অকাল কুষ্মান্ড(অকেজো): অকাল কুম্মান্ড লোকটা গতকালও কাজটা
শেষ করতে পরেনি ।
অকালপক্ব(ইঁচড়ে পাকা): এমন অকালপক্ব ছেলেকে যে
শিক্ষকরা প্রশ্রয় দেবে না তাতে সন্দেহ নেই।
অকূল পাথার(মহাবিপদ): ভালো কলেজে ভর্তি হতে না পেরে
অনেক ছাত্র অকূল পাথারে পড়েছে।
অক্কা পাওয়া(মরে যাওয়া): যে কোন দিনই থুত্থুড়ে বুড়োটা অক্কা পেতে
পারে।
অগাধ জলের মাছ(সুচতুর ব্যক্তি): মোড়ল সাহেব অগাধ জলের মাছ,তাঁকে
বোঝা বড় কঠিন।
অগ্নিপরীক্ষা(কঠিন পরীক্ষা): ২০০৭ সালে বংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলংকা
সফর ছিল অগ্নিপরীক্ষা।
অগ্নিশর্মা(খুবই রাগান্বিত): লোকটাকে বেয়াববি দেখে বাবা রেগে
অগ্নিশর্মা হলেন।
অদৃষ্টের পরিহাস(ভাগ্যবিড়ম্বনা): অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক
ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।
অনধিকার চর্চা(অজানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ): আমি ব্যবসায়ী
মানুষ,সাহিত্যের আলোচনা আমার জন্যে অনধিকার চর্চা।
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা(অনুরোধে কষ্ট স্বীকার): অনুরোধে অনেক ঢেঁকি গিলেছি,এথন
আর পারছি না।
অন্ধের যষ্টি/নড়ি(অক্ষম লোকের একমাত্র অবলম্বন): একমাত্র নাতিটি
বুড়ির অন্ধের যষ্টি।
অন্ধকার দেখা(বিপদে সমাধানের উপায় না দেখা): বাবার অকাল-মৃত্যুতে
মেয়েটা চোখে অন্ধকার দেথতে লাগল।
অন্ধকারে ঢিল ছোড়া(আন্দাজে কিছু করা): অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে
আসল ঘটনাটা জেনে এসো।
অমবস্যার চাঁদ(দুর্লভ ব্যক্তি বা বস্তু): আপনি দেখেছি অমবস্যার চাঁদ
হয়ে উঠেছেন।আপনার দেখাই মিলছে না।
অরণ্যে রোদন(নিষ্ফল অনুনয়): লোকটা হাড়কৃপণ,ওর
কাছে কিছু চাওয়া আর অরণ্যে রোদন একই কথা।
অর্ধচন্দ্র (গলা ধাক্কা): দারোয়ান উটকো লোকটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে
বের করে দিলেন।
আকাশকুসুম(অবাস্তব ভাবনা): শহরের সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া অনেকের জন্য
এখন আকাশকুসুম ব্যাপার।
আকাশ থেকে পড়া(স্তম্বিত হওয়া): পাপিয়ার কথা শুনে তাসলিমা যেন
আকাশ থেকে পড়ল।
আকাশ-পাতাল(সীমাহীন): শহর ও গ্রামের জীবনযাত্রায় এখনও
আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
আকাশ ভেঙে পড়া (মহাবিপদে পড়া): বন্যায় ঘরবাড়ি
ভেসে যাওয়ায় অনেক পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।
আকাশে তোলা(অতিরিক্ত প্রশংসা করা): কেউ কেউ স্বার্থ
হাসিলের জন্য কমকর্তাদের আকাশে তোলে।
