৮। গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার দি গ্রেট বিজেতা হিসেবে ইতহাসে বিখ্যাত হয় আছেন তাঁর জিত রাজ্যগুলোর মধ্যে পারস্য বিজয় অন্যতম ।স্বীয় সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন ,সীমান্ত সুরক্ষা ,ধন-সম্পদ সংগ্রহ প্রভৃতি কারণে তিনি পারস্য অভিযানে উদ্ভুদ্ধ হয়েছিলেন । পারস্য বিজয়ের পর তিনি উহাকে স্বীয় সম্রাজ্যভুক্ত করলে পারসিকদের সাথে গ্রিকদের রাজনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং উভয় জাতিসত্বার সংমিশ্রণে এক নতুন জাতিসত্বার উদ্ভব ঘটে ।
ক.আরবগণ কত সালে সিন্ধু অভিযান করে?
খ.সিন্ধু অভিযানের প্রত্যক্ষ কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত পারস্য অভিযানের কারনসমূহের সাথে তোমার পঠিত আরবদের সিন্ধু আভিযানের তুলনা কর ।
ঘ.গ্রিক পারসিক সভ্যতার সংমিশ্রণ অপেক্ষা আরব জাতি ও ভারতবর্ষের জনজীবনে পারস্পরিক প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ছিল-বিশ্লেষণ কর ।
৯। মিশরের মামলুক বংশের সুলতান সাইফুদ্দীন কালাউন বাল্যকালে দাস ছিলেন । স্বীয় প্রজা,বিদ্রোহ দমন ,সামরিক দক্ষতা , আত্নবিশ্বাস,রাজ্যবিস্তার ,ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারণে তিনি মিশরের মামলুক বা দাস বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের মর্যাদা লাভ করেন । তাঁর জনহিতকরণ কার্যাবলির জন্য তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
ক.আল বেরুনী কে ছিলেন ?
খ.সুলতান রাজিয়ার রাজ্যশাসন পদ্ধতির বর্ণনা দাও।
গ.উদ্দীপকে উল্লেখিত শাসকের সাথে তোমার পঠিত দাস বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের কর্মকান্ডের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত সুলতানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভারতীয় মামলুক সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের কর্মকান্ড অধিকতর অগ্রগামী ছিল -বিশ্লেষণ কর ।
১০।১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্বের ভিক্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলসমুহ নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট গঠিত হয় । পাকিস্তান রাষ্টটি দু ভাগে বিভক্ত করে যথাক্রমে পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে সংবিধিবদ্ধ করা হয় । পশ্চিম পাকিস্তানের নতুন রাজধানী স্থাপন করা হয় করাচি নগরীতে। তবে রাষ্ট্রের মধ্যস্থলে রাজধানী প্রতিষ্ঠা ,প্রশাসনিক সুবিধা আবহাওয়াাগত সুবিধা ও জনগণের দবির প্রেক্ষিতে করাচি থেকে ইসলামাবাদে রাজধানী স্থাপন করা হয়।
ক.তুঘলক বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের নাম কি ?
খ.মোহাম্মদ বিন তুঘলকে কেন যুগের বিস্ময় বলা হয়।
গ.করাচি থেকে ইসলামাবাদে রাজধানী স্থানান্তরের সাথে তোমার পঠিত মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর পরিকল্পনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শাসক মুহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানন্তর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দুরূহ ছিল-বিশ্লেষণ কর ।
১১।অটোমান সুলতান বায়েজিদ অত্যন্ত জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। তাঁর সমাজ্য ছিল সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর ,দয়া দাক্ষিণ্যে তিনি ছিলেন মুক্তহস্ত। বিদ্বান ও পন্ডিতদের তিনি নিয়মিত ভাতার ব্যবস্থা করেন ।তিনি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও শিক্ষকদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা। তাঁর আমলে সম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। শাসন ব্যবস্থার পূর্ণগঠন, রাজস্ব সংস্কার, রাস্তাঘাট নির্মান,প্রভৃতিতে তিনি দক্ষতার পরিচয় দেন।
ক.বাবরের পিতার নাম কী ? ১
খ.পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সম্পর্কে কী জান। ২
গ.অটোমান সুলতান বায়েজীদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তোমর পঠিত ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসন ব্যবস্থার কীরুপ সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় , ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসন ব্যবস্থা দিল্লির সালতানাতের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল -উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
১২। জনাব ইলিয়াস শাহ একজন জনপ্রিয় শাসক ছিলেন । রাজ্যবিস্তার ,বিদ্রোহ দমন ও সুশান প্রতিষ্ঠার পর তিনি স্থাপত্য শিল্প বিকাশে বিশেষ অবদান রাখেন ।তিনি দেশে অসংখ্য মসজিদ ,রাস্তা-ঘাট ,দূর্গ ,সমাধিসৌধ স্মৃতিসৌধ,,সরাইখানা ,ইত্যাদি নির্মাণ করেন ।
ক.সম্রাট জাহাঙ্গীরের মায়ের নাম কী ? ১
খ.ময়ূর সিংহাসন সম্পর্কে কী জান ? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ইলিযাসশাহের সাথে তোমার পঠিত মোঘল সম্রাট শাহ্জাহানের স্থাপত্যিক কর্মকান্ডের কীরূপ সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়,ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মোঘল সম্রাট শাহ্জাহানকে ‘ The prince of builders ’'উপাধি দেবার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪
১৩। বিবিসি ওয়ার্ল্ড টিভি চ্যানেল একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছিল। ভিডিওতে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের জনগনের সংগ্রামের ঘটনা দেখানো হয় । ঐ অঞ্চলের জনগনের সাহস বুদ্ধি ও সম্পদ থাকা সত্বেও সরকারের বৈষম্যনীতির ফলে তারা চাকরি শিক্ষাদীক্ষা ও অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত ছিল । তাদের বঞ্চনা ও শোষণের হাত হতে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন এক অবিসংবাদিত আপোষহীন নেতা । তিনি বঞ্চিত জনগোষ্ঠির তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন । তাছাড়া ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনেও জনগনকে উদ্বুদ্ধ করেন। জনগণের আত্ননিয়ন্ত্রনের অধিকার ও মুক্তির দাবি সমুহ উক্ত মহান নেতা শাসকগোষ্ঠীর নিকট পেশ করেন।
ক.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে ছয় দফা কর্ম সূচী পেশ করেন ? ১
খ.বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির নিকট এত স্মরণীয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকে নেতার দাবিনামার সাথে বাংলাদেশের কোন মহান নেতার কর্মসুচীর মিল রয়েছে ? ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.তুমি কী মনে কর , উক্ত দাবিনামা বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল ?যুক্তি দেখাও । ৪
১৪।মানুয়ের ব্যস্ততা কর্মপরিধি বাড়তে থাকায় তারা আজ বাজারে যাবার পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না । তাই অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । প্রদিটি পণ্যের দাম র্নিধারিত থাকায় , সঠিক ওজন ও পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করায় এ শপিং ব্যবস্থাটির ওপর ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে । পণ্যের সনরবরাহ নির্বিগ্নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা , দ্রব্য সামগ্রীর বিপুল সমাহার ও বৈচিত্র্য থাকায় অনলাইনে শপিং মানুষের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় করছে । (দ্বিতীয় অধ্যায় )
ক.খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? ১
