ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
১. ‘হরিত্’ শব্দের অর্থ কী?
ক. সবুজ বর্ণ খ. নীল বর্ণ
গ. লাল বর্ণ ঘ. কালো বর্ণ
২. সালামের হাত থেকে নক্ষত্রের মতো কী ঝরে?
ক. রক্ত খ. অবিনাশী বর্ণমালা
গ. পোস্টার ঘ. মিছিল
৩. ‘মানবিক বাগান’ বলতে কী বোঝায়?
ক. মূল্যবোধ খ. মনের বাগান
গ. ফুলের বাগান ঘ. উদ্যান
৪. ভেলকিবাজ শব্দের অর্থ কোনটি?
ক. ভেলকি দেখানো খ. খেলোয়াড়
গ. ধোঁকাবাজ ঘ. সব কটি
৫. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কয়টি নদীর উল্লেখ আছে?
ক. ১টি খ. ২টি গ. ৩টি ঘ. ৪টি
৬. গ্রামবাংলায় মাথলা কারা মাথায় দেয়?
ক. কৃষক খ. শ্রমিক গ. দোকানদার ঘ. শিক্ষক
৭. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটিতে কার মায়ের কথা রয়েছে?
ক. টুনির মায়ের খ. সখিনার মায়ের
গ. টুসুর মায়ের ঘ. টেপির মায়ের
৮. ‘নিপুণ’ শব্দটির প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
ক. পটু খ. সমর্থ গ. দক্ষ ঘ. আনাড়ি
৯. নিচের কোনটি ভিন্নার্থক শব্দ?
ক. স্ফুলিঙ্গ খ. আগুন
গ. আগুনের ফুলকি ঘ. অগ্নিকণা
১০. ‘ইস্তাহার’ বলতে কী বোঝায়?
ক. খবর খ. প্রচারপত্র গ. প্রার্থনা ঘ. ইস্তাগফার
১১. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার কবি কোন পথে কৃষ্ণচূড়া দেখেছেন?
ক. গ্রামের পথে খ. শহরের পথে
গ. গঞ্জের পথে ঘ. পাহাড়ি পথে
১২. কবি ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় আগের কোন আন্দোলনকে স্মরণ করেছেন?
ক. ১৯৪৩-এর মন্বন্তর খ. সিপাহি বিদ্রোহ
গ. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
ঘ. ছয় দফা আন্দোলন
১৩. ‘এগারো দফা’ কখন ঘোষণা করা হয়?
ক. ১৯৬৭ সালে খ. ১৯৬৮ সালে
গ. ১৯৬৯ সালে ঘ. ১৯৭০ সালে
১৪. ‘—বুক পাতে ঘাতকের থাবার সম্মুখে।’ কে?
ক. সালাম খ. বরকত গ. রফিক ঘ. জব্বার
১৫. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—
i. বিচ্ছিন্নতা ii. সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা
iii. বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জীবনযুদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii ও iii গ. iii ঘ. i ও iii
১৬. ১৯৬৯ সালটি কোন আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়?
i. ভাষা আন্দোলন ii. গণ-অভ্যুত্থান
iii. স্বাধীনতাসংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i ও ii
১৭. সালামের হাতে অবিনাশী বর্ণমালা কিসের মতো ঝরে?
i. বৃষ্টির মতো ii. ফুলের মতো iii. নক্ষত্রের মতো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. iii
শব্দার্থ ও টীকা
শস্যহীন জনবহুল এ অঞ্চল -ঔপন্যাসিক বাংলাদেশের এমন একটি বিশেষ অঞ্চলের বর্ণনা দিয়েছেন যেখানে ফসল এবং খাদ্যশস্যের প্রচণ্ড অভাব অথচ, জনসংখ্যার আধিক্য বর্তমান।
বেরিয়ে পড়বার... করে রাখে - অভাবের তাড়নায় দেশের একটি বিশেষ অঞ্চলের মানুষ জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে অজানার উদ্দেশ্যে। এই অজানা, অচেনা স্থান সম্পর্কে তার মধ্যে অনিশ্চয়তার শঙ্কা কাজ করে সেটিই এখানে বোঝানো হয়েছে।
নলি -নৌকা চালানোর জন্য চিকন ও লম্বা বাঁশ বিশেষ।
জ্বালাময় আশা -তীব্র ক্ষুধা ও যন্ত্রণাময় জীবন থেকে মুক্তির প্রত্যাশা।
হা শূন্য -অভাবগ্রস্ত। দারিদ্র্য।
দিনমানক্ষণের সবুর -মুহূর্তের অপেক্ষা। সামান্য সময়ের প্রতীক্ষা।
ফাঁসির শামিল -মৃত্যুর অনুরূপ।
ঝিমধরা -অবসন্ন। স্থির।
সর্পিল গতিতে -সাপের আঁকাবাঁকা চলনের মতো।
সজারু কাঁটা হয়ে ওঠে- হঠাৎ জেগে ওঠে। সচল হয়।
বহির্মুখী উন্মত্ততা- কাজের সন্ধানে বাইরে যাওয়ার ব্যাকুলতা।
জানপছানের লোক- আত্মীয়-স্বজন। প্রিয়জন।
দেহচ্যুত হয়ে- ইঞ্জিন যখন ট্রেনের বগি থেকে পৃথক হয়।
সরভাঙা পাড়- প্রবল স্রোতে নদীর ভেঙে যাওয়া পাড়।
শস্যের চেয়ে টুপি বেশি- ঔপন্যাসিক যে এলাকার বর্ণনা দিয়েছেন, সেখানে প্রচণ্ড অভাবের পাশাপাশি মানুষগুলো ধর্মভীরু। খাদ্য না থাকলেও মানুষের মধ্যে ধর্মচর্চার কার্পণ্য নেই- এটাই বোঝানো হয়েছে।
হেফজ- মুখস্থ। কণ্ঠস্থ।
সরগলা কেরাত- চিকন সুরে কোরান পাঠ।
