রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

অব্যয়ীভাব সমাস


প্রশ্ন: অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে ? ভিন্নার্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ দাও ।

সমাসের পূর্বপদ হিসেবে যদি অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়, এবং সেই অব্যয়ের অর্থই প্রধান হয়, তবে সেই সমাসকে বলা হয় অব্যয়ীভাব সমাস। যেমন, ‘মরণ পর্যন্ত = আমরণ’। এখানে পূর্বপদ হিসেবে পর্যন্ত অর্থে ‘আ’ উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে। আর পরপদ ‘মরণ’। কিন্তু এখানে সমস্ত পদটিকে নতুন অর্থ দিয়েছে ‘আ’ উপসর্গটি। অর্থাৎ, এখানে ‘আ’ উপসর্গ বা অব্যয় বা পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে। তাই এটি অব্যয়ীভাব সমাস।

.

[উপসর্গ এক ধরনের অব্যয়সূচক শব্দাংশ। উপসর্গ বচন বা লিঙ্গ ভেদে পরিবর্তিত হয় না কিংবা বাক্যের অন্য কোন পদের পরিবর্তনেও এর কোন পরিবর্তন হয় না। এরকম আরেকটি অব্যয়সূচক শব্দাংশ হলো অনুসর্গ।]

এ সমাসের পূর্বপদের অব্যয়টির সাধারণত কোনো অর্থ থাকে না। তবে এ সব অব্যয় শব্দের পূর্বে বসে নতুন অর্থ দ্যোতনা (সৃষ্টি) করে। [প্র পরা প্রতি পরি সম উপ আ অনু উৎ নির,যথা,প্র,পর, ]

সামীপ্য (নিকট), বীপ্সা (পুন: পুন:), অনতিক্রম, অভাব, পর্যন্ত, যোগ্যতা, সাদৃশ্য, পশ্চাৎ, সাফল্য, অবধি প্রভৃতি নানাপ্রকার অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ দেয়া হল ।

(১) সামীপ্য: কুলের সমীপে =উপকূল; নগরীর সমীপে = উপনগরী; কাঠের সমীপে = উপকণ্ঠ; অক্ষির সমীপে = সমক্ষ; দুপুরের কাছাকাছি = দুপুর নাগাদ; সকালের কাছাকাছি = সকালনাগাদ।

(২) বীপ্সা (পুন: পুন: অর্থে)ঃ দিন দিন = প্রতিদিন; গৃহে গৃহে = প্রতিগৃহে; ক্ষণে ক্ষণে = অনুক্ষণ, প্রতিক্ষণ; মণে মণে = প্রতিমণ, মণপিছু; জনে জনে = জনপ্রতি, জনপিছু; জেলায় জেলায় = প্রতিজেলায়; বছর বছর = ফিবছর; রোজ রোজ= হররোজ; মাঠে মাঠে = মাঠকে-মাঠ, সনে সনে = ফি-সন. গাঁ-এ গাঁ-এ = গাঁকে-গাঁ।

(৩) অনতিক্রম ঃ বিধিকে অতিক্রম না করে = যথাবিধি ;উচিতকে অতিক্রম না করে = যথোচিত; এইরকম, যথাশক্তি, যথাসাধ্য, যথেচ্ছ, যথারীতি যথাযোগ্য, যথার্থ, সাধ্যমতো, যথাজ্ঞান, আয়মাফিক।

(৪) অভাবঃ বিঘ্নের অভাব = নির্বিঘ্ন; মানানের অভাব = বে-মানান; বন্দোবস্তের অভাব = বে-বন্দোবস্ত; ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ; ভাতের অভাব = হাভাত; মিলের অভাব = গরমিল; ঝঞ্ঝাটের অভাব = নির্ঝঞ্ঝাট; লুনের (লবনের) অভাব = আলুনি; টকের অভাব মিষ্টির অভাব = না-টক-না-মিষ্টি; ঘরের অভাব = হা-ঘর; হায়ার অভাব = বেহায়া; মক্ষিকার অভাব = নির্মক্ষিক।

