বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

মানপত্র


[মানপত্র বলতে সংবর্ধনার জন্য প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপক ভিনন্দন পত্রকে বুঝায় । মানপত্রের মাধ্যমে কোন শ্রদ্ধেয় বা গুণীজনকে স্বাগত/অভিনন্দন/বিদায়/শ্রদ্ধা জানানো্ হয় । এতে ব্যাক্তির গুনাবলী প্র্রশংসা,ও তার কর্মগুন বর্ণনা করা হয় ।মানপত্রের গুনাবলী প্রকাশক কতিপয় সম্বোধন থাকে। এক একটি সম্বোধন, এক একটি অনুচ্ছেদ রচনা করা হয় ।এক অনুচ্ছেদ একটি ভাবের বাহন হয়ে থাকে। তুমি , আপনি দু ধরনের সম্বোধনই হতে পারে ।  এটা সুন্দর  ফ্রেমে বাঁধাই করেই বেশী দেওয়া হয়ে থাকে।]

মানপত্রের কয়েকটি  নমুনা


➤কলেজে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীকে স্বগত জানিয়ে /ছাত্র-ছাত্রীর সংবর্ধনা/নবীন বরণ উপলক্ষে একটি অভিনন্দন পত্র রচনা কর ।

সাভার  বিশ্ববিদ্যালয়  কলেজের একাদশ শ্রেণির 
নবাগত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উপলক্ষে অভিনন্দন
!!এসো হে নতুন!!
হে নবীন বন্ধুরা ,
নতুন স্বপ্নের সুষমা নিয়ে আলোর সাথী হয়ে তোমরা এসেছ এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যানিকেতনের সবুজ চত্বরে । তোমাদের পদচারণায়  আজ এ অঙ্গন মূখর । এখান থেকে শুরু হবে তোমাদের নবযাত্রা---যাত্রার প্রাক্কালে তোমরা আমাদের অজস্র শুভেচ্ছা গ্রহণ করো। আমরা তোমাদের বরণ করছি একরাস আনন্দ আর স্নেহ মায়া-মমতাপূর্ণ ভালোবাসা
দিয়ে।
হে শিক্ষার্থী বন্ধুরা ,
তোমরা বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র গন্ডি এবং স্নেহনীড় ছেড়ে বৃহৎ-বিশ্বের আলোর জগতে পদার্পণ করেছ। তোমাদের সামনে এক অনন্ত আলোর জগৎ।তোমরা এই আলোর জগতের যাত্রী/অভিসারী। আলোকিত মানুষ হবার  পথে যাত্রা তোমাদের সফল হোক --এটাই আমাদের কামনা। কবি কন্ঠের সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে বলি
শুনিতেছি আমি শোন ঐ দূরে -তূর্য নাদ,
ঘোষিছে নবীন ঊষার উদয় -সুসংবাদ।’
হে নবীন সাধক,
তোমাদের স্কূলজীবনে তোমাদের বাবা-মা ,শিক্ষক সকলেই তোমাদের উপর স্নেহদৃষ্টি রাখতেন ।তোমাদের চলার পথে তাঁরা ছিলেন অতন্ত্র প্রহরী। আজ হতে তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের নিজেদের নিতে ।তোমাদের যে উদ্দেশ্য বিদ্যাশিক্ষা,সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এখানে যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে তাহলে তোমাদের জীবন ব্যার্থতায় পর্যবসিত হবে ।তেমাদের অ্ভিযাত্রায় একাগ্র সাধনা ,কর্মে অনুরাগ,প্রচেষ্টা আন্তরিকতা আর জীবনের সামনে মহৎ আদর্শ বিরাজমান থাকলে জীবনের সফলতা অনিবার্য।

হে অভিযাত্রী দল,
উচ্ছল তারুণ্যের প্রাচুর্য তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান/বিরাজমান। আজ যখন তোমাদের বরণ করে নিচ্ছি এদেশ আমার উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ।বিশ্বায়নমূখী  আমাদের প্রিয় দেশটিতে এখনও অশিক্ষা দারিদ্র নৈরাজ্য সন্ত্রাস  ইত্যাদি ফেলেছে ভয়াল থাবা। তোমরা অফুরন্ত প্রানশক্তির অধিকারী। আমাদের বিশ্বাস ,প্রানবন্ত তারুন্য শিক্ষা সাধানায়,নিজেদের কে গড়ে তুলবে সারা বিশ্বের স্থপতি হিসাবে।সারা বিশ্ব তোমাদের দেখবে। এই প্রত্যাশায় পতাকা উড়িয়ে  আমরা তোমাদের আহ্বান করি।

