বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

টিকাওশব্দার্থঃ

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
কবিতার টিকা ও শব্দার্থঃ--
[সূত্র; নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স্  ১.৩.২০১৮]✓

অরিন্দম    --শত্রুকে দমন করে যে
বিষাদে      --[টিকা ;-মনের দুঃখে মেঘনাদ অগ্নিপূজার সময়ে লক্ষন তাকে যুদ্ধে আহব্ন জানিয়ে যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করেছে]
রক্ষপুরে    --রাক্ষসদের পুরি
রক্ষ:শ্রেষ্ঠ   --রাক্ষসকূলের শ্রেষ্ঠ/রাক্ষস
তাত         --পিতৃব্য/ চাচা/পিতার ভাই 
নিকষা       --রাবণের মাতার নাম
কুম্ভকর্ণ       --রাবণের মধ্যম ভাই
বাসববিজয়ী  --দেবরাজ ইন্দ্র বা বাসবকে জয় করেছে মেঘনাদ
তস্করে         --চোরকে
শমন-ভবনে --যমালয়ে/ মৃত্যুপুরীতে
চন্ডালে       --নিন্মশ্রেণীর হিন্দু সম্প্রদায় /
গঞ্জি           --তিরস্কার করি
ভঞ্জিব        --মোচন করব
আহবে       --যুদ্ধ দ্বারা
মৃগেন্দ্র        --রাজ সিংহ
শৈবালদলের ধাম --শেওলাভরা বদ্ধ জলাশয়
অবিদিত        --অজানা
স্থপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর  ললাটে --চাঁদকে বিধাতা আকাশের কপালে স্থাপন করেছে
পঙ্কজ-কাননে  --পদ্মফুলের বাগান
পঙ্কিল-সলিলে  --কর্দমাক্ত পুকুরে
ক্ষুদ্রমতি নর   --ক্ষুদ্রমনা মানুষ
শূর               -- শক্তিমান
হে বিধাত:,নন্দন কাননে ভ্রমে দুরাচার দৈত্য --[হে বিধানকর্তা স্বগীয় উদ্যানে ্ এক দুরাচার দৈত্য ভ্রমন করছে]
বিভীষণ   --রাবণের  ছোট ভাই
বসুধা       --পৃথিবী
অম্বরে      --আকাশে
মন্দ্রে         --শব্দে
জীমূতেন্দ্র  --মেঘের ডাক
কোপি       --গর্জে ওঠে
রাক্ষসরাজানুজ--রাক্ষস রাজার অনুজ বা
জ্ঞাতিত্ব     --মানবসম্পর্ক
জরাঞ্জরি    --বির্সজন  দেয়া
লক্ষি,রাবণ-আত্নজ  --রাবণের পূত্রক লক্ষ্য করে

গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি; [নীচ প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে যার বসবাস ,তার মন তো নীচ হবেই ]
বাসববিজয়ী  -- দেবরাজ িইন্দ্র বা বাসবকে জয় করেছে মেঘনাদ✓
কিন্তু বৃথা গঞ্জি তোমা !হেন সহবাসে
হে পিতৃব্য ,বর্বরতা কেন না শিখিবে ? --[ কিন্তু অহেতুক তোমাকে তিরস্কার করছি । যাদের সঙ্গে তুমি বন্ধুত্ব  করে বসবাস করছ তাদের কাছে বর্ব রতা তুমি কেনই বা শিখবে না্ ?]



সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বাংলা পদ্য


ঐকতান
--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি।
দেশে দেশে কত-না নগর রাজধানী--
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত-না অজানা জীব, কত-না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে। বিশাল বিশ্বের আয়োজন;
মন মোর জুড়ে থাকে অতিক্ষুদ্র তারি এক কোণ।
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে--
যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী
কুড়াইয়া আনি।
জ্ঞানের দীনতা এই আপনার মনে
পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষালব্ধ ধনে -
আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি --
এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক,
রয়ে গেছে ফাঁক।
কল্পনায় অনুমানে ধরিত্রীর মহা একতান
কত-না নিস্তব্ধ ক্ষণে পূর্ণ করিয়াছে মোর প্রাণ।
দুর্গম তুষারগিরি অসীম নিঃশব্দ নীলিমায়
অশ্রুত যে গান গায়,
আমার অন্তরে বার বার
পাঠায়েছে নিমন্ত্রণ তার।
দক্ষিণ মেরুর ঊর্ধ্বে যে অজ্ঞাত তারা
মহাজনশূন্যতায় দীর্ঘ রাত্রি করিতেছে সারা,
সে আমার অর্ধরাত্রে অনিমেষ চোখে
অনিদ্রা করেছে স্পর্শ অপূর্ব আলোকে।
সুদূরের মহাপ্লাবী প্রচন্ড নির্ঝর
মনের গহনে মোর পঠায়েছে স্বর।
প্রকৃতির ঐকতান স্রোতে
নানা কবি ঢালে গান নানা দিক হতে -
তাদের সবার সাথে আছে মোর এইমাত্র যোগ
সঙ্গ পাই সবাকার, লাভ করি আনন্দের ভোগ;
গীতভারতীর আমি পাই তো প্রসাদ --
নিখিলের সংগীতের স্বাদ
সব চেয়ে দুর্গম যে মানুষ আপন অন্তরালে,
তার পূর্ণ পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে।
সে অন্তরময়,
অন্তর মিশালে তবে তার অন্তরের পরিচয়।
পাই নে সর্বত্র তার প্রবেশের দ্বার;
বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার।
চাষি ক্ষেতে চালাইছে হাল,
তাঁতি ব’সে তাঁত বোনে, জেলে ফেলে জাল--
বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি ’পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার।
অতি ক্ষুদ্র অংশে তার সম্মানের চিরনির্বাসনে
সমাজের উচ্চ মঞ্চে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে।
মাঝে মাঝে গেছি আমি ও পাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে;
ভিতরে প্রবেশ করি সে শক্তি ছিল না একেবারে।
জীবনে জীবন যোগ করা
না হলে, কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা।
তাই আমি মেনে নিই সে নিন্দার কথা --
আমার সুরের অপূর্ণতা।
আমার কবিতা, জানি আমি,
গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী -
কৃষাণের জীবনের শরিক যে জন,
কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা করেছে অর্জন,
যে আছে মাটির কাছাকাছি,
সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি।
সাহিত্যের আনন্দের ভোজে
নিজে যা পারি না দিতে, নিত্য আমি থাকি তারি খোঁজে।
সেটা সত্য হোক;
শুধু ভঙ্গি দিয়ে যেন না ভোলায় চোখ।
সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি
ভালো নয়, ভালো নয় নকল সে শৌখিন মজ্‌দুরি।
এসো কবি, অখ্যাতজনের
নির্বাক্‌ মনের।
মর্মের বেদনা যত করিও উদ্ধার;
প্রাণহীন এ দেশেতে গানহীন যেথা চারি ধার
অবজ্ঞার তাপে শুষ্ক নিরানন্দ সেই মরুভূমি
রসে পূর্ণ করি দাও তুমি।
অন্তরে যে উৎস তার আছে আপনারই
তাই তুমি দাও তো উদ্‌বারি।
সাহিত্যের ঐকতানসংগীতসভায়
একতারা যাহাদের তারাও সম্মান যেন পায়--
মূক যারা দুঃখে সুখে,
নতশির স্তব্ধ যারা বিশ্বের সম্মুখে,
ওগো গুণী,
কাছে থেকে দূরে যারা তাহাদের বাণী যেন শুনি।
তুমি থাকো তাহাদের জ্ঞাতি,
তোমার খ্যাতিতে তারা পায় যেন আপনারই খ্যাতি--
আমি বারংবার
তোমারে করিব নমস্কার -


বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

এইচ এস ‍ সি মানবন্টন




                       بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

এইচ,এস ,সি  সমমান পরীক্ষা নম্বর বিভাজন (২০১৭ থেকে  র্কাযকর)
                                               বাংলা ১ম পত্র পূর্ণমান--১০০                                                      সময় ৩ ঘন্টা

১. সুজনশীল প্রশ্নের জন্য ৭০ এবং বহুর্নি বাচনী প্রশ্নের জন্য ৩০ নম্বর বরাদ্ধ আছে
২.প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য  ১০ নম্বর এবং বহুর্নিবাচনী প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর ।

৩.সৃজনশীল প্রশ্ন:
   ১১টি প্রশ্ন থাকবে
গদ্য অংশ থেকে ৪টি, কবিতা অংশ থেকে ৩টি ,উপন্যাস থেকে ২টি,ও নাটক হতে ২টি প্রশ্ন থাকবে=১১টি

(গদ্য অংশ থেকে ২টি, কবিতা অংশ থেকে ২টি, উপন্যাস থেকে ১টি,ও নাটক হতে ১টি সহ মোট=৭টি উত্তর দিতে হবে)


৪.বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:

৩০টি প্রশ্ন থাকবে।
(গদ্যাংশ থেকে ১২টি কবিতাংশ থেকে ১২টি   উপন্যাসওনাটক হতে ৩টি করে প্রশ্ন থাকবে।)
সকল প্রশ্নের  উত্তর দিতে হবে ।

বাংলা ২য় পত্র পূর্ণমান--১০০                                        সময়  ৩ ঘন্টা                                                                                                                                   

ব্যকরণ ৩০
ক) বাংলা উচ্চারণ  নিয়ম                            ৫নম্বর
খ) বাংলা বানানের নিয়ম                             ৫নম্বর
গ) বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি            ৫নম্বর
ঘ) বাংলা শব্দগঠন (উপসর্গ,প্রত্যয় , সমাস)    ৫নম্বর
ঙ) বাক্যতত্ব                                             ৫ নম্বর
চ) বাংলা  ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধপ্রয়োগ     ৫নম্বর

