মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০

চিরসবুজ থাকার রহস্য জানুন


যৌবন ধরে রাখবে ৯ টি খাদ্য

১. মিষ্টি আলু : আপনার ত্বককে সুন্দর রাখাবে, মিষ্টি আলু অবিস্বাস্যভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার । মিষ্টি আলুতে আছে ক্যারোটিন । যা ত্বক উজ্জ্বল করার মূল উপাদান । এছাড়া ভিটামিন বি৬ বায়োটিন এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । তবে আপনি কিভাবে খাচ্ছেন সেটা লক্ষ্যণীয় ফ্রেন্সফ্রাই না খেয়ে সিদ্ধ খেলে ভাল ফল পাবেন ।

মিষ্টি আলু

২.আঙ্গুর : আঙ্গুর আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে সহায়তা করে । এছারা আপনার ব্রেইনকে ঠিক রাখবে । অ্যান্টোসায়ানিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা অনেকগুলি বেরিকে তাদের আকর্ষণীয় রঙ দেয়, আপনার ত্বকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে। মিডলবার্গ বলেছেন, "স্ট্রবেরি সিলিকার একটি ভাল উত্স, স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং সংযোজক টিস্যুগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেস খনিজ,"।

আঙ্গুর

৩.মটরশুটি: মটরশুটি প্রোটিন ফাইবার এবং বি ভিটামিনে পরিপূর্ণ এগুলো আপনার দেহের পক্ষে ভালো ত্বকের প্রদাহ কমায় বিভিন্ন ধরনের শিমের বিভিন্ন ধরণের নিদিষ্ট পুষ্টি রয়েছে , তবে আপনি আপনার পচ্ছন্দ মত খেতে পারেন । তবে বাজারে কৌটাজাত বিনস্‌ উচ্চ ফ্যাট প্রোটিন থাকে সেদিকে নক্ষ্য রাখতে হবে ।

মটরশুটি

৪.ওটস বা জই চূর্: ওটস এ আছে বি ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রোটিন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে। সেই বি ভিটামিনগুলি আপনার ত্বক, চুল এবং নখের জন্য দুর্দান্ত তবে তারা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে পুষ্ট করার জন্য আরও গভীর হয়। ফাইবার আপনার পাচনতন্ত্রকে ক্রমশ বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং প্রোটিন আপনার শক্তির স্তর বজায় রাখে।

ওটস্‌

৫.সামুদ্রিক পোনা বা ছোটমাছ:সামুদ্রিক মাছ যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় লাল মাংস বাদ দিয়ে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। তাতে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখা যাবে বহুদিন।

সামুদ্রিক মাছ

৬.কোকো চকোলেট(ডার্ক চকলেট): যারা চকলেট ভালোবাসেন তাদের জন্য ভালো খবর হলো ডার্ক চকলেট বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই যারা নিয়মিত প্রতিদিন ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খান তারা দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে পারেন।

চকোলেট

৭.বাদাম: পুষ্টির ঘাটতি দূর হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে এদেশে ঝাঁকিয়ে বাসা এই প্রকৃতিক উপাদনটির শরীরে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না।বাদাম হাড়ের স্বস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ,ব্রেন পাউয়ার বৃদ্ধিকরে ক্যান্সার এর মতো রোগ দুরে থাকে ,হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় ,ওজন নিয়ন্ত্রনে আনে ।

চীনাবাদাম

৮.পালংশাক: পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে। পালং শাক স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।

পালংশাক

৯. রসুন: রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

রসুন

এবং এসব খাবারের পাশাপাশি যথা সম্ভভ ঘুম অনুশীলন এবং স্ট্রেস হ্রাস গুরুত্বপূর্

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি ১ম পত্র প্রশ্ন


২০/২/২০২০

সৃজনশীর প্রশ্ন (অধ্যায় অনুযায়ী)

সকল অধ্যায়ের সাথে মিল রেখে ১১ টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে উত্তর দিতে হবে ৭ টি প্রশ্নের এবং বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০টি ( ৭০+৩০ = ১০০ নম্বর)

