কালোজিরা খুব পরিচিত একটি নাম। ছোট ছোট কালো দানাগুলোর মধ্যে সৃষ্টিকর্তা যে কী বিশাল ক্ষমতা নিহিত রেখেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর।প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
কালোজিরায় কি আছে:
কালোজিরার মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ,ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ।কালোজিরার রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
ক্রিয়াক্ষেত্র:
মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ, কান, দাঁত, টনসিল, গলাব্যথা,পোড়া নারাঙ্গা বা বিসর্গ, গ্রন্থি পীড়া, ব্রণ, যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ঠ, হাড়ভাঙ্গা, ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ও কোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ওপিত্তপাথরী, লিভার ও প্লীহা, ঠান্ডা জনিত বক্ষব্যাধি, হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, অম্লশূল বেদনা, উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার ও ক্যান্সার।
চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা,মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ওসৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা,আহারে অরুচি,মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। কালোজিরার তেল ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা যেতে পারেন।কালোজিরার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওষুধ প্রস্তুত:
আগেই বলেছি আমরা কালোজিরার টীংচার, বড়ি ও তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছি। কখনো এককভাবে কখনো অন্য ওষুধের সাথে সংমিশ্রিত করে রোগীক্ষেত্র প্রয়োগ করে থাকি। কালোজিরা তেলের সাথে জলপাই তেল, নিম তেল, রসুনের তেল, তিল তেল মিশিয়ে নেয়া যায়। কালোজিরা আরক+কমলার রস।
ব্যবহার:কালোজিরা + পুদিনা চায়ের সাথে কালোজিরা কালোজিরা + রসুন + পেঁয়াজ কালোজিরা + গাজর
মাথাব্যথা:
মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানেরপার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪বার কালোজিরার তেল মালিশ করূন। ৩ দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন।
সচরাচর মাথাব্যথায় মালিশের জন্য রসুনের তেল, তিল তেল ও কালোজিরার তেলের সংমিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করুন। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ন্যাট্রম মিউর ও ক্যালকেরিয়া ফসের মধ্যে লক্ষণ মিলিয়ে একটা হোমিওপ্যাথিক ও অপরটা বায়োকেমিক হতে প্রয়োগ করুন। প্রয়োজনবোধে প্রথমে বেলেডোনা ব্যবহার করে নিতে পারেন।
চুলপড়া:
লেবু দিয়ে সমস্ত মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পুর্ন মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।
১ সপ্তাতেই চুলপড়া বন্ধ হবে।মাথার যন্ত্রনায় কালোজিরার তেলের সাথে পুদিনার আরক দেয়া যায়। এক্ষেত্র পুদিনার টীংচার রসুনের তেল, তিলতেল, জলপাই তেল ও কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।
কফ ও হাঁপানী:
বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সাথে এটা মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে। রীতিমতো হোমোওপ্যাথিক ওষুধ আভ্যন্তরীন প্রয়োগ।
স্মরণশক্তি ও ত্বরিত অনুভুতি:
চা চামচে ১ চামচ কালোজিরার তেল ও ১০০ গ্রাম পুদিনা সিদ্ধ ১০দিন সেব্য। পাশাপাশি ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স, ৩০এক্স দিনে ৩ বার ৪ বড়ি করে। সামান্য ঈষদোষ্ণ পানি সহ সেবন।কালোজিরার টীংচার ও পুদিনার টীংচারের মিশ্রণ দিনে ৩ বার ১৫-২০ ফোটা করে আহারের ১ঘন্টা আগে এবং ১ ঘন্টা পরে ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স ও ৪বড়ি করে। প্রয়োজন বোধে ক্যালি ফস ১২এক্স ও একসঙ্গে দেয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস:
কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী। রোগীর অবস্থানুযায়ী অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক মাদার ও ভেষজ সহ ব্যবস্থেয়।
কিডনির পাথর ও ব্লাডার ২৫০ গ্রাম কালোজিরা ও সমপরিমান বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা উত্তমরূপে গুড়ে করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে দুই চামচ মিশ্রন আধাকাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধা চা কাপ পরিমাণ তেলসহ পান করতে হবে।
কালোজিরার টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা করে সেবন। পযায়ক্রমে বার্বারিস মুল আরক বা নির্দেশিত হলে অন্য কোন হোমিও অথবা বায়োকেমিক ওষুধের পাশাপাশি।
মেদ ও হৃদরোগ/ধমনী সংকোচন চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হবে, তেমনি মেদ ও বিগলিত হবে।
অ্যাসিডিটি ও গ্যাসষ্ট্রিক এককাপ দুধ ও এক বড় চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক ৩বার ৫-৭ দিন সেবনে আরোগ্য হয়। চোখেরপীড়া রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরূতে কালোজিরার তেল মালিশ করূন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।
নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবনে আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।
উচ্চরক্তচাপ যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন ভাবে সাথ খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান।
এ উভয় পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সাথে নেন। সারা দেহে রসুন ও কালোজিরার তেল মালিশ করুন। কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। ভালোমনে করলে পুরাতন রোগীদের ক্ষেত্রে একাজটি ২/৩ দিন অন্তরও করা যায়।
ডায়রিয়া সেলাইন ও হোমিও ওষুধের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় এক চামচ কালোজিরার তেল দিনে ২ বার ব্যবস্থেয়। এর মুল আরকও পরী্ক্ষনীয়।
জ্বর সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে ১ বড় চামচ কালোজিরা তেল পান করুন আর কালোজিরার নস্যি গ্রহন করুন। কালোজিরা ও লেবুর টীংচার (অ্যাসেটিক অ্যাসিড) সংমিশ্রন করেও দেয়া যেতে পারে।
যৌন-দুর্বলতা কালোজিরা চুর্ণ ও যয়তুনের তেল (অলিভ অয়েল), ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাটি মধু = একত্রে মিশিয়ে সকাল খাবারের পর ১চামচ করে সেব্য। কালোজিরার মূল আরক, হেলেঞ্চা মুল আরক, প্রয়োজনীয আরো কোন মুল আরক অলিভ অয়েল ও মধুসহ পরীক্ষনীয়।
স্ত্রীরোগ, প্রসব ও ভ্রুন সংরক্ষণ কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার সেব্য।স্নায়ুবিক উত্তেজনা কফির সাথে কালোজিরা সেবনে দুরীভুত হয়। চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্যবৃদ্ধি অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে অঙ্গে মেখে ১ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।
উরুসন্ধি প্রদাহ স্থানটি ভালভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩দিন সন্ধায় আক্রান্ত স্থানে কালোজিরা তেল লাগান সন্ধ্যায়, সকালে ধুয়ে নিন। ছুলি/শ্বেতী আক্রান্ত স্থানে আপেল দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। ১৫দিন হতে ১মাস।আঁচিল হেলেঞ্চা দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। হেলেঞ্চা মুল আরক মিশিয়ে নিলেও হবে। সাথে খেতে দিন হোমিও ওষুধ।
পিঠ ও বাত আক্রান্ত পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। খেতে দিন কোন নির্বাচিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ।সকল রোগের প্রতিষেধক মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
নিয়মিত কালোজিরা সেবনে চুলের গোড়ায় পুষ্টি ঠিকমতো পায়, ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। নিয়মিত অল্প পরিমাণ কালোজিরা খেলে মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রক্ত সঞ্চালন ও বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় এবং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র এইচ এস সি - প্রতিবেদন তৈরীর নমুনা
১। তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি জরিপ করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।
অথবা, তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
বড়াইল হাই স্কুল, রাজশাহী।
বিষয় : লাইব্রেরি জরিপবিষয়ক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে।
জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার প্রেরিত পত্র নং-২০১৬/৩/২৭-ক-১-এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য প্রতিবেদনটি পেশ করছি।
বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি
বড়াইল হাই স্কুল গ্রন্থাগারটি ১৯৯০ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় বইপত্র ক্রয় না করায় এর আশানুরূপ উন্নতি সাধিত হয়নি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং বইয়ের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও বইয়ের সংখ্যা বাড়েনি; বরং কমেছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের আর্থিক দীনতার কারণে গ্রন্থাগারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ কখনো যথেষ্ট ছিল না।
১। কিছু অসৎ কর্মচারীর কারসাজিতে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো গ্রন্থাগার থেকে চুরি হয়েছে।
২। গ্রন্থাগার গঠনকালে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক না থাকায় সুষ্ঠুভাবে তা গড়ে ওঠেনি।
৩। বইয়ের তালিকা তৈরিতে কোনো বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অনুসৃত হয়নি। দশমিক পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রন্থাগারিক অনভিজ্ঞ বলে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়নি।
৪। পুস্তকের রক্ষণাবেক্ষণে তেমন কোনো সচেতনতা নেই। বিদ্যালয় লাইব্রেরিতে ক্যাটালগ নেই, বই ইস্যু এবং ফেরত নেওয়ার ব্যাপারেও অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান।
এসব অবস্থা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে গ্রন্থাগারটি কলেজের জন্য তেমন কোনো উপকারে আসেনি। এ অবস্থায় নিম্নোক্ত সুপারিশ পেশ করছি, যার বাস্তবায়নে গ্রন্থাগারটি যথার্থ উপকারে আসতে পারে—
ক) অনতিবিলম্বে গ্রন্থাগারের সব পুস্তকের হিসাব গ্রহণ করে দশমিক পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি করা দরকার।
খ) ছাত্রদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আরো বইপত্র সংগ্রহ করা জরুরি। বিষয় নির্বাচনে বিশেষ তত্পর হতে হবে।
গ) বইপত্র বাড়িতে ইস্যু করা ও পাঠাগারে পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের দুই ধরনের গ্রন্থাগার কার্ড ইস্যু করতে হবে।
ঘ) বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ঙ) গ্রন্থাগারের জন্য স্বতন্ত্র তহবিল গড়ে তুলতে হবে এবং তাতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক চাঁদা দিতে হবে।
এ প্রতিবেদন তৈরিতে যেসব শিক্ষক ও ছাত্র সহায়তা করেছেন, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
২। তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
c বিদ্যালয়, saver।
বিষয় : বিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
জনাব
সম্প্রতি সমাপ্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরিতে আদিষ্ট হয়ে নিম্নলিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করছি (আদেশ নং বি. ক/১০২ (৪) ২০১৬)।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন
১। গত ১৫ থেকে ২২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত হয়।
২। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সারা বছর নিয়মিত লেখাপড়ার পর নতুন বছরের এ সময়ে প্রতিযোগিতার এ আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
৩। যেসব বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, নির্ধারিত বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, গল্প বলা, রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি, আধুনিক গান, পল্লীগীতি ইত্যাদি।
৪। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষানীতিই নকলপ্রবণতার জন্য দায়ী’। এ প্রতিযোগিতায় নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন প্রখ্যাত লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ প্রতিযোগিতায় নবম শ্রেণির প্যানেল বিজয়ী হয়। তারা বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
৫। বিদ্যালয়ের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা ছিল ১১০ জন। সব ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক এ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করেন।
