মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৯

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে


এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে —জীবনানন্দ দাশ

১।গঙ্গা নদী বর্তমানে কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?
ক.বাংলাদেশ খ. ভারত গ.পাকিস্তান ঘ. নেপাল

২।জীবনানন্দ দাশের পেশা হিসেবে নিচের কোনটি গ্রহণযোগ্য?
ক.কবি খ. অধ্যাপক গ.চিকিৎসক ঘ. চাকরিজীবী

৩।জলের দেবী হিসেবে নিচের কোন নামটি গ্রহণযোগ্য?
ক.বরুণ খ. অরুণ গ.তরুণ ঘ. বারুণী

৪।বর দানের সঙ্গে সম্পর্কিত কে?
ক.বিশালাক্ষী খ.বারুণী
গ.শঙ্খচিল ঘ.সুদর্শন

৫।‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতা নিচের কোন নদীটিকে সমর্থন করে?
ক.পদ্মা খ.কপোতাক্ষ
গ.বুড়িগঙ্গা ঘ.তুরাগ

৬।জীবনানন্দ দাশ তাঁর রচনায় কোন প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন?
ক.শহর খ.নগর
গ.বন্দর ঘ.গ্রাম

৭।কবির জন্মভূমির নদীর জলে কোন বিষয়টি বিদ্যমান?
ক.সুবাস খ.স্বচ্ছতোয়া
গ.সুধা ঘ.অমৃত

৮।কবির মতে বাংলাদেশকে পৃথিবীর কী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায়?
ক.সুন্দরী খ. রানি গ.লক্ষ্মী ঘ. ঐশ্বর্য

৯।শঙ্খচিল ও বুনো হাওয়ার মধ্যে কোন বিষয়টি বিদ্যমান?

ক.সংহতি খ. মধুরতা গ.প্রেম ঘ. প্রাণৈশ্বর্য

১০। কুসুম কুমারী দাশের ক্ষেত্রে নিচের যে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য—
i.কবি
ii. সাহিত্যিক
iii.শিক্ষক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক.i
খ.i ও ii
গ.i ও iii
ঘ.ii ও iii

১১। জীবনানন্দ দাশের কবিতা যার মাধ্যমে অসাধারণ স্বাতন্ত্র্য লাভ করেছে—
i.চিত্রকল্প ii.উপমা iii.প্রতীক সৃজন
নিচের কোনটি সঠিক? ক.i ও ii খ.i ও iii গ.ii ও iii ঘ.i, ii ও iii

১২। জীবনানন্দ দাশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো—
i.কবি
ii.প্রাবন্ধিক
iii.কথাসাহিত্যিক
নিচের কোনটি সঠিক?

ক.i I ii
খ.i ও iii
গ.ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।

১৩। উদ্দীপকের প্রথম চরণে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?
ক.প্রকৃতি চেতনা
খ.সৌন্দর্য চেতনা
গ.প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য
ঘ.মর্ত্যপ্রীতি

১৪। উদ্দীপক ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় ফুটে উঠেছে—
i.দেশপ্রেম
ii.প্রকৃতিপ্রেম
iii.মানবপ্রেম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক.i
খ.i ও ii
গ.ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৫ ও ১৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

বাংলাদেশ অসাধারণ সুন্দর দেশ। সারা পৃথিবীর মধ্যে অনন্য। প্রকৃতির সৌন্দর্যের এমন লীলাভূমি পৃথিবীর কোথাও নেই আর।

১৫।উদ্দীপকে‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক.প্রকৃতিপ্রেম খ. মাতৃভূমি বন্দনা
গ.সৌন্দর্যতত্ত্ব ঘ. পৃথিবী বৈচিত্র্য

১৬।‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে—
i.প্রাণী ও প্রকৃতির সম্পর্ক
ii.নদীমাতৃক বাংলা
iii.দেবীর অলৌকিক ক্ষমতা
নিচের কোনটি সঠিক?

