অ
অকালে পক্ব হয়েছে যে – অকালপক্ব।
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান – প্রত্যক্ষ।
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার – অনভিজ্ঞ।
অহংকার নেই যার – নিরহংকার।
অনেকের মধ্যে একজন – অন্যতম।
অনুতে বা পশ্চাতে বা পরে জন্মেছে যে – অনুজ।
অশ্বের ডাক – হ্রেষা।
অবশ্য হবে বা ঘটবে যা – অবশ্যম্ভাবী।
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা – অনুসন্ধিৎসা।
অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে – অনুসন্ধিৎসু।
অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা্।
অপকার করবার ইচ্ছা – অপচিকীর্ষা।
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে – অবিমৃষ্যকারী।
অগ্রে জন্মেছে যে – অগ্রজ।
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয় – নাতিশীতোষ্ণ।
অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি – দক্ষ।
অতি দীর্ঘ নয় যা – নাতিদীর্ঘ।
অতিক্রম করা যায় না যা – অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য।
অরিকে দমন করে যে – অরিন্দম।
অণকে দেখা যায় যার দ্বারা --অণুবীক্ষণ
অবজ্ঞায় নাক উচু করে যে --উন্নাসিক
অতীতের বিষয়ের জন্য শোক প্রকাশ --গতানুশোচনা।
অতিকষ্টে যা নিবারণ করা যায় --দুর্নিবার ।
অল্প পরিশ্রমে শ্রান্ত নারী --ফুলটুসি।
অলংকারের ধ্বণি --শিঞ্জন।
অনুচিত বল প্রয়োগকারী --হঠকারী।
অহনের পূর্বাংশ--পূর্বাহ্ণ
অহনের মধ্যাংশ --মধ্যাহ্ন
অবিবাহিত ব্যক্তি--অকৃতদার /অনূঢ়
আপনাকে ভূলে থাকে যে --আত্নভোলা
অশ্ব রাখার স্থান----আস্তাবল
অর্ধেক সম্মত-- নিমরাজি।
আ
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত – আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত ।
আকাশে উরে বেড়ায় যে – আকাশচারি, খেচর ।
আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ ।
আচারে নিষ্ঠা আছে যার – আচারনিষ্ঠ ।
আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা – আত্মকেন্দ্রিক ।
আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে- পণ্ডিতম্মন্য ।
আপনার রং লুকায় যে বা যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না – বর্ণচোরা ।
আট প্রহর যা পরা যায় – আটপৌরে ।
আয় অনুসারে ব্যয় করে যে – মিতব্যয়ী ।
আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার – আস্তিক ।
আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার – নাস্তিক ।
আকাশে বেড়ায় যে --খেচর, আকাশচারী
আকাশের মাধ্যমে আগত বাণী---আকাশবাণী।
আকাশ ও পৃথিবী ---ক্রন্দসী।
আঘাতের বিপরীত---প্রত্যাঘাত
আকাশের রং---আকাশী
আগামী কালের পরের দিন--পরশু
আকালের বছর ---দুর্বছর
আকাশে যে বিচরণ করে-- নভশ্চর
আবক্ষ জলে নেমে স্নান--আবগাহন
আশা ভঙ্গজনিত খেদ----বিষাদ
ই ঈ
ইতিহাস রচনা করেন যিনি – ঐতিহাসিক ।
ইতস্তত ভ্রমণ--বিচরণ প্রসর।
উসলামি শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দেশন---ফতোয়া
ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি – ইতিহাসবেত্তা ।
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে – ইন্দ্রজিৎ ।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে – জিতেন্দ্রিয়ি ।
ঈষৎ আমিষ বা আঁষ গন্ধ যার – আঁষটে ।]
ঈষৎ রক্তবর্ণ--আরক্ত
ঈষৎ পীত বর্ণ---আপীত।
ঈষৎ আমিষ (আশ)গন্ধ যার--আঁষটে
উ
উপকার করবার ইচ্ছা – উপচিকীর্ষা ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে – কৃতজ্ঞ ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে – অকৃতজ্ঞ ।
উপকারীর অপকার করে যে – কৃতঘ্ন ।
একই সময়ে বর্তমান – সমসাময়িক ।
একই মায়ের সন্তান – সহোদর ।
এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত – একাদিক্রমে ।