খ.তৈমুর লং এর ভারত আক্রমনের ফরাফল ব্যাখ্যা কর । ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত অনলাইন শপিং এর সাথে সুলতান আলাউদ্দিন খলজির মূল্য নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির মিল কোথায় ? ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.তুমি কী মনে কর ,অনলাইন শপিং ফলপ্রসূ করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মতো সুলতান আলাউদ্দীন খলজিও উক্ত ব্যবস্থা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বহুবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও । ৪
ভারত উপমহাদেশে মূঘল শাসন (তৃতীয়-অধ্যায় )
২য় টউটিরিয়াল
১।সম্রাট নিজাম উদ্দিন একজন জনপ্রিয় শাসক।নিজে নিষ্ঠাবান মুসলমান হওয়া সত্বেও তিনি অন্য ধর্মমতের প্রতি সহিষ্ঞু ছিলেন। তিনি তার রাজ্যে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণের অনুষ্ঠান ।ভিক্তিক ধর্মীয় আচরণের মতপার্থক্য দুর করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেন।শাসন পরিচালনায় অন্যান্য ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সাহায্য লাভের উদ্দেশ্য তিনি সকল ধর্মের সারবস্তু নিয়ে একটি নতুন ধর্মের প্রর্বতন করেন ।
ক.সম্রাট আকবরের পূর্ণ নাম কী ? ১
খ.সম্রাট আকবরের দ্বী-ই-ইলাহি সম্পর্কে কী জান । ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সম্রাট নিজাম উদ্দিনের সাথে তোমার পঠিত বইয়ের মুঘল যুগের কোন শাসকের ধর্মনীতি প্রবর্তনের মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।৩
ঘ.আন্ত:ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই উক্ত মুঘল শাসকের সাফল্য ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভের অন্যতম কারণ -বিশ্লেষণ কর ।{তৃতীয় অধ্যায় } ৪
২। ভাগ্য বিড়ম্বিত যুবক ইরফান্ পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলের অধিপতি ছিলেন । কিন্তু নিকট আত্নীয়দের ষড়যন্ত্রের কারণে ঐ রাজ্য তার হাতছাড়া হয়ে যায় । এ অবস্থায তিনি অভ্যন্তরীণ দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য আক্রমণ করেন। উন্নত রণনীতিও সমরাস্ত্রের সাহায্যে প্রতিবেশীর বিশাল সৈন্যবাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করেন ।অত:পর ঐ রাজ্যের ধ্বংসস্তুপের ওপর একটি নতুন সাম্রাজ্যের ভিক্তি স্থাপন করার গৌরব অর্জন করেন ।
ক.‘হুমায়ূন’ শব্দের অর্থ কী ?
খ.মুঘলদের পরিচয় ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকের সাথে ভারতবর্ষের কোন শাসকের মিল খুজেঁ পাওয়া যায ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত শাসকের কৃতিত্ব মুল্যায়ন কর ।
৩।
-->
বাংলায় কোম্পানি ও ঔপনিবেশিত শাসন (চতুর্থ-অধ্যায় )
১ ।যশোহরের অভয়নগর উপজেলাটি আয়তনে বিশাল এবং এর জনসংখ্যাও অনেক যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কাজে এটি ভেঙ্গে দুটি উপজেলা করার দারি ওঠে । সরকার ন্যায্য দাবি মনে করে উপজেলাদুটিকে দু অংশে ভাগ করে দুটি উপজেলা ঘোষনা করে । কিন্তু একশ্রেণির মানুষ নিজেদের সুরভিসন্ধি বাস্তবায়নের জন্য অখন্ডতার দাবির পক্ষে জোরালো দাবি পেশ করে । এতে করে সরকার পুনরায় দু উপজেলাকে একটি উপজেলায় পরিণত করে । যার ফলে অত্র অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ স্থায়ী ক্ষতির মুখে পতিত হয় ।
ক.বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল কোথায় ?
খ.হিন্দুরা বঙ্গবঙ্গের বিরোধিাতা করতে থাকে কেন ? ।
গ.উদ্দীপকের ঘটনাটি বাংলার ইতিহাসে কোন ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয় ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.বঙ্গবঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলার মুসলমানেরা লাভবান হয় ‘আবার এটি রদের ফলে পূর্ব বাংলার মুসলমানদের অপরিরমেয় ক্ষতি সাধিত হয় -উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর ।
২) ইনসান আলি বাল্যকাল থেকে সাহসী, মেধাবী ও ধর্মপরায়ণ ছিলেন । পরাধীন দেশে স্বজাতির নানা অসংগতি দেখে তিনি ব্যাথিত হন । বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর শোষণে ও অত্যাচারে তিনি প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন । জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তিনি বিদেশি শক্তির বিনাশে সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। তিনি স্বদেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দলবলসহ জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। তার এ সংগ্রাম ব্যার্থ হলেও পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত করে ।
ক.আরবি কোন শব্দ হতে ‘ফরায়েজি’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ।
খ.ফরায়েজি আন্দোলন ব্যার্থ হয় কেন?
গ.উদ্দীপকের চরিত্রের সাথে উনবিংশ শতকের বাংলার কোন নেতার মিল পাওয়া যায় ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত নেতার সংগ্রামী জীবনের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর ।
৩।উত্তর আফ্রিকার সুদানে ঔপনিবশিক
বাংলার ইতিহাস (পাকিস্তান আমল ) (পঞ্চম -অধ্যায় )
১)আলভী গার্মেন্টসের কর্ণধার কাদের চৌধুরী তার অধীন কর্মচারীদের নিয়োগবিধি মোতাবেক প্রাপ্য মজুরি বোনাস স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ইত্যাদি সুবিধা প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করে আসছিল । এত বিক্ষুদ্ধ কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে দাবি আদায়ে শ্রমিকসংঘ গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন কর্মসুচী
ঘোষণা করে । আন্দোলনের চাপে তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাত ও কৌশলে মালিক তাদের ঐক্য ভেঙ্গে দেয় এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব স্থাপন করে ।
ক.লাহোর প্রস্তাবের উহ্থাপক কে?
খ.ছিয়াত্তরের মনান্তর কেন ঘটেছিল ?
গ.উদ্দীপকে শ্রমিক সংঘ গড়ে তোলার সাথে যুক্তফ্রন্ট গঠনের কী সাদৃশ্য পাওয়া যায় ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.তুমি কি মনে কর শ্রমিক সংঘের আন্দোলনের পরিণতির মতোই যুক্তফ্রন্টের পরিণতিও একই হয়েছিল ?উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।
২) খনিজ সম্পদে ভরপুর আফ্রিকার একটি দেশ সুদান । এদেশের উত্তরাঞ্চলের আয়তন দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে অনেক বড় হলেও জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম ।এছাড়া উত্তরাঞ্চলে নদীনালা কম থাকার কারণে এখানকার কৃষি ছিল অর্নূবর এবং কোথায় কোথাও মরুময় । অন্যদিকে , নদীবিধৌত দক্ষিণ সুদান ছিলল উর্বর এবং খনিজ সম্পদগুলোও ছিল এ অঞ্চলে অবস্থিত । রাষ্ট্র ক্ষমতায় উত্তর সুদানের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় দক্ষিণ সুদানকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করে উত্তর সুদান সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে । এ অবস্থায় দক্ষিণ সুদান সশশ্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার হাক দিলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা অর্জন করে ।
ক.পাকিস্থানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের মাতৃভাষা কী ছিল ?
খ.একুশে ফ্রেব্রেুায়ারী স্মরণীয় কেন? ব্যাখ্যা দাও ।
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সুদানের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্রের সাথে তদানীন্তন পাকিস্থানের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্রের সাদৃশ্য নিরুপণ কর ।
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত বৈষম্যের আলোকে তদানীন্তন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের একটি চিত্র তুলে ধর ।
বাংলার ইতিহাস ২য় পত্র (স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ অভ্যুদয়) (ষষ্ঠ -অধ্যায় )
শৃজনশীল প্রশ্ন
১।ড.আহম্মদ কামাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন ,১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ছিল পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগণের সর্বপ্রথম অধিকার আদায়ের নির্বাচন । এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মনোবল ভেঙ্গে দেয় । শেষপর্যন্ত নানা টালবাহানা করে তারা আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি । তা সত্বেও এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙ্গালির ছয় দফা ও এগার দফা বাস্তবানের পথ অনেক সহজ হয় ।
ক.১৯৭০ সালের সাধানরণ নির্বাচন কত তাখিখে অনুষ্ঠিত হয়?
খ.১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়েয়র কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বানচালের জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কীভাবে ভূমিকা রেখেছিল ড আহম্মদ কামালের বক্তব্যের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নির্বাচনের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর ।
২্।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবিসংবাদিত নেতা প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন দাসপ্রথা বিলোপ এবং গনতন্ত্রের নবজাগরণের উদ্দেশ্যে পেটিসবার্গ নামক স্থানে এক যুগান্তকারী ভাষণ প্রদান করেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে পেটিসবার্গ এড্রেস” নামে খ্যাত । তার এ ভাষণের ব্যাপ্তিছিল মাত্র তিন মিনিট । ভাষণে তিনি গণতন্ত্র , শোষিত মানুষের মুক্তি ও আধিকারের কথা বলেছেন । পৃথিবীতে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা েএব্য দাস প্রথা বিলোপে এটি একটি মাইলফলক ।
ক.লাহোর প্রস্তাব কত সালে পেশ করা হয় ?
খ.দ্বিজাতিতত্ব বলতে কী বোঝায় ?
