শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

সমাস


প্রশ্ন: সমাস ও সন্ধির মধ্যে পার্থক্য লেখ

সমাস
১. পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততধিক পদের এক পদে মিলনের নাম সমাস।
২. পদ ও পদের মিলনে সমাস হয়।
৩. সমাস ছয় প্রকার, যথা : (ক) দ্বন্দ্ব, (খ) দ্বিগু, (গ) কর্মধারয়, (ঘ) তত্পুরুষ, (ঙ) অব্যয়ীভাব ও (চ) বহুব্রীহি
৪. সমাস বাক্যকে সংক্ষেপ করে
৫. যেসব পদে সমাস হয় তাদের বিভক্তি সাধারণত লোপ পায়। কেবল অলুক দ্বন্দ্বে বিভক্তি লোপ পায় না।
৬. সমাস লক্ষ রাখে অর্থের দিকে।
৭. সন্ধিতে দুই বর্ণের মাঝে যোগ চিহ্ন (+) ব্যবহার করা হয়। ৮. সপ্ত (সাত) অহের (দিনের) সমাহার=সপ্তাহ
৮. আর সমাস অনেক নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে।
সন্ধি
১. পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ধ্বনির একত্র মিলনকে সন্ধি বলা হয়।
২. দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলনে হয় সন্ধি।
৩. বাংলা ভাষায় সন্ধি উত্সগত দিক দিয়ে দুই প্রকারের, যথা : তত্সম শব্দের সন্ধি ও বাংলা শব্দের সন্ধি। বাংলা শব্দের সন্ধি গঠনগত দিক দিয়ে দুই প্রকার, যথা : (ক) স্বও সন্ধি ও (খ) ব্যঞ্জন সন্ধি। আর তত্সম শব্দের সন্ধি গঠনগত দিক দিয়ে তিন প্রকার, যথা : (ক) স্বর সন্ধি, (খ) ব্যঞ্জন সন্ধি ও (গ) বিসর্গ সন্ধি।
৪. সন্ধিতে বিভক্তি লুপ্ত হয় না । যেমন, হিম + আলয় = হিমালয়, এখানে ‘আ‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়নি।
৫. সন্ধি অল্প সংখ্যক নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে।

প্রশ্ন সমাস বলতে কী বোঝো? সমাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা উদাহরণসহ লেখো।

# সমাস = সম+আস। সমাস অর্থাৎ সহাবস্থান। পরস্পর অর্থ সংগতিবিশিষ্ট দুই বা বহুপদ মিলে একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। অর্থাৎ সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ। ভাষাকে সংক্ষেপ করাই এর কাজ। সমাসে অর্থের দিক থেকে মিল থাকতে হয়। যেমন, ধানের খেত কথাটিতে অর্থের দিক থেকে পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ রয়েছে এবং এখানে দুটি পদ। ধানের ও খেত মিলে একপদ ধানখেত হয়েছে। ‘জন্মদিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত উৎসব’ কথাগুলোকে সমাস করলে হয় ‘জন্মোৎসব’ পদ। এখানে অনেক পদ মিলে এক পদ হয়েছে। সমাস অর্থ মিলন বা একাধিক পদের একপদীকরণ। পদগুলো একসঙ্গে একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করবে। অনেক সময় পদগুলো মিলে একটি পদ হলেও মূল পদের অর্থই প্রকাশ করে। দুই বা বহুপদ মিলে একপদে পরিণত হলেও অর্থের কোনো তারতম্য হবে না।

