রবিবার, ২৭ মে, ২০১৮

কার ও ফলা চিহ্ন সংক্ষিপ্ত পরিচয়


বাংলা ২য় পত্র

প্রশ্ন: কার ও ফলা কাকে বলে কার ও ফলার বিস্তারিত বর্ণনা দাও
উত্তর:- বাংলা স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে `কার' বলা হয় । ‘অ’ ভিন্ন স্বরবর্ণগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত হলে পূর্ণরূপের বদলে সংক্ষিপ্ত রূপ পরিগ্রহ করে । স্বরবর্ণের এ ধরনেরসংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ’কার” । স্বরবর্ণের কার চিহ্ন ১০টি । যথা :

আ -কার (া ) :মা , বাবা ঢাকা ‍ৃ- কার (ৃ): কৃষক তৃণ পৃথিবী
ই-কার ( ি) : কিনি ,চিনি . মিমি এ- কার ( ে ) : চেয়ার , টেবিল মেয়ে
ঈ- কার ( ী ): শশী , সীমান্ত, রীতি ঐ-কার ( ৈ ) :তৈরি ,বৈরী, হৈচৈ
উ- কার ( ‍ু) :কুকুর , পুকুর . দুপুর । ও -কার ( ে া ) : খোকা, পোকা , বোকা ।
ঊ- কার (ূ) : ভূত, মূল্য , সূচি ঔ-কার ( ৌ) :নৌকা, মৌসুমী ,পৌষ




ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। বাংলায় ফলা চিহ্ন ৭ টি

য-ফলা (্য) : ব্যাঙ,খ্যাতি,সহ্য । ন-ফলা (ন /ন): বিভিন্ন, যত্ন, রত্ন
ব-ফলা (‍্ব) :পক্ব,বিশ্ব , অশ্ব । ণ-ফলা (ণ):পুবাহ্ণ অপরাহ্ণ
ম-ফলা (ম): পদ্ম,সম্মান , স্মরণ ল-ফলা (ল) :ক্লান্ত, ম্লান , অম্ল
র -ফলা (্র): প্রমাণ,শ্রান্ত,ক্রয় -----

প্রশ্ন: গুরুচণ্ডালী দোষ কাকে বলে ?গুরুচণ্ডালী দোষ দূষণীয় কেন? উদাহরণসহ বিশ্লেষন করো
অথবা
ভাষায় সাধু ও চলিতরীতির মিশ্রণ দূষণীয়, ইহা বর্জন অবশ্যই কর্তব্য।’—আলোচনা করো।

উত্তর: গুরুচণ্ডালী দোষ: বাংলা ভাষার দুটি রূপ আছে। তার মধ্যে একটি সাধু এবং অপরটি চলিত। উভয়রীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান। তাই একই রচনায় সাধু ও চলিত ভাষার সংমিশ্রণ অসংগত ও অশুদ্ধ। ভাষারীতির এ অশিষ্ট প্রয়োগকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে। সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণের ফলে ভাষা প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য হারিয়ে কলুষিত হয়ে পড়ে। তাই সাধু ও চলিতরীতির মিশ্রণ দূষণীয় হিসেবে পরিগণিত হয়। এ জন্য উভয়রীতির মিশ্রণ পরিহার করা অবশ্যই কর্তব্য। সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে !!
যেমন- গরুর গাড়ি চলিত ভাষা সে স্থলে গরুর শকট ,শবদাহ স্থলে শবপোড়া ।



প্রশ্ন: ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

উত্তর: সংজ্ঞা: ‘ব্যাকরণ’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশ্লেষণ। ভাষা বিশ্লেষণ করাই ব্যাকরণের কাজ। সুতরাং যে শাস্ত্রে কোনো ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে।

ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, যে শাস্ত্রে কোনো ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ, প্রকৃতি ও প্রয়োগরীতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়, সে শাস্ত্রকে বলে সে ভাষার ব্যাকরণ।
ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা: পৃথিবীর প্রতিটি ভাষা একটি শৃঙ্খলা ও নিয়মবিধির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভাষার এ নিয়মবিধি জানার জন্যই ব্যাকরণ পাঠ অপরিহার্য। একটা ভাষা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করার জন্যই সে ভাষার ব্যাকরণ জানতে হবে। ব্যাকরণ পাঠ করে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং সেগুলোর সুষ্ঠু ও সঠিক ব্যবহার বা প্রয়োগবিধি সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করা যায়। এ ছাড়া ব্যাকরণ জানা থাকলে লেখায় ও কথায় ভাষা প্রয়োগের সময় শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ধারণ সহজতর হয়। বাগধারা, ছন্দ ও অলংকার প্রকরণও ব্যাকরণের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। কাজেই ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

শুদ্ধ অশুদ্ধ


প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
এক নজরে সকল বোর্ডের বাক্যের শুদ্ধ প্রয়োগের উত্তর
অশুদ্ধ শুদ্ধ
১. পূর্বদিকে সূর্য উদয় হয়। পূর্বদিকে সূর্য উদিত হয়।
২.গীতাঞ্জলী পড়েছ কি ? গীতাঞ্জলি পড়েছ কি ?
৩.নদীর জল হ্রাস হয়েছে। নদীর জল হ্রাস পেয়েছে।
৪.এ কথা প্রমাণ হয়েছে। এ কথা প্রমাণিত হয়েছে।
৫.আমার এ পুস্তকের কোনো আবশ্যক নেই। আমার এ পুস্তকের কোনো আবশ্যকতা নেই।
৬.তোমার তথ্য গ্রাহ্যযোগ্য নয় তোমার তথ্য গ্রহনযোগ্য নয়।

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

প্রবন্ধ

গ্রীষ্মের দুপুর


ভুমিকা :
গ্রীষ্মের দুপুর মানেই সূর্যের প্রচন্ড তাপদাহ। খাঁ খাঁ রোদ্দুর, তপ্ত বাতাসের আগুনের হলকা ।সবুজ পাতা নেতিয়ে পড়ার দৃশ্য। বটের ছায়ায় আশ্রয় নেওয়া রাখাল ছেলে। চারদিকে নিঝুম , নিস্তব্ধ,ঝিমধরা প্রকৃতি। ঘামে দরদর তৃ্ষ্ণার্ত পথিক। কবির ভাষায় :

ঘাম ঝরে দরদর গ্রীষ্মের দুপুরে

খাল বিল চৌচির জল নেই পুকুরে।

মাঠে ঘাটে লোক নেই খাঁ খাঁ রোদ্দুর

পিপাসায় পথিকের ছাতি কাঁপে দুদ্দুর।

গ্রীষ্মের দুপুরের অত্যন্ত পরিচিত দৃশ্য এটি ।রুক্ষ,শুষ্ক ,বৈচিত্র্যহীন,নিপাট দিনের স্থিরচিত্র।গ্রামের কোনো পুকুরঘাটে ,কুয়োতলায়,নদীর তীরে,বিস্তীর্ন চরাচরে রোদ প্রকৃতির দিকে তাকালে গ্রীষ্মের দুপুরের রূপ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

গ্রীষ্মের দুপুরে প্রকৃতির অবস্থা :

চৈত্রের কাঠফাটা রোদে গ্রীষ্মের পদধ্বানি শোনা যায়।বৈশাখ–জ্যৈষ্ঠ এলে সেই তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়।সূর্যের প্রখোর তাপে সমস্ত প্রকৃতি যেন নির্জীব হয়ে ওঠে।সবজির নধর পাতা খরতাপে নুয়ে পড়ে।মাঝে মাঝে ঘূর্ণি হাওয়ায় ধুলো ওড়ে, ঝরে পড়ে গাছের হলুদ পাতা।দূর আকাশে পাখনা মেলে চিল যেন বৃষ্টিকে আহবান জানায়।পাতার আড়ালে ঘুঘু পাখির উদাস–করা ডাক শোনা যায়।প্রকৃতি যেন পরিশ্রান্ত হয়ে নিঝুম মুহূর্তগুলো কাটাতে থাকে।পুকুর ঘাটে তৃষ্ণার্ত কাক, গাছের ছায়ায় পশু পাখির নি:শব্দ অবস্থান গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরের পরিচিত দৃশ্য।

গ্রীষ্মের দুপুরে জনজীবন :