ক.i ও ii
খ.i ও iii
গ.ii ও iii
ঘ.i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘বাংলা আমার আমি বাংলার
বাংলা আমার জন্মভূমি
গঙ্গা ও যমুনা পদ্মা ও মেঘনা
বহিছে যাহার চরণ চুমি’

১৭।উদ্দীপকের সঙ্গে‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’কবিতার কোন চরণের সম্পর্ক রয়েছে?
ক.সেখানে বারুণী থাকে গঙ্গাসাগরের বুকে সেখানে বরুণ
খ.কর্ণফুলী ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল
গ.সেখানে সবুজ ডাঙ্গা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল
ঘ.সেই খানে লক্ষ্মীপেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট তরুণ

১৮।ওই চরণ ও উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে—
ক.প্রকৃতিপ্রেম খ.নদীর সৌন্দর্য গ.ঐশ্বর্য চেতনা ঘ.দেশপ্রেম

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯ ও ২০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। কেননা মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের সব কিছুর সাহায্যে যে বেড়ে ওঠে। তাই মানুষের কাছে স্বদেশের সব কিছুই বড় এবং সুন্দর হয়ে ওঠে।
১৯।উদ্দীপকটি তোমার পঠিত কোন রচনার নৈকট্য লাভে সামর্থ্য?
ক.ঐকতান খ.লোক-লোকান্তর গ.সেই অস্ত্র ঘ.এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে

২০।নৈকট্য লাভের বিষয়টি যে দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচ্য—
ক.দেশপ্রেম খ.জীবনবোধ গ.মানবিকতাবোধ ঘ.সৌন্দর্যপ্রীতি

২১। জীবনানন্দ দাশ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক.১৮৯০ সালে
খ.১৮৯৫ সালে
গ.১৮৯৯ সালে
ঘ.১৯০৩ সালে

২২।‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কতটি নদীর নাম আছে?
ক.৩টি খ.৪টি
গ.৫টি ঘ.৬টি

২৩।জীবনানন্দ দাশ তাঁর রচনায় কিসের ছবি এঁকেছেন?
ক. নিসর্গের খ. শহরের
গ. নদীর ঘ. যুদ্ধের

২৪। কবি ছাড়াও জীবনানন্দ দাশ কী ছিলেন? ক. নাট্যকার খ. গল্পকার
গ. ঔপন্যাসিক ঘ. প্রাবন্ধিক

২৫। জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি?
ক. কবিতার কথা খ. ঝরাপালক
গ. মাল্যবান ঘ. সুতীর্থ

২৬। ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে অবিরল কী দেয়?
ক. সম্পদ খ. মাছ
গ. ঝিনুক ঘ. জল

২৭।‘মাল্যবান’ ও ‘সুতীর্থ’ কোন ধরনের রচনা?
ক.গল্প খ.কাব্য
গ.নাটক ঘ.উপন্যাস

২৮।কবি জীবনানন্দ দাশের দেশে লক্ষ্মীপেঁচা কিসের গন্ধের মতো অস্ফুট?
ক.গমের খ.ধানের
গ.পাটের ঘ.জলের

২৯।রূপসীর শরীরে কী রঙের শাড়ি লেগে থাকে?
ক.লাল খ.বেগুনি
গ.সবুজ ঘ.হলুদ

৩০।‘বারুণী’ শব্দের অর্থ কী?
ক.মত্স্যকন্যা খ.সাগর দেবী
গ.জলের দেবী ঘ.পাতালপুরীর কন্যা

৩১। শঙ্খমালা বাংলার কিসের ভেতর জন্মেছে?
ক.ধান খ.পাট
গ.নদী ঘ.পানের বনে

৩২। কবি জীবনানন্দ দাশের কাছে তাঁর দেশ সুন্দর কী?