ফিকে দাড়ি- পাতলা বা হালকা দাড়ি।
কিতাবে যে বিদ্যে...লোক আবার নেই-পূর্বের লিখিত বিষয় পুস্তকে যেন স্থির ও স্থবির হয়ে আছে। তাকে গতিশীল এবং আধুনিক যুগোপযোগী করার মতো কেউ নেই।
নখোদার এলেমে বুক...পেট শূন্য বলে- ধর্মীয় বিদ্যা এবং ধর্মচর্চাদ্বারা ক্ষুধার্ত মানুষের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
বাহে মূলুকে- উত্তরবঙ্গ এলাকায়।
নিরাক-পড়া-বাতাসহীন নিস্তব্ধ গুমোট আবহাওয়া। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
আকাশটা বুঝি চটের মতো চিরে গেল-টানিয়ে রাখা চটে কাঁচি চালানোর সাথে সাথে যেমন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত একেবারে চিরে যায় তেমন অবস্থা বোঝাতে উপমাটি ব্যবহৃত হয়েছে।
গলুই- নৌকার সামনের বা পেছনের শক্ত ও সরু অংশ।
চোখে ধারালো দৃষ্টি- চোখের সূক্ষ্ম, কৌতূহলী ও আন্তর্ভেদী দৃষ্টি। পানি নিচের মাছের অবস্থান অনুমান করার মতো দৃষ্টি।
ধানের ফাঁকে ফাঁকে... এঁকেবেঁকে চলে- পানিতে নিমজ্জিত ধানক্ষেতে নৌকার এক প্রান্তে চালক খুব সাবধানী। নৌকা চালানোর সময় যেন কোনোভাবে ঢেউ বা শব্দ তৈরি না হয়। তেমনি অপর প্রান্তে জুতি-কোঁচ হাতে দাঁড়িয়ে শিকারি। তার দৃষ্টিকে সাপের এঁকেবেঁকে ছুটে চলার সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে ঔপন্যাসিক উদ্ধৃত উপমাটি প্রয়োগ করেছেন।
চোখে তার তেমনি...শিকারির সূচাগ্র একাগ্রতা- তাহের-কাদের মাছ ধরছে। কাদের সন্তর্পণে নৌকা চালাচ্ছে। তাহের নৌকার সম্মুখভাবে-তার দৃষ্টি যেন সূচের অগ্রভাগের মতো তীক্ষ্ণতাসম্পন্ন। যেখানেই মাছ থাকুক না কেন-দৃষ্টি সূক্ষ্মতায় তা চোখে ধরা পড়বেই।
দাঁড় বাইছে, ... পানি নয়, তুলো- কাদের পেছনে বসে নৌকা চালাচ্ছে। সামনে তাহের। তার ইশারা মতো এতটা সাবধান, সতর্ক ও নিঃশব্দে নৌকা চালাচ্ছে সে। লেখক এখানে পানিকে তুলোর সাথে তুলনা করেছেন। পানিতে বা নৌকায় শব্দ হলে মাছ পালিয়ে যাবে। এ কারণে শিকারিদের অবস্থান এবং বিচরণ নিঃশব্দে এবং সন্তর্পণে হওয়াই উচিত। তাহের কাদেরের নৌকা যেন পানিতে নয়-তুলার উপর দিয়ে চলছে।
ক-টা শিষ নড়ছে- খাদ্য গ্রহণের জন্য মাছ ধানগাছের পানির মধ্যকার অংশের গায়ে জমে থাকা শেওলায় ঠোকর দেয়। আবার কখনো বা পানির উপরকার শেওলা বা পানায় ঠোকর দিতে থাকে। ধানগাছের ডগা, শেওলা বা পানা নড়তে থাকলে শিকারি মাছের অবস্থান বুঝতে পারে।
আলগোছে-খুব সাবধানে, আলতোভাবে।
কোঁচ- মাছ ধরার জন্য নিক্ষেপণযোগ্য অস্ত্র। মাথায় তীক্ষ্ণ শলাকাগুচ্ছ যুক্ত বর্শা বিশেষ।
নিঃশ্বাসরুদ্ধ করা মুহূর্ত- দম বন্ধ হওয়া সময় চরম উত্তেজনাকর মুহূর্ত।
লোকেরা স্থির দৃষ্টিতে... সা-ঝাক- ধানক্ষেতে পানির মধ্যে মাছের অবস্থান দেখে তাহেরের পরবর্তী বিভিন্ন অ্যাকশানের বিবরণ এখানে দেওয়া হয়েছে। বিলের ভিতর অন্য নৌকার শিকারিরা দেখছে-তাহের কীভাবে নিঃশব্দে ডান হাতে কোঁচ তুলে বাম হাতের আঙুল দিয়ে ইশারা করে নৌকার অবস্থান, সামনে-পেছনে-ডাইনে-বায়ে নির্দেশ করছে। অবশেষে শরীরটাকে ধনুকের মতো বাঁকিয়ে অতি দ্রুত এবং জোরালোভাবে, সা-ঝাক্ শব্দে কোঁচ নিক্ষেপ করেছে।
চোক নিমীলিত- চোখ বোজা। মোনাজাত বা প্রার্থনার সময় একাগ্রতার জন্য চোখ বন্ধ রাখা হয়।
কোটরাগত নিমীলিত সে চোখে একটু কম্পন নেই- দেবে যাওয়া বন্ধ চোখ দুটির মধ্যে কোনো দ্বিধা, ভয় বা কম্পন নেই। নেই মিথ্যে বলার অপরাধবোধ। মানসিকভাবে সে খুব সাহসী।
এভাবেই মজিদের প্রবেশ... নাটকেরই পক্ষপাতী- চেনা নেই, জানা নেই; একটা গ্রামে হঠাৎ করে ঢুকে একটি অসাধারণ অভিনয়ে অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষকে আকৃষ্ট করে ফেলে আগুন্তুক মজিদ। অপরিচিত মানুষ দেখে ছেলে বৃদ্ধ সবাই কৌতূহলী হয়ে ওঠে। আর এই কৌতূহলকে কাজে লাগায় মজিদ। তার আদব-কায়দা অভিনয়, গ্রামের সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবকিছুকে কিছুটা ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই উপস্থাপন করেছেন লেখক।
