শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

বাংলা ২য় পত্র


১.➤উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ  ‍বুঝিয়ে দাও ।
২.➤উপসর্গ কাকে বলে ? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভুমিকা বা গুরুত্ব কী ?
অথবা➤  উপসর্গের বৈশিষ্ট্য  বা কাজ কী ? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভুমিকা বা গুরুত্ব কী ?


১.  যে সব অব্যয় নাম শব্দের পূর্বে  বসে অর্থের  সংকোচন সম্প্রসারণ করে এবং নতুন শব্দ গঠন করে  ঐ সকল অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে।
খ. শব্দ বা ধাতুর আদিতে যা  যোগ হয় তাকে উপসর্গ  বলে।

   যেমন:- মন একটি শব্দ। এর আগে ‘অপ’ যোগ হয়ে ‘অপমান’।যদি ‘পরি’ যোগ করা হয় তাহলে পরিমান’ হবে।
‘অভি’ অব্যয়টি যোগ হলে হবে  ‘অভিমান ’।
অব্যয় +ধাতু=নতুন শব্দ
অপ+মান =অপমান
পরি+মান =পরিমাণ
অভি+মান =অভিমান

২.যে সব অব্যয় নাম শব্দের পূর্বে  বসে অর্থের  সংকোচন সম্প্রসারণ করে এবং নতুন শব্দ গঠন করে েঐ সকল অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে। [উপসর্গ সবসময় ধাতুর বা শব্দমূলের পূর্বে বসে ]
 বাংলা ভাষাতে উপসর্গ তিন প্রকার
 ক. বাংলা উপসর্গ ২১টি  খ. সাংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ  ২০টি  গ. বিদেশি উপসর্গ

বাংলা ভাষাতে  খাঁটি বাংরা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি খাঁটি বাংলা শব্দের পূর্বে এগুলো যুক্ত হয।
যথা:   অ ,অঘা,অজ,অনা,আ ,আড়, আন ,আব ,ইতি, উন (উনা) কদ ,কু, নি,পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা ।
শব্দ গঠন:
  1. অ+কাজ=  অকাজ        [এখানে অ উপসর্গ  কাজ শব্দের পূর্বে বসে বিপরীত অকাজ শব্দটি গঠিত  হয়েছে]
  2. অঘা+চন্ডী= অঘাচন্ডী
  3. ভর+দুপুর= ভরদুপুর
  4. রাম+ছাগল= রামছাগল
  5. ভর+পেট=  ভরপেট
এখানে যেমন নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে তেমনি অর্থের ও পরির্বতন হয়েছে।উপসর্গ  যুক্ত হয়ে শব্দের সাধারণত পাঁচ ধরনের পরিবর্তন হয়।
ক,  নতুল অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে। যেমন:ছায়া থেকে প্রচ্ছাযা, (গাঢ় ছায়া)
খ.শব্দের অর্থ  পরিপূর্ণ হয়।                         পুষ্টি থেকে পরিপুষ্টি
গ. শব্দে র অর্থ সম্প্রসারিত হয়।                   তাপ থেকে প্রতাপ (পরাক্রম)
ঘ.শব্দের অর্থের সীমা সংকুচিত হয়।             রাজি থেকে নিমরাজি (পূণূ রাজি থেকে অর্ধ্বেক রাজি )
ঙ.শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে।                   কথা থেকে  উপকথা (কল্পিত গল্প )

    উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনের এক বিশেষ প্রক্রিয়া।যদিও উপসর্গের কোন নিজস্ব কোন অর্থ নেই কিন্তু অন্য অর্থবোধক শব্দের পূর্বে বসিয়া নতুন অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে, সর্বোপরি ভাষার সৌন্দর্য, মাধুর্য ,সাবলীলতা ও গতিশীলতা সৃষ্টিতে উপসর্গের গুরুত্ব অপরীসিম।

প্রশ্ন: উপসর্গ  কাকে বলে। উপসর্গের অর্থবাচকতা নাই ,কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে ।আলোচনা কর /উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

বাংলায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে ,যা স্বাধীন  ভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না ্। কিন্তু  এগুলো অন্য শব্দের আগে বসে। এই অব্যয়  গুলোর প্রভাবে নতুন অর্থবোধক শব্দের  সৃষ্টি হয় এবং শব্দের অর্থের পূর্ণতা দান করে অথবা অর্থের সম্প্রসারণ করে  ,সংকোচন করে  ভাষায় ব্যবহৃত  এসকল গুরুত্বপূর্ন অব্যয়কে উপসর্গবলে। উপসর্গ তিন প্রকার সংষ্কৃতি উপসর্গ, খাটি বাংলা উপসর্গ এবং বিদেশি উপসর্গ।

যেমন : প্র , আ , বি , ইত্যাদি উপসর্গগুলোর কোন অর্থবাচকতা নেই  অর্থাৎ নিজস্ব কোন অর্থনেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে যা অন্য শব্দের পুর্বে বসে অর্থপুর্ণ   হয়ে উঠে যেমন:- প্র+ হার ==প্রহার , আ+ হার =আহার , বি+হার  = বিহার