ক. সেরা খ. শ্রেষ্ঠ
গ. করুণ ঘ. শুভ

৩৩। ‘সবুজ ডাঙ্গা’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সবুজ প্রকৃতি খ. সবুজ রং
গ. মাঠ-প্রকৃতিঘ. ঐশ্বর্য

৩৪। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কতটি গাছের নাম আছে?
ক. ৩টিখ. ৪টি
গ. ৫টিঘ. ৬টি

৩৫। বর বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. ক্ষমা খ. দেবতা
গ. ভিক্ষা ঘ. আশীর্বাদ

৩৬।জীবনানন্দ দাশ কিভাবে তাঁর জগৎ তৈরি করেছেন?
ক.ব্যক্তি অনুভবে খ. বস্তু অনুভবে
গ.দেশপ্রেমে ঘ. সূক্ষ্ম গভীর অনুভবে

৩৭।বিশালাক্ষী দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন—
ক.দেবী খ.নর
গ.নারী ঘ.বিশাল চোখ

৩৮।ধানের গন্ধ দ্বারা বোঝানো হয়েছে—
ক.ধানের সৌন্দর্য খ.প্রাকৃতিক রূপ
গ.কৃষিপ্রধান বাংলার চিত্র ঘ.ধান প্রকৃতি

৩৯।‘লেবুর শাখা নুয়ে থাকা’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক.সৌন্দর্য চেতনা খ.প্রকৃতির ঐশ্বর্য
গ.বাংলার সম্পদ ঘ.ফলের ভারে নুয়ে পড়া

৪০।কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর দেশকে সবচেয়ে সুন্দর বলেছেন কেন?
ক.প্রকৃতিপ্রেম খ.জাতীয়তাবোধে
গ.বাঙালির মুগ্ধতায় ঘ.সৌন্দর্য চেতনায়

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও ১. খ ২. খ ৩. ঘ ৪. ক ৫. ক ৬. ঘ ৭. খ ৮. ক ৯. ক ১০. খ ১১. ঘ ১২. ঘ ১৩. গ ১৪. খ ১৫. খ ১৬. ক ১৭. খ ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. ক ২১. গ ২২. ক ২৩. ক ২৪. ঘ ২৫. ক ২৬. ঘ ২৭. ঘ ২৮. খ ২৯. ঘ ৩০. গ ৩১. ক ৩২. গ ৩৩. ক ৩৪. খ ৩৫. ঘ ৩৬. ঘ ৩৭. ক ৩৮. গ ৩৯. ক ৪০. ক

নাটক ‍সিরাজউদ্দৌলা


সৃজনশীল

উদ্ধৃতি:-
রুধিলা বাসবত্রাস...
...ধর্ম পথগামী
হে রাক্ষস রাজানুজ, বিখ্যাত জগতে
তুমি কোন ধর্মমতে, কহ দাসে, শুনি
জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি এ সকলে দিলা জলাঞ্জলি?

ক. সিরাজউদ্দৌলা নাটকে কয়টি দৃশ্য রয়েছে?
খ. ‘লুত্ফা, এত দেয়াল কেন বলো তো’ বক্তব্যটির তাত্পর্য কী?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘রাক্ষসরাজানুজ’-এর কর্মের সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের কোন কোন চরিত্রের কর্মের সাদৃশ্য আছে; ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘বাসবত্রাস-এর জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতিগত প্রেম নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে সমভাবে বিরাজিত। মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
উত্তর-ক: সিরাজউদ্দৌলা নাটকে ১২টি দৃশ্য রয়েছে।