নবাগত লোকটির কোটরাগত চোখে আগুন- শীর্ণকায় মজিদের দেবে যাওয়া চোখে আগুন। অসাধারণ অভিনয়। সে যখন বুঝে ফেলে গ্রামের মানুষগুলো মুর্খ কিন্তু কৌতূহলী-তখনই সে যে বিশাল মিথ্যাটিকে প্রতিষ্ঠিত করবে তার পূর্ব মুহূর্তের অভিনয়টি সে করে নেয়। তার চোখেমুখে ক্রোধের আগুন সবার অন্তরে ছড়িয়ে দিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে।
জাহেল- অজ্ঞ। মুর্খ। নির্বোধ।
বেএলেম- বিদ্যাহীন। লেখাপড়া জানে না এমন লোক।
আনপাড়হ্- যাদের পড়াশোনা জ্ঞান নেই এমন লোক।
বেচাইন- অস্থির। উতলা।
চড়াই-উতরাই ভাব- অস্তিরতাজনিত শুষ্কতা, ক্লান্তির ভাব।
চিকনাই- উজ্জ্বল। লাবণ্যময় চেহারা।
এখানে ধানক্ষেতে... আকাশে ভাসে না- যে স্থানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেখানকার মানুষ জমি-জমায় আবাদ করে- ফসল ফলিয়ে ভালোই আছে কিন্তু তাদের অন্তরে খোদার প্রতি আগ্রহ বা অনুরাগের অভাব আছে।
দুনিয়ায় সচ্ছলভাবে...সে খেলা সাংঘাতিক - বস্তুত মজিদ অভাবগ্রস্ত এলাকার অধিবাসী। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে এলাকা ছেড়েছে সে। মহব্বতনগরে এসে সেখানকার মানুষকে বোকা বানিয়ে যে মিথ্যে মাজার ব্যবসার পথে অগ্রসর হয়েছে লেখক তাকে সাংঘাতিক বা ভয়ংকর ‘খেলার’ সাথে তুলনা করেছেন। যদি কখনো এই মিথ্যার রহস্য উন্মোচিত হয়ে যায় তখন সামাল দেওয়া মজিদের পক্ষে কতটা সম্ভব সে কথা ভেবেই লেখক এ মন্তব্য করেছেন।
জমায়েতের অধোবদন চেহারা- মজিদ যখন মিথ্যা মোদাচ্ছের পিরের মাজারের কথা বলে উপস্থিত গ্রামবাসীকে গালাগালি করছিল তখন তাদের ভেতরে একটা অপরাধবোধ কাজ করছিল। সত্যিই তারা পিরের মাজারকে এরকম অযত্ন অবহেলায় ফেলে রেখেছে? এ কারণে তাদের অপরাধী মুখ নিচু হয়ে আছে- চেহারায় প্রকাশ পেয়েছে লজ্জা মিশ্রিত অপরাধবোধ।
সালু- এক রকম লাল সুতি কাপড়।
মাছের পিঠের মতো-এটি একটি উপমা। মাছের পিঠের মাঝখানটা যেমন উঁচু, মাজারের মাঝখানটাও তেমনি উঁচু।
বতোর দিনে- জমিতে বীজ বপন বা ফসল বোনার এবং ফসল কাটার উপযুক্ত সময়।
মগরা মগরা ধান- প্রচুর ধান। গোলা বা মোড়া ভর্তি ধান।
হাড় বের করা দিনের কথা- প্রচণ্ড অভাবের দিনের কথা। না খেতে পেরে অপুষ্টি অনাহারে ক্লিষ্ট মানুষের বুকের পাঁজরের হাড় জেগে ওঠে। এ রকম অবস্থার কথা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
বেওয়া- বিধবা
রা নেই- কথা বা আওয়াজ নেই। রব। সাড়া। শব্দ। ধ্বনি। মুখের কথা নেই।
মাটি-এ গোস্বা করে- মাটি রাগ করে।
কবরে আজাব হইব- কবরে শাস্তি হবে।
বেগানা- অনাত্মীয়।
গলা সীসার মতো অবশেষে লজ্জা আসে রহিমার সারা দেহে- সীসা একটি কঠিন ধাতব পদার্থ। আগুনে পোড়ালে তা গলে যায় এবং যে পাত্রে রাখা যায় তাতে ছড়িয়ে পড়ে সমান্তরালভাবে। মজিদের উপদেশ বাণী শোনার পর লজ্জা রহিমার সমস্ত শরীরে ওই রূপ ছড়িয়ে পড়ে। এটি একটি উপমা।
গ্রামের লোকেরা যেন-রহিমারই অন্য সংস্করণ- রহিমা মজিদের স্ত্রী। তার অনুগত ও বাধ্য। মজিদের ভয়ে সে ভীতও। মজিদের চোখের ভাষা বোঝে সে। তাছাড়া সে ধর্মভীরু। গ্রামের মানুষগুলোও তারই মতো একই রকম ধর্মভীরু ও মজিদের প্রতি অনুগত।
আত্মমর্যাদার ভুয়ো ঝাণ্ডা উঁচিয়ে রাখবার- জমির মালিকানা সংক্রান্ত ধারণা। গ্রামে যে যত বেশি জমির মালিক, সে তত বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। এই মালিকানার মর্যাদাকে লেখক ঝান্ডা উঁচিয়ে রাখার সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে যে বৈষয়িক অহমিকা তাকে লেখক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভুয়ো বা আমার বলে অভিহিত করেছেন।
মাটির এলো খাবড়া দলাগুলো- মাটির ঢেলা, কোদাল দিয়ে কোপানো বা লাঙল দিয়ে চাষ করার পর মাটির যে ছোট ছোট খণ্ড তৈরি হয় সিপাইর খন্ডিত ছিন্ন দেহের একতাল অর্থহীন মাংসের মতো জমিজমা নিয়ে মানুষে মানুষে বিবাদ হয়, হানাহানি, ঝগড়া, বিবাদ, মারামারি এমন কি রক্তারক্তিও হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সৈনিকের অর্থহীন খণ্ডিত দেহের মাংসপিণ্ডের সঙ্গে জমি নিয়ে এই বিবাদ বিসংবাদের অর্থহীনতাকে তুলনা করা হয়েছে। এটি একটি উপমা।
রুঠাজমি- অনুর্বর ভূমি নিষ্ফলা জমি।
শূন্য আকাশ বিশাল নগ্নতায় নীল হয়ে জ্বলেপুড়ে মরে- মেঘ বৃষ্টিবিহীন নীল আকাশকে কেমন