৬। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা ছিল। পুরস্কার হিসেবে বাছাইকৃত ও প্রয়োজনীয় বই প্রদান করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে দশম শ্রেণির সুলতানা রাজিয়া পুরস্কৃত হয়েছে।
৭। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক ড. আশরাফ সিদ্দিকী।
বি:দ্র:
প্রতিবেদন লিখতে হলে আবেদনপত্রের মতো একটা সংক্ষিপ্ত সংযুক্ত পত্র লেখা উত্তম। তবে এক্ষেত্রে সূত্র নম্বর (যেমন : ক. হা. স্কুল, বাসাসাস/০৪/০২/২০১৫) অবশ্যই লিখতে হবে। অতঃপর পরের পৃষ্ঠায় উপরের মাঝে শিরোনাম লিখে তিন- চারটি প্যারায় মূল বক্তব্য লিখে নিচে প্রতিবেদকের নাম, ঠিকানা, প্রতিবেদন তৈরির স্থান ও সময় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আর সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লিখতে হলে সূত্র নম্বর লেখা যাবে না।
এখন বাজারে খুব সহজলভ্য পুদিনা পাতা। রান্নায় পুদিনা পাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এই পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। যা অনেকের অজানা। এছাড়া রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে পুতিনা পাতা। আর যত দিন যাচ্ছে তত গবেষণা হচ্ছে পুদিনা ও পুদিনার মতো ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে। এ কারণে আজ কথা বলব পুদিনা পাতার গুরত্বপূর্ণ গুণাবলী নিয়ে।
গুণাবলী:
১) রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস এক সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সানবার্নের জ্বালা গায়েব।
২) আশ্চর্যজনক হলেও পুদিনা পাতার গুণ খুব সত্যি। বহু বিজ্ঞানীদের দাবি, পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
৩) ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে তাজা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাসখানেক এইভাবে লাগালে ব্রণের দাগ উধাও হয়ে যাবে।
৪) চুলে উকুন হলে পুদিনার শেকড়ের রস লাগাতে পারেন। উকুনের মোক্ষম ওষুধ হল পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস। গোটা মাথায় চুলের গোড়ায় এই রস ভাল করে লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত।
৫) সর্দি হলে নাক বুজে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মারাত্মক কষ্ট পান অনেকেই। সেই সময় যদি পুদিনা পাতার রস খান, তাহলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাবেন নিমেষে। যাঁরা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই জলেরর ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিতে অসুবিধা হলে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
৬) গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। মসৃণও হয়।
৭) পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যাঁরা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাঁরা খাবার কাওয়ার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরের মধ্যেই।
৮) গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাতে পুদিনার রস খুব ভাল। গোসলের আগে জলের মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই জল দিয়ে স্নান করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে।
৯) এই পাতার রস ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার জল তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি জলে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার জল মিশিয়ে স্নান করুন। গরমকালে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া-জনিত বিশ্রী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে এটা ট্রাই করতে পারেন। কেননা পুদিনাতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।
১০) তাৎক্ষণিক যে কোনও ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা পাতার রস খুব উপকারী। চামড়ার ভেতরে গিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভে পৌঁছায় এই রস। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।
শীত কিংবা বাহিরের ধুলাবালির কারণে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি কাশি ও বুকে কফ জমার মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই।খুব বেশী কফ জমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়।তবে শুধু বড় মানুষরা না, বাচ্চারাও এই সমস্যার ভুক্তভুগী।
বুকে জমে থাকা এই কফ দূর করার জন্য রয়েছে কিছু অসাধারণ ঘরোয়া উপায়। চলুন, দেখে নেওয়া যাক -
আদা: বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে আদা খুব ভালো কাজে দেয়। আদা চা কিংবা আদা পানি খেলে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা পানির জন্য এক গ্লাস গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ভালোভাবে ফুটে উঠলে আদা ছেঁকে নিন এবং কুসুম গরম থাকা অবস্থায় খেয়ে ফেলুন।এছাড়া শুষ্ক কাশি এবং গলা খুসখুস ভাব কমানোর জন্য একটুকরো আদা মুখে নিয়ে রেখে দিতে পারেন।
লেবু ও মধুর সিরাপ: এক চামচ মধুর সাথে লেবুর রস ও দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে একটি সিরাপ তৈরি করুন। যখনই গলা খুসখুস করবে বা কফের কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হবে তখনই এই সিরাপটি খেয়ে নিন। তাছাড়া কুসুম গরম পানিতে লেবু ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গলা পরিষ্কার থাকে।
হলুদ: শুধু অ্যান্টিসেপ্টিক নয়, হলুদে আছে কারকিউমিন নামক উপাদান যা জমে থাকা কফ দ্রুত বের করতে সাহায্য করে।এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কুলকুচি করার জন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।অথবা এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।
তরল খাবার: বুকে কফ জমে থাকার কারণে খাবারের কষ্ট হয়।তাই এই সময় বেশি করে তরল এবং গরম খাবার খেলে আরাম পাওয়া যায়। সারাদিন প্রচুর পানি, জুস, মুরগী ও সবজির স্যুপ বা তুলসী পাতার চা পান করুন।
গড়গড়া করা: গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলা ব্যথা কমে যায়। এজন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে অন্তত তিনবার গড়গড়া করার চেষ্টা করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর একটি ঘরোয়া উপায়।
গরম পানির ভাপ: ফুটন্ত গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে পানি নামিয়ে একটি বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন এবং ঘন ঘন শ্বাস নিন।এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার ভাপ নিন। এতে বন্ধ থাকা নাক খুলে যাবে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের হয়ে আসবে।
First item
Second item
Third item
Fourth item
গরম দুধ: গরম দুধে মধু, হলুদ, গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া বুক কফ জমা ও সর্দি-কাশি সারাতে অত্যন্ত উপকারী। হলুদে আছে ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণ রোধকারী উপাদান, গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে, সারায় কফ ও সর্দি। প্রতিদিন দুবার পান করতে হবে।
কুসুম গরম পানি পান: ঠাণ্ডা লাগলে কুসুম গরম পানি পান করলে গলায় আরাম হয়। বুকে জমা কফও সেরে উঠতে থাকে ক্রমেই। শ্বাসনালী ও বুকে জমে থাকা সর্দি গলিয়ে ফেলতে কুসুম গরম পানি অত্যন্ত কার্যকর। মুরগী ও সবজির স্যুপ খান। তবে ঘন স্যুপের চাইলে পাতলা ও স্বচ্ছ স্যুপ খাওয়া ভালো।
গরম পানি দিয়ে গড়গড়া: বুকে জমা কফ ও গলার সমস্যা সারাতে এই পদ্ধতি সম্ভবত সবচাইতে বেশি প্রচলিত। এক গ্লাস গরম পানিতে আধা টেবিল-চামচ লবণ মিশিয়ে এক থেকে দুই মিনিট গড়গড়া করতে হবে। দিনে তিন থেকে চারবার পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে বেশি উপকার মিলবে। তবে এই পানি গিলে ফেলা যাবে না।
চা: আদা, পুদিনা-পাতা, ক্যামোমাইল, রোজমেরি মিশিয়ে চা বানিয়ে পান করাও এক্ষেত্রে বেশ উপকারী। চিনির বদলে মধু ব্যবহার করলে মিলবে বাড়তি উপকার। চা ভালো না লাগলে আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
বাষ্প: পানিতে ইউক্যালিপ্টাস তেল মিশিয়ে তার বাষ্প নিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে বুকে জমা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। বাষ্প নেওয়ার সময় জোরে শ্বাস নিতে হবে, বন্ধ নাক ও বুকে জমা কফের অস্বস্তি থেকে আরাম মিলবে দ্রুত। ইউক্যালিপ্টাস তেলে আছে যন্ত্রণানাশক ও ব্যাকটেরিয়া রোধকারী উপাদান যা এতে সহায়ক।
ব্ল্যাক কফি: অস্বস্তি থেকে সাময়িক আরাম মেলে ব্ল্যাক কফি পান করলে। আর জমে থাকা সর্দি গলাতেও উপকারী। তবে দিনে দুই কাপের বেশি পান করা যাবে না, কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পেঁয়াজের নির্যাস: এতে থাকা ‘কুয়ারসেটাইন’ সর্দি দূর করে এবং আবার জমতে বাধা দেয়, সংক্রমণ থেকেও বাঁচায়। পেঁয়াজের রস বের করে তাতে লেবুর রস, মধু ও পানি মিশিয়ে নিতে হবে। পরে কুসুম গরম করে পান করতে হবে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার।
গরম পানির ভাপ : ফুটন্ত গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে পানি নামিয়ে একটি বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন এবং ঘন ঘন শ্বাস নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার ভাপ নিন। এতে বন্ধ থাকা নাক খুলে যাবে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের হয়ে আসবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার গলার কফ সরাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দারুন কাজ করে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয় দিনে তিনবার পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে
তবে ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের আগে উপকরণগুলোতে ব্যক্তিগত সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উত্তর : শব্দ হচ্ছে ভাবের দ্যোতক। এক বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যদি কোনো অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭)-এর মতে, অর্থযুক্ত ধ্বনিকে বলে শব্দ। কোনো বিশেষ সমাজের নর-নারীর কাছে যে ধ্বনির স্পষ্ট অর্থ আছে, সেই অর্থযুক্ত ধ্বনি হচ্ছে সেই সমাজের নর-নারীর ভাষার শব্দ।” উৎপত্তি অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তিগত দিক থেকে বাংলা শব্দকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন- ১) তৎসম শব্দ ২) অর্ধতৎসম শব্দ ৩) তদ্ভব শব্দ ৪) দেশি শব্দ
উত্তর : শব্দ হচ্ছে ভাবের দ্যোতক। এক বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যদি কোনো অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭)-এর মতে, অর্থযুক্ত ধ্বনিকে বলে শব্দ। কোনো বিশেষ সমাজের নর-নারীর কাছে যে ধ্বনির স্পষ্ট অর্থ আছে, সেই অর্থযুক্ত ধ্বনি হচ্ছে সেই সমাজের নর-নারীর ভাষার শব্দ।” উৎপত্তি অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তিগত দিক থেকে বাংলা শব্দকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন- ১) তৎসম শব্দ ২) অর্ধতৎসম শব্দ ৩) তদ্ভব শব্দ ৪) দেশি শব্দ
উত্তর : শব্দ হচ্ছে ভাবের দ্যোতক। এক বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যদি কোনো অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭)-এর মতে, অর্থযুক্ত ধ্বনিকে বলে শব্দ। কোনো বিশেষ সমাজের নর-নারীর কাছে যে ধ্বনির স্পষ্ট অর্থ আছে, সেই অর্থযুক্ত ধ্বনি হচ্ছে সেই সমাজের নর-নারীর ভাষার শব্দ।” উৎপত্তি অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তিগত দিক থেকে বাংলা শব্দকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ১) তৎসম শব্দ ২) অর্ধতৎসম শব্দ ৩) তদ্ভব শব্দ ৪) দেশি শব্দ
উত্তর : শব্দ হচ্ছে ভাবের দ্যোতক। এক বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যদি কোনো অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭)-এর মতে, অর্থযুক্ত ধ্বনিকে বলে শব্দ। কোনো বিশেষ সমাজের নর-নারীর কাছে যে ধ্বনির স্পষ্ট অর্থ আছে, সেই অর্থযুক্ত ধ্বনি হচ্ছে সেই সমাজের নর-নারীর ভাষার শব্দ।” উৎপত্তি অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তিগত দিক থেকে বাংলা শব্দকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ১) তৎসম শব্দ ২) অর্ধতৎসম শব্দ ৩) তদ্ভব শব্দ ৪) দেশি শব্দ
This example use media queries to re-arrange the images on different screen sizes: for screens larger than 700px wide, it will show four images side by side, for screens smaller than 700px, it will show two images side by side. For screens smaller than 500px, the images will stack vertically (100%).