উত্তর-খ: ‘লুত্ফা, এত দেয়াল কেন বলো তো’ বক্তব্যে সিরাজউদ্দৌলার শাসনব্যবস্থার নানা বাধাবিপত্তির কথা বোঝানো হয়েছে।
নবাব আলীবর্দির মৃত্যুর পর সিরাজউদ্দৌলা বাংলার সিংহাসনে বসেন। সেই থেকে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র করা হয়, যাতে নবাবের বিশ্বস্ত লোকেরা জড়িত ছিল। এসব ষড়যন্ত্র, বাধাবিপত্তির কিছু নবাব ভেঙে দেন। কিছুটা তিনি পার হয়ে যান। কিন্তু তারপরও চারপাশে থেকে যায় অনেক ষড়যন্ত্রের জাল। এ জন্য এক অসহায় মানুষ হয়ে তিনি তাঁর স্ত্রী লুত্ফাকে এ কথা জিজ্ঞাসা করেন।
উত্তর-গ: উদ্দীপকে বর্ণিত ‘রাক্ষসরাজানুজ’ -এর কর্মের সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মীর জাফর, রাজবল্লভ, জগেশঠ এবং রায়দুর্লভ চরিত্রের কর্মের সাদৃশ্য রয়েছে। সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। নবাব আলীবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর সিরাজউদ্দৌলা বাংলার সিংহাসনে বসেন। তিনি সিংহাসনে বসার পর ইংরেজদের নানা কুটিলতা ধরে ফেলেন এবং বাংলায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এতে করে ইংরেজরা তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মীর জাফর, রায়দুর্লভ, রাজবল্লভ এঁরা বাংলার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হয়েও বাংলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। তাঁরা ইংরেজদের সঙ্গে একজোট হন। এঁরা নবাবকে সাহায্য করার মিথ্যা আশ্বাস দেন। এর ফলে তাঁরা পলাশীর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও কেউ যুদ্ধ করেননি। এতে নবাবের করুণ পতন হয়।
উদ্দীপকের ‘রাক্ষসরাজানুজ’ বলতে বিভীষণকে বোঝানো হয়েছে, যিনি রাম-লক্ষ্মণের পক্ষ নিয়ে নিজের জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। অর্থাত্ রাক্ষসরাজানুজের সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মন্ত্রিপরিষদের কর্মের সাদৃশ্য রয়েছে।

উত্তর-ঘ: সিকান্দার আবু জাফর রচিত সিরাজউদ্দৌলা নাটকটি করুণ রসাত্মক; এক অপরিসীম যন্ত্রণাদগ্ধ পরিণতির রচনা। এক অনিবার্য ও ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আপন লক্ষ্যে অবিচল থাকার মধ্য দিয়ে লেখক সিরাজউদ্দৌলাকে এক আলোকসামান্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আলীবর্দি খাঁ তাঁর মৃত্যুর সময় বাংলার সিংহাসনের দায়িত্ব দিয়ে যান সিরাজউদ্দৌলাকে। সিংহাসনে বসার পর সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের নানা কুটিলতার কথা জানতে পারেন। এ কারণে তিনি ইংরেজদের এ দেশে ব্যবসা করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া বাংলার মুক্তির জন্য সিরাজ প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পুনরায় ইংরেজরা বাংলার চাষিদের ওপর নীল চাষ করার জন্য অত্যাচার চালালে নবাব তাঁর দোষ স্বীকার করে নেন। তিনি মনে করেন, তাঁর নিজের ভুলের কারণে তিনি বাংলার প্রজাসাধারণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধান করতে পারেননি। সিরাজের মধ্যে জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতিগত প্রেম বিদ্যমান ছিল। নবাবের বিরুদ্ধে যখন তাঁর আত্মীয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, তখন নবাব তা জানা সত্ত্বেও তাঁর মানবিক গুণাবলি থেকে তাদের শাস্তির বিধান করতে পারেননি। পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরও একজন সামন্ত নবাব থেকে জনতার শক্তিতে জাগ্রত হওয়ার বিশ্বাস নিয়ে তাঁকে দেশপ্রেমিক নেতায় পরিণত করেছে। তিনি মৃত্যুর আগমুহূর্তেও বাংলার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। উদ্দীপকের ‘বাসবত্রাস’ তথা মেঘনাদের মধ্যেও ছিল জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতিগত প্রেম। রাম-লক্ষ্মণ রাক্ষসপুরী আক্রমণ করলে মেঘনাদ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তিনি পরাজিত হন। তিনি আমৃত্যু রাক্ষসপুরীকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। সুতরাং ‘বাসবত্রাস-এর জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতিগত প্রেম নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে সমভাবে বিরাজিত’—উক্তিটি যথার্থ।
গুরুত্বপূর্ন চরিত্র সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক থেকে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের পরাজয়ের কারণ; মোহনলাল, মীরমর্দান, রাইসুল জুহালা; বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, জগেশঠ, উমিচাঁদ, মোহাম্মদী বেগ, ক্লাইভ, ঘসেটি বেগম ইত্যাদি চরিত্রের ওপর উদ্দীপক থাকতে পারে।(3rem = 48px)

রবিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৯

সিরাজউদ্দৌলা নাটক



S H I M U L
.