(৫) সীমা ও ব্যাপ্তি (পর্যন্ত): জীবন পর্যন্ত = আজীবন; সমুদ্র পর্যন্ত = আসমুদ্র; বাল, বৃদ্ধ ও বণিতা পর্যন্ত = আবালবৃদ্ধবণিতা; মূল পর্যন্ত = আমূল; মরণ পর্যন্ত = আমরণ; পাদ (পা) থেকে মস্তক পর্যন্ত = আপাদমস্তক; আদি থেকে অস্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত; কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ; দিন ব্যাপিয়া = দিনভর; রাত ব্যাপিয়া = রাতভর; গলা পর্যন্ত = গলানাগাল। এইরকম-আশৈশব, আসমুদ্রহিমাচল।

(৬) যোগ্যতাঃ রুপের যোগ্য = অনুরুপ; কুলের যোগ্য = অনুকূল; গুণের যোগ্য = অনুগুণ।

(৭) পশ্চাৎ : গমনের পশ্চাৎ = অনুগমন; তাপের পশ্চাৎ = অনুতাপ; করণের পশ্চাৎ = অনুকরণ; ইন্দ্রের পশ্চাৎ = উপেন্দ্র; গৃহের পশ্চাৎ = অনুগৃহ।

(৮) সাদৃশ্য : দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ; কথার সদৃশ= উপকথা; ভাষার সদৃশ = উপভাষা; মুর্তির সদৃশ = প্রতিমুর্তি, বনের সদৃশ = উপবন; কিন্তু (হীন দেবতা = উপদেবতা); মন্ত্রীর সদৃশ = উপমন্ত্রী; রাষ্ট্রপতির সদৃশ = উপরাষ্ট্রপতি; দানের সদৃশ = অনুদান; ধ্বনির সদৃশ = প্রতিধ্বনি; লক্ষের সদৃশ = উপলক্ষ।

(৯) ক্ষুদ্রতাঃ উপ (ক্ষুদ্র) গ্রহ = উপগ্রহ; ক্ষুদ্র বিভাগ = উপবিভাগ, ক্ষুদ্র অঙ্গ = প্রত্যঙ্গ; ক্ষুদ্র শাখা = প্রশাখা; ক্ষুদ্র সাগর = উপসাগর; ক্ষুদ্র জাতি = উপজাতি; ক্ষুদ্র নদী = উপনদী।

(১০) সাকল্যঃ বাল বৃদ্ধ ও বণিতা সকলে = আবালবৃদ্ধবণিতা; পামর জনসাধারণ সকলে = আপামর জনসাধারণ।

(১১) বৈপরীত্য : কূলের বিপরীত = প্রতিকূল; দানের বিপরীত = প্রতিদান; শোধের বিপরীত = প্রতিশোধ; পক্ষের বিপরীত = প্রতিপক্ষ।

(১২) সম্মুখ : অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ।

(১৩) নিপাতনে সিদ্ধ : অক্ষির অগোচর = পরোক্ষ; আত্নাকে অধিকার করে = অধ্যাত্ম; মুখের অভিমুখে = সম্মুখ; দৈবকে অধিকার করে = অধিদৈব; দুঃ (দু:খকে) গত = দুর্গত; দক্ষিণকে প্রগত = প্রদক্ষিণ; বেলাকে অতিক্রান্ত = উদ্বেল; বাস্ত্ত থেকে উৎখাত = উদ্বাস্ত্ত; শৃঙ্খলাকে অতিক্রান্ত = উচ্ছৃঙ্খল; হীন দেবতা = অপদেবতা; ঝুড়িকে বাদ না দিয়ে = ঝুড়িসুদ্ধ; দস্ত্তর অনুযায়ী = দস্ত্তর মতো; প্রত্যাশার আধিক্য = হাপিত্যেশ; কাজ চালাবার মতো = কাজচালাগোছ।

অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ:↴

প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য
আকর্ণ = কর্ণ পর্যন্ত আমৃত্যু = মৃত্যু পর্যন্ত
আমরণ= মরণ পর্যন্ত উপগ্রহ = গ্রহের সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপকূল = কূলের সমীপে প্রতিজন = জনে জনে
প্রতিবার = বার বার প্রতিক্ষণ = ক্ষণে ক্ষণে
প্রতিকূল = কূলের বিপরীত প্রতিবাদ = বাদের বিপরীত
প্রতিকৃতি = কৃতির সদৃশ প্রতিধ্বনি = ধ্বনির সদৃশ
প্রতিচ্ছবি = ছবির সদৃশ যথারীতি = রীতি অতিক্রম না করে
প্রদত্তশব্দ=ব্যাসবাক্য প্রদত্তশব্দ=ব্যাসবাক্য
যথাশক্তি = শক্তিকে অতিক্রম না করে যথানিয়ম = নিয়মকে অতিক্রম না করে
আনত = ঈষৎ নত উপাধ্যক্ষ = অধ্যক্ষের সদৃশ্য
যথাসময়ে = নির্দিষ্ট সময়ে অধ্যাত্ম = আত্মাকে অধিকার করে
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্ভিক্ষ = ভিক্ষার অভাব
অনুসরণ = সরণের পশ্চাৎ আজানু = জানু পর্যন্ত
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত আজন্ম = জন্ম পর্যন্ত
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম উপভাষা = ভাষার সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপজাতি = জাতির সদৃশ/ ক্ষুদ্র উপসাগর = সাগরের সদৃশ/ ক্ষুদ্র
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত আজন্ম = জন্ম পর্যন্ত
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম উপভাষা = ভাষার সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপবৃত্তি = বৃত্তির সদৃশ উপপত্নী = পত্নীর সদৃশ
উপবন = বনের সদৃশ/ক্ষুদ্র উপশহর = শহরের সমীপে/
প্রতিদিন = দিন দিন প্রতিমন = মন মন
প্রতিমুহূর্ত = মুহূর্ত মুহূর্ত প্রতিদান = দানের বিপরীত
প্রত্যুত্তর = উত্তরের বিপরীত প্রতিচ্ছায়া = ছায়ার সদৃশ
প্রতিমূর্তি = মূর্তির সদৃশ প্রতিবিম্ব = বিম্বের সদৃশ
যথাবিধি = বিধি অতিক্রম না করে প্রতিবিম্ব = বিম্বের সদৃশ
যথাসাধ্য = সাধ্যকে অতিক্রম না করে যথার্থে = নির্দিষ্ট অর্থে
অতিদীর্ঘ = দীর্ঘ কে অতিক্রান্ অতিপ্রাকৃত = প্রাকৃতকে অতিক্রান্ত
অপবাদ = অপকৃষ্ট বাদ অপকীর্তি = অপকৃষ্ট কীর্তি
দুর্গন্ধ = মন্দ গন্ধ দুর্দিন = মন্দ দিন
দুর্বাক্য = মন্দ বাক্য দুরতিক্রম্য = দুঃখ-কষ্টে অতিক্রম্য
পরিজন =পরিগত/আপন জন বিতৃষ্ণা = বিগত তৃষ্ণা
বিমিশ্র = বিশেষ ভাবে মিশ্র হররোজ = রোজ রোজ
ঘোলাটে = ঈষৎ ঘোলা ফিকানীল = ঈষৎ নীল
হা-ঘর = ঘরের অভাব বেহায়া = হায়ার অভাব
নিরামিষ = আমিষের অভাব অতিমানব = মানবকে অতিক্রান্ত
অতীন্দ্রিয় = ইন্দ্রিয়কে অতিক্রান্ত অতিপ্রিয় = অত্যধিক প্রিয়
দুর্জন = মন্দ জন দুর্বুদ্ধি = মন্দ বুদ্ধি
দুর্নীতি = মন্দ নীতি বিনম্র = বিশেষভাবে নম্র
বিপথ = নিকৃষ্ট পথ ফি বছর = বছর বছর
গরমিল = মিলের অভাব লম্বাটে = ঈষৎ লম্বা
ফিকালাল = ঈষৎ লাল অনুতাপ = তাপের পশ্চাৎ
অনুতাপ = তাপের পশ্চাৎ হা-ভাত = ভাতের অভাব


note: যে শব্দে অব্যয় যুক্ত হয়ে সমাস নিষ্পন্ন হয় ,তাই অব্যয়ীভাব। অর্থাৎ সমস্ত পদে অব্যয় / উপসর্গ যুক্ত থাকলে তা অব্যয়ীভাব সমাস । সেজন্য অব্যয় ও উপসর্গ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে ।