গ্রীষ্মের দুপুর মানবজীবনেও নিয়ে আসে নিশ্চলতার আমেজ।কর্মব্যস্ত জীবনে আসে অবসাদ।মাঠে-ঘাটে জীবনের সাড়া যায় কমে।প্রচন্ড রোদের মধ্যে যারা কাজ করে, তাদের মাথায় থাকে মাখাল।কর্মমুখর দিনে গ্রীষ্মের দুপুরে সময় কিছুটা ধরিগতিতে অগ্রসর হয়। রাখাল ছেলে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়।পথিকজন পথের ক্লান্তি ঘোছাতে বিশ্রামের প্রহর গোনে।নি:শব্দ প্রকৃতি আর নীরব মানূষের কাছে গ্রীষ্মের দুপুর জেন স্থির।বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন,কোথাও যেন স্বস্তি নেই,শান্তি নেই।মাঠ-ঘাটন চৌচির,নদী–জলাশয় জলশূন্য।মাঠে মাঠে ধুলোওড়া বাতাস।আগুনঢালা সূর্য,ঘর্মাক্ত দেহ,ক্লান্তি অবসাদে গ্রীষ্মের দুপুর যেন অসহনীয় হয়ে উঠে।মুহূর্তের জন্যে প্রাণ সিক্ত হতে চায়,একটু ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শ পেতে চায় মন।

গ্রীষ্মের দুপুর গ্রামজীবনে নিয়ে আসে বিশ্রামের সুযোগ।কেউ কেউ নির্জন দুপুরে দিবানিদ্রায় ঢলে পড়ে।গৃহীনিরা সংসারের কাজের একটু অবসরে বিশ্রামের সুযোগ খোঁজে।তালপাখার বাতাসে একটু প্রাণ জুড়ায়।শীতের পাটিতে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।আমবাগানের দুষ্টু ছেলেদের আনাগোনা হয়তো বেড়ে যায়।

গ্রীষ্মের দুপুরে শহরের দৃশ্য অবশ্য অন্যরকম।প্রচন্ড রোদে রাস্তার পিচ গলতে থাকে।রাস্তায় যানবাহনের চলাচল কমে আসে।গলির ঝাঁপখোলা দোকানপাটে ঝিমধরা ভাব।ঘরেবাইরে কর্মের জগৎ হঠাৎ যেন ঝিমিয়ে আসে।অফিস পাড়ার কর্মব্যস্ততা ও এ সময় একটু শিথিল হয়ে আসে।ক্লান্তি ও শ্রান্তি ঘিরে ধরে কর্মচঞ্চল জীবনপ্রবাহকে।গ্রীষ্মের শান্ত দুপুর মনে করিয়ে দেয় ধরিত্রীর সঙ্গে মানুষের জন্ম-জন্মন্তরের সম্পর্কের কথা।অন্য এক উপলদ্ধির জগতে নিয়ে যায় মানুষকে।

উপসংহার : গ্রীষ্মের দুপুরের প্রখর তাপ প্রকৃতি ও জনজীবনের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে। এই প্রভাব কেবল বাহ্যিক নয় ,অভ্যন্তরীনও।রহস্যময় প্রকৃতির এ যেন এক গোপন আয়োজন। গ্রীষ্মের তপ্ত আকাশে এক সময় দেখা যায় সজল–কাজল মেঘ।নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি।গ্রীষ্মের দুপুরের ঝিমধরা প্রকৃতি আর নিশ্চল স্থবির জনজীবন,শস্যহীন মাঠ,নদীর ঘাটে বাঁকা নৌকা,রোদ ঝলসানো তপ্ত বাতাসের এই পরিচিত দৃশ্যের কথা এ সময় ভুলে যায় মানুষ।




বর্ষাকাল


ভূমিকা :
বর্ষা বাংলাদেশের আনন্দ –বেদনার এক ঋতু। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দহন শেষে বর্ষা আসে প্রকৃতির আর্শিবাদ হয়ে। একটানা বর্ষণের পর পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন জেগে ওঠে। বর্ষার আগমনে তাই বাংলার প্রকৃতির রূপ ও পালটে যায়। বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে গ্রীষ্মের বিবর্ণ প্রকৃতি হয়ে ওঠে কোমল আর সজীব। এ সময় আকাশে সারাক্ষণ চলে ঘনকালো মেঘের আনাগোনা। এমনকি দিনে কোনো কাজে মন বসে না। বর্ষাঋতুকে নিয়ে কবি লিখেছেন –

ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে
জল সিঞ্চিত ক্ষিতি সৌরভ রভসে
ঘন–গৌরবে নব যৌবনা বরষা
শ্যামা–গম্ভীর সরসা।

বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষাকাল :

ঋতুর গণনা হিসেবে আষাঢ়- শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল।কিন্তু বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয় বৈশাখ থেকে,চলে ভাদ্র–আশ্বিন মাস পযন্ত। সেই হিসাবে বর্ষা বাংলাদেশের দীর্ঘতম ঋতু। অনেক সময় দেখা যায় শরৎকালকে স্পর্শ করে ও বৃষ্টির কোনো বিরাম নেই।বর্ষার আগমনে তৃষিত পৃথিবী সিক্ত–শীতল হয়ে যায়।
মানুষ,জীবজন্তু,গাছপালা,পশুপাথি সব যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। নদীনালা,খালবিল,মাঠঘাট পানিতে ভরপুর হয়ে যায়।ফোটে কেয়া, কদম ফুল।বর্ষা বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ।গাছপালা নতুন পত্রপল্লবে ভরে যায়,উর্বর হয়ে ওঠে ফসলের ক্ষেত।সুখী গৃহবাসী মানুষের কাছে বর্ষার এই ভরভরান্ত দৃশ্য খুবই আনন্দের।ছোট ছেলেমেয়েরা কলার ভেলা বা কেয়াপাতার নৌকা ভাসিয়ে আনন্দ করে।বৃদ্ধরা ঘরে বসে পান–তামাক খায়।কেউবা খোশ গল্পে মেতে ওঠে।

বর্ষাঋতু সাধারণ দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুবই দু:খের।কারণ,অনেক সময় টানা বর্ষণে খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারে না।তাদের আয়–রোজগার বন্ধ থাকে,ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায়।ফলে তাদের দুখ-কষ্টের সীমা থাকে না।অতিবৃষ্টির ফলে নদীভাঙনে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।কৃষেকের ফসলের জমি ভেসে যায়,খেতের ফসল নষ্ট হয়।বানবাসি মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট দেখলে মনে হয় ,বর্ষা এসব মানুষের জীবনে দুর্যোগ ও দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।

বর্ষার রূপ : বর্ষায় বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ অন্যরকম হয়ে যায়।আকাশে ঘনকালো মেঘের আনাগোনা চলতে থাকে। কখনো বা আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামে।দু’ তিন দিন হয়তো সূর্যের দেখাই মেলে না।কখনো কখনো শোনা যায় মেঘের গর্জন।একটানা বৃষ্টিতে কোথাও হঠাৎ বাজ পড়ার শব্দে কেঁপে ওঠে ছেলে-বুড়ো।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন –

‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে

ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাইরে।’

বর্ষায় পল্লির রূপ :

বর্ষায় পল্লির মাঠ–ঘাট বৃষ্টির পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়।নদীর দুকূল ছাপিয়ে বর্ষার পানি গ্রামে প্রবেশ করে ।রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে যায়।নৌকা ছাড়া অনেক জায়গায় চলাফেরা করা যায় না।তখন গ্রামগুলোকে মনে হয় নদীর বুকে জেগে ওঠা এক একটা দ্বীপ।বর্ষায় পল্লির দৃশ্য সত্যি অপূর্ব।

বর্ষার অবদান :
বর্ষাকালে আমাদের দেশে কেয়া,কামিনী,কদম, জুঁই,টগর,বেলি,চাঁপা প্রভৃতি ফুলের সুগন্ধে চারপাশ সুরভিত হয়ে ওঠে।অর্থকরী ফসল পাট তখন কৃষকের ঘরে আসে।আউশ ধানের মৌসুম তখন।পেয়ারা,কলা,চালকুমড়া,ঝিঙা,করলা,ঢ়েঁড়শ বরবটি ইত্যাদি ফল ও তরকারি বর্ষারই অবদান ।বর্ষাকালে আমরা প্রচুর মাছ পেয়ে থাকি।এ সময়ে নৌকাযোগে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত খুব সহজ হয়।

