বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

টিকাওশব্দার্থঃ

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
কবিতার টিকা ও শব্দার্থঃ--
[সূত্র; নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স্  ১.৩.২০১৮]✓

অরিন্দম    --শত্রুকে দমন করে যে
বিষাদে      --[টিকা ;-মনের দুঃখে মেঘনাদ অগ্নিপূজার সময়ে লক্ষন তাকে যুদ্ধে আহব্ন জানিয়ে যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করেছে]
রক্ষপুরে    --রাক্ষসদের পুরি
রক্ষ:শ্রেষ্ঠ   --রাক্ষসকূলের শ্রেষ্ঠ/রাক্ষস
তাত         --পিতৃব্য/ চাচা/পিতার ভাই 
নিকষা       --রাবণের মাতার নাম
কুম্ভকর্ণ       --রাবণের মধ্যম ভাই
বাসববিজয়ী  --দেবরাজ ইন্দ্র বা বাসবকে জয় করেছে মেঘনাদ
তস্করে         --চোরকে
শমন-ভবনে --যমালয়ে/ মৃত্যুপুরীতে
চন্ডালে       --নিন্মশ্রেণীর হিন্দু সম্প্রদায় /
গঞ্জি           --তিরস্কার করি
ভঞ্জিব        --মোচন করব
আহবে       --যুদ্ধ দ্বারা
মৃগেন্দ্র        --রাজ সিংহ
শৈবালদলের ধাম --শেওলাভরা বদ্ধ জলাশয়
অবিদিত        --অজানা
স্থপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর  ললাটে --চাঁদকে বিধাতা আকাশের কপালে স্থাপন করেছে
পঙ্কজ-কাননে  --পদ্মফুলের বাগান
পঙ্কিল-সলিলে  --কর্দমাক্ত পুকুরে
ক্ষুদ্রমতি নর   --ক্ষুদ্রমনা মানুষ
শূর               -- শক্তিমান
হে বিধাত:,নন্দন কাননে ভ্রমে দুরাচার দৈত্য --[হে বিধানকর্তা স্বগীয় উদ্যানে ্ এক দুরাচার দৈত্য ভ্রমন করছে]
বিভীষণ   --রাবণের  ছোট ভাই
বসুধা       --পৃথিবী
অম্বরে      --আকাশে
মন্দ্রে         --শব্দে
জীমূতেন্দ্র  --মেঘের ডাক
কোপি       --গর্জে ওঠে
রাক্ষসরাজানুজ--রাক্ষস রাজার অনুজ বা
জ্ঞাতিত্ব     --মানবসম্পর্ক
জরাঞ্জরি    --বির্সজন  দেয়া
লক্ষি,রাবণ-আত্নজ  --রাবণের পূত্রক লক্ষ্য করে

গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি; [নীচ প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে যার বসবাস ,তার মন তো নীচ হবেই ]
বাসববিজয়ী  -- দেবরাজ িইন্দ্র বা বাসবকে জয় করেছে মেঘনাদ✓
কিন্তু বৃথা গঞ্জি তোমা !হেন সহবাসে
হে পিতৃব্য ,বর্বরতা কেন না শিখিবে ? --[ কিন্তু অহেতুক তোমাকে তিরস্কার করছি । যাদের সঙ্গে তুমি বন্ধুত্ব  করে বসবাস করছ তাদের কাছে বর্ব রতা তুমি কেনই বা শিখবে না্ ?]



সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বাংলা পদ্য


ঐকতান
--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি।
দেশে দেশে কত-না নগর রাজধানী--
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত-না অজানা জীব, কত-না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে। বিশাল বিশ্বের আয়োজন;
মন মোর জুড়ে থাকে অতিক্ষুদ্র তারি এক কোণ।
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে--
যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী
কুড়াইয়া আনি।
জ্ঞানের দীনতা এই আপনার মনে
পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষালব্ধ ধনে -
আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি --
এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক,
রয়ে গেছে ফাঁক।
কল্পনায় অনুমানে ধরিত্রীর মহা একতান
কত-না নিস্তব্ধ ক্ষণে পূর্ণ করিয়াছে মোর প্রাণ।
দুর্গম তুষারগিরি অসীম নিঃশব্দ নীলিমায়
অশ্রুত যে গান গায়,
আমার অন্তরে বার বার
পাঠায়েছে নিমন্ত্রণ তার।
দক্ষিণ মেরুর ঊর্ধ্বে যে অজ্ঞাত তারা
মহাজনশূন্যতায় দীর্ঘ রাত্রি করিতেছে সারা,
সে আমার অর্ধরাত্রে অনিমেষ চোখে
অনিদ্রা করেছে স্পর্শ অপূর্ব আলোকে।
সুদূরের মহাপ্লাবী প্রচন্ড নির্ঝর
মনের গহনে মোর পঠায়েছে স্বর।
প্রকৃতির ঐকতান স্রোতে
নানা কবি ঢালে গান নানা দিক হতে -
তাদের সবার সাথে আছে মোর এইমাত্র যোগ
সঙ্গ পাই সবাকার, লাভ করি আনন্দের ভোগ;
গীতভারতীর আমি পাই তো প্রসাদ --
নিখিলের সংগীতের স্বাদ
সব চেয়ে দুর্গম যে মানুষ আপন অন্তরালে,
তার পূর্ণ পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে।
সে অন্তরময়,
অন্তর মিশালে তবে তার অন্তরের পরিচয়।
পাই নে সর্বত্র তার প্রবেশের দ্বার;
বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার।
চাষি ক্ষেতে চালাইছে হাল,
তাঁতি ব’সে তাঁত বোনে, জেলে ফেলে জাল--
বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি ’পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার।
অতি ক্ষুদ্র অংশে তার সম্মানের চিরনির্বাসনে
সমাজের উচ্চ মঞ্চে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে।
মাঝে মাঝে গেছি আমি ও পাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে;
ভিতরে প্রবেশ করি সে শক্তি ছিল না একেবারে।
জীবনে জীবন যোগ করা
না হলে, কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা।
তাই আমি মেনে নিই সে নিন্দার কথা --
আমার সুরের অপূর্ণতা।
আমার কবিতা, জানি আমি,
গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী -
কৃষাণের জীবনের শরিক যে জন,
কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা করেছে অর্জন,
যে আছে মাটির কাছাকাছি,
সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি।
সাহিত্যের আনন্দের ভোজে
নিজে যা পারি না দিতে, নিত্য আমি থাকি তারি খোঁজে।
সেটা সত্য হোক;
শুধু ভঙ্গি দিয়ে যেন না ভোলায় চোখ।
সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি
ভালো নয়, ভালো নয় নকল সে শৌখিন মজ্‌দুরি।
এসো কবি, অখ্যাতজনের
নির্বাক্‌ মনের।
মর্মের বেদনা যত করিও উদ্ধার;
প্রাণহীন এ দেশেতে গানহীন যেথা চারি ধার
অবজ্ঞার তাপে শুষ্ক নিরানন্দ সেই মরুভূমি
রসে পূর্ণ করি দাও তুমি।
অন্তরে যে উৎস তার আছে আপনারই
তাই তুমি দাও তো উদ্‌বারি।
সাহিত্যের ঐকতানসংগীতসভায়
একতারা যাহাদের তারাও সম্মান যেন পায়--
মূক যারা দুঃখে সুখে,
নতশির স্তব্ধ যারা বিশ্বের সম্মুখে,
ওগো গুণী,
কাছে থেকে দূরে যারা তাহাদের বাণী যেন শুনি।
তুমি থাকো তাহাদের জ্ঞাতি,
তোমার খ্যাতিতে তারা পায় যেন আপনারই খ্যাতি--
আমি বারংবার
তোমারে করিব নমস্কার -


বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

এইচ এস ‍ সি মানবন্টন




                       بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

এইচ,এস ,সি  সমমান পরীক্ষা নম্বর বিভাজন (২০১৭ থেকে  র্কাযকর)
                                               বাংলা ১ম পত্র পূর্ণমান--১০০                                                      সময় ৩ ঘন্টা

১. সুজনশীল প্রশ্নের জন্য ৭০ এবং বহুর্নি বাচনী প্রশ্নের জন্য ৩০ নম্বর বরাদ্ধ আছে
২.প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য  ১০ নম্বর এবং বহুর্নিবাচনী প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর ।

৩.সৃজনশীল প্রশ্ন:
   ১১টি প্রশ্ন থাকবে
গদ্য অংশ থেকে ৪টি, কবিতা অংশ থেকে ৩টি ,উপন্যাস থেকে ২টি,ও নাটক হতে ২টি প্রশ্ন থাকবে=১১টি

(গদ্য অংশ থেকে ২টি, কবিতা অংশ থেকে ২টি, উপন্যাস থেকে ১টি,ও নাটক হতে ১টি সহ মোট=৭টি উত্তর দিতে হবে)


৪.বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:

৩০টি প্রশ্ন থাকবে।
(গদ্যাংশ থেকে ১২টি কবিতাংশ থেকে ১২টি   উপন্যাসওনাটক হতে ৩টি করে প্রশ্ন থাকবে।)
সকল প্রশ্নের  উত্তর দিতে হবে ।

বাংলা ২য় পত্র পূর্ণমান--১০০                                        সময়  ৩ ঘন্টা                                                                                                                                   

ব্যকরণ ৩০
ক) বাংলা উচ্চারণ  নিয়ম                            ৫নম্বর
খ) বাংলা বানানের নিয়ম                             ৫নম্বর
গ) বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি            ৫নম্বর
ঘ) বাংলা শব্দগঠন (উপসর্গ,প্রত্যয় , সমাস)    ৫নম্বর
ঙ) বাক্যতত্ব                                             ৫ নম্বর
চ) বাংলা  ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধপ্রয়োগ     ৫নম্বর