<<. ক্লিক>>

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

চাষার দুক্ষু


প্রভাষক (বাংলা)
হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ
চাষার দুক্ষু
-রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

অনুরাধা ও পারুল প্রতিবেশী ও সহপাঠী। অনুরাধা সময় পেলেই স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস চ্যানেল দেখে। ঐ সব নাটকের নায়িকাদের স্টাইলে নিজেকে উপস্থাপনে অনুরাধা সদা তৎপর। অনুরাধার বাবা একজন পাট ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি সর্বস্বান্ত প্রায়। অন্যদিকে পারুল পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাই মিশিনে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করে। পড়াশোনা শেষ করে পারুল চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে উন্নত প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক লোন নিয়ে গ্রামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামের মানুষদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার আশ্রয় এখন পারুল ও তার কুটিরশিল্প।

(ক) কৃষক কন্যার নাম কী?
(খ) ‘একটি চাউল পরীক্ষা করিলেই হাঁড়িভরা ভাতের অবস্থা জানা যায়” - কথাটির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
(গ) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুরাধার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আলোচনা কর।
(ঘ) “স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোক্তার যৌথ সমন্বয়’ - উদ্দীপক ও তোমার পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা কর।

উত্তর - ক :
কৃষক কন্যার নাম জমিরন।

উত্তর - খ : সমগ্র ভারতবর্ষের কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা জানার জন্য তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা বর্তমানের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানাটাই যথেষ্ট - এই অর্থে লেখিকা এই উক্তি করেছেন।
তৎকালীন বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ ছিল বাংলাদেশ। সুপ্রাচীন কাল থেকেই এ অঞ্চলটি সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা ও নদীমেখলা। এ দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানা মানেই সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে জানা। বাংলাদেশের কৃষকের অবস্থা বড়ই করুণ। তাদের রুগ্ন অবস্থা সবাইকে ব্যথিত করে। রোদ-বৃষ্টিতে সকলের মুখের খাবার আর গায়ের বস্ত্র যোগালেও তাদের পরনে শতচ্ছিন্ন ময়লা কাপড়, উদরে নেই অন্ন। ভারতবর্ষের কৃষকদের সামগ্রিক অবস্থা জানার জন্য তাই বাংলাদেশের অবস্থা জানাটাই অনেক। এ প্রসঙ্গেই লেখিকা উক্ত উক্তিটি করেছেন।

উত্তর - গ : ‘চাষার দুক্ষু’ নামক প্রবন্ধে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন চাষার দুঃখের জন্য তাদের বিলাসিতাকে অনেকাংশে দায়ী করেছেন। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা ও তার কারণ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অতীতে ভারতবর্ষে কৃষকদের কোনো অভাব ছিল না- কেন না তখন ঘরে ঘরে এন্ডি কাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তারা নিজেরাই বানাত। কিন্তু সভ্যতার করাল গ্রাসে আমাদের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত অনুকরণপ্রিয় বিলাসিতা দেখা দেয়। তারা খেতে না পারলেও টাক মাথা তাজ দিয়ে ঢাকার দিবা স্বপ্ন বোনে। উদ্দীপকের পাট ব্যবসায়ীর কন্যা অনুরাধা। সে সারাক্ষণ আকাশ-সংস্কৃতির ধারক-বাহক। বাবার ব্যবসাতে লাল বাতি জ্বললেও তার স্টার জলসার নায়িকা রূপে হাজির হওয়া চাই, জি বাংলার নায়িকার মতো জীবনযাপনে উপস্থাপন হওয়া চাই। অন্ধ-অনুকরণপ্রিয় বিলাসী জীবন তাকে বাস্তবতার নির্মমতা থেকে স্বাপ্নিক এক পৃথিবীতে নিয়ে যায়। অনুরাধা আমাদের পঠিত ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের চাষার বউ বা মেয়ের প্রতিচ্ছবি যারা খেতে না পারলেও তাজ দিয়ে মাথার টাক ঢাকতে বদ্ধপরিকর।

