সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

ণত্ববিধান ষত্ব বিধান কাহাকে বলে

◼️প্রশ্ন: ণত্ব-বিধান বলতে  কী বোঝ ণত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ ।
উত্তর: য়ে নিয়ম অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যাবহৃত সংস্কৃতিক  শব্দের বানানে ‘ন’  স্থানে মূধর্ন্য হয়  তাকে ণত্ব-বিধান বলে।
অর্থাৎ তৎসম শব্দের বানানে  ণ - ব্যাবহারের নিয়ম কে ণত্ব-বিধান বলে।

ণত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম
১.সাধারণভাবে তৎসম শব্দে ঋ ,র,ষ -এর  পর মূধর্ন্য হয়।
উদাহরণ- ঋণ, কারণ,মরণ,ভীষণ,ভাষণ ইত্যাদি।

২.র= র,ঋ ,রেফ  র্   ,ঋকার  ‍ৃ র-ফলা (্র্র) অথবা ক্ষ এর পরে য়দি  স্বরবর্ণ ,
ক-বর্গের ক খ গ ঘ ঙ  এবং প-বর্গের প ফ ব ভ ম আরও য য় হ,ং এই বর্গের যেকোন বর্ণ আস  ে। তবে তার পরেও  ণ হবে।
উদাহরণ- অপরাহ্ণ,পরিবহণ,রক্ষিণী, রোণপ , কৃপণ ,গৃহিণী ,অর্পণ, চর্বণ, পার্বণ, পূর্বাহ্ণ, অগ্রহায়ণ ,গ্রহণ ইত্যাদি।

৩. ট -বর্গের  ট ঠ ড ঢ -এই চারটি বণের পূর্বে যদি ন ধ্বণি থাকে এবং ন সহযোগে যদি যুক্তবর্ণ তৈরি  হয়  তা হলে সর্বদা মূর্ধন্য হবে । যেমন-কণ্টক, ঘণ্টা, কণ্ঠ,দণ্ড ইত্যাদি।

৪.উত্তর ,পর,পার,চান্দ্র,নার ,রাম,শব্দের পরে অনয়  শব্দ যোগ হলে  দন্তন্য পাল্টে মূর্ধন্য হবে
উদাহরণ
উত্তর+ অয়ন=উত্তরায়ণ
পর+ অয়ন= পরায়ণ
পার+অয়ন= পারায়ণ
চান্দ্র+অয়ন=চান্দ্রায়ণ
নার +অয়ন=নারাযণ
রাম+অয়ণ=রামায়ণ

৫.পরি, প্র, নির --এ তিনটি উপসর্গের পর ণত্ব-বিধানে নিয়ম অনুসারে   ‘ন’  ‘ণ’  তে  পরিণত হয়।
পরিণত, পরিণাম , প্রনয়ণ, প্রমাণ ইত্যাদি।

৬.বিদেশি শব্দের বানানে  ণত্ব-বিধান প্রযোজ্য হয় না। উদাহরণ -অ্যাকাউন্ট,এজেন্ট,টেন্ডার ,বন্ড ইত্যাদি।

◼️ ষত্ব-বিধান  কাকে বলে ? বাংলা ভাষায় ষত্ব-বিধানের  পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর: ষত্ব-বিধান: যে রীতি অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বানানে মূর্ধন্য  ‘ষ’  ব্যবহৃত হয়  তাকে ষত্ব বিধান বলে ।

ষত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম :

১.ঋ বা ‘ঋ’ কারের পরে মূর্ধন্য  ‘ষ’ হয়  যেমন: ঋষভ, কৃষক,বৃষ  ইত্যাদি

২.রেফ এর পর মূর্ধন্য  -ষ  হবে যেমন - বর্ষা, বার্ষিক , বিমর্ষ ,শীর্ষ ইত্যাদি

৩. ট ,ঠ -এই দুইটি বর্ণের পূর্বে সর্বদা ‘ষ’ হবে । যেমন : অনিষ্ট , অকৃষ্ট , তুষ্ট ,দুষ্ট , নষ্ট, নির্দিষ্ট , অনুষ্ঠান ,ওষ্ঠ ,  কনিষ্ঠ, কাষ্ঠ,কোষ্টী , জেষ্ঠ  ,জৈষ্ঠ্ ,পৃষ্ঠ ,বলিষ্ঠ , ভূমিষ্ঠ ,শ্রেষ্ঠ  ইত্যাদি।