হে বন্ধুগণ ,
আগমনের ধারায় তেমাদের মতো নবীনরুপে এই বিদ্যাপীঠে এসেছিলেন অসংখ্য তরুন। তাদের অনেকেই দেশ -বিদেশে স্মরনীয় হয়ে আছেন এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষাপেয়ে। তোমাদের সততা ,অধ্যবসায় ও কর্তব্যনিষ্ঠা, সংযত আচরণ,বিনম্র মনােবৃত্তি ,সুনিদিষ্ট লক্ষ্যাভিসার ,গভীর পাঠানুরাগ,তোমাদের দান করুক মহত্তর চারিত্রিক সম্পদ। সঠিক পথের দিশা পেতে বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের প্রতি সর্বদা বিনম্র হবে।তোমাদের জীবন হোক সুন্দর সার্থক।
অনেক অভিনন্দন সহ
দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী
সাভার  বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ 
সাভার-ঢাকা
২২.০৩.২০১৮ইং

স্কুল কলেজের জন্য ভাষণ রচনা কর


স্কুল কলেজের জন্য ভাষণ রচনা কর

নমুনাঃ ১.স্কুল/কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।

‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম,

আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং আমার শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক ও আমার সামনে উপবিষ্ট সকল শিক্ষার্থীদের কে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানাই,”আসসালামু আলাইকুম”। অত্যান্ত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আজ আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান। যদিও আমরা মনে করি এটা একটা বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র । কারণ মন থেকে চিরতরে বিদায় নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়েছি এবং এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ আমাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পড়িয়েছেন, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষাদিয়েছেন তা আমরা কখনও ভুলব না। এজন্য আমরা আপনাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।এই স্কুল কলেজে পড়ে থাকবে কৈশোর আর বয়সন্ধির অসংখ্য স্মৃতি বিজরিত রোমাঞ্চিত দিনগুলো। কিন্তু আজ ইচ্ছার বিরোদ্ধে আমাদের নিতে হবে বিদায় , এ বিদায় চির বিদায় নয় তবুও মনটা কেমন যেন করে ওঠে। আজ শিক্ষাজীবনের একটি অধ্যায় সমাপ্ত করে পরের অধ্যায়ে পা রাখার উদ্দেশ্যে আমরা বিদায় নিচ্ছি।আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনে আরো উন্নতি করে দেশ মাতৃকার উন্নয়নে কিছু করিতে পারি ।এছাড়া এখানে দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে আপনাদের অনেক শাসন-বাড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে যা সাময়িক বিরক্তির কারণ হলেও এখন এই শেষ মুহুর্তে বুঝতে পারছি এটা আমাদের জন্য কতটা দরকারী ছিল।

তাই আমাদের কোন আচরণে যদি কোন শিক্ষকশিক্ষিকা কষ্ট পেয়ে থাকেন আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন. মাফ করে দিবেন। আমি সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিনীত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বিদায় মুহুর্তে আর বেশী কিছু বলতে চাই না এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।

-----ধন্যবাদ সবাইকে।

নমুনাঃ২ তোমার কলেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।

‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’

আজকের অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি,অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ , আমার প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী এবং আমার ভাই ও বোনেরা ”আসসালামু আলাইকুম”

আজকের এই দিনটি আমি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি। জনাব মোঃ আসাদুজ্জমান আসাদ স্যারকে। যিনি অল্প সুযোগ সুবিধা নিয়ে শিক্ষার মাধ্যমে সবাইকে আলোকিত করার প্রয়াস নিয়ে অত্র স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন ।আমি আরও স্বরণ করছি জনার মোঃ আফজাল স্যার কে যিনি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছেন। পরবর্তীতে স্কুল থেকে কলেজে প্রতিষ্ঠা করে উচ্চশিক্ষার পথ সহজ করেছেন।যার ফলে আমরা অত্র কলেজ হতে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করতে পেরেছি।

আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন আামরা যেন এই কলেজের মুখ উজ্জল করতে পারি এবং প্রতিষ্ঠানটির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।
কবির ভাষায় বলতে চা্ই

কত স্মৃতি হাসি মাখা দিন
মিশে আছে এই খানে
প্রতিটি পাথর-বেঞ্চ-ঘন্টা সবার মাঝে
আমাদের ভালবাসা
আজ ছাড়িতে হবে এসব,
দিতে হবে বলি ,একি ব্যথা।
রচিত হবে স্মৃতির মাঠ,হবে কি আর কখনো এভাবে আসা ?