উপসংহার :বর্ষাঋতুর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের একটা নিবিড় আত্নীয়তা আছে।সে যোগ কেবল ব্যবহারিক নয়,অন্তরেরও।বর্ষায় বাংলার মানুষের অন্তরও সিক্ত–স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে।প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলা যায়।



মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

সাধু চলিত ভাষার পাচঁটি বৈশিষ্ট্য লিখ




প্রশ্ন: সাধু ও চলিত ভাষার মৌলিক পার্থক্যগুলি লেখ ।
প্রশ্ন : সন্ধি ও সমাস কী ? সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য কী ? উদাহরণসহ লিখুন।

সন্ধি: দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু‘ বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।
যেমন, সিংহাসন = সিংহ + আসন

সমাস: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে ।
যেমন, বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন
সন্ধি ও সমাসের দৃষ্টান্তসহ পাঁচটি মূল পার্থক্য নিচে দেয়া হলোঃ

সাধু ও চলিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য

নং সাধু ভাষা চলিত ভাষা
১ যে ভাষা ব্যাকরণের নিয়মকানুর পুরোপুরিভাবে মেনে চলে, তাকে সাধু ভাষা বলে। ১.বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহৃত বা মৌখিকভাষাকে চলিত ভাষা বলে।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী। ২. চলিত ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী নয়।
৩. সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে। ৩ চলিত ভাষায় তদ্ভব, অর্ধতৎসম, ও বিদেশি শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।
৪. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। ৪ চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল।
৫. সাধু ভাষা নীরস ও প্রাণহীন ৫.চলিত ভাষা সরস ও জীবন্ত।
৬. সাধু ভাষা কৃত্রিম ৬ চলিত ভাষা কৃত্রিমতা বর্জিত।
৭. গদ্য, সাহিত্য, চিঠিপত্র ও দলীল লিখনে সাধু ভাষার ব্যবহার অধিক। ৭.চলিত ভাষা বক্তৃতা, সংলাপ, আলোচনা ও নাট্য সংলাপের জন্য উপযুক্ত।
নং সন্ধি সমাস
১.পরস্পর সন্নিহিত দু বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে ।যেমন, বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয় । । ১.পরস্পর অর্থ সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে । যেমন, সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন ।
২. সন্ধি তিন প্রকার। যথাঃ স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জন্সন্ধি ও বিসর্গ সন্ধি । ২.সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাস ।
৩. সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়। ৩ সমাস ব্যাকরণের রুপতত্ত্বে আলোচিত হয়।
৪. সম্পর্ক শূন্য হলে সন্ধি হয় ।যেমন- মিথ্যা + উক = মিথ্যুক ৪ সম্পর্ক শূন্য হলে সন্ধি হয় কিন্তু সমাস হয় না।যেমন, জমা ও খরচ = জমা-খরচ।
৫. সন্ধিতে বিভক্তি লুপ্ত হয় না । যেমন, হিম + আলয় = হিমালয়, এখানে ‘আ‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়নি। ৫.সমাসে বিভক্তি লুপ্ত হয় ।যেমন, ছাত্রের বৃন্দ = ছাত্রবৃন্দ। এখানে ‘র‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়ে ছাত্রবৃন্দ হয়েছে।

প্রবন্ধ লেখার নিয়ম কানুন



প্রবন্ধ

রচনা বা প্রবন্ধ লেখার নিয়ম কানুন প্রবন্ধ রচনা রচনা বলতে প্রবন্ধ রচনকে বোঝায়।

‘রচনা’ শব্দের অর্থ কোনো কিছু নির্মাণ বা সৃষ্টি করা। কোনো বিশেষ ভাব বা তত্ত্বকে ভাষার মাধ্যমে পরিস্ফুট করে তোলার নামই রচনা । রচনাকে সাধারণত সৃষ্টিশীল কর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে বিষয়ের উপস্থাপনা , চিন্তার ধারাবাহিকতা , সংযত বর্ণনা , ভাষার প্রঞ্জলতা ও যুক্তির সৃশৃঙ্খল প্রয়োগ থাকে।

‘প্রবন্ধ’ শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রকৃষ্ট রূপে বন্ধন। ‘প্রকৃষ্ট বন্ধন’বিষয়বস্তু ও চিন্তার ধারাবাহিক বন্ধনকে বোঝায়। নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ বলে । প্রবন্ধ রচনার বিষয়, ভাব, ভাষা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।

শিক্ষার্থীদের বেলায় রচনা ও প্রবন্ধ কথাটি সমার্থক। শিক্ষার্থীদের রচনায় নতুন কোনো ভাব বা তত্ত্ব থাকে না।একটা নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা মনের ভাব বা বক্তব্যকে প্রকাশ করে। রচনা বা প্রবন্ধ লেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ব্যক্ত করতে পারে। এতে তার বক্তব্যকে গুছিয়ে বলার দক্ষতা জন্মে। বক্তব্যকে সুস্পষ্ট করার জন্য যথার্থ শব্দ প্রয়োগ এবং উপমা, অলংকার ইত্যাদির ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষর্থী সচেতন হয়ে উঠে। প্রকাশের জড়তা কাটিয়ে ওঠা ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রবন্ধ- রচনার অনুশীলন প্রয়োজন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভূতি ,অভিজ্ঞতা , ব্যক্তিত্বের প্রকাশের জন্য প্রবন্ধ – রচনা অনুশীলনের বিকল্প কিছু নেই।

রচনার বিভিন্ন অংশ

রচনার প্রধান অংশ তিনটি – ক. ভুমিকা , খ. বিষয়বস্তু, গ.উপসংহার ।

ক.ভুমিকা :

এটি রচনার প্রবেশপথ। একে সূচনা , প্রারম্ভিকা বা প্রাক – কথনও বলা চলে। এতে যে বিষয়ে রচনা হবে, তার আভাস এবং সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ভূমিকা সংক্ষিপ্ত হওয়াই উচিত।

খ. বিষয়বস্তু বা মূল বক্তব্য :
বিষয়বস্তু বা মূল বক্তব্যই হচ্ছে রচনার প্রধান অংশ।এ অংশে রচনার মূল বিষয়বস্তুর সামগ্রিক পরিচয় স্পষ্ট করতে হয় ।বিষয় বা ভাবকে পরিস্ফুট করার জন্য প্রয়োজনে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে লক্ষ রাখতে হবে,অনুচ্ছেদগুলোর ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে।বক্তব্যকে স্পষ্ট করার জন্য এ অংশে প্রয়োজনে উদাহরণ ,উপমা , উদ্ধৃতি ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।

গ. উপসংহার:
বিষয়বস্তু আলোচনার পর এ অংশে একটা সিদ্ধান্তে আসা বলা হয় বলে এটাকে ‘উপসংহার ’ নামে অভিহিত করা হয়।এখানে বর্ণিত বিষয়ে লেখকের নিজস্ব মতামত বা অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

রচনার শ্রেণিবিভাগ :

বিষয়বস্তু অনুসারে রচনাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ক. বর্ণনা মুলক রচনা,থ.চিন্তামূলক রচনা।

বর্ণনামূলক রচনার সাধারণত স্থান,কাল,বস্তু,ব্যক্তিগত স্মৃতি –অনুভুতি ইত্যাদি বিষয়ে থাকে।ধান, পাট, শরৎকাল,কাগজ. টেলিভিশন,বনভোজন, শৈশবস্মৃতি ইত্যাদি রচনা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।চিন্তা মূলক রচনায় থাকে সাধারণত তত্ত্ব,তথ্য, ধ্যান–ধারণা,চেতনা ইত্যাদি।শ্রমের মর্যাদা,বাংলাদেশের বন্যা ও তার প্রতিকার,পরিবেশদূষণ,অধ্যবসায়,সত্যবাদিতা,চরিত্রগঠন প্রভৃতি এই শ্রেণির রচনার মধ্যে পড়ে।

প্রবন্ধ- রচনার কৌশল :

১.বর্ণনার মধ্য দিয়ে দৃষ্টি,রং,ধ্বনি,স্বাদ,গন্ধ,অনুভুতি ব্যবহার করে বিষয়বস্তুকে ছবির মতো ফুটিয়ে তুলতে হবে।