You will learn more about media queries and responsive web design later in our CSS Tutorial.
শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ত্রিফলার বাস্তবিকই কোনও বিকল্প নেই। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর এত কদর। তিনটি ফলকে শুকিয়ে নিয়ে তারপর তা গুঁড়ো করে একসঙ্গে মিলিয়ে যে শক্তিশালী মিশ্রনটি তৈরি করা হয়, তাকেই আযুর্বেদ শাস্ত্রে ত্রিফলা নামে ডাকা হয়ে থাকে।
কি কি ফল ব্যবহার করে ত্রিফলা বানানো হয়?
সাধারণত আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা একসঙ্গে বানানো হয় এই ঔষধিটি, যাতে একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল ছোট-বড় নানা রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত গ্যালিক অ্যাসিড, ইলেগিক অ্যাসিড এবং চেবুলিনিক অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজে আসে।
ক্ষত সেরে যায় চোখের নিমেষে : অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে টাসা হওয়ার কারণে এই মিশ্রনটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্ষত সারতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো চোট বাচ্চাদের নিয়মিত এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রনটি খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : রক্তচাপ কি ওঠানামা করে? তাহলে নিয়মিত ত্রফলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগবে না। এই মিশ্রনটিতে লাইনোলিক অ্যাসিড, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়া শুরু করলে দেহের পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় রোগব্যাধির প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে।
ক্যান্সারকে কাছেই আসতে দেয় না : নিয়মিত খালি পেটে এই আয়ুর্বেদিক চূর্ণটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্যান্সার সেল জন্মে নেওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। আর একবার যদি জন্ম নিয়েও ফেলে তাহলেও তার বৃদ্ধি আটকে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে : ত্রিফলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একদিকে যেমন এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তেমনি হার্টে যাতে কোনওভাবেই প্রদাহ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের করনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায় : সকালটা যদি আপনার কাছে অভিশাপের সমান হয়, তাহলে আজ থেকেই ত্রিফলা চুর্ন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। যে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসায় এই হার্বাল মিশ্রনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোলোনকে পরিশুদ্ধ করার মধ্যে দিয়ে আরও নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা কমাতেও ত্রিফলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে : অতিরিক্ত ওজনরে কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে ডায়েট কন্ট্রোলের পাশাপাশি আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত ত্রফলা চুর্ণ। কারণ নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটার কারণে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে : এক গ্লাস গরম পানিতে ১-২ চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে পানিটা ছেঁকে নিয়ে ভালো করে চোখ পরিষ্কার করুন। এইভাবে নিয়মিত চোখের পরিচর্যা করতে পারলে দেখবেন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও যাবে কমে।
অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : নিয়মিত খালি পেটে ত্রিফলা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের অন্দরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ব্রেন পাওয়ার বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক ক্লান্তি এবং স্ট্রেস কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
নতুন বিষয় নতুন বিষয় সংযোজন করুন নতুন বিষয় নতুন বিষয় সংযোজন করুন নতুন বিষয় নতুন বিষয় সংযোজন করুন
নতুন বিষয় নতুন বিষয় সংযোজন করুন নতুন বিষয় নতুন বিষয় সংযোজন করুন নতুন বিষয় নতুন বিষয় সংযোজন করুন
এদেশে সবাই শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক : দারোগার শোকসংবাদেও লেখা হয়, ‘তিনি শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ছিলেন’
-- হুমায়ূন আজাদ
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি
-- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
যারা আমাকে সাহায্য করতে না করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি
ঐকতান কবিতা
----রবীন্দ্রনাথঠাকুর
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি।
দেশে দেশে কত-না নগর রাজধানী-
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত-না অজানা জীব, কত-না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে। বিশাল বিশ্বের আয়োজন;
মন মোর জুড়ে থাকে অতি ক্ষুদ্র তারি এক কোণ।
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে-
যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী
কুড়াই আনি।
জ্ঞানের দীনতা এই আপনার মনে
পূরণ করিয়া লই যত পানি ভিক্ষালব্ধ ধনে।
আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি,
এই স্বরসাধণায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক-
রয়ে গেছে ফাঁক।
প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে
নানা কবি ঢালে গান নানা দিক হতে;
তাদের সবার সাথে আছে মোর এইমাত্র যোগ-
সঙ্গ পাই সবাকার, লাভ করি আনন্দের ভোগ,
পাই নে সর্বত্র তার প্রবেশের দ্বার,
বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার।
চাষি খেতে চালাইছে হাল,
তাঁতি বসে তাঁত বোনে, জেলে ফেলে জাল-
বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার।
অতি ক্ষুদ্র অংশে তার সম্মানের চিরনির্বাসনে
সমাজের উচ্চ মঞ্জে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে।
মাঝে মাঝে গেছি আমি ও পাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে,
ভিতরে প্রবেশ করি সে শক্তি ছিল না একেবারে।
জীবনে জীবন যোগ করা
না হলে কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা।
তাই আমি মেনে নিই সে নিন্দার কথা
আমার সুরের অপূর্ণতা।
আমার কবিতা, জানি আমি,
গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।
কৃষাণের জীবনের শরিক যে জন,
কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা করেছে অর্জন,
যে আছে মাটির কাছাকাছি,
সে কবির-বাণী-লাগি কান পেতে আছি।
এসো কবি অখ্যাতজনের
নির্বাক মনের।
মর্মের বেদনা যত করিয়া উদ্ধার-
প্রাণীহন এ দেশেতে গানহীন যেথা চারি ধান,
অবজ্ঞার তাপে শুষ্ক নিরানন্দ সেই মরু ভূমি
রসে পূর্ণ করি দাও তুমি।
অন্তরে যে উৎস তার আছে আপনারি
সাহিত্যের ঐকতানসংগীতসভায়
একতারা যাহাদের তারাও সম্মান যেন পায়-
মূক যারা দুঃখে সুখে,
নতশির স্তব্ধ যারা বিশ্বের সম্মুখে,
ওগো গুণী,
কাছে থেকে দূরে যারা তাহাদের বাণী যেন শুনি।
পাঠ-পরিচিতি
“ঐকতান” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জন্মদিনে’ কাব্যগ্রন্তের ১০ সংখ্যক কবিতা। কবির মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ ‘জন্মেদিনে’ কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩৪৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যা ‘প্রবাসী’তে কবিতাটি “ঐকতান” নামে প্রথম প্রকাশিত হয়। “ঐকতান” অশীতিপর স্থিতপ্রজ্ঞ কবির আত্ম-সমালোচনা; কবি হিসেবে নিজের অপূর্ণতার স্বতঃস্ফূর্ত স্বীকারোক্তি।