আকাশের চাঁদ (দুর্লভ বস্তু): সেরা কলেজে ভর্তি হতে পেরে ভাইয়া
যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন।
আক্কেল গুডুম(হতবুদ্ধি অবস্হা): ছেলেটার কথাবার্তা
শুনে তো আমার আক্কেল গুডুম।
আক্কেল সেলামি(বোকামির দন্ড): ধাপ্পাবাজ লোকটার
পাল্লায় পড়ে টাকাগুলো আক্কেল সেলামি দিতে হল।
আখের গোছানো(ভবিষ্যৎ গুছিয়ে নেওয়া): দুর্নীতিবাজরা আখের
গুছিয়ে নিলেও পার পাচ্ছে না।
আঙুল ফুলে কলা গাছ(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া): শেয়ারের
ব্যবসায় কুদ্দুস সাহেব এখন আঙুল ফুলে কলা গাছ।
আট কপালে (হতভাগ্য): আট কপালে লোকের ক্ষেত্রে
চাকরি জোটা মুশকিল।
আঠারো মাসে বছর(ঢিলেমি): আমার মতামা সব কাজে দেরি করেন।সবাই বলেন
তার নাকি আঠার মাসে বছর।
আদাজল খেয়ে লাগা(উঠে পড়ে লাগা): পরীক্ষায়
জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য মাহমুদ আদাজল খেয়ে লেগেছে।
আদায় কাঁচকলায়(শত্রুভাবাপন্ন্): ওদের ভাইয়ে ভাইয়ে
আদায় কাঁচকলায় সম্পক,কেউ কাউকে সাহায্য করে না।
আবোল–তাবোল(এলোমেলো কথা): আসল ঘটনাটা লুকুতে গিয়ে সে
আবোল–তাবোল বকে চলছে।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অকেজো লোক): ও একটা আমড়া কাঠের
ঢেঁকি,ওকে দিয়ে কাজটা হবে না।
আমলে আনা(গুরুত্ব দেওয়া): পুলিশ দারোআনের কোন কথাই আমলে আনল না।
আলালের ঘরের দুলাল(বড় লোকের আদুরে ছেলে): এই আলালের ঘরের দুলালটিকাজ
দেখলে ভয় পায়।
আষাঢ়ে গল্প (বানানো কথা): সময়মত কাজে আসোনি, তার জন্য আষাঢ়ে গল্প
বলার দরকার কি?
আসমান-জমিন ফারাক (বিপুল ব্যবধান): ধনী ও গরিবের জীবনযাত্রায়
আসমান –জমিন ফারাক।
আস্তানা গড়া(সাময়িকভাবে কোথাও থাকতে শুরু করা): বানভাসি
লোকগুলো বাঁধের ওপর আস্তানা গেড়েছে।
আহলাদে আটখানা(আনন্দে আত্নহারা): মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে
সে আহলাদে আটখানা।
ইঁচড়ে পাকা (অল্প বয়সে পেকে গেছে এমন): ওই ইঁচড়ে পাকা ছেলেটাকে পাত্তা
দিলেই ঘাড়ে চেপে বসবে।
ইতর বিশেষ (সামান্য পার্থক্য): ফলাফলে একই গ্রেড প্রাপ্তদের
মধ্যে ইতর বিশেষ করা মুশকিল।
উড়ে এসে জুড়ে বসা(বিনা অধিকারে এসে সর্বেসর্বা হয়ে বসা): উনি উড়ে
এসে জুড়ে বসে মাতব্বরি করবেন,তা পুরোনোরা মানবেন কেন?
উত্তম-মধ্যম(প্রচন্ড মার): ছিনতাইকারীকে উত্তম–মধ্যম দিয়ে পুলিশের
হাতে তুলে দেওয়া হল।
উভয় সংকট(দু দিকেই বিপদ): বিজ্ঞান না বাণিজ্য,কোনটা পড়ব এ নিয়ে উভয়
সংকটে পড়েছি।
উলুবনে মুক্তো ছড়ানো(অপাত্রে মুল্যবান কিছু প্রদান):ওকে জ্ঞান দেওয়া আর
উলোবনে মুক্তো ছড়ানো এখই কথা।
