✿লোক-লোকান্তর
✿লেখক-আল মাহমুদ
[সূত্র:নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স ০১৮]
আমার চেতনা যেন একটি সাদা সত্যিকার পাখি,
বসে আছে সবুজ অরণ্যে িএক চন্দনের ডালে,
মাথার উপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে
দোলে বন্য পানলতা, সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি
হয়ে আছে ঠোঁট তার । আর দুটি চোখের কোটরে
কাটা সুপারির রঙ, পা সবুজ ,নখ তীব্র লাল
যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল
চোখ যেন রাখতে নারি আত বন্য ঝোপের ওপরে ।
তাকাতে পারি না আমি রুপে তার যেন এত ভয়
যখনি উজ্জ্বল হয় আমার এ চেতনার মণি,
মনে হয় কেটে যাবে ,ছিঁড়ে যাবে সমস্ত বাঁধুনি
সংসার সমাজ ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে লোকালয়।
লোক থেকে লোকান্তরে আমি যেন স্তব্ধ হয়ে শুনি
আহত কবির গান ।কবিতার অাসন্ন বিজয়।
কবি পরিচিতি:-আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালে ১১ই জুলাই ব্রাহ্মনণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর প্রকৃত নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ।কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড হাই স্কুলের পড়াশুনা করেন ।মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখি শুরু । আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ্ আজীবন আত্নপ্রত্যয়ী কবি ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা করে একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।
পেশা ------- : কবি,সম্পাদক ,সাংবাদিক
জাতীয়তা -- :বাংলাদেশী
জাতি ------ :বাঙালি
নাগরিকত্ব : বাংলাদেশ সহ বৃট্রিশ.পাকিস্তান
কবি সময়কাল : বিংশ শতাব্দী
ধরণ : কবিতা ,গল্প, উপন্যাস
উল্লেখযোগ্য রচনা:,
লোক-লোকান্তর,
কালের কলস,
সোনালি কাবিন,
কাবিলের বোন
পুরস্কার :বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জয়বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কার, সুফী মোতাহের হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, সমান্তরাল (ভারত) ভানুসিংহ সম্মাননা পদক, লেখিকা সঙ্ঘ পুরস্কার, হরফ সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার ইত্যাদি।
দাম্পত্য সঙ্গী : সৈয়দা নাদিরা বেগম
মূলভাব-
‘লোক-লোকান্তর’ কবির আত্মপরিচিতিমূলক কবিতা। বাস্তব জগতের বিরুদ্ধে পরিবেশের চরে কবি আহত হয়েছেন। তাই তাঁর চেতনার শান্তিকামী পাখিটি লোকালয় থেকে দূরে প্রকৃতির নিবিড় জগতে উড়ে চলে যায়। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে কবিতাসৃষ্টির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে। তাছাড়া তাঁর চোখে, চেতনায়, সর্বাঙ্গে বাংলার গ্রাম ও স্বাধীনতার ভাব মিশে আছে। বাস্তবতার চরে আহত পাখিটি সেখানে গান-কবিতার সুনিশ্চিত বিজয় লক্ষ্য করে, লোক থেকে লোকান্তরে গান গেয়ে যেতে চায়। ওইপ্রকৃতির জগৎটি প্রকৃতপক্ষে কবির অনিষ্ট সাহিত্যের জগৎ।
পাঠ পরিচিতি---------
এই কবিতাটি আলমাহমুদের লোক লোকান্তর কাব্যের নাম-কবিতা ।এটি কবির আত্নপরিচয়মুলক কবিতা ।কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসত্তা সুন্দরেরও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান । প্রাণের মধ্যে,প্রকৃতির মধ্যে সুষ্টির মধ্যে তার বসবাস ।কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান,এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রনা কবিকে কাতর করে , আহত করে । তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সুষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।
সৃজনশীল প্রশ্ন:- ১.
আমার মন চৈত্রে পলাতক
পলাশে আর আমের ডালে ডালে
সবুজ মাঠে মাঝবয়সী লালে
দন্ড দুই মুক্তি-সুখে জিরায়:
মাটির কাছে সব মানুস খাতক।
একটি গানে গহন স্বক্ষরে।
জানো কি সেই গানের আমি চাতক?
