বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

কবিতা ১২


বিখ্যাত কবি-দের কবিতা


রবীন্দ্রনাথ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুল

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


কাজী নজরুলyyy

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


n jfj666

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


জীবনান্দ 6

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


নির্মেলেন্দু 7

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram


no mame

কবিতা
কবিতার শিরোনাম
কবিতা শিো নাম
১ বিদ্রোহী
2 amader gram
ট্যাব কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট দেখতে সুবিধা বেশী

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

আঠার বছর বয়স কবিতা

এই পৃষ্ঠার কাজ চলিতেছে আঠারো বছর বয়স

Girl in a jacket
×

আঠারো বছর
Flowers in Chania কবি পরিচিতি :

সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায়। তাঁর পিতার নাম নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য, মায়ের নাম সুনীতি দেবী। ছোটবেলা থেকেই সুকান্ত ছিলেন অত্যন্ত রাজনীতি-সচেতন। তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’র কিশোরসভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুকান্ত তাঁর কাব্যে অন্যায়-অবিচার শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিপ্লব ও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে তাঁর কবিতা মুক্তিকামী বাঙালির মনে বিশেষ শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।

‘ছাড়পত্র’ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: ‘ঘুম নেই’, ‘পূর্বাভাস’। অন্যান্য রচনা: মিঠেকড়া’, ‘অভিযান’, ‘হরতাল’ ইত্যাদি। তিনি ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘অকাল’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।

. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই মে মাত্র একুশ বছর বয়সে প্রতিভাবান এ কবির অকালমৃত্যু হয়।

মূল কবিতা:
আঠারো বছর বয়স
- সুকান্ত ভট্টাচার্য---ছাড়পত্র
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা। এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে। আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা, এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা। আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান, দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ। আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো, এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো। তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি, এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে, বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে। এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়- এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।

পাঠ-পরিচিতি

============

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে জবিনের ঝুঁকি নেবার উপযোগী। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত। এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর।

কিন্তু এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত-এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন কাজীয়

×


বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:
১. -- ?
ক) ---
খ) ---
গ) --
ঘ. বস্তুবাদী ইহজাগতিক প্রাণী
উত্তর: --

২. -- ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ










অপরিচিতা গল্প


Girl in a jacket Mountains


গল্প= অপরিচিতা। লেখক= রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
লেখক পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ এ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জননী সারদা দেবী।
. বিশ্বকবি অভিধায় সম্ভাষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প রচয়িতা এবং ছোটগল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পি। তাঁর লেখনীতেই বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব, বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটেছে। তাঁর ছোটগল্প বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পগুলোর সমতুল্য। ১২৮৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ষোল বছর বয়সে ‘ভিখারিনী’ গল্প রচনার মাধ্যমে ছোটগল্প লেখক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পর থেকে জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ চৌষট্টি বছরে তিনি অখণ্ড ‘গল্পগুচ্ছে’ সংকলিকত ৯৫টি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এর বাহিরেও ‘সে’, ‘গল্পসল্প’ ও ‘লিপিকা’ গ্রন্থে রয়েছে তাঁর আরও গল্প সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সর্বশেষ গল্পটির নাম ‘মুসলমানীর গল্প’।

. পারিবারিক জমিদারি তদারকির সূত্রে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাসের কালই রবীন্দ্র্রনাথের ছোটগল্পরচনার স্বর্ণযুগ। ‘সোনার তরী’ কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোও তিনি একই সময়ে রচনা করেন। প্রকৃতির পটে জীবনকে স্থাপনকরে জীবনের গতিময় বিশ্বজনীন প্রকাশই রবীন্দ্রগল্পের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তবে বিশ শতকের রচিত গল্পে প্রকৃতি ও গীতময়তার স্থলে বাস্তবতাই প্রাধান্য পেয়েছে। গল্পকার হিসেবে তিনি যেমন বরেণ্য, ঔপন্যাসিক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে তাঁর স্থান সুনির্দিষ্ট।

. তাঁর রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘চোখের বালি’, ‘গোরা’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে-বাহিরে’, ‘শেষের কবিতা’, ‘যোগাযোগ’ বাংলা উপন্যাসের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। নাটক রচনার ক্ষেত্রেও রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব অবিসংবাদিত। তাঁর রচিত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাট্যগ্রন্থগুলো হলো : ‘রাজা’, ‘অচলায়তন’, ‘ডাকঘর’, ‘মুক্তধারা’, ‘রক্তকরবী’।

. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগস্ট (১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাবসান ঘটে।

. মূলরচনা-১
-

শব্দার্থ ও মূলভাব

কবি পরিচিতি



পাঠ-পরিচিতি
‘অপরিচিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪) কার্তিক সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয় রবীন্দ্রগল্পের সংকলন ‘গল্পসপ্তম’-এ এবং পরে, ‘গল্পগুচ্ছ’ তৃতীয় খণ্ডে (১৯২৭)।শব্দার্থ ও টীকা

‘অপরিচিতা’ গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে যে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারীর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, তার নাম কল্যাণী। অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মম বলি হয়েছে এমন নারীদের গল্প ইতঃপূর্বে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু এই গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথকতা শোনালেন তিনি। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন এবং কন্যা কল্যাণীর স্বতন্ত্র বীক্ষা ও আচরণে সমাজে গেড়ে-বসা ঘৃণ্য যৌতুকপ্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। পিতার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ এবং কন্যা কল্যাণীর দেশচেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি সার্থক। ‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প। গল্পের কথক অনুপম বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের যুদ্ধ সংলগ্ন সময়ের সেই বাঙালি যুবক, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর উপাধি অর্জন করেও ব্যক্তিত্বরহিত, পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় পুতুলমাত্র। তাকে দেখলে আজো মনে হয়, সে যেন মায়ের কোলসংলগ্ন শিশুমাত্র। তারই বিয়ে উপলক্ষে যৌতুক নিয়ে নারীর চরম অবমাননাকালে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা-সম্প্রদানে অসম্মতি গল্পটির শীর্ষ মুহূর্ত। অনুপম নিজের গল্প বলতে গিয়ে ব্যাঙ্গার্থে জানিয়ে দিয়েছে সেই অঘটন সংঘটনের কথাটি। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রত্যাখ্যান নতুন এক সময়ের আশু আবির্ভাবকেই সংকেতবহ করে তুলেছে। কর্মীর ভূমিকায় বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্ত। ‘অপরিচিতা’ মনস্তাপে ভেঙেপড়া এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপস্খালনের অকপট কথামালা। অনুপমের আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্যা হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফুরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিও কীর্তিত হয়েছে।।

অপরিচিতা


** অপরিচিতা গল্প মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর

প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের

==>

অপরিচিতা









পৌরীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র

W3.CSS৷

জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন (মান : ৭০)
[যেকোনো ৭টি প্রশ্নের উত্তর দাও। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০(১+২+৩+৪)]

১। নিচের ছকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
Mountains
ক) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার কোন নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত?
খ) দায়িত্বশীল সরকার বলতে কী বোঝায়?
গ) ওপরের ছক অনুযায়ী ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখো।
ঘ) ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থার মধ্যে কোনটিকে তুমি উত্তম মনে করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

২। বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তি ভাগ করার ব্যাপারে বড় ভাই ছোট ভাই-বোনদের বলেন, ‘আমি কোনো অনৈতিক কাজ করব না। আরো বলেন, তোমরা কখনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেলে সবার সুযোগ-সুবিধার সমতার দিকে খেয়াল রাখবে।’
ক) ‘আইন হলো সার্বভৌম কর্তৃত্বের আদেশ’—কার উক্তি?
খ) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকের প্রথমে আইনের যে উৎসটির প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ) উদ্দীপকের শেষে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পাঠ্য বইয়ের কোন ধারণার উল্লেখ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।

৩। আজিজ সাহেব সরকারের একটি অঙ্গের সদস্য হওয়ায় তিনি কর আরোপ ও সংগ্রহ এবং সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান ও বিধি-বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকেন। অন্যদিকে মোবারক সাহেবের বিভাগটি জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণসহ আইনের ব্যাখ্যাও প্রয়োগ করে থাকে।
ক) বাংলাদেশে কততম সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়?
খ) ‘ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ নীতি’ বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত আজিজ সাহেবের প্রতিষ্ঠানের কোন কোন কাজের উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) মোবারক সাহেবের বিভাগের নাম উল্লেখপূর্বক কার্যাবলি ব্যাখ্যা করো।