২.বর্ণনামূলক রচনা লেখার সময় সময়সীমা এবং পরিসরের কথা মনে রেখে বিশেষ কিছু দিক বেছে নিতে হয় । সেগুলির সাহায্যে মূল বিষয়বস্তুকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে হয় ।

৩. রচনা লেখার সময় পরম্পরা বা ধারাবাহিকতার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।চিন্তাগুলো যেন এলোমেলো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। জানা বিষয় ছাড়াও অনেক সময় অজানা বিষয় নিয়ে রচনা লিথতে হতে পারে।বিষয়ের ধারণাগুলো একটির পর একটি এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে ভাবের কোনো অসংগতি না থাকে।

৪.শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে রচনার আকার সাধারণত নির্দিষ্ট পরিসরের হয়ে থাকে ।পরিমিত পরিসরে তাই রচনার সামগ্রিক বিষয়কে তুলে ধরতে হয়। অযথা বিষয়কে প্রলম্বিত করা ঠিক নয়। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক বাক্য লেখা থেকে বিরত থাকতে হয়। এক কথায় রচনা খুব ছোট বা খুব বড় হওয়া উচিত নয়।
৫.প্রবন্ধের ভাষা সহজ এবং প্রাঞ্জল হওয়া বাঞ্ছনীয়। সন্ধি, সমাসবদ্ধ পদ, অপরিচিত বা অপ্রচলিত শব্দ যথাসম্ভব পরিহার করা ভালো। বাগাড়ম্বর বা অলংকারবহুল শব্দ ব্যবহার করা হলে অনেক সময় বিষয়টি জটিল ও দুর্বোধ্য হয়ে পড়ে। সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষারীতির মাধ্যমে রচনাকে যথাসম্ভব রসমন্ডিত ও হৃদয়গ্রাহী করার চেষ্টা করতে হয়।

প্রবন্ধ রচনায় দক্ষতা অর্জনের উপায় :

প্রবন্ধরচনায় রাতারাতি দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এর জন্য নিয়মিত অনুশীলন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত দিকগুলো সহায়ক হতে পারে :
১. প্রবন্ধ লেখার দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রচুর প্রবন্ধ বা রচনা পড়তে হবে।পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ, সংবাদ, প্রতিবেদন, ফিচার ইত্যাদি নিয়মিত পাঠ করলে নানা বিষয়ের ধারণা জন্মায় এবং শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়।এতে লেখা সহজ হয়ে ওঠে।

২. প্রবন্ধের বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।প্রবন্ধের বিষয়বস্তু, যুক্তি, তথ্য, তত্ত্ব, বিচার-বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয়ানুগ,প্রাসঙ্গিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া চাই।একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে,সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার।

৩.ভাষারীতিতে সাধু এবং চলিত যেন মিশে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।অযথা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য,উদ্বৃতি ব্যবহার করা উচিত নয়।

৪.প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়াও নিজের বক্তব্যকে আরো জোরালো করার জন্য প্রবাদ- প্রবচন,কবিতার পঙক্তি উদ্বৃতি ইত্যাদি সন্নিবেশ করা চলে।

৫. নিজের অভিজ্ঞতা , শিক্ষা, চিন্তাশক্তি,পঠন- পাঠন, ভাষাগত দক্ষতা ও উপস্থাপন কৌশল ইত্যাদি প্রয়োগ করে প্রবন্ধকে যথাসম্ভব হৃদয়গ্রাহী করার চেষ্টা করা উচিত।

বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য

ভূমিকা :
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত,শীতও বসন্ত। এ ছয় ঋতুর আবর্তন বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। প্রত্যেকটি ঋতুরই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এক এক ঋতু আমাদের জীবনে আসে এক এক রকম ফুল, ফল আর ফসলের সম্ভার নিয়ে। বাংরার প্রকৃতিতে ষড়ঋতুর পালাবদল আলপনা আঁকে অফুরন্ত সৌন্দর্যের।তাতে আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়, আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠে হৃদয়।গ্রীষ্মের দাবদহ,বর্ষার সজল মেঘের বৃষ্টি,শরতের আলো–ঝলমলে স্নিগ্ধ আকাশ,হেমন্তের ফসলভরা মাঠ,শীতের শিশিরভেজা সকাল আর বসন্তের পুষ্প সৌরভ বাংলার প্রকৃতি ও জীবনে আনে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া।ঋতুচক্রের আবর্তনে প্রকৃতির এ সাজবদল বাংলাদেশকে রূপের রানীতে পরিণত করেছে।

ঋতুচক্রের আবর্তন :
বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের মূলে রয়েছে জলবায়ুর প্রভাব ও ভৌগোলিক অবস্থান। এ দেশের উত্তরে সুবিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালা ,দক্ষিণে প্রবাহিত বঙ্গোপসাগর। সেখানে মিলিত রয়েছে হাজার নদীর স্রোতধারা ।মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির ধারা এ দেশের মাটিকে করে উর্বর , ফুল ও ফসলে করে সুশোভিত। নদীর স্রোত বয়ে আনে পলিমাটি ।সে মাটির প্রাণরসে প্রাণ পায় সবুজ বন- বনানী, শ্যামল শস্যলতা। তার সৌন্দর্যে এ দেশের প্রকৃতি হয়ে উঠে অপরূপ। নব নব সাজে সজ্জিত হয়ে এ দেশে পরপর আসে ছয়টি ঋতু।এমন বৈচিত্রময় ঋতুর দেশ হয়তো পৃথিবীর আর কোথা ও নেই।

ঋতু পরিচয় :
বর্ষপঞ্জির হিসেবে বছরের বার মাসের প্রতি দুই মাসে এক এক ঋতু।বৈশাখ –জৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল,ভাদ্র-আশ্বিন শরৎকাল,কার্তিক অগ্রহায়ণ হেমন্তকাল,পৌষ–মাঘ শীতকাল এবং ফাল্গুন–চৈত্র বসন্তকাল ।তবে ঋতুর পালাবদল সবসময় মাসের হিসেব মেনে চলে না।তা ছাড়া ঋতুর পরিবর্তন রাতারাতি বা দিনে দিনেও হয় না।অলক্ষে বিদায় নেয় একঋতু,আগমন ঘটে নি:শব্দে নতুন কোন ঋতুর।প্রকৃতির এক অদৃশ্য নিয়মে যেন বাঁধা ঋতুচক্রের এই আসা- যাওয়া ।

গ্রীষ্ম :
ঋতু-পরিক্রমার প্রথম ঋতু গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মে বাংলাদেশের রূপ হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। প্রচন্ড খরতাপ আর খাঁ খাঁ রোদ্দুরে মাঠ-ঘাট চৌচির হয়। নদী-নালা খাল –বিল শূকিয়ে যায়। কখনো তপ্ত বাতাসে যেন আগুনের হলকা ছুটতে থাকে। ক্লান্তি আর তৃঞ্চায় বুক শুকিয়ে আসে পথিকের। কখনো উত্তর-পশ্চিম আকাশের কোণে কালো হয়ে মেঘ জমে। হঠাৎ ধেয়ে আসে কালবৈশাখী ঝড়। বছরের পুরোনো সব আবর্জনা ধুয়ে মুছে যায়। জ্যৈষ্ঠ্য আসে ফলের সম্ভার নিয়ে। আম,জাম,কাঁঠাল,আনারস,লিচু ইত্যাদি নানারকম মৌসুমি ফলের সমারোহ গ্রীষ্মঋতুকে করে তোলে রসময়।

বর্ষা:
গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহের পর আসে বর্ষা।আকাশে দেখা দেয় সজল-কাজল মেঘ।অঝোর ধারায় নামে বৃষ্টি।পৃথিবীতে প্রাণের সাড়া।আষাঢ়- শ্রাবণের বর্ষণে জেগে ওঠে বৃক্ষলতা।কথনো একটানা বৃষ্টিতে খাল-বিল,পুকুর -নদী সব কানায় কানায় ভরে ওঠে। বর্ষার পল্লিপ্রকৃতি তখন এক অপরূপ সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়।

সে রূপ ধরা পড়েছে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় :
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে
ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে ।
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর
আউশের খেত জলে ভরভর
কালি –মাখা মেঘে ওপারে আাঁধার ঘনিয়াছে দেখ চাহি রে।