সমাস গঠনের কিছু নিয়ম-কানুন আছে। যেমন: সমস্যমান পদ, সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদ, ব্যাসবাক্য, পূর্বপদ ও পরপদ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিলে সমাস নির্ণয় খুবই সহজ হবে। যে কটি পদ মিলে সমাস হয় সেগুলোকে সমস্যমান পদ বলে। যেমন: ধানের খেত=ধানখেত। ধানের খেত সমস্যমান পদ। আবার ‘ধানখেত’ সমস্ত পদ। সমস্যমান পদের প্রথমটিকে পূর্বপদ ও শেষের পদকে পরপদ বলা হয়। যেমন নীল যে পদ্ম=নীলপদ্ম। নীল পূর্বপদ ও পদ্ম পরপদ। সমাস বিশ্লেষণ করার জন্য যে পদ, বাক্য বা বাক্যাংশ ব্যবহার করা হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে। যেমন: হাতেখড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি। ‘দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে’ এই বাক্যাংশ হলো ব্যাসবাক্য।

সমাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা: বাংলা শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সমাসের বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। সমাসের সাহায্যে বক্তব্যকে সংক্ষেপ করা হয়। সমাসে একাধিক পদের সমন্বয়ে অর্থবোধক একটি নতুন পদ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে ভাষার প্রকাশরীতি একদিকে যেমন সুন্দর ও সহজ হয়, অন্যদিকে একটি মাত্র শব্দের ব্যবহার যথার্থ মনোভাবের প্রকাশ ঘটে। যেমন ‘রেলের ওপর দিয়ে চলে যে গাড়ি, সেই গাড়িতে ভ্রমণ আরামদায়ক।’ এ কথা যদি আমরা বলি ‘রেলগাড়িতে ভ্রমণ আরামদায়ক’ তাহলে বাক্যটি একদিকে যেমন সংক্ষিপ্ত হলো, আবার অন্যদিকে শ্রুতিমধুরও হয়। তাই বলা যায়, বাংলা ভাষায় সমাসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ সংক্ষেপে সুন্দর উপস্থাপনে মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সমাসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। রচনায় অল্প কথায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারা একটা বিশেষ গুণ। এ গুণের একটা বড় অংশ শেখা যায় কেবল সমাসের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে। ‘চর ও অচর’ না বলে যদি সমাসবদ্ধ শব্দ ‘চরাচর’ বললে সুন্দর শোনায়। সুতরাং বলা যায়, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভাব প্রকাশের সংক্ষিপ্ততা, শ্রুতিমাধুর্য, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও অলংকরণ—এসবের জন্য সমাসের ভূমিকা তুলনাহীন।

প্রশ্ন: সমাস কাকে বলে? সমাসের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: সমাসের সংজ্ঞা: পরস্পর অর্থসংগতি বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদের এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে।

প্রয়োজনীয়তা: সমাসের বহুবিধ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নিচে পর্যায়ক্রমে তা দেওয়া হলো:
ভাষা সংক্ষিপ্তকরণ: সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপকরণ। অর্থাত্ সমাস বাক্যের সংক্ষেপ সাধন করে। যেমন ‘যাদের অন্ন নেই, তারাই দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়’—এ বৃহত্ বাক্যটিকে সমাসসাধিত পদ ব্যবহার করে আমরা বলতে পারি, নিরন্নরা প্রতিদ্বারে ঘুরে বেড়ায়। অনুরূপ— ‘মাস্টার সাহেবের ঘরে আশ্রিত জামাই বাষ্প দ্বারা চালিত যানে ঢাকা গেলেন’; না বলে সংক্ষিপ্তাকারে আমরা বলতে পারি, মাস্টার সাহেবের ঘরজামাই বাষ্পযানে ঢাকা গেলেন। নতুন শব্দ গঠন: সমাস নতুন শব্দ গঠনের একটি অভিনব পদ্ধতি। যেমন জায়া ও পতি দুটো শব্দের মিলনে সমাসসাধিত নতুন শব্দ দম্পতি। ভাষার শ্রুতিমধুরতা বৃদ্ধি: সমাস ভাষাকে শ্রুতিমধুর, প্রাঞ্জল ও ছন্দোময় করে তোলে। যেমন: ‘রাজা সিংহ চিহ্নিত আসনে বসে আছেন’ না বলে, ‘রাজা সিংহাসনে বসে আছেন’ বললে বাক্যটি সুন্দর শোনায়।
বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ গঠন: বহুব্রীহি সমাস নিষ্পন্ন পদ সর্বদা বিশেষণরূপে ব্যবহূত হয়। যেমন: ক) পীত অম্বর যাহার = পীতাম্বর (কৃষ্ণ) বিশেষণ।
খ) না অতি দীর্ঘ = নাতিদীর্ঘ (বিশেষণ)।
গ) হাতে পরার ঘড়ি = হাতঘড়ি (বিশেষ্য)।
তুলনাকরণ: দুই পদের মধ্যে তুলনা বোঝাতেও সমাস ব্যবহূত হয়ে থাকে। যেমন: বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু।
প্রেম রূপ দরিয়া = প্রেমদরিয়া। সহচর শব্দ গঠন: সমাসের মাধ্যমে সহচর শব্দ গঠিত হয়। যেমন: সোনা ও রূপা = সোনারূপা।