নাটক : সিরাজউদ্দৌলা- সিকান্দার আবু জাফর
১। কাকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়?
ক) আমিনা বেগমকে খ) আমেনা বেগমকে
গ) ঘসেটি বেগমকে ঘ) ছালেহা বেগমকে
উত্তর-ক আমিনা বেগমকে

২। ইনাম বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) বকশিশ খ) বকেয়া গ) বেতন ঘ) বাড়ি
উত্তর-ক বকশিষ

৩। ক্ষমতাভিলাষী স্বার্থপরায়ণ নারী হলো_
ক) ঘসেটি বেগম খ) লুৎফা
গ) আমিনা বেগম ঘ) নর্তকী
উ্ত্তর- ক ঘসেটি বেগম

৪। রজার ড্রেক প্রাণভয়ে ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়েছে? 'ল্যাজ গুটিয়ে' শব্দটি কোন প্রাণীর সঙ্গে সাদৃশ্য?
ক) বিড়াল খ) ইঁদুর গ) বাঘ ঘ) কুকুর
উত্তর-ঘ কুকুর

৫। 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকে মিরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক) বীর্যবান পুরুষের খ) সাহসী বীরের
গ) ক্ষমতাভিলাষীর ঘ) নারী-লোলুপতার
্উত্তর-নারীেলোলুপ

৬। ফরাসি সৈনিক সাঁফ্রের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে-
ক) উচ্ছৃঙ্খলতা খ) বিশ্বাসঘাতকতা
গ) ন্যায়পরায়ণতা ঘ) দায়িত্বশীলতা
উত্তর ঘ

৭। নবাবের পলাশি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণ-
র. প্রাণের ভয়ে
রর. স্বাধীনতা রক্ষার্থে
ররর. নতুন কৌশল খুঁজতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
উত্তর-গ

৮। নবাবের পতন হওয়ার কারণ হলো-
র. মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা
রর. ইংরেজদের স্বার্থপরতা
ররর. নবাবের অসৎ আচরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
উত্তর:ক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
'বৃথা এ সাধনা, ধীমান। রাঘব দাস আমি; কী প্রকারে তাহার বিপক্ষ কাজ করিব, রক্ষিতে অনুরোধের?'

৯। উদ্দীপকের রাঘব দাসের সঙ্গে 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকের কার সাদৃশ্য রয়েছে?
ক) মোহনলালের খ) মিরমর্দানের
গ) মীরজাফরের ঘ) নারানের
উত্তর:গ

১০। উদ্দীপকের মূলভাবের মধ্য দিয়ে 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক) মনোবেদনা খ) দুঃখকথা
গ) বিশ্বাসঘাতকতা ঘ) স্বার্থপরতা
উত্তর গ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
আনোয়ার সাহেব নিজের বিষয়কেই সবসময় বড় করে দেখে। সে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে সবসময় প্রস্তুত থাকে। সে মনে করে নিজে বাঁচাটাই বড় কথা, অন্যের কথা পরে।

১১। উদ্দীপকের আনোয়ার সাহেব 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকের কোন চরিত্রের কথা তুলে ধরেন?
ক) মীরজাফরো খ) জগৎশেঠের
গ) রাজবল্লভের ঘ) উমিচাঁদের
উত্তর-ঘ

১২। আনোয়ারের মধ্যে নাটকের ওই চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য উদ্ভাসিত হয়েছে-
র. স্বার্থপরতা রর. বিশ্বাসঘাতকতা ররর. সুযোগসন্ধানী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
উত্তর-ঘ


১৩।নবাব সিরাজউদ্দৌলা কাকে আালীনগরের দেওয়ান নিযুক্ত করেন -
ক) উমিচাঁদকে
খ) মানিকচাঁদকে
গ) মীরজাফরকে
ঘ)রায়র্দূলভকে
উত্তর-খ) মানিকচাঁদকে


১৪।রাইসুল জুহালা কে
ক) সিরাজউদ্দৌলার গুপ্তচর
খ) মীরজাফরের সাহসী সৈনিক
গ) ইংরেজ পক্ষের গুপ্তচর
ঘ) ঘসেটি বেগমের পালিত পুত্র
১৪।
ক)
খ)
গ)
ঘ)

.
STOP STOP STOP DO NOT
BREATHE
UNDER WATER


সাইনুসাইটিস থেকে প্রতিকার :


S E L I A

সাইনোসাইটিস সমস্যা | ১০টি ঘরোয়া উপায়ে হবে মোকাবেলা!!