একই গুরুর শিষ্য – সতীর্থ ।
উদগিরণর করা হয়েছে এমন--উগীর্ণ
উল্লেখ করা হয় না যা ---উহ্য
উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগের ক্ষমতা ---প্রত্যূৎপন্নমতিত্ব
উদ্দাম নৃত্য --তাণ্ডব
উর্ধ্ব থেকে নেমে আসা----অবতরণ।
ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি---ঋৃত্বিক।
ক খ
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী --কর্মঠ
কথায় বর্ণনা যায় না যা--- অনির্বচনীয়
কষ্টে নিবারণ করা যায় যা বা যা সহজে নিবারণ করা যায় না -– দুর্নিবার
কষ্টে লাভ করা যায় যা বা যা সহজে লাভ করা যায় না -– দুর্লভ
কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা--- অনিবার্য
কোন কিছুতেই ভয় নেই যার--- নির্ভীক, অকুতোভয়
কেউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে সম্মুখে সংঘটিত –- চাক্ষুষ
কৃষ্ণ পক্ষের শেষ তিথি--আমাবস্যা
কথায় যা প্রকাশ করা যায় না --অনির্বচনীয়
বলা উচিত নয় যা --অকথ্য /অবাচ্য
কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ--অধঃকায়।
কাম ক্রোধ লোভাদির বশীভূত---অজিতেন্দ্রিয়।
কখনও যা চিন্তা করা যায় না --অচিন্তনীয়
কোথাও উচু কোথাও বা নিচু---বন্ধুর
গ ঘ
গোরু রাখার স্থান--গোয়াল
গুরুুর ভাব ---গরিমা
গাছে উঠতে পটু যে --গেছো
গো দুহনকারী কন্যা --দুহিতা
গাড়ি চালায় যে --গড়োয়ান
গমন করতে পারে যে ---জঙ্গম
গমন করার ইচ্ছা ---গন্তকাম
ঘোড়ার গাড়ির চালক ---কোচওয়ান
ঘোড়া রাখার স্থান---ঘোড়াশাল
ঘোড় অন্ধকার রাত্রি---তামসী
ঘটনার বিবরণ দান ---প্রতিবেদন।
ঘোড়ার ডাক -----হ্রেষা
চ ছ জ ঝ
চৈত্র মাসের ফসল –- চৈতালি
জীবিত থেকেও যে মৃত – জীবন্মৃত
জানার ইচ্ছা – জিজ্ঞাসা
জানতে ইচ্ছুক – জিজ্ঞাসু
জ্বল জ্বল করছে যা – জাজ্বল্যমান
জয় করার ইচ্ছা – জিগীষা
জয় করতে ইচ্ছুক – জিগীষু
জানু পর্যন্ত লম্বিত – আজানুলম্বিত
তল স্পর্শ করা যায় না যার – অতলস্পর্শী
তীর ছোঁড়ে যে – তীরন্দাজ
দিনে যে একবার আহার করে – একাহারী
দীপ্তি পাচ্ছে যা – দীপ্যমান
দু’বার জন্মে যে – দ্বিজ
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার – নশ্বর
নদী মেখলা যে দেশের – নদীমেখলা
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে – নাবিক
নিজেকে যে বড়ো মনে করে – হামবড়া
নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ
বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী
বিশ্বজনের হিতকর – বিশ্বজনীন
ব্যাকরণ জানেন যিনি – বৈয়াকরণ
বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি – বৈজ্ঞানিক
বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি--- বৈদান্তিক
বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে--- জ্যেষ্ঠ
বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে--- কনিষ্ঠ
ভোজন করার ইচ্ছা--- বুভুক্ষা
মৃতের মত অবস্থা যার--- মুমূর্ষু
মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়--- মুষ্টিমেয়
মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত-- মৃন্ময়
মর্মকে পীড়া দেয় যা-- মর্মন্তুদ
মাটি ভেদ করে ওঠে যা-- উদ্ভিদ
মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে-- ভাগাড়
মন হরণ করে যা- মনোহর
মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী
যা ,যে
যা দমন করা যায় না- --অদম্য
যা দমন করা কষ্টকর--- দুর্দমনীয়
যা নিবারণ করা কষ্টকর--- দুর্নিবার
যা পূর্বে ছিল এখন নেই--- ভূতপূর্ব
যা বালকের মধ্যেই সুলভ---বালকসুলভ
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে--- অযত্নলব্ধ
যা ঘুমিয়ে আছে--- সুপ্ত
যা বার বার দুলছে--- দোদুল্যমান
যা দীপ্তি পাচ্ছে---দেদীপ্যমান