হে প্রিয় আলয় ,তোমায় বলি করি শেষ আরতি
আমাদে র যেন ভুলিও না তুমি,
রেখ মনে চিরদিন

সবশেষে ,
এই স্কুল থেকে চলে যাচ্ছি কিন্তু রেখে যাচ্ছি স্মৃতি।
আমাদের সকল ভুল , বেয়াদবি মাফ করে দিবেন
আর সকল ছোট ভাইদের জন্য
রইল শুভকামনা ।

--ধন্যবাদ সবাইকে

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

বৈদ্যুতিক চিঠি/ক্ষুদে বার্তা/পত্রলিখন অথবা আবেদন পত্র

Flowers in Chania বৈদ্যুতিক চিঠি,ক্ষুদে বার্তা,পত্র লিখন,আবেদন পত্র  ২টি প্রশ্ন থাকবে  ১টির উত্তর দিতে হবে ---১০নম্বর

১.➤বন্ধুরা মিলে বনভোজনে যাবে ঠিক করেছ। টাকা পাঠাতে বড় ভাইয়ের কাছে একটি  ই-মেইল বার্তা লেখ ?
➤সম্প্রতি পড়া কোনো বই সম্পর্কে বন্ধুকে একটি ই-মেইল বার্তা  লিখ
➤বন্ধুর পিতৃবিয়োগের সান্তনা জানিয়ে একটি ই মেইল বার্তা  লিখ
➤বড় বোনের বিয়ে উপলক্ষে বন্ধু সাথীকে নিমন্ত্রন জানিয়ে একটি  ই-মেইল প্রস্তুক কর ।
➤বাংলা নববর্ষ  উদযাপনের বৈচিত্র্য তুলে ধরে প্রবাসী বন্ধুকে পাঠানোর জন্য একটি  ই-মেইল  প্রস্তুত কর ।


উত্তর ঃ

To; sayla676@gmail.com
CC; carbon copy
BCC;blind carbon copy a copy  of an e-mail sent to someone whose name and address isn't visible     to  other recipients.
subject;-----টাকা পাঠানো প্রসঙ্গে

ভাইয়া,
আমার সালাম নিবে ।নিশ্চয় তুমি ভাল আছ । বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করেছে  যে এবারের শীতে বনভোজনে যাবে।ভাবছি আমিও যাব, কিন্তু বাবার পাঠানো টাকা ‍ দিয়ে বনভোজনের চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয় । তা ছাড়া কিছু কাপড়ও কেনা লাগবে। তাই তুমি যদি কিছু টাকা পাঠাতে ,তবে আমার জন্যে বিশেষ সুবিধা হতো। ই-মেইল পাওয়ার সাথে সাথে মতামত জানাবে ্ বাসার সবার প্রতি ভালোবাসা রইল।

তোমার ছোট বোন
সায়মা


২. ক্ষুদে বার্তাঃ প্রতিদিন  মোবাইল ফোনে যখন আমরা  কাউকে  এস এম এস পাঠা্ই সেটাই  হল ক্ষুদেবার্তা ক্ষুদে বার্তার ক্ষেত্রে তারিখ,সময় উল্লেক করার প্রয়োজন হয়না নাম্বার এর কলামে নাম্বার এবং লিখার অংশে মূলবক্তব্য লিখে সেন্ড । নাম্বার ০১৭০০০০০০০১

নমুনা:
প্রাপক নাম্বার ০১৭০০০০০০০১

‘ফাগুনের এই প্রথম দিনে তোমাকে
কৃষ্ঞচুড়ার শুভেচ্ছা সহ
আমাদের বাসায় পান্তা খাবার
 দাওয়াত রইল
         ---- কাকন



দিনলিপি/অভিজ্ঞতা/ভাষণ রচনা ও প্রতিবেদন

W3.CSS

Without a Container

দিনলিপি লিখন,অভিজ্ঞতা বর্ণনা,ভাষণ রচনা, ও প্রতিবেদন লেখা থেকে ২টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ।--১০ দিনলিপি এক ধরনের অভিজ্ঞতা বর্ননা ; দিনলিপির আভিধানিক অর্থহলো রোজনামচা বা দিনপঞ্জি ;দিনলিপির ইংরেজী পরিভাষা হল (Diary) ক.দিনলিপি একটি সাহিত্যকর্ম,গল্পের আকারে লিখা উত্তম খ,দিনলিপি লেখার সময় রোজনামচার বাদিকে তারিখ ,মাস,সাল , সময় ও দিনটি কী বার ছিল বিস্তারিত লিখতে হবে। গ.দিনলিপি সহজ সরল ভাষাতে লেখাই উত্তম ঘ.দিনলিপিতে বানোয়াট কিছু লেখা চল না ঙ.দিনলিপিতে নিজের অভিজ্ঞতা ,অভিমত প্রকাশ করা যায় চ.আমজনতা সাধারণত বিশেষ দিনের দিনলিপি লিখে থাকেন ঐ দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য ।
It provides correct margins, padding, alignments, and more, to most HTML elements.