(অধ্যায় নং ১) প্রাক-ইসলমি আরব
(অধ্যায় নং ২) হযরত মোহাম্মদ সা:)
(অধ্যায় নং ৩ ) খুলাফায়ে রাশেদিন

(অধ্যায় নং ৪ ) উমাইয়া খিলাফত

উদ্ধৃতি:১.জনাব আলী আজম দয়ালু ,সদাশয় ও প্রজাবৎসল খিলিফা । তিনি চারিত্রিক দিক দিয়ে ছিলেন সরল , অনাড়ম্বর ধর্মানুরাগী ও কর্তব্যপরায়ণ । তিনি খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন । ভ্যাট ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করে তিনি শিল্প ও ব্যবসার বাণিজ্য উন্নতি সাধন করেন । তিনি ভিন্ন মতাবলম্বীদের শাসনকার্যে নিয়োগ করে এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন । তার বৈদেশিক নীতি ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা ও সংহতি বিধান ।
ক.উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
খ.খলিফা সুলাইমানকে আর্শীবাদের চাবি বলা হয় কেন ?
গ.উদ্দীপকে কোন উমাইয়া খলিফার প্র্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ? ব্যাখ্যা দাও ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত খলিফার বৈদেশিক নীতি পার্যালোচনা কর ।

২.হযরত মুয়াবিয়া (রা:) নি:সন্দেহে বিশ্বের সমসাময়িক শ্রেষ্ঠ নরপতিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন । সামরিক সংগঠন হিসেবে তিনি ছিলেন সমালে শীর্ষস্থানীয় । তিনি বুদ্ধিদীপ্ত সামরিক দক্ষতার বলে সিরিয়ার সেনাদের একটি প্রথম শ্রেণির শৃঙ্খলাপরায়ণ সেনাবাহিনীতে পরিণত করেন । কুটনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতার ফলে তিনি একটি শক্তিশালী উমাইয়া সম্রাজ্যের প্র্র্রতিষ্ঠাতার মর্যাদা লাভ করেন।
ক.হযরত মুয়াবিয়া (রা:) কখন জন্মগ্রহণ করেন?
খ.হযরত মুয়াবিয়া (রা:) এর ইন্তিকার সম্পর্কে লিখ ।
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যক্তির চরিত্র সর্ম্পকে কী জান লেখ ।
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যক্তির কৃতিত্ব সম্পর্কে লেখ ।

(অধ্যায় নং ৫) আব্বাসি খিলাফত
উদ্ধৃতি:১. রোমান রাজা ফউডাল খুবই ধার্মিক ছিলেন । তবে রাজনৈতিক স্বার্থে তিনি খুবই নৃসংস ছিলেন । প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে ভেবে তিনি তার প্রধান সেনাপতিকে হত্যা করলে সেনাাপতির সমর্থকদের দ্বারা যে বিদ্রোহ দেখা দেয় রাজা তাও অতি কঠোর হস্তে দমন করে । তার ধার্মিকতার সুযোগ নিতে একদল প্রজা তাকে প্রভূ বলে পূজা করতে এলে এক মারাত্বক পরিস্থিতির তৈরি হয় । সৌভাগ্যক্রমে রাজা সবকিছু মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। ক.বাগদাদ নগর কে প্রতিষ্ঠাতা কাকে বলা হয় ।
খ. খলিফা মনসুর কর্তৃক আলী বংশীয়দের প্রতি দুর্বব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে রাজা ফউডাল তাঁর প্রধান সেনাপতির প্রতি যে ব্যবহার করেছেন খলিফা আল মনসুর তার কোন সেনাপতির প্রতি সে আচরণ করেছিলেন ?
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধর্মীয় ঘটনার মতোই রাওয়ান্দিয়া সম্প্রদায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল রাজা ফিউডালের মতোই খলিফা আল-মনসুর তা দমনে সক্ষম হয়েছিলেন -উক্তিটি বিশ্লেসণ কর ।