উত্তর - ঘ : একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সকলের আগ্রহ অভিজ্ঞতা সদিচ্ছা আর কর্মস্পৃহা একান্ত জরুরি। চাষার দুক্ষু প্রবন্ধে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তৎকালীন কৃষকের দারিদ্র্যপূর্ণ জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন। শত বছর পূর্বে আমাদের কৃষক সমাজ ছিল আত্মনির্ভরশীল, স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের অন্ন বা বস্ত্রের অভাব ছিল না। নারীরা হেসে খেলে বস্ত্রের অভাব মেটাত, পুরুষেরা গান গেয়ে ধান উৎপাদন করতো, আর মসলিন বানাত। কিন্তু সভ্যতার অন্ধ অনুকরণে কৃষকের অবস্থা শোচনীয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাবন্ধিক দেশী শিল্প বিশেষত নারীসংশ্লিষ্ট শিল্পের পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গ্রামে গ্রামে পাঠশালা আর চরকার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার দরকার। উদ্দীপকে পারুল তার পরিবার ও প্রতিবেশী এলাকাবাসীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন দেশীয় শিল্পের মাধ্যমে। পারুল বাল্যকাল থেকেই পরিশ্রমী আর স্বাবলম্বী। সেই সাথে শিক্ষা আর উচ্চতর প্রশিক্ষণ তাকে করেছে আজকের অনন্যা। সে উপলব্ধি করেছে ব্যক্তি স্বাবলম্বীর মধ্য দিয়ে সমাজ স্বাবলম্বী হবে। প্রবন্ধে লেখিকা গ্রামীণ শিল্প তথা নারীভিত্তিক যে শিল্পের বর্ণনা দিয়েছেন পারুল এখানে লেখিকার মানসকন্যা। সে স্বার্থক এবং তার আলোয় চারপাশের অন্যদের আলোকিত করেছে। উদ্দীপক ও পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আমরা একথা নির্দ্বিধায় বলতেই পারি সাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোগের যৌথ সমন্বয়।

বাংলা অপরিচিতা গল্প


অ প রি চি তা

প্রভাষক (বাংলা)
হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ
অপরিচিতা
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা কলেজপড়ুয়া মাধবীলতা। হঠাৎ করেই চাকরিজীবী শরৎচন্দ্রের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়ে গেল। স্কুল শিক্ষক মাধবীলতার বাবা কথা দিয়েছিলেন বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণ দেবেন। নানা অসুবিধার ফলে বিয়ের সময় তিনি অর্ধেক টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। শাশুড়ির কুট কথায় দগ্ধ মাধবীলতা। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। ভবিষ্যৎ আর সমাজের কথা চিন্তা করে মাধবীলতাকে তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই জানা যায় মাধবীলতা মারা গেছে।

(ক) “অনুপম, যাও, তুমি সভায় গিয়ে বসো গে’। - উক্তিটি কে বলেছেন।
(খ) “কোন কিছুর জন্যই আমাকে কোন ভাবনা ভাবিতেই হয় না” - কেন?
(গ) উদ্দীপকের মাধবীলতা ও তোমার পঠিত ‘অপরিচিতা’ গল্পের ‘কল্যাণী’ চরিত্রের মধ্যে বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর।
(ঘ) “উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিষয়বস্তুর বিপরীত চিত্র প্রকাশ করে”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা আলোচনা কর।

উত্তর (ক) ‘অনুপম, যাও, তুমি সভায় গিয়ে বস গে’ - উক্তিটি করেছেন অনুপমের মামা।
উত্তর (খ) মা এবং মামার ব্যবস্থাপনায় জীবনের সব ঘটনা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে অনুপমকে কোনো ভাবনা ভাবতে হয় না।
অল্প বয়সে বাবাকে হারায় অনুপম। এরপর মায়ের তত্ত্বাবধানে বড় হয়েছে সে। অনুপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটির মতো অতি আদর-যত্নে লালিত-পালিত হয় অনুপম। এরপর আছেন তার মামা। তিনি অতিশয় বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন লোক। তার অনুশাসনে অনুপমের জীবনের সব ঘটনা নিয়ন্ত্রিতভাবে সংঘটিত হয়। তাই অনুপমকে কোনো ভাবনাই ভাবতে হয়নি। অনুপম তার নিজের সম্পর্কে বা পরিবারের কোন বিষয় নিয়েও ভাবতে হয় না।

