রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

ঠোঁটের কালো দাগ দুরকরার উপায়



ঠোঁটের যত্ন

সুন্দর গোলাবী ঠোঁট সকলেরই কাম্য সুন্দর কোমল ঠোঁটের জন্য কিছু করণীয় আছে । সুন্দর হাসি সুন্দর ঠোট ছেলেমেয়ে সকলের আরাধ্য বিষয়, কিন্তু আমাদের কতিপয় অভ্যাসের কারণে ঠোট কালো হয়ে যায় । অতিরিক্ত চা পান এবং যারা বেশি রোদে যান বা ঠোঁটের যত্ন কম নেন তাদের কালচে দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে এসকল সমস্যা দূর করার জন্য প্রাকৃতিক ও সহজ কতগুলো উপায় সম্পর্কে আমরা জানব ।


গোলাপ জল :
তুলারবল তৈরি করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগান । এত ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁট বাড়তি যত্ন পাবে । ঠোঁটের দাগ দূর হব।

শসার জুস:
অর্ধেক শসা ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করুন । তহুলার বল দিয়ে এই জুস ঠোঁটে লাগাতে পারেন । ২০-৩০ মিনিট পর তা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন । শসার জুস আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দিতে পারে।

বিট:
এক টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ঘষতে থাকুন। ১৫-২০ মিনিট পর ভালো করে তা ধুয়ে ফেলুন। বিটের রস ঠোঁটের পোড়া ও কালচে ভাব দূর করবে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সতেজতা এনে দিতে পারে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।

বেকিং সোডা :
বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে ২-৩ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভেজা ভাব শুকিয়ে গেলে ঠোঁটের কোনো জেল ব্যবহার করুন।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার :
এক চা-চামচ পানিতে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দানকারী উপাদান হিসেবে কাজ করবে এটি।

ঘৃতকুমারী:

ঘৃতকুমারীর রয়েছে তাক লাগানো গুণ। ঘৃতকুমারীর জলীয় অংশ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।

গ্লিসারিন:

তুলা দিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে একটু গ্লিসারিন মাখিয়ে রাখুন। এতে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। শুষ্কতা দেখা যাবে না।

লেবু মধূ
অনেকক্ষণ যাঁদের রোদে থাকতে হয়, তাঁরা লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এ মিশ্রণ কিছুক্ষণ ঠোঁটে রাখুন। এরপর ভেজা নরম কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলুন।

নারকেল তেল :
আঙুলের মাথায় একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখুন। এতে যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ঠোঁট আর্দ্র ও সবল রাখে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন, পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।

গাজরের রস :
গাজরের রস করে একটা বাটিতে নিয়ে, তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে খানিকটা স্যাফরন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতাও ফিরে আসবে, রঙও ফিরবে একই সাথে।

কমলার খোসা :
কমলার খোসা নিয়ে ঠোঁটে লাগান অথবা কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে তাতে খানিকটা গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।

টমেটোপেষ্ট :
টমেটো পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে ক্রিম মিক্স করে লাগান অথবা টমেটো পেস্টের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে লাগান।

গোলাপের পাপড়ি :
গোলাপের মত ঠোঁট পেতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করব না, তাই কি হয়? কিছু গোলাপের পাপড়ি নিন এবং দুধে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পাপড়িগুলো বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু আর গ্লিসারিন দিন। এবার পেস্টটা আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এক টুকরো তুলা দুধে ভিজিয়ে পেস্টটি তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অসাধারণ রেজাল্ট পাওয়া যায়।

স্ট্রবেরির রস:
স্ট্রবেরির রসঃ দুই চা চামচ স্ট্রবেরি রসের সঙ্গে এক চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে ঠোঁটে হালকা করে ঘষে রেখে দিন। মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহারে ঠোঁটে গোলাপী আভা ফিরে আসে।

ঠোঁট সুন্দর রাখতে নিচের কাজগুলো না কারা উত্তম :

চা, কফিসহ অন্যান্য পানীয় আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য দায়ী। এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কেননা, ধূমপান করলে ঠোঁট কালো হবেই।
পানিশূন্যতা আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন পানি পান করুন, কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস।
ঠোঁট কখনই বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না।
সরাসরি সূর্যের আলো ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট করে। যতদূর সম্ভব এটা এড়িয়ে চলুন। বাইরে যেতে হলে উঁচুমানের সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।
আপনার খাবারে রাখুন প্রচুর শাকসবজি।

গোলাপি ঠোঁট

বিভিন্ন প্রকার বি বি ক্রীম



সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

চোখ ভাল রাখার উপায়


.