দীর্ঘ জীবন-পরিক্রমণের শেষপ্রান্তে পৌঁছে স্থিতপ্রজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ পেছন ফিরে তাকিয়ে সমগ্র জীবনের সাহিত্যসাধনার সাফল্য ও ব্যথতার হিসাব খুঁজেছেন “ঐকতান” কবিতায়। তিনি অকপটে নিজের সীমাবদ্ধতা ও অপূর্ণতার কথা ব্যক্ত করেছেন এখানে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কবি অনুভব করেছেন নিজের অকিঞ্চিৎকরতা ও ব্যর্থতার স্বরূপ। কবি বুঝতে পেরেছেন, এই পৃথিবীর অনেক কিছুই তাঁর অজানা ও অদেখা রয়ে গেছে। বিশ্বের বিশাল আয়োজনে তাঁর মন জুড়ে ছিল কেবল ছোট একটি কোণ। জ্ঞানের দীনতার কারণেই নানা দেশের বিত্রি অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন গ্রন্থের চিত্রময় বর্ণনার বাণী কবি ভিক্ষালব্ধ ধনের মতো সযত্নে আহরণ করে নিজের কাব্যভাণ্ডার পূর্ণ করেছেন। তবু বিপুল এ পৃথিবীর সর্বত্র তিনি প্রবেশের দ্বার খুঁজে পাননি। চাষি ক্ষেতে হাল চষে, তাঁতি তাঁত বোনে, জেলে জাল ফেলে-এসব শ্রমজীবী মানুষের ওপর ভর করেই জীবনসংসার এগিয়ে চলে। কিন্তু কবি এসব হতদরিদ্র অপাঙ্ক্তেয় মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে সমাজের উচ্চমঞ্চে আসন গ্রহণ করেছিলেন। সেখানকার সংকীর্ণ জানালা দিয়ে যে জীবন ও জগৎকে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, তা ছিল খণ্ডিত তথা অপূর্ণ। ক্ষুদ্র জীবনের সঙ্গে বৃহত্তম মানব-জীবনধারা ঐকতান সৃষ্টি না করতে পারলে শিল্পীর গানের পসরা তথা সৃষ্টি সম্ভার যে কৃত্রিমতায় পর্যবসিত হয়ে ব্যর্থ হয়ে যায়, কবিতায় এই আত্মোপলব্ধির প্রকাশ ঘটেছে কবির। বলেছেন তিনি, তাঁর কবিতা বিচিত্র পথে অগ্রসর হলেও জীবনের সকল স্তরে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে, জীবন-সায়াহ্নে কবি অনাগত ভবিষ্যতের সেই মৃত্তিকা-সংলগ্ন মহৎ কবিরই আবির্ভার প্রত্যাশা করেছেন, যিনি শ্রমজীবী মানুষের অংশীদার হয়ে সত্য কর্মের মধ্যে সৃষ্টি করবেন আত্মীয়তার বন্ধন। “ঐকতান” কবিতায় যুগপৎ কবির নিজের এবং তাঁর সমকালীন বাংলা কবিতার বিষয়গত সীমাবদ্ধতার দিক উন্মোচিত হয়েছে।
কবিতাটি সমিল প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। কবিতাটিতে ৮+৬ এবং ৮+১০ মাত্রার পর্বই অধিক। তবে এতে কখনো-কখনো ৯ মাত্রার অসমপর্ব এবং ৩ ও ৪ মাত্রার অপূর্ণ পর্ব ব্যবহৃত হয়েছে।
১। উদ্দীপকে ‘ঐকতান’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে—
i. শ্রমজীবীদের উপেক্ষা
ii. সাহিত্যের সভায় ব্রাত্যজনদের অবজ্ঞা
iii. শ্রমিক শ্রেণি সম্মানবঞ্চিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রসুলপুর গ্রামের ভেন্না (ভেরেণ্ডা) পাতার ছাউনিতে বাস করা হতদরিদ্র আসমানি ছিল কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার প্রধান চরিত্র ও বিষয়।
২। উদ্দীপকের কবি জসীমউদ্দীনের মধ্যে ‘ঐকতান’ কবিতার কবির আহ্বানকৃত যে বৈশিষ্ট্য রূপায়িত—
i. অখ্যাতজনের কবি
ii. নির্বাক মনের কবি
iii. মাটির কাছাকাছি কবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৩। উদ্দীপকের আসমানি ‘ঐকতান’ কবিতার কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করে?
ক. প্রান্তিক শ্রেণি
খ. মধ্যবিত্ত শ্রেণি
গ. উচ্চবিত্ত শ্রেণি
ঘ. ধনিক শ্রেণি
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সাল কোনটি?
ক. ১৮৪১
খ. ১৮৫১
গ. ১৮৬১
ঘ. ১৮৭১
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কী?
ক. কুসুমকুমারী
খ. অনিলা দেবী
গ. সারদা দেবী
ঘ. স্বপ্নাদেবী
৬। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানের দীনতা দূরীকরণে কী ধরনের গ্রন্থ পড়েন?
ক. উপন্যাস
খ. গল্প
গ. ভ্রমণবৃত্তান্ত
ঘ. কাব্য
৭। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবার সঙ্গে সঙ্গ পেলে কী লাভ করেন?
ক. সম্মান
খ. অর্থবিত্ত
গ. সাহায্য
ঘ. আনন্দ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি
শোনো নাই
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
৮। উক্ত কবিতার ভাববস্তু তোমার পঠিত কোন কবিতায় প্রতিফলিত?
ক. ঐকতান
খ. সেই অস্ত্র
গ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
ঘ. লোক-লোকান্তর
৯। উদ্দীপকের ভাবনা কবি ভাবনায় যে বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে—
i. প্রান্তিক শ্রেণিকে সাহিত্যে স্থান দান
ii. অন্ত্যজ শ্রেণির সুখ-দুঃখ সাহিত্যে প্রতিফলন
iii. সাহিত্যে শ্রমিক শ্রেণিকে মর্যাদা দান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
১০। বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার—পঙিতটিতে এদের বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. শ্রমজীবী
খ. ধনিক শ্রেণি
গ. দরিদ্র শ্রেণি
ঘ. পুঁজিবাদী শ্রেণি
১১। কে প্রকৃতির ঐকতান-স্রোতে প্রবেশদ্বার খুঁজে পায় না?
ক. কবি
খ. জেলে
গ. চাষি
ঘ. কৃষক
১২। সাধারণ মানুষের পায়ে ভর দিয়ে কী চলে?
ক. পৃথিবী
খ. সমাজ
গ. সংসার
ঘ. জগৎ
১৩। ‘জ্ঞানের দীনতা’ কোথায়?
ক. নয়নে
খ. কবিতায়
গ. মনে
ঘ. জীবনে
১৪। ‘বিপুলা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. বিশাল প্রশস্ত
খ. বিশ্বস্ত
গ. প্রশস্ত
ঘ. দীর্ঘকায়
১৫। ‘ঐকতান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জন্মদিন’ কাব্যগ্রন্থের কতসংখ্যক কবিতা?
ক. অষ্টম
খ. নবম
গ. দশম
ঘ. ১১তম
১৬। ‘জন্মদিনে’ কাব্যগ্রন্থটি কত বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?
ক. ১৩৪৮
খ. ১৩৫২
গ. ১৩৩৯
ঘ. ১৩৫৪
১৭। ‘ঐকতান’ কবিতার কবি কী মেনে নেন?
ক. অপূর্ণতা
খ. নিন্দার কথা
গ. পূর্ণতা
ঘ. সর্বত্রগামিতা
১৮। ‘ঐকতান’ কবিতায় কবি কী মেনে নেন?
ক. সাধনা
খ. ভবিষ্যতের কথ
গ. কবিতা
ঘ. জীবন
১৯। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আনন্দ লাভের জন্য কী খুঁজে পান না?
ক. পথ
খ. উপায়
গ. সাহায্য
ঘ. প্রবেশদ্বার
২০। সবার সঙ্গে কার যোগ আছে ?
ক. প্রকৃতির
খ. জীবনের
গ. কবির
ঘ. সমুদ্রের
২১। ‘ঐকতান’ কবিতার কবির জীবনযাত্রায় কী বাধা হয়ে আছে?
ক. নিস্তব্ধক্ষণ
খ. স্বর সাধনা
গ. বেড়াগুলো
ঘ. কর্মভার
২২। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চ মঞ্চে কিভাবে বসে আছেন?
ক. সুখে
খ. উল্লাসে
গ. সংকীর্ণ বাতায়নে
ঘ. গৌরবে
২৩। নানা কবি ঢালে গান—এখানে গান বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সংগীত
খ. কবিতা
গ. সৃষ্টি
ঘ. সুর
২৪। নিন্দার কথা বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সংকীর্ণতা
খ. বিচিত্র কর্মভার
গ. স্বর সাধনা
ঘ. বর্ণনার বাণী
২৫। ‘ঐকতান’ বলতে বোঝায়—
ক. অমিলিত সুর
খ. একের সুর
গ. সম্মিলিত সুর
ঘ. জীবনের সুর
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও : ১. ঘ ২. ঘ ৩. ক ৪. গ ৫. গ ৬. গ ৭. ঘ ৮. ক ৯. ঘ ১০. ক ১১. ঘ ১২. গ ১৩. গ ১৪. ক ১৫. গ ১৬. ক ১৭. খ ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. গ ২২. গ ২৩. খ ২৪. ক ২৫. গ
১.উদ্দীপকে ঐকতান কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে ?
i. শ্রমজীবীদের উপেক্ষা
ii. সাহিত্যের সভায় ব্রাত্যজনদের অবজ্ঞা
iii. শ্রমিক শ্রেণি সম্মানবঞ্চিত
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উত্তর ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রসুলপুর গ্রামের ভেন্না (ভেরেণ্ডা) পাতার ছাউনিতে বাস করা হতদরিদ্র আসমানি ছিল কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার প্রধান চরিত্র ও বিষয়।
২.উদ্দীপকের কবি জসীমউদ্দীনের মধ্যে ‘ঐকতান’ কবিতার কবির আহ্বানকৃত যে বৈশিষ্ট্য রূপায়িত— ?
i.অখ্যাতজনের কবি
ii. নির্বাক মনের কবি
iii. মাটির কাছাকাছি কবি
কোনটি সঠিক
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
উত্তর ঘ. i, ii ও iii
৩.উদ্দীপকের আসমানি ‘ঐকতান’ কবিতার কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করে?
ক.প্রন্তিক শ্রেণি খ.মধ্যবিত্ত শ্রেণি
গ.উচ্চবিত্ত শ্রেণি ঘ.ধনিক শ্রেণি
উত্তর ক প্রান্তিক শ্রেণি
৪.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সাল কোনটি?
ক.১৮৪১ খ.১৮৫১
গ. ১৮৬১ ঘ. ১৮৭১
উত্তর গ. ১৮৬১
৫.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কী?