উত্তর (গ) উদ্দীপকের মাধবীলতা এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর মধ্যে বৈসাদৃশ্য অনেক।
অপরিচিতা গল্পের নায়িকা কল্যাণী স্বাধীনচেতা ও ব্যক্তিত্বময়ী এক চরিত্র। কাপুরুষ ও সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ অনুপমকে বিয়ে না করে আজীবন দেশমাতৃকার সেবা করার শপথ নেয়। অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীকে আমরা দেখতে পাই প্রতিবাদী রূপে। সে রেল কর্মচারীর সঙ্গে হিন্দিতে, আর ইংরেজ ভদ্রলোকের সাথে ইংরেজিতে তর্ক করে। ভুল ভাঙার পর অনুপম যখন কল্যাণীর কাছে ফিরে আসতে চায় তখন ব্যক্তিত্বময়ী কল্যাণী অনুপমের দিকে মনোযোগ না দিয়ে দেশের কল্যাণে মনোযোগ দেয়। উদ্দীপকের মাধবীলতা কল্যাণীর ঠিক বিপরীত। মাধবীলতার যখন অল্প বয়সে বিয়ে হয় তখন সে কোনো প্রতিবাদ করেনি। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ির অত্যাচার নীরবে সহ্য করেছে কোনো প্রতিবাদ করেনি। মাধবীলতা তার স্বামীর সঙ্গে ব্যাপারটি আলোচনা করতে পারত- তাও সে করেনি। কল্যাণীর মতো মাধবীলতা স্বাধীনচেতা চ্যক্তিত্বময়ী কোনোটিই নয়। মাধবীলতা সমাজ ও সংসারের সব অত্যাচার মুখ বুঝে মেনে নিয়ে অকালে ঝরে পড়ে।

উত্তর (ঘ) অপরিচিতা গল্পের মধ্যে আমরা দেখি সামাজিক বাধা-কুসংস্কার তুচ্ছ করে শম্ভূনাথ বাবু প্রতিবাদ করে। আর উদ্দীপকের মাধবীলতা ও তার বাবা সমাজের সব ভ্রুকুটি মেনে নেয়।
অপরিচিতা গল্পের কাহিনীকে আমরা দেখি বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন অনুপমের মামার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে কল্যাণীর বাবা বিয়ের আসর থেকে বরযাত্রীদের বিদায় করে দেয়। বাবার মতোই ব্যক্তিত্বময়ী কল্যাণী অনুপমের সাথে যথোপযুক্ত আচরণ করে। গল্পের শেষে অনুপম মায়ের আজ্ঞা আর মামার নির্দেশ অমান্য করে কল্যাণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও কল্যাণী অনুপমকে ফিরিয়ে দেয়।
উদ্দীপকের মাধবীলতা ও তার বাবা যেন সমাজের ক্রীড়নক। সামাজিক প্রথা, রীতি-নীতি উপেক্ষা করে নিজেদের মতো করে বাঁচার লড়াইয়ের উদ্যম বা সাহস কোনোটিই তাদের ছিল না। মাধবীলতার বাবা শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে যৌতুকের বলির হাত থেকে রক্ষার কোনো চেষ্টাই করেননি। অন্যদিকে মাধবীলতা যেন সব কিছু মেনে নেয়ার জন্যই জন্ম নিয়েছে এ ধরাধামে।
উদ্দীপক ও গল্পের কাহিনীর মধ্যে ব্যাপক বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। পঠিত গল্পের চরিত্রগুলো সমাজের প্রথাবিরোধী, কুসংস্কারবিরোধী। অন্যদিকে উদ্দীপকের চরিত্রগুলো সামাজিক প্রথা বা কুসংস্কারের বাইরে এসে যুক্তির আলোয় আপন মুক্তির স্বাদ নিতে অপারগ।