এঁটে উঠা(সমানে পাল্লা দিতে পারা): তোমার সঙ্গে এঁটে উঠা কঠিন।
এক কথার মানুষ(কথা রাথে এমন): আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন,আমি এক জকথার
মানুষ।
একচোখা(পক্ষপাতদুষ্ট): একচোখা লোকের কাছে কখনো সুবিচার আশা করা যায়
না।
এলাহি কান্ড(বিরাট আয়োজন): সওদাগর সাহেবের মেয়ের বিয়ে,এলাহি
কান্ড তো হবেই।
একাই একশ(যথেষ্ট সমথ): ঐ পুঁচকো ছোঁড়াকে মোকাবেলার জন্য আমি একাই
এক শ।
এসপার ওসপার(যে–কোনভাবে মীমাংশা): ঝামেলাটা আর
সহজ হয় না।এবার এসপার ওসপার করতেই হবে।
ওত পাতা(সুযোগের অপেক্ষা থাকা):বিড়ালটা মাছ চুরি করার জন্য ওত পেতে রয়েছে।
কড়ায় গন্ডায় (সূক্ষ্ম হিসেব অনুযায়ী): ও তাঁর পাওনা কড়ায় গন্ডায়
বুঝে নিতে এসেছিল।
কথার কথা(হালকা কথা): আমি কথার কথায় একটি মন্তব্য করেছি আর তাতেই
রাজু ক্ষেপে গেল।
কপাল ফেরা(সৌভাগ্য লাভ): ছেলেটা হঠৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা- চাচির
কপাল ফিরেছে।
কলুর বলদ(অন্যের জন্য একটানা খাটুনি): সংসারের হাল ধরতে ছোট মামা
কলুর বলদের মত ঘানি টানছেন।
কাঁচা পয়সা(অল্প আয়াসে নগদ উপার্জন): দুর্নীতি করে অনেকে কাঁচা পয়াসা
কামাই করছে।
কাঁঠালের আমসত্ব(অসম্ভব বস্তু): বাংলায় ১০০-তে
১০০ নম্বর পাওয়া কাঁঠালের আমসত্বের মতো।
কাছাঢিলা(অগোছালো স্বভাবের): যেমন কাছাঢিলা লোক
তুমি,ছাতা তুমি হারাবে না তো কে হারাবে।
কাঠখড় পোড়ানো(নানারকম চেষ্টা ও পরিশ্রম): কাজটা
হাসিলের জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হল।
কাঠের পুতুল(নির্জীব, অসার লোক): কোন কোন মন্ত্রী হয়ে যান কাঠে পুতুল,সব
কাজ চালান তাঁর সচিব।
কান খাড়া করা(মনোযোগী হওয়া): আদালতে কী রায় হয় তা শোনার জন্য আইনজীবিরা
কান খাড়া করে রইল।
কান পাতলা(বিশ্বাসপ্রবণ): বড় সাহেব এমন কান পাতলা যে তার অধীন কাজ
করাই মুশকিল।
কান ভারী করা(কারও বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃষ্টি): তুমি
নাকি আমার বিরূদ্ধে বড়কর্তার কান ভারী করেছ?
কুল কাঠের আগুন(তীব্র মন:কষ্ট): লাঞ্ছনা অপমানে তার মনের মধ্যে কুল
কাঠের আগুন জ্বলতে লাগল।
কূপমন্ডূক(সংকীর্ণমনা লোক): আমাদের সমাজে কূপমন্ডূক লোকের অভাব নেই।
কেউকেটা(নিন্দার্থে গণ্যমান্য লোক): আপনি যে এমন কেউকেটা যে আপনার
কথা শুনতেই হবে!
কেঁচে গন্ডূষ করা(পুনরায় প্রথম থেকে শুরূ করা): পুরো হিসাবটাই
ভুল হয়েছে।আবার কেঁচে গন্ডূষ করতে হবে।
কেঁচো খুঁড়তে সাপ(সামান্য ঘটনার সূত্রে গুরুতর ঘটনা প্রকাশ): জাল
টাকা তদন্ত করতে গিয়ে বিরাট জালিয়াতি চক্র ধরা পড়ল–এ যে কেঁচো খুঁড়তে সাপ!
