|
১ যে ভাষা ব্যাকরণের নিয়মকানুর পুরোপুরিভাবে মেনে চলে, তাকে সাধু ভাষা বলে। |
১.বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহৃত বা মৌখিকভাষাকে চলিত ভাষা বলে। |
|
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী। |
২. চলিত ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী নয়। |
|
৩. সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে। |
৩ চলিত ভাষায় তদ্ভব, অর্ধতৎসম, ও বিদেশি শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে। |
|
৪. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। |
৪ চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল। |
|
৫. সাধু ভাষা নীরস ও প্রাণহীন |
৫.চলিত ভাষা সরস ও জীবন্ত। |
|
৬. সাধু ভাষা কৃত্রিম |
৬ চলিত ভাষা কৃত্রিমতা বর্জিত। |
|
৭. গদ্য, সাহিত্য, চিঠিপত্র ও দলীল লিখনে সাধু ভাষার ব্যবহার অধিক। |
৭.চলিত ভাষা বক্তৃতা, সংলাপ, আলোচনা ও নাট্য সংলাপের জন্য উপযুক্ত। |
প্রশ্ন: সাধু ও চলিত ভাষার মৌলিক পার্থক্যগুলি লেখ ।
প্রশ্ন : সন্ধি ও সমাস কী ? সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য কী ? উদাহরণসহ লিখুন।
সন্ধি: দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু‘ বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।
যেমন, সিংহাসন = সিংহ + আসন
সমাস: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে ।
যেমন, বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন
সন্ধি ও সমাসের দৃষ্টান্তসহ পাঁচটি মূল পার্থক্য নিচে দেয়া হলোঃ
সাধু ও চলিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য
নং |
সন্ধি |
সমাস |
|
১.পরস্পর সন্নিহিত দু বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে ।যেমন, বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয় । । |
১.পরস্পর অর্থ সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে । যেমন, সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন । |
|
২. সন্ধি তিন প্রকার। যথাঃ স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জন্সন্ধি ও বিসর্গ সন্ধি । |
২.সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাস । |
|
৩. সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়। |
৩ সমাস ব্যাকরণের রুপতত্ত্বে আলোচিত হয়। |
|
৪. সম্পর্ক শূন্য হলে সন্ধি হয় ।যেমন- মিথ্যা + উক = মিথ্যুক |
৪ সম্পর্ক শূন্য হলে সন্ধি হয় কিন্তু সমাস হয় না।যেমন, জমা ও খরচ = জমা-খরচ। |
|
৫. সন্ধিতে বিভক্তি লুপ্ত হয় না । যেমন, হিম + আলয় = হিমালয়, এখানে ‘আ‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়নি। |
৫.সমাসে বিভক্তি লুপ্ত হয় ।যেমন, ছাত্রের বৃন্দ = ছাত্রবৃন্দ। এখানে ‘র‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়ে ছাত্রবৃন্দ হয়েছে। |