৪। সম্প্রতি রামপালে বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছিল। কিন্তু মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ও সুশীল সমাজ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণিপেশার মানুষও এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।
ক) জনমত কাকে বলে?
খ) রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকে সরকারের অবস্থান পরিবর্তনে যে বিষয়টি ভূমিকা রাখে তা পাঠ্য বইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের আলোকে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

৫। মি. ‘ক’ ও মি. ‘খ’ উচ্চপদস্থ স্থায়ী সরকারি কর্মকর্তা। মি. ‘ক’ বিশ্বাস করেন উচ্চপদস্থ হলেও তিনি সাংবিধানিকভাবে জনগণের সেবক। তাঁর উচিত রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাওয়া। কিন্তু মি. ‘খ’ নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করেন। তিনি স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন।
ক) আমলাতন্ত্রের জনক কে?
খ) লালফিতার দৌরাত্ম্য বলতে কী বোঝায়?
গ) ‘‘উদ্দীপকে উল্লিখিত মি. ‘খ’ এর আচরণ ও কর্মকাণ্ড সুশাসনের জন্য অন্তরায়’’ ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত মি. ‘খ’-এর মানসিকতা ও আচরণ উন্নত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে তুমি মনে করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬। ‘ক’ রাষ্ট্রটি পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে বিভক্ত। পূর্বাঞ্চলের জনগণ বাংলায় কথা বলে এবং তারা ওই রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। তারা নিজেদের অনেক দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চল থেকে আলাদা ভাবে। কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে অগ্রাহ্য করে। অন্য একটি ভাষা তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ফলে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে তারা সংগ্রাম করে। পরবর্তীকালে পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠী ‘ক’ রাষ্ট্র থেকে আলাদা হয়ে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
ক) জাতি কাকে বলে?
খ) জাতি ও জাতীয়তার মধ্যকার পার্থক্য লেখো।
গ) উদ্দীপকে বর্ণিত ‘ক’ রাষ্ট্রে কোন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্বাঞ্চলের মানুষ সংগ্রাম করেছিল? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত চেতনার উপাদানগুলো বিশ্লেষণ করো।

৭। নিচের ছকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক) ‘ইতিহাস ব্যতীত পৌরনীতি ভিত্তিহীন এবং পৌরনীতি ব্যতীত ইতিহাস মূল্যহীন’—উক্তিটি কার?
খ) নাগরিকের গণতান্ত্রিক চেতনা বৃদ্ধিতে পৌরনীতি পাঠ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ) ছকে উল্লিখিত বিষয় দুটির মধ্যকার সম্পর্ক লেখো।
ঘ) নাগরিক জীবনকে পরিপূর্ণতা দিতে দুটি বিষয়ই সমান ভূমিকা রাখে—যুক্তি দাও?

৮। বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষের সার্বিক কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সঙ্গে একটি ধারণা বা প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে নাগরিকরা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।
ক) আইনের শাসন কাকে বলে?
খ) সরকারের জবাবদিহি বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকের ধারণাটি কিভাবে রাষ্ট্রের জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের ধারণাটি কেন বর্তমানে বিশ্বের রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনপ্রিয় ধারণা? যুক্তি দাও।

৯। সাইফুল মেধাবী ছাত্র ও খেলোয়াড়। কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় তার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সংবাদ পেয়ে ছাত্র-শিক্ষকসহ এলাকার মানুষ তার পাশে দাঁড়ায় এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর সাইফুল সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসে।
ক) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কাকে বলে?
খ) ‘সাম্য ব্যতীত গণতন্ত্র অর্থহীন’—ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকে বর্ণিত সাইফুলের প্রতি সবার আচরণে কোন মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) সাইফুলের প্রতি সবার এ ধরনের আচরণ সমাজে যে প্রভাব ফেলবে তার বিশ্লেষণ করো।

১০। জনাব মামুন জনপ্রিয় লেখক। তাঁর লেখনীতে দেশের সব জনগোষ্ঠীর ভাষা-সাহিত্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি আশা করেন ব্যক্তির প্রতিভা বিকাশে সমাজের সবাই এগিয়ে আসবে।
ক) সামাজিক কর্তব্য কাকে বলে?
খ) মানবাধিকার বলতে কী বোঝায়?
গ) জনাব মামুনের লেখনীতে কোন ধরনের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের বর্ণিত অধিকারের নিশ্চয়তা সমাজের উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে? বিশ্লেষণ করো।