উপসর্গ  যুক্ত হয়ে শব্দের সাধারণত পাঁচ ধরনের পরিবর্তন হয়।
ক, নতুল অর্থবোধক শব্দের সৃষ্টি করে। যেমন:ছায়া থেকে প্রচ্ছাযা, (গাঢ় ছায়া)
খ.শব্দের অর্থ  পরিপূর্ণ হয়।                         পুষ্টি থেকে পরিপুষ্টি
গ. শব্দে র অর্থ সম্প্রসারিত হয়।                   তাপ থেকে প্রতাপ (পরাক্রম)
ঘ.শব্দের অর্থের সীমা সংকুচিত হয়।             রাজি থেকে নিমরাজি (পূণূ রাজি থেকে অর্ধ্বেক রাজি )
ঙ.শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে।                   কথা থেকে  উপকথা (কল্পিত গল্প )

পরিষেশে বলা যায  উপসর্গ গুলোর নিজস্ব কোন অর্থ না থাকলেও এই অব্যয়  সমুহ  শব্দের  আগে যোগ হয়ে নতুন নতুন অর্থের সৃষ্টি করে যা ভাষার গতিশীলতা , সৌন্দর্য, ও অর্থের পরিপূর্ণতা আনয়ন করে যা বাংলা  ভাষার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে  । সুতরাং  এ কথা বলা যায় উপসর্গের কো অর্থবাচকতা নাই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা   অাছে।



                                        শব্দগঠন


প্রশ্ন:বাংলা শব্দ গঠন প্রণালি সংক্ষেপে আলোচনা কর ?
➤ শব্দগঠন বলতে  কী বোঝ ? কী কী  উপা্য়ে বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা
➤শব্দগঠন কী ? বাংলা  ভাষায় শব্দগঠনের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ  লেখ।

উত্তর:--শব্দের  অর্থ বৈচিত্র্যর জন্য  নানাভাবে তার রুপান্তর সাধন  করা হয় ।  এভাবে বিভিন্ন অর্থে ব্যাবহার উপযোগী করে তোলার জন্যে শব্দ তৈরী করার প্রক্রিয়াকে এক কথায় শব্দগঠন বলে। শব্দগঠন  প্রধানত  উপসর্গ
,প্রত্যয়, সমাস--এই তিনটি উপায়ে  হয়ে থাকে।

ক. শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করে :যেমন হার শব্দের পূর্বে প্র উপসর্গ যোগ করলে পাওয়া যাায় নতুন অর্থবোধক শব্দ প্রহার (প্র+হার=প্রহার) । এরকম আহার ,অনাচার ,কুশাসন,অধিকার ইত্যাদি।

খ. শব্দের শেষে  প্রত্যয় যোগ করে ;ঢাকা শব্দের পরে আই প্রত্যয় যোগ হয়ে  নতুন শব্দ অর্থবোধক শব্দ ঢাকাই’ (ঢাক+আই=ঢাকাই) পাওয়া যাবে ।  এরকম  জলা (জল+আ) রোগা  ( রোগ+আ)

গ. সমাসের সাহায্যে একাধিক শব্দকে এক শব্দে পরিণত করে :যেমন-- চৌ রাস্তার সমাহার =চৌরাস্তা,
চাঁদের মতো মুখ=  চাঁদমুখ  ইত্যাদি।

ঘ.সন্ধির সাহায্যে শব্দগঠন: ক) বচ্=তব্য =বক্তব্য

ঙ. দ্বিরুক্তির সাহায্যে শব্দগঠন:
বাংলা ভাষায় একব িশব্দ বা পদ দুইবার ব্যবহৃত হয়ে অন্য একটি অর্থ  প্রকাশ করে । তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ  বলে যেমন অমার জ্বর জ্বর লাগছে। এখানে ‘জ্বর জ্বর’ দ্বিরুক্ত শব্দটি ঠিক ‘জ্বর’ অর্থ  প্রকাশ করছেনা  জ্বরের ভাব প্রকাশ করছে।
‘ভেজা ভেজা’ ‘ঘন ঘন’ ‘কাপড় চোপর’ ‘ঘরে ঘরে’



প্রশ্ন:➤বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের প্রয়োজন আলোচনা কর।
অথবা
প্রশ্নঃ ➤ধাতু থেকে শব্দ এবং শব্দ থেকে নতুন শব্দ কীভাবে গঠিত হয়। প্রত্যেকটির দুটি করে  উদাহরণ দাও।

উত্তর ঃ-










চলমান➥






বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

সৃজনশীল বোর্ড প্রশ্ন নমুনা

সৃজনশীল প্রশ্ন 
বাংলা ১ম পত্র

সময় ২ ঘন্টা ২০ মিনিট                                                                          মান ৭০  বিষয় কোড ১০১
ক-বিভাগ (গদ্য )
১ শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞনচর্চা ও মানুষত্বের  বিকাশ সাধন। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার লক্ষ্য পৌছানোর জন্য শিক্ষার্থীদের  লেখাপড়ার আগ্রহ কম আত্ননির্ভরশীল  হওয়ার জন্য তারা নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলে না । তাই আত্ন প্রতিষ্ঠা্র জন্য তদের খুটির জোরের আশ্রয় নিতে হয় । ফলে জ্ঞানার্জনের আনন্দ থেকে তারা দুরে সরে পড়ে ।এভাবে তারা নিজেদের উাপর আস্থা হারিয়ে ফেলে । পরিণতিতে  তাদের মধ্যে জন্ম নেয় হতাশা ও পরনির্ভরশীলতা ্