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না--- অনন্যসাধারণ
যা পূর্বে দেখা যায় নি--- অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে জয় করা যায়--- দুর্জয়
যা কষ্টে লাভ করা যায়--- দুর্লভ
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে--- অধীত
যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়--- দুরধ্যয়
যা জলে চরে--- জলচর
যা স্থলে চরে--- স্থলচর
যা জলে ও স্থলে চরে--- উভচর
যা বলা হয় নি--- অনুক্ত
যা কখনো নষ্ট হয় না--- অবিনশ্বর
যা মর্ম স্পর্শ করে--- মর্মস্পর্শী
যা বলার যোগ্য নয়--- অকথ্য
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না--- অজ্ঞাতকুলশীল
যা চিন্তা করা যায় না--- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু--- বন্ধুর
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়--- ব্যয়বহুল
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- --নাতিশীতোষ্ণ
যার বিশেষ খ্যাতি আছে--- বিখ্যাত
যা আঘাত পায় নি- --অনাহত
যা উদিত হচ্ছে- --উদীয়মান
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে--- বর্ধিষ্ণু
যা পূর্বে শোনা যায় নি---- অশ্রুতপূর্ব
যা সহজে ভাঙ্গে--- ভঙ্গুর
যা সহজে জীর্ণ হয়--- সুপাচ্য
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না -– দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য
যা খাওয়ার যোগ্য--- খাদ্য
যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়--- চর্ব্য
যা চুষে খেতে হয়--- চোষ্য
যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য--- লেহ্য
যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- --পেয়
যা পানের অযোগ্য--- অপেয়
যা বপন করা হয়েছে--- উপ্ত
যা বলা হয়েছে--- উক্ত
যার অন্য উপায় নেই--- অনন্যোপায়
যার কোন উপায় নেই--- নিরুপায়
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে--- প্রত্যুৎপন্নমতি
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- --সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই--- অকুতোভয়
যার আকার কুৎসিত--- কদাকার
যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি--- অজাতশত্রু
যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি--- অজাতশ্মশ্রু
যার কিছু নেই--- অকিঞ্চন
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে--- বীতস্পৃহ
যে শুনেই মনে রাখতে পারে---শ্রুতিধর
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে--- উদ্বাস্তু
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়--- স্বয়ংবরা
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না--- বনস্পতি
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে--- হাতুড়ে
যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে--- মৃতবৎসা
যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না--- আগাছা
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে--- পরগাছা ।
যে পুরুষ বিয়ে করেছে--- কৃতদার ।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি--- অনূঢ়া ।
যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ--- রোরুদ্যমানা) ।
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না--- অপরিণামদর্শী
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে--- অবিমৃশ্যকারী।
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই--- অবিসংবাদী্
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ--- শ্বাপদসংকুল।
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়--- সর্বংসহা।
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে--- বীরপ্রসূ।
