মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

প্রতিবেদন লেখার নমুনা


Bootstrap Example

প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

প্রশ্ন :কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করো। উত্তর :
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
‘মুক্তিযোদ্ধা’ কলেজ, যশোর।
বিষয় : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এটি এখানে পেশ করছি-
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫ গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ক্রীড়ানুষ্ঠানটি সফল করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষকসহ সবাই যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে ‘ক’ বিদ্যালয়ের সুবিশাল মাঠ যেভাবে সাজানো হয়েছিল, তা সুধীজনের দৃষ্টি কেড়েছে। সকাল ৯ ঘটিকায় প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পায়রা ও বেলুন ওড়ানো, মশাল প্রজ্বালন, বিএনসিসি গার্লস গাইড ও বিভিন্ন হাউসের কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রধান অতিথিকে সম্মান ও সালাম জানানোর সব আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সকাল ১০টায় বিভিন্ন হাউসের ক্রীড়ানুষ্ঠান শুরু হয়। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ ও উচ্চ লাফ, বর্শা, চাকতি ও লৌহগোলক নিক্ষেপসহ ছিল বিভিন্ন রকমের দৌড়।

পুরুষ অভিভাবক বনাম স্কুল শিক্ষকদের রশি টানাটানি, মহিলা অভিভাবক বনাম শিক্ষিকাদের ‘বালিশ যার বিপদ তার’- পর্ব দুটি খুবই উপভোগ্য ছিল। শিক্ষার্থীদের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য দর্শক সারি থেকে অনেকেই আসন ছেড়ে বাইরে চলে আসায় খানিকটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
প্রধান শিক্ষকের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠের পর বিজয়ী প্রতিযোগীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ বছর স্কুলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দশম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হাসান ও নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকেয়া খানম।
পুরস্কার বিতরণ শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দেন, তা অনেকের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের দুটি পর্বই ছিল অত্যন্ত সুবিন্যস্ত। এর পরও অভিভাবকদের আসনব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গেছে। এর পরও এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান বিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

প্রতিবেদক : নুজহাত ফাতিমা ইথা
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০১৫
প্রতিবেদন তৈরির সময় : বিকেল ৪টা
তারিখ : ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

কবিতা ১২


বিখ্যাত কবি-দের কবিতা


রবীন্দ্রনাথ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুল

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুলyyy

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj666

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ 6

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু 7

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


no mame

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram
ট্যাব কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট দেখতে সুবিধা বেশী

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

আঠার বছর বয়স কবিতা

এই পৃষ্ঠার কাজ চলিতেছে আঠারো বছর বয়স

Girl in a jacket
×

আঠারো বছর
Flowers in Chania কবি পরিচিতি :

সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায়। তাঁর পিতার নাম নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য, মায়ের নাম সুনীতি দেবী। ছোটবেলা থেকেই সুকান্ত ছিলেন অত্যন্ত রাজনীতি-সচেতন। তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’র কিশোরসভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুকান্ত তাঁর কাব্যে অন্যায়-অবিচার শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিপ্লব ও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে তাঁর কবিতা মুক্তিকামী বাঙালির মনে বিশেষ শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।

‘ছাড়পত্র’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: ‘ঘুম নেই’, ‘পূর্বাভাস’। অন্যান্য রচনা: মিঠেকড়া’, ‘অভিযান’, ‘হরতাল’ ইত্যাদি। তিনি ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘অকাল’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।

. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই মে মাত্র একুশ বছর বয়সে প্রতিভাবান এ কবির অকালমৃত্যু হয়।

মূল কবিতা:
আঠারো বছর বয়স
- সুকান্ত ভট্টাচার্য---ছাড়পত্র
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা। এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে। আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা, এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা। আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান, দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ। আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো, এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো। তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি, এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে, বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে। এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়- এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।

পাঠ-পরিচিতি

============

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে জবিনের ঝুঁকি নেবার উপযোগী। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত। এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর।

কিন্তু এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত-এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন কাজীয়

×


বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:
১. -- ?
ক) ---
খ) ---
গ) --
ঘ. বস্তুবাদী ইহজাগতিক প্রাণী
উত্তর: --