ক. ‘আমার পথ’  প্রবন্ধে ‘আমার পথ’ আমাকে কী দেখাবে ?                                                          ১
খ.অনুপমের সম্মার্জনা বলতে অামার পথ’ প্রবন্ধে কী বোঝানে হয়েছে ?                                           ২
গ.উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’প্রবন্ধের মিলসমূহ চিহ্নিত কর ।                                                   ৩
ঘ.নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে  তৈরী হয় পরনির্ভশীলতা --উদ্দীপক ও আমার পথ  প্রবন্ধ অবলম্বনে  মন্তব্যটি বিচার কর ।                                                                                                ৪

২.সমাজ পতিদের চাপে পড়ে ্শেষ পর্যন্ত সৌদামিনী  প্রকাশ করতে বাধ্য হয়  যে , তার পালিতপুত্র হরিদাস  নমশূদ্র নয় ।আর একথা জেনেই সে নিরুদিষ্ট হয়।সৌদামিনীর মাতৃত্বের অবসান হয় । ফলে অচিরেই তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে ্ সমাজের চাপে সৌদামিনীর মাতৃহৃদয়ের  বলি ঘটে ,তবে তাঁর হৃদয়ের হাহাকার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকো । তার দীর্ঘশ্বাসে উচ্চকিত হয় --মাতৃহৃদয়ের কাছে ধর্ম ,অর্থ সকলই তুচ্ছ । এভাবেই জয হয মানবিক সম্পর্কের ।
ক.আহ্বান গল্পে  লেখক বুড়িকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন ?                                                               ১
খ.“ওরা স্নেহাতুর  আত্না বহুদুর থেকে আমায় আহ্বান করে এনে “--ব্যাখ্যা কর ।                                   ২
গ.উদ্দীপকের সৌদামিনী মালো আহ্বান’গল্পের  কার সঙ্গে তুলনীয় ? আলোচনা কর ।                             ৩
ঘ. “উদ্দীপক ও আহ্বান গল্পে অপত্য স্নেহের নিকট সাম্প্রদায়িক চেতনা পরাজিত হয়েছে ।” --বিচার কর ।  ৪

৩. “তবুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দুর
ফল আস্বদনে ফায় আনন্দ প্রচুর ।
বিদায়ের কালে হাতে ভার ভেঙে লয়,
তবু তবু অকাতর , কিছু নাহি কয় ।
দুর্লভ মানব জন্ম পেয়েছো যখন
তবুর আদর্শ কর জীবনে গ্রহণ
পরার্থে আপন সুখ দিয়ে বিসর্জন
তুমিও হওগো ধন্য তবুর মতন ।”

ক.সাধনার ব্যাপারে বড় জিনিস কী ?                                                                                            ১
খ.‘অনবরত ধেয়ে চলা মানুষের সাধনা হওয়া উচিত নয়’ --বুঝিয়ে দাও ।                                          ২
গ.উদ্দীপকের সঙ্গে  ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধটি কিভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ?                                                    ৩
ঘ.‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে বিকাশ ও দানের কথা বর্ণিত  হলেও  উদ্দীপকে শুধুই  ত্যাগের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে ।--বিশ্লেষণ কর ।                                                                                                                            ৪
৪.
                                                                 খ- বিভাগ ((পদ্য )















মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮

বাংলা ২য় পত্র

পারিভাষিক শব্দঃ - ভাষা শব্দের পূর্বে ‘পরি’  উপসর্গযোগ হয়ে পরিভাষা শব্দটি গঠন হয়েছে । এর আক্ষরিক অর্থবিষেশ ভাষা । পারিভাষিক শব্দের অর্থ হলো কোন ভাষার মধ্যে বিশেষ অর্থে ব্যবহার যোগ্য শব্দ । বস্তুুত পরিভাষিক শব্দগুলো  জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুনিদিষ্টক্ষেত্রে সুনিদিষ্ট  অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
ফলে সব শব্দই পারিভাষিক শব্দ নয়, কিন্তু সব পারিভাষিক শব্দই সাধারন শব্দ ।
বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত পারিভাষা বা পারিভাষিক শব্দ-(এক নজরে ১৬ বছরের পারিভাষিক শব্দের উত্তর )