বর্ষায় বাংলাদেশের নিচু এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যায়।নদীতে দেখা দেয় ভাঙন।বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দেয় বন্যা।এমনকি শহরাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে।বর্ষায় গরিব মানুষের দু:খ–কষ্ট বেড়ে যায়। মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়।

শরৎ :
শরৎকাল বাংলাদেশের এক ঝলমলে ঋতু।বর্ষার বৃষ্টি– ধোয়া আকাশ শরতে হয়ে ওঠে নির্মল। তাই শরতের আকাম থাকে নীল।শিমুল তুলার মত সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় আকাশে।এ সময় শিউলি ফুল ফোটে,নদীর তীরে ফোটে সাদা কাশফুল।নির্মল আকাশে শরতের জ্যোৎস্না হয় অপরুপ ও মনলোভা। ঘাসের বুকে শিশিরের মৃদু ছোঁয়ায় স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে শরতের সকাল।

হেমন্ত :
হেমন্ত বাংলাদেশের ফসল–সমৃদ্ধ ঋতু।তখন সোনার ফসলে সারা মাঠ ভরে থাকে।কৃষকের মুখে থাকে হাসি।কাস্তে হাতে ধান কাটাতে ব্যস্ত থাকে কৃষক।নতুন ফসল ওঠায় ঘরে ঘরে ব্যস্ত থাকে কৃষক।নতুণ ফসল ওঠায় ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্নের উৎসব।পাকা ধানের সোনালি দৃশ্য সত্যি মনোমুগ্ধকর। সন্ধ্যা ও সকালে চারদিকে ঘন হয়ে কুয়াশা নামে।এসময় থেকে শীতের আমেজ পাওয়া যায়।

শীত :
শীত বাংলাদেশের হিমশীতল ঋতু।শীত আসে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে।শতে বিবর্ণ হয়ে গাছের পাতা ঝরে পড়ে।সকাল হলেও অনেক সময় সূর্যের মুখ দেখা যায় না।শীতে জড়সড় হয়ে যায় মানুষও প্রাণিকুল।শতের প্রচন্ডতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাই গরম কাপড় পরে।দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ থাকে বেশি। শীতে বেশি কষ্ট পায় আশ্রয়হীন, শীতবস্ত্রহীন দরিদ্র মানুষ ।শীত কেবল হীমশীতল বিবর্ণ ঋতু নয়।শীতকালের প্রকৃতি নানারকম শাকসবজির সম্ভার নিয়ে আসে। গ্রামবাংলায় এ সময় খেজুর রস ও পিঠা –পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায় ।

বসন্ত :
বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ ।শীতের রুক্ষ,বিবর্ণ দিন পেরিয়ে বসন্ত আসে বর্ণিল ফুলের সম্ভার নিয়ে।বাংলার নিসর্গলোক এ সময় এক নতুনসাজে সজ্জিত হয়।পুষ্প ও পল্লবে ছেয়ে যায় বৃক্ষশাখা, গাছে গাছে আমের মুকুল আর ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন শোনা যায়। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস আর কোকিলের কুহুতান বসন্তের এক অপরূপ মার্ধুয সৃষ্টি করে ।

উপসংহার:
বাংলাদেশ বিচিত্র সৌন্দর্যের লীলাভুমি।ঋতু পরিক্রমায় এখানে দেখা যায় বৈচিত্রময় রূপ। গ্রীষ্মের রুক্ষ প্রকৃতি, বর্ষার জলসিক্ত জীবন,শরতের কাশফুল,হেমন্তের নবান্নের উৎসব,শীতের কুয়াশামাখা সকাল আর বসন্তের পুষ্প–পল্লব ষড়ঋতুর ভিন্ন ভিন্ন রূপ বাংলাদেশকে করেছে বিচিত্ররূপণী।প্রকৃতির এমন বৈচিত্রময় রূপ পৃথিবীর আর কোথাওকি আছে ?


সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮

ব্যাকরণ প্রশ্ন যেগুলো


প্রশ্ন: ই কার ঈ কার ব্যবহারের নিয়ম উদাহরণসহ লেখ ।

ই-কার ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম  নিচে দেওয়া হলো
১. বাংলা ভাষায় ব্যবহূত তৎসম শব্দের বানানে ই-কার ও ঈ-কার দুটিরই প্রয়োগ আছে। কিন্তু অ-তৎসম শব্দের বানানে ‘ই’ ধ্বনির ক্ষেত্রে সর্বত্র কেবল ই-কার ব্যবহার করা সংগত। যেমন—পাখি, চিংড়ি, কেরানি ইত্যাদি।
২.  মৌলিক ক্রিয়াবাচক শব্দ ও পদে ‘ই’ ধ্বনির সর্বত্রই ই-কার হয়ে থাকে। যেমন— চিমটানো, বিলানো  ইত্যাদি।
৩. বিশেষণসূচক ও স্ত্রীবাচক ‘ঈ’ প্রত্যয়ান্ত সংখ্যাবাচক শব্দগুলো ছাড়া সাধারণভাবে সংখ্যাবাচক শব্দের বানানে ই-কার হয়। যেমন—তিন, চল্লিশ, আশি ইত্যাদি।
৪. প্রাণিবাচক অ-তৎসম শব্দের শেষে ই-কার হয়। যেমন— প্রজাপতি, বুলবুলি, তিমি ইত্যাদি।
৫. স্ত্রীবাচক অ-তৎসম শব্দের শেষে ই-কার হয়।   যেমন—দিদি, মামি, নানি ইত্যাদি।


ঈ-কার ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম—
১. কোনো কোনো স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার দেওয়া যেতে পারে।  যেমন: রানী, পরী, গাভী  ইত্যাদি ।
২.সর্বনাম পদরূপে এবং বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ পদরূপে কী শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে।
যেমন- কী করছ? কী পড়ো?  কী যে করি! ইত্যাদি।
৩. ব্যক্তির কারী’তে (আরী) ঈ-কার হবে। যেমন-  সহকারী,  ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি।
৪. কোন শব্দের সাথে সন্ধীগঠিত কারণে শব্দান্তে “ঈ” যোগ হলে অবশ্যই ঈ-কার হবে।
যেমন: দায়+ঈ=দায়ী, মন্ত্র+ঈ=মন্ত্রী  ইত্যাদি।
৫. বেশি’ এবং ‘বেশী’ ব্যবহার: ‘বহু’, ‘অনেক’ অর্থে ব্যবহার হবে ‘বেশি’।  শব্দের শেষে যেমন: ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে ‘বেশী’  ব্যবহার হবে।




রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮

সাধু ও চলিত ভা্ষার পার্থক্য লেখ।

সাধু ও চলিত ভাষারীতির ৫ টি পার্থক্য লেখ ?


১ যে ভাষা ব্যাকরণের নিয়মকানুর পুরোপুরিভাবে মেনে চলে, তাকে সাধু ভাষা বলে।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী।
৩. সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।
৪. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়।
৫. সাধু ভাষা নীরস ও প্রাণহীন
৬. সাধু ভাষা কৃত্রিম
৭. গদ্য, সাহিত্য, চিঠিপত্র ও দলীল লিখনে সাধু ভাষার ব্যবহার অধিক।

১.বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহৃত বা মৌখিকভাষাকে চলিত ভাষা বলে।
২. চলিত ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী নয়।
৩ চলিত ভাষায় তদ্ভব, অর্ধতৎসম, ও বিদেশি শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।
৪ চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল।
৫.চলিত ভাষা সরস ও জীবন্ত।
৬ চলিত ভাষা কৃত্রিমবর্জিত।
৭.চলিত ভাষা বক্তৃতা, সংলাপ, আলোচনা ও নাট্য সংলাপের জন্য উপযুক্ত।

জাতীয় সংগীত

জাতীয় সংগীত
রচয়িতা :কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুরকার: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এ গানটির প্রথম দশ লাইন সদ্যগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয়সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।

Flower

আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালোবাসি ।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥

ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি ॥

কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো—
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে ।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে—
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি ॥

তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি ।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে—
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি ॥

ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে
সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি ॥

ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে—
দে গো তোর পায়ের ধুলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে ।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে—
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি



সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য:

প্রশ্ন : ভাষা কাকে বলে ? সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য আলোচনা কর ।