কোমর বাঁধা(কাজে উঠে পড়ে লাগা):পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য তাহমিনা কোমর
বেঁধে পড়াশুনায় লেগেছে।
খন্ড প্রলয়(তুমুল কান্ড): মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে পাশের
বাসায় একটি খন্ড প্রলয় ঘটে গেছে।
খয়ের খাঁ(খোশামোদকারী,চাটুকার): ক্ষমতাসীনদের চারপাশে খঁয়ের খাঁ
লোকদের ভিড় জমে যায়।
খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সহায়তা):খুঁটির জোর আছে বলেই বারবার বদলি ঠেকায়।
গড্ডালিকা প্রবাহ(অন্ধের মতো অনুসরণ):বিত্তের মোহে সমাজের অনেক লোক গড্ডালিকা
প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়।
গন্ডারের চামড়া(অপমান বা তিরস্কার গায়ে লাগায় না এমন): ওর বোধ হয়
গন্ডারের চামড়া,তাই শত অপমানেও কোনো ভাবান্তর নেই।
গদাই লশকারি চাল(ঢিলিমি): এমন গদাই লশকরি চালে চললে কাজটা এ মাসে
ও শেষ হবে না।
গলগ্রহ(দায় বা বোঝা): অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে না থেকে নিজের পায়ে
দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।
গাছে তুলে মই কাড়া(কাজে নামিয়ে সরে পড়া): তোমার ভরসায় এত বড়
কাজে হাত দিয়েছি।এখন গাছে তুলে মই কেড়ে নিচ্ছ যে।
গায়ে পড়া(অযাচিত ঘনিষ্ঠতা): অমন গায়ে পড়া লোককে চেয়ারম্যান সাহেব
পাত্তা দিবেন বলে মনে হয় না।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো(কোন দায়িত্ব গ্রহণ না করা): ও নেবে দায়িত্ব?গায়ে
ফুঁ দিয়ে বেড়ানোই যে ওর স্বভাব।
গোঁয়ার গোবিন্দ(নির্বোধ ও একগুঁযে লোক): কাজটা বুঝে শুনে করবে।গোঁয়ার
গোবিন্দের মতো করলে চলবে না।
গোড়ায় গলদ (মূল কিংবা শুরুতে ভুল): বিয়ের আয়োজনে গোড়ায় গলদ ছিল বলে
এত বিশৃঙ্থলা।
গোবর গণেশ (বোকা,অকর্ণন্য লোক): ছেলেটার না আছে বুদ্ধি, না
পারে কোন কাজ ও একেবারে গোবর গণেশ।
গোল্লায় যাওয়া(উচ্ছন্নে যাওয়া): বাবা মায়ের আদরের ঠেলায়
ছেলেটা গোল্লায় গেছে।
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া(উদ্বেগ–উৎকন্ঠা খেকে স্বস্তি): ছেলেটা
ঘরে ফিরে আসায় সবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।
ঘাস কাটা(বাজে কাজে সময় নষ্ট করা): অণ্যেরা কাজ করবে আর তুমি বসে
বসে ঘাস কাটবে ?তা হবে না।
ঘোড়া রোগ(উৎকট বাতিক): ভাত জোটে না,বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করতে চায় গরিবের
ঘোড়ারোগ আর কি!
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া(ওপরওয়ালাকে এড়িয়ে কাজ হাসিল): সরকারি
অফিসে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া কঠিন।
গোড়ার ডিম (অস্তিত্বহহীন বস্তু): ও তোকে বইটা দেবে?ঘোড়ার ডিম
দেবে।
চাঁদের হাট(সুখের সংসার): অবসর জীবনে শরীফ সাহেব কৃতি সন্তানদের
নিযে চাঁদের হাট বসিয়েছেন।
চোখে চোখে রাখা(সতর্ক নজরদারি): অজানা–অচেনা কেউ এলে তাকে চোখে চোখে
রাখা দরকার।
চোখে ধুলো দেওয়া(ফাঁকি দেওয়া): পুলিশের চোথে ধুলো দিয়ে অপরাধী
গা ঢাকা দিয়েছে।
চোখের বালি(চক্ষুশূল,ক্রোধ বা বিরক্তির কারণ): মা–মরা
ছেলেটা কত শান্ত,তবু সে তার সৎ-মায়ের চোখের বালি।
ছিনিমিনি খেলা(বেহিসাবি খরচ): উন্নয়ন প্রকল্পের
টাকা নিয়ে অনেক ছিনিমিনি থেলা হয়েছে।
ছেঁকে ধরা (ঘিরে ধরা): বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সবাই
কারখানার মালিককে ছেঁকে ধরেছে।
ছেলের হাতের মোয়া (সহজপ্রাপ্য জিনিস): ভালো ফলাফল ছেলের
হাতের মোয়া নয়,এর জন্য যথেষ্ট পড়াশুনা দরকার।
জগাখিছুড়ি(অবাঞ্ছিত জটিলতা): তোমার জগাখিছুড়ি
কাজ দেখলে আমার মাথা গরম হয়ে উঠে।
জিলিপির প্যাঁচ (কুটিল বুদ্ধি): ওর মনে যে এত জিলিপির প্যাঁচ তা
বুঝব কি করে।
ঝোপ বুঝে কোপ মারা(সুযোগ বুঝে কাজ করা): ঝোপ বুঝে কোপ
মারতে না পারলে ব্যাবসায়ে টেকা মুশকিল।
টনক নড়া(চৈতন্য হওয়া): ব্যবসায় লাঠে উঠতেই তার টনক নড়ল
।
ঠাঁট বজায় রাথা(অভাব লুকানো): জমিদরি নেই,কিন্তু চৌধুরী
বংশ এখন ও জমিদারি ঠাঁট বজায় আছে।
ঠোঁট কাটা(স্পষ্টবাদী): ঠোঁট কাটা লোক অনেকেরই অপছন্দ।
ডুমুরের ফুল(অদৃশ্য ব্যক্তি বা বস্তু): কী ব্যাপার ! তুমি হঠাৎ ডুমুরের
ফুল হয়ে উঠলে যে?