ক.লোক-লোকান্তর কোন জাতীয় কবিতা?
খ.আমার চেতনা যেন একটি সাদা সত্যিকার পাখি -বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ.উদ্দীপক ও লোক-লোকান্তর কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উক্ত দিক কবিসত্তার প্রকাশ --বিচার কর ।
১ প্রশ্নের উত্তর :-
ক.➤লোক লোকান্তর একটি আত্নপরিচয়মূলক কবিতা ।
খ.➤প্রশ্নোক্ত চরণটির মধ্যে দিয়ে কবির কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনার স্বরুপ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতির মহা সমারোহে কবি তাঁর কাব্যচেতনাকে আবিস্কার করেছেন একটি সত্যিকার সাদা পাখির অবয়বে। সবুজ অরণ্যে চন্দন -সুগন্ধের স্নিগ্ধতা নিযে তার আর্বিভাব; যা মূলত কবির কাব্যবোধেরই স্মারক। সে কারণে চরণটির রুপকে কবি মূলত তাাঁর কাব্যসত্তার মধুরতম অংশটিকে প্রজ্জ্বল করেছেন।
উপবোক্ত চরণটির মধ্যে কবির কাব্য চেতনার স্বরুপ প্রকাশিত হয়েছে।
গ.➤ লোক লোকান্তর কবিতায় কবিতায় অস্ফুট প্রকৃতির অনিন্দ্য উদ্ভাসনের অংশটিই উদ্দীপকে প্রকট হয়েছে; সেদিক থেকে কবিতা দুটি সাদৃশ্যপূর্ণ লোক লোকান্তর কবিতায় কবি প্রকৃতির সন্নিধানে তারঁ কাব্যবোধকে তুলে ধরেছেন শব্দসৌকর্যের বহুমাত্রিকতায়। সেখানে কবিচেতনা কোনো জড়াশ্রিত অবয়বকে ঘিরে অঙ্কুরিত হয়নি বরং তা আত্নপ্রকাশ করেছে একটি পাখির অবয়বে যা প্রাণপ্রচুর্যেরও প্রতীক।অর্থাৎ কবি প্রকৃতি ও প্রাণকে আশ্রয় করেই নিজেকে মেলে ধরেছেন।যেখানেই তাঁর অবস্থান হোক না কেন , প্রকৃতিই শেষাবধি তাঁর কবিসত্তাকে বাঁচিয়ে তুলেছে। উদ্দীপকের কাব্যাংশে কবির মধ্যে আমরা প্রকৃতির প্রতি টান অনুভব করতে দেখি । তিনি অবচেতন মনেও প্রকৃতির চিরায়ত আহ্বানকে উপেক্ষা করতে পারেননি। কবি হৃদয় এখানে তাঁর পাশের সকল অবয়বকে ভেঙে প্রকৃতির মাঝে আশ্রয় খুঁজেছে। আমরা লোক লোকান্তরের কবির মধ্যেও অনুরুপ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছি।
ঘ➤উদ্দীপকে উক্ত দিকটি কবি সত্ত্বার প্রকাশ বলে আমি মনে করি।
কবি আল মাহমুদ লোক লোকান্তর কবিতায় তাঁর আত্নচেতনাকে সত্যিকারের সপ্রাণ একটি পাখির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। প্রাণের মধ্যে প্রকৃতির মধ্যে জীবনের সৃষ্টির মধ্যে তাঁর কাব্যচেতনার বসবাস। কবি এই পাখির অবয়বে তাঁর কাব্যচেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান।তাঁর এই নান্দনিকবোধই তাঁকে কাব্যচেতনায় উদ্ধুদ্ধ করেছে । উদ্দীপকের কবিতাংশেও আমরা লোক লোকান্তর কবিতার প্রতিচ্ছায়া লক্ষ করি। সেখানেও কবি আত্নসত্তাকে প্রকৃতির পরতে পরতে খুঁজে পেয়েছেন । তাই নিজেকে তিনি মুক্ত করতে চেয়েছেন চৈত্ররুপ খরতা থেকে :পেতে চেয়েছেন বসন্তের স্নিগ্ধতা। কবির এই শাশ্বত কাব্যবোধ তাঁর সৃষ্টির নান্দনিক সূত্রকেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় যে , সপ্রাণ পাখির অস্তিত্বে দুই কবিই নিজের কাব্যের তথা সৃষ্টির নান্দনিকতাবোধকে প্রকাশ করেছেন্ তাই চারপাশের আবদ্ধতা তাঁদের সৃষ্টিকর্মে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সেই অবয়বকে ভেঙে তাঁরা আত্নসৌন্দর্যে জারিত হয়ে নান্দনিক কাব্যভাষা র্নিমান করেছেন। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: কবিতার বিজয় উচ্চারিত হয়েছে কোন কবিতায়
উ: লোক লোকান্তর
প্রশ্ন:যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল -এখানে কোন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
উ: কবিতার ইন্দ্রজাল
প্রশ্ন: পানের বনের চঞ্চলতায় কে চঞ্চল হয়ে ওঠে ?