উত্তর: ভাষার সংঙ্গা: সাধারণ কথায় মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে যেসব অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা শব্দ উচ্চারণ করে তাকে ভাষা বলে। এ বিষয়ে কয়েকটি প্রামান্য সংঙ্গা নিম্নরুপ-
১. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর অভিমত: তিনি বলেন, “মানুষ্য জাতি যেসব ধ্বনি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে, তার নাম ভাষা”।

সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য
ব্যবহার ও লেখার বিচারে বাংলা ভাষা দু’ভাবে ব্যবহার হয়। যথা-সাধুরীতি ও চলিতরীতি। নিচে এদের পাথ্যক্য তুলে ধরা হল-
১. যে ভাষা ব্যাকরণের নিয়মকানুর পুরোপুরিভাবে মেনে চলে, তাকে সাধু ভাষা বলে। বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহৃত বা মৌখিক ভাষাকে চলিত ভাষা বলে।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী। চলিত ভাষা ব্যাকরণের অনুসারী নয়।
৩. সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে। চলিত ভাষায় তদ্ভব, অর্ধতৎসম, ও বিদেশি শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।
৪. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল।
৫. গদ্য, সাহিত্য, চিঠিপত্র ও দলীল লিখনে সাধু ভাষার ব্যবহার অধিক। চলিত ভাষা বক্তৃতা, সংলাপ, আলোচনা ও নাট্য সংলাপের জন্য উপযুক্ত।
৬. সাধু ভাষায় পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্ধারিত। চলিত ভাষায় পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্ধারিত নয়।
৭. সাধু ভাষা শ্রুতিকঠোর ও দুর্বোধ্য। চলিত ভাষা শ্রুতিমধুর ও সহজবোধ্য।
৮. সাধু ভাষা নীরস ও প্রাণহীন। চলিত ভাষা সরস ও জীবন্ত।
৯. স্বভাবগত সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী। চলিত ভাষা সাবলীল ও স্বাচ্ছন্দ্যময়তার অধিকারী।
১০. সাধু রীতিতে অনুসর্গ হচ্ছে- জন্য, হইতে, থাকিয়া, চাইতে ইত্যাদি। চলিত রীতিতে অনুসর্গ হচ্ছে- জন্যে, হতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি।
১১. সাধু ভাষা কৃত্রিম। চলিত ভাষা কৃত্রিমবর্জিত।
১২. সাধু ভাষায় সন্ধি সমাসের আধিক্য লক্ষণীয়। চলিত ভাষায় সন্ধি সমাস বর্জন করে সহজ করে লেখার প্রবণতা লক্ষণীয়।
১৩. সাধু ভাষা বহু ভাষা প্রশংসিত। চলিত ভাষা মিত ভাষা আদৃত।
১৪. সাধু ভাষায় সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের ব্যবহার এ ভাষায় পূর্ণরুপে হয়ে থাকে। চলিত ভাষায় এদের আধুনিক ও সংকুচিত রুপ ব্যবহার হয়।
১৫. সাধু ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবমুক্ত। চলিত ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবধীন।
১৬. উদাহরণ: সাধু ভাষা-তোমাকে কাছে পাইয়া আমি ধন্য হইলাম। চলিত ভাষা-তোমাকে কাছে পেয়ে আমি ধন্য হলাম।

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮

.ok

Bottom Tooltip

Move the mouse over the text below:

Hover over me Tooltip text
একাদশ শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র
-📕 ----------------------
সমার্থম শব্দ বা প্রতিশব্দ
সসরাংশ,সারমর্ম,
সমোচ্চারিত ও প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ
বিপরীতার্থক শব্দ 
বাক্যসংকোচন/এক কথায় প্রকাশ
বাগ্‌ধারা/ বিশিষ্টার্থ শব্দ
প্রবাদ-বচন
পারিভাষিক শব্দ
লিংক My Academy
ব্যাকরণ ,ভাষা ,ধ্বণিতত্ব ,রূপতত্ব ,বাক্যতত্ব ,বাগর্থতত্ব
লিংক

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮

সারাংশ

রংপরিবর্তন >>

সারাংশ সারমর্ম
গল্প-কবিতা ছোট-বড় আকারে থাকতে পারে। কোনো কিছু বোঝাতে গিয়ে নানা প্রসঙ্গ আসতে পারে, বাক্যের সংখ্যাও বাড়তে পারে। গল্প বা কবিতা যত বড়ই হোক, এর মূল ভাব কিন্তু ছোট। সহজ ও সাবলীল ভাষায় গল্প বা কবিতাকে সংক্ষেপ করা বা এর অন্তর্নিহিত ভাব লেখাই হলো পুরো ঘটনার সারমর্ম বা সারাংশ।গদ্যের ভাবসংক্ষেপ হলো সারাংশ আর পদ্যের ভাবসংক্ষেপ সারমর্ম।

কিছু কায়দা-কানুন জানা থাকলে সারাংশ কিংবা সারমর্ম ঠিকঠাক লেখা যাবে। এর জন্য যা যা করতে হবে—

পড়ো-বুঝো
সারমর্ম বা সারাংশ লেখার সময় অনুচ্ছেদের কথা বা বাক্য লিখে দিলে চলবে না। আগে মূল ভাব বুঝতে হবে, এরপরই সাজিয়ে সংক্ষেপে লিখতে হবে। কবিতা, গদ্য বা রচনা খেয়াল করে পড়লেই মূল ভাব আঁচ করা যাবে। অর্থাৎ ভালোভাবে পড়লেই মূল বিষয়বস্তু বোঝা যাবে।

মূল ভাব একাধিক হলে
কোনো কোনো সময় রচনায় একাধিক মূল ভাব বা বক্তব্যও থাকতে পারে। যদি এমনটি হয়, তাহলে আসল মূল ভাব বোঝার সহজ উপায় হলো—রচনার বাক্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো শনাক্ত করা। এরপর বাক্যগুলোর সঙ্গে কোন ভাবটি বেশি কাছাকাছি তা যাচাই করা।

দরকারি-অদরকারি অং কোন বাক্যগুলো দরকারি, কোনগুলো অদরকারি—সেগুলো আলাদা করতে হবে। তাহলে কাজটা সহজ হবে। মূল রচনার যে অংশটা প্রশ্নে থাকবে, সেখানে উল্লিখিত উদ্ধৃতি, বর্ণনা, সংলাপ, উদাহরণ, উপমা বাদ দিতে হয়। লেখার গণ্ডি
সারমর্ম কিংবা সারাংশ বড় করে লেখার সুযোগ নেই। আর লেখার গণ্ডি অবশ্যই রচনার মূল ভাবের মধ্যেই যেন সীমিত থাকে। এখানে নিজের ইচ্ছামতো কোনো মন্তব্য বা মতামত লেখা যাবে না।

একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে।
সেথা দেখি এক জন পদ নাহি তার
অমনি জুতার খেদ ঘুচিল অমার।
পরের দুঃখের কথা করিলে চিন্তন
নিজের অভাব ক্ষোভ থাকে কতক্ষণ।

সারর্মম:পদহীন দুঃখীজনের কথা চিন্তা করলে পায়ে জুতা না থাকার দৈন্য মনে স্থান পায় না । অসলে পরের দুঃখ কষ্টকে উপলব্ধি করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত।

কোথায় স্বর্গ ? কোথায় নরক ? কে বলে তা বহুদূর ?
মানুষরেই মাঝে স্বর্গ-নরক ,মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়
আত্নগ্লানির নরক অনলে থখনি পুড়িতে হয় ।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদের কুঁড়েঘরে।

সারমর্ম:- এই পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই স্বর্গ ও নরক বিদ্যমান । বিবেকবর্জিত মানুষ পৃথিবীতেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করে , আর যারা ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে তাদের কাছে পৃথিবীটাই স্বর্গ।

অতীতকে ভুলে যাও। অতীতের দুশ্চিন্তার ভার অতীতকেই নিতে হবে। অতীতের কথা ভেবে ভেবে অনেক বোকাই মরেছে। আগামীকালের বোঝার সঙ্গে মিলে আজকের বোঝা সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যৎকেও অতীতের মতো দৃঢ়ভাবে দূরে সরিয়ে দাও। আজই তো ভবিষ্যৎ-কাল বলে কিছু নেই। মানুষের মুক্তির দিন তো আজই। ভবিষ্যতের কথা যে ভাবতে বসে সে ভোগে শক্তিহীনতায়, মানসিক দুশ্চিন্তায় ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায়। অতএব অতীতের এবং ভবিষ্যতের দরজায় আগল লাগাও, আর শুরু করো দৈনিক জীবন নিয়ে বাঁচতে।

