মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

MCQ:প্রশ্নের জন্য ok

-----------
Q: venenatis
1.calender
2.color
3.volvo
4.Aliquam
A:-This is a Blue Heading

Q: venenatis

1.calender
2.color
3.volvo
4.Aliquam
A:-This is a Blue Heading

Q: venenatis

1.calender
2.color
3.volvo
4.Aliquam
A:-This is a Blue Heading










বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

নেকলেস বহু নির্বাচনী প্রশ্ন


কবি পরিচিতি:
সংক্ষিপ্ত নামঃ গী দ্য মোপাসাঁ।
পূর্ণ নামঃ Henri-Renri-Albert-Gey de Maupassant.
জন্ম তারিখঃ ৫ আগষ্ট, ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থানঃ নর্মান্ডি, ফ্রান্স।
পিতার নামঃ গুস্তাব দ্য মুপাসাঁ।
মাতার নামঃ লরা লি পয়টিভিন।
সাহিত্য সাধনাঃ পারিবারিক বন্ধু ঔপন্যাসিক গুস্তাব ফ্লবেয়ার এর নির্দেশনা সহযোগিতায় তিনি সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করেন।
পেশাঃ সাংবাদিকতা ও সাহিত্য সাধনা।
মৃত্যুঃ ৬ জুলাই, ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দ।

অনুবাদক পরিচিতি:
নাম-পূর্ণেন্দু দস্তিদার।
জন্ম-১৯০৯ সালের ২০ জুন।
জন্মস্থল - চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে।
পিতা- চন্দ্রকুমার দস্তিদার।
মাতা- কুমুদিনী দস্তিদার।
পেশা- আইনজীবী, লেখক, রাজনীতিবীদ।
প্রকাশিত গ্রন্থ- কবিয়াল রমেশ শীল, স্বাধীনতা। সংগ্রামে চট্টগ্রাম, বীরকন্যা প্রীতিলতা।
অনুবাদ গ্রন্থ-শেখভের গল্প, মোপাসাঁর গল্প।
মৃত্যু- ১৯৭১ সালের ৯ মে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারত যাওয়ার পথে।