ক.কুসুমকুমারী খ.অনিলা দেবী
গ.সারদা দেবী ঘ.স্বপ্না দেবী
উত্তর গ.সারদা দেবী
৬.কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানের দীনতা দূরীকরণে কী ধরনের গ্রন্থ পড়েন?
ক. উপন্যাস খ.গল্প
গ.ভ্রমন বৃত্তান্ত ঘ.কাব্য
উত্তর গ.ভ্রমন বৃত্তান্ত
৭ .কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবার সঙ্গে সঙ্গ পেলে কী লাভ করেন?
ক. সম্মান খ.অর্থবিত্ত
গ.সাহায্য ঘ.আনন্দ
উত্তর ঘ.আনন্দ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি
শোনো নাই
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
৮.উক্ত কবিতার ভাববস্তু তোমার পঠিত কোন কবিতায় প্রতিফলিত?
ক. ঐকতান খ. সেই অস্ত্র
গ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ঘ. লোক-লোকান্তর
উত্তর ক. ঐকতান
৯। উদ্দীপকের ভাবনা কবি ভাবনায় যে বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে—
i. প্রান্তিক শ্রেণিকে সাহিত্যে স্থান দান
ii. অন্ত্যজ শ্রেণির সুখ-দুঃখ সাহিত্যে প্রতিফলন
iii. সাহিত্যে শ্রমিক শ্রেণিকে মর্যাদা দান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর ঘ. i, ii ও iii
১০.বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার—পঙিতটিতে এদের বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. শ্রমজীবী
খ. ধনিক শ্রেণি
গ. দরিদ্র শ্রেণি
ঘ. পুঁজিবাদী শ্রেণি
উত্তর ক. শ্রমজীবী
১১. কে প্রকৃতির ঐকতান-স্রোতে প্রবেশদ্বার খুঁজে পায় না?
ক. কবি
খ. জেলে
গ. চাষি
ঘ. কৃষক
উত্তর ঘ. কৃষক
১২। সাধারণ মানুষের পায়ে ভর দিয়ে কী চলে?
ক. পৃথিবী
খ. সমাজ
গ. সংসার
ঘ. জগৎ
উত্তর গ. সংসার
১৩। ‘জ্ঞানের দীনতা’ কোথায়?
ক. নয়নে
খ. কবিতায়
গ. মনে
ঘ. জীবনে
উত্তর গ. মনে
১৪।‘বিপুলা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. বিশাল প্রশস্ত
খ. বিশ্বস্ত
গ. প্রশস্ত
ঘ. দীর্ঘকায়
১ .সিরাজুউদ্দৌলা নটকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ,নায়ক চরিত্র কোনটি ?
ক মিরজাফর খ কর্রনেল ক্লাইভ খ নবাব সিরাজ গ মিরন
নবাব সিরাজ
২. নবাবের বিপন্ন অবসাদগ্রস্ত অবস্থা প্রকাশ পেয়েছে কোন সংলাপে ?
ক অতীতের দিকে ছেয়ে দেখে খ চেয়ে দেখো কোথা থেকে আলো আসছে
গ বুঝি প্রভাত হয়ে এলোকেউ নেই ঘ কেউ আমার সঙ্গে দাঁড়াল না লুৎফা
উত্তর : ঘ কেউ আমার সঙ্গে দাঁড়াল না লুৎফা
৩ রোশনাই শব্দের অর্রথ কি ?
ক জ্যোতি বা আলো খ তিমির অধাঁর
গ জালিম বা শাসক ঘ সম্রাট বা বাদশা
উত্তর: জ্যোতি বা আলো
৪ ওয়াকিবহাল শব্দটি কোন ভাষার শব্দ ?
ক ফরাসি খ পুর্রতুগিজ গ জাপানি ঘ আরবি
উত্তর : আরবি ।
৫ ফিরিঙ্গি শব্দটি কোন রীতির শব্দ ?
ক অরবি খ সংস্কৃত গ ফারাসি ঘ জাপানি
উত্তর : ফারাসি
৬ মিরজাফর খান ইতিহাসেক পরিচিত হয়েছেন ?
ক বিশ্বাসী খ সুদক্ষ নেতা হিসেবেবিশ্বাসঘাতক
গ ব্যক্তিত্বহীন কুচক্রী হিসেবে অতি আবেগী
ঘ স্বদেশপ্রেমিক হিসেবেসবগুলো
উত্তর: খ সুদক্ষ নেতা
৭ নাটোরের মহারানি ভবািনীর স্বামির নাম কি ?
ক রাজা রায়দুর্রলভ খ রাজা রামকান্ত রায়
গ রাজা রাজবল্লভ ঘ ভুবন কুকার পাল
উত্তর : রাজা রামকান্ত রায়
৮
১.উদ্দীপকটি পড় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ইসলামের এক ক্রান্তিকালে তিনি খিলাফতের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন। মহানবি (সা:)এর অসমাপ্ত বাসনাসূহ বাস্তবে রূপদান করেন। যাকাতবিোধী আন্দোলন ও ভন্ড নবিদের অশুভ তৎপরতার ফলে আরব উপদ্বীপে প্রচলিত বিদ্রোহকে নির্বাপিত করেন।
ক.হযরত ওমর (রা:) কুরাইশ বংশের কোন গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন ?
খ.রিদ্দা বলতে কি বোঝায় ?
গ.উদ্দীপকে কোন খলিফার ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.ইসলামের ক্রান্তিকালে উক্ত খলিফা কীভাবে রাষ্ট্র সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্লেষণ কর।
ক. হযরত ওমর (রা:) ৫৮৩ খৃষ্টাব্দে কুরাইশ বংশের অভিজাত আদ্দিয়া গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।
খ.রিদ্দা স্বধর্মত্যাগের আন্দোলন।মহানবী (সা:) মৃত্যুর পর আরব জাতি দিশেহারা হয়ে পড়ে। ঐসময় ভন্ড নবীর অাগমন ঘটে যার ফলশ্রুতিতে নতুন ধর্ম
মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় এবং যাকাত দিতে অস্বীকার করে এবং আন্দোলন গড়ে তুলে। হযরত আবুবক্র রা: তাদের কঠোর হস্তে দমন করেন ইতিহাসে এটা রিদ্দা যুদ্ধ নামে পরিচিত।
গ.উদ্দীপকে খলিফা হযরত আবুবকর (রা:) এর ইঙ্গিত করা হয়েছে ।হযরত আবুবকর মক্কার কুরাইশ বংশে ৭৭৩ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন উদ্দীপকে ইসলামের ক্রান্তিকারে হযরত আবুবকর খলিফা নির্বাচিত হন এব্ং কঠোর হস্তে রিদ্দা ও যাকাত বিরোদী আন্দোলন সহ ভন্ড নবীদের তৎপরতা দমন করেন। উদ্দীপকে মহানবীর সা: এর অসমাপ্ত কাজকে বাস্তবে রুপদান করেন । মহানবী সা: জীবিত অবস্থায় ৬২৯খৃষ্টাব্দে সিরিয়াতে দুত পেরন করেন কিন্ত মুতার খৃষ্টান শাসনকর্তা তাহাকে হত্যা করেন। আবুবকর যায়েদ বিন উসামার নেতৃত্বে ৭০০ সৈন্যের এক দল পাঠিয়ে তাকে পরাজিত করে মদিনায় প্রত্যার্বতন করেন।
ঘ.হযরত আবুবকর (রা:) খিলাফত অধিষ্টিত হয়ে বহুবিধ জটিল সমস্যার সম্মুখীন হণ। মহানবীর তিরোধানে সমগ্র আরবে বিদ্রোহ, বিশৃঙ্গল ,ধর্মবিদ্রোহ ও অসন্তোস মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। ইসলামের ক্রান্তিকারে হযরত আবুবকর রা: খলিফা নির্বাচিত হওয়ার সাহসিকতার সাথে হযরত মোহাম্মদ সা:এর অধুরা কাজ সমাপ্ত করেন ।
হযরত আবুবকরের খিলাফতের সময় নিম্মলিখিত বিদ্রোহ দেখাদেয় :
১.সিরিয়া অভিযান:ক্ষমতা লাভের ১৯ দিনের মাথায় তিনি সিরি্য়া আবিষানে পাঠান প্রথম সফর ব্যর্থহলেও দ্বিতীয় অভিযানে সিরিয়া আবুবকরের দখলে আসে ২.রিদ্দা বা ধর্মত্যাগ আন্দোলনের দমন:ইসলামকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠার জন্যে দুনিয়ার বুকে যে সকল যুদ্ধ পরিচালিত হয রিদ্দা বা ধর্মত্যাাগীদের বিরোদ্ধে যুদ্ধ অন্যতম।
৩.মদিনার প্রাধান্য ঈর্ষা:বন্ধনহীন আরব জাতি ইসলাম আর্ভিভাবে একটি সুসংঘব্ধ জাতিতে পরিণত হয়। সমদিনা ছিল ইসলামের প্রাণকেনদ্র। মদিনার প্রাধান্য আরবের অন্যান্য গোত্রের লোকদের সধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
৪.ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের প্ররোচনা:
৫.নবুয়তকে মর্যাদার উৎস মনে করা:
৬.করদানে অনভ্যস্ততা:ভন্ড নবীদের আর্বিভাব:
২উদ্দীপকটি পড় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
নেতৃত্বের অন্যতম গুণ হচ্ছে নিজের যাপিত মতাদর্শের প্রতি সকল কে আকৃষ্ট করা। এ ক্ষেত্রে ভাষণ বা বক্তৃতার কোনো বিকল্পনেই। ধর্ম , রাজনীতি, সমাজ , সংগঠনের প্রেরণা্ হিসেবে বরেণ্য নেতা ও মনীষীরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। বিভিন্ন কারণে এসব ভাষণের কোনটি আরার ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছেন স্বমহিমায়।
ক.কত খৃষ্টাব্দে মক্কা বিজয় সম্পন্ন হয়?
খ.প্রতিনিধি পেরণের বছর বলতে কি বোঝ?
গ.মক্কা বিজয়ের গুরুত্ব আলোচনা কর।
ঘ.বিদায় হজের ভাষণের তাৎপর্য মূল্যায়ন কর।
বহুনির্বাচনী নমুনা প্রশ্ন:
১.মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ কী ?