A--
abatement--উপশম
abbreviation--সংক্ষেপণ
abeyanc--স্থগিতকরণ
abolotion--বিলোপ
above par--অধিমূল্য
absolute--পরম
absorption--আত্নীয়করণ
abstain--বিরত হওয়া
accademy--শিক্ষায়তন
academic--শিক্ষায়তনিক/অধিবিদ্যা
academic year--শিক্ষাবর্ষ
accessories--সরঞ্জাম
accept--স্বীকার করা
accidental--আকস্মিক
account -general--মহা হিসাবরক্ষক
acknowledgement--প্রপ্তিস্বীকার
acting--ভারপ্রাপ্ত
acting editor--ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
acting appointment--সাময়িক নিয়োগ
adaptation--অভিযোজন
address of wellcome--সংর্বধনা ভাষণ
admiral--নৌ - সেনাপতি
adult educaton --বয়স্ক শিক্ষা
adult suffrage--প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার
adviser--উপদেষ্টা
advisory board--উপদেষ্টা পর্ষদ
aerodrome--বিমানঘাঁটি
affidavit--শপথনামা /হলপনামা
agenda--আলোচ্য সূচী
agronomist--কৃষিবিদ
air mail--বিমান-ডাক
allotment--বরাদ্দ
amusement--বিনোদন
amusement park --বিনোদন পার্ক
air maill--বিমান ডাক
amendment--সংশোধনী
amnesty--রাষ্ট্রীয় ক্ষমা
article--অনুচ্ছেদ
arrear--বকেয়া
assembly--পরিষদ
attestation--প্রত্যয়ন
auction--নিলাম
autobiography--আত্নজীবনী
autonomous--স্বায়ত্ত্ব শাসিত
B--
biblography--গ্রন্থপঞ্জি
black-out--নিস্প্রদীপ
blueprint--নীলনকশা
booklet--পুস্তিকা
bureau--সংস্থা
by-election--উপ-নির্বাচন
by-law--উপ-অাইন
bearer--বাহক
bidder--নিলাম ডাকিয়ে
banquet--ভোজসভা
bench--এজলাস
bacground--পটভূমি
boycott--বর্জন
bribery-ঘুষ
bureaucracy--আমলাতন্ত্র
broker--দালাল
C--
capitalist--পুঁজিবাদী
caption--পরিচিতি,পরিচয় নাম
catalogue--তালিকা,গ্রন্থতালিকা
cess--উপকর
code--সংকেত/বিধি
conduct--আচরণ
concession--রেয়াত/ছাড়/সুবিধা
Cbinet--মন্ত্রিপরিষদ
Caretaker--তত্বাবধায়ক
Ccaaual leave --নৈমিত্তক ছুটি
Census--আমশুমারী
chancellor--আচার্য
circular--বিজ্ঞপ্তি
co-ordination--সমন্বয়
code of conduct--আচরণবিধি
constitution--সংবিধান
consumer--ব্যবহারকারী
copyright--লেখস্বত্ব
cordon--বেষ্টনী
correspondent--সংবাদদাতা
counsel--পরামর্শ/অধিবক্তা/পরামর্শ
corruption--দুর্নীতি

D--

deed of gift--দানপত্র
deputation--প্রতিনিধিত্ব/প্রেষণ
dialect--উপভাষা
donor--দাতা
duel--দন্দ্বযুদ্ধ
dynamic--গতিশীল/গভীর
diagnosis--রোগনির্ণয়/নিদান
Dead-lock---অচলাবস্থা
demi-official--আধা সরকারী
demonstrator--প্রদর্শক
deputation--প্রেষণ
diplomat--কুটনীতিক
director general--মহাপরিচালক
document--দলিল




E---

edition--সংস্করণ
editor--সম্পাদক
encdyclopaedia--বিশ্বকোষ
equation--সমীকরণ
ex-officio--পদাধিকার বলে
expect--বিশেষজ্ঞ]
extension--সম্প্রসারণ
epitaph--এপিটাপ/সমাধিলিপি
epuality--সমতা
ethics--নীতিবিদ্যা
eye-wash--ধোঁকা
excuse--অজুহাত
F--
fiel--নথি
fine arts--চরুকলা
factual mistake--তথ্যগত ভ্রম
fair ledger--পাকা খতিয়ান
farce--প্রহসন
flat rate--সমাহার (fixed rate--বাঁধা হার )
follow-up--অনুসরণ করা
forecast--পূর্বাভাস
fundamental--মৌল/মৌলিক/মূল
fellowship--ফেলোবৃত্তি
field book--করচা বই
file keeper--নথিরক্ষক
fingerprint--আঙ্গুলের ছাপ/টিপসহি
firen-extinguisher--অগ্নিনির্বাপক
first information report--এজাহার
fiscal year--অর্থবৎসর

G--

gazetted--ঘোষিত
get-up--অঙ্গ সজ্জা
geology--ভূতত্ব
gist--সারমর্ম
green house--সবুজ বলয় /গ্রিন হাউস
goodwill--সুনাম
grant--অনুদান
green room--সাজ ঘর
gunny--চট

H---

hand bill--প্রচার পত্র
hearing--শুনানি
hood--বোরকা
heroin--হেরোইন
highway--মহাপথ
hygiene--স্বাস্থ্যবিদ্যা
home ministry--স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
honorary--অবৈতনিক
humanity--মানবতা
hypocrisy--কপটতা,ভন্ডামি
I--
idiom--বাগধারা
impeachment--অভিসংশন,মহাভিযোগ
initial--প্ররম্ভিক/অনুস্বাক্ষর
interim--অর্ন্তবতীকালীন
interview--সাক্ষাৎকার
interpreter--দোভাষী
invoice--চালান
investigation--অনুসন্ধান
irrigation--সেচ
key-word--মুল শব্দ