১১। কলেজের অধ্যাপক শিক্ষক আফসার উদ্দিন ছাত্রদের রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি বলেন, সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া কখনো সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল গঠন সম্ভব নয় এবং সঠিক নেতৃত্বই পারে একটি জনসমাজকে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতে।
ক) জাতীয়তাবোধ কী?
খ) সম্মোহনী নেতৃত্ব বলতে কী বোঝায়?
গ) কী কী গুণের সমাবেশ ঘটলে সুযোগ্য নেতৃত্ব গঠন সম্ভব? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) ‘সুশাসনের সাথে নেতৃত্বের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ’—উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় করো।


এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র মডেল টেস্টের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল অংশের জ্ঞানমূলক (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর :

ক) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার কোন নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত?
১। ক) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
খ) দায়িত্বশীল সরকার বলতে কী বোঝায়?
খ) আধুনিক যুগের গণতান্ত্রিক সরকারকেই দায়িত্বশীল সরকার বলে। কেননা গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সব জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের মূল্যবান ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করে। এ জন্য দায়িত্বশীল সরকার রাষ্ট্রের জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিকসহ সব বিষয়ে উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়। এ ব্যবস্থায় আইনের শাসন, জবাবদিহি, স্বাধীন বিচার বিভাগ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সর্বোপরি দায়িত্বশীল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

২। ক) জন অস্টিন।
খ) ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য অভাব ও দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিধান ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকার নিশ্চিত করাকেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া অন্য সব স্বাধীনতাই অনেকটা অর্থহীন হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তির সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার, অবকাশ যাপনের স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতাসহ বৃদ্ধ ও অক্ষম অবস্থায় আর্থিক নিরাপত্তা লাভের অধিকারকেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলা হয়।

৩। ক) দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
খ) একটি রাষ্ট্রের সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কাজকে পৃথক বা স্বতন্ত্র করাকেই ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি বলা হয়।
সরকারের তিনটি বিভাগ স্বতন্ত্রভাবে গঠিত হবে। প্রতিটি নিজ কর্মক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে। অর্থাৎ এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজে বাধা প্রদান বা হস্তক্ষেপ করবে না। এই নীতি অনুসারে আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন করবে, শাসন বিভাগ সেই আইন কার্যকর করবে এবং বিচার বিভাগ সেসব আইনের ব্যাখ্যা দানসহ বিভিন্ন মামলায় প্রয়োগ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।

৪। ক) জনমত হচ্ছে কল্যাণকামী, বলিষ্ঠ, যুক্তিভিত্তিক ও সুস্পষ্ট মতামত, যা সরকার ও জনগণকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।
খ) রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে সেসব লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মনোভাব, বিশ্বাস, অনুভূতি ও মূল্যবোধকে বোঝায়, যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও মূল্যবোধকে নিয়ন্ত্রণ করে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি মূলত একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার দর্পণ বা প্রতিচ্ছবি, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থার গভীরে প্রবেশ করে এর অন্তর্নিহিত ও মনস্তাত্ত্বিক দিকের প্রকাশ ঘটায়।

৫। ক) আমলাতন্ত্রের জনক হলেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার।
খ) লালফিতার দৌরাত্ম্য বলতে পূর্ববর্তী নিয়মকে অন্ধভাবে অনুসরণ ও অনুকরণ করাকে বোঝায়। আমাদের সমাজে আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য, আনুষ্ঠানিকতার বাড়াবাড়ি ও অহেতুক বিলম্ব বোঝাতে মন্দ অর্থেই লালফিতার দৌরাত্ম্য শব্দটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। Red Tapism বা লালফিতা প্রত্যয়টি শপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে প্রচলিত ছিল। সে সময়ে সরকারি ফাইলপত্র লাল রঙের ফিতায় বেঁধে রাখা হতো। তখন থেকেই আমলাতন্ত্রের আনুষ্ঠানিকতা, দীর্ঘসূত্রতা, নিয়ম-কানুনের কড়াকড়ি ও বাড়াবাড়ি বোঝাতে লালফিতার দৌরাত্ম্য কথাটির ব্যবহার শুরু হয়। ফলে সমস্যা সমাধানে বিধি মোতাবেক যথাযোগ্য নিয়মে অগ্রসর হতে গিয়ে সমস্যা আরো জটিল হয়। জনগণের চাওয়া-পাওয়া, আবেদন লালফিতার বাঁধনে আটকা পড়ে থাকে।