অপরিচিতা


বহুনির্বাচনী
১.‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’—এই বাক্যটি দ্বারা লেখক কিসের ইঙ্গিত করেছেন?
    ক. অনুপমের ব্যক্তিত্ব
    খ. অনুপমের আদর্শ
    গ. অনুপমের মমত্ববোধ
    ঘ. অনুপমের নির্ভরতা
    উত্তর ক.অনুপমের ব্যক্তিত্ব
২.‘লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট’ দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
    ক. শম্ভুনাথ বাবুর ঐতিহ্য
    খ. শম্ভুনাথ বাবুর ঐশ্বর্য
    গ. শম্ভুনাথ বাবুর চারিত্রিক গুণের বৈশিষ্ট্য
    ঘ. শম্ভুনাথ বাবুর দোষ
    উত্তর খ. শম্ভুনাথ বাবুর ঐশ্বর্য
৩. ‘অপরিচিতা’ গল্পে রসিক মনের মানুষ কে?
    ক. হরিশ খ. বিনুদাদা
    গ. ঘটক ঘ. কল্যাণী
    উত্তর: ক. হরিশ
৪.‘তবু ইহার বিশেষ মূল্য আছে’— এখানে কিসের মূল্যের কথা বলা হয়েছে? ?
    ক. কন্যার বয়স খ. যৌতুকের
    গ. জীবনের ঘ. কর্মের
    উত্তর: গ. জীবনের

বাংলা ১ম পত্র গদ্য


✿গদ্য - রেইনকোট

✿গুরুত্বপূর্ণ...

✿লেখক-পরিচিতি
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলা কথা সাহিত্যে এক অনন্যসাধারণ প্রতিভার নাম। ১৯৪৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি তিনি গাইবান্ধার গোয়াটিয়া গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতৃনিবাস বগুড়া শহরের উপকণ্ঠে আবস্থিত নারুলি গ্রামে। তাঁর পিতার নাম বি.এম. ইলিয়াস এবং মাতার নাম মরিয়ম ইলিয়াস। তাঁর পিতৃদত্ত নাম আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস। প্রথমে বগুড়ায় ও পরে ঢাকায় তাঁর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের অধ্যাপক।
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি লেখার সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর কখোনো জোর দেননি। বরং গুরত্ব দিয়েছেন গুণগত মানের উপর। জীবন ও জগৎকে তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন গভীর অন্তর্দৃষ্টি সহযোগে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, দারিদ্র, শোষণ, বঞ্চনা প্রভৃতি বিষয়কে করেছেন সাহিত্যের অর্ন্তভুক্ত। মানুষ জীবনকে সামগ্রিকভাবে অনুধাবন করতে চেয়েছেন এই সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতেই। মানুষের পরম সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক প্রান্তসমূহ উন্মোচনেও তাঁর রয়েছে গভীর দক্ষতা। তাঁর পাঁচটি ছোটগল্প গ্রন্থে সংকলিত আছে মাত্র ২৮টি গল্প। এছাড়া রয়েছে ২টি উপন্যাস ও ১টি প্রবন্ধসংকলন। তাঁর গল্পগ্রন্থগুলোর নাম: ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’, ‘খেয়ালি’ ‘দুধেভাতে উৎপাত’, ‘ দোজখের ওম’, ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’।
তাঁর উপন্যাস দুটি হলো ‘চিলেকোঠার সেপাই’ ও ‘খোয়াবনামা’।
১৯৯৭ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ঢাকায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