মূলভাব নেকলেস:-
নেকলেস গল্পে ফুটে উঠে একজন উচ্চাভিলাষী কিন্তু অহংকারী মানুষের চিত্র। গল্পের মূল চরিত্র সবসময় কীভাবে বিলাসিতা করা যায় তা নিয়েই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথেই সে তার ভুল বুঝতে পারে। নেকলেস গল্পটি অপ্রত্যাশিত কিন্তু অত্যন্ত আকর্ষণীয় সমাপ্তির জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস:-
--মাতিলদা বিলাসিতার চিন্তা করে মন খারাপ করে থাকতো।
--অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়েও খুশি হয়নি মাতিলদা কারণ তার সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো সুন্দর পোশাক ছিল না।
--বান্ধবীর কাছ থেকে গহনা ধার করা।
--‘বল’ নাচের দিনে মাদাম লোইসেলের জয়জয়কার, কারণ সে ছিল সবচেয়ে সুন্দরী, সুরুচিময়ী, সুদর্শনা হাস্যময়ী ও আনন্দপূর্ণ।
--গহনা হারিয়ে ফেলে হতাশ হয়ে পড়া।
-- গহনার মূল্য শোধ করতে গিয়ে কষ্টের জীবন শুরু করা।
--শেষে সত্য জানতে পারা যে সে এতদিন যেটকে হীরার গয়না ভেবেছিল তা হীরার নয়।
--গল্পের নায়কের নাম –মসিঁয়ে/মসিঁয়ে লোইসেল
--গল্পের নায়িকার নাম – মাতিলদা লোইসেল / মাদাম লোইসেল
--মাদাম লোইসেলের বান্ধবীর নাম – মাদাম ফোরস্টিয়ার
--নিয়তির ভুলেই যেন মাদাম লোইসেলের জন্ম হয়েছে – কেরানির ঘরে
-- মাদাম লোইসেলের বিয়ে হয় কার সাথে – শিক্ষা পরিষদ আপিসের এক কেরানির সাথে
-- কীসের অক্ষমতার জন্য সে সাধারণভাবে থাকত – নিজেকে সজ্জিত করার
-- তার শ্রেণির অন্যতম হিসাবে মাদাম লোইসেল কেমন ছিল – অসুখী
-- কাদের কোনো জাতিবর্ণ নেই – সাধারণ পরিবারের মেয়েদের
-- রহিত মাছের রং কি? – গোলাপি
-- কী খেতে সিংহ মানবী প্রলয়লীলার কথা শুনবেন – মুরগির পাখনা
-- সিংহ মানবী কে? – মাদাম লোইসেল
-- মাদাম লোইসেলের প্রিয় – ফ্রক বা জরোয়া গহনা
-- মাদাম লোইসেলের ধনী বান্ধবীটি কে ছিলো – “কনভেন্ট ” ত্রর সহকারী
-- ত্রক সন্ধ্যায় মসিঁয়ে লোইসেল কি নিয়ে ঘরে ফিরল – ত্রকটি বড় খাম
-- “ত্রই যে তোমার জন্য এক জিনিস ত্রনেছি ” উক্তিটি – মসিঁয়ে লোইসেলের
-- পোশাকের জন্য কত ফ্রাঁ লাগবে – চারশত ফ্রাঁ
-- মসিঁয়ের বন্ধুরা গত রবিবারে “ভরতপাখি ” শিকারে কোথায় গিয়রছিলো – নানতিয়ারের সমভূমিতে
-- মসিঁয়ের বন্ধুদের সাথে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা – আগামী গ্রীষ্মে
-- মসিঁয়ে চারশত ফ্রাঁ সঞ্চয় করে রেখেছিল – “বন্দুক ” কেনার জন্য
-- লোইসেল দম্পতি বাড়ি ফিরল – ভোর ৪ টায়
-- কারা খুব বেশি ফুর্তিতে মও ছিলো – অন্য তিন জন ভদ্রলোকের স্ত্রী।
-- মসিঁয়ে বিশ্রাম কক্ষে আধঘুম বসেছিল – মধ্যরাত্রি পর্যন্ত
-- হতাশ হয়ে কাপঁতে কাপঁতে তারা হাঁটতে থাকল – সিন নদীর দিকে
-- প্যারীতে সন্ধ্যার পর লোকের চোখে পড়ে – নিশাচর দুই যাত্রীর গাড়ি
-- হীরার হারটির মূল্য – ৪০,০০০ ফ্রাঁ
-- হারটি কত ফ্রাঁ দিয়ে আনতে পারবে – ৩৬,০০০ ফ্রাঁ।
-- ফেব্রুয়ারি মাসের ভিতর হারটি ফেরত দিলে তারা কত ফ্রাঁ ফেরত দিবে – ৩৪,০০০ ফ্রাঁ
-- লোইসেলের কাছে ছিলো – ১৮,০০০ ফ্রাঁ
-- মাদাম লোইসেলের নখের রং – গোলাপি
-- ফোরস্টিয়ারের হারটির দাম ছিলো – ৫০০ ফ্রাঁ


বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১.নেকলেস গল্পের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কোনটি ?
  • ক)অহংকারের অহমিকা
  • খ)দাম্ভিকতার পরিণাম
  • গ)জীবনের রূঢ় বাস্তবতা
  • ঘ)বিলাসিতার পরিণাম
  • উত্তর:-
২.নেকলেস গল্পটির রচয়িতা কে ?
  • ক) এমিল জোলা
  • খ) ইভান তুর্গনেভ
  • গ) গী দ্য মোপাসাঁ
  • ঘ) পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • উত্তর:-
৩. নিচের কোনটি গী দ্য মোপাঁসার জীবনকাল ?
  • ক) ১৮৫০-১৮৯২
  • খ) ১৮৫০-১৮৯৩
  • গ) ১৮৫২-১৯০২
  • ঘ) ১৮৫৩-১৮৯৯
  • উত্তর:-
৪: আমার কোনো মণিমুক্তা, একটি দামি পাথর কিছুই নেই যা দিয়ে আমি নিজেকে সাজাতে পারি।- উক্তিটিতে নিহিত রয়েছে কোনটি ?
  • ক) আকাঙ্ক্ষা
  • খ) অক্ষমতা
  • গ) উচ্চাশা
  • ঘ) প্রতিহিংসা
  • উত্তর:-
৫. কবিয়াল রশেম শীল গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?
  • ক) শামসুর রাহমান
  • খ) পুর্ণেন্দু দস্তিদার
  • গ) আনিসুজ্জামান
  • ঘ) আখতারুজ্জামান
  • উত্তর:-
৬.মাদাম লোইসেল দারিদ্রতার ভয়ভহতা বঝিতে পারেন কিভাবে?
  • ক) স্বামী চাকরী হারালে
  • খ) পিতা চাকরী হারালে
  • গ) দুঃখজনক ঋণের কারণে
  • ঘ) পিতার মৃত্যুর কারণে
  • উত্তর:-
৭. পার্টিতে যাবার জন্য মাদাম লোইসেল যে নেকলেসটি ধার করেছিল সেটি ছিল-
  • ক) খাঁটি সোনার
  • খ) নকল সোনার
  • গ) খাঁটি হীরার
  • ঘ) নকল হীরার
  • উত্তর:-
৮. প্রাণের চেয়ে মান বড় প্রবাদটি কোন চরিত্রের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ?
  • ক) নুরুল হুদা
  • খ) মাদাম লোইসেল
  • গ) লোইসেল
  • ঘ) লোইসেল ও মাদাম লোইসেল
  • উত্তর:-
৯ . ফরাসি ভাষাক নেকলেস গল্পটির নাম কী ?
  • ক) La Gaulors
  • খ) La Parure
  • গ) La Goluois
  • ঘ) La Perore
  • উত্তর:-
১০. নেকলেস গল্পে দশ ফ্রাঁতে কয়টি গোলাপ কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে ?
  • ক) দুটি-তিনটি
  • খ) তিনটি-চারটি
  • গ) চারটি-পাঁচটি
  • ঘ) একটি-দুটি
  • উত্তর:-
১১: গী দ্য মোপাসাঁ কোন দেশের সাহিত্যিক ?
  • ক)ব্রিটেন
  • খ) ফ্রান্স
  • গ) রাশিয়া
  • ঘ) গ্রিস
  • উত্তর:-
১২. মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে।- চরণে দুটির সঙ্গে নেকলেস গল্পটির সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় কোনটি ?
  • ক)মাদাম লোইসেলের পোশাক কেনা
  • খ) কঠোর পরিশ্রম ও ঋণ পরিশোধ
  • গ) ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে হার কেনা
  • ঘ) বান্ধবীর কাছ থেকে জড়োয়া গহনার ব্যবস্থা করা
  • উত্তর:-
১3: গী দ্য মোপাসাঁ কোন দেশের লেখক? ?
  • ক)ইংল্যান্ড
  • খ)ইতালি
  • গ) জার্মানি
  • ঘ) ফ্রান্স
  • উত্তর:-
১৪: আয় বুঝে ব্যয় কর- প্রবাদটির শিক্ষা কোন চরিত্রটির মধ্যে অনুপস্থিত ?
  • ক) মাদাম লোইসেল
  • খ) মসিঁয়ে লেইসেল
  • গ) ফোরস্টিয়ার
  • ঘ) সকলের
  • উত্তর:- ক
১৫: মাদাম লোইসেল তার শ্রেণির অন্যতম হিসেবে কেমন ছিল ?
  • ক) সূখী
  • খ) রাগী
  • গ) বঞ্চিত
  • ঘ) অসূখী
  • উত্তর:-
১৬: মসিঁয়ে লোইসেল নির্বাক হয়ে গেলেন কেন ?
  • ক) বল নাচে স্ত্রীর সৌন্দর্য দেখে
  • খ) স্ত্রীকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে
  • গ) হীরার হার হারিয়ে যাওয়ায়
  • ঘ) আমন্ত্রণ লিপিখানা নিক্ষেপ করতে দেখে
  • উত্তর:-
১৭: নেকলেস গল্পে মূলত কোন বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে ?
  • ক) লোভ করা মহাপাপ
  • খ) পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
  • গ) বিলাসিতা জীবনের সব নয়
  • ঘ) উচ্চাকাখ্ক্ষা ও লোভের পরিণাম ভয়াবহ
  • উত্তর:-
১৮: নেকলেস গল্পের অনুবাদক কে?
  • ক) সিরাজুল ইসলাম
  • খ) মুনীর চৌধুরী
  • গ) পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • ঘ) বুদ্ধদেব বসু
  • উত্তর:-পূর্ণেন্দু দস্তিদার
১৯. মাদাম লোইসেলের জীবনে কোনো আনন্দ ছিল না কেন ?
  • ক) কেরানির পরিবারে জন্মগ্রহণের জন্য
  • খ) স্বামীর অসুস্থতার জন্য
  • গ) নিজের বিদঘুটে চেহারার জন্য
  • ঘ) পিতার অসুস্থতার জন্য
  • উত্তর:- ক
২০: মাদাম লেইসের নৃত্যের মধ্যে কী ছিল?
  • ক) গর্ব ও উৎসাহ
  • খ) আবেগ ও উৎসাহ
  • গ) সাফল্য ও আবেগ
  • ঘ) গর্ব ও আবেগ
  • উত্তর:-
২১: নেকলেস গল্পে কার হারটি নকল ছিল ?
  • ক) ফোরস্টিয়ারের
  • খ) মাতিলদার
  • গ) লোইসেলের
  • ঘ) মসিঁয়ে বান্ধবীর
  • উত্তর:-
২২. মাদাম ফোরসটিয়ার গহনার বাক্সটি-
  • ক) খুলে দেখল
  • খ) রেখে দিলো
  • গ) তেমনভাবে খুলে দেখল না
  • ঘ) ফেলে দিলো
  • উত্তর:-
২৩. মাদাম লোইসেলের শারীরিক পতনের মুল কারণ কী ?
  • ক) প্রতিহিংসা
  • খ) ঈর্ষা
  • গ) উচ্চাভিলাষ
  • ঘ) সিদ্ধান্তহীনতা
  • উত্তর:-
২৪.নেকলেস গল্পে খেলো শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
  • ক) নিকৃষ্ট বা মূল্যহীন
  • খ) সাধারণ বা খারাপ
  • গ) অতি সামান্য বা কমদামি
  • ঘ) সাধারণ বা কৃত্রিম
  • উত্তর:-
২৫.লোইসেলকে আমন্ত্রণটি কে করেছিলেন?
  • ক) অর্থমন্ত্রি
  • খ) সংস্কৃতিমন্ত্রি
  • গ) কৃষিমন্ত্রি
  • ঘ) জনশিক্ষা মন্ত্রি
  • উত্তর:-














বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সূরা বাংলা উচ্চারণ


সূরা যিলযাল:

উচ্চারণঃ"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম"
ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদুঝিলঝা-লাহা-। ওয়া আখরাজাতিল আরদুআছকা-লাহা-। ওয়া কা-লাল ইনছা-নুমা-লাহা-। ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা-।বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা-। ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্না-ছুআশতা-তাল লিউউরাও আ‘মা-লাহুম। ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ। ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ।

সূরা ত্বীন:

উচ্চারণ : "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম"
উচ্চারণঃ ওয়াততীন ওয়াঝঝাইতূন।ওয়া তূরি ছীনীন। ওয়া হা-যাল বালাদিল আমীন। লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফীআহছানি তাকবীম। ছুম্মা রাদাদ না-হু আছফালা ছা-ফিলীন। ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফালাহুম আজরুন গাইরু মামনূন। ফামা-ইউকাযযি বুকা বা‘দুবিদ্দীন। আলাইছাল্লা-হু বিআহকামিল হা-কিমীন।

সূরা আসর :

উচ্চারণ : "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম"
ওয়াল আছরি ইন্নাল ইনসা-না লাফী খুসরিন. ইল্লাল্লাযিনা আ-মানূ ওয়া আমিলুছ ছোয়া-লিহা-তি ওয়া তাওয়া - ছওবীল হাক্বি. ওয়া তাওয়া ছওবিছ ছবরি

সূরা নাস:

উচ্চারণ : "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম"
কূল আঊ'যু বিরব্বিন্না-স. মালিকিন্না-স. ইলা-হিন্না-স. মিন শাররিল ওয়াস ওয়া-সিল খান্নাছ. আল্লাযি ইউওয়াস বিসু ফী ছুদুরিন্না-স. মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স.

সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ব্যাথা কমায় এমন খাদ্য


শরীরের ব্যাথা কমায় এমন খাদ্য

অনেক সময় বিশেষ বিশেষ কিছু খাবারেই সাধারণ মাথাব্যথা, পেটব্যথাসহ অন্যান্য ব্যথা সেরে যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে অনেকেই সাধারণ প্যারাসিটামল বা এ জাতীয় ওষুধ সেবন করে থাকেন। ওষুধ না খেয়েও শুধু খাবার বা বিশেষ ফল খেয়েই এ ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। নিচে তেমনই ১০টি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হল:

চেরি: চেরি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্যথা সারাতে সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। জ্বালাপোড়া থেকে সৃষ্টি ব্যথা ডার্ক চেরি খেলে দূর হয়। তবে শুধু চেরিই নয়; ব্যথা প্রতিরোধী হিসেবে অন্যান্য কালো ফলও উপকারী। গ্যাস্টিকের ব্যথা ও অন্যান্য জ্বালাপোড়ার প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ব্যথা ২০টি চেরি ফল খেলেই অনেকটা কমে যাবে।

আদা: আদা ব্যথা উপশম করতে কার্যকরী। আদা কুচি পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব দূর করে। আবার বাতের ব্যথায় আদা কেটে মধু মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলেও উপকার পাওয়া যায়। আদাকে তিলের তেলে গরম করে ওই তেল গাঁটে বা জোড়ে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।

পেঁপে: পেঁপেতে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যেটা প্রদাহ দূরীকরণে সাহায্য করে। সার্জারির ব্যথা কমাতেও পেঁপে জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরের অন্য ব্যথা কমাতেও কাজ করে।

লাল মরিচ: লাল মরিচে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক একটি পদার্থ রয়েছে যেটি ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকর।

দই: দইয়ে মাইক্রো-ফ্লোরা নামে একটি উপাদান আছে, যা প্রদাহ এবং বদহজমের কারণে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

তিল বীজ: তিল বীজও ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা মাথা ব্যথা ও মাংস পেশীর ব্যথা অনায়াসে দূর করতে সাহায্য করে।

হলুদ: হলুদে কারকুমিন নামক এক প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। এটার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে এটা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পর খুব দ্রুত এটা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কেউ চাইলে এটাকে ডায়েটেও যুক্ত করতে পারে।

অ্যালোভেরা জুস: অ্যালোভেরা জেল পোড়ার ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এর জুসও আলসারের ব্যথা উপশমে কার্যকরী। দিনে ২বার অ্যালোভেরা পানে শুধুমাত্র এর উপসর্গই উপশম করে না; নিরাময়ের কাজও দ্রুত শেষ করে।

স্বাদু পানির মাছ: ব্যথা দূরীকরণে এ মাছগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ধরনের মাছের মধ্যে হেরিং, ম্যাকরল, টুনা, স্যালমন এবং সার্ডিন অন্যতম। এ মাছ ঘাড়ের ব্যথা উপশম ও পেশীর জয়েন্টকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এসব মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে; যা হার্ট ফাংশনের উন্নতি করে।

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতায় মেনথল নামে একটি উপাদান আছে, যা ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, এর তেল পায়ের কজ্বি ও গোড়ালীতে মালিশে ব্যথা উপশম হয়। এমনকি মাথা ব্যথায় পুদিনা পাতা কপালে ঘষলেও ব্যথা উপশম হয়।



এস এম গল্প ইকবাল : ব্যথা হলো অসুস্থতা বা ইনজুরিতে সৃষ্ট অস্বস্তিকর শারীরিক অনুভূতি। সাধারণত ব্যথা হ্রাস করতে আমরা ওষুধ সেবন করে থাকি। কিন্তু আপনি জেনে খুশি হবেন যে, কিছু খাবারও ব্যথা উপশম করতে পারে। যেহেতু সবসময় ওষুধ সেবন ভালোকিছু নয়, তাই ব্যথানাশের জন্য আপনার ডায়েটে এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন যা ব্যথা হ্রাস করবে। যেসব খাবার খেলে প্রদাহ হ্রাস পায়, সেসব খাবারে ব্যথা উপশম হয়। এখানে আপনার ব্যথা কমানোর জন্য ১৮ প্রদাহবিরোধী খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

অলিভ অয়েল : ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার গবেষকরা পেয়েছেন যে, এক্সট্রা-ভার্জিন অলিভ অয়েলের ওলিওক্যান্থাল নামক কেমিক্যাল প্রদাহমূলক এনজাইমকে তেমনভাবে বাধা দেয়, যেমনটা করে ইবুপ্রোফেন। শাকসবজি, সালাদ ও অন্যান্য খাবারের ওপর অলিভ অয়েল ছিটান- এটি প্রদাহ হ্রাস করবে।