সারাংশ:মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হলো বর্তমান। অতীত এবং ভবিষ্যতের ভাবনা মানুষের জীবনে কোনো সুফল বয়ে আনে না। বরং তা মানুষকে শক্তিহীন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং স্নায়ুবিকভাবে দুর্বল করে তোলে। তাই জীবনকে সফল করে তুলতে হলে অতীত ও ভবিষ্যতের চিন্তা ঝেড়ে ফেলে বর্তমানকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সারাংশ রচনা ,ভাবসম্প্রসারন,চিঠি-পত্র

বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন


পৃষ্ঠা নং-২

৩১. ব্যক্তি সেদিনই আত্মনির্ভর হবে যেদিন সে-
i. আত্মাকে চিনবে
ii. নিজ সত্যকে জানবে
iii. নিজ মহত্ত্বের পরিচয় দিবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i
গ) ii
ঘ) iii

ক) i ও ii

৩২. মজিদ জমিলার মধ্যে খোদাভীতি জাগতে চায় যে কারণে-
i. বশ করতে
ii. স্বীয় আধিপত্য বিস্তারে
iii. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i
গ) ii
ঘ) iii

ক) i ও ii

৩৩. অনুপমের মন ভার হলো কেন?
ক) মেয়ের বংশ গৌরব শুনে
খ) মেয়ের পিতার দৈন্যে
গ) মেয়ের পরিবার পশ্চিমে বাস করে বলে
ঘ) মেয়ের বয়স পনেরো শুনে
সঠিক উত্তর: (ঘ)

ঘ) মেয়ের বয়স পনেরো শুনে

৩৪. কী লেখকের আগুনকে নেভাতে পারে?
ক) জল
খ) সত্যের জল
গ) মিথ্যার জল
ঘ) বাতাস

গ) মিথ্যার জল

৩৫. ‘সংস্কৃতির কথা’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
ক) মোতাহের হোসেন চৌধুরী
খ) কাজী আবদুল ওদুদ
গ) আবুল হুসেন
ঘ) আবদুল কাদির

ক) মোতাহের হোসেন চৌধুরী
৩৬. কোথায় তরিতরকারি ফলমূলের দাম চড়া?
ক) শহরের হাটে
খ) গ্রামের হাটে
গ) গ্রামের বাজারে
ঘ) শহরের বাজারে

ঘ) শহরের বাজারে
৩৭. বর্ডার ক্রস করল কে?
ক) ইসহাক
খ) মিলিটারি
গ) নুরুল হুদা শালা
ঘ) মিসক্রিয়ান্টরা

গ) নুরুল হুদা শালা
৩৮. পিঁপড়া খাবার জমিয়ে রাখে কেন?
i. সুবিবেচক বলে
ii. সংকটকালে খাদ্য গ্রহণে
iii. সুশৃঙ্খল বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) i
গ) ii
ঘ) iii

ক) i ও ii
৩৯. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবর্যণ করেন কত তারিখে?
ক) ১ আগস্ট খ) ১ সেপ্টেম্বর
গ) ১ অক্টোবর ঘ) ১ নভেম্বর
খ) ১ সেপ্টেম্বর
৪০. কার বা কীসের জন্য নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়?
ক) মিন্টুর জন্য
খ) আসমার জন্য
গ) পাকবাহিনীর জন্য
ঘ) প্রিন্সিপালের জন্য

ক) মিন্টুর জন্য
৪১. কার কাজ কেবল টিকে থাকার সুবিধা দেওয়া নয়?
ক) ব্যক্তির
খ) পরিবারের
গ) গোষ্ঠীর
ঘ) সমাজের

ঘ) সমাজের
৪২. রহিমা মাজারে আমেনা বিবির দৃশ্যগুলো কীভাবে দেখেছিল?
ক) অপলক দৃষ্টিতে
খ) ঘরের কোনায় দাঁড়িয়ে
গ) বেড়ার ফুটো দিয়ে
ঘ) জানালা দিয়ে
গ) বেড়ার ফুটো দিয়ে
৪৩. কোন বিষয়টি গড়তে গিয়ে মানুষের আত্মত্যাগ রয়েছে?
ক) শহর
খ) বন্দর
গ) নগর
ঘ) সভ্যতা
ঘ) সভ্যতা
৪৪. অনুভূতির চক্ষুকে বড় করে তুললে কী সহজে উপলব্ধি করা যায়?
ক) ফুল ফোটার দৃশ্য
খ) ফুল ফোটার বেদনা
গ) বৃক্ষের বেদনা
ঘ) জীবনের বিকাশ
গ) বৃক্ষের বেদনা
৪৫. অত্যন্ত নিম্নশ্রেণির বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে-
ক) উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ীদের
খ) শীতল রক্তের কীটপতঙ্গদের
গ) শীতল রক্তের স্তন্যপায়ীদের
ঘ) উষ্ণ রক্তের সরীসৃপদের
ক) উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ীদের
৪৬. অন্য কোনো প্রাণীর সংস্পর্শে এলে ভাইরাসের মাঝে কীসের লক্ষণ দেখা যায়?
ক) প্রাণেরা
খ) জীবনের
গ) অস্তিত্বের
ঘ) মনের
খ) জীবনের
৪৭. বুড়ির চালাঘরের পাশে কার চালাঘর?
ক) লেখকের
খ) পরশু সর্দারের বউর
গ) পুঁটিদের
ঘ) হাজরা ব্যাটার বউর
ঘ) হাজরা ব্যাটার বউর
৪৮. খোকা যেতে নিজেও দিবারাত্রি মাল খেয়ে মারা গেছে কে?
ক) আহ্লাদির বাবা
খ) মাসির স্বামী
গ) পিসির স্বামী
ঘ) কানাই
গ) পিসির স্বামী
৪৯. বিক্রমপুর অঞ্চলটি কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) নারায়ণগঞ্জ
খ) মুন্সিগঞ্জ
গ) মানিকগঞ্জ
ঘ) নরসিংদি
খ) মুন্সিগঞ্জ
৫০. প্রাবন্ধিকের লক্ষ্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলো-
i. দেশের মঙ্গল
ii. দেশের পক্ষে যা সত্য
iii. দেশের পক্ষে যা হিতকর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) i, ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii
৫১. মুহম্মদ জাফর ইকবালের জননী-
ক) সায়েরা খাতুন
খ) লতিফা খাতুন
গ) ইয়াসমিন আকতার খাতুন
ঘ) আয়েশা আখতার খাতুন
ঘ) আয়েশা আখতার খাতুন
৫২. কে মিথ্যাকে ভয় পায়?
ক) প্রাবন্ধিক
খ) যার মনে মিথ্যা
গ) দেশবাসী
ঘ) শাসক

খ) যার মনে মিথ্যা
৫৩. মজিদের সঙ্গে মোদাচ্ছের পীরের কথা হয়েছে কীভাবে?
ক) পাহাড়ে
খ) মসজিদে
গ) স্বপ্নে
ঘ) বাস্তবে