র্নিমিতি :৭০ নম্বর
ক) পারিভাষিক শব্দে  থেকে ১টি
এবং অনুবাদ ইংরেজী থেকে বাংলা
               ( ১টির উত্তর দিতে হবে)---------------------------------   ১০ নম্বর

খ)দিনলিপি লিখন ও অভিঞ্জতা বর্ণনা  থেকে  ১টি
এবং ভাষণ রচনা ওপ্রতিবেদন রচনা থেকে   ১টি  মোট ২ট প্রশ্ন থাকবে
              ( ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে )  ---------------------------     ১০নম্বর

গ) বৈদ্যুতিক চিঠি অথবা ক্ষুদে র্বাতা থেকে
এবং পত্রলিখন অথবা আবেদনপত্র থেকে ১টি   মোট  ২টি প্রশ্ন থাকবে
              (   ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) ---------------------------  ১০ নম্বর

ঘ) সারাংশ , সারর্মম ও সারসংক্ষেপ থেকে ১টি এবং
 ভাবসম্প্রসারণ থেকে ১টি                            মোট ২টি প্রশ্ন থাকবে
                 (   ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)      ---------------------     ১০ নম্বর

ঙ) সংলাপ  রচনা থেকে ১টি  এবং ক্ষুদে গল্প রচনা থেকে ১টি
                                                               মোট ২ টি প্রশ্ন থাকবে
                     (   ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) ------------------------- ১০নম্বর

                                                                পাাঁচটি রচনা থাকবে
** প্রবন্ধ- নিবন্ধ রচনা;৫টি বিকল্প থাকবে , (১টির উত্তর দিতে হবে) ----------২০ নম্বর

[সূত্র; নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স্  ২২.২.২০১৮]



শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ এইচ.এস.সি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো-
২০১৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নে ১০ নম্বর বৃদ্ধি ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০ নম্বর কমিয়েছে সরকার। পরিবর্তন করা হয়েছে পরীক্ষার সময় বন্টন।থাকছে না বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যেকার বিরতি। এইচএসসি পরীক্ষায় নতুন মান বন্টনে উল্লেখ আছে ব্যবহারিক বিষয়সমূহে ৮ প্রশ্নের মধ্যে ৫ টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ২৫ টি।প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে । ব্যবহারিক অংশে থাকবে ২৫ নম্বর । অর্থাৎ সৃজনশীল ৫০, বহুনির্বাচনী ২৫ এবং ব্যবহারিক ২৫, সর্বোমোট ১০০ নম্বর।
এছাড়া যেসকল বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেইসকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ১১ টি, উত্তর দিতে হবে ৭ টি প্রশ্নের ।এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০ টি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ সৃজনশীল ৭০, বহুনির্বাচনী ৩০, সর্বোমোট ১০০ নম্বর।





পরীক্ষামূলক ছবি পোষ্ট slider

নমুনা  প্রশ্ন:  ইন্টারনেটের সুফল-কুফল বিষযে পিতা -পু্ত্রও মায়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

উত্তর :বাবা:কীরে হিমেল ঘুমাসনি এখনো ? তোর ঘরে এখনও লাইট জ্বলছে। 
হিমেল: না বাবা ঘুমাইনি। একটু নোট ব্রাউজ করছি।
বাবা:  রাত বারটা বাজে ।এখন শুয়ে পড়। সকালে উঠতে হবে।
হিমেল : বাবা আধ ঘন্টা শুয়ে পড়ব। একটা অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করছি। 
বাবা:  কেন বই পত্র নাই। 
হিমেল : না বাবা স্যারের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টি বইয়ে পাচ্ছি না।নেটে  দেখছি পাওয়া যায় কি না।
বাবা:  ঠিক আছে খুজে দেখ। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়িস। 
হিমেল : ঠিক আছে বাবা ,তুমি আর মা শুয়ে পড়। 
বাবা:  (মায়ের সাথে ) আজকাল ছেলেমেয়েরা   কেন যে সারাদিন নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে কিছু বুঝি না । বইও কেনে আরার নেটও দেখে।মাঝে মাঝে এটা ঠিক আছে । কিন্তু প্রতিদিন রাত-বিরাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা কি করে বোঝা মুশকিল। বুঝেছ হিমেলের মা , ইণ্টানেটের সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও আছে।ছেলের দিকে একটু খেয়াল রেখো। 
নমুনা: ১ প্রশ্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর। 
২.সড়ক ‍ দুর্ঘটনার  কারণ ও প্রতিকার নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর। 
৩.উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে ্একটি  সংলাপ তৈরি কর। 
৪.সম্প্রতি পড়া একটি বই সম্পর্কে  দু বন্ধুর কথোপকথর রচনা কর। 
৫.সংবাদপত্র পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে তিন সহপাঠীর সংলাপ রচনা কর।





























সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

তপন র্চৌধুরীর গান

  গানের কলি
১.পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে ....
২.আলো ভেবে যারে আমি জীবনে জরাতে ..
৩.আমি অনেক ব্যথার শ্রাবণ পেড়ি..