আমাদের শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান ও স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। ফলে চোখের যত্ন নেয়া আমাদের জন্য আবশ্যক। কখনও নিজেদের অজান্তে আবার কখনও বা কিছু অভ্যাসের করণে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে ফেলছি আমরাই।

চিকিৎসকদের মতে, এ সকল অভ্যাস বদলাতে পারলে জ্যোতি কমার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান। যা কিনা চোখের জ্যোতি কমার অন্যতম কারন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ব্যবহার এ সব আজকাল জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। ফলে এ সব অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দেয়া যায় না। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট, কাড়ে নিচ্ছে চোখের দৃষ্টি। ধূমপানে আসক্তি, কেবল হার্ট নয়, ধোঁয়া থাবা বসাচ্ছে আপনার চোখেও। ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বরান্বিত করে। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধূমপানকেই চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।

চোখের অসুখ থাকলে তো সময় অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অসুখ না থাকলেও বছরে দু’বার চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই কাজে অবহেলা করবেন না।

চোখের জ্যোতি বাড়ার উপায়

১.ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি করে যথা: মিষ্টি পেঁপে, কাঁঠাল, কুমড়া, কালো কচু শাক, হেলেঞ্চা শাক, পুঁই শাক, লাউ শাক, ধনিয়া পাতা, পাট শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, কলিজা, মলাঢেলা ছোট্ট মাছ।

ক. সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি
আমাদের জীবনের সবার সেরা বন্ধু হলো সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি। এতে আছে লুটেইন এবং জিয়াক্স্যানথিন এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মাংসপেশির ক্ষয় রোধ করে। এরা চোখের মাংসপেশিকেও শক্তিশালী করে এবং রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

খ. গাজর
সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি গাজর আমাদের চোখের জন্য বেশ উপকারী। আসলেও তাই। গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং চোখের কার্যক্রম সচল রাখায় সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এছাড়া চোখের কোনো ধরনের ক্ষয়ও হতে দেয় না গাজর।

গ. পূর্ণ শস্য
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যে গ্লিকেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা চোখের পেশির ক্ষয় এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই শস্য রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করে যা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসার প্রধান কারণ।

ঘ. সাইট্রাস ফল
লেবু এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই ফল চোখের স্বাস্থ্য খুবই ভালো রাখে। এবং চোখের পেশির ক্ষয়রোধ করে। এছাড়া ভিটামিন সি আমদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

ঙ. বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা চোখ সংক্রান্ত রোগ কমায়। এতে থাকা ভিটামিন ই চোখে ছানি পড়া এবং ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

চ. মাছ এবং মাছের তেলের ক্যাপসুল
মাছেও আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা চোখে রক্ত সরবরাহের শিরা-উপশিরাগুলোকে শক্তিশালী করে। এছাড়া এটি ব্রেন পাওয়ারও বাড়ায়। যার ফলে দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়। এছাড়া চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে এটি।

ছ. সূর্যমুখী ফুলের বীজ
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক। এসব বীজ থেকে পাওয়া তেলে আছে ক্যারোটিনয়েড যা ছানি পড়া রোধ করে।

জ. টমেটো
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। প্রতিদিন টমেটো খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি হারায় না।

ঝ. কলাই
কিডনি বিন, কালো-চোখ মটরশুটি এবং ডালে আছে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড এবং জিঙ্ক। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখলে রেটিনায় কোনো ক্ষয় এবং ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।

ঞ. ডিম
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিমও বেশ কার্যকর। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে আছে লিউটেইন, জিয়াক্সানথিন এবং জিঙ্ক যা রেটিনায় কোনো ধরনের ক্ষয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

২. সব সময় চোখকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে, চোখকে ধূলিকণা থেকে বাঁচাতে হবে,

৩. বেশী করে কোরআন শরীফপাঠ করুন আল্লাহর রহমতে দৃষ্টিশক্তি কোনো দিন ও কমবে না,

৪. মোবাইল, কম্পিউটার, টিভির ক্ষতিকর তেজক্রিয় রশ্মি থেকে চোখকে দূরে রাখুন,

৫. চোখে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
পুনরায় আগের মত দৃষ্টিশক্তি ফেরত না পেলেও কিছু ব্যায়াম ও খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করে দৃষ্টি শক্তি আবার বাড়িতে দিতে পারেন। চোখের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম আছে যেগুলো আপনি নিয়মতি করতে পারেন। চোখের জন্য এরোবিক ব্যায়াম খুব কার্যকরি। তাছাড়া সাঁতার ও টেনিস খেলা চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দিতে পারে।