আনারস : আনারসে ব্রোমিলেন নামক প্রোটিন হজমকারক এনজাইম থাকে, একারণে এ ফলটি একটি শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী খাবার। গবেষণায় পাওয়া যায়, আনারস খেলে হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের ব্যথা হ্রাস পেতে পারে এবং কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের লোকদের ফোলা কমে যেতে পারে।

আপেল : এ জনপ্রিয় ফলটি হলো অন্যতম প্রদাহ হ্রাসকারী খাবার, কারণ এতে কোয়েরেক্টিন থাকে- কোয়েরেক্টিন হলো প্রদাহবিরোধী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। একটি প্রচলিত কথা হলো, দিনে একটি আপেল ডাক্তার থেকে দূরে রাখে।

বাদাম ও বীজ : বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও খাবারযোগ্য বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, এল-আরজিনাইন ও ভিটামিন ই থাকে- এসবকিছু প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করতে পারে। আপনার জন্য আদর্শ অপশন হলো অপ্রক্রিয়াজাত লবণমুক্ত বাদাম। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন ন্যাশনাল অফিস আখরোট বাদাম, চিনাবাদাম, আমন্ড, পেস্তা বাদাম ও চিয়া বীজ খেতে বিশেষভাবে সুপারিশ করছে।

সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি ও পাতাযুক্ত সবজি (যেমন- পাতাকপি, চার্ড, বক চয় ও সিলভার বিট) হলো প্রদাহবিরোধী খাবার, কারণ এসব খাবার প্রদাহবিরোধী ক্যারোটিনয়েডে সমৃদ্ধ। এসব উদ্ভিদ রঞ্জক উদ্ভিজ্জ খাবারকে বর্ণালী করে তোলে।

ডার্ক চকলেট : ডার্ক চকলেটে এমন কেমিক্যাল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা প্রদাহ উপশম করতে পারে। ইতালির একটি বড় গবেষণা অনুযায়ী, যেসব লোক প্রতি তিনদিনে ডার্ক চকলেটের একটি বর্গ খেয়েছিল তাদের শরীরে প্রদাহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন একটি প্রোটিনের মাত্রা তাদের তুলনায় কম ছিল যারা ডার্ক চকলেট খাননি। বাজারে প্রচলিত সস্তা ডার্ক চকলেটে এসব উপকারিতা পাবেন না এবং চকলেট কেনার সময় অবশ্যই লেবেল পড়ে নিতে ভুলবেন না।

বাদামী চাল : বাদামী চাল ও অন্যান্য অপ্রক্রিয়াজাত শস্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা প্রদাহ উপশমে সাহায্য করতে পারে। আঁশ সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন কমাতে পারে- এ পদার্থটি রক্তে পাওয়া যায়, যা প্রদাহের প্রতি প্রতিক্রিয়া হিসেবে যকৃত দ্বারা উৎপন্ন হয়, হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে। এ খাবারের সঙ্গে অন্যান্য প্রদাহবিরোধী খাবার ও পুষ্টিকর খাবার খান।

আঙুর : রেসভিরাট্রোলের জন্য কিছু আঙুর বা মালবেরি খান। রেসভিরাট্রোল প্রদাহমূলক এনজাইমকে তেমনভাবে বাধা দেয়, যেমনটা করে অ্যাসপিরিন, কিন্তু এক্ষেত্রে পাকস্থলি প্রতিক্রিয়া দেখায় না। আঙুরে অ্যান্থোসায়ানিনও থাকে, এটিও প্রদাহ কমায়।

চেরি : চেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক কেমিক্যাল থাকে, যা চেরিকে লাল ও নীল করে এবং এটি তেমনভাবে প্রদাহের সঙ্গে যুদ্ধ করে যেমনটা করে অ্যাসপিরিন। বেরিতেও অ্যান্থোসায়ানিন পাওয়া যায়, যেমন- রাস্পবেরি ও স্ট্রবেরি হলো প্রদাহবিরোধী খাবার।

পেঁয়াজ ও রসুন : পেঁয়াজ ও রসুনের মতো কন্দ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহবিরোধী পদার্থ রয়েছে। এছাড়া এসব খাবারে সালফার কম্পাউন্ড থাকে যা ইমিউন সিস্টেমকে সবকিছু মসৃণভাবে সক্রিয় রাখতে প্ররোচিত করে।