L--
leap year--অধিবর্ষ
lease--ইজারা
legend--কিংবদন্তি
lender--মহাজন/
lien--পূর্বস্বত্ব
light year--আলোক বর্ষ
M--
mass education--গণশিক্ষা
memorandum--স্মারকলিপি
mercury--পারদ
method--প্রণালি/পদ্ধতি
migration--প্রব্র্রজন
millennium--সহস্রাব্দ
mineral--খনিজ
misconduct--দুস্চরিত্র
museum--জাদুঘর
N--
nationality--জাতীয়তা
myth--পুরাণ
national assembly--জাতীয় পরিষদ
nationalisation--জাতীয়করণ
neutral--নিরপেক্ষ
note--মন্তব্য
notice board--বিজ্ঞপ্তি ফ লক
notification--প্রজ্ঞাপন
nursery--শিশুশালা ,তরুশালা
nutrition--পুষ্টি
O--
oath--শপথ
obedient--অনুগত
obligatory--দায়িত্বমূলক
occupation--বৃত্তি ,উপজীবিকা
octave--
office bearer--কর্মকর্তা
option--ইচ্ছা
optional--ঐচ্ছিক
organ--অঙ্গ ,যন্ত্র
P--
para--অনুচ্ছেদ
pay--বেতন,মাহিনা ,পরিশোধ করা
parliament--সংসদ
parole--প্যারোল/বচন/বন্দীর শর্তাধীন মুক্তি
passport--ছাড়পত্র
pass-word--সংকেত
pay-bill--বেতন পত্র
pay-order--পরিশোধ আদেশ
payee--প্রাপক
payslip--বেতনপত্রী/পে স্লীপ
penal code--দন্ড বিধি
phonetics--ধ্বণিবিজ্ঞান
pen friend--পত্র মিতা
plosive--স্পৃষ্ট
postmark--ডাকছাপ
pollution--দূষন
prepaid--আগাম প্রদত্ত
president--রাষ্ট্রপতি,সভাপতি
prescription--ব্যবস্থাপত্র
prime--প্রধান/মূখ্য
principal--অধক্ষ্য
principle--তত্ত্ব/সূত্র
public--সরকারি জন/জনসাধারণ
publicity--প্রচার
publication--প্রকাশনা
public fund--সরকারি তহবিল
public opinion--জনমত
public relations--জনসম্পর্ক
public service --জনসেবা
public works--গণপূর্ত
Q--
quarterly--ত্রৈমাসিক
quack--হাতুরে
query--জিজ্ঞাসা, প্রশ্ন
quarantine--সঙ্গরোধ
quack--সারি,সার
quota--যথাংশ,কোটা
R--
racism--জাতি-বিদ্বেষ
rank--পদমর্যাদা
ratio--অনুপাত
reality--বাস্তবতা
recommend--সুপারিশ করা
record room--মহাফেজ খানা
reform--সংস্কার ,সংস্কার করা
regiment--সৈন্যদল
registration--নিবন্ধন
referendum--গণভোট
refugee--উদ্বাস্তু/বাস্তুহারা
renew--নবায়ন
republic--প্রজাতন্ত্র
revenue--রাজস্ব
S---
routine--নিত্যক্রম
sabotage--অন্তর্ঘাত
salary--বেতন,মুজুরি
sanction--অনুমোদন/মঞ্জুরি
saving certificate--সঞ্চয়পত্র
scale--মাপনী
secondary--মাধ্যমিক
sestet--ষটক
settlment--নিষ্পত্তি
sir--মহোদ্বয়/জনাব/ স্যার
skull--করোটি
specialist--বিশেষজ্ঞ
sponsor--পোষক/পোষণ করা
stock-market--শেয়ার বাজার
subsidy--ভর্তুকি
surely--নিশ্চয়
surplus--উদ্বৃত্ত
T
tax--কর
telecommunication--টেলিযোগাযোগ
termination--অবসান
terminology--পরিভাষা
theory--তত্ত্ব
token--প্রতীক
tradition--ঐতিহ্য
trial--বিচার
tribunal--ন্যায়পীঠ/ট্রাইবুনাল
transparency--স্বচ্ছতা
treaty--সন্ধি

চলমান পাতা

















শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮

লোক-লোকান্তর --আল মাহমুদ

Girl in a jacket
✿লোক-লোকান্তর

✿লেখক-আল মাহমুদ

[সূত্র:নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স ০১৮]
আমার চেতনা যেন একটি সাদা ‍সত্যিকার পাখি,
বসে আছে সবুজ অরণ্যে িএক চন্দনের ডালে,
মাথার উপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে
দোলে বন্য পানলতা, সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি
হয়ে আছে ঠোঁট তার । আর দুটি চোখের কোটরে
কাটা সুপারির রঙ, পা সবুজ ,নখ তীব্র লাল
যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল
চোখ যেন রাখতে নারি আত বন্য ঝোপের ওপরে ।
তাকাতে পারি না আমি রুপে তার যেন এত ভয়
যখনি উজ্জ্বল হয় আমার এ চেতনার মণি,
মনে হয় কেটে যাবে ,ছিঁড়ে যাবে সমস্ত বাঁধুনি
সংসার সমাজ ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে লোকালয়।
লোক থেকে লোকান্তরে আমি যেন স্তব্ধ হয়ে শুনি
আহত কবির গান ।কবিতার অাসন্ন বিজয়।

কবি পরিচিতি:-আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালে ১১ই জুলাই ব্রাহ্মনণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর প্রকৃত নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ।কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড হাই স্কুলের পড়াশুনা করেন ।মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখি শুরু । আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ্ আজীবন আত্নপ্রত্যয়ী কবি ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা করে একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।