ঢিমে তেতালা(খুবই মন্থর গতি): এমন ঢিমে তেতালাভাবে
পড়াশুনা করলে সিলেবাস শেষ হবে না।
তালকানা (তালজ্ঞান বর্জিত): উনি তালকানা লোক।ওর কাছে পরিপাটি কাজ
আশা করছ কেন?
থ বনে যাওয়া(বিস্ময়ে হতবাক হওয়া): লোকটার কান্ড
দেখে সবাই থ বনে গেল।
তাসের ঘর (ভঙ্গুর ): ওদের বন্ধুত্ব তাসের
ঘরের মত ভেঙে গেছে।
তামার বিষ (অর্থের কুপ্রভাব): তামার বিষে ওরা
ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।
দা–কুমড়ো (নিদারুণ শত্রুতা): ভাইয়ে ভাইয়ে
এখন একেবারে দা-কুমড়ো সম্বন্ধ।
দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু): ধনীর দুলাল ছেলেটাকে দুধের মাছিরা ঘিরে
রেখেছে।
দুমুখো সাপ(দু রকম আচরণকারী,ক্ষতিকর লোক): লোকটা আস্ত দুমুখো
সাপ,তোমাকে বলেছে একরকম আমাকে অন্যরকম।
ধরাকে সরা জ্ঞান করা(অতিরিক্ত দম্ভে কিছুই গ্রাহ্য না করা): পরীক্ষায়
প্রথম হয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করল।
ননির পুতুল (অল্প শ্রমে কাতর): ফারিহা তো ননির পুতুল,এত
পরিশ্রমের কাজ ওকে দিতে হবে না।
নাক গলানো(অনধিকার চর্চা): যে-কোন ব্যাপারে
নাক গলানো কারো কারো স্বভাব।
নেই আাঁকড়া(নাছোড়বান্দা): কী যে নেই আাঁকড়া লোকের
পাল্লায় পড়েছি!রেহাই মিলছে না।
পটল তোলা(মারা যাওয়া): চাঁদাবাজরা পটল তুলছে শুনে এলাকার লোকজন
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
পথে বসা(সর্বস্বান্ত হওয়া): বন্যায় সব হারিয়ে অনেকে
এবার পথে বসেছে।
পালের গোদা(দলের চাঁই,সর্দার): পুলিশ পালের গোঁদোকে
কোর্টে চালান দিয়েছে।
পুকুর চুরি(বড় রকম চুরি): রাস্তা মেরামত না করেই ঠিকাদার ৫০ লাখ
টাকা নিয়েছে, এ যে রীতিমতো পুকুর চুরি।
ফাঁক–ফোকর(দোষত্রুটি): আইনের ফাঁক-ফোকর গলে সন্ত্রাসীরা
জামিনে খালাস পেয়ে যাচ্ছে।
ফেঁপে উঠা(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া): চোরাচালানি করে কেউ কেউ রাতারাতি
ফেঁপে উঠেছে।
ফোঁড়ন কাটা(টিপ্পনী কাটা): কথার মাঝখানে ফোঁড়ন কাটা ওর স্বভাব।
ফোপড়দালালি(নাক গলানো আচরণ): সব ব্যাপারে ওর ফোপড়দালালি করার অভ্যাস।
বকধার্মিক(ভন্ড): সমাজে বকধার্মিক লোকের অভাব নেই।
বর্ণচোরা আম(কপট লোক): লোকটা একটা বর্ণচোরা আম ।বাইরে থেকে ওকে বোঝা
মুশকিল।
বাঁ হাতের ব্যাপার(ঘুষ দেওয়া-নেওয়া): এ অফিসে
বাঁ হাতের ব্যাপার ছাড়া ফাইল নড়ে না।
বাজিয়ে দেখা(পরখ করা): সে ঘটনাটা জানে কিনা একটু বাজিয়ে
দেখতে হবে।
বাপের বেটা(সাহসী): শাবাশ! বাপের বেটার মতই করছিস কাজটা।
বালির বাঁধ(ক্ষণস্হায়ী): বড়লোকের ছেলের সঙ্গে
বন্ধুত্ব আর বালির বাঁধ একই কথা।
বিড়াল–তপস্বী(ভন্ড সাধু): সমাজে মাঝে মাঝে বিড়াল তপস্বীদের
তৎপরতা বেড়ে যায়।
বিদ্যার জাহাজ(মূর্খ বা অশিক্ষিত লোক): যে নিজে বিদ্যার
জাহাজ সে অন্যকে কী শেখাবে?
বুকের পাটা(সাহস): মাস্তানটার বিরুদ্ধে তুই অভিযোগ করছিস!তোর
বুকের পাটা আছে বলতে হবে।
বুদ্ধির ঢ়েঁকি(নির্বোধ): এই কাজের জন্য চাই চালাক-চতুর লোক,বুদ্ধির
ঢেঁকি দিয়ে একাজ হবে না।
ভিজে বেড়াল(বাইরে নীরিহ ভেতরে ধূত): ভিজে বেড়ালদের অনেক সময়
চেনা যায় না।
ভরাডুবি(সর্বনাশ): আদমজি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটচাষিদের
এবার ভরাডুবি হয়েছে।
ভূতের বেগার(অযথা শ্রম দান): সরাক্ষণ ভুতের বেগার
খাটছি, লাভ কিছুই হবে না।
মামাবাড়ির আবদার(চাইলেই পাওয়া যায় এমন): গতকাল ১০০ টাকা
নিলে।আজ আবার ২০০ টাকা চাইছ।একি মামাবাড়ির আবদার নাকি?
মিছরির ছুরি(আপাতত মধুর হলেও শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক): তোমার কথাগুলো
ঠিক যেন মিছরির ছুরি।
যক্ষের ধন(কৃপণের কড়ি): পৈতৃক ভিটেটা সে যক্ষের ধনের মত আগলে
রেখেছে।
রুই–কাতলা(প্রভাবশালী): সমাজের রুই–কাতলাদের দাপটে
চুনোপুঁটিদের আবস্হা এখন কাহিল।
লেফাফা দুরস্ত(বাইরের ঠাঁট ষোল আনা): ঘরে যে এমন টানাটানি,তা
ওর লেফাফা ভাব দেখে কে বুঝবে?
রাশভারি(গম্ভীর): আমাদের প্রধান শিক্ষক রাশভারি লোক।সবাই
ওকে ভয় পায়।
শাপে বর(অনিষ্টে ইস্ট লাভ): আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে
ঢুকেছেন । এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।
সেয়ানে সেয়ানে(দুই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে): দুজনের মধ্যে সেয়ানে
সেয়ানে লড়াই চলছে অনেকদিন।
সোনায় সোহাগা(সার্থক মিল): পরীক্ষায় পাস করতে না–করতেই এমন ভালো
চাকরি পাওয়া,এ যে সোনায সোহাগা!
হ-য-ব-র-ল(উল্টোপাল্টো): অনুষ্ঠানের হ-য-ব-র ল দেথে চলে এসেছি।
হাড়-হাভাতে(একেবারে নি:স্ব): হাড়-হাভাতে
ছেলেটাযে কীভাবে এই সংসারে এসে জুটল বলতে পারবে না।
হাতটান(ছেটখাট চুরির অভ্যাস): ছেলেটা কাজে-কর্মে
বেশ ওস্তাদ।তবে দোষের মধ্যে হাতটান আছে।
হাতের পাঁচ(শেষ সম্বল): হাতের পাঁচ হিসাবে হাজারখানেক
টাকা আছে।তোমাকে ধার দেব কেমন করে?
হলে পানি পাওয়া(কাজ হাসিলের উপায় না পাওয়া): সে বড় কাজে হাত দিয়েছে,কিন্তু
হালে পানি পাচ্ছে না।