উন্মুক্ত-ন্যাংটা মনে হয়। রোদের তাপদাহে মাঠ-প্রান্তরের মাটি ফেটে চৌচির। বৃষ্টি আর মেঘ শূন্যতায় আকাশকেই মনে হয় শূন্য। তার নীলের ভেতর মৃত্যু যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছু নেই যেন।
নধর নধর-কমনীয়, সরস ও নবীন।
কোঁদে কোঁদে পানি তোলে-বিশেষ এক ধরনের পাত্রে এবং গ্রাম্য পদ্ধতিতে জমিতে সেচ দেওয়া।
মাটির তৃষ্ণায় তাদেরও অন্তর খাঁ খাঁ করে- কৃষক শ্রম দিয়ে মেধা মনন দিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে মাঠে ফসল ফলায়। ফসল ফলানোর এক পর্যায়ে মাঠে পানি দিতে হয়। পানির অভাবে চারাগাছ শুকিয়ে যায়-হলুদ হয়ে মারা যায়, মাটি শুষ্ক হয়ে মাঠ ফেটে যায়। এ অবস্থা দেখে কৃষকের বুক ফেটে যায় অজানা শঙ্কায়।
দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো কাস্তে- অমাবস্যার দুইদিন পরের চাঁদ-দ্বিতীয়ার চাঁদ। নতুন ওঠা এই চাঁদের আকৃতি বাঁকা কাণ্ডের মতো। যে কাস্তে হাতে কৃষক মাঠের ধান কাটে আর মনের আনন্দে গান ধরে।
তাগড়া- বলিষ্ঠ লম্বা-চওড়া।
গাঁট্টাগোট্টা- খর্ব ও স্থূল অথচ বলিষ্ঠ দৃঢ় অস্থি গ্রন্থিযুক্ত, আঁটসাঁট দেহবিশিষ্ট।
শ্যোন দৃষ্টি- বাজপাখি বা শিকারি পাখির মতো দৃষ্টি।
ঝালরওয়ালা সালু কাপড়ে... অবজ্ঞা করে যেন- মহব্বতনগরের মানুষের অকৃত্রিম হাসি, অনাবিল আনন্দ মজিদকে করে তোলে ভীতসন্ত্রস্ত। গ্রামের মানুষ যদি ফসলের মাধ্যমে সচ্ছলতা অর্জন করে ফেলে তাহলে তাদের মনে খোদার প্রতি আনুগত্য কমে যাবে-কমে যাবে মজিদের প্রতি নির্ভরশীলতা। মজিদ তো চায় গ্রামের মানুষ অভাব অনটনে থাকুক, ঝগড়া-বিবাদ, হানাহানি-রাহাজানিসহ বিভিন্ন ফ্যাসাদে জড়িয়ে থেকে মজিদের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু তারা নির্ভেজাল জীবন যাপন করলে মজিদ সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এই মনোভাবই এখানে ব্যক্ত হয়েছে।
রিজিক দেনেওয়ালা- জীবনোপকরণ বা অন্ন-বস্ত্র দাতা, খাদ্য যোগানদার।
বুত পূজারী- যারা মূর্তি পূজা করে।
নছিহত- উপদেশ। পরামর্শ।
খতম পড়াবার- অনাবৃষ্টি বা অন্য কোনো বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা পবিত্র কোরান-শরিফ পড়ানোর ব্যবস্থা করে। কোরান শরিফের ৩০ পারা পড়ে শেষ করাকে কোরান খতম বলে। এর মাধ্যমে মঙ্গল ও কল্যাণ সাধন হবে বলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মনে করেন।
কলমা- কলেমা। ইসলাম ধর্মে পাঁচটি কলেমা আছে। এর প্রথমটি কলেমা তাইয়েব-‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসুলুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নাই; মুহম্মদ (সা) আল্লাহর রসুল-অর্থাৎ মুহম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ।
মুরুক্ষু- মুর্খ। বোকা।
আমসিপারা- আরবি বর্ণমালার উচ্চারণসহ সুরা সংকলন। পবিত্র কোরান শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ।
মক্তব- মুসলমান বালক-বালিকাদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রাথমিক বিদ্যালয় বা শিক্ষালয়।
জুম্মাবার- শুক্রবার দিন জোহরের সময়ে মুসলমানদের জামাতে অংশগ্রহণ করে আদায়কৃত নামাজ।
রা-নেই-রব। সাড়া। শব্দ। ধ্বনি। মুখের কথা নেই।
তারস্বর- অতি উচ্চ শব্দের চিৎকার।
ধামড়া- বয়স্ক। পাকা।
মারুফ- মহান পুরুষ। মহাপুরুষ।
রুহ- আত্মা। অন্তরাত্মা।
মহা তমিস্রা- গভীর অন্ধকার। ঘোর অমানিশা।
রহমত- করুণা। দয়া। কৃপা। অনুগ্রহ।
মওত- মৃত্যু। মরণ।
ঢেঙা- লম্বা। পাতলা শরীর।
শয়তানের খাম্বা- খাম্বা অর্থ খুঁটি বা স্তম্ভ। এখানে হাসুনির মার বাপ তথা তাহের কাদেরের বাপকে মজিদের দৃষ্টিতে শয়তানের খুঁটি বলা হয়েছে। তাহেরের বাপ বুড়ো, তার সঙ্গে স্ত্রীর সর্বদা ঝগড়া লেগে থাকে। এ দিকে বুড়োর মেয়ে হাসুনির মা মজিদের কাছে এসে বাপের বিরুদ্ধে নালিশ জানায়। তাহেরের বাপ কিছুটা বোকা ও একরোখা। এটি মজিদের মোটেই পছন্দ নয়। মজিদ ভাবে এই বুড়োই শয়তানের খাম্বা।
বাজখাঁই গলায়- গম্ভীর ও কর্কশ স্বরে।
ব্যাক্কই- বেবাক। সবাই। সকলেই।
ঝুটমুট- মিথ্যা। বানানো কথা।