গ্রিন ও ব্ল্যাক টি : চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফ্লেভানয়েড থাকে যা কোষকে সুরক্ষিত রেখে আর্থ্রাইটিসের মতো দশাকে আরো খারাপ হতে দেয় না। গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ে এমন একটি কেমিক্যাল রয়েছে যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়ে। তাই সকালে কফির পরিবর্তে গ্রিন টি পানের কথা বিবেচনা করতে পারেন।

ব্রোকলি : এই সবজিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। ব্রোকলিতে উচ্চমাত্রায় সালফোরাফেনও রয়েছে, যা সাইটোকিনের মাত্রা কমিয়ে প্রদাহ প্রশমিত করে। সালফোরাফেন সমৃদ্ধ অন্যান্য প্রদাহ হ্রাসকারী খাবার হলো পাতাকপি, বাঁধাকপি, বক চয়, ফুলকপি ও ব্রাসেলস স্প্রাউটস।

তৈলাক্ত মাছ : স্যালমনের মতো তৈলাক্ত মাছ, আখরোট বাদাম, তিসি বীজ, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, অলিভ অয়েল ও ক্যানোলা অয়েলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বলে এগুলো শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী খাবার। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, পিঠ ও ঘাড় ব্যথায় ভোগা যেসব লোক তিন মাস ধরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাপ্লিমন্ট সেবন করেছিল তাদের সার্বিক ব্যথা হ্রাস পেয়েছিল। ব্যথা তাড়াতে সপ্তাহে অন্তত দুবার তৈলাক্ত মাছ খান ও প্রতিদিন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট সেবনের কথা বিবেচনা করতে পারেন।

সয়া প্রোটিন : ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের গবেষণা অনুসারে, অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভোগা যেসব পুরুষ তিন মাস ধরে প্রতিদিন ৪০ গ্রাম সয়া প্রোটিন খেয়েছিল তাদের ব্যথা হ্রাস পেয়েছিল এবং তারা আরো সহজে নড়াচড়া করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু যারা খাননি তারা এসব সুফল পাননি। অন্যান্য গবেষণায় পাওয়া যায়, সয়া খাবার খেলে নারীদের প্রদাহও হ্রাস পায়। আপনি শেক বা স্মুদিতে সয়া প্রোটিন পাউডার মেশাতে পারেন অথবা আপনার দৈনিক ডায়েটে সয়াবিন, টফু বা সয়া মিল্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

মাশরুম : মাশরুমের বিভিন্ন উপাদান প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে, যেমন- ফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, গবেষণা অনুযায়ী। একটি বিশেষ মাশরুম হলো লায়ন’স মানি- এ মাশরুমটিরও কিছু প্রদাহবিরোধী উপাদান রয়েছে।

সাউয়েরক্রাউট : অন্ত্রের সমস্যার সঙ্গেও প্রদাহের যোগসূত্র রয়েছে, তাই প্রদাহবিরোধী ডায়েট হিসেবে সাউয়েরক্রাউট, দই ও কিমচির মতো ফার্মেন্টেড খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ফার্মেন্টেড খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা কেবলমাত্র প্রদাহ হ্রাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, গবেষণায় দেখা গেছে যে এসব খাবার রক্তচাপও কমাতেও পারে- যদি এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

অ্যাভোকাডো : প্রদাহ হ্রাসের ক্ষেত্রে অ্যাভোকাডোর ভূমিকা প্রদাহ প্রশমনকারী অন্যান্য খাবারের তুলনায় কম হলেও এ ফলের পেছনে অর্থব্যয় করতে পারেন, কারণ এটিতে অনেক পুষ্টি রয়েছে। অ্যাভোকাডোতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (যেমন- ক্যারোটিনয়েড ও টকোফেরল) প্রদাহ প্রশমন করে। এ পুষ্টিকর ফলটি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।

বিনস : গবেষণা বলছে যে বিনসে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা একটি শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী খনিজ, ইউ.এস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশনের মতে, বিনস রক্তে প্রাপ্ত প্রদাহের একটি ইন্ডিকেটর হ্রাস করতে পারে। প্রদাহ প্রশমনের জন্য সর্বোত্তম বিনস হলো ছোট লাল বিনস, কিডনি-আকৃতির বিনস ও পিন্টো বিনস।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট