বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

যুক্তিবিদ্যা সহ অন্যান্য নোট


HSC যুক্তিবিদ্যা সহ বিভিন্ন নোট আপনাদের জন্য সুন্দর করে পিডিএফ দেওয়া আছে নিন্মলিখিত ওয়েব লিংঙ্কে টিচিং বিডি.কম (Teaching BD) এইখানে ক্লিক করুন

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

প্রশ্ন


বাংলা ২য়পত্র প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮
এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ অংশ প্রশ্নাবলী

✔️১.প্রশ্ন: বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর ।
✔️২.প্রশ্ন: ব্যাকরণ কাকে বলে ? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
✔️৩.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
✔️৪.সাধু ও চলিত ভাষার পাঁটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।

◼️বাংলা উচ্চারণের নিয়ম (ধব্ণিতত্ত্ব)
১.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বাংলা উচ্চারণের ৫টি নিয়ম লেখ।
২.উচ্চারণরীতি কাকে বলে ? বিশুদ্ধ উচ্চারণ প্রয়োজন কেন আলোচনা কর।
৩ অ’ ধ্বণি (আদ্য-অ ) উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
অথবা
বাংলা উচ্চরণে কখন অ-ধ্বনি ও রুপে উচ্চারিত হয ? উদাহরণ সহ পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৪ উদাহরণসহ ‘ব’ ফলার উচ্চরণের পাচঁটি নিয়ম লেখ।
৫.বাংলা ব্যকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
৬.
৭. ‘অ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৮.‘অ’ ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৯.‘এ’ ধ্বনির উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১০. ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১১. ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
১২. বাংলা বানানে ই-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।
১৩. বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৪. উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৬বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
১৭ উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।
১৮. বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুসারে শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।

◼️বাংলা বানানের নিয়ম (ধব্ণিত্ত্ব )
১.বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ লেখ।
✔️২.আধুনিক বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
৩.বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম লেখ
৪.বাংলা বানানে ‍ু কার ব্যবহারের নিয়ম লেখ।
✔️৫ প্রশ্ন ণত্ব-বিধান বলতে কী বোঝ ? পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৬ প্রশ্ন ষত্ব -বিধান বলতে কী বোঝ ? ষত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
✔️৭.ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ বলতে কি বুঝ উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৮. বাংলা বানানে ঈ-কারের পাঁচটি ব্যবহার দেখাও।

◼️বাংলা ভাষার ব্যকরণিক শব্দশ্রেণি (উপসর্গ, অনুর্সগ ,প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমাস ,ধাতু ক্রীয়ামূল , )
১. প্রশ্ন: ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলতে কি বোঝ। কত প্রকার কী কী ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
২ প্রশ্ন: পদ ও শব্দের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর ?
৩.প্রশ্ন শব্দবলতে কী বোঝ ? উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়। উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ***
৪.প্রশ্ন: অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে , ভাগ করা যায় উদাহরণ সহ আলোচনা কর। ****
অথবা
অর্থের পার্থক্যের বিচারে বাংলা শব্দ কয় প্রকার কী কী , উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
৫.প্রশ্ন: গঠন অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমুহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
✔️৬ প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? বাংলা শব্দগঠনের উপায়গুলো উদাহরণ সহ আলোচনা কর।
অথবা
✔️প্রশ্ন: শব্দ গঠন বলতে কী বোঝ ? কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় উদাহরণ সহ আলো চনা কর।
অথবা
✔️প্রশ্ন: কী কী উপায়ে বাংলা নতুন শব্দ গঠিত হয় তা আলোচনা কর।
✔️.প্রশ্ন: শব্দগঠন বলতে কী বোঝ । কী কী উপায়ে (সার্থক) বাংলা ভাষার শব্দগঠিত হয়?
০০.প্রশ্ন: অর্থের পার্থক্য বিচারে বা অর্থগতভাবে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? উদাহরণ সহ লেখ।

✔️৭.প্রশ্নঃ উপসর্গ কাকে বলে ? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী ? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও ।
✔️০০’উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’ আলোচনা কর।

✔️৮.প্রশ্ন : প্রত্যয় বলতে কী বুঝ ? প্রত্যয় কত প্রকার কী কী উদাহরনসহ লেখ।
৯.প্রশ্ন : প্রত্যয়যোগে কিভাবে শব্দ গঠিত হয় , উদাহরনসহ ্পাঁচটি নিয়ম আলোচনা কর।
১০.প্রশ্ন:সংজ্ঞা লিখ: প্রকৃতি প্রত্যয়,স্ত্রী প্রত্যয়, বিদেশি প্রত্যয়।
১১.প্রশ্ন: বিদেশি প্রত্যয়যোগে গঠিত পাঁচটি শব্দের উদাহরণ দাও।
✔️১২ প্রশ্ন : সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কী উদাহরনসহ লিখ।
✔️১৩.প্রশ্ন বাংলা ভাষায সন্ধির প্রয়োজনীয়তা /আবশ্যকতা আলোচনা কর।
১৪.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি পরিহার্য ? উদাহরন সহ আলোচনা কর
✔️১৫.প্রশ্ন: সমাস কাকে বলে ? বালা ভাষাতে স মাসের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
✔️১৬.প্রশ্ন:উমমান ও উপমতি কর্মধারয় সমাসের পার্থক্য উদাহরণসহ লেখ।
✔️১৭.প্রশ্ন: অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে ?ভিন্নার্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণসহ লিখ।
◼️ বাক্যতত্ত্ব ( যতি চিহ্ন ,বিভিন্ন প্রকার বাক্য )

০০প্রশ্ন:বাক্য কাকে বলে ? গঠন অনুযায়ী বাক্যর প্রকারভেদ কী কী ? বাক্যের তিনটি গুণ কী কী ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর ।
১.প্রশ্ন: বিরম চিহ্ন বলতে কী বোঝ। বাংলা ভাষায় বিরাম-চিহ্নের আবশ্যকতা আলোচনা কর । [রা, বো, ০৯]
২.প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রধান প্রধান বিরাম চিহ্নের ব্যবহার বা প্রয়োগ দেখাও। [চ ,বো ,১২]
৩.প্রশ্ন: ড্যাশ চিহ্ন কি এর বিভিন্ন ব্যবহার দেখাও। [চ,বো,০৯ রা , বো, ১০]
৪.প্রশ্ন: নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ------

◼️ নির্মিত অংশ ৭০ নম্বর
পারিভাষিক শব্দ (যতগুলো পড়া যায ) পারিভাষিক শব্দ লিংক
অনুবাদ ইংরেজি হতে বাংলা (কম পক্ষে ১০টা এবং বেশী বেশী চর্চা করতে হবে )
সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কেন।
সমোচ্চারিত শব্দ কাকে বলে
বাগধারা বাগবিধি
বাক্য সংকোচন এক কথায প্রকাশ
প্রবাদ বচন

🔲◼️ অনুবাদ ❇️অনুচ্ছেদ রচনা ❇️ দিনলিপি ❇️ অভিজ্ঞতা বর্ণনা ❇️প্রতিবেদন রচনা ❇️ ভাষন রচনা ❇️ ( ❇️❇️৫টা)
মুক্তিযুদ্ধের একদিন একজন মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি বর্ণনা কর ।
ভাষন রচনা/ও প্রতিবেদন রচনা (প্রিয় শিক্ষার্থীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে ) ভাষণ
⏭ নমুনাঃ ১.স্কুল/কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।
⬀বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনমত গঠনের লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।

◼️সারাংশ ❇️, সারমর্ম ❇️❇️ভাবসম্প্রসারণ, ❇️সারসংক্ষেপ
অর্নিধারিত
◼️বৈদ্যুতিক চিঠি /ক্ষুদে বার্তা (ইমেইল ১টি ভাল ভাবে শিখলেই হবে)
পত্রলিখান/ আবেদন পত্র লেখা (যথাসাধ্য বেশী চর্চা করিবে )

১.ভি,পি,ডাকযোগে বই সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক প্রকাশকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখ।
⏭ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হারানো মালের ক্ষতিপুরন দাবি করে একটি পত্র লেখ।
⏭ কলেজের ক্রীড়া বিভাগের জন্য সামগ্রী র মূল্য তালিকা চেয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট পত্র লেখ ।
⏮ তোমার স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার ক্রয় করা হবে এজন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠাগুলি হতে দরপত্র আহ্বান কর।
✔️⬁প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর। (এক পৃষ্ঠায় লিখতে হবে)
⬀ কোন প্রতিষ্ঠিত পোশাক শিল্পে প্রোডাকশন ম্যনেজার পদের জন্য চকুরীর জন্য একটি দরখাস্ত লিখ।
✔️🔂🔂 কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে /বিপণন কর্মকর্তা /ম্যনেজার /হিসাবরক্ষক পদের জন্য তোমার যোগ্যতার বিবরন দিয়ে একটি চকুরীর দরখাস্ত লিখ ।
◼️ সারাংশ সারমর্মও সারসক্ষেপ (যথাসাধ্য বেশী পড়ার চেষ্টা করা উচিৎ )
ভাবসম্প্রসারণ এই খানে ক্লিক করুন
◼️ সংলাপ,ক্ষুদে গল্প রচনা এই খানে ক্লিক করুন
১ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ তৈরী কর।
২ ভ্রমনের স্থান নির্বাচনের জন্য দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩ ইন্টার নেটের সুফল কূফল বিষয়ে পিতা-পুত্র ও মায়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
◼️প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা (যতটা সম্ভব এবং আপনার কলেজের ফাইনাল সাজেশান )
১ .বাংলাদেশের রুহিঙ্গা সমস্যা
২.পরিবেশ দুষন ও তার প্রতিকার
৩.বর্তমান সভ্যতায় বিদ্যুতের ভূমিকা
৪ ইন্টার নেট ও আজকের বিশ্ব
৫.কর্মমূখী শিক্ষা
৬.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
৭. মানবাধিকার
৮.বাংলাদেশ যানযট সমস্যা
৯.ডিজিটাল বাংলাদেশ

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

অব্যয়ীভাব সমাস


প্রশ্ন: অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে ? ভিন্নার্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ দাও ।

সমাসের পূর্বপদ হিসেবে যদি অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়, এবং সেই অব্যয়ের অর্থই প্রধান হয়, তবে সেই সমাসকে বলা হয় অব্যয়ীভাব সমাস। যেমন, ‘মরণ পর্যন্ত = আমরণ’। এখানে পূর্বপদ হিসেবে পর্যন্ত অর্থে ‘আ’ উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে। আর পরপদ ‘মরণ’। কিন্তু এখানে সমস্ত পদটিকে নতুন অর্থ দিয়েছে ‘আ’ উপসর্গটি। অর্থাৎ, এখানে ‘আ’ উপসর্গ বা অব্যয় বা পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে। তাই এটি অব্যয়ীভাব সমাস।

.

[উপসর্গ এক ধরনের অব্যয়সূচক শব্দাংশ। উপসর্গ বচন বা লিঙ্গ ভেদে পরিবর্তিত হয় না কিংবা বাক্যের অন্য কোন পদের পরিবর্তনেও এর কোন পরিবর্তন হয় না। এরকম আরেকটি অব্যয়সূচক শব্দাংশ হলো অনুসর্গ।]

এ সমাসের পূর্বপদের অব্যয়টির সাধারণত কোনো অর্থ থাকে না। তবে এ সব অব্যয় শব্দের পূর্বে বসে নতুন অর্থ দ্যোতনা (সৃষ্টি) করে। [প্র পরা প্রতি পরি সম উপ আ অনু উৎ নির,যথা,প্র,পর, ]

সামীপ্য (নিকট), বীপ্সা (পুন: পুন:), অনতিক্রম, অভাব, পর্যন্ত, যোগ্যতা, সাদৃশ্য, পশ্চাৎ, সাফল্য, অবধি প্রভৃতি নানাপ্রকার অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ দেয়া হল ।

(১) সামীপ্য: কুলের সমীপে =উপকূল; নগরীর সমীপে = উপনগরী; কাঠের সমীপে = উপকণ্ঠ; অক্ষির সমীপে = সমক্ষ; দুপুরের কাছাকাছি = দুপুর নাগাদ; সকালের কাছাকাছি = সকালনাগাদ।

(২) বীপ্সা (পুন: পুন: অর্থে)ঃ দিন দিন = প্রতিদিন; গৃহে গৃহে = প্রতিগৃহে; ক্ষণে ক্ষণে = অনুক্ষণ, প্রতিক্ষণ; মণে মণে = প্রতিমণ, মণপিছু; জনে জনে = জনপ্রতি, জনপিছু; জেলায় জেলায় = প্রতিজেলায়; বছর বছর = ফিবছর; রোজ রোজ= হররোজ; মাঠে মাঠে = মাঠকে-মাঠ, সনে সনে = ফি-সন. গাঁ-এ গাঁ-এ = গাঁকে-গাঁ।

(৩) অনতিক্রম ঃ বিধিকে অতিক্রম না করে = যথাবিধি ;উচিতকে অতিক্রম না করে = যথোচিত; এইরকম, যথাশক্তি, যথাসাধ্য, যথেচ্ছ, যথারীতি যথাযোগ্য, যথার্থ, সাধ্যমতো, যথাজ্ঞান, আয়মাফিক।

(৪) অভাবঃ বিঘ্নের অভাব = নির্বিঘ্ন; মানানের অভাব = বে-মানান; বন্দোবস্তের অভাব = বে-বন্দোবস্ত; ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ; ভাতের অভাব = হাভাত; মিলের অভাব = গরমিল; ঝঞ্ঝাটের অভাব = নির্ঝঞ্ঝাট; লুনের (লবনের) অভাব = আলুনি; টকের অভাব মিষ্টির অভাব = না-টক-না-মিষ্টি; ঘরের অভাব = হা-ঘর; হায়ার অভাব = বেহায়া; মক্ষিকার অভাব = নির্মক্ষিক।

(৫) সীমা ও ব্যাপ্তি (পর্যন্ত): জীবন পর্যন্ত = আজীবন; সমুদ্র পর্যন্ত = আসমুদ্র; বাল, বৃদ্ধ ও বণিতা পর্যন্ত = আবালবৃদ্ধবণিতা; মূল পর্যন্ত = আমূল; মরণ পর্যন্ত = আমরণ; পাদ (পা) থেকে মস্তক পর্যন্ত = আপাদমস্তক; আদি থেকে অস্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত; কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ; দিন ব্যাপিয়া = দিনভর; রাত ব্যাপিয়া = রাতভর; গলা পর্যন্ত = গলানাগাল। এইরকম-আশৈশব, আসমুদ্রহিমাচল।

(৬) যোগ্যতাঃ রুপের যোগ্য = অনুরুপ; কুলের যোগ্য = অনুকূল; গুণের যোগ্য = অনুগুণ।

(৭) পশ্চাৎ : গমনের পশ্চাৎ = অনুগমন; তাপের পশ্চাৎ = অনুতাপ; করণের পশ্চাৎ = অনুকরণ; ইন্দ্রের পশ্চাৎ = উপেন্দ্র; গৃহের পশ্চাৎ = অনুগৃহ।

(৮) সাদৃশ্য : দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ; কথার সদৃশ= উপকথা; ভাষার সদৃশ = উপভাষা; মুর্তির সদৃশ = প্রতিমুর্তি, বনের সদৃশ = উপবন; কিন্তু (হীন দেবতা = উপদেবতা); মন্ত্রীর সদৃশ = উপমন্ত্রী; রাষ্ট্রপতির সদৃশ = উপরাষ্ট্রপতি; দানের সদৃশ = অনুদান; ধ্বনির সদৃশ = প্রতিধ্বনি; লক্ষের সদৃশ = উপলক্ষ।

(৯) ক্ষুদ্রতাঃ উপ (ক্ষুদ্র) গ্রহ = উপগ্রহ; ক্ষুদ্র বিভাগ = উপবিভাগ, ক্ষুদ্র অঙ্গ = প্রত্যঙ্গ; ক্ষুদ্র শাখা = প্রশাখা; ক্ষুদ্র সাগর = উপসাগর; ক্ষুদ্র জাতি = উপজাতি; ক্ষুদ্র নদী = উপনদী।

(১০) সাকল্যঃ বাল বৃদ্ধ ও বণিতা সকলে = আবালবৃদ্ধবণিতা; পামর জনসাধারণ সকলে = আপামর জনসাধারণ।

(১১) বৈপরীত্য : কূলের বিপরীত = প্রতিকূল; দানের বিপরীত = প্রতিদান; শোধের বিপরীত = প্রতিশোধ; পক্ষের বিপরীত = প্রতিপক্ষ।

(১২) সম্মুখ : অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ।

(১৩) নিপাতনে সিদ্ধ : অক্ষির অগোচর = পরোক্ষ; আত্নাকে অধিকার করে = অধ্যাত্ম; মুখের অভিমুখে = সম্মুখ; দৈবকে অধিকার করে = অধিদৈব; দুঃ (দু:খকে) গত = দুর্গত; দক্ষিণকে প্রগত = প্রদক্ষিণ; বেলাকে অতিক্রান্ত = উদ্বেল; বাস্ত্ত থেকে উৎখাত = উদ্বাস্ত্ত; শৃঙ্খলাকে অতিক্রান্ত = উচ্ছৃঙ্খল; হীন দেবতা = অপদেবতা; ঝুড়িকে বাদ না দিয়ে = ঝুড়িসুদ্ধ; দস্ত্তর অনুযায়ী = দস্ত্তর মতো; প্রত্যাশার আধিক্য = হাপিত্যেশ; কাজ চালাবার মতো = কাজচালাগোছ।

অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ:↴

প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য
আকর্ণ = কর্ণ পর্যন্ত আমৃত্যু = মৃত্যু পর্যন্ত
আমরণ= মরণ পর্যন্ত উপগ্রহ = গ্রহের সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপকূল = কূলের সমীপে প্রতিজন = জনে জনে
প্রতিবার = বার বার প্রতিক্ষণ = ক্ষণে ক্ষণে
প্রতিকূল = কূলের বিপরীত প্রতিবাদ = বাদের বিপরীত
প্রতিকৃতি = কৃতির সদৃশ প্রতিধ্বনি = ধ্বনির সদৃশ
প্রতিচ্ছবি = ছবির সদৃশ যথারীতি = রীতি অতিক্রম না করে
প্রদত্তশব্দ=ব্যাসবাক্য প্রদত্তশব্দ=ব্যাসবাক্য
যথাশক্তি = শক্তিকে অতিক্রম না করে যথানিয়ম = নিয়মকে অতিক্রম না করে
আনত = ঈষৎ নত উপাধ্যক্ষ = অধ্যক্ষের সদৃশ্য
যথাসময়ে = নির্দিষ্ট সময়ে অধ্যাত্ম = আত্মাকে অধিকার করে
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্ভিক্ষ = ভিক্ষার অভাব
অনুসরণ = সরণের পশ্চাৎ আজানু = জানু পর্যন্ত
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত আজন্ম = জন্ম পর্যন্ত
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম উপভাষা = ভাষার সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপজাতি = জাতির সদৃশ/ ক্ষুদ্র উপসাগর = সাগরের সদৃশ/ ক্ষুদ্র
আপদমস্তক = পা থেকে মাথা পর্যন্ত আজন্ম = জন্ম পর্যন্ত
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম উপভাষা = ভাষার সদৃশ/ক্ষুদ্র
উপবৃত্তি = বৃত্তির সদৃশ উপপত্নী = পত্নীর সদৃশ
উপবন = বনের সদৃশ/ক্ষুদ্র উপশহর = শহরের সমীপে/
প্রতিদিন = দিন দিন প্রতিমন = মন মন
প্রতিমুহূর্ত = মুহূর্ত মুহূর্ত প্রতিদান = দানের বিপরীত
প্রত্যুত্তর = উত্তরের বিপরীত প্রতিচ্ছায়া = ছায়ার সদৃশ
প্রতিমূর্তি = মূর্তির সদৃশ প্রতিবিম্ব = বিম্বের সদৃশ
যথাবিধি = বিধি অতিক্রম না করে প্রতিবিম্ব = বিম্বের সদৃশ
যথাসাধ্য = সাধ্যকে অতিক্রম না করে যথার্থে = নির্দিষ্ট অর্থে
অতিদীর্ঘ = দীর্ঘ কে অতিক্রান্ অতিপ্রাকৃত = প্রাকৃতকে অতিক্রান্ত
অপবাদ = অপকৃষ্ট বাদ অপকীর্তি = অপকৃষ্ট কীর্তি
দুর্গন্ধ = মন্দ গন্ধ দুর্দিন = মন্দ দিন
দুর্বাক্য = মন্দ বাক্য দুরতিক্রম্য = দুঃখ-কষ্টে অতিক্রম্য
পরিজন =পরিগত/আপন জন বিতৃষ্ণা = বিগত তৃষ্ণা
বিমিশ্র = বিশেষ ভাবে মিশ্র হররোজ = রোজ রোজ
ঘোলাটে = ঈষৎ ঘোলা ফিকানীল = ঈষৎ নীল
হা-ঘর = ঘরের অভাব বেহায়া = হায়ার অভাব
নিরামিষ = আমিষের অভাব অতিমানব = মানবকে অতিক্রান্ত
অতীন্দ্রিয় = ইন্দ্রিয়কে অতিক্রান্ত অতিপ্রিয় = অত্যধিক প্রিয়
দুর্জন = মন্দ জন দুর্বুদ্ধি = মন্দ বুদ্ধি
দুর্নীতি = মন্দ নীতি বিনম্র = বিশেষভাবে নম্র
বিপথ = নিকৃষ্ট পথ ফি বছর = বছর বছর
গরমিল = মিলের অভাব লম্বাটে = ঈষৎ লম্বা
ফিকালাল = ঈষৎ লাল অনুতাপ = তাপের পশ্চাৎ
অনুতাপ = তাপের পশ্চাৎ হা-ভাত = ভাতের অভাব


note: যে শব্দে অব্যয় যুক্ত হয়ে সমাস নিষ্পন্ন হয় ,তাই অব্যয়ীভাব। অর্থাৎ সমস্ত পদে অব্যয় / উপসর্গ যুক্ত থাকলে তা অব্যয়ীভাব সমাস । সেজন্য অব্যয় ও উপসর্গ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে ।

<<. ক্লিক>>

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

চাষার দুক্ষু


প্রভাষক (বাংলা)
হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ
চাষার দুক্ষু
-রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

অনুরাধা ও পারুল প্রতিবেশী ও সহপাঠী। অনুরাধা সময় পেলেই স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস চ্যানেল দেখে। ঐ সব নাটকের নায়িকাদের স্টাইলে নিজেকে উপস্থাপনে অনুরাধা সদা তৎপর। অনুরাধার বাবা একজন পাট ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি সর্বস্বান্ত প্রায়। অন্যদিকে পারুল পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাই মিশিনে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করে। পড়াশোনা শেষ করে পারুল চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে উন্নত প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক লোন নিয়ে গ্রামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামের মানুষদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার আশ্রয় এখন পারুল ও তার কুটিরশিল্প।

(ক) কৃষক কন্যার নাম কী?
(খ) ‘একটি চাউল পরীক্ষা করিলেই হাঁড়িভরা ভাতের অবস্থা জানা যায়” - কথাটির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
(গ) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুরাধার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আলোচনা কর।
(ঘ) “স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোক্তার যৌথ সমন্বয়’ - উদ্দীপক ও তোমার পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা কর।

উত্তর - ক :
কৃষক কন্যার নাম জমিরন।

উত্তর - খ : সমগ্র ভারতবর্ষের কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা জানার জন্য তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা বর্তমানের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানাটাই যথেষ্ট - এই অর্থে লেখিকা এই উক্তি করেছেন।
তৎকালীন বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ ছিল বাংলাদেশ। সুপ্রাচীন কাল থেকেই এ অঞ্চলটি সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা ও নদীমেখলা। এ দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানা মানেই সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে জানা। বাংলাদেশের কৃষকের অবস্থা বড়ই করুণ। তাদের রুগ্ন অবস্থা সবাইকে ব্যথিত করে। রোদ-বৃষ্টিতে সকলের মুখের খাবার আর গায়ের বস্ত্র যোগালেও তাদের পরনে শতচ্ছিন্ন ময়লা কাপড়, উদরে নেই অন্ন। ভারতবর্ষের কৃষকদের সামগ্রিক অবস্থা জানার জন্য তাই বাংলাদেশের অবস্থা জানাটাই অনেক। এ প্রসঙ্গেই লেখিকা উক্ত উক্তিটি করেছেন।

উত্তর - গ : ‘চাষার দুক্ষু’ নামক প্রবন্ধে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন চাষার দুঃখের জন্য তাদের বিলাসিতাকে অনেকাংশে দায়ী করেছেন। ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা ও তার কারণ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অতীতে ভারতবর্ষে কৃষকদের কোনো অভাব ছিল না- কেন না তখন ঘরে ঘরে এন্ডি কাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তারা নিজেরাই বানাত। কিন্তু সভ্যতার করাল গ্রাসে আমাদের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত অনুকরণপ্রিয় বিলাসিতা দেখা দেয়। তারা খেতে না পারলেও টাক মাথা তাজ দিয়ে ঢাকার দিবা স্বপ্ন বোনে। উদ্দীপকের পাট ব্যবসায়ীর কন্যা অনুরাধা। সে সারাক্ষণ আকাশ-সংস্কৃতির ধারক-বাহক। বাবার ব্যবসাতে লাল বাতি জ্বললেও তার স্টার জলসার নায়িকা রূপে হাজির হওয়া চাই, জি বাংলার নায়িকার মতো জীবনযাপনে উপস্থাপন হওয়া চাই। অন্ধ-অনুকরণপ্রিয় বিলাসী জীবন তাকে বাস্তবতার নির্মমতা থেকে স্বাপ্নিক এক পৃথিবীতে নিয়ে যায়। অনুরাধা আমাদের পঠিত ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের চাষার বউ বা মেয়ের প্রতিচ্ছবি যারা খেতে না পারলেও তাজ দিয়ে মাথার টাক ঢাকতে বদ্ধপরিকর।

উত্তর - ঘ : একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সকলের আগ্রহ অভিজ্ঞতা সদিচ্ছা আর কর্মস্পৃহা একান্ত জরুরি। চাষার দুক্ষু প্রবন্ধে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তৎকালীন কৃষকের দারিদ্র্যপূর্ণ জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন। শত বছর পূর্বে আমাদের কৃষক সমাজ ছিল আত্মনির্ভরশীল, স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের অন্ন বা বস্ত্রের অভাব ছিল না। নারীরা হেসে খেলে বস্ত্রের অভাব মেটাত, পুরুষেরা গান গেয়ে ধান উৎপাদন করতো, আর মসলিন বানাত। কিন্তু সভ্যতার অন্ধ অনুকরণে কৃষকের অবস্থা শোচনীয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাবন্ধিক দেশী শিল্প বিশেষত নারীসংশ্লিষ্ট শিল্পের পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গ্রামে গ্রামে পাঠশালা আর চরকার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার দরকার। উদ্দীপকে পারুল তার পরিবার ও প্রতিবেশী এলাকাবাসীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন দেশীয় শিল্পের মাধ্যমে। পারুল বাল্যকাল থেকেই পরিশ্রমী আর স্বাবলম্বী। সেই সাথে শিক্ষা আর উচ্চতর প্রশিক্ষণ তাকে করেছে আজকের অনন্যা। সে উপলব্ধি করেছে ব্যক্তি স্বাবলম্বীর মধ্য দিয়ে সমাজ স্বাবলম্বী হবে। প্রবন্ধে লেখিকা গ্রামীণ শিল্প তথা নারীভিত্তিক যে শিল্পের বর্ণনা দিয়েছেন পারুল এখানে লেখিকার মানসকন্যা। সে স্বার্থক এবং তার আলোয় চারপাশের অন্যদের আলোকিত করেছে। উদ্দীপক ও পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আমরা একথা নির্দ্বিধায় বলতেই পারি সাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোগের যৌথ সমন্বয়।