ক.একাধিক নদী বিধৌত উর্বর ভূমি খ.ইউফেটিসের পশ্চিম তীর
গ.দুই নদরি মধ্যবর্তী স্থান ঘ.টাইগ্রিসের পূর্বাঞ্চল
উত্তর দুই নদরি মধ্যবর্তী স্থান
২.সুমেরীয়দের বিখ্যাত উদ্ভাবন কোনটি ?
ক.আগুন আবিস্কার খ.লোহা আবিস্কার
গ.চাকা আবিস্কার ঘ.বর্ণ আবিষ্কার
উত্তর ঘ. বর্ণ আবিষ্কার
৩.কোন শাসকের আমলে রোমে খৃষ্ট ধর্ম রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা লাভ করে ?
ক.অগাস্টাস খ.জুলিয়াস সিজার
গ.কনস্টানটাইন ঘ.ডুঙ্গি
উত্তর গ.কনস্টানটাইন
৪.সুমেরীয় চিত্রকলার প্রকাশ ঘটে কিভাবে?
ক. যুদ্ধাস্ত্রের মাধ্যমে খ.পিড়ামিডের মাধ্যমে
গ.পান পাত্রের মাধ্যমে ঘ. খোদাই মূর্তির মাধ্যমে
উত্তর ঘ. খোদাই মূর্তির মাধ্যমে
৫.বদরের যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?
ক.৬২২ খ্রিস্টাব্দে খ.৬২৩ খৃ:
গ.৬২৪ খৃ: ঘ.৬২৫খৃ:
৭.হিজরী সাল প্রবর্তরে কারণ হচ্ছে
ক.ইসলামি পঞ্জিকা তৈরী খ.ইসলামের প্রসার ঘটানো
গ.হিজরতের ঘটনাকো স্মরন করে রাখা ঘ. মদিনা রাষ্ট্রের মর্যাদা বৃদ্ধি
উত্তর গ.হিজরতের ঘটনাকো স্মরন করে রাখা
৮.হযরত মুহাম্মদ (স.) মদিনা সনদ প্রণয়ন করেন । এত তার কো ন গুণটি পরিলক্ষিত হয ?
ক. ধৈর্যাশীলতা খ. সমাজ সচেনতা
গ.রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ঘ. ধর্মীয় অনুশাসন
উত্তর গ.রাজনৈতিক দূরদর্শিতা
৯.মহানবী (স.) কর্তৃক গঠিত শন্তি সংঘের নাম কী ?
ক.যুব সংঘ খ. সমাজ উন্নয় কমিটি
গ.হিল ফুল ফুজুল ঘ.দারুল নদওয়া
উত্তর গ.হিল ফুল ফুজুল
১০. উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ কী ছিল ?
ক.গনিমাহ লাভের স্পৃহা খ.হামজা রা: এর শাহাদাৎ বরণ
গ.নেতার নির্দেশ অমান্য ঘ.কুরাইশ সৈন্যের সংখ্যাধিক্য
উত্তর ক.গনিমাহ লাভের স্পৃহা
১১.মিসর বিজয়ী মুসলিম সেনাপতির নাম কি ?
ক. খালিদ বিন ওয়ালিদ খ. আবু ওবায়দা
গ. আমর বিন অলআস ঘ. সাদ বিন আবিওয়াক্কাস
উত্তর ক. খালিদ বিন ওয়ালিদ
১২.কার শাসনামলে রিদ্দা যুদ্ধ হয় ?
ক. হযরত আবু বকর ( বা:) খ. হযরত ওমর (বা:)
গ.হযরত আলী রা: ঘ. হয়রত মুয়াবিয়া (রা:)
১) হেনরি ইউরোপের যে দেশের নাগরিক সেই দেশের বিখ্যাত রানী একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন তৈরী করে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেন । তারপরও হেনরি দারিদ্র্যের করণে ভিক্ষা করতে থাকে । একদিন গির্জার পাশে তিক্ষারত অবস্থায় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে একটি স্থানে রেখে কাজ করতে বাধ্য করে । কিন্তু পরিবেশ ভালো না থাকায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ভবিষ্যতে সে স্বাবলম্বী হতে পারেনি।
ক. বিভারিজ কে ছিলেন?
খ. শিল্পবিপ্লব বলতে কী বোঝ ?
গ. উদ্দীপকে রানী প্রণীত আইনের নাম কী ? উক্ত আইনের বিধানগুলো চিহ্নিত কর ।
ঘ. উক্ত আইনটির দরিদ্রদের কল্যাণের সাথে বেশ কিছু অকল্যাণও বয়ে আনে ।”তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে আলোচনা কর ।
২) শান্ত পবিত্র শব-ই-বরাত রাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়তে যায় । মসজিদের চারপাশে ইতে ভিক্ষুক দেখে সে অবাক হয় । এ রাতের দুশ্য দেখে তার মনে হয় দেশের অধিকাংশ মানুষ যেন ভিক্ষুক । অনেক সক্ষম মানুষও এখানে নানা সাজে সেজে ভিক্ষা করছে । শান্ত মনে করে , এ রক ম পরিস্থিতিতেই ইংল্যান্ডে একটি আইন পাস হয়েছিল ,সেটি সমাজকর্মের ইতহাসে মাইল ফলক । সেমনে করে , বাংলাদেশেও এরূপ আইন প্রণয়ন জরুরি।
ক. দরিদ্র আইন কী ?
খ. দারিদ্র্য নিরসসনে দরিদ্র আইনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে শান্ত ইংল্যান্ডের কোন আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেছে ? ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে শান্ত যে আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেছে সেটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কীরূপ ?অালোচনা কর ।
৩) জনাব সাইফুল ইসলাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান । সম্প্রতি তার জেলণায় ভিক্ষাবৃত্তি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় । সে জন্যে তিনি একটি আইন পাশ করেন । এ আইন অনুযায়ী দরিদ্রদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে শ্রেণি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় । াক্ষম দরিদ্রদের জন্যে সাহএয্যর ব্যবস্থা করা হয় । সম্ষম দরিদ্র ও নির্ভ রশীল শিশুদের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হয় । তাদের সংশোধনাগারে কাজের ব্যবস্থা করা হয় । শিশুদের ধনী আত্নীয়স্বজনের কাছে দত্তক দেওয়া হয়।
ক. দরিদ্র আইন সংস্কার -১৮৩৪ এর শ্রমাগারকে ‘দরিদ্রদের জেলখানা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কেন?
খ. ইংল্যান্ডকে দরিদ্র আইনের ভিত্তিভূমি বিবেচনা করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে জনাব সাইফুল ইসলামের ব্যস্থা ইংল্যান্ডের কোন ব্যবস্থাপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ? দেখাও।
ঘ. সমাাজকর্ম পেশায় ইংল্যান্ডের উক্ত আইনের গুরুত্ব আলোচনা কর।
৪) জাফর আহম্মেদ পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি নির্দিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমের াাওতায় জ্ঞান ও দ্ক্ষতা অর্জন করে এবং হাতেকলকে শিক্ষাগ্রহণ করে চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।এখন তিনি একজন খ্যাতিমান চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রয়োগ সম্পর্কিত বাস্তব জ্ঞান অর্জন করছেন। জাফর আহমেদের ইচ্ছা চিকিৎসা পেশার মধ্য দিয়ে জনসেবা করা।
ক. NASW সমাজকর্মের কয়টি মূল্যবোদ নির্ধারণ করেছেন্ ?
খ. ব্যাক্তিগত মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায় ?
গ. উদ্দীপকে জাফর আহমেদদের পেশার যে বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘উক্ত বৈশিষ্ট্য ছাড়া পেশার আরও বৈশিষ্ট্য রয়েছে্।’-উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
৫) সুমনা অাজমেরী একজন পেশাদার সমাজকর্মী। তার নিকট একজন সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি সহায্যের জন্যে আসেন সমস্যাগ্রস্ত বলে তিনি তাকে অবহেলা করেননি। তাকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধানে তার মতের মূল্য ও মর্যাদা দেন। ফলে সুমনার সাথে সাহায্যপ্রর্থীর সুসম্পর্ক
গড়ে উঠে ও সমস্যার ফলপ্রসু সমাধান হয়।
ক. পেশা শব্দের ইংবেজী প্রতিশব্দ কী ?
খ. পেশা ও বৃত্তির মধ্যে দুটি পার্থক্য ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে সুমনা আজমেরীর কাজে সমাজকর্মের কোন মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে চিহ্নিত কর।
ঘ. সুমনার কাজের সাফল্যের জন্য উক্ত মূল্যবোধেগুলোর গুরুত্ব রয়েছে বিশ্লেষন কর।
৬) সোহানা আক্তার সমাজকর্মে অনার্স ও মাষ্টার্স সম্পন্ন করেছেন। অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স শেষে ৬০ দিন করে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কোর্স করেছেন। শেষে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সমাজকর্মী হিসেবে চাকরি নেন।তিনি তার কর্মের নীতি ও মূল্যবোধ অনুসারে সাহায্যার্থীদের সাহায্য করে থাকেন।
ক. পেশা কী ?
খ. পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি পেতে হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে সোহানা আক্তারের কর্মকে পেশা বলা যায় কি ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে সোহানা আক্তারের কর্মের আলোকে পেশার বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ কর।
৭) জনাব নাসির উদ্দীন এমন একজন কর্মী যিনি তার কর্মের জন্যে নির্ধারিত মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসরণ করে চলে। তিনি বিশেষ জ্ঞান, যোগ্যতা, নৈপুণ্য,ও দক্ষতা অনুসারে এমন ভাবে সাহায্য করেন,, যাতে তারা নিজেরা নিজেদের সমস্যা সামাধানে সক্ষম হন।তার কর্মের বিশেষ মর্যাদা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত।
ক. সমাজকর্ম মূল্যবোধ কী ?
খ. আত্ননিয়ন্ত্রন অধিকার বলতে কী বোঝায ?
গ. উদ্দীপকে নাসির উদ্দীনের কর্ম কী ধরণেরে কর্ম ?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে জনাব নাসির উদ্দীন যে ধরণের কর্মে নিয়োজিত সে ধরনের কর্মের গুরুত্ব পর্যালোচনা কর।
৮) মাহমুদ তার পরিবারের কাছে শিখেছে বড়দের সন্মান করতে হবে , আর ছোটদের স্নেহ করতে হবে। সে অনুমতি ছাড়া অন্যের কোনো জিনিস ধরে না । ভালো কাজ করতে পারলে সে অনেক আনন্দ অনুভব করে , খারাপ কাজগুলো এড়িয়ে চলে।
ক. পেশার নৈতিক মানদন্ড কী ?
খ. সমাজকর্মকে বহুমুখী পেশা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে মাহমুদের আচরণে যে বিষয়টির প্রভাব রয়েছে এর পরিচয় নিরূপন কর।
ঘ. উক্ত বিষয়টির সাধারণ ধরনগুলো বিশ্লেষণ কর।
এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার প্রশ্নের নতুন মান বন্টন
২০১৭ থেকে এসএসসি, এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নে ১০ নম্বর বৃদ্ধি ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০ নম্বর কমিয়েছে সরকার। পরিবর্তন করা হয়েছে পরীক্ষার সময় বন্টন এবং থাকছে না বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যেকার বিরতি ।
এইচএসসি পরীক্ষায় নতুন মান বন্টনে উল্লেখ আছে ব্যবহারিক বিষয়সমূহে ৮ প্রশ্নের মধ্যে ৫ টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে মোট ২৫ টি।প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
ব্যবহারিক অংশে থাকবে ২৫ নম্বর । এছাড়া যে সকল বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেই সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ১১ টি, উত্তর দিতে হবে ৭ টি প্রশ্নের । এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০ টি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
পূর্বের মতোই থাকছে এসএসসি ও সমমানের ব্যবহারিক বিষয়ের মানবন্টন। অর্থাৎ সৃজনশীল ৫০, বহুনির্বাচনী ২৫ এবং ব্যবহারিক ২৫, সর্বোমোট ১০০ নম্বর।
নতুন নিয়মে এইচএসসি ও সমমানের ব্যবহারিক মানবন্টন এসএসসি ও সমমানের মতো-সৃজনশীল ৫০, বহুনির্বাচনী ২৫ এবং ব্যবহারিক ২৫, মোট ১০০ নম্বর।
এর পূর্বে যা ছিল- সৃজনশীল ৪০, বহুনির্বাচনী ৩৫ এবং ব্যবহারিক ২৫। বহুনির্বাচনী থেকে ১০ কমিয়ে সৃজনশীল অংশে ১০ নম্বর বাড়ানো হয়েছে।
এর পূর্বে ব্যবহারিক পরীক্ষাহীন বিষয়গুলোতে বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর ছিল ৪০। যা এখন থেকে ৩০ এ কমিয়ে আনা হয়েছে। একই সাথে সৃজনশীল অংশের নম্বর ছিল ৬০ যা এখন থেকে বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমানে অপরিবর্তিত থাকছে- ইংরেজি প্রথম দ্বিতীয় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রকৌশল অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম, দ্বিতীয়পত্র, ক্রীড়া প্রথম, দ্বিতীয়পত্র, চারুকলা, নাট্যকলা, সময়বিদ্যা, আরবি, পালি, সংস্কৃত, লঘু ও উচ্চাঙ্গ সংগীত প্রথম ও
দ্বিতীয়পত্রের মানবন্টন।
৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশের জন্য ৩০ মিনিট, সৃজনশীল ৭০ নম্বরের জন্য ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটি সময় ধার্য্য করা হয়েছে। ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশের জন্য ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল অংশে প্রতি পরীক্ষার্থী পাবে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময়ানুযায়ী বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী এবং সৃজনশীল পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না বলে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটি সূতে জানা গেছে।
সময়-২.৩০ ঘন্টা পূর্ণ মান ৭০
[ বি:দ্য ডান পার্শ্বে সংখ্যায় পূর্ণমান জ্ঞাপক ক-বিভাগ হতে ৩টি, খ-বিভাগ হতে ৩টি এবং গ-বিভাগ হতে ১টি সর্মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ দুষণীয়]
ক-বিভাগ(গদ্য)
১. বান্দবান সরকারি মহিলা কলেজ প্রঙ্গণে ‘রকস মিউজিয়ম’ অবস্থিত। কস মিউজিয়মে বাঙালি সংস্কৃতির বহু পুরনো লোকজ উপাদান সংরক্ষিত রয়েছে । বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে ।এই মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বহু বছরের পুরনো বাঙালি জাতির ব্যবহৃত অস্ত্রাদি,তৈজসপত্র,গীতবাদ্য ,নৃত্যে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, জলযান হিসেবে ব্যবহৃতহ নৌকা এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বিভিন্ন আকৃতির পাথর ও কোহিনূর শিলালিপি । বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশনস্বরুপ।
ক.পাশ্চাত্যদেশে জাদুঘরতত্ত্ব কী বিষয় হিসেবে বিকশিত? ১
খ.‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী? ব্যাখ্যা করো । ২
গ.উদ্দীপকে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তুলে ধরো । ৩
ঘ.“বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশন স্বরুপ।” মন্তব্যটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার
আলোকে মূল্যায়ন করো । ৪
২.নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায় ।অনুভুতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে।তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম ;পার্থক্য কেবল তরুলতা ও জীব জন্তুর বৃদ্ধির ওপর তাদের নিজেদের কোন হাত নেই,মানুষের বৃদ্ধির ওপর তার নিজের হাত রয়েছে।আর এখানেই মানুষের মর্যাদা ।মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয় আত্নিকও । মানুষের আত্না সৃষ্টি করে নিতে হয় , তা তৈরি পাওয়া যায় না ।
ক.পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর কোথায় ছিল ? ১
খ.জাদুঘরের প্রথান কাজ কি ? ২
গ.উদ্দীপকটির সাথে জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়গত অনৈক্য রয়েছে । আলোচনা কর । ৩
ঘ.বৃক্ষের মতো জাদঘরও আমাদেরকে সার্থকতার গান শোনায ।’—তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। ৪
৩.মুক্তিযোদ্ধা রুমি তার মামার নিকট আগরতলা থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই জুন তারিখে একটি চিঠি লেখ্ তার কিছু অংশ- প্রিয় পাশা মামা আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লরছি ।আমরা জয়ী হব । আমাদের সবার জন্য দোয়া করো । কি লিখব বুঝতে পারছি না-কত কী নিয়ে যে লেখার আছে।নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ,ভয়াবহ ধ্বংসের যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য।ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত বরেছে, মানব ইতহাসে যার তুলনা নেই।আর নিউটন যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব।
ক.রইনকোট গল্পটি কত খ্রিষ্ট্রাব্দে প্রকাশিত হয়? ১
খ.‘মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের ওপর।’একথা কেন বলা হয়েছে। ২
গ.উদ্দীপকের রুমি ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ? বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের সামগ্রিক দিক ধারণ করতে পেরেছে কি ? যুক্তিসহ প্রতিপন্ন করো । ৪
৪. ভারতবর্ষের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী মহানায়ক ক্ষুদিরাম। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি। এই উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ শাসকদের উচ্ছেদ করতে তিনি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেন। অবশেষে ব্রিটিশ শাসক বড়লাটকে মারার জন্য গাড়িতে বোমা নিক্ষেপের দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ক্ষুদিরাম অত্যাচারীদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন উৎসর্গ করেন।
(ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা জেলখানা থেকে কোন জেলে বদলি করা হয়েছিল? ১
(খ) ‘মুক্তি দিলে খাব, না দিলে খাব না’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ২
(গ) উদ্দীপকের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কোন বিষয়টি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নির্ণয় করো।৩
(ঘ) ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগের সঙ্গে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। ৪
৫.মানুষের চেয়ে বড় আকৃতির অসংখ্য প্রাণী পৃথিবীতে আছে,কিন্তু তাদের বিবেক আর বিবেচনা করার শক্তি নেই। ফলে তারা ভালো-মন্দ পৃথক করার ক্ষমতা রাখে না।বস্তুত মনই হচ্ছে সভ্যতার ও সমাজের মূল স্তম্ভ ।প্রাণের দিক থেকে মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর নানা সাদৃশ্য আছে ,কিন্তু মনের দিক থেকে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য ।আর ।এই স্বাতন্ত্র্য বা বৈসাদৃশ্যের মূল কারন হচ্ছে ক্ষমাশীলতা ।
ক.সকল প্রাণীর মূল গঠন উপাদান কী ? ১
খ.‘না, মানুষকে নেওয়া ঠিক হবে না।’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ? ২
গ.উদ্দীপকের মানুষের সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্পে বর্ণিত মানুষের বৈসাদৃশ্য কোথায়?ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.‘সুবিবেচক হলে মানুষ সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত’তুমি কি মন্তব্যটির সাথে একমত?উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলল্বনে বিশ্লেষণ করো। ৪
খ-বিভাগ(পদ্য)
৬. পরিতোষ মণ্ডল সারা জীবন শিক্ষকতা করেছেন, গড়ে তুলেছেন অসংখ্য আলোকিত মানুষ। অবসর গ্রহণের পর তিনি গড়ে তুলেছেন ‘তারুণ্য’ নামের সেবা-সংগঠন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করেন তিনি। সমাজের মানুষ তাঁর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু পরিতোষ মণ্ডল মনে করেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর প্রাণ খুলে মেশা হয়নি এবং মানুষের জন্য সামান্যই করতে পেরেছেন। তিনি চান তাঁর অসমাপ্ত কাজ ‘তারুণ্য’ নামের সংগঠনটির মাধ্যমে সমাপ্ত হোক।
ক. ‘ঐকতান’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘সে কবির বাণী-লাগি কান পেতে আছি।’ —বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. পরিতোষ মণ্ডলের মধ্যে ‘ঐকতান’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘ঐকতান’ কবিতার সঙ্গে কিভাবে সংগতিপূর্ণ তা আলোচনা করো। ৪
৭.কবির পক্ষে সমাজকে বোঝা দরকার, কবিতার অস্থিরতার ভেতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কার জ্ঞান।কাল বা সময় বৈনাশিক;কিন্তু সে সেই সমস্ত কুয়াশাগুলোকেই কেটে কেটে চলছে,যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপ্তি বাড়াবার পক্ষে অন্তরায়ের মতো।এই সমস্ত চেতনা নিয়েই মানবতার ও কবিমানসের ঐতিহ্য।
ক.কবিতার মুক্ত শব্দগুলো কোথা থেকে উচ্চারিত হয় ? ১
খ.পূবর্পুরুষ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ? ২
গ.উদ্দীপকের ইতিহাস চেতনা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’কবিতায় কোন
পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে তা তুলে ধরো। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের মানবতাও কবিমানস ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায়
স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ।”বিশ্লেষণ করো । ৪
সৃজনশীল
৮. অনুরাধা ও পারুল প্রতিবেশী ও সহপাঠী। অনুরাধা সময় পেলেই স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস চ্যানেল দেখে। ঐ সব নাটকের নায়িকাদের স্টাইলে নিজেকে উপস্থাপনে অনুরাধা সদা তৎপর। অনুরাধার বাবা একজন পাট ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি সর্বস্বান্ত প্রায়। অন্যদিকে পারুল পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাই মিশিনে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করে। পড়াশোনা শেষ করে পারুল চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে উন্নত প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক লোন নিয়ে গ্রামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামের মানুষদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার আশ্রয় এখন পারুল ও তার কুটিরশিল্প।
(ক) কষক কন্যার নাম কী?