৪. ই-কারান্ত  উ-কারান্ত  উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’  হবে। অভিষেক ,অনুষঙ্গ, প্রতিষেধক, অনুষ্ঠান , বিষম ,সুষমা  ইত্যাদি।

৫. ক  খ  প  ফ  এদের  আগে ইঃ (ঃি ) অথবা  উঃ (বা ‍ু ঃ ) থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গের জায়গায় সর্বদা   ‘ষ’   হবে । যেমন:
অবিঃ+কার =আবিষ্কার
দুঃ+কর   =দুষ্কর
নিঃ+ফল  =নিষ্ফল
৬. ট ঠ - এই  দুটি  মূর্ধন্য বর্ণের পূর্বে সর্বদা   ষ  হবে ; অর্থাৎ . যুক্তাক্ষরের রূপ হবে  ষ্ট/ষ্ঠ । যেমন: অনিষ্ট অপচেষ্টা চেষ্টা .অনুষ্ঠান, লগিষ্ঠ শ্রেষ্ঠ

-------🌿------

বাংলা ব্যাকরণ

⬀⬁১.প্রশ্নঃ- বাংলা  ব্যাকরণ কাকে বলে ? বাংলা ভাষার ব্যাকরণ পাঠের  প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
 অথবা
 প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর

উত্তরঃ  ড. মুহম্মদ  শহীদুল্লাহর মতে  যে শাস্ত্র পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।

কোন ভাষা সমন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হলে সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজন অপরিসীম কারণ
১.ব্যাকরণ পাঠের মধ্য  দিযে  আমরা সচেতনভাবে ভাষাটির সার্থক ব্যবহার করতে পারি বা অন্য কেউ ভুল করলে সে ভুলটি কেন করল কি ধরনের ভুর করল তা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারি ।
২.একটি ভাষার ব্যকরণ জানলে আমাদের অন্য ভাষার ব্যকরণ জানতে সুবিধা হয় । পৃথিবীর সকল ভাষার সাথে একটি মৌলিক ঐক্য আছে।
৩. ব্যাকরন আমাদের শেখায় ভাষা নিয়মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
৪.ভাষার সৌন্দর্য সম্ভোগের জন্যও সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠ আবশ্যক।
৫.সাহিত্যের রস আস্বাদনের জন্য ব্যাকরণ জানা আবশ্যক।
৬.ব্যাকরণ পাঠের মাধ্যমে ভাষার স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা  যায়।ভাষাকে আরো বিশুদ্ধভাবে লিখা বলা যায়। উল্লেখিত কারনে ব্যাকরণ পাঠ খুবই প্রয়োজন।

⍇প্রশ্নঃ বাংলা ব্যাকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
⍇প্রশ্নঃব্যাকরণে কী কী বিষয় আলোচিত হয় ? উদাহরণসহ  আলোচনা কর।

➤উত্তর ঃপ্রত্যেক ভাষাতেই তিনটি মৌলিক অংশ থাকে যথা--
১.ধ্বণি (sound) ২. শব্দ (word) ৩. বাক্য  (sentence)

উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের সাথে আরও একটি উপাদান রয়েছে , তা হল অর্থ  শব্দের অর্থবিচারে বাক্যের অর্থবিচার হয়
 অতএব ভাষার মৌলিক অংশ চারটি  যেমনঃ

১.ধ্বনি   ২. শব্দ  ৩.বাক্য   ৪. অর্থ  যার দরুন  সকল ভাষাতেই ব্যকরণের চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় :
ক.ধ্বণিতত্ত্ব    খ. বাক্যতত্ত্ব
 গ.শব্দতত্ত্ব      ঘ. অর্থতত্ত্ব
এই চার তত্ত্ব নিয়ে  ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠে।

১.ধ্বনিতত্ত্বঃ ধ্বনির উচ্চারন প্রনালী , উচ্চারণ স্থান,ধ্বণির প্রতীক বা বর্ণের বিন্যাস ,ধ্বনিসংযোগন বা সন্ধি ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ ,ণত্ব ষত্ব -বিধান ইত্যাদি বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