২.দাদির কাছে নাতিন জ্বীন-পরী আর রাক্ষসদের গল্প শুনছিল । পরী কীভাবে ছোট মেয়েকে নিয়ে আকা্শে পাড়ি দিল তা শুনে নাতিন অবাক হয়ে যায় । সিন্দবাদ নাবিক এক নিমিষে দৈত্যকে হত্যা করে ফেলে তা শুনে নাতিন শানুর চক্ষু একবারে লাল হয়ে যায় । তখন দাদি বলল জান , এটা কোন সময়ের গল্প ? হারুন যখন রাজা ছিলেন, এটা হলো সেই সময়ের গল্প ।
ক.খলিফা হারুন-অর-রশীদ কত সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন ?
খ.নহরে জুবাইদা খাল খনন করা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.শানু তার দাদির কাছে যে রাজার সময়ের গল্প শুনেছে, রোমানদের সাথে তর সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.“উক্ত শাসক ছিলেন আব্বাসি খিলাফতের শ্রেষ্ঠ শাসক” -উক্তিটির যর্থাথতা যাচাই কর ।

( অধ্যায় নং ৬) স্পেনে উমাইয়া শাসন
১.পিতামহের মৃত্যুর পর আব্দুর রহিম মাত্র ১২ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করে রাজ্যের সেচ প্রকল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেন । যার ফলে সম্রাজ্যের কৃষি ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্পের যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে । তার সময়ে কমপক্ষে ১০০০ জাহাজ এবং শুধুমাত্র রাজধানীতেই ১৩,০০০ তাঁত শিল্প ছিল । তিনি বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের সমন্বয়ে িএকটি বিশাল ও শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন। এ বহিনী স্লাভ বাহিনী নামে পরিচিত ছিল ।

ক.স্পেন বিজয়ী মুসলিকম সেনাপতির নাম কি ?
খ.কর্ডোভাকে ইউরোপের বাতিঘর বলার কারণ কী ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে স্পেনে উমাইয়া যুগের কোন খলিফার মিল পাওয়া যায় ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে কৃষি ও শিল্পের উন্নতিতে উক্ত খলিফার কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর ।

২.ভাগ্যবিপর্যয়ের কারণে সুলতানপুরের শাকিল চৌধুরী পূর্বপুরুষের জমিদারি হতে বিতাড়িত হন । তিনি নিজের গনিষ্ঠ সহচরদের কয়েকজনকে নিয়ে দুরবর্তী মামার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং জমিদারির অংশবিশেষ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন । শাকিল চৌধুরী এখানে অবস্থান গ্রহণের পর পার্শ্ববর্তী শক্তিশালী শাসকের শান্তি প্রস্তাব গ্রহনের ভান করে কৌশলে তার শাসিত অঞ্চল দখল করে নেয় । কিন্ত এতেও চুরান্ত বিজয় সম্পন্ন হয় না । তাকে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় । অবশেষে শুধু জয়লাভই নয় বরং তিনি জনগণের আস্থাও অর্জন করেন ।

ক.স্পেন ও আফ্রিকার মধ্যবর্তী প্রণালির নাম কী ?
খ.প্রথম আব্দুর রহমানকে কুরাইশদের বাজপাখি বলা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকের শকিল চৌধুরীর সাথে কোন উমাইয়া যুবরাজের মিল রয়েছে ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে জমিদারী অংশবিশেষ দখলের মতো উক্ত যুবরাজ দখলিকৃত অঞ্চলে কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তা বিশ্লেষণ কর ।

৩. মহানবি (সা:) এর ওফাতের মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীর তিনটি মহাদেশে মুসলিম সম্যাজ্যের বিস্তৃত ঘটে । এরই ধারাবাহিকতায় ইউরোপের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশ স্পেন মুসলমানদের পতাকাতলে আসে । ১৪৯২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত মুসলমানরা স্পেন শাসন করে । উমাইয়া আমিরাত ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে তাদের এ শাসনব্যবস্থা চলে ।

ক.স্পেনে মুসলমানদের শাসন কত বছর চলছিল ?
খ.স্পেনে আক্রমণের কারণ কী ছিল ?
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত রাষ্ট্রে মুসলিম বিজয়ের পূর্বের অবস্থা কেমন ছিল ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশে মুসলমানদের আক্রমণের ঘটনাটি লেখ ।