উঃ শঙ্খচিল
শব্দার্থ ও টীকা
আমরা চেতনা চন্দনের ডালে-কবি তাঁর কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনাকে সাদা এক সত্যিকার পাখির প্রতিমায় উপস্থাপন করেছেন। কবির এই চেতনা-পাখি বসে আছে সবুজ অরণ্যের কোনো এক চন্দনের ডালে। এই চন্দন সগন্ধি কাঠের গাছ। আর এর ফুল ঝাল-মিষ্টি লবঙ্গ। কবির কাব্যসত্তার মধুরতার সঙ্গে চন্দনের সম্পর্ক নিহিত।
মাথার ওপরে নিচে... হয়ে আছে ঠোঁট তার-চন্দনের ডালে বসে থাকা কবির চেতনা-পাখির ওপরে-নিচে বনচারী বাতাসের সঙ্গে দোল খায় পানলতা। প্রকৃতির এই রহস্যময়-সৌন্দর্যের মধ্যে সুগন্ধি পরাগে মাখামাখি হয়ে ওঠে কবির ঠোঁট, অস্তিত্বের স্বরূপ, কাব্যভাষা।
আরো দুটি চোখের কোটরে ... ঝোপের ওপরে -কবির অস্তিত্ব জুড়ে চিরায়ত গ্রামবাংলা-দৃষ্টিতে কাটা সুপারির রং। এ যেন চিরায়ত বাংলার রূপ। যতদূর চোখ যায়, কেবল চোখে পড়ে বাংলার অফুরন্ত রং। তার পা সবুজ, নখ তীব্র লাল-এ যেন মাটি আর আকাশে মেলে ধরা কবির নিসর্গ-উপলব্ধির অনিন্দ্যপ্রকাশ। আর সেই সমবেত সৌন্দর্যের তন্ত্রে-মন্ত্রে, রহস্যময়তায় ভরে উঠেছে কবির দৃষ্টি ।
তাকাতে পারি না আমি...কবিতার আসন্ন বিজয়-সৃষ্টির প্রেরণায় কবি চিরকালই উদ্বুদ্ধ হন, উজ্জ্বল হয় তাঁর চেতনার মণি। পৃথিবীর কোনো বিধিবিধান, কোনো নিয়মকানুন, কোনো ধর্ম, কোনো সমাজ-সংস্কার বা লোকালয়ের অধীন তিনি আর তখন থাকেন না। তখন সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। একমাত্র সত্য হয়ে ওঠে চেতনার জগৎ, শব্দসৌধ। তাঁর সেই সৃষ্টির কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বিচিত্র টানাপোড়েন ও জীবন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তাকে উত্তীর্ণ হতে হয় কবিতার সার্বভৌমত্বে এবং জয় হয় কবিতার ।
পাঠ-পরিচিতি
এ কবিতাটি আল মাহমুদের ‘লোক-লোকান্তর‘ কাব্যের নাম-কবিতা। এটি কবির আত্মপরিচয়মূলক কবিতা। কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসত্তা সুন্দরের ও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান। প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে সৃষ্টির মধ্যে তার বসবাস। কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান। এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রণা কবিকে কাতর করে, আহত করে। তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সৃষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী-এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।
বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন লোক-লোকান্তর
১। আল মাহমুদ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৯৩৩
খ. ১৯৩৬*
গ. ১৯৬৩
ঘ. ১৯৬৬
২ কবির চেতনা কিসের মতো?