যে সব খাদ্য দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে:-

১) এলাচ ৪ গ্রাম মাত্রায় সকালে খেলে এক মাস থেকে ৪০ দিনের মধ্যে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি দূর হয়। চোখ ঠাণ্ডা হয়, চোখের জ্যোতি বাড়ে।

২) রাতের বেলায় একটা পাত্রে দু’চামচ ত্রিফলা চূর্ণ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন অথবা ঐ জল নিয়ে চোখের ওপর ছিটে দিন। এতেও চোখের জ্যোতি বাড়ে। এমনকি বৃদ্ধাবস্থাতেও চোখ নির্মল ও সতেজ থাকবে।

৩) পুষ্টিবিদদের মতে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, বিটা ক্যারোটিন ও লিউটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রধানত আসে মাছ থেকে। এছাড়া ফ্লাক্স সিডস, ওয়ালনাটস, পেশতা ও বাঁধাকপিতে পাওয়া যায় এধরনের চর্বি। আর বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায় গাজর এবং সবুজ শাক-সবজি, ফলমূলে। লিউটিন পাওয়া যায় ডিমের সাদা অংশে। চোখের জ্যোতি বাড়াতে এই লিউটিন সহায়ক।

৪) ডিমের সাদা অংশ ছাড়াও সবুজ শাক-সবজিতেও থাকে প্রচুর লিউটিন। চোখের জ্যোতির জন্য ক্ষতিকর খাবারেরও একটি তালিকা দিয়েছেন পুষ্টিবিদগণ। যেসব খাদ্য কম খাওয়া উচিত অথবা পরিহার করা উচিত তা হচ্ছে সুগার, প্রক্রিয়াজাত ময়দা, ট্রান্সফ্যাট (বনস্পতি) ও ধূমপান।

৫) যদি দেখা যায় চোখের দৃষ্টি ক্রমশঃ স্তিমিত হয়ে আসছে তাহলে কমলা লেবুর রসে বাটা গোলমরিচ ও সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে। অন্ততঃ তিনমাস এভাবে নিয়মিত সেবন করতে হবে।

৬) এক কাপ গাজরের রসে পৌনে এক কাপ পালং বা চৌলাইয়ের শাকের রস মিশিয়ে সকালে সূর্যোদয়ের সময়ে এবং বিকালে সূর্যাস্তের সময়ে নিয়মিত সেবন করতে পারলে সেবনকারীর চশমার দরকার হবে না কোনো দিন।

৭) শোয়ার সময় সপ্তাহে তিন দিন তুলোর মোটা পলতে দুধে ভিজিয়ে চোখে রেখে তার ওপর পটি বেঁধে দিলে চোখ ভালো থাকে। আবার কখনো কখনো ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা শীতল ও স্বচ্ছ দুধ দু’তিন ফোঁটা চোখে দিলে চোখ শীতল থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি কখনো ক্ষীণ হয় না। ৮) বাদামের ৮-১০ টি দানা (অর্থাৎ শাঁস) রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে খানিকটা দুধ খেয়ে নিতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ার সঙ্গে বলবৃদ্ধিও হবে।

৯) ধনে পিষে নিয়ে তার রস বের করে দু’ফোঁটা করে প্রতিদিন দু’চোখে দিলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়।

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়ায় এমন খাদ্য


১০ টি উপায়ে বৃদ্ধি করুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি অসুস্থতার হিড়িক পড়ে যায়। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ। এমন সমস্যাগুলোর কারণ একটাই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। আসুন, আজ জেনে নেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো।

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:৪১ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮, ১৬:০১

ছবি সংগৃহীত

প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি অসুস্থতার হিড়িক পড়ে যায়। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ। এমন সমস্যাগুলোর কারণ একটাই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে আমাদের শরীর পরিবেশের সাথে ঠিক খাপ খাওয়াতে পারে না, ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অসুস্থতার ব্যাপারটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি আমাদের পড়াশোনা এবং পেশাগত ক্ষেত্রেও তা সৃষ্টি করে বিড়ম্বনা। ভাবছেন কী করে এড়ানো যায় এই অসুস্থতা? একেবারেই সহজ। নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে তুলুন শক্তিশালী, এসব মৌসুমি রোগ-বালাই আপনাকে আর বিরক্ত করতে পারবে না। দেখে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলার ১০ টি কার্যকরী কৌশল।

১) খাবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করবেন না শরীরের যেসব কোষ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম, তাদের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় চিনি। এ কারণে খাবারে অতিরিক্ত চিনি মেশাবেন না। কোমল পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এর বদলে চিনি ছাড়া ফলের রস, চা এবং সাধারণ পানি দিয়ে তৃপ্তি মেটান। এতে যেমন শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাবে, তেমনি থাকবে ভেতর থেকে পরিষ্কার।