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

যুক্তিবিদ্যা সহ অন্যান্য নোট


HSC যুক্তিবিদ্যা সহ বিভিন্ন নোট আপনাদের জন্য সুন্দর করে পিডিএফ দেওয়া আছে নিন্মলিখিত ওয়েব লিংঙ্কে টিচিং বিডি.কম (Teaching BD) এইখানে ক্লিক করুন

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

প্রশ্ন


বাংলা ২য়পত্র প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮
এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ অংশ প্রশ্নাবলী

✔️১.প্রশ্ন: বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর ।
✔️২.প্রশ্ন: ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
✔️৩.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
✔️৪.সাধু ও চলিত ভাষার পাঁটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।

◼️বাংলা উচ্চারণের নিয়ম (ধব্ণিতত্ত্ব)
১.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বাংলা উচ্চারণের ৫টি নিয়ম লেখ।
২.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বিশুদ্ধ উচ্চারণ প্রয়োজন কেন আলোচনা কর।
৩ অ’ ধ্বণি (আদ্য-অ ) উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
অথবা
বাংলা উচ্চরণে কখন অ-ধ্বনি ও রুপে উচ্চারিত হয ? উদাহরণ সহ পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৪ উদাহরণসহ ‘ব’ ফলার উচ্চরণের পাচঁটি নিয়ম লেখ।
৫.বাংলা ব্যকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
৬.
৭. ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৮.‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৯.‘এ’ ধ্বনির উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১০. ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১১. ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১২. বাংলা বানানে ই-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।
১৩. বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৪. উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৬বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৭ উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৮. বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুসারে শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।

◼️বাংলা বানানের নিয়ম (ধব্ণিত্ত্ব )
১.বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
✔️২.আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৩.বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ
৪.বাংলা বানানে ‍ু কার ব্যবহারের নিয়ম লেখ।
✔️৫ প্রশ্ন ণত্ব-বিধান বলতে কী বোঝ ? পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৬ প্রশ্ন ষত্ব -বিধান বলতে কী বোঝ ? ষত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৭.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৮. বাংলা বানানে ঈ-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।

◼️বাংলা ভাষার ব্যকরণিক শব্দশ্রেণি (উপসর্গ, অনুর্সগ ,প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমাস ,ধাতু ক্রীয়ামূল , )
১. প্রশ্ন: ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলতে কি বোঝ। কত প্রকার কী কী ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
২ প্রশ্ন: পদ ও শব্দের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর ?
৩.প্রশ্ন শব্দবলতে কী বোঝ ? উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়। উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ***
৪.প্রশ্ন: অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে , ভাগ করা যায় উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ****
অথবা
অর্থের পার্থক্যের বিচারে বাংলা শব্দ কয় প্রকার কী কী , উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৫.প্রশ্ন: গঠন অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমুহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
✔️৬ প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? বাংলা শব্দগঠনের উপায়গুলো উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
✔️প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণ সহ আলো চনা কর।
অথবা
✔️প্রশ্ন: কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় তা আলোচনা কর।
✔️.প্রশ্ন: শব্দগঠন বলতে কী বোঝ । কী কী উপায়ে (সার্থক) বাংলা ভাষার শব্দগঠিত হয়?
০০.প্রশ্ন: অর্থের পার্থক্য বিচারে বা অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ লেখ।

✔️৭.প্রশ্নঃ উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও ।
✔️০০’উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’ আলোচনা কর।

✔️৮.প্রশ্ন : প্রত্যয় বলতে কী বুঝ ? প্রত্যয় কত প্রকার কী কী উদাহরনসহ লেখ।
৯.প্রশ্ন : প্রত্যয়যোগে কিভাবে শব্দ গঠিত হয় , উদাহরনসহ ্পাঁচটি নিয়ম আলোচনা কর।
১০.প্রশ্ন:সংজ্ঞা লিখ: প্রকৃতি প্রত্যয়,স্ত্রী প্রত্যয়, বিদেশি প্রত্যয়।
১১.প্রশ্ন: বিদেশি প্রত্যয়যোগে গঠিত পাঁচটি শব্দের উদাহরণ দাও।
✔️১২ প্রশ্ন : সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কী উদাহরনসহ লিখ।
✔️১৩.প্রশ্ন বাংলা ভাষায সন্ধির প্রয়োজনীয়তা /আবশ্যকতা আলোচনা কর।
১৪.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি পরিহার্য ? উদাহরন সহ আলোচনা কর
✔️১৫.প্রশ্ন: সমাস কাকে বলে ? বালা ভাষাতে স মাসের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
✔️১৬.প্রশ্ন:উমমান ও উপমতি কর্মধারয় সমাসের পার্থক্য উদাহরণসহ লেখ।
✔️১৭.প্রশ্ন: অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে ?ভিন্নার্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণসহ লিখ।
◼️ বাক্যতত্ত্ব ( যতি চিহ্ন ,বিভিন্ন প্রকার বাক্য )

০০প্রশ্ন:বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুযায়ী বাক্যর প্রকারভেদ কী কী ? বাক্যের তিনটি গুণ কী কী ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর ।
১.প্রশ্ন: বিরম চিহ্ন বলতে কী বোঝ। বাংলা ভাষায় বিরাম-চিহ্নের আবশ্যকতা আলোচনা কর । [রা, বো, ০৯]
২.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রধান প্রধান বিরাম চিহ্নের ব্যবহার বা প্রয়োগ দেখাও। [চ ,বো ,১২]
৩.প্রশ্ন: ড্যাশ চিহ্ন কি এর বিভিন্ন ব্যবহার দেখাও। [চ,বো,০৯ রা , বো, ১০]
৪.প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ------

◼️ নির্মিত অংশ ৭০ নম্বর
পারিভাষিক শব্দ (যতগুলো পড়া যায ) পারিভাষিক শব্দ লিংক
অনুবাদ ইংরেজি হতে বাংলা (কম পক্ষে ১০টা এবং বেশী বেশী চর্চা করতে হবে )
সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কেন।
সমোচ্চারিত শব্দ কাকে বলে
বাগধারা বাগবিধি
বাক্য সংকোচন এক কথায প্রকাশ
প্রবাদ বচন

🔲◼️ অনুবাদ ❇️অনুচ্ছেদ রচনা ❇️ দিনলিপি ❇️ অভিজ্ঞতা বর্ণনা ❇️প্রতিবেদন রচনা ❇️ ভাষন রচনা ❇️ ( ❇️❇️৫টা)
মুক্তিযুদ্ধের একদিন একজন মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি বর্ণনা কর ।
ভাষন রচনা/ও প্রতিবেদন রচনা (প্রিয় শিক্ষার্থীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে ) ভাষণ
⏭ নমুনাঃ ১.স্কুল/কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।
⬀বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনমত গঠনের লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।

◼️সারাংশ ❇️, সারমর্ম ❇️❇️ভাবসম্প্রসারণ, ❇️সারসংক্ষেপ
অর্নিধারিত
◼️বৈদ্যুতিক চিঠি /ক্ষুদে বার্তা (ইমেইল ১টি ভাল ভাবে শিখলেই হবে)
পত্রলিখান/ আবেদন পত্র লেখা (যথাসাধ্য বেশী চর্চা করিবে )

১.ভি,পি,ডাকযোগে বই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক প্রকাশকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখ।
⏭ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হারানো মালের ক্ষতিপুরন দাবি করে একটি পত্র লেখ।
⏭ কলেজের ক্রীড়া বিভাগের জন্য সামগ্রী র মূল্য তালিকা চেয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট পত্র লেখ ।
⏮ তোমার স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ক্রয় করা হবে এজন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠাগুলি হতে দরপত্র আহ্বান কর।
✔️⬁প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর। (এক পৃষ্ঠায় লিখতে হবে)
⬀ কোন প্রতিষ্ঠিত পোশাক শিল্পে প্রোডাকশন ম্যনেজার পদের জন্য চকুরীর জন্য একটি দরখাস্ত লিখ।
✔️🔂🔂 কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে /বিপণন কর্মকর্তা /ম্যনেজার /হিসাবরক্ষক পদের জন্য তোমার যোগ্যতার বিবরন দিয়ে একটি চকুরীর দরখাস্ত লিখ ।
◼️ সারাংশ সারমর্মও সারসক্ষেপ (যথাসাধ্য বেশী পড়ার চেষ্টা করা উচিৎ )
ভাবসম্প্রসারণ এই খানে ক্লিক করুন
◼️ সংলাপ,ক্ষুদে গল্প রচনা এই খানে ক্লিক করুন
১ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ তৈরী কর।
২ ভ্রমনের স্থান নির্বাচনের জন্য দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩ ইন্টার নেটের সুফল কূফল বিষয়ে পিতা-পুত্র ও মায়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
◼️প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা (যতটা সম্ভব এবং আপনার কলেজের ফাইনাল সাজেশান )
১ .বাংলাদেশের রুহিঙ্গা সমস্যা
২.পরিবেশ দুষন ও তার প্রতিকার
৩.বর্তমান সভ্যতায় বিদ্যুতের ভূমিকা
৪ ইন্টার নেট ও আজকের বিশ্ব
৫.কর্মমূখী শিক্ষা
৬.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
৭. মানবাধিকার
৮.বাংলাদেশ যানযট সমস্যা
৯.ডিজিটাল বাংলাদেশ

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

অব্যয়ীভাব সমাস


প্রশ্ন: অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে ? ভিন্নার্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ দাও ।

সমাসের পূর্বপদ হিসেবে যদি অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়, এবং সেই অব্যয়ের অর্থই প্রধান হয়, তবে সেই সমাসকে বলা হয় অব্যয়ীভাব সমাস। যেমন, ‘মরণ পর্যন্ত = আমরণ’। এখানে পূর্বপদ হিসেবে পর্যন্ত অর্থে ‘আ’ উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে। আর পরপদ ‘মরণ’। কিন্তু এখানে সমস্ত পদটিকে নতুন অর্থ দিয়েছে ‘আ’ উপসর্গটি। অর্থাৎ, এখানে ‘আ’ উপসর্গ বা অব্যয় বা পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে। তাই এটি অব্যয়ীভাব সমাস।

.