২. -- ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ










অপরিচিতা গল্প


Girl in a jacket Mountains


গল্প= অপরিচিতা। লেখক= রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
লেখক পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ এ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জননী সারদা দেবী।
. বিশ্বকবি অভিধায় সম্ভাষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প রচয়িতা এবং ছোটগল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পি। তাঁর লেখনীতেই বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব, বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটেছে। তাঁর ছোটগল্প বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পগুলোর সমতুল্য। ১২৮৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ষোল বছর বয়সে ‘ভিখারিনী’ গল্প রচনার মাধ্যমে ছোটগল্প লেখক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পর থেকে জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ চৌষট্টি বছরে তিনি অখণ্ড ‘গল্পগুচ্ছে’ সংকলিকত ৯৫টি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এর বাহিরেও ‘সে’, ‘গল্পসল্প’ ও ‘লিপিকা’ গ্রন্থে রয়েছে তাঁর আরও গল্প সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সর্বশেষ গল্পটির নাম ‘মুসলমানীর গল্প’।

. পারিবারিক জমিদারি তদারকির সূত্রে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাসের কালই রবীন্দ্র্রনাথের ছোটগল্পরচনার স্বর্ণযুগ। ‘সোনার তরী’ কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোও তিনি একই সময়ে রচনা করেন। প্রকৃতির পটে জীবনকে স্থাপনকরে জীবনের গতিময় বিশ্বজনীন প্রকাশই রবীন্দ্রগল্পের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তবে বিশ শতকের রচিত গল্পে প্রকৃতি ও গীতময়তার স্থলে বাস্তবতাই প্রাধান্য পেয়েছে। গল্পকার হিসেবে তিনি যেমন বরেণ্য, ঔপন্যাসিক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে তাঁর স্থান সুনির্দিষ্ট।

. তাঁর রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘চোখের বালি’, ‘গোরা’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে-বাহিরে’, ‘শেষের কবিতা’, ‘যোগাযোগ’ বাংলা উপন্যাসের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। নাটক রচনার ক্ষেত্রেও রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব অবিসংবাদিত। তাঁর রচিত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাট্যগ্রন্থগুলো হলো : ‘রাজা’, ‘অচলায়তন’, ‘ডাকঘর’, ‘মুক্তধারা’, ‘রক্তকরবী’।

. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগস্ট (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাবসান ঘটে।

. মূলরচনা-১
-

শব্দার্থ ও মূলভাব

কবি পরিচিতি



পাঠ-পরিচিতি
‘অপরিচিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪) কার্তিক সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয় রবীন্দ্রগল্পের সংকলন ‘গল্পসপ্তম’-এ এবং পরে, ‘গল্পগুচ্ছ’ তৃতীয় খণ্ডে (১৯২৭)।শব্দার্থ ও টীকা

‘অপরিচিতা’ গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে যে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারীর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, তার নাম কল্যাণী। অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মম বলি হয়েছে এমন নারীদের গল্প ইতঃপূর্বে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু এই গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথকতা শোনালেন তিনি। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন এবং কন্যা কল্যাণীর স্বতন্ত্র বীক্ষা ও আচরণে সমাজে গেড়ে-বসা ঘৃণ্য যৌতুকপ্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। পিতার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ এবং কন্যা কল্যাণীর দেশচেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি সার্থক। ‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প। গল্পের কথক অনুপম বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের যুদ্ধ সংলগ্ন সময়ের সেই বাঙালি যুবক, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর উপাধি অর্জন করেও ব্যক্তিত্বরহিত, পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় পুতুলমাত্র। তাকে দেখলে আজো মনে হয়, সে যেন মায়ের কোলসংলগ্ন শিশুমাত্র। তারই বিয়ে উপলক্ষে যৌতুক নিয়ে নারীর চরম অবমাননাকালে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা-সম্প্রদানে অসম্মতি গল্পটির শীর্ষ মুহূর্ত। অনুপম নিজের গল্প বলতে গিয়ে ব্যাঙ্গার্থে জানিয়ে দিয়েছে সেই অঘটন সংঘটনের কথাটি। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রত্যাখ্যান নতুন এক সময়ের আশু আবির্ভাবকেই সংকেতবহ করে তুলেছে। কর্মীর ভূমিকায় বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্ত। ‘অপরিচিতা’ মনস্তাপে ভেঙেপড়া এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপস্খালনের অকপট কথামালা। অনুপমের আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্যা হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফুরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিও কীর্তিত হয়েছে।।

অপরিচিতা


** অপরিচিতা গল্প মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর

প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের

==>

অপরিচিতা