নূরুরদীনের কথা মনে পড়ে যায়


Girl in a jacket
বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন

 ১।    সৈয়দ শামসুল হক কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
     ক. ১৯৯০    খ. ১৯৩৪
     গ. ১৯৩৫    ঘ. ১৯৩৬
২।    সৈয়দ শামসুল হক বিবিসির কোন বিভাগের প্রযোজক ছিলেন?
     ক. বাংলা    খ. ইংরেজি
     গ. উর্দু ঘ. আরবি
৩।    ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় আকাশের রং কেমন ছিল?
     ক. ধূসর     খ. সাদা
     গ. নীল     ঘ. কালো
৪।    ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় হাজার হাজার কিসের কথা বলা হয়েছে?
     ক. তারা     খ. মানুষ
     গ. হেক্টর জমি ঘ. বন্দুক
৫।    সৈয়দ শামসুল হক কোথায় কালঘুমের কথা বলেছেন?
     ক. চেতনায়   খ. বিবেকে
     গ. বাংলায়   ঘ. অহমিকায়
৬।    নূরলদীনের বাড়ি কোথায় ছিল?
     ক. রংপুর    খ. দিনাজপুর
     গ. জামালপুর  ঘ. পিরোজপুর
৭।    রংপুরে নূরলদীন কত বঙ্গাব্দে ডাক দিয়েছিলেন?
     ক. ১১৮৮    খ. ১১৮৯
     গ. ১১৯০    ঘ. ১১৯১
৮।    কী লুট হয়ে গেলে কবির নূরলদীনের কথা মনে পড়ে?
     ক. সম্পদ    খ. স্বর্ণালংকার
     গ. অর্থ     ঘ. স্বপ্ন
৯।    কবি সৈয়দ শামসুল হক কোন প্রান্তরে সবাইকে আসতে বলেছেন?
     ক. সবুজ    খ. সংকীর্ণ
     গ. প্রশস্ত     ঘ. যুদ্ধের
১০।   সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে কোথায় গিয়ে মিশে?   
     ক. যমুনায়   খ. মেঘনায়
     গ. পদ্মায়    ঘ. ব্রহ্মপুত্রে
১১।   ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’—এই ডাকটি কে দেবে বলে কবি প্রত্যাশা করেন?
     ক. নূরউদ্দীন  খ. নূরলদীন
     গ. মনির উদ্দীন ঘ. নমির উদ্দীন
১২।   ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কাব্য নাটকটির রচয়িতা কে?
     ক. কাজী নজরুল ইসলাম    
খ. আল মাহমুদ
     গ. সুফিয়া কামাল    
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
১৩।   কেন কবির স্বপ্ন লুট হয়ে যায়?
     ক. অহংকারে 
খ. অভাবে
     গ. দালালের কারণে  
ঘ. নিষ্পেষণে 
১৪।   বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম বলতে বোঝায়—
     ক. ১৯৪৭ সাল খ. ১৯৫২ সাল
     গ. ১৯৬৯ সাল ঘ. ১৯৭১ সাল
১৫।   নূরলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায় ডাক দেবেন কেন?
     ক. সংগঠিত হতে    
খ. যুদ্ধ করতে
     গ. সংগ্রাম করতে    
ঘ. ইতিহাস বলতে
১৬।   ‘হানা দেওয়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
     ক. লুট করা  
খ. নিপীড়ন করা
     গ. আক্রমণ করা    
ঘ. জুলুম করা
১৭।   কবি সৈয়দ শামসুল হক ‘আমারই দেশ’ বলতে কোন দেশকে বুঝিয়েছেন?
     ক. পাকিস্তান  খ. ভারত
     গ. মালদ্বীপ   ঘ. বাংলাদেশ
১৮।   ‘যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়’—এখানে কাদের শকুন বলা হয়েছে?
     ক. ব্রিটিশদের  খ. পাকিস্তানিদের
     গ. পর্তুগিজদের ঘ. পুঁজিবাদীদের
১৯।   নূরলদীন কেন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে মিশে যাবে?
     ক. অত্যাচার বন্ধ করতে     
     খ. কূটবুদ্ধি দিতে
     গ. অর্থ আদায় করতে 
     ঘ. চেতনা জাগাতে
২০।   নূরলদীনের ডাকে বাংলার মানুষ জেগে উঠেছিল কেন?
     ক. মুক্তির জন্য
খ. অর্থের জন্য
     গ. ক্ষমতার জন্য    
ঘ. সম্মানের জন্য
২১।   সৈয়দ শামসুল হক প্রযোজক হিসেবে কাজ করতেন যে রেডিওতে—
     ক. সিএনএন  খ. বিবিসি
     গ. রয়টার্স    ঘ. আল-জাজিরা
২২।   নূরলদীন চরিত্রটিকে কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
     ক. চেতনা    খ. আদর্শ
     গ. লক্ষ্য     ঘ. অহংকার
২৩।   ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় জ্যোত্স্নাকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
     ক. দুধ খ. চুন
     গ. ডিম     ঘ. বক
২৪।   ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় কোন নদীর নাম উল্লেখ রয়েছে?
     ক. যমুনা    খ. মেঘনা
     গ. ব্রহ্মপুত্র   ঘ. ধলেশ্বরী
২৫।   ‘বাহে’ রংপুর অঞ্চলে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
     ক. গালি অর্থে 
খ. সম্বোধন অর্থে
     গ. সম্মান অর্থে
ঘ. ভ্রাতা অর্থে
২৬।   ‘আমার মিনতি আজ স্থির হয়ে বসুন সকলে’—এখানে কবি সৈয়দ শামসুল হকের কোন মনোভাবটি প্রকাশ হয়েছে?
     ক. অনুরোধ   খ. ইচ্ছা
     গ. সংগঠিত করা     ঘ. জাগ্রত করা
২৭।   ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’—বাক্যটির মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
     ক. কাপুরুষতা
খ. সংঘবদ্ধতা
     গ. আরামপ্রিয়তা    
ঘ. ঐতিহ্য
২৮।   ‘যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়’—বাক্যটিতে বাংলার কোন সংগ্রামের পথকে উন্মোচিত করেছে?
     ক. ভাষা     খ. চেতনার
     গ. স্বাধীনতা  ঘ. ধর্মীয়
২৯।   ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় প্রথম অংশে কোন ধরনের বিষয় ফুটে উঠেছে?
     ক. প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য
     খ. মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা
     গ. স্বদেশপ্রেম
     ঘ. জীবনালেখ্য
৩০।   সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন—         
     i. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র    
ii. ইংরেজি বিভাগের ছাত্র
     iii. সাংবাদিক
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii        খ. i ও iii
     গ. ii ও iii    ঘ. i, ii ও iii
৩১।   সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যগ্রন্থ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হলো—
            i. বৈশাখে রচিত পঙিক্তমালা    
ii. প্রতিধ্বনিগণ
     iii. ঈর্ষা
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii    খ. i ও iii
     গ. ii ও iii   ঘ. i, ii ও iii
৩২।   ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার আকাশের নিচে রয়েছে—
     i. গ্রাম রর. গঞ্জ
     iii. লোকালয়
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii    খ. i ও iii
     গ. ii ও iii   ঘ. i, ii ও iii
    
     নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
     ‘রহিমের সংসারে সুখের অন্ত নেই। কিন্তু হঠাৎ তার সংসারে নেমে আসে ভীষণ বিপদ। এক বিপথগামী তরুণ তার দরজায় শব্দ করে। তখন রহিম সগিরের কথা মনে করে, তার ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা মনে করে।’
৩৩।   ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার কার সঙ্গে সগিরের সাদৃশ্য রয়েছে?
     ক. নূরলদীনের খ. কবির
     গ. মুক্তিযোদ্ধাদের    ঘ. দালালদের
৩৪।   উপরিউক্ত চরিত্রটি হলো—
     i. প্রতিবাদী   
ii. সাহসী
            iii. সাম্রাজ্যবাদবিরোধী
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii     খ. i ও iii
     গ. ii ও iii   ঘ. i, ii ও iii

     নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৫ ও ৩৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
     ‘আজ দেশ আবারও এক সংকটে পতিত হয়েছে। আজ থেকে চার দশক আগেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিল পুরো বাঙালি জাতি। আজ জাতি আবারও বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজন অনুভব করছে।’
৩৫। উদ্দীপকের বিষয়বস্তু তোমার পঠিত কোন কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে?
     ক. সেই অস্ত্র  
খ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
     গ. নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়    
     ঘ. আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
৩৬।   উপরিউক্ত উত্তরের মূল বিষয়বস্তু হলো—
     i. মুক্তির সংগ্রাম
ii. স্বাধীনতা সংগ্রাম
            iii. ভাষা সংগ্রাম
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii    খ. i ও iii
     গ. ii ও iii   ঘ. i, ii ও iii
    
     নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
     ‘আজ সমাজে অন্যায়-অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তাদের এই নিষ্পেষণ, নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য একজন কাণ্ডারি প্রয়োজন। যে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে নিজেকে অন্যের প্রয়োজনে বিলিয়ে দেবে।’
৩৭। উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রয়েছে নিচের কোন কবিতার?
     ক. নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
     খ. আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
     গ. তাহারেই পড়ে মনে
     ঘ. সেই অস্ত্র
৩৮। উপরিউক্ত উত্তরের কবিতার চরিত্রে মিশ্রণ ঘটেছে—
     i. করুণা
ii. সাহস
     iii. ক্ষোভ
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii          খ. i ও iii
     গ. ii ও iii   ঘ. i, ii ও iii

     নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
     ‘অনেক দিন আগে সফিক সাহেবের ডাকে উত্তরবঙ্গের মানুষ নদীর জলের মতো একত্রিত হয়েছিল তাদের মুক্তির জন্য। আজ যখন আবার তারা সমস্যায় জর্জরিত, তখন তারা সফিক সাহেবের উপস্থিতি কামনা করছে।’
৩৯।   উদ্দীপকের ভাববস্তুর সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে তোমার পঠিত কোন কবিতার?
     ক. আমি কিংবদন্তির কথা বলছি  খ. তাহারেই পড়ে মনে
     গ. সেই অস্ত্র
ঘ. নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
৪০।   উপরিউক্ত উত্তরের কবিতার কবি হলেন—
     i. সাংবাদিক   
ii. গীতিকার
     iii. প্রযোজক
     নিচের কোনটি সঠিক?
     ক. i ও ii        খ. i ও iii
     গ. ii ও iii   ঘ. i, ii ও iii

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও
১. গ ২. ক ৩. গ ৪. ক ৫. গ ৬. ক
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. ঘ ১১. খ ১২. ঘ
১৩. গ ১৪. ঘ ১৫. ক ১৬. গ ১৭. ঘ
১৮. খ ১৯. ঘ ২০. ক ২১. খ ২২. ক
২৩. ক ২৪. গ ২৫. খ ২৬. ক ২৭. খ
২৮. গ ২৯. ক ৩০. ঘ ৩১. ক ৩২. ঘ
৩৩. ক ৩৪. ঘ ৩৫. গ ৩৬. ক ৩৭. ক
৩৮. গ ৩৯. ঘ ৪০. ঘ

এইচ এস সি বাংলা বিষয়


Girl in a jacket

বাংলা বিষয়ে লেখাপড়া
এইচ,এস,সি বাংলা প্রথম ওদ্বিতীয় পত্র

১২ টি করে গদ্য এবং পদ্য- এইচ এস সি ২০১৬-২০১৭-পরীক্ষা ২০১৮সাল ,২০১৭-২০১৮পরীক্ষা ২০১৯সাল।সিলেবাসে মোট গদ্যওপদ্য সর্বমোট ২৪টি থাকবে

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ২০১৮ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সূচি অনুমোদন করে তা প্রকাশ করেছে।

সূচি অনুযায়ী, ১৪ থেকে ৩০ মে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই

পরীক্ষার হলে নিজ আসনে গিয়ে বসতে হবে।এবারও শুরুতে বহুনির্বচনি (এমসিকিউ) অংশ এবং পরে রচনামূলক অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বচনি পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা।

গদ্য-

১ বিড়াল
২ অপরিচিতা
৩ চাষার দুক্ষু
৪ আহ্বান
৫ আমার পথ
৬ জীবন ও বৃক্ষ
৭ মাসি-পিসি
৮ বায়ান্নর দিনগুলো
৯ জাদুঘরে কেন যাব
১০ রেইনকোট
১১ মহাজাগতিক কিউরেটর
১১ নেকলেস।

পদ্য-

১ বিভীষনের প্রতি মেঘনাথ
২ ঐকতান
৩ সাম্যবাদী
৪ এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
৫ তাহারেই মনে পরে
৬ সেই অস্র
৭ আঠারো বছর বয়স
৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
৯ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
১০ নূরুলদীনের কথা মনে পরে যায়
১১ লোক-লোকান্তর
১২ রক্তে আমার অনাদি অস্থি

উপন্যাস লালসালু
নাটক সিরাজুদৌলা


হেলাল হাফিজ




অচল প্রেমের পদ্য -২

  ----- হেলাল হাফিজ 
কোনদিন, আচমকা একদিন
ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,-
‘চলো যেদিক দুচোখ যায় চলে যাই’,
যাবে ?


২.ফেরীঅলা

 ----- হেলাল হাফিজ
কষ্ট নেবে কষ্ট
হরেক রকম কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট!
লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট
পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট ,
আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
মালটি-কালার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট

ঘরের কষ্ট পরের কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট
দাড়ির কষ্ট
চোখের বুকের নখের কষ্ট
একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট।

প্রেমের কষ্ট ঘৃনার  কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট,
ভুল রমণী ভালোবাসার
ভুল নেতাদের জনসভার
হাইড্রোজেনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট ।

দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট
পথের এবং পায়ের কষ্ট
অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট ।

অার কে দেবে আমি ছাড়া
আসল শোভন কষ্ট
কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল  এমন
আমার মত ক জনের আর
সব হয়েছে   নষ্ট,
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।

১৩অচল প্রেমের পদ্য

তোমার হাতে দিয়েছিলাম অথৈ সম্ভাবনা
তুমি কি আর অসাধারণ ? তোমার যে যন্ত্রনা
খুব মামুলী ,বেশ করেছো চতুর সুদর্শনা
আমার সাথে চুকিয়ে ফেলে চিকন বিড়ম্বনা

আল মাহমুদ  

               -নোলক

আমার মায়ের সোনার  নোলক হারিয়ে গেল শেষে 
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে। 
নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তুমার কাছে?
-হাত দিও না আমার  শরীর ভরা বোয়ল মাছে। 
বললো কেঁদে তিতাস নদী হরিণবেড়ের বাঁকে
শাদা পালক বকরা যেথায় পাখ ছাড়িয়ে থাকে। 