যে নারীর কোন সন্তান হয় না--- বন্ধ্যা।
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে--- কাকবন্ধ্যা।
যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে--- প্রোষিতভর্তৃকা।
যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে--- প্রোষিতপত্নীক।
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর--- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা)।
যে রব শুনে এসেছে--- রবাহুত।
যে লাফিয়ে চলে--- প্লবগ।
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি--- অসূর্যম্পশ্যা্
যে নারীর স্বামী মারা গেছে--- বিধবা।
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে--- নবোঢ়া।
যিনি বক্তৃতা দানে পটু--- বাগ্মী।
লাভ করার ইচ্ছা--- লিপ্সা।
প ফ
পাখির ডাক----কূজন।
পূর্বে যা চিন্তা করা হয় নি ---অচিন্তিতপূর্ব।
পুত্র নেই যার ---অপুত্র্।
পৃথিবীর সাথে সম্পর্কযুক্ত যা ---পার্থিব্
পান করার যোগ্য নয় ---অপেয়।
পশ্চাতে গমন করে যে ---অনুগামী।
পরাজিত করা যায় না ---অপরাজেয়।
পংক্তিতে বসার অযোগ্য --অপাংক্তেয়।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত – আপাদমস্তক।
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী – প্রিয়ংবদা।
পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে – জাতিস্মর।
পান করার যোগ্য –- পেয়।
পান করার ইচ্ছা – -পিপাসা।
পা ধোয়ার পানি---পাদ্য।
পাপ করতে যে পটু---পাপিষ্ঠ।
পশু হত্যা করে যে ---কসাই।
পরের ভালো যে দেখতে পারে না ---পরশ্রীকাতর।
পরিণাম চিন্তা করে যে কাজ করে ---পরণামদর্শী।
পুরাকালের বিষয়ে যিনি জানেন--- পুরাতা্ত্ত্বিক।
পায়ে হেঁটে গমন করে না যে ---পন্নগ।
পন্ডিত হয়েও মূর্খ যে-- -পণ্ডিতমূর্খ।
পায়ে হাঁটা---পদব্রজ।
পাঁচ মেশালি মসলা ---পাঁচফোড়ন।
পড়া হয়েছে যা ---পঠিত।
পড়ার উপযুক্ত---পঠিতব্য।
পথিকদের আহারাদি করার গৃহ--- পান্থশালা।
পূর্বকাল সম্পর্কিত---প্রাক্তন।
পূর্বে ছিল এখন নেই-- -ভূতপূর্ব।
পুনরায় জীবনপ্রাপ্ত---পুনর্জন্ম।
পরিমিত ব্যয় করে যে ---মিতব্যয়ী।
পরিব্রাজকের ভিক্ষা--- মাধুকরী।
পূর্ণিমার চাঁদ---রাকা।
পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে ---দেদীপ্যমান।
পরিমিত আহার করে যে ---মিতাহারী।
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়--- ওষধিব।
ফুল হতে জাত---ফুলেল।
ফুটছে এমন ---ফুটন্ত।
ফল প্রসব করে য়া ---ফলপ্রসু।
ফুলদিয়ে তৈরী গয়না ---পুস্পাভরণ।
ফূল সাজিযে রাখা হয় যে পাত্রে---ফুলদানি।
ফিকা কমলা রং---বাসন্তী
ফুরায় না যা ---অফুরন্ত।
বসন আলগা যার---অসংবৃত।
ফুলের বাইরের আবরন---বৃত্তি।
ব ,ভ
বেতন দেওয়া হয়না যাকে---অবৈতনিক।
বিসংবাদ নেই যাতে---অবিসংবাদিত।
বিদেশে থাকে যে ---প্রবাসী।
বিশ্বজনের হিতকর ---বিশ্বজনীন।
বহুর মধ্যে েএকটি ---অন্যতম।
বাক্য ও মনের অগোচর ---অবাঙমনসগোচর।
বর্ণনা করা যায় না যা ---অবর্ণনীয়।
বমন করার ইচ্ছা---বিবমিষা
বৃহৎ অরণ্য---অরণ্যানী
বোধ নেই যার---নির্বোধ
বসে আছে যে ---আসীন,উপবিষ্ট
বাল্যে পৌঢ় তুল্য আচরণকারী---ইঁচরে পাকা
বুকে হেটে গমন করে যে ---উরগ
বলা হয়েছে যা ---উক্ত
বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে যে---উদ্বাস্তু
বপন করা হয়েছে ---উপ্ত
বাতাসে উবে যায েএমন---উদ্বায়ী
বয়সে সবচেয়ে ছোট য---কনিষ্ঠ
বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ---জো
বীঁনার ঝঙ্কার---নিক্বন
বনের অগ্নি- -দাবানল
বাঘের চামড়া--কৃত্তি
বাঘের ডাক--হুঙ্কার
বচনে কুশল --বাগ্মী
বিবদ করে যে--- বিবাদমান
বেদ সম্বন্ধীয়---বৈদিক
বিদ্যা আছে যার---বিদ্বান
যে গাছে ফুল হয় না কিন্তু ফল হয --বনস্পতি
ব্যাকরণ জানেন যিনি--বৈয়াকরণ