(অধ্যায় নং ৭) উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমি খিলাফত
১. জাপানের রাজা হিরোহিতো যখন জনসমক্ষে আসেন তখান সবাই অবাক । ইনিতো তাদের মতোই একজন মানুস অথচ একদল পুরোহিত এতদিন বলে আসডছিল তিনি মানুষ নন বরং দেবতা । পুরোহিতদের বলা এসব কাহিনী যখন রাজার গোচরে যায় তখান তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে জনগনের মাঝে মিলেমিশেই দেশ শাসন করবেন । যে সমস্ত পুরোহি এসব কাহিনী প্রচার করেছিল তাদের তিনি কঠোর শাস্তি প্রদান করেন। রাজা হিরোহিতের শাসন বিষয়ক সিদ্ধান্ত তাকে জাপানের প্রথম রাজা হিসএব অমর করে রাখে ।
ক.উত্তর আফ্রিকার কোন বংশের শাসনকে উৎখাত করে ফাতেমি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
খ.উত্তর আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠিত খিলাফতকে ফাতেমি খিলাফত বলার কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত রাজা হিরোহিতোর সাথে উত্তর আফ্রিকার কোন ফাতেমি খলিফার সামঞ্জস্য দেখা যায় ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে পুরোহিতোদের প্রচারণার নিরিখে উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমি খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আবু আব্দুল্লাহ্‌ আলশারীয় অর্মকান্ড মূল্যায়ন কর ।

২ .হাসানপুর গ্রামের কাঞ্চন ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গ্রামের সকল অত্যাচারীদের ধ্বংস করে গ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং নিজের বংশকে রক্ষা করে স্বীয় প্রভুত্ব কায়েম করেন । অবশেষে ভবিষ্যৎনেতৃত্বের কথা ভেবে বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করে অন্য আরেকটি বংশকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে যান ।
ক.আল-মাহদী কত বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন ?
খ.ফাতেমিরা কীভাবে তাদের বংশ প্রতিষ্ঠা করে ? ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে কাঞ্চনের মধ্যে ইতিহাসের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে ? তার বিদ্রোহ দমন ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.“কাঞ্চনের স্বীয় প্রভুত্ব কায়েম করার মতোই ইতহাসের ফাতেমিগণ উত্তর আফ্রিকা ও মিশরে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে” উক্তিটি ফাতেমি শাসন প্রতিষ্ঠার আলোকে বিশ্লেষণ কর ।

৩.ইতিহাসের নিয়ম অনুযায়ী গোত্র ,জাতি এবং সম্প্রদায়গত দ্বন্দ্বে বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং পতনও ঘটেছে ৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে এক শাসক তাঁর পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন । তিনি রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করেন । গোত্রীয় নেতাদের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করেন । ইতহাসে তিনি আকও স্মরনীয় ।
ক.উবায়দুল্লাহ্‌ আল মাহদী কত বছর রাজত্ব করেন ?
খ.ইসমাঈলীয় কারা ?ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত শাসকের সাথে তোমার পঠিত শাসকের শাসন যুগের বিবরণ দাও ।
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত সময়টি ছিল ফাতেমীয় খিলাফতের স্বর্ণযুগ মতামত প্রদান কর ।

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ণত্ব-বিধান ষত্ব বিধান


প্রশ্ন: ণত্ব-বিধান কাকে বলে ?উদাহরণসহ ণত্ব-বিধানেবর পাঁচটি নিয়ম লেখ ।
অথবা,ণত্ব-বিধান বলতে কি বোঝ ? ণত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ ।

উত্তর:- ণত্ব-বিধান: যে বিধান বা নিয়মে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য -‘ণ’ তে পরিণত হয় তাকে ণত্ব-বিধান বলে ।
ণত্ব-বিধানের নিয়ম: কেবল তৎসম শব্দে এ বিধান প্রযোজ্য হবে । বিদেশি বা দেশি শব্দে হবে না ।