গ) স্বপ্নে
৫৪. ‘মন উতলা কার’ বলতে অনুপম কী বুঝিয়েছেন?
ক) তোলপাড়
খ) উদ্বিগ্ন
গ) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত
ঘ) ভাবাবেগে আকুল
ঘ) ভাবাবেগে আকুল
৫৫. সরকার বাবুর সঙ্গে মাসি-পিসির ঝগড়া হয়েছে কনি নিয়ে?
ক) আলহাদীর দর নিয়ে
খ) বাজারের তোলা নিয়ে
গ) তরকারি বিক্রি নিয়ে
ঘ) বাজারে জায়গা দখল নিয়ে
খ) বাজারের তোলা নিয়ে
৫৬. নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত?
ক) আড়াই বছর
খ) সাড়ে তিন বছর
গ) এক বছর ৩ মাস
ঘ) দুই বছর তিন মাস
ক) আড়াই বছর
৫৭. খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রীর নাম কী?
ক) আমেনা
খ) জমিলা
গ) মোমেনা
ঘ) রহিমা
ক) আমেনা
৫৮. গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা পড়েছে কোন পোশাক? ক) বোরখা
খ) রেইনকোট
গ) পাঞ্জাবি
ঘ) মিলিটারির পোশাক
খ) রেইনকোট
৫৯. নিচের কোনটি উপন্যাস?
ক) আমার অবিশ্বাস
খ) অন্য ঘরে অন্য স্বর
গ) খোয়াবনামা
ঘ) ছাড়পত্র
গ) খোয়াবনামা
৬০. বুড়ি লেখককে কোন ভাষায় সম্বোধন করল?
ক) অ গোপাল
খ) অ মোর গোপাল
গ) অ গোপাল আমার
ঘ) অ বাবা গোপাল
গ) অ গোপাল আমার
৬১.লোইসেলকে আমন্ত্রণটি কে করেছিলেন?
ক. অর্থমন্ত্রি
খ.সংস্কৃতিমন্ত্রি
গ.কৃষিমন্ত্রি
ঘ.জনশিক্ষা মন্ত্রি
ঘ.জনশিক্ষা মন্ত্রি
৬২ . ৭৫. মানুষ কত মিলিয়ন বছর আগে জন্ম নিয়েছে?
ক) মাত্র দুই মিলিয়ন
খ) মাত্র এক মিলিয়ন
গ) মাত্র পাঁচ মিলিয়ন
ঘ) মাত্র দশ মিলিয়ন
ক) মাত্র দুই মিলিয়ন
৬৩. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কোন উপন্যাসটি ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়?
ক) কাঁদো নদী কাঁদো
খ) চাঁদের অমাবস্যা
গ) লালসালু
ঘ) চাঁদের অমাবস্যা ও লালসালু

গ) লালসালু
৬৪. “আমার পিতা এককালে গরিব ছিলেন।”- উক্তিটি কার সম্পর্কে প্রযোজ্য?
ক) অনুপমের পিতা খ) হরিশের পিতা
গ) কল্যাণীর পিতা ঘ) নিরূপমার পিতা
ক) অনুপমের পিতা
৬৫. তৃণভোজীরা সময় কাটায়-
ক) খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে খ) দলবেধে ঘুরে
গ) অলস সময় নষ্ট করে ঘ) তৃণ সংগ্রহ করে
ক) খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে
৬৬. বৃক্ষের প্রাপ্তি চোখের সামনে কীসের মতো ফুটে ওঠে?
ক) রেখা খ) মূর্তি
গ) ছবি ঘ) ছায়াছবি
গ) ছবি
৬৭. ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের লেখক রবীন্দ্রনাথকে কী হিসেবে অভিহিত করেছেন?
ক) কবিসম্রাট
খ) তপোবন-প্রেমিক
গ) বিশ্বপ্রেমিক
ঘ) আধুনিক বাংলা কবিতার জনক
সঠিক উত্তর: (খ)
খ) তপোবন-প্রেমিক
৬৮. আব্বুকে ছোট মামার মতো দেকাচ্ছে- এই রায়টি কে দিয়েছিল?
ক) আড়াই বছরের মেয়ে
খ) আসমা
গ) মিন্টুর ছেলে
ঘ) পাঁচ বছরের ছেলে
ঘ) পাঁচ বছরের ছেলে
৬৯. মজিদ আওয়ালপুরের পীরের কাছে গিয়েছিল কেন?
ক) অস্তিত্ব রক্ষায় খ) পীর দর্শনে গ) সমস্যার সমাধানে ঘ) মানত করতে
ক) অস্তিত্ব রক্ষায়
৭০. মিলিটারি লাগার পর থেকে নুরুল হুদা কতবার বাড়ি পাল্টায়?
ক) তিনবার খ) দুইবার
গ) একবারও নয় ঘ) চারবার
ঘ) চারবার
৭১. নি:সন্তান হিসেবে নিচের কোন চরিত্রটি গ্রহণযোগ্য?
ক) তাহের খ) ধলা মিয়া
গ) আমেনা ঘ) ঢেঙা বুড়ো
গ) আমেনা
৭২. বুড়ির নাতজামাই লোক কেমন?
ক) ছন্নছাড়া খ) উদাসীন
গ) খারাপ ঘ) দুষ্ট
গ) খারাপ
৭৩. ঢেঙা বুড়ো কী হিসেবে চিহ্নিতক করা যায়?
ক) সার্থক পিতা খ) তেজি পুরুষ
গ) বদমেজাজি ঘ) কর্মঠ
গ) বদমেজাজি
৭৪. অনুপম তার মামাকে কীসের বালির সাথে তুলনা করেছেন?
ক) ফল্গুর খ) সরস্বতীয়
গ) গঙ্গায় ঘ) যমুনার
ক) ফল্গুর
৭৫. সাহিত্যকীর্তির দিক দিয়ে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ-
ক) একজন অতিমানবী খ) দীপু নাম্বার টু
গ) গেরিলা ঘ) যুদ্ধ শিশু
খ) দীপু নাম্বার টু
৭৬. ‘আহ্ববান’ গল্পটি সংকলিত হয়েছে কোন রচনাবলি থেকে?
ক) শরৎ সমগ্র খ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাবলি
গ) বঙ্কিম মানস ঘ) রোকেয়া রচনাবলি
খ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাবলি
৭৭. ‘দীর্ঘজীবী হও’ ‘আহ্বান’ গল্পে লেখককে একথা বলেছিনে?
ক) নরেশ বাড়ুয্যে খ) জমির করাতির স্ত্রী
গ) চক্কোত্তি মশায় ঘ) নরু মুখুয্যে
গ) চক্কোত্তি মশায়
৭৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাস করেছিলেন কেন?
ক) সাহিত্য সাধনার জন্য
খ) জমিদারি দেখাশোনার জন্য
গ) প্রকৃতির কাছে থাকার জন্য
ঘ) মানুষের কাছাকাছি থাকার জন্য
(খ) জমিদারি দেখাশোনার জন্য
৭৯. আমেনা বিবিকে পালকি তেকৈ নামিয়ে মজিদ কোথায় নিতে বলেছিলেন?
ক) ঘরে
খ) উঠানে
গ) বারান্দায়
ঘ) মাজারে
(ঘ) বারান্দায়
৮০ চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের শুরুতে লেখিকা বিজ্ঞানের বা আধুনিক সভ্যতার জয়গান গেয়েছেন কারণ ?
ক.বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ তাই
খ.আধুনিক সভ্যতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য
গ.সমাজে নিজের বক্তব্যকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য
ঘ.সামাজিক মানুষের দুষ্টি আকর্ষণের জন্য
ঘ.সামাজিক মানুষের দুষ্টি আকর্ষণের জন্য
৮১ . আধুনিক সভ্যতায় বিলাসিতার সঙ্গে কী যোগ হয়েছে বলে বেগম রোকেয়া মনে করেন ?
ক.ভদ্রতা
খ.সৌজন্যবোধ
গ.ফ্যাশন
ঘ.অনুকরণপ্রিয়তা
ঘ.অনুকরণপ্রিয়তা
৮২ এন্ডি চাষার দুক্ষু প্রবন্ধে লেখিকার সময়ে কৃষকেরা সুতাকে নিচের কোনটির সমান বলা হয়েছে ?
ক.রাবারের
খ.ফ্লানেলের
গ.টানেল
ঘ.পশমির
খ.ফ্লানেলের
৮৩ . লর্ড কারমাইকেলের আবিষ্কৃত রুমালের জন্মস্থান কোথায় ?
ক.ত্রিপুরায়
খ.মুর্শিদাবাদে
গ.হায়দারাবাদে
ঘ.কলকাতায়
খ.মুর্শিদাবাদে
৮৪ . বেগম রোকেয়া কাদের সাহচর্যে ইংরেজি ভাষা্ শিক্ষা করেন ?
ক.ভাই-বোন
খ.স্বামী
গ.পিতা-মাতা
ঘ.শিক্ষক
ক.ভাই-বোন
৮৫.চাষার দু:খ প্রবন্ধের কোন দিকটি ভিখুর মাঝে প্রকাশ পেয়েছে ?
ক.কূপমন্ডুক মানসিকতা
খ.অনুকরণপ্রবণতা
গ.প্রয়োজনবোধ
ঘ.বিলাসিতা