পেশা ------- : কবি,সম্পাদক ,সাংবাদিক
জাতীয়তা -- :বাংলাদেশী
জাতি ------ :বাঙালি
নাগরিকত্ব : বাংলাদেশ সহ বৃট্রিশ.পাকিস্তান
কবি সময়কাল : বিংশ শতাব্দী
ধরণ : কবিতা ,গল্প, উপন্যাস
উল্লেখযোগ্য রচনা:, লোক-লোকান্তর, কালের কলস, সোনালি কাবিন, কাবিলের বোন

পুরস্কার :বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জয়বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কার, সুফী মোতাহের হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, সমান্তরাল (ভারত) ভানুসিংহ সম্মাননা পদক, লেখিকা সঙ্ঘ পুরস্কার, হরফ সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার ইত্যাদি।

দাম্পত্য সঙ্গী : সৈয়দা নাদিরা বেগম

মূলভাব-

‘লোক-লোকান্তর’ কবির আত্মপরিচিতিমূলক কবিতা। বাস্তব জগতের বিরুদ্ধে পরিবেশের চরে কবি আহত হয়েছেন। তাই তাঁর চেতনার শান্তিকামী পাখিটি লোকালয় থেকে দূরে প্রকৃতির নিবিড় জগতে উড়ে চলে যায়। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে কবিতাসৃষ্টির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে। তাছাড়া তাঁর চোখে, চেতনায়, সর্বাঙ্গে বাংলার গ্রাম ও স্বাধীনতার ভাব মিশে আছে। বাস্তবতার চরে আহত পাখিটি সেখানে গান-কবিতার সুনিশ্চিত বিজয় লক্ষ্য করে, লোক থেকে লোকান্তরে গান গেয়ে যেতে চায়। ওইপ্রকৃতির জগৎটি প্রকৃতপক্ষে কবির অনিষ্ট সাহিত্যের জগৎ।

পাঠ পরিচিতি---------

এই কবিতাটি আলমাহমুদের লোক লোকান্তর কাব্যের নাম-কবিতা ।এটি কবির আত্নপরিচয়মুলক কবিতা ।কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসত্তা সুন্দরেরও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান । প্রাণের মধ্যে,প্রকৃতির মধ্যে সুষ্টির মধ্যে তার বসবাস ।কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান,এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রনা কবিকে কাতর করে , আহত করে । তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সুষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।

সৃজনশীল প্রশ্ন:- ১.
আমার মন চৈত্রে পলাতক
পলাশে আর আমের ডালে ডালে
সবুজ মাঠে মাঝবয়সী লালে
দন্ড দুই মুক্তি-সুখে জিরায়:
মাটির কাছে সব মানুস খাতক।

একটি গানে গহন স্বক্ষরে।
জানো কি সেই গানের আমি চাতক?

ক.লোক-লোকান্তর কোন জাতীয় কবিতা?
খ.আমার চেতনা যেন একটি সাদা সত্যিকার পাখি -বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ.উদ্দীপক ও লোক-লোকান্তর কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উক্ত দিক কবিসত্তার প্রকাশ --বিচার কর ।

১ প্রশ্নের উত্তর :-
ক.➤লোক লোকান্তর একটি আত্নপরিচয়মূলক কবিতা ।

খ.➤প্রশ্নোক্ত চরণটির মধ্যে দিয়ে কবির কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনার স্বরুপ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতির মহা সমারোহে কবি তাঁর কাব্যচেতনাকে আবিস্কার করেছেন একটি সত্যিকার সাদা পাখির অবয়বে। সবুজ অরণ্যে চন্দন -সুগন্ধের স্নিগ্ধতা নিযে তার আর্বিভাব; যা মূলত কবির কাব্যবোধেরই স্মারক। সে কারণে চরণটির রুপকে কবি মূলত তাাঁর কাব্যসত্তার মধুরতম অংশটিকে প্রজ্জ্বল করেছেন।

উপবোক্ত চরণটির মধ্যে কবির কাব্য চেতনার স্বরুপ প্রকাশিত হয়েছে।

গ.➤ লোক লোকান্তর কবিতায় কবিতায় অস্ফুট প্রকৃতির অনিন্দ্য উদ্ভাসনের অংশটিই উদ্দীপকে প্রকট হয়েছে; সেদিক থেকে কবিতা দুটি সাদৃশ্যপূর্ণ লোক লোকান্তর কবিতায় কবি প্রকৃতির সন্নিধানে তারঁ কাব্যবোধকে তুলে ধরেছেন শব্দসৌকর্যের বহুমাত্রিকতায়। সেখানে কবিচেতনা কোনো জড়াশ্রিত অবয়বকে ঘিরে অঙ্কুরিত হয়নি বরং তা আত্নপ্রকাশ করেছে একটি পাখির অবয়বে যা প্রাণপ্রচুর্যেরও প্রতীক।অর্থাৎ কবি প্রকৃতি ও প্রাণকে আশ্রয় করেই নিজেকে মেলে ধরেছেন।যেখানেই তাঁর অবস্থান হোক না কেন , প্রকৃতিই শেষাবধি তাঁর কবিসত্তাকে বাঁচিয়ে তুলেছে। উদ্দীপকের কাব্যাংশে কবির মধ্যে আমরা প্রকৃতির প্রতি টান অনুভব করতে দেখি । তিনি অবচেতন মনেও প্রকৃতির চিরায়ত আহ্বানকে উপেক্ষা করতে পারেননি। কবি হৃদয় এখানে তাঁর পাশের সকল অবয়বকে ভেঙে প্রকৃতির মাঝে আশ্রয় খুঁজেছে। আমরা লোক লোকান্তরের কবির মধ্যেও অনুরুপ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেছি।