গ.আব্রাহাম লিংকনের ভাষণের সাথে বাংলাদেশের কোন মহান নেতার ভাষণের সামঞ্জস্য রয়েছে । ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.গনতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় উভয় নেতার ভাষণ তাৎপর্যপূর্ণ হলেও বাংলার মহান নেতার ভাষণ ছিল আরও দিকর্নিদেশনামূলক ও চেতনায় উদ্দীূপ্ত -বিশ্লেষণ কর ।
৩।ব্রাহ্মনবাড়িয়া পৈরতলা রেল ব্রিজের পাশে একটি গণকবর আছে । এটি সম্পর্কে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন কোদাল দিয়ে মাটি খুরতেই বেড়িয়ে আসল মানুষের হাড়গোর আর পচা লাশ । পাশাপাশি দুইটা বিশাল গর্ত। আনুমানিক তিন-চারশ মানুয়ের মরদেহ এখানে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে । এগুলো স্বাধীনতা সংগ্রামী ও নিরপরাধ মানুষের সমাধি । হানাদার বাহিনী এবং রাজাকার আল বদরদের হাতে তারা শহিদ হয়েছেন।
ক.ছয় দফা কর্মসূচী কে পেশ করেন?
খ.ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা বলতে কি বোঝায় ?
গ.উদ্দীপকের প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য আমাদের কোন সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয় ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের আলোকে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত নির্যাতন ও গনহত্যার বিবরণ দাও ।
৪) আরাফের বাড়ি মেহের পুর জেলায় া। এ জেলায় জন্মগ্রহণ করতে পেরে আরাফ নিজেকে ধন্য মনে করে । ঢাকার বন্ধুদের সে প্রায়ই বলে এমন এক জেলায় জন্ম আমার যার রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব । এ জেলাতে একসময় এমন এক সরকার গঠিত হয়েছিল যে সরকার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করেছিলেন । এ সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়েছিল । আমি আমার জেলাকে নিয়ে গর্ববোধ করি ।
ক.বাংলাদেশর মহান মুক্তিযুদ্ধে যৌথবাহিনীর অধিনায়ক কে ছিলেন।
খ. মুজিবনগর সরকারের অর্থ,শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের কাজের ব্যাখ্যা দাও ।
গ.উদ্দীপকে আরাফ যে সরকার নিয়ে গর্ববোধ করে সে সরকারের পরিচয় ও কাঠামো ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.আরাফের বির্ণিত সরকারের প্রশাসন ছিল খুবই সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত --মূল্যায়ান কর ।
১।এযাৎ বাংলাদেশে কয়টি কয়লা খনি আছে ?
বাংলাদেশে এ যাবতকাল পর্যন্ত পাঁচটি প্রধান অন্তর্ভূপৃষ্ঠীয় (sub-surface) কয়লা ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভূতত্ত্ববিদ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভূভাগের নিচে বিরাট আকারের কয়লাখনির অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন। ভূতাত্ত্বিকগণের উপরিউক্ত মতামতের ভিত্তি ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাণীগঞ্জের কয়লাসমৃদ্ধ অঞ্চল এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভের ভূতাত্ত্বিক সামঞ্জস্যতা।
২। জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের বৃঽত্তম বিভাগ কোনটি?
উত্তর:ঢাকা
৩।
w3-largলার্জe a full width container, spanning the entire width offlufluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idfluid class provides a full wfluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idth container, spanning the entire width of the viewport
w3-xlarge a full width container, spanning the entire width offlufluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idfluid class provides a full wfluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idth container, spanning the entire width of the viewport
This part is inside a .container-fluid class.
The .container-fluid class provides a full width container, spanning the entire width offlufluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idfluid class provides a full wfluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idth container, spanning the entire width of the viewpor a full width container, spanning the entire width offlufluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idfluid class provides a full wfluid class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport.idth container, spanning the entire width of the viewportt. class provides a full width container, spanning the entire width of the viewport. the viewport.
উত্ত:মানব ভূগোল ভূগোল পাঠের একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় ।মানুষ ও পৃথিবী হল এর প্রধান উপাদান । বর্তমা সময়ে ভূগোলের ধারণা ,ক্ষেত্র , বিষয়বস্ত ,ও পরিধির ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে । বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভূগোলের ক্ষেত্র ও পরিধিও সম্প্রসারণ হচ্ছে । প্রকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুয়ের অথর্নৈতিক জীবন জীবন গড়ে উঠেছে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করে মানব ভূগোল।
২।বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও আয়তন উল্লেখ কর ?