ক. পাখির খ. নদীর
গ. পাহাড়ের ঘ. মাঠের
৩। কবির চেতনা পাখির পায়ের রঙ কী ধরণের?
ক. তীব্র লাল খ. সবুজ*
গ. মেটে ঘ. সুপারি রং
৪। কবি কোথায় চোখ রাখতে পারেন না?
ক. চন্দনের ডালে
খ. চেতনার মণিতে
গ. বন্য ঝোপের ওপর
ঘ. বন্য পানলতায়
৫। কবি লোকান্তরে স্তব্ধ হয়ে কী শুনতে চান?
ক. পাখির গান
খ. বিজয়ের গান
গ. আহত কবির গান
ঘ. চেতনার গান
৬। চন্দনের ফুল কী রকম?
ক. তিক্ত
খ. বিষাক্ত
গ. ঝাল-মিষ্টি
ঘ. মিষ্টি
৭। চন্দনের ডালে কোন পাখি বসে থাকে?
ক. কোকিল খ. টিয়া
গ. স্বপ্নের পাখি ঘ. চেতনার পাখি*
৮। অরণ্য কেমন?
ক. নীল খ. সবুজ*
গ. হলুদ ঘ. কালো
৯। কবি কিসের মালা গাঁথতে চান?
ক. বকুল ফুলের
খ. হিজল ফুলের
গ. পুঁথির
ঘ. চিত্রকল্পের*
১০। কিসের ভেতর দিয়ে কবিকে উত্তীর্ণ হতে হয়?
ক. যুদ্ধের
খ. দৈন্যের
গ. কষ্টের
ঘ. জীবন সংগ্রামের*
১১।কবির মাথার চেতনা পাখির ওপরে কী দোলে?
ক. ফল
খ. ডাল
গ. পানলতা**
ঘ. লতাপাতা
১২। কবির চেতনা পাখির নখ কী রঙের?
ক. সুপারি রং
খ. সবুজ রং
গ. খয়েরি রং
ঘ. লাল রং*
১৩। কবি প্রকৃতির দিকে তাকাতে ভয় করেন কেন?
ক. ঝোপের কারণে
খ. অন্ধকারের কারণে
গ. বিপদাশঙ্কার কারণে
ঘ. রূপের আতিশয্যের কারণে*
১৪। আহত কবির গান বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক. সাদা পাখিকে
খ. বনের ঘুঘুকে
গ. চেতনাপ্রাপ্ত কবিকে**
ঘ. আঘাত পাওয়া কবিকে
১৫। কবি সত্যিকার পাখির মতো চন্দনের ডালে বসতে চান কেন?
ক. শখের কারণে
খ. চেতনার কারণে*
গ. প্রকৃতিপ্রেমিক
ঘ. স্বপ্নপিপাসু
১৬। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় ‘পরাগ’ বলতে বোঝায়—
ক. ফুলের রেণু
খ. সুগন্ধি বস্তু
গ. কাব্যভাষা*
ঘ. ফুলের গন্ধ
১৭। আর দুটি চোখের কোটরে কাটা সুপারির রং ‘চোখের কোটরে’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. চোখের গর্তে
খ. চোখের মণিতে
গ. দৃষ্টিতে*
ঘ. চোখের ভেতরে
১৮। কবির অস্তিত্ব জুড়ে রয়েছে—
ক. চিরায়ত গ্রামবাংলা*
খ. সুপারির রং
গ. আধুনিক বাংলা
ঘ. বাংলার অফুরন্ত রং
১৯। ‘নিসর্গ’ বলতে বোঝায়—
ক. অরণ্য
খ. নির্জন
গ. প্রকৃতি*
ঘ. স্বর্গীয় স্থান
২০। কবির কাছে সব কিছু তুচ্ছ হয়ে যায়—
ক. অবহেলায়
খ. অহংকারে
গ. চেতনালাভে*
ঘ. পৃথিবীর বিধিবিধান