ঘ➤উদ্দীপকে উক্ত দিকটি কবি সত্ত্বার প্রকাশ বলে আমি মনে করি।

কবি আল মাহমুদ লোক লোকান্তর কবিতায় তাঁর আত্নচেতনাকে সত্যিকারের সপ্রাণ একটি পাখির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। প্রাণের মধ্যে প্রকৃতির মধ্যে জীবনের সৃষ্টির মধ্যে তাঁর কাব্যচেতনার বসবাস। কবি এই পাখির অবয়বে তাঁর কাব্যচেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান।তাঁর এই নান্দনিকবোধই তাঁকে কাব্যচেতনায় উদ্ধুদ্ধ করেছে । উদ্দীপকের কবিতাংশেও আমরা লোক লোকান্তর কবিতার প্রতিচ্ছায়া লক্ষ করি। সেখানেও কবি আত্নসত্তাকে প্রকৃতির পরতে পরতে খুঁজে পেয়েছেন । তাই নিজেকে তিনি মুক্ত করতে চেয়েছেন চৈত্ররুপ খরতা থেকে :পেতে চেয়েছেন বসন্তের স্নিগ্ধতা। কবির এই শাশ্বত কাব্যবোধ তাঁর সৃষ্টির নান্দনিক সূত্রকেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় যে , সপ্রাণ পাখির অস্তিত্বে দুই কবিই নিজের কাব্যের তথা সৃষ্টির নান্দনিকতাবোধকে প্রকাশ করেছেন্ তাই চারপাশের আবদ্ধতা তাঁদের সৃষ্টিকর্মে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সেই অবয়বকে ভেঙে তাঁরা আত্নসৌন্দর্যে জারিত হয়ে নান্দনিক কাব্যভাষা র্নিমান করেছেন। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: কবিতার বিজয় উচ্চারিত হয়েছে কোন কবিতায়
উ: লোক লোকান্তর
প্রশ্ন:যেন তার তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল -এখানে কোন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
উ: কবিতার ইন্দ্রজাল
প্রশ্ন: পানের বনের চঞ্চলতায় কে চঞ্চল হয়ে ওঠে ?
উঃ শঙ্খচিল
শব্দার্থ ও টীকা
– আমরা চেতনা চন্দনের ডালে-কবি তাঁর কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনাকে সাদা এক সত্যিকার পাখির প্রতিমায় উপস্থাপন করেছেন। কবির এই চেতনা-পাখি বসে আছে সবুজ অরণ্যের কোনো এক চন্দনের ডালে। এই চন্দন সগন্ধি কাঠের গাছ। আর এর ফুল ঝাল-মিষ্টি লবঙ্গ। কবির কাব্যসত্তার মধুরতার সঙ্গে চন্দনের সম্পর্ক নিহিত। – মাথার ওপরে নিচে... হয়ে আছে ঠোঁট তার-চন্দনের ডালে বসে থাকা কবির চেতনা-পাখির ওপরে-নিচে বনচারী বাতাসের সঙ্গে দোল খায় পানলতা। প্রকৃতির এই রহস্যময়-সৌন্দর্যের মধ্যে সুগন্ধি পরাগে মাখামাখি হয়ে ওঠে কবির ঠোঁট, অস্তিত্বের স্বরূপ, কাব্যভাষা। – আরো দুটি চোখের কোটরে ... ঝোপের ওপরে -কবির অস্তিত্ব জুড়ে চিরায়ত গ্রামবাংলা-দৃষ্টিতে কাটা সুপারির রং। এ যেন চিরায়ত বাংলার রূপ। যতদূর চোখ যায়, কেবল চোখে পড়ে বাংলার অফুরন্ত রং। তার পা সবুজ, নখ তীব্র লাল-এ যেন মাটি আর আকাশে মেলে ধরা কবির নিসর্গ-উপলব্ধির অনিন্দ্যপ্রকাশ। আর সেই সমবেত সৌন্দর্যের তন্ত্রে-মন্ত্রে, রহস্যময়তায় ভরে উঠেছে কবির দৃষ্টি ।
– তাকাতে পারি না আমি...কবিতার আসন্ন বিজয়-সৃষ্টির প্রেরণায় কবি চিরকালই উদ্বুদ্ধ হন, উজ্জ্বল হয় তাঁর চেতনার মণি। পৃথিবীর কোনো বিধিবিধান, কোনো নিয়মকানুন, কোনো ধর্ম, কোনো সমাজ-সংস্কার বা লোকালয়ের অধীন তিনি আর তখন থাকেন না। তখন সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। একমাত্র সত্য হয়ে ওঠে চেতনার জগৎ, শব্দসৌধ। তাঁর সেই সৃষ্টির কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বিচিত্র টানাপোড়েন ও জীবন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তাকে উত্তীর্ণ হতে হয় কবিতার সার্বভৌমত্বে এবং জয় হয় কবিতার ।
পাঠ-পরিচিতি
এ কবিতাটি আল মাহমুদের ‘লোক-লোকান্তর‘ কাব্যের নাম-কবিতা। এটি কবির আত্মপরিচয়মূলক কবিতা। কবির চেতনা যেন সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব-পাখিতুল্য সেই কবিসত্তা সুন্দরের ও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে বিরাজমান। প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে সৃষ্টির মধ্যে তার বসবাস। কবি চিত্রকল্পের মালা গেঁথে তাঁর কাব্য চেতনাকে মূর্ত করে তুলতে চান। এ কবিতায় এক সুগভীর বিচ্ছিন্নতাবোধের যন্ত্রণা কবিকে কাতর করে, আহত করে। তবু কবি সৃষ্টির আনন্দকে উপভোগ করতে আগ্রহী। তাঁর সৃষ্টির বিজয় অবশ্যম্ভাবী-এই প্রত্যয় তাঁর বিচ্ছিন্নতাবোধের বেদনাকে প্রশমিত করে।

বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন লোক-লোকান্তর
১। আল মাহমুদ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৯৩৩ খ. ১৯৩৬*
গ. ১৯৬৩ ঘ. ১৯৬৬
২ কবির চেতনা কিসের মতো?
ক. পাখির খ. নদীর
গ. পাহাড়ের ঘ. মাঠের
৩। কবির চেতনা পাখির পায়ের রঙ কী ধরণের?
ক. তীব্র লাল খ. সবুজ*
গ. মেটে ঘ. সুপারি রং
৪। কবি কোথায় চোখ রাখতে পারেন না?
ক. চন্দনের ডালে খ. চেতনার মণিতে
গ. বন্য ঝোপের ওপর ঘ. বন্য পানলতায়
৫। কবি লোকান্তরে স্তব্ধ হয়ে কী শুনতে চান?
ক. পাখির গান খ. বিজয়ের গান
গ. আহত কবির গান ঘ. চেতনার গান
৬। চন্দনের ফুল কী রকম?
ক. তিক্ত খ. বিষাক্ত
গ. ঝাল-মিষ্টি ঘ. মিষ্টি
৭। চন্দনের ডালে কোন পাখি বসে থাকে?
ক. কোকিল খ. টিয়া
গ. স্বপ্নের পাখি ঘ. চেতনার পাখি*
৮। অরণ্য কেমন?
ক. নীল খ. সবুজ*
গ. হলুদ ঘ. কালো
৯। কবি কিসের মালা গাঁথতে চান?
ক. বকুল ফুলের খ. হিজল ফুলের
গ. পুঁথির ঘ. চিত্রকল্পের*
১০। কিসের ভেতর দিয়ে কবিকে উত্তীর্ণ হতে হয়?
ক. যুদ্ধের
খ. দৈন্যের
গ. কষ্টের
ঘ. জীবন সংগ্রামের*
১১।কবির মাথার চেতনা পাখির ওপরে কী দোলে?
ক. ফল
খ. ডাল
গ. পানলতা**
ঘ. লতাপাতা
১২। কবির চেতনা পাখির নখ কী রঙের?
ক. সুপারি রং
খ. সবুজ রং
গ. খয়েরি রং
ঘ. লাল রং*
১৩। কবি প্রকৃতির দিকে তাকাতে ভয় করেন কেন?
ক. ঝোপের কারণে
খ. অন্ধকারের কারণে
গ. বিপদাশঙ্কার কারণে
ঘ. রূপের আতিশয্যের কারণে*
১৪। আহত কবির গান বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক. সাদা পাখিকে
খ. বনের ঘুঘুকে
গ. চেতনাপ্রাপ্ত কবিকে**
ঘ. আঘাত পাওয়া কবিকে
১৫। কবি সত্যিকার পাখির মতো চন্দনের ডালে বসতে চান কেন?
ক. শখের কারণে
খ. চেতনার কারণে*
গ. প্রকৃতিপ্রেমিক
ঘ. স্বপ্নপিপাসু
১৬। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় ‘পরাগ’ বলতে বোঝায়—
ক. ফুলের রেণু
খ. সুগন্ধি বস্তু
গ. কাব্যভাষা*
ঘ. ফুলের গন্ধ
১৭। আর দুটি চোখের কোটরে কাটা সুপারির রং ‘চোখের কোটরে’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. চোখের গর্তে
খ. চোখের মণিতে
গ. দৃষ্টিতে*
ঘ. চোখের ভেতরে
১৮। কবির অস্তিত্ব জুড়ে রয়েছে—
ক. চিরায়ত গ্রামবাংলা*
খ. সুপারির রং
গ. আধুনিক বাংলা
ঘ. বাংলার অফুরন্ত রং
১৯। ‘নিসর্গ’ বলতে বোঝায়—
ক. অরণ্য
খ. নির্জন
গ. প্রকৃতি*
ঘ. স্বর্গীয় স্থান
২০। কবির কাছে সব কিছু তুচ্ছ হয়ে যায়—
ক. অবহেলায়
খ. অহংকারে
গ. চেতনালাভে*
ঘ. পৃথিবীর বিধিবিধান

ফক্স