ইনোসাইটিস সমস্যা আমাদের মাঝে অনেকেরই আছে। অনেকেই এর ব্যথাতে কষ্ট পান। অথচ এ ব্যথা সাইনোসাইটিস-এর নাকি মাইগ্রেইন-এর এই নিয়ে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। সাইনোসাইটিস আসলে কি? আমাদের দেহের যে সকল জায়গা ফাঁপা বা ছিদ্রযুক্ত হয়ে থাকে তাকেই মূলত সাইনাস বলে। এই সাইনাসগুলোতে যখন কোনো কারণে ঘা বা প্রদাহ হয়ে থাকে তখন এই ঘা বা প্রদাহকেই সাইনোসাইটিস বলা হয়।

সাইনোসাইটিসের লক্ষণসমূহ

এ ব্যথাটির প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো মাথা ব্যথা। তার সাথে জ্বর জ্বর ভাব থাকে ও নাক বন্ধ থাকে। সাধারণত সকাল থেকে দুপুরের দিকে সাইনোসাইটিস- এর ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে বিকেলের দিকে কমে যেতে পারে। তবে সাইনাসগুলো চোখ ও ব্রেনের পাশে বেশি থাকে বলে মাথা ব্যাথার সাথে সাথে চোখ ও নাকের পার্শ্ববর্তি অঞ্চলেও ব্যাথা হতে পারে।

সাইনোসাইটিস সমস্যা থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায়সমূহ

(১) কাঁচা সবজির জুস সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমানোর জন্য অনেক উপকারী। ৩০০মিলি. গাজরের জুস, ১০০মিলি. শশার জুস, ১০০মিলি. বিটের জুস এবং ২০০ মিলি. পালং শাকের জুস ভালো ভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
Picture methi water

(২) সাইনোসাইটিসে ভুগলে ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার যেমন আম, কুমড়ো, ডিমের হলুদ অংশ, টমেটো, পেঁপে, গাজর, দুধ ও দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

(৩) ১০০ গ্রাম জিরা টেলে ২০০ গ্রাম ঘি এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করুন। এটি সাইনোসাইটিস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।

(৪) ১ টেবিল চামচ কালো জিরা একটা পাতলা কাপড়ে বেঁধে নিয়ে তার গন্ধ নিতে পারেন।

(৫) এক টেবিল চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিয়ে নিন যতক্ষণ না অর্ধেক হয়। প্রতিদিন ৩/৪ গ্লাস সেবন করলে সাইনোসাইটিসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

(৬) পেঁয়াজ এবং আদার গন্ধ শুঁকলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ আছে। (৭) আদা অথবা দারুচিনির চা হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।

(৮) ঠাণ্ডা ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

(৯) শুনে হয়ত অবাক হবেন যে ব্যায়ামের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমিয়ে আনা যায়। ব্যায়াম করার ফলে শরীরে অ্যাড্রেনালিন বেড়ে যায়, যা বেড়ে যাওয়া সাইনাস টিস্যুকে কমিয়ে দেয়।পূর্ণহলাসন তাদের মধ্যে একটি

Smiley face

(১০) আমরা সবাই কম বেশি ভিনেগারের সাথে পরিচিত। এই ভিনেগার মিউকাস উৎপন্ন কমিয়ে আমাদেরকে সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি দান করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই চা চামচ ভিনেগার দিয়ে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করতে হবে।

১১)পানি: সাইনোসাইটিসের সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সাইনোসাইটিসের সমস্যা দেখা গেলে সারাদিন প্রচুর পানি পান করতে থাকুন।