[উপসর্গ এক ধরনের অব্যয়সূচক শব্দাংশ। উপসর্গ বচন বা লিঙ্গ ভেদে পরিবর্তিত হয় না কিংবা বাক্যের অন্য কোন পদের পরিবর্তনেও এর কোন পরিবর্তন হয় না। এরকম আরেকটি অব্যয়সূচক শব্দাংশ হলো অনুসর্গ।]

এ সমাসের পূর্বপদের অব্যয়টির সাধারণত কোনো অর্থ থাকে না। তবে এ সব অব্যয় শব্দের পূর্বে বসে নতুন অর্থ দ্যোতনা (সৃষ্টি) করে। [প্র পরা প্রতি পরি সম উপ আ অনু উৎ নির,যথা,প্র,পর, ]

সামীপ্য (নিকট), বীপ্সা (পুন: পুন:), অনতিক্রম, অভাব, পর্যন্ত, যোগ্যতা, সাদৃশ্য, পশ্চাৎ, সাফল্য, অবধি প্রভৃতি নানাপ্রকার অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ দেয়া হল ।

(১) সামীপ্য: কুলের সমীপে =উপকূল; নগরীর সমীপে = উপনগরী; কাঠের সমীপে = উপকণ্ঠ; অক্ষির সমীপে = সমক্ষ; দুপুরের কাছাকাছি = দুপুর নাগাদ; সকালের কাছাকাছি = সকালনাগাদ।

(২) বীপ্সা (পুন: পুন: অর্থে)ঃ দিন দিন = প্রতিদিন; গৃহে গৃহে = প্রতিগৃহে; ক্ষণে ক্ষণে = অনুক্ষণ, প্রতিক্ষণ; মণে মণে = প্রতিমণ, মণপিছু; জনে জনে = জনপ্রতি, জনপিছু; জেলায় জেলায় = প্রতিজেলায়; বছর বছর = ফিবছর; রোজ রোজ= হররোজ; মাঠে মাঠে = মাঠকে-মাঠ, সনে সনে = ফি-সন. গাঁ-এ গাঁ-এ = গাঁকে-গাঁ।

(৩) অনতিক্রম ঃ বিধিকে অতিক্রম না করে = যথাবিধি ;উচিতকে অতিক্রম না করে = যথোচিত; এইরকম, যথাশক্তি, যথাসাধ্য, যথেচ্ছ, যথারীতি যথাযোগ্য, যথার্থ, সাধ্যমতো, যথাজ্ঞান, আয়মাফিক।

(৪) অভাবঃ বিঘ্নের অভাব = নির্বিঘ্ন; মানানের অভাব = বে-মানান; বন্দোবস্তের অভাব = বে-বন্দোবস্ত; ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ; ভাতের অভাব = হাভাত; মিলের অভাব = গরমিল; ঝঞ্ঝাটের অভাব = নির্ঝঞ্ঝাট; লুনের (লবনের) অভাব = আলুনি; টকের অভাব মিষ্টির অভাব = না-টক-না-মিষ্টি; ঘরের অভাব = হা-ঘর; হায়ার অভাব = বেহায়া; মক্ষিকার অভাব = নির্মক্ষিক।

(৫) সীমা ও ব্যাপ্তি (পর্যন্ত): জীবন পর্যন্ত = আজীবন; সমুদ্র পর্যন্ত = আসমুদ্র; বাল, বৃদ্ধ ও বণিতা পর্যন্ত = আবালবৃদ্ধবণিতা; মূল পর্যন্ত = আমূল; মরণ পর্যন্ত = আমরণ; পাদ (পা) থেকে মস্তক পর্যন্ত = আপাদমস্তক; আদি থেকে অস্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত; কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ; দিন ব্যাপিয়া = দিনভর; রাত ব্যাপিয়া = রাতভর; গলা পর্যন্ত = গলানাগাল। এইরকম-আশৈশব, আসমুদ্রহিমাচল।

