মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

নেকলেস


Mountains
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর:


----- গ্যী দ্য মোপাসা
নেকলেস গল্পের প্রধান চরিত্রে দেখা যায় “মাদাম মাতিলদা” নামের এক ভদ্র মহিলাকে। সে অত্যন্ত লোভী ও বিলাসী প্রকৃতির একজন মানুষ ছিল। সে নিজেকে সবার সামনে সুন্দর ও ধণীত্ব-ভাব প্রকাশ করতে চাইতো। মাদাম মাতিলদার বিবাহ হয়েছিল শিক্ষা পরিষদের এক সামন্য কেরানির সঙ্গে তার স্বামী নাম লোইসেল।

একদিন সন্ধায় জনশিক্ষা মন্ত্রী ও মার্দাম জর্জ লোইসেল ও তার স্ত্রীকে তাদের বাসায় বল নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে। কিন্তু মাদাম লোইসেল তার স্বামীর পাওয়া এই আমন্ত্রণে যেতে অস্মতি জানাই। তার কারণ ছিল অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তার কোনো ভালো পোষাক নেই। এজন্য সে এই বল নাচের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না।

লোইসেল কষ্ঠ করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। গ্রীস্মের ছুটিতে বন্ধুদের সাথে পাখি শিকারে যাওয়ার জন্য বন্দুক কিনবে বলে। যে পরিমাণ টাকা জমিয়েছিল ঠিক সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে তার স্ত্রীকে বল নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পোশাক কিনে দিলো।

তারপর, অনুষ্ঠানের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই মাদাম লোইসেলের মধ্য অনুষ্ঠানে যেতে না চাওয়ার ভাব ভঙ্গি প্রকাশ পেতে থাকে। এবার যেতে না চাওয়ার কারণ তার কোনো মনি-মুক্তা নেই। অবশেষে তার স্বামীর পরামর্শে মাদাম লোইসেলের বান্ধবী ফোরসটিয়ারের কাছ থেকে একটি হিরার কন্ঠ হার ধার নিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে সম্মত হয়।

বল নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেল তার সৌন্দর্যের অনেক প্রশংসা লাভ করে। অনুষ্ঠান শেষে তারা ভোর বেলা বাসার উদ্দেশ্য রইনা দেয়। মাদাম লোইসেল বাসায় ফিরে আয়নার সামনে দাড়াতেই লক্ষ করে তার গলায় হিরার হারটি নেই। মাদাম লোইসেল আঁতকে উঠে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানাই। তার স্বামী সেই মাত্রই হারটি খুঁজতে বাহির হয়ে যায়।

এরপর অনেক খোঁজা-খুজি তারপর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও আর হারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। হারটি খুঁজে না পাওয়ায় লোইসেলে ৩৬ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে একটি হিরার হার ক্রয় করে। এই হারটি লোইসেল তার বাবার মৃত্যুর পর পাওয়া ১৮ হাজার ফ্রাঁ ও বাকি টাকা ধার নিয়ে ক্রয় করে। হারটি ক্রয় করতে গিয়ে তাদের অনেক ধার দিনাশ পড়েতে হয়।

বিশাল ধার দিনার বোঝা মাঁথায় নিয়ে তারা তাদের বাসাটি ছেড়ে অন্যত্রে একটি কম টাকার ছোট বাসা ভাড়া নেয়। এবং তারা দুইজন কাজ শুরু করলো। মাদাম লোইসেল আগে যে কাজ করত না সে কাজ গুলো এখন করতে শুরু করলো। অবশেষে, তারা ১০ বছর পরিশ্রম করার পর তাদের সকল ধার দিনা পরিশোধ করলো। এবং ধার দিনা পরিশোধ করার পাশাপাশি তার কিছু সঞ্চয়ও করলো।

দশ বছর পরে এমতাবস্থায় একদিন ঘটনা ক্রমে মাদাম লোইসেলের তার বান্ধবী ফোরস্টিয়ারের সাথে দেখা হয়। প্রথমে তার বান্ধবী তাকে চিনতে পারেনি কারণ তার চেহারায় এখন আর আগের মত সৌন্দর্য নেই। সে তার বান্ধবীর সাথে গত দশ বছরের ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করলো। ঘটনা শুনে মাদাম ফোরস্টিয়ার বলল, ‘হায়, আমার বেচারী মাতিলদ! আমারটি ছিল নকল হার। তার দাম পাঁচশত ফাঁর বেশি হবে না।’ – “নেকলেস” গল্পের এই অপ্রত্যাশিত শেষের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ছিল।

গল্পটির মূলভাব ও শিক্ষা:

“নেকলেস” গল্পটিতে দেখা যায় উচ্চবিলাসী ও লোভী এক নারীর চরিত্র। বিলাসীতার কারণে মুহূর্তেই নির্ষ হয়ে যেতে। এবং পরিশ্রমে ফলে ধার-দিনা পরিশোধ করার মাধ্যমে “পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি” উক্তিটি প্রকাশ পেয়েছে। আবার গল্পের শেষ অপ্রত্যাশিত বাক্য থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, একটু অসাবধানতা জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ”


পাঠপরিচিতি:--

“তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মাদী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। সাধারণভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত আনন্দের উৎস। বসন্ত-প্রকৃতির অপরূপসৌন্দর্য যে কবিমনে আনন্দের শিহরন জাগাবে এবং তিনি তাকে ভাবে ছন্দে সুরে ফুটিয়ে তুলবে সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু কবিমন যদি কোন কারণে শোকাচ্ছন্ন কিংবা বেদনা ভারাতুর থাকে তবে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য সত্ত্বেত কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারবে না।