ঢোল-সোহরত- কোনো বিষয় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রচার করা, প্রচারের ব্যাপকতা অর্থে।
সুরা ফাতেহা- পবিত্র কোরানের প্রথম সুরা।
নেকবন্দ- পুণ্যবান। মহাপুরুষ।
ঋজুভঙ্গিতে- সোজাসুজিভাবে।
রসনা প্রক্ষিপ্ত হয়েছে- জিহ্বা বেরিয়ে এসেছে।
সুরায়ে আল-নুর- পবিত্র কোরান-শরিফের একটি সুরা- যেখানে মানব জাতিকে আলোর পথ দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি মূলত নারীদের বিভিন্ন বিধান বর্ণিত হয়েছে।
কেরাত- পবিত্র কোরান-শরিফের বিশুদ্ধ পাঠ।
চোখ-নাবায়- চোখ নত করে। মাথা নত করে নিচের দিকে তাকায়।
হলফ- সত্য কথা বলার জন্য যে শপথ করা হয়। শপথ। প্রতিজ্ঞা।
রদ্দি- পচা। বাসি।
রুদ্ধ নিঃশ্বাসের স্তব্ধতা-দম বন্ধ করা বা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো নীরবতা।
দোজখের লেলিহান শিক্ষা- নরকে দাউ দাউ করা আগুনের শিখা।
ঢেঙা বদমেজাজি বৃদ্ধ লোকটি- লম্বা বা দীর্ঘদেহী উগ্র মেজাজি বা রগচটা বুড়ো মানুষটি। এখানে তাহের-কাদেরের বাপের কথা বলা হয়েছে।
আমসিপানা মুখ- শুকিয়ে যাওয়া মুখ।
তির্যক ভঙ্গিতে- বাঁকা। অসরল। কুটিলভাবে।
বাজপাখি- এক ধরনের শিকারি পাখি।
আথলি-পাথালি- এলোমেলো।
লোটা- ঘটি। পাত্র বিশেষ।
নেকবন্দ- পূন্যবান।
বালা- আপদ-বিপদ।
মগড়ার পর মগড়া- ধান সংরক্ষণের গোলার প্রাচুর্য বোঝাতে।
শোকর গুজার- কৃতজ্ঞতা। প্রশংসা। তৃপ্তি বা তুষ্টি প্রকাশ
তোয়াক্কল- ভরসা। নির্ভর।
নিতিবিতি করে- সংকোচে ইতস্তত করা।
পির- মুসলিম দীক্ষাগুরু। পুণ্যাত্মা।
মুরিদ-মুসলমান ভক্ত বা শিষ্য। সাধক।
খড়গনাসা-গৌরবর্ণ চেহারা- ধারালো নাকবিশিষ্ট সুন্দর উজ্জ্বল চেহারা।
এস্তেমাল-ব্যবহার করা। আয়ত্ত করা।
রুহানি তাকত ও কাশফ-আত্মিক শক্তি উন্মোচন করা।
কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ-অমাবস্যার পূর্বে চাঁদ ছোট হতে হতে হঠাৎ যেমন মিলিয়ে যায়। এটি একটি উপমা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
বাতরস স্ফীত পদযুগল-পির সাহেবের বাতরোগগ্রস্ত পায়ের কথা এখানে বলা হয়েছে।
কালো মাথার সমুদ্র-অনেক মানুষের মাথার চুল এক সঙ্গে একটি কালো সমুদ্রের মতো মনে হয়। এটি একটি উপমা।
বয়েত- কবিতাংশ; আরবি, ফারসি বা উর্দু কবিতার শ্লোক।
বেদাতি- ইসলাম ধর্মের প্রচলিত রীতির বাইরের কিছু।
তকলিফ- কষ্ট।
জঈফ- অতি বৃদ্ধ।
রেস্তায়- সম্পর্কে। আত্মীয়তায়।
সটকাইছে- পালিয়ে গেছে।
কেরায়া নায়ের মাঝি- ভাড়াখাটা নৌকার মাঝি।
রেহেল- কোরান শরিফ রাখার জন্য কাঠের কাঠামো।
তাছির- প্রভাব।
উচক্কা- অবাধ্য। ডানপিঠে। দুরন্ত
বৃষ্টি পানিসিঞ্চিত জঙ্গলের মতো-বৃষ্টির পানি পেয়ে জঙ্গল যেমন আরও ঘন হয়ে উঠে-তেমন।
শিরালি- শিলাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যারা মন্ত্র বা দোয়া পড়ে।
বরগা- ছাদের ভর ধরে রাখার কাঠ বা লোহা।
হুড়কাণ্ড দরজার খিল।
বাজা মেয়ে- বন্ধ্যা নারী। যে নারীর সন্তান হয় না।
মৃত মানুষের খোলা চোখের মতো- এটিও একটি উপমা। মাজারের পিঠের ওপর থেকে কাপড়টি সরে যাওয়ায় তাকে তাকিয়ে থাকা মরদেহের মতো মনে হয়।
বাইরে আকাশে শঙ্খচিল... ডাকাডাকি করে অবিশ্রান্ত-এটি একটি রূপকার্থক বাক্য। শঙ্খচিল স্বাধীনভাবে আকাশে উড়ে, কাকও স্বাধীনভাবে ডাকাডাকি করে। এখানে বস্তুত জমিলার স্বাধীন সত্তার রূপকার্থক পরিচয় জ্ঞাপন করে।
দুলার বাপ- বরের বাবা। শ্বশুর।
ঠাটাপড়া- অকস্মাৎ বজ্রপাত হওয়া।
বালা- বিপদ।
রগড়ে- ডলে। ঘষে।
বর্তন- বড় থালা
এলেমদার- জ্ঞানী। বিদ্বান।
দিনাদির অধিকারী- আল্লাহ। স্রষ্টা
খোদার ঢিল- শয়তানকে তাড়ানোর জন্য বৃষ্টিরূপী শিলা।
নফরমানি- অবাধ্য।
তোয়াক্কল- বিশ্বাস। আস্থা।
বিশ্বাসের পাথরে যেন খোদাই সে চোখ-চোখের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের দৃঢ়তা বোঝাতে উৎপ্রেক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত।
উপন্যাসের পটভূমি : এই সমাজ থেকেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, বেছে নিলেন তাঁর উপন্যাসের পটভূমি, বিষয় এবং চরিত্র। তাঁর উপন্যাসের পটভূমি গ্রামীণ সমাজ; বিষয় সামাজিক রীতি-নীতি, ও প্রচলিত ধারণা বিশ্বাস, চরিত্রসমূহ একদিকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মভীরু, শোষিত, দরিদ্র গ্রামবাসী, অন্যদিকে শঠ, প্রতারক, ধর্মব্যবসায়ী এবং শোষক-ভূস্বামী।