২.শব্দতত্ত্বঃ এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক  সম্মিলনে তৈরী হয় ,  শব্দের  অর্থযুক্ত  ক্ষুদ্রাংশকে বলাহয় রুপ। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্বও বলা হয়ে থাকে।এ অংশে শব্দের প্রকার , পদের পরিচয় , শব্দগঠন  উপসর্গ, প্রত্যয় , বিভক্তি , লিঙ্গ, বচন ,ধাতু ,শব্দরূপ,কারক ,সমাস ,ক্রিয়া-প্রকরণ,ক্রিয়ার কাল,ক্রিয়ার ভাব, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

৩. বাক্যতত্ত্বঃ বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালি , বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন , বিয়োজন ,এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা ,বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।

৪. অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থ বিচার ,বাক্যের অর্থবিচার অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ  অর্থতত্বের আলোচ্য বিষয়।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ অংশ প্রশ্নাবলী

বাংলা ২য় পত্রের  ব্যকরণ অংশ 

✔️১.প্রশ্ন:   বাংলা  ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর ।লিংক
✔️২.প্রশ্ন:  ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
✔️৩.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
✔️৪.সাধু ও চলিত ভাষার  পাঁটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।৯,১০,১১ নং প্রশ্নের উ্ত্তর
৫.ব্যাকরণ কাকে বলে ? যে কোন দুইজন ভাষাবিদের বাংলা ব্যাকরণের সংজ্ঞা দাও ।

◼️বাংলা উচ্চারণের নিয়ম (ধব্ণিতত্ত্ব)
১.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বাংলা উচ্চারণের ৫টি নিয়ম লেখ।
২.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বিশুদ্ধ উচ্চারণ প্রয়োজন কেন আলোচনা কর।
৩ অ’ ধ্বণি (আদ্য-অ ) উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম  উদাহরণ সহ লেখ।
  অথবা
বাংলা উচ্চরণে কখন অ-ধ্বনি ও  রুপে  উচ্চারিত হয ? উদাহরণ সহ পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৪ উদাহরণসহ ‘ব’ ফলার উচ্চরণের  পাচঁটি  নিয়ম  লেখ।
৫.বাংলা ব্যকরণের পরিধি বা  আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
৬.
৭. ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৮.‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
 ৯.‘এ’ ধ্বনির উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১০. ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।১০,১১,১২. ১৩ ক্লিক করুন
১১. ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১২. বাংলা বানানে ই-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।
১৩. বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৪. উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৬বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৭ উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৮. বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুসারে শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।

◼️বাংলা বানানের নিয়ম (ধব্ণিত্ত্ব ) ১.বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
✔️২.আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৩.বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ
৪.বাংলা বানানে ‍ু কার ব্যবহারের নিয়ম লেখ।
✔️৫ প্রশ্ন ণত্ব-বিধান বলতে কী বোঝ ? পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৬ প্রশ্ন ষত্ব -বিধান বলতে কী বোঝ ? ষত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৭.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৮. বাংলা বানানে ঈ-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।

◼️বাংলা ভাষার ব্যকরণিক শব্দশ্রেণি (উপসর্গ, অনুর্সগ ,প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমাস ,ধাতু ক্রীয়ামূল , )

১. প্রশ্ন: ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলতে কি বোঝ। কত প্রকার কী কী ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
২ প্রশ্ন: পদ ও শব্দের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর ?
৩.প্রশ্ন শব্দবলতে কী বোঝ ? উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়। উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ***
৪.প্রশ্ন: অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে , ভাগ করা যায় উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ****
অথবা
অর্থের পার্থক্যের বিচারে বাংলা শব্দ কয় প্রকার কী কী , উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৫.প্রশ্ন: গঠন অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমুহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৬ প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? বাংলা শব্দগঠনের উপায়গুলো উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণ সহ আলো চনা কর।
অথবা
প্রশ্ন: কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় তা আলোচনা কর।
০০.প্রশ্ন: শব্দগঠন বলতে কী বোঝ । কী কী উপায়ে (সার্থক) বাংলা ভাষার শব্দগঠিত হয়?
০০.প্রশ্ন: অর্থের পার্থক্য বিচারে বা অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ লেখ।