এ কবিতায় কবির ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপথ ঘটেছে। তাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে (১৯৩২) কবির জীবন প্রচণ্ড শূন্যতা নেমে আসে। তার ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে এক বিষণ্নতা। কবিমন আচ্ছন্ন হয়ে যায় রিক্ততার হাহাকারে। “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাকে আচ্ছন্ন করে আছে এই বিষাদময় রিক্ততার সুর। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা।

কবিতাটির আরেকটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর নাটকীয়তা। গঠনরীতির দিক থেকে একটি সংলাপনির্ভর রচনা। কবিতার আবেগময় ভাববস্তুর বেদনাঘন বিষণ্নতার সুর এবং সুললিত ছন্দ এতই মাধুর্যমণ্ডিত যে তা সহজেই পাঠকের অন্তর ছুঁয়ে যায়।

সুজনশীল প্রশ্নের উত্তর

তাহারে পরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন


** তাহারেই পড়ে মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর

প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের

==>

বহুনির্বাচনী









প্রতিবেদন লেখার নমুনা


Bootstrap Example

প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

প্রশ্ন :কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করো। উত্তর :
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
‘মুক্তিযোদ্ধা’ কলেজ, যশোর।
বিষয় : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এটি এখানে পেশ করছি-
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫ গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ক্রীড়ানুষ্ঠানটি সফল করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষকসহ সবাই যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে ‘ক’ বিদ্যালয়ের সুবিশাল মাঠ যেভাবে সাজানো হয়েছিল, তা সুধীজনের দৃষ্টি কেড়েছে। সকাল ৯ ঘটিকায় প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পায়রা ও বেলুন ওড়ানো, মশাল প্রজ্বালন, বিএনসিসি গার্লস গাইড ও বিভিন্ন হাউসের কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রধান অতিথিকে সম্মান ও সালাম জানানোর সব আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সকাল ১০টায় বিভিন্ন হাউসের ক্রীড়ানুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ ও উচ্চ লাফ, বর্শা, চাকতি ও লৌহগোলক নিক্ষেপসহ ছিল বিভিন্ন রকমের দৌড়।

পুরুষ অভিভাবক বনাম স্কুল শিক্ষকদের রশি টানাটানি, মহিলা অভিভাবক বনাম শিক্ষিকাদের ‘বালিশ যার বিপদ তার’- পর্ব দুটি খুবই উপভোগ্য ছিল। শিক্ষার্থীদের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য দর্শক সারি থেকে অনেকেই আসন ছেড়ে বাইরে চলে আসায় খানিকটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
প্রধান শিক্ষকের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠের পর বিজয়ী প্রতিযোগীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ বছর স্কুলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দশম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হাসান ও নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকেয়া খানম।
পুরস্কার বিতরণ শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দেন, তা অনেকের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের দুটি পর্বই ছিল অত্যন্ত সুবিন্যস্ত। এর পরও অভিভাবকদের আসনব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গেছে। এর পরও এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

প্রতিবেদক : নুজহাত ফাতিমা ইথা
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫
প্রতিবেদন তৈরির সময় : বিকেল ৪টা
তারিখ : ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

কবিতা ১২


বিখ্যাত কবি-দের কবিতা


রবীন্দ্রনাথ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুল

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুলyyy

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj666

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ 6

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু 7

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


no mame

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram
ট্যাব কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট দেখতে সুবিধা বেশী

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

আঠার বছর বয়স কবিতা

এই পৃষ্ঠার কাজ চলিতেছে আঠারো বছর বয়স

Girl in a jacket
×

আঠারো বছর
Flowers in Chania কবি পরিচিতি :

সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায়। তাঁর পিতার নাম নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য, মায়ের নাম সুনীতি দেবী। ছোটবেলা থেকেই সুকান্ত ছিলেন অত্যন্ত রাজনীতি-সচেতন। তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’র কিশোরসভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুকান্ত তাঁর কাব্যে অন্যায়-অবিচার শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিপ্লব ও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে তাঁর কবিতা মুক্তিকামী বাঙালির মনে বিশেষ শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।

‘ছাড়পত্র’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: ‘ঘুম নেই’, ‘পূর্বাভাস’। অন্যান্য রচনা: মিঠেকড়া’, ‘অভিযান’, ‘হরতাল’ ইত্যাদি। তিনি ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘অকাল’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।

. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই মে মাত্র একুশ বছর বয়সে প্রতিভাবান এ কবির অকালমৃত্যু হয়।

মূল কবিতা:
আঠারো বছর বয়স
- সুকান্ত ভট্টাচার্য---ছাড়পত্র
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা। এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে। আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা, এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা। আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান, দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ। আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো, এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো। তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি, এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে, বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে। এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়- এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।

পাঠ-পরিচিতি

============

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে জবিনের ঝুঁকি নেবার উপযোগী। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত। এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর।

কিন্তু এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত-এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন কাজীয়

×


বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:
১. -- ?
ক) ---
খ) ---
গ) --
ঘ. বস্তুবাদী ইহজাগতিক প্রাণী
উত্তর: --

২. -- ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