লারসালুর চরিত্র
মজিদ: এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ ।শীর্ণদেহের এই মানুষটি মানুষের ধর্মবিশ্বাস, ঐশী শক্তির প্রতি ভক্তি ও আনুগত্য, ভয় ও শ্রদ্ধা, ইচ্ছা ও বাসনা-সবই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।মজিদ একটি প্রতীকী চরিত্র-কুসংস্কার, শটতা, প্রতারক, ধর্মব্যবসায়ী এবং শোষক-ভূস্বামী এবং অন্ধবিশ্বাসের প্রতীক সে।
রহিমা= মজিদের প্রথম স্ত্রী রহিমা ‘লালসালু’ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান মেয়ে চরিত্র। সরল প্রকৃতির বিধবা নি:সন্তান লম্বা চওড়া শারীরিক শক্তিসম্পন্না এই নারী পুরো উপন্যাস জুড়ে স্বামীর ব্যক্তিত্বের কাছে অসহায় হয়ে থাকলেও তার চরিত্রের একটি স্বতন্ত্র মাধুর্য আছে। স্বামীর প্রতি অন্ধ আনুগত্য ও ভক্তি। ধর্মভীরু মানুষেরা ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের কারণে যে কোমল স্বভাবসম্পন্ন হয় রহিমা তারই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
জমিলা :মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী তরুণী বধূ জমিলাকে সে নিয়ন্ত্রনে রাখার চিন্তায দিশেহারা হয়ে যায় তার জমিলার চরিত্রে বিদ্রোহের ভাব এব্ং জমিলার চরিত্রে কৈশোরক চপলতাই প্রধান।
আক্কাস= মহব্বতনগর গ্রামের শিক্ষিত যুবক মোদাব্বের মিঞার ছেলে আক্কাসকে নিয়ন্ত্রণ করার, যে নাকি গ্রামে একটি ইস্কুল দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, আক্কাস নামের এক নবীন যুবকের স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়।
খালেক ব্যাপারীর = খালেক ব্যাপারী ‘লালসালু’ উপন্যাসের অন্যতম প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্র। ভূ-স্বামী ও প্রভাব প্রতিপত্তির অধিকারী হওয়ায় তাঁর কাঁধেই >রয়েছে মহব্বতনগরের সামাজিক নেতৃত্ব। উৎসব-ব্রত, ধর্মকর্ম, বিচার-সালিশসহ এমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই যেখানে তার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত নয়। নিরাক-পড়া এক মধ্যাহ্নে গ্রামে আগত ভণ্ড মজিদ তার বাড়িতেই আশ্রয় গ্রহণ করে। একসময় যখন সমাজে মজিদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয় তখন খালেক ব্যাপারী ও মজিদ পরস্পর বজায় রেখেছে তাদের অলিখিত যোগসাজশ। সমন্ত উপন্যাসে আত্মমর্যাদাশীল ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারেনি।
আমেনা= এমনকি মজিদের প্রভাব প্রতিপত্তিও মেনে নিয়েছে অবনত মস্তকে; যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নিজের একান্ত প্রিয় প্রথম স্ত্রী আমেনা বিবিকে তালাক দেয়া।আমেনা বিবি তালাকপ্রাপ্তা হয়ে এই ঘটনার তিনদিনের মাথায় বাপের বাড়ি রওয়ানা হয়।
তাহের-কাদের ও হাসুনির মায়ের পরিবার=এই পরিবারের সদস্য হল তাহের , কাদের , ছোট ভাই রতন, বিাধরা বোন হাসুনির মা ও তার মেয়ে হাসুনি, ঢেঙ্গামিয়া এবং তার স্ত্রী
দুদু মিয়া= সাতছেলের বাপ .যাকে কিনা মজিদ কুটকৌশলের মাধ্যমে বাপবেটারে এক সাথে খৎনা করিয়ে দেয় । রতন= তাহের কাদের এর কনিষ্ঠ ভাই
ঢেঙ্গা মিয়া=তাহের কাদের এর বাপ যে কিনা একমাত্র ব্যাক্তি মজিদের বিপক্ষে বলে , কিন্ত সামাজিক অবস্থার কারণে তার কথা আমলে আসে না ।
হাসুনির মা = হাসুরি মা (তাহের,কাদের,রতন)এর বিধরা বোন, বাপের অবস্থা ভাল না এক মুঠোর মতো যে-জমি, সে-জমিতে ওদের পেট ভরে না। তাই টানাটানি, আধ-পেটা খেয়ে দিন গুজরান। বসে বসে অন্ন ধবংস করতে লজ্জা লাগে হাসুনির মায়ের। সে তো একা নয়, তার হাসুনিও আছে। তাই বাড়িতে-বাড়িতে ধান ভানে। কিন্তু একটা মুখ ফুটে চাইতে আবার লজ্জায় মরে যায়।
২। 'লালসালু' উপন্যাসে পীরের মাজারকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
ক) লালসালু খ) মাছের পিঠ✔️
গ) ঝালরওয়ালা ঘ) ছবি
৩।'কী মিয়া? তোমার দিলে কি ময়লা আছে?'- এখানে ময়লা শব্দটি কী অর্থে প্রয়োগ ঘটেছে?
