস’ গল্পের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে?
ক. মাতিলদা
খ. ফোরস্টিয়ার
গ. মঁসিয়ে
ঘ. জর্জ
উত্তর :
১. খ ২. খ ৩. গ ৪. গ ৫. খ ৬. ক ৭. ক ৮. খ ৯. গ ১০. গ ১১. ঘ ১২. ক ১৩. ঘ ১৪. খ ১৫. ঘ ১৬. গ ১৭. ঘ ১৮. ঘ ১৯. ক ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. খ ২৪. ক ২৫. খ ২৬. খ ২৭. খ ২৮. গ ২৯. ক ৩০. ক