৭.প্রশ্নঃ উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ ‍বুঝিয়ে দাও । link this question
০০’উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’ আলোচনা কর।
✔️৮.প্রশ্ন : প্রত্যয় বলতে কী বুঝ ? প্রত্যয় কত প্রকার কী কী উদাহরনসহ লেখ। ক্লিক করুন
৯.প্রশ্ন : প্রত্যয়যোগে কিভাবে শব্দ গঠিত হয় , উদাহরনসহ ্পাঁচটি নিয়ম আলোচনা কর।
১০.প্রশ্ন:সংজ্ঞা লিখ: প্রকৃতি প্রত্যয়,স্ত্রী প্রত্যয়, বিদেশি প্রত্যয়।
১১.প্রশ্ন: বিদেশি প্রত্যয়যোগে গঠিত পাঁচটি শব্দের উদাহরণ দাও।

✔️১২ প্রশ্ন : সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কী উদাহরনসহ লিখ।
✔️১৩.প্রশ্ন বাংলা ভাষায সন্ধির প্রয়োজনীয়তা /আবশ্যকতা আলোচনা কর।
১৪.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি পরিহার্য ? উদাহরন সহ আলোচনা কর

◼️ বাক্যতত্ত্ব ( যতি চিহ্ন ,বিভিন্ন প্রকার বাক্য )

০০প্রশ্ন:বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুযায়ী বাক্যর প্রকারভেদ কী কী ? বাক্যের তিনটি গুণ কী কী ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর ।
১.প্রশ্ন: বিরম চিহ্ন বলতে কী বোঝ। বাংলা ভাষায় বিরাম-চিহ্নের আবশ্যকতা আলোচনা কর । [রা, বো, ০৯]
২.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রধান প্রধান বিরাম চিহ্নের ব্যবহার বা প্রয়োগ দেখাও। [চ ,বো ,১২]
৩.প্রশ্ন: ড্যাশ চিহ্ন কি এর বিভিন্ন ব্যবহার দেখাও। [চ,বো,০৯ রা , বো, ১০]
৪.প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ------

◼️ নির্মিত অংশ ৭০ নম্বর
পারিভাষিক শব্দ (যতগুলো পড়া যায ) পারিভাষিক শব্দ লিংক
অনুবাদ ইংরেজি হতে বাংলা (কম পক্ষে ১০টা এবং বেশী বেশী চর্চা করতে হবে )
সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কেন।
সমোচ্চারিত শব্দ কাকে বলে
বাগধারা বাগবিধি
বাক্য সংকোচন এক কথায প্রকাশ
প্রবাদ বচন

🔲◼️ অনুবাদ ❇️অনুচ্ছেদ রচনা ❇️ দিনলিপি ❇️ অভিজ্ঞতা বর্ণনা ❇️প্রতিবেদন রচনা ❇️ ভাষন রচনা ❇️ ( ❇️❇️৫টা)
মুক্তিযুদ্ধের েএকদিন একজন মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি বর্ণনা কর । লিংক
ভাষন রচনা/ও প্রতিবেদন রচনা (প্রিয় শিক্ষার্থীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে ) ভাষণ লিংক
⏭ নমুনাঃ ১.স্কুল/কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।
⬀বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনমত গঠনের লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।

◼️সারাংশ ❇️, সারমর্ম ❇️❇️ভাবসম্প্রসারণ, ❇️সারসংক্ষেপ

অর্নিধারিত
◼️বৈদ্যুতিক চিঠি /ক্ষুদে বার্তা (ইমেইল ১টি ভাল ভাবে শিখলেই হবে)
পত্রলিখান/ আবেদন পত্র লেখা (যথাসাধ্য বেশী চর্চা করিবে )

১.ভি,পি,ডাকযোগে বই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক প্রকাশকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখ
। ⏭ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হারানো মালের ক্ষতিপুরন দাবি করে একটি পত্র লেখ।
⏭ কলেজের ক্রীড়া বিভাগের জন্য সামগ্রী র মূল্য তালিকা চেয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট পত্র লেখ ।
⏮ তোমার স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ক্রয় করা হবে এজন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠাগুলি হতে দরপত্র আহ্বান কর।
✔️⬁প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর। (এক পৃষ্ঠায় লিখতে হবে)
⬀ কোন প্রতিষ্ঠিত পোশাক শিল্পে প্রোডাকশন ম্যনেজার পদের জন্য চকুরীর জন্য একটি দরখাস্ত লিখ।
✔️🔂🔂 কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে /বিপণন কর্মকর্তা /ম্যনেজার /হিসাবরক্ষক পদের জন্য তোমার যোগ্যতার বিবরন দিয়ে একটি চকুরীর দরখাস্ত লিখ ।