২) স্ট্রেস নেবেন না কিছু পরিমাণ স্ট্রেস জীবনেরই অংশ। কিন্তু এই স্ট্রেস যদি আপনাকে অসুস্থ করে ফেলে তবে বুঝতে হবে জীবন থেকে স্ট্রেস ঝেঁটিয়ে বিদায় দেবার সময় এসেছে। খুব বেশি স্ট্রেসের মাঝে থাকলে মানুষ ঠাণ্ডা, সর্দি, জ্বর এমনকি আরও গুরুতরস অব অসুখে পড়তে পারে। ক্রমাগত স্ট্রেস নিতে থাকলে শরীর কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনে ভরে যায়, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। স্ট্রেস বেশি নেবেন না, ধ্যান করুন, বুক ভরে শ্বাস নিন এবং যে সব কাজ বা মানুষ আপনার স্ট্রেস বাড়িয়ে চলেছে তাদেরকে জীবন থেকে ছাঁটাই করে দিন। ৩) আদা-রসুন

আদা একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ, যা শরীরকে রাখে উষ্ণ এবং ক্ষতিকর টক্সিন দেহে জমতে বাধা দেয়। বিশেষ করে ফুসফুস এবং সাইনাসের ক্ষতি হতে দেয় না আদা। আর রসুন কাঁচা খেতে পারলে তা খুবই উপকারি। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই মশলাটি।

৪) ভিটামিন সি এই ভিটামিনটা যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তা আমাদের সবারই জানা। অনেক তাজা ফল-মূলে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখুন নিয়মিত।

৫) খাদ্যতালিকায় রাখুন কপি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি এসব সবজি মূলত আমাদের যকৃৎ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ যকৃৎ শরীরের মাঝে থাকা বিষাক্ত পদার্থকে বের করে দেয়। এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসব কপি খেয়ে যকৃৎ সুস্থ রাখাটা খুবই জরুরী। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সব তাজা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাজা মানে তাজা, ফ্রিজে এক সপ্তাহ রেখে খাদ্যগুণ কমানো সবজি নয়। যতটা সম্ভব তাজা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন।

৬) শরীর রাখুন সচল সারা দিন ডেস্কে বসে কাজ করলে অথবা অলসতা করে শরীর অচল করে রাখাটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ইওপরে রাখতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। শরীর সচল থাকলে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং লিউকোসাইট (রোধ প্রতিরোধের এক ধরণের কোষ) এর পরিমাণ বাড়ায়। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে নিয়ম করে জিমে যেতে হবে। সে সময়টুকু না পেলে অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটতে যান, বাচ্চাদের সাথে খেলা করুন এমনকি টিভির সামনে নাচুন।

৭) আরাম করে ঘুমান ক্লান্তি থেকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই নয়, ইনসমনিয়া হতে পারে স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধির কারণ। প্রতি রাতে সময়মত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমান, রোগে ভোগার সম্ভাবনা কমবে।

৮) স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন বেশি ওজন যেমন খারাপ তেমনি খুব কম ওজনও কিন্তু খারাপ। নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর একটি ওজন বজায় রাখুন সঠিক খাদ্যভ্যাস, ব্যায়াম এবং স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপনের মাধ্যমে।

৯) প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে থাকুন পরিবারের মানুষ এবং বন্ধুদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে- এটা পরীক্ষিত সত্য। একাকী থাকেন যারা, তাদের চাইতে বন্ধুদের মাঝে থাকা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয় শক্তিশালী।

১০) মনকে রাখুন সুস্থ মন সুস্থ রাখুন, শান্ত রাখুন, শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলার শক্তি পাবে। এর জন্য ধ্যান করতে পারেন। শুধুহ তাই নয়, নিয়মিত প্রাণ খুলে হাসার অভ্যাসটাও আপনার উপকারে আসবে। এতে আপনার শরীর ধরে নেয় আপনি সুখি, এবং তাতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো থাকে। বিশ্বাস না হলে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না!.

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

করোনা আপটুডেট প্রতিদিন ।


১৯ দিনের প্রচেষ্টায় করোনার ভ্যাকসিন তৈরি

করোনা সত্য মিথ্যা প্রথম আলো

করোনা ভাইরাস আমাদের যা করা উচিৎ প্রথম আলো

কাগজে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না

করোনায় করণীয়, কীভাবে কোয়ারেন্টিন

করোনায় করেনীয়

করোনা লাইভ আপডেট খবর দেখুন

করোনা ভাইরাস এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ

পৃষ্ঠা তৈরী করা হয়নি ---

পৃষ্ঠা তৈরী করা হয়ন---

পৃষ্ঠা তৈরী করা হয়ন---