(৬) যোগ্যতাঃ রুপের যোগ্য = অনুরুপ; কুলের যোগ্য = অনুকূল; গুণের যোগ্য = অনুগুণ।

(৭) পশ্চাৎ : গমনের পশ্চাৎ = অনুগমন; তাপের পশ্চাৎ = অনুতাপ; করণের পশ্চাৎ = অনুকরণ; ইন্দ্রের পশ্চাৎ = উপেন্দ্র; গৃহের পশ্চাৎ = অনুগৃহ।

(৮) সাদৃশ্য : দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ; কথার সদৃশ= উপকথা; ভাষার সদৃশ = উপভাষা; মুর্তির সদৃশ = প্রতিমুর্তি, বনের সদৃশ = উপবন; কিন্তু (হীন দেবতা = উপদেবতা); মন্ত্রীর সদৃশ = উপমন্ত্রী; রাষ্ট্রপতির সদৃশ = উপরাষ্ট্রপতি; দানের সদৃশ = অনুদান; ধ্বনির সদৃশ = প্রতিধ্বনি; লক্ষের সদৃশ = উপলক্ষ।

(৯) ক্ষুদ্রতাঃ উপ (ক্ষুদ্র) গ্রহ = উপগ্রহ; ক্ষুদ্র বিভাগ = উপবিভাগ, ক্ষুদ্র অঙ্গ = প্রত্যঙ্গ; ক্ষুদ্র শাখা = প্রশাখা; ক্ষুদ্র সাগর = উপসাগর; ক্ষুদ্র জাতি = উপজাতি; ক্ষুদ্র নদী = উপনদী।

(১০) সাকল্যঃ বাল বৃদ্ধ ও বণিতা সকলে = আবালবৃদ্ধবণিতা; পামর জনসাধারণ সকলে = আপামর জনসাধারণ।

(১১) বৈপরীত্য : কূলের বিপরীত = প্রতিকূল; দানের বিপরীত = প্রতিদান; শোধের বিপরীত = প্রতিশোধ; পক্ষের বিপরীত = প্রতিপক্ষ।

(১২) সম্মুখ : অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ।

(১৩) নিপাতনে সিদ্ধ : অক্ষির অগোচর = পরোক্ষ; আত্নাকে অধিকার করে = অধ্যাত্ম; মুখের অভিমুখে = সম্মুখ; দৈবকে অধিকার করে = অধিদৈব; দুঃ (দু:খকে) গত = দুর্গত; দক্ষিণকে প্রগত = প্রদক্ষিণ; বেলাকে অতিক্রান্ত = উদ্বেল; বাস্ত্ত থেকে উৎখাত = উদ্বাস্ত্ত; শৃঙ্খলাকে অতিক্রান্ত = উচ্ছৃঙ্খল; হীন দেবতা = অপদেবতা; ঝুড়িকে বাদ না দিয়ে = ঝুড়িসুদ্ধ; দস্ত্তর অনুযায়ী = দস্ত্তর মতো; প্রত্যাশার আধিক্য = হাপিত্যেশ; কাজ চালাবার মতো = কাজচালাগোছ।

অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ:↴

প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য
আকর্ণ = কর্ণ পর্যন্ত আমৃত্যু = মৃত্যু পর্যন্ত
আমরণ= মরণ পর্যন্ত উপগ্রহ = গ্রহের সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপকূল = কূলের সমীপে প্রতিজন = জনে জনে
প্রতিবার = বার বার প্রতিক্ষণ = ক্ষণে ক্ষণে
প্রতিকূল = কূলের বিপরীত প্রতিবাদ = বাদের বিপরীত
প্রতিকৃতি = কৃতির সদৃশ প্রতিধ্বনি = ধ্বনির সদৃশ
প্রতিচ্ছবি = ছবির সদৃশ যথারীতি = রীতি অতিক্রম না করে
প্রদত্তশব্দ=ব্যাসবাক্য প্রদত্তশব্দ=ব্যাসবাক্য
যথাশক্তি = শক্তিকে অতিক্রম না করে যথানিয়ম = নিয়মকে অতিক্রম না করে
আনত = ঈষৎ নত উপাধ্যক্ষ = অধ্যক্ষের সদৃশ্য
যথাসময়ে = নির্দিষ্ট সময়ে অধ্যাত্ম = আত্মাকে অধিকার করে
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্ভিক্ষ = ভিক্ষার অভাব
অনুসরণ = সরণের পশ্চাৎ আজানু = জানু পর্যন্ত
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত আজন্ম = জন্ম পর্যন্ত
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম উপভাষা = ভাষার সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপজাতি = জাতির সদৃশ/ ক্ষুদ্র উপসাগর = সাগরের সদৃশ/ ক্ষুদ্র
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত আজন্ম = জন্ম পর্যন্ত
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম উপভাষা = ভাষার সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপবৃত্তি = বৃত্তির সদৃশ উপপত্নী = পত্নীর সদৃশ
উপবন = বনের সদৃশ/ক্ষুদ্র উপশহর = শহরের সমীপে/
প্রতিদিন = দিন দিন প্রতিমন = মন মন
প্রতিমুহূর্ত = মুহূর্ত মুহূর্ত প্রতিদান = দানের বিপরীত
প্রত্যুত্তর = উত্তরের বিপরীত প্রতিচ্ছায়া = ছায়ার সদৃশ
প্রতিমূর্তি = মূর্তির সদৃশ প্রতিবিম্ব = বিম্বের সদৃশ
যথাবিধি = বিধি অতিক্রম না করে প্রতিবিম্ব = বিম্বের সদৃশ
যথাসাধ্য = সাধ্যকে অতিক্রম না করে যথার্থে = নির্দিষ্ট অর্থে
অতিদীর্ঘ = দীর্ঘ কে অতিক্রান্ অতিপ্রাকৃত = প্রাকৃতকে অতিক্রান্ত
অপবাদ = অপকৃষ্ট বাদ অপকীর্তি = অপকৃষ্ট কীর্তি
দুর্গন্ধ = মন্দ গন্ধ দুর্দিন = মন্দ দিন
দুর্বাক্য = মন্দ বাক্য দুরতিক্রম্য = দুঃখ-কষ্টে অতিক্রম্য
পরিজন =পরিগত/আপন জন বিতৃষ্ণা = বিগত তৃষ্ণা
বিমিশ্র = বিশেষ ভাবে মিশ্র হররোজ = রোজ রোজ
ঘোলাটে = ঈষৎ ঘোলা ফিকানীল = ঈষৎ নীল
হা-ঘর = ঘরের অভাব বেহায়া = হায়ার অভাব
নিরামিষ = আমিষের অভাব অতিমানব = মানবকে অতিক্রান্ত
অতীন্দ্রিয় = ইন্দ্রিয়কে অতিক্রান্ত অতিপ্রিয় = অত্যধিক প্রিয়
দুর্জন = মন্দ জন দুর্বুদ্ধি = মন্দ বুদ্ধি
দুর্নীতি = মন্দ নীতি বিনম্র = বিশেষভাবে নম্র
বিপথ = নিকৃষ্ট পথ ফি বছর = বছর বছর
গরমিল = মিলের অভাব লম্বাটে = ঈষৎ লম্বা
ফিকালাল = ঈষৎ লাল অনুতাপ = তাপের পশ্চাৎ
অনুতাপ = তাপের পশ্চাৎ হা-ভাত = ভাতের অভাব


note: যে শব্দে অব্যয় যুক্ত হয়ে সমাস নিষ্পন্ন হয় ,তাই অব্যয়ীভাব। অর্থাৎ সমস্ত পদে অব্যয় / উপসর্গ যুক্ত থাকলে তা অব্যয়ীভাব সমাস । সেজন্য অব্যয় ও উপসর্গ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে ।

<<. ক্লিক>>