১. ঋ, র, ষ এর পরবর্তী দন্ত ন মূর্ধন্য ণ হয় । যথা: ঋণ, ক্ষণ, পূর্ণ, ইত্যাদি
২. ঋ, র, ষ এর পরে স্বরবর্ণ ক-বর্গ প-বর্গ য, ব, হ, বা ং থাকলে তার পরবর্তী দন্ত ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয় । যথা-দর্পন, শ্রবণ , গ্রহণ হরিণ ,রেণু , লক্ষণ, ভক্ষণ, ইত্যাদি
৩. কিন্তু যদি ঋ র ষ এর পরে স্বরবর্ণ ক-বর্গ প-বর্গ য, ব, হ, বা ং থাকলে তার পরবর্তী দন্ত ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না । যথা- দর্শন, মর্দন, প্রার্থনা , নর্তন , বর্ধন ইত্যাদি
৪. ত, থ, দ, ধ এর পূর্বে সংযুুক্ত বর্ণে দন্ত ‘ন’ হয় মূর্ধন্য হয় না যথা- দৃষ্টান্ত, বৃন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন, রন্ধন ইত্যাদি ।
৫. খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে মূর্ধন্য হয় না যথা -ট্রেন, কুরআন, ইরান, তুরান, রিপন, সোনা ইত্যাদি


প্রশ্ন: ষত্ব বিধান বলতে কি বুঝ ? ষত্ব বিধানের পাচঁটি নিষম লেখ ।

ষত্ব-বিধান:-যে নিয়ম অনুসারে দন্ত্য ‘স’ মূর্ধণ্য ষ তে পরিণত হয় তাকে ষত্ব বিধান বলে ।


১.ঋ কার এর পর দন্ত্য স মূধণ্য ‘ষ’ হয় যেমন: ‍ঋষি, বৃষি সৃষ্টি, কৃষ্ট

২. অ আ ভিন্ন স্বরবর্ণ এবং ক ও র এর পরবর্তী প্রত্যায়িত দন্ত্য ‘স’ মূর্ধণ্য ‘ষ’ হয় যেমন: ভীষণ, অর্কষণ, বিমর্ষ, জিগীষা, ঘর্ষণ, কৃষক

৩.নি:, দু:, বহি:, আবি:, চতু:, উপসর্গ বা শব্দগুলোর পর ক খ প ফ থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধণ্য ‘ষ’ হয় । যেমন: দু:+কর= দুষ্কর, বহি:+কার=বহিষ্কার, আবি:+কার=আবিষ্কার, চতু:+পদ=চতুষ্পদ,নি:+ফল=নিষ্ফল

৪.ট ও ঠ বর্ণের সাথে দন্ত্য ‘স’ যুক্ত হয়ে যুক্তব্যঞ্জন তৈরি করলে দন্ত্য ‘স’ মূর্ধণ ‘ষ’ হয় যেমন: কষ্ট, স্পষ্ট, বিশিষ্ট, নষ্ট, গোষ্ঠী ওষ্ঠ ইত্যাদি

৫.খটিঁ বাংলা ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ হয় না । যেমন: জিনিস, গ্রিস, মিশর, পুলিস, স্টোভ ইত্যাদি ।

৬.কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ হয় যেমন: ভাষণ পাষন্ড, আষাঢ়, ইষৎ, ঔষধ, কোষ, তষার, প্রত্যুষ, পাষাণ, ভূষণ, ভাষা, ভীষন, মহিষ, বিশেষ্য, বিশেষণ, মুষিক, মেষ, শোষণ, ষোল, শেষ ইত্যাদি।



বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

লেবু পানি খাওয়ার উপকারীতা


দিনের শুরুতে লেবুর উপকারিতা

Lights
তৃষ্ণা মেটাতে লেবুর শরবতের ‍তুলনা নেই। তবে ঘুম থেকে উঠেই কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সকালের ঘুম থেকে উঠে লেবুপানি খাওয়ার উপকারিতাগুলো উল্লেখ করা হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের হাটবাজারে যেসব লেবু পাওয়া যায় তার ওজন সাধারণত ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। এই ৬০ গ্রাম ওজনের একটি লেবুতে পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন সি ২৮.৬ মিলিগ্রাম, সাইট্রিক এসিড ২.৮৫ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৭.৯৩ মাইক্রোগ্রাম, প্রোটিন ০.২৩ গ্রাম, শ্বেতসার ৫.২৬ গ্রাম, বিটা ক্যারোটিন ১.৮৩ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন এ ১২.২০ মাইক্রোগ্রাম, কোলিন ৩.১১ মিলিগ্রাম, বায়োট্রিক ০.১৮ মাইক্রোগ্রাম, লুটিন স্পাজিয়াক্সথিন ৪.৪৯ মাইক্রোগ্রাম, আলফা টোকোফেরল (ভিটামিন-ই) ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.০২ মিলিগ্রাম, বি২ ০.০১ মিলিগ্রাম, বি৩ ০.০৬ মিলিগ্রাম, বি৬ ০.০৩ মিলিগ্রাম, কপার ০.০২ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪.২৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩.৬৬ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৫.৬৪ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ১৫.২৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩.৬৬ মিলিগ্রাম, খাদ্য আঁশ ০.২৪ গ্রাম।