র্নিমিতি :৭০ নম্বর
ক) পারিভাষিক শব্দে  থেকে ১টি
এবং অনুবাদ ইংরেজী থেকে বাংলা
               ( ১টির উত্তর দিতে হবে)---------------------------------   ১০ নম্বর

খ)দিনলিপি লিখন ও অভিঞ্জতা বর্ণনা  থেকে  ১টি
এবং ভাষণ রচনা ওপ্রতিবেদন রচনা থেকে   ১টি  মোট ২ট প্রশ্ন থাকবে
              ( ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে )  ---------------------------     ১০নম্বর

গ) বৈদ্যুতিক চিঠি অথবা ক্ষুদে র্বাতা থেকে
এবং পত্রলিখন অথবা আবেদনপত্র থেকে ১টি   মোট  ২টি প্রশ্ন থাকবে
              (   ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) ---------------------------  ১০ নম্বর

ঘ) সারাংশ , সারর্মম ও সারসংক্ষেপ থেকে ১টি এবং
 ভাবসম্প্রসারণ থেকে ১টি                            মোট ২টি প্রশ্ন থাকবে
                 (   ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)      ---------------------     ১০ নম্বর

ঙ) সংলাপ  রচনা থেকে ১টি  এবং ক্ষুদে গল্প রচনা থেকে ১টি
                                                               মোট ২ টি প্রশ্ন থাকবে
                     (   ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) ------------------------- ১০নম্বর

                                                                পাাঁচটি রচনা থাকবে
** প্রবন্ধ- নিবন্ধ রচনা;৫টি বিকল্প থাকবে , (১টির উত্তর দিতে হবে) ----------২০ নম্বর

[সূত্র; নিঅ/ক/তুআ.ব্ল ডিফট্রেক্স্  ২২.২.২০১৮]



শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ এইচ.এস.সি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো-
২০১৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নে ১০ নম্বর বৃদ্ধি ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০ নম্বর কমিয়েছে সরকার। পরিবর্তন করা হয়েছে পরীক্ষার সময় বন্টন।থাকছে না বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যেকার বিরতি। এইচএসসি পরীক্ষায় নতুন মান বন্টনে উল্লেখ আছে ব্যবহারিক বিষয়সমূহে ৮ প্রশ্নের মধ্যে ৫ টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ২৫ টি।প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে । ব্যবহারিক অংশে থাকবে ২৫ নম্বর । অর্থাৎ সৃজনশীল ৫০, বহুনির্বাচনী ২৫ এবং ব্যবহারিক ২৫, সর্বোমোট ১০০ নম্বর।
এছাড়া যেসকল বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেইসকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ১১ টি, উত্তর দিতে হবে ৭ টি প্রশ্নের ।এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০ টি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ সৃজনশীল ৭০, বহুনির্বাচনী ৩০, সর্বোমোট ১০০ নম্বর।





পরীক্ষামূলক ছবি পোষ্ট slider

নমুনা  প্রশ্ন:  ইন্টারনেটের সুফল-কুফল বিষযে পিতা -পু্ত্রও মায়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

উত্তর :বাবা:কীরে হিমেল ঘুমাসনি এখনো ? তোর ঘরে এখনও লাইট জ্বলছে। 
হিমেল: না বাবা ঘুমাইনি। একটু নোট ব্রাউজ করছি।
বাবা:  রাত বারটা বাজে ।এখন শুয়ে পড়। সকালে উঠতে হবে।
হিমেল : বাবা আধ ঘন্টা শুয়ে পড়ব। একটা অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করছি। 
বাবা:  কেন বই পত্র নাই। 
হিমেল : না বাবা স্যারের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টি বইয়ে পাচ্ছি না।নেটে  দেখছি পাওয়া যায় কি না।
বাবা:  ঠিক আছে খুজে দেখ। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়িস। 
হিমেল : ঠিক আছে বাবা ,তুমি আর মা শুয়ে পড়। 
বাবা:  (মায়ের সাথে ) আজকাল ছেলেমেয়েরা   কেন যে সারাদিন নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে কিছু বুঝি না । বইও কেনে আরার নেটও দেখে।মাঝে মাঝে এটা ঠিক আছে । কিন্তু প্রতিদিন রাত-বিরাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা কি করে বোঝা মুশকিল। বুঝেছ হিমেলের মা , ইণ্টানেটের সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও আছে।ছেলের দিকে একটু খেয়াল রেখো। 
নমুনা: ১ প্রশ্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর। 
২.সড়ক ‍ দুর্ঘটনার  কারণ ও প্রতিকার নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর। 
৩.উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে ্একটি  সংলাপ তৈরি কর। 
৪.সম্প্রতি পড়া একটি বই সম্পর্কে  দু বন্ধুর কথোপকথর রচনা কর। 
৫.সংবাদপত্র পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে তিন সহপাঠীর সংলাপ রচনা কর।