◼️ সারাংশ সারমর্মও সারসক্ষেপ (যথাসাধ্য বেশী পড়ার চেষ্টা করা উচিৎ )
ভাবসম্প্রসারণ এই খানে ক্লিক করুন

◼️ সংলাপ,ক্ষুদে গল্প রচনা এই খানে ক্লিক করুন
১ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ তৈরী কর।
২ ভ্রমনের স্থান নির্বাচনের জন্য দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩ ইন্টার নেটের সুফল কূফল বিষয়ে পিতা-পুত্র ও মায়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

◼️প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা (যতটা সম্ভব এবং আপনার কলেজের ফাইনাল সাজেশান )
১ .বাংলাদেশের রুহিঙ্গা সমস্যা
২.পরিবেশ দুষন ও তার প্রতিকার
৩.বর্তমান সভ্যতায় বিদ্যুতের ভূমিকা
৪ ইন্টার নেট ও আজকের বিশ্ব
৫.কর্মমূখী শিক্ষা
৬.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
৭. মানবাধিকার
৮.বাংলাদেশ যানযট সমস্যা
৯.ডিজিটাল বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

বিদায় ভাষণ

                                                                  বিাদায ভাষণ 

  আজকের বিদায়ী অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি জনাব---অত্র স্কুলের  শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ। বিদায অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল  ছাত্র/ছাত্রী,অভিবাবক সবাই কে সালাম। আসসালামুয়ালাইকুম।

বিদায় তিন অক্ষরের একটি শব্দ , অাক্ষরিক অর্থ হল প্রস্থানের অনুমতি,বিচ্ছেদ। আজ যে বিদায নিব সেটা হল স্থানান্তরের  বিদায,এক জায়গা হতে অন্য জায়গায়  উচ্চতর ক্লাসে পড়ালেখার জন্যে সাময়িক  বিদায।বিদায় মধ্যে কিছু হারানোর ইঙ্গিত থাকে,এত দিনের পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে  আমাদের আজ চলে যেতে হবে ভেবে মন খুব খারাপ লাগছে ,দীর্ঘ  পাঁচ বৎসর অত্র বিদ্যালয়ে এক সাথে ছিলাম,কত স্মৃতি কত হাসি ঠাট্টা খুনশুটি  সব ছেড়ে আজ আমাদের কে চলে যেতে হবে।ব্যাথা ভরা মন নিয়ে  বিদায় নিতে হবে এটাই সত্য।

অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা  দীর্ঘ দিনের ছাত্রজীবনে  অতন্ত্য যত্ন  সহকারে আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা আসিনাই কিন্তু শিক্ষিকাদের  রোদ বৃষ্টি ঝড়ে অনেক কষ্ট করে,অামাদের শিক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা তা কখনও ভুলব না ।  আমরা আপনাদের নিকট কোন ভুল ত্রুটি করে  থাকি  আমাদের  ক্ষমা করে দিবেন।বিদায়ী সকল ছাত্র্র ছাত্রীদের পক্ষ হতে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আমাদের কে মাফ কবে দিবেন,আমাদের জন্য দোয়া করবেন্।স্কুলের সকল ছোটভাই  বোনদের জন্য স্মৃতি ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারলাম না।তোমাদের প্রতি রইল অকৃত্রিম ভালবাসা আশির্বাদ,দোয়া।   আমি আমার শিক্ষকদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ূ কামানা করি, সকলকে  বিদায় জানাচ্ছি।

জাতীয় কবি কণ্ঠে আজ  বলি --
তুমি অমন ক‘রে গো বারে বারে জল -ছল-ছল চোখে চেয়ো না,
জল -ছল-ছল চোখে চেয়ো না।।
ঐ কাতর কণ্ঠে থেকে থেকে,শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না,
শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না।।
হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা,
আজো তবে শুধু হেসে যাও , আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।
ঐ ব্যথাতুর আঁখি কাঁদো -কাঁদো মুখ
দেখি আর শুধু হেসে যাও, আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না।

---সবাইকে ধন্যবাদ