ক) সন্দেহ খ) অন্ধকার✔️ গ) বিশ্বাস ঘ) কুমতলব
৪।'লালসালু' উপন্যাসে কোন বাস্তবচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে?
ক) ধর্মের নামে ব্যবসা ✔️ খ) মজিদের ভাগ্যান্বেষণ
গ) বহুবিবাহ প্রথা ঘ) অন্ধবিশ্বাস
৫।জমিলা মজিদের মুখে থুথু দেওয়ায় যে দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা হলো-
র. জমিলার প্রতিবাদী চেতনা
রর. জমিলা মজিদের প্রথা ভাঙতে চায়
ররর. জমিলার শিশুসুলভ আচরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর✔️
গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
৬। আজ সেখানে নির্ভেজাল নিষ্ঠুর হিংস্রতা। 'লালসালু' উপন্যাসের এ উক্তিটির মৌল উপজীব্য বিষয় হলো-
i. ক্ষোভে জ্বলে ওঠা মজিদের হৃদয়হীনতা
ii. মজিদের রাগান্বিত চোখের নির্দয় মানসিকতা
iii. মজিদের সমবেদনার সদিচ্ছার বাহ্যিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii✔️ খ) i ও iii গ) ii ও iii ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
যমুনা নদীর চরাঞ্চলে কোনো বিদ্যুৎ নেই। ফলে তারা অনেক বিষয়ে পিছিয়ে আছে। এ দুরবস্থা দেখে শহরে বসবাসরত সোহেল এ অঞ্চলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেন।
৮।উক্ত চরিত্র ও সোহেলের মধ্যে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
ক) কুসংস্কার খ) আধুনিক মনস্কতা✔️
গ) রোমান্টিকতা ঘ) প্রতিবাদী
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মমেনা প্রচণ্ড মাথাব্যথায় শুধু পীরের পড়াপানি খেতে চান। তার বিশ্বাস, পীরসাহেবের অলৌকিক শক্তিতে তার মাথাব্যথা ভালো হবে।
১০।উদ্দীপকের ভাবধারায় 'লালসালু' উপন্যাসের যে দিকটি ফুটে উঠেছে-
i. অন্ধবিশ্বাস ii. ধর্মীয় গোঁড়ামি iii. ধর্মীয় বিজ্ঞতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii✔️ খ) iও iii
গ) ii ও iii ঘ) ii, iii ও ররর
১। ফাহমিদা ও ফাহিয়ানের বিয়ের সাত বছর পেরোলেও তাদের কোনো সন্তান হয় না। কিন্তু গ্রামের লোকেরা সম্পর্কে নানা বাজে কথা বলে। চাকরি দেওয়ার নামে সে নাকি অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। ফাহমিদা এসব কথা কানে তোলে না, সে তার স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসে ও বিশ্বাস করে। ভবিষ্যতে বংশরক্ষার কথা চিন্তা করে ফাহিয়ান দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ফাহমিদা তার স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নেয় না; বরং প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।
ক) মজিদ কখন গ্রামে প্রবেশ করে? --১
খ) 'শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের বৈসাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) "উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের ঘটনা সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও চেতনা ভিন্ন"_ উক্তিটি বিচার কর। ৪
২। দিন কাটিয়া যায়। জীবন অতিবাহিত হয়। ঋতুচক্রে সময় পাক খায়। পদ্মার ভাঙনধরা তীরে মাটি ধসিতে থাকে, পদ্মার বুকে জল ভেদ করিয়া জাগিয়া উঠে চর, অর্ধ শতাব্দীর বিস্তীর্ণ চর পদ্মার জলে আবার বিলীন হইয়া যায়। জেলেপাড়ার শিশুর ক্রন্দন কোনো দিন বন্ধ হয় না। ক্ষুধা-তৃষ্ণার দেবতা, হাসি-কান্নার দেবতা, অন্ধকার আত্মার দেবতা, ইহাদের পূজা কোনো দিন সাঙ্গ হয় না।
ক) গ্রামের প্রতিবাদী শিক্ষিত যুবক কে? ১
খ) 'গ্রামবাসী যেন রহিমার অন্য সংস্করণ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের সাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) "উদ্দীপকটি 'লালসালু' উপন্যাসের আংশিক রূপায়ণ মাত্র"- আলোচনা কর। ৪
৩। ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটাছুটি করা, অবাধে সাঁতার কাটতে তার ভালো লাগে। অভাবের তাড়নায় ওয়াসিকাকে তার বাবা পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন। লোকটি গ্রামের মাতব্বর। তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও স্বাধীনচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।
ক. ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল? ১
খ. 'সজোরে নড়তে থাকা পাখিটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. ওয়াসিকা 'লালসালু' উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ - ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. 'উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি 'লালসালু' উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি- মূল্যায়ন করো। ---- ৪
৪। চেয়ারম্যান সাহেবের কথাই আইন, সিদ্ধান্তই বিচারের রায়। সাথে আছেন ফজর মুন্সি, ইউনিয়নের বড় মসজিদের ইমাম তিনি। শরিয়তের মারপ্যাঁচে খোদার দুনিয়ায় ক্ষমতা তার অনেক। দরিদ্র, অশিক্ষিত গ্রামবাসীদের সব সমস্যার সমাধান হয় ইউনিয়ন পরিষদে। ইমাম সাহেবের কথার ওপরে কথা নেই চেয়ারম্যানের। ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চলে নির্বিচার খবরদারি। বিবাহ-তালাক, মারামারি, গোণ্ডগোল, জমিজমা থেকে শুরু করে সমাজের সব কিছুতেই চেয়ারম্যান-ইমাম একে অপরের পরিপূরক।
ক. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কী? ১
খ. খালেক ব্যাপারীর সাথে মজিদের এত ঘনিষ্ঠতা কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ইউনিয়ন পরিষদের সাথে 'লালসালু' উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর বাড়ির সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩
ঘ. "উদ্দীপকে ও 'লালসালু' উপন্যাসে সামন্তবাদী সমাজে পুরোহিতের দৌরাত্ম্য লক্ষ করা যায়।"- বিশ্লেষণ করো। ৪