(খ) ‘একটি চাউল পরীক্ষা করিলেই হাঁড়িভরা ভাতের অবস্থা জানা যায়” - কথাটির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
(গ) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুরাধার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আলোচনা কর।
(ঘ) “স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোক্তার যৌথ সমন্বয়’ - উদ্দীপক ও তোমার পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা কর।
লালসালু উাপন্যাস
গ-অংশ : উপন্যাস
৯। ফাহমিদা ও ফাহিয়ানের বিয়ের সাত বছর পেরোলেও তাদের কোনো সন্তান হয় না। কিন্তু গ্রামের লোকেরা সম্পর্কে নানা বাজে কথা বলে। চাকরি দেওয়ার নামে সে নাকি অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। ফাহমিদা এসব কথা কানে তোলে না, সে তার স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসে ও বিশ্বাস করে। ভবিষ্যতে বংশরক্ষার কথা চিন্তা করে ফাহিয়ান দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ফাহমিদা তার স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নেয় না; বরং প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।
ক) মজিদ কখন গ্রামে প্রবেশ করে? --১
খ) 'শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের বৈসাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) "উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের ঘটনা সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও চেতনা ভিন্ন"_ উক্তিটি বিচার কর। ৪
১০। দিন কাটিয়া যায়। জীবন অতিবাহিত হয়। ঋতুচক্রে সময় পাক খায়। পদ্মার ভাঙনধরা তীরে মাটি ধসিতে থাকে, পদ্মার বুকে জল ভেদ করিয়া জাগিয়া উঠে চর, অর্ধ শতাব্দীর বিস্তীর্ণ চর পদ্মার জলে আবার বিলীন হইয়া যায়। জেলেপাড়ার শিশুর ক্রন্দন কোনো দিন বন্ধ হয় না। ক্ষুধা-তৃষ্ণার দেবতা, হাসি-কান্নার দেবতা, অন্ধকার আত্মার দেবতা, ইহাদের পূজা কোনো দিন সাঙ্গ হয় না।
ক) গ্রামের প্রতিবাদী শিক্ষিত যুবক কে? ১
খ) 'গ্রামবাসী যেন রহিমার অন্য সংস্করণ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের সাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) "উদ্দীপকটি 'লালসালু' উপন্যাসের আংশিক রূপায়ণ মাত্র"- আলোচনা কর। ৪
১১। ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটাছুটি করা, অবাধে সাঁতার কাটতে তার ভালো লাগে। অভাবের তাড়নায় ওয়াসিকাকে তার বাবা পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন। লোকটি গ্রামের মাতব্বর। তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও স্বাধীনচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।
ক. ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল? ১
খ. 'সজোরে নড়তে থাকা পাখিটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. ওয়াসিকা 'লালসালু' উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ - ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. 'উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি 'লালসালু' উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি- মূল্যায়ন করো। ---- ৪
১২। চেয়ারম্যান সাহেবের কথাই আইন, সিদ্ধান্তই বিচারের রায়। সাথে আছেন ফজর মুন্সি, ইউনিয়নের বড় মসজিদের ইমাম তিনি। শরিয়তের মারপ্যাঁচে খোদার দুনিয়ায় ক্ষমতা তার অনেক। দরিদ্র, অশিক্ষিত গ্রামবাসীদের সব সমস্যার সমাধান হয় ইউনিয়ন পরিষদে। ইমাম সাহেবের কথার ওপরে কথা নেই চেয়ারম্যানের। ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চলে নির্বিচার খবরদারি। বিবাহ-তালাক, মারামারি, গোণ্ডগোল, জমিজমা থেকে শুরু করে সমাজের সব কিছুতেই চেয়ারম্যান-ইমাম একে অপরের পরিপূরক।
ক. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কী? ১
খ. খালেক ব্যাপারীর সাথে মজিদের এত ঘনিষ্ঠতা কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ইউনিয়ন পরিষদের সাথে 'লালসালু' উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর বাড়ির সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩
ঘ. "উদ্দীপকে ও 'লালসালু' উপন্যাসে সামন্তবাদী সমাজে পুরোহিতের দৌরাত্ম্য লক্ষ করা যায়।"- বিশ্লেষণ করো। ৪
১৩। আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে ব্রিটিশরা এ দেশে এসেছিল এই অঞ্চল দখল করার জন্য। প্রথমে তারা এ অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষিত ও সভ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করে। ধীরে ধীরে তারা এ দেশের ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করতে থাকে। একপর্যায়ে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে শাসনের নামে সব ধরনের নির্যাতন চালাতে শুরু করে।
(ক) ‘লালসালু’ উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়? ১
(খ) ‘খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে’—উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
(গ) উদ্দীপকের ব্রিটিশদের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? বুঝিয়ে লেখো। ৩
(ঘ) ‘‘উদ্দীপকের ব্রিটিশ এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের ‘মজিদ’-এর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার কৌশল একই ধরনের’’—আলোচনা করো। ৪
১৪।‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র টুনি। ১৩ বছর বয়সে টুনির বিয়ে হয় বাবার বয়সী মকবুলের সঙ্গে। সংসারের সব কাজ করলেও সে মন থেকে মকবুলকে কখনো স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। তাই দুই সতীনের সঙ্গে কোনো প্রকার রেষারেষি না থাকলেও অল্প বয়সী টুনি কখনো মকবুলের সংসারে মন বসাতে পারেনি।
(ক) মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী? ১
(খ) কে মজিদের মুখে থুথু নিক্ষেপ করেছিল এবং কেন? ২
(গ) উদ্দীপকের টুনির সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য আছে—নির্ণয় করো। ৩
(ঘ) উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের যে দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে, তা তোমার মতো করে বিশ্লেষণ করো। --৪
১৫। শ্যামপুর গ্রামে কোনো স্কুল নেই। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। সন্তানকে পাঁচ মাইল দূরের স্কুলে পাঠানোর আগ্রহ তাদের নেই। গ্রামের মক্তবের পড়াশোনাই তাদের ভরসা। শিক্ষিত যুবক মনির গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মক্তবের মৌলভি সাহেব মাতব্বরদের বোঝাতে সক্ষম হন যে স্কুল হলে গ্রামে বখাটে ছেলেদের আড্ডা ও আনাগোনা বাড়বে; পড়াশোনার জন্য মক্তবই যথেষ্ট। মাতব্বরদের বাধায় মনিরের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থমকে যায়।
(ক) মহব্বতনগরে কে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? ১
(খ) ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’—উক্তিটির তাত্পর্য লেখো। ২
(গ) উদ্দীপকের মনির চরিত্রটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা করো। ৩
(ঘ) ‘উদ্দীপকের মৌলভি ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ নিজেদের স্বার্থহানির ভয়ে আধুনিক শিক্ষাকে ভয় পায়’—উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। ৪
১৬।রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অনেকগুলো মাজারের অবস্থান। এগুলোর একটির রক্ষক এমদাদ গাজী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ মাজার রক্ষণাবেক্ষণ করলেও তিনি জানেন না সেখানে কে শায়িত আছে। নিজেকে অনেক অলৌকিক শক্তির অধিকারী মনে করেন তিনি, সেই সঙ্গে ভক্তবৃন্দের কাছেও তিনি পরম আকাঙ্ক্ষিত। দিনে দিনে অনেক ধন-সম্পদ বেড়ে গেল তাঁর। একসময় তিনি এক ভক্তের অল্পবয়সী এক কন্যাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সে কন্যা এমদাদ গাজীর অবাধ্য।
ক. কোন গ্রামে নামকরা পীর সাহেবের আগমন ঘটেছিল? ১
খ. ‘গ্রামের লোকেরা যেন রহিমারই অন্য সংস্করণ’—ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের এমদাদ গাজীর মানসিকতা ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রকে মনে করিয়ে দেয় আলোচনা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের এমদাদ গাজী ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের সংশ্লিষ্ট চরিত্রের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন’— তোমার অভিমত তুলে ধরো। ৪
১৭।অনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রিধারী একজন সচেতন ছেলে। সে গ্রামের অসহায়, দুস্থ মানুষের সেবা করতে চায়। তাই তো সে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবে। তার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে গ্রামের অনেকেই স্বাগত জানায়; কিন্তু জমির শেখ এর বিরোধিতা করে। সে বলে, ‘মসজিদের উন্নয়ন না করে স্কুল বানাইলে খোদা নারাজ হবে।’
ক. মহব্বতনগরে কে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? ১
খ. মজিদ স্কুল নির্মাণে বাধা প্রদান করেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের অনিক ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছে—নির্ণয় করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের জমির শেখ ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং কেন, তা বিশ্লেষণ করো। ৪