✿পাঠ-পরিচিতি
‘রেইনকোট’ গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। পরে এটি লেখকের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’ (১৯৯৭) গ্রন্থে সংকলিত হয়। এ গল্পের পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র ১ থেকে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে গল্পটি রচিত। মুক্তিযুদ্ধের তখন শেষ পর্যায়। ঢাকায় তখন মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ শুরু হয়েছে। তারই একটি ঘটনা এ গল্পের বিষয়; যেখানে ঢাকা কলেজের সামনে গেরিলা আক্রমণের ফলে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কলেজের শিক্ষকদের তলব করে এবং তাদের মধ্য থেকে নুরুল হুদা ও আবদুস সাত্তার মৃধাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করে। নুরুল হুদা এই গল্পের কথক। তার জবানিতে গল্পের ঘটনাবলি বিবৃত হয়েছে। বিবৃত হয়েছে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ঢাকা শহরের আতঙ্কগ্রস্ত জীবনের চিত্র। গেরিলা আক্রমণের ঘটনা ঘটে যে রাতে, তার পরদিন সকালে ছিল বৃষ্টি। তলব পেলে সেই বৃষ্টির মধ্যে নুরুল হুদাকে কলেজে যেতে যে রেইনকোটটি পরতে হয় সেটি ছিল তার শ্যালক মুক্তিযোদ্ধা মন্টুর। গল্পে এই রেইনকোটের প্রতীকী তাৎপর্য অসাধারণ। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে সঞ্চারিত হয় যে উষ্ণতা, সাহস ও দেশপ্রেম- তারই ব্যঞ্জনাময় প্রকাশ ঘটেছে এ গল্পে।

১. রেইনকোট গল্পের কথক কে? - নুরুল হুদা
২. রেইনকোট গল্পে উল্লিখিত জেনারেল স্টেটমেন্টটি হলো - "শনিতে সাত মঙ্গলে তিন, আর সব দিন দিন "
৩. ফুটফাট বন্ধ কয়দিন - অন্তত ৩ দিন
৪. বাদলায় কোনটির জিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে - বন্দুক বারুদ
৫. মিলিটারির ভয়ে গল্পের নুরুল হুদা কি মুখস্থ করেছে - সূরা
৬. রাস্তায় বেরুলে নুরুল হুদা ঠোঁটের ওপর কি রাখে - পাঁচ কালেমা
৭. মাঠ পেরিয়ে একটু বাঁ দিকে - প্রিন্সিপ্যালের বাড়ি
৮. প্রিন্সিপ্যালেরর কোয়ার্টারের সঙ্গে কোনটির অবস্থান - মিলিটারি ক্যাম্প
৯. কোনটিকে মিলিটারি ক্যাম্প করা হয়েছে - কলেজের জিমনেশিয়ামে
১০. রাস্তায় ঘড়ঘড় করছিলো - বেবি ট্যাকসি
১১. কে নাশতার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে - ইসহাক
১২. মিন্টু যেখানে গেছে তার খবর জানে কারা - নুরুল হুদা ও তার বউ
১৩. কে রোজ,টাইমলি কলেজে যায় - নুরুল হুদা
১৪. নুরুল হুদা রাস্তায় এসে দেখল কি নেই - রিক্সা
১৫. নুরুল হুদা কিসের পরোয়ানা করে না - রিক্সার
১৬. কোন বৃষ্টিতে বেশ শীত শীত ভাব - শেষ হেমন্তের বৃষ্টিতে
১৭. বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে নুরুল হুদাকে কোন দিকে তাকাতে হয় - উওরে
১৮. কীসের ল্যাজটা দেখা যাচ্ছে না - মিলিটারি লরির
১৯. কে ত্রকটু বাচাল টাইপের - দোকানদার ছেলেটা
২০. স্টেট বাসের রং কেমন ছিলো - লাল
২১. বাসে কত গুলো সিট খালি ছিলো - অর্ধকের বেশি
২২. নুরুল হুদার চাউনি কেমন ছিল - ভোঁতা কিন্তু গরম
২৩. নুরুল হুদা বাস থেকে নেমে নামল কোথায় - নিউ মার্কেট
২৪. আলমারি কিসের - লোহার
২৫. মোট আলমারি কতটি - ১০ টি
২৬. আলমারিগুলো আনা হয়েছে - ঠেলাগাড়ি দিয়ে
২৭. নুরুল হুদার ছেলের বয়স - ৫ বছর
২৮. নুরুল হুদার,মেয়ের বয়স - আড়াই (২.৫) বছর

২৯.চিলেকোঠার সেপাই ক্রমায়াত মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্য