৫। আজ থেকে কয়েক শ বছর আগে ব্রিটিশরা এ দেশে এসেছিল এই অঞ্চল দখল করার জন্য। প্রথমে তারা এ অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষিত ও সভ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করে। ধীরে ধীরে তারা এ দেশের ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করতে থাকে। একপর্যায়ে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে শাসনের নামে সব ধরনের নির্যাতন চালাতে শুরু করে।
(ক) ‘লালসালু’ উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়? ১
(খ) ‘খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে’—উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
(গ) উদ্দীপকের ব্রিটিশদের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? বুঝিয়ে লেখো। ৩
(ঘ) ‘‘উদ্দীপকের ব্রিটিশ এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের ‘মজিদ’-এর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার কৌশল একই ধরনের’’—আলোচনা করো। ৪
৬।‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র টুনি। ১৩ বছর বয়সে টুনির বিয়ে হয় বাবার বয়সী মকবুলের সঙ্গে। সংসারের সব কাজ করলেও সে মন থেকে মকবুলকে কখনো স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। তাই দুই সতীনের সঙ্গে কোনো প্রকার রেষারেষি না থাকলেও অল্প বয়সী টুনি কখনো মকবুলের সংসারে মন বসাতে পারেনি।
(ক) মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী? ১
(খ) কে মজিদের মুখে থুথু নিক্ষেপ করেছিল এবং কেন? ২
(গ) উদ্দীপকের টুনির সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য আছে—নির্ণয় করো। ৩
(ঘ) উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের যে দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে, তা তোমার মতো করে বিশ্লেষণ করো। --৪
৭। শ্যামপুর গ্রামে কোনো স্কুল নেই। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। সন্তানকে পাঁচ মাইল দূরের স্কুলে পাঠানোর আগ্রহ তাদের নেই। গ্রামের মক্তবের পড়াশোনাই তাদের ভরসা। শিক্ষিত যুবক মনির গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মক্তবের মৌলভি সাহেব মাতব্বরদের বোঝাতে সক্ষম হন যে স্কুল হলে গ্রামে বখাটে ছেলেদের আড্ডা ও আনাগোনা বাড়বে; পড়াশোনার জন্য মক্তবই যথেষ্ট। মাতব্বরদের বাধায় মনিরের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থমকে যায়।
(ক) মহব্বতনগরে কে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? ১
(খ) ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’—উক্তিটির তাত্পর্য লেখো। ২
(গ) উদ্দীপকের মনির চরিত্রটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা করো। ৩
(ঘ) ‘উদ্দীপকের মৌলভি ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ নিজেদের স্বার্থহানির ভয়ে আধুনিক শিক্ষাকে ভয় পায়’—উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। --৪
৮।রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অনেকগুলো মাজারের অবস্থান। এগুলোর একটির রক্ষক এমদাদ গাজী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ মাজার রক্ষণাবেক্ষণ করলেও তিনি জানেন না সেখানে কে শায়িত আছে। নিজেকে অনেক অলৌকিক শক্তির অধিকারী মনে করেন তিনি, সেই সঙ্গে ভক্তবৃন্দের কাছেও তিনি পরম আকাঙ্ক্ষিত। দিনে দিনে অনেক ধন-সম্পদ বেড়ে গেল তাঁর। একসময় তিনি এক ভক্তের অল্পবয়সী এক কন্যাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সে কন্যা এমদাদ গাজীর অবাধ্য।
ক. কোন গ্রামে নামকরা পীর সাহেবের আগমন ঘটেছিল? ১
খ. ‘গ্রামের লোকেরা যেন রহিমারই অন্য সংস্করণ’—ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের এমদাদ গাজীর মানসিকতা ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রকে মনে করিয়ে দেয় আলোচনা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের এমদাদ গাজী ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের সংশ্লিষ্ট চরিত্রের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন’— তোমার অভিমত তুলে ধরো। ৪
৯।অনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রিধারী একজন সচেতন ছেলে। সে গ্রামের অসহায়, দুস্থ মানুষের সেবা করতে চায়। তাই তো সে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবে। তার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে গ্রামের অনেকেই স্বাগত জানায়; কিন্তু জমির শেখ এর বিরোধিতা করে। সে বলে, ‘মসজিদের উন্নয়ন না করে স্কুল বানাইলে খোদা নারাজ হবে।’
ক. মহব্বতনগরে কে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? ১
খ. মজিদ স্কুল নির্মাণে বাধা প্রদান করেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের অনিক ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছে—নির্ণয় করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের জমির শেখ ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং কেন, তা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৫. মজিদের মতে দুনিয়ার মানুষের মতো কারা তাকে ভয় পায়?
ক. ফেরেশতারা খ. জিন-পরিরা
গ. ভূতেরা ঘ. হিংস্র প্রাণীরা
উত্তর: খ
১৬. মজিদের মতে শয়তানকে তাড়ানোর জন্য আল্লাহ কী ছোড়ে?
ক. বৃষ্টি খ. বজ্র গ. শিলা ঘ. পাথর
উত্তর: গ
১৭. ‘ধান দিয়ে কী হইব, মানুষের জান যদি না থাকে?’—উক্তিটিতে মজিদের প্রতি রহিমার চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক. ক্ষোভ
খ. নিন্দা
গ. অভিমান
ঘ. কটু কথা
উত্তর: ক