উত্তর:ভৌগলিক অবস্থান :এশিয়া মহাদোশের দক্ষিনাংশে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান । বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্ভৌাম রাষ্ট্র । এ দেশ ২০° ৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬° ৩৮′ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮° ০১′পূর্ব দ্রাঘিমা থেমে ৯২° ৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত ।
আয়তন:১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার । বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা প্রায় ২২ কিলোমিটার ।
৩।খনিজ সম্পদের গুরুত্ব ও ব্যাবহার লেখ?
উত্তর:খনিজ সম্পদ একটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বিশ্ব ব্যাপী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে সব দেশ ব্যাপকভাবে খনিজ সম্পদ আহরণ করছে । বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের পরিমান চাহিদার তুলনায অনেক কম।সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের খনিজ সম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য। এই ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জনগণের সম্পৃক্ততা একান্তভাবে কাম্য ।
৪।মানব ভূগোলের বিষয়বস্তু বর্ননা কর ?
উত্তর:সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানব ভূগোলের বিষয়বস্তুর সংযুক্তি লক্ষ করা যাচ্ছে । ভূগোলে মানবীয় যেসব বিষয়বস্তু পাঠ্যসূচি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তা নিন্মরূপ :
ক)মানব জনসংখ্যাবিষয়ক বিষয়বস্তু:
খ)পরিবেশবিষয়ক বিষয়বস্তু :
গ)অর্থনৈতিক ও সম্পদগত বিষয়বস্তু :
ঘ)বিনোদন ও পরিসেবামূলক বিষয়বস্তু:
ঙ)সাংস্কৃতিক বিষয়বস্তু:
চ)সমাজবিষয়ক বিষয়বস্তু:
আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে একটি হচ্ছে আদা। মহৌষধ নামে খ্যাত এ আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভেষজ গুণ। এই ভেষজ গুণের দ্বারা আদা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যরক্ষার সাথে সাথে ত্বকের কাজ করে থাকে। নিত্য প্রয়োজনীয় এ আদায় রয়েছে-ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক, লবণ, পটাশিয়াম, ভোলাটাইল, অয়েল ইত্যাদি। এটি একটি ভেষজ ওষুধ। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরিতে, আচার, ওষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আদা শুকনো অথবা ভেজা দুভাবেই খাওয়া যায়। কেউ কেউ আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন।
আদার কিছু গুণাগুণ
১. আদা আপনাকে পেটের অস্বস্তিদায়ক যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যাতেও আদা বেশ কার্যকর। ২. আদা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর হয়। ৩. আদাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ৪. হাজার বছর ধরে আদা এশিয়া মহাদেশে ঠা-া এবং কফজনিত অসুখ নিরাময়ে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। ৫. আদা খেলে কোলন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। ৬. আদা প্রাকৃতিক পেইন কিলার যা ব্যথানাশকের কাজ করে। বাতজনিত গাঁটে ও মাথাব্যথায় আদা বেশ কার্যকর। ৭. আদায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগজীবাণু ধ্বংস করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ৮. আদা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। ৯. সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করলে আদা খেতে পারেন, এতে সমস্যা আস্তে আস্তে কেটে যাবে। ১০. ক্ষুধামন্দা ভাব থাকলে খাওয়ার আগে একটু আদা খেয়ে নেন, তা কমে গিয়ে বমিভাবও কমে যাবে। ১১. নিয়মিত আদা খেলে শরীরের হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করে। ১২. আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আদার নির্যাস শরীরের কোষে গ্লুকোজের শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে দীর্ঘমেয়াদে সুগারের স্তর ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এবং কোষগুলোতে নির্বিগ্নে ইনসুলিনের চলাচল ঠিক রাখে। ১৩. রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। ১৪. গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভবতী মায়ের শরীর সকালবেলা খারাপ লাগতে পারে। এ সময়ে অল্প অল্প কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে সুস্থ থাকা যায়। ১৫. আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদার রসে খুব উপকার পাওয়া যায়। ১৬. আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে। ১৭. আদা দেহের ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। আদায় নিহিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট যে কোনো কাটাছেঁড়া বা ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে। ১৮. আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, রক্তনালী প্রসারিত করে। ফলে শীতকালেও শরীর গরম রাখে। ১৯. আদার রস রক্তশূন্যতা দূর করে। ২০. আদায় ভিটামিন-ই এবি ও সি থাকার কারণে চুল পড়া রোধ করে। নিয়মিত কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস চুলের গোড়াকে মজবুত করে। ২১. আদা পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে, এটি আবার ত্বকের জন্যও উপকারী। ২২. নিয়মিত আদা খেলে ত্বকের ব্রণ ওঠা বন্ধ হয় এবং ত্বক পরিষ্কার ও মশ্রিণ রাখে। ২৩. যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণ খুবই উপকারী। ২৪. বাতব্যথা একটি নিত্য সমস্যা, বিশেষ করে আমবাত হলে- ১ চামচ আদার রস ও ১০ গ্রাম পুরনো আখের গুঁড় মিশিয়ে প্রতিদিন রোজ সকালে ১ বার করে ১ মাস খেলে সেরে যাবে। ২৫. জটিল আমাশয় হলে আদা শুকিয়ে গুঁড়া করে ১ গ্রাম পরিমাণ ইষৎ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন দু’বার করে ভালো না হওয়া পর্যন্ত খেতে হবে। ২৬. হিক্কা বা হেঁচকির জন্য এককাপ ছাগলের দুধের সাথে ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘন ঘন হেঁচকি সমস্যা কমে যাবে। ২৭. বসন্ত গুটি হলে ১ চামচ আদার রস ও ১ চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে দু’বার খেলেই বসন্তের গুটি বের হয়ে যাবে। ২৮. মাইগ্রেনের ব্যথা, কিডনির জটিলতা দূর করতে আদার ভূমিকা অপরিসীম। ২৯. বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। ৩০. অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আদা সাহায্য করে। ৩১. আদা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। ৩২. আদা মল পরিষ্কার করে। ৩৩. আদার রস শরীরকে শীতল রাখে। ৩৪. আদা লিভারের শক্তি, কৃমি নিঃসরণ করে, নাক, কান, গলাজনিত রোগের উপশম করে। ৩৫. আদা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। ৩৬. শরীরের পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ৩৭. আদায় থাকা কিছু উপাদান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। ৩৮. অনেকে গাড়িতে উঠলে বমি হয় কিংবা বমির ভাব হয়। এ সমস্যা এড়াতে ভ্রমণের আগেই এক টুকরা আদা মুখে ফেলে দিন। ৩৯. আদা খেলে মহিলাদের মাসিকের সময় তল পেট ব্যথা ও শারীরিক অস্বস্তি দূর হয়। ৪০. আদা কোলন ক্যান্সার রোধে উপকারী। ৪১. প্রতিদিন মাত্র ১ ইঞ্চি পরিমাণের আদা কুচি খাওয়ার অভ্যাস সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ৪২. প্রতিদিন কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করলে সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না। আদার মধ্যে যে অ্যান্টিএইজিং উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা দেহের টক্সিন দূর করে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে। ৪৩. আদা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কার্যকরভাবে কমাতে সাহায্য করে। ৪৪. ক্লান্ত মাংসপেশি ও শীতে কুচকে যাওয়া ত্বকের চিকিৎসায়, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করার জন্য আদার রসের ভূমিকা অতুলনীয়। গরম পানিতে চার টেবিল চামচ আদাকুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই পানিতে গোসল করলে ক্লান্ত মাংশপেশি, কুচকে যাওয়া ত্বক ও রক্ত সঞ্চালন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ৪৫. ডায়রিয়ার ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও আদার বিকল্প নেই। ৪৬. বার বার আদার রস খেলে ফুড পয়জনিং ও পেটের সমস্যা খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে। ৪৭. অপারেশনের পর কাঁচা আদা খান। দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। ৪৮. আদা বাটা দিনে তিন থেকে চারবার লাগান শ্বেতি রোগ ভালো হয়ে যাবে। একই নিয়মে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন।
আদা খাওয়ার কয়েক পদ্ধতি
১. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন। ২. আদা ছুলে, সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে। ৩. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আদা চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান। ৪. পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন। ৫. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠা-া জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাপ খেতে পারেন। ৬. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন। তাই আসুন, আল্লাহর দেয়া মহৌষধ আদার সুষ্ঠু ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনে সুস্থতার ধারা অব্যাহত রাখি।
ষ কাজী এম এস এমরান কাদেরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
« PreviousNext »