হজমে সাহায্য করে দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। অন্যদিকে লেবু পাকস্থলি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আর বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ সিট্রাস গোত্রের ফল যেমন লেবু, বাতাবি লেবু বা কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অসকর্বিক অ্যাসিড। ভিটামিন সি ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং অসকর্বিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন গ্রহণে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ক্ষারের সমন্বয় শরীরে হাইড্রোজেনের পরিমাণের উপর অনেকাংশে সুস্থতা নির্ভর করে। সর্বমোট পিএইচ বা পাওয়ার অফ হাইড্রোজেন স্কেল হল ১ থেকে ১৪। মানবদেহে ৭ মাত্রার পিএইচ থাকা স্বাভাবিক। এর থেকে কম বা বেশি হলে শরীরে রোগের বিস্তার হতে পারে।

অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় ফল হলেও লেবু মানবদেহে পিএইচ’য়ের মাত্রা সমন্বয় করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা বেশি মাংস, পনির বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের জন্য লেবু সবচেয়ে বেশি উপকারী।

বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন পানির মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়। লেবু হচ্ছে প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। তাছাড়া লেবুর সিট্রিক এসিড পাকস্থলি পরিষ্কার রেখে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

শক্তি বর্ধক পানি এবং লেবুর রস শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন যুক্ত করে। ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হয়। এটি মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

Lights
ত্বক সুন্দর করে দীর্ঘক্ষণ পানিশূণ্য থাকলে ত্বক ম্লান দেখায়। সকালে লেবুর শরবত খেলে এর ভিটামিন সি ত্বক সুস্থ রাখে। আর লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ।

কিডনি পাথর- লেবুতে উপস্থিত লবন বা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে “ক্যালসিয়াম অক্সালেট ” নামক পাথর গঠনে বাধা দেয় । সবচেয়ে সাধারণ কিডনি পাথর গওলোর মধ্যে এটি একটি ।

মুত্র নালীর সংক্রমন দূর- যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘঠে । তা হলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন । এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে ।

চোখের স্বাস্থ্য - লেবুর রস চোখের স্বা্স্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোকের সমস্যার বিরোদ্ধে লড়াই করে ।

ক্যান্সার প্রতিরোধে-লেবু অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় । বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর তুলনা মেলা ভার ।

এছাড়া গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু পানি। এটা শুধু নারীর শরীরই ভালো রাখে না। বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মাকেও গর্ভকালে রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে।

দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত ব্যথা কমায়।

যাদের এই সমস্যা আছে রোজ আধা কাপ পানির মাঝে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

সর্তকতা : লেবু কেটে সরাসরি কামড়িয়ে খাবেন না। এতে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। যাদের কিডনি বা গলব্লাডারের সমস্যা আছে তারা লেবুর খোসা খাবেন না। যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস আছে তারা লেবুর রসের সাথে লবণ এবং চিনি মিশিয়ে খাবেন না। যাদের শরীরে স্বাস্থ্য বেশি তারা লেবুর শরবতে চিনি মিশাবেন না। যদি কারো লেবুর শরবত খেলে শরীরে সমস্যা হয় বা যারা রোগী তাদের সমস্যা হলে লেবু খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কোনো অবস্থাতেই শুধু লেবুর রস খাবেন না বা শরীরে কোনো অংশে লাগাবেন না। বেশি সময় লেবু কেটে রাখবেন না। তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র:দৈনিক সংগ্রাম

bangla.bdnews24.com