৬। ক) জাতি বলতে বোঝায় এমন এক রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন জনসমাজ, যারা স্বাধীন বা স্বাধীনতাকামী। অন্য ভূগন্ডে বসবাস করতে পারে।
খ) জাতীয়তা নাগরিকত্বের ভিত্তিতে নিরূপিত হয়। জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব একটি অপরটির পরিপূরক হলেও নাগরিকত্ব ব্যতীত জাতীয়তা অর্জন সম্ভব নয়। জাতীয়তা একটি দেশের ভূখণ্ডভিত্তিক,

৭। ক) উক্তিটি করেছেন অধ্যাপক ক্লিন্টন বুথ সিলি।
খ) পৌরনীতি নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন, অধিকার গ্রহণ ও রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। তাই নাগরিকের গণতান্ত্রিক চেতনা বৃদ্ধিতে পৌরনীতি পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের দেশকে ভালোবাসার শিক্ষা, রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, সুনাগরিকতার শিক্ষা লাভসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে জানা সম্ভব। গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতন নাগরিক আর নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, যা একজন নাগরিক পৌরনীতি পাঠ করে আয়ত্ত করতে পারে।
৮। ক) আইনের শাসন বলতে আইনের প্রাধান্য স্বীকার করা, আইনানুযায়ী শাসন করা ও সবার জন্য একই প্রকার আইনের ব্যবস্থা থাকা।
খ) সরকারের জবাবদিহি বলতে জনগণের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতা বা দায়িত্বশীলতাকে বোঝায়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব স্তরে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শাসন বিভাগ বা মন্ত্রিসভাকে আইনসভার কাছে তাদের গৃহীত নীতি, সিদ্ধান্ত ও কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রের প্রশাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব।

৯। ক) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেসব চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্প মানুষের গণতান্ত্রিক আচার-ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে, তাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বলে।
খ) সাম্য বলতে সেই পরিবেশকে বোঝায়, যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় এবং সবাইকে সমানভাবে আত্মবিকাশের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সাম্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণস্বরূপ। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ‘সকল নাগরিক সমান’—এ আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে হলে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে সফল করতে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনগত সাম্যসহ সব ধরনের সাম্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তাই বলা যায়, সাম্য ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন।

১০। ক) সমাজজীবনকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তোলার জন্য নাগরিকরা যেসব কর্তব্য পালন করে সেগুলোকে সামাজিক কর্তব্য বলে।
খ) মানবজীবনে যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগের দাবিদার হয় এবং যা ছাড়া তার ব্যক্তিত্ব বিকশিত হয় না, সেগুলোকেই মানবাধিকার বলা হয়। মানবাধিকার অধিকারেরই একটি বিস্তৃত রূপ, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং জন্মগতভাবেই সম-অধিকার ও সমমর্যাদাসম্পন্ন। সুতরাং মানবাধিকার বলতে সেই সব অধিকারকে বোঝায়, যা পৃথিবীর সব মানুষ শুধু মানুষ হিসেবে দাবি করতে পারে। মানবাধিকার কোনো দেশ বা কালের সীমানায় আবদ্ধ নয়, সব দেশের, সব কালের।

১১। ক) জাতীয়তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষের মধ্যে যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়, তাকেই জাতীয়তাবোধ বলে।
খ) কোনো বিশেষ নেতা যখন তাঁর বক্তব্য ও কাজ দ্বারা জনগণকে ভীষণভাবে সম্মোহিত, অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হন, তখন সেই নেতৃত্বকে সম্মোহনী নেতৃত্ব বা জাদুকরী নেতৃত্ব বলা হয়। সাধারণত সফল রাজনৈতিক নেতৃত্বই সম্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী হয়। সম্মোহনী নেতৃত্বের ভূমিকা জনগণকে মুগ্ধ ও আবেগাপ্লুত করে তোলে। এ ধরনের নেতৃত্বের মাধ্যমে কোনো নেতা তাঁর বক্তব্য, ব্যক্তিত্ব, দূরদৃষ্টি, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা, নিরপেক্ষতাসহ নেতৃত্বের অন্য গুণাবলির দ্বারা জনগণকে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।