জল ছাড়িয়ে দল হারিয়ে গেলাম বনের দিক
সবুজ বনের হরিৎ টিয়ে করে রে ঝিকমিক
বনের কাছে িই মিনতি ,  ফিরিয়ে দেবে ভাই ,
আমার মায়ের গয়না নিয়ে ঘরেক যেতে চাই ্
কোথায় পাবো তোমার মায়ের হারিয়ে যাওয়া ধন
আমার  তো সা পাখপাখালি বনের সাধারণ।
সবুজ চুলে ফুল পিন্দেছি নোলক পরি নাতো।
ফুলের গন্ধ চাও যদি নাও , হাত পাতো হাত পাতো -
বলে পাহাড় দেখায় তাহার  আহার ভরা বুক।
হাজার হরিণ পাতার ফাঁকে বাঁকিয়ে রাখে মুখ।
এলিয়ে খোঁপা রাত্রি এলেন , ফের বাড়ালাম পা
আমার মায়ের গয়না ছাড়া ঘরকে যাবো না।


হঠাৎ নীরার জন্য 
..........সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল
স্বপ্নে বহুক্ষণ
দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–
বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরে
তোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নের
নীল দুঃসময়ে।

দক্ষিণ সমুদ্রদ্বারে গিয়েছিলে কবে, কার সঙ্গে? তুমি
আজই কি ফিরেছো?
স্বপ্নের সমুদ্র সে কী ভয়ংকর, ঢেউহীন, শব্দহীন, যেন
তিনদিন পরেই আত্মঘাতী হবে, হারানো আঙটির মতো দূরে
তোমার দিগন্ত, দুই উরু ডুবে কোনো জুয়াড়ির সঙ্গিনীর মতো,
অথচ একলা ছিলে, ঘোরতর স্বপ্নের ভিতরে তুমি একা।

এক বছর ঘুমোবো না, স্বপ্নে দেখে কপালের ঘাম
ভোরে মুছে নিতে বড় মূর্খের মতন মনে হয়
বরং বিস্মৃতি ভালো, পোশাকের মধ্যে ঢেকে রাখা
নগ্ন শরীরের মতো লজ্জাহীন, আমি
এক বছর ঘুমোবো না, এক বছর স্বপ্নহীন জেগে
বাহান্ন তীর্থের মতো তোমার ও-শরীর ভ্রমণে
পুণ্যবান হবো।

বাসের জানালার পাশে তোমার সহাস্য মুখ, ‘আজ যাই,
বাড়িতে আসবেন!’

রৌদ্রের চিৎকারে সব শব্দ ডুবে গেল।
‘একটু দাঁড়াও’, কিংবা ‘চলো লাইব্রেরির মাঠে’, বুকের ভিতরে
কেউ এই কথা বলেছিল, আমি মনে পড়া চোখে
সহসা হাতঘড়ি দেখে লাফিয়ে উঠেছি, রাস্তা, বাস, ট্রাম, রিকশা, লোকজন
ডিগবাজির মতো পার হয়ে, যেন ওরাং উটাং, চার হাত-পায়ে ছুটে
পৌঁছে গেছি আফিসের লিফ্‌টের দরজায়।

বাস স্টপে তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ।।
কাব্যগ্রন্থঃ-আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি


অন্ধ বধূ

..যতীন্দ্রমোহন বাগচী

পায়ের তলায় নরম ঠেকল কী!
আস্তে একটু চলনা ঠাকুর-ঝি —
ওমা, এ যে ঝরা-বকুল ! নয়?
তাইত বলি, বদোরের পাশে,
রাত্তিরে কাল — মধুমদির বাসে
আকাশ-পাতাল — কতই মনে হয় ।
জ্যৈষ্ঠ আসতে কদিন দেরি ভাই —
আমের গায়ে বরণ দেখা যায় ?
—অনেক দেরি? কেমন করে’ হবে !
কোকিল-ডাকা শুনেছি সেই কবে,
দখিন হাওয়া —বন্ধ কবে ভাই ;
দীঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগে —
শেওলা-পিছল — এমনি শঙ্কা লাগে,
পা-পিছলিয়ে তলিয়ে যদি যাই!
মন্দ নেহাৎ হয়না কিন্তু তায় —
অন্ধ চোখের দ্বন্ধ চুকে’ যায়!
দুঃখ নাইক সত্যি কথা শোন্ ,
অন্ধ গেলে কী আর হবে বোন?
বাঁচবি তোরা —দাদা তো তার আগে?
এই আষাড়েই আবার বিয়ে হবে,
বাড়ি আসার পথ খুঁজে’ না পাবে —
দেখবি তখন —প্রবাস কেমন লাগে ?
—কী বল্লি ভাই, কাঁদবে সন্ধ্যা-সকাল ?
হা অদৃষ্ট, হায়রে আমার কপাল !
কত লোকেই যায় তো পরবাসে —
কাল-বোশেখে কে না বাড়ি আসে ?
চৈতালি কাজ, কবে যে সেই শেষ !
পাড়ার মানুষ ফিরল সবাই ঘর,
তোমার ভায়ের সবই স্বতন্তর —
ফিরে’ আসার নাই কোন উদ্দেশ !
—ঐ যে হথায় ঘরের কাঁটা আছে —
ফিরে’ আসতে হবে তো তার কাছে !
এই খানেতে একটু ধরিস ভাই,
পিছল-ভারি — ফসকে যদি যাই —
এ অক্ষমার রক্ষা কী আর আছে !
আসুন ফিরে’ — অনেক দিনের আশা,
থাকুন ঘরে, না থাক্ ভালবাসা —
তবু দুদিন অভাগিনীর কাছে!
জন্ম শোধের বিদায় নিয়ে ফিরে’ —
সেদিন তখন আসব দীঘির তীরে।
‘চোখ গেল ঐই চেঁচিয়ে হ’ল সারা।
আচ্ছা দিদি, কি করবে ভাই তারা —
জন্ম লাগি গিয়েছে যার চোখ !
কাঁদার সুখ যে বারণ তাহার — ছাই!
কাঁদতে গেলে বাঁচত সে যে ভাই,
কতক তবু কমত যে তার শোক!
‌‌‍‍‍‌’চোখ’ গেল– তার ভরসা তবু আছে —
চক্ষুহীনার কী কথা কার কাছে !
টানিস কেন? কিসের তাড়াতাড়ি —
সেই তো ফিরে’ যাব আবার বাড়ি,
একলা-থাকা-সেই তো গৃহকোণ —
তার চেয়ে এই স্নিগ্ধ শীতল জলে
দুটো যেন প্রাণের কথা বলে —
দরদ-ভরা দুখের আলাপন
পরশ তাহার মায়ের স্নেহের মতো
ভুলায় খানিক মনের ব্যথা যত !
এবার এলে, হাতটি দিয়ে গায়ে
অন্ধ আঁখি বুলিয়ে বারেক পায়ে —
বন্ধ চোখের অশ্রু রুধি পাতায়,
জন্ম-দুখীর দীর্ঘ আয়ু দিয়ে
চির-বিদায় ভিক্ষা যাব নিয়ে —
সকল বালাই বহি আপন মাথায় ! —
দেখিস তখন, কানার জন্য আর
কষ্ট কিছু হয় না যেন তাঁর।
তারপরে – এই শেওলা-দীঘির ধার —
সঙ্গে আসতে বলবনা’ক আর,
শেষের পথে কিসের বল’ ভয় —
এইখানে এই বেতের বনের ধারে,
ডাহুক-ডাকা সন্ধ্যা-অন্ধকারে —
সবার সঙ্গে সাঙ্গ পরিচয়।
শেওলা দীঘির শীতল অতল নীরে —
মায়ের কোলটি পাই যেন ভাই ফিরে !







 মন ভালো নেই 
--সুনীল গাঙ্গোপাধ্যায় 
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই           
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
এখন আমার ওষ্ঠে লাগে না কোনো প্রিয় স্বাদ
এমনকি নারী এমনকি নারী এমনকি নারী             
এমনকি সুরা এমনকি ভাষা
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
বিকেল বেলায় একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে
একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে পথে ঘুরে ঘুরে
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না
আমিও মানুষ আমার কী আছে অথবা কী ছিল
আমার কী আছে অথবা কী ছিল
ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে
যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায় ..







লিচু-চোর
বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম

বাবুদের তাল -পুকুরে
হাবুদের  ডাল-কুকুরে
সেকি বাস্ ক’রলে তাড়া
বলি থাম্ একটু দাঁড়া !
পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না ,
হোতা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গ্যে যেই চ’ড়েছি,
ছোট এক ডাল ধ’রেছি,
ও বাবা, মড়াৎ ক’রে
প’ড়েছি সড়াৎ জোড়ে!
প’ড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই

ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার ,
ধমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি’!
আমিও বাগিয়ে থাপড়,
দে হাওয়া চগিয়ে কাপড়,
লাফিয়ে ডিঙ্ নু  দেয়াল,
দেখি এক ভিটবে শেয়াল !
আরে ধ্যাৎ শেয়াল কোথা ?
ভেলোটা দাঁড়িয়ে হোথা !
দেখে যেই আঁৎকে ওঠা
কুকুরও জুড়লে ছোটা
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই ক’রবে সাবাড়!
বাবা গো মাগো ব’লে
পাঁচিলের ফোঁকল গ’লে
ঢুকি গ্যে বোসদের  ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!
যাব ফের ? কান মলি ভাই ,
চুরিতে আর যদি যাই !
তবে মোর নামই মিছা !
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সে কি ভাই যায় রে ভুলা--
মালীর ঐ পিটনিগুলো ,
কি বলিস ? ফের হপ্তা ?
তওবা-- নাক-খপতা !

[ঝিঙে ফুল ]