বাক্যের দ্বারা কৃত কলহ--বচসা
বোনের বর --বোনাই
বিহায়াসে ( আকাশে) গমন করে যে --বিহঙ্গ,বিহগ
বৃদ্ধিপাওয়া যার স্বভাব--বর্ধিষ্ণু
বেশি কথা বলে যে --বাচাল
বহু দেখেছে যে--ভূয়োদর্শী, বহুদর্শী
বিধিকে অতিক্রম না করে -- যথাবিধি
ভিতর থেকে গোপনে ক্ষতিসাধন--অর্ন্তঘাত
ভাবা যায় না যা--অভাবনীয়
ভূ-কেন্দ্রের দিকে জড়বস্তুর অকর্ষণ--অতিকর্ষ
ভ্রমরের শব্দ--গুঞ্জন
শ স ষ হ
শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা।
শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম।
শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন।
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন।
সকলের জন্য প্রযোজ্য-- সর্বজনীন।
সকলের জন্য হিতকর-- সার্বজনীন।
স্ত্রীর বশীভূত হয় যে-- স্ত্রৈণ।
সেবা করার ইচ্ছা-- শুশ্রুষা।
হনন/হত্যা করার ইচ্ছা-- জিঘাংসা।
হরিণের চামড়া-- অজিন্।
হাতির ডাক-- বৃংহতি।
সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত--আসমুদ্রহিমাচল।
সন্ন্যাসীর আশ্রম-- আখড়া।
সংসারের প্রতি বিরাগ--নির্বেদ।
সাপের খোলস --নির্মোক।
সম্রাট বা রাজাদের বিবরণ--শাহানামা রাজাবলি।
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান --সস্ত্রীক।
শুভ ক্ষণে জন্ম যার--ক্ষণজন্মা।
রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮
এক কথায় প্রকাশ
শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
কবিতা
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি--আবু জাফর ওবায়দুল্লা
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল।
তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন
অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন
পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা,
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।
আমি উচ্চারিত সত্যের মতো
স্বপ্নের কথা বলছি।
উনুনের আগুনে আলোকিত
একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলছি।
আমি আমার মা’য়ের কথা বলছি,
তিনি বলতেন প্রবহমান নদী
যে সাতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে নদীতে ভাসতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মা’য়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি
গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলছি
আমি আমার ভালোবাসার কথা বলছি।
ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়
যুদ্ধ আসে ভালোবেসে
মা’য়ের ছেলেরা চলে যায়,
আমি আমার ভাইয়ের কথা বলছি।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে সন্তানের জন্য মরতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে ভালোবেসে যুদ্ধে যেতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে সূর্যকে হৃদপিন্ডে ধরে রাখতে পারে না।
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
কারণ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন।
আমরা কি তা’র মতো কবিতার কথা বলতে পারবো,
আমরা কি তা’র মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারবো!
তিনি মৃত্তিকার গভীরে
কর্ষণের কথা বলতেন
অবগাহিত ক্ষেত্রে
পরিচ্ছন্ন বীজ বপনের কথা বলতেন
সবত্সা গাভীর মত
দুগ্ধবতী শস্যের পরিচর্যার কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
যে কর্ষণ করে তাঁর প্রতিটি স্বেদবিন্দু কবিতা
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
শস্যহীন প্রান্তর তাকে পরিহাস করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মাতৃস্তন্য থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্ষুধার্ত থেকে যাবে।
যখন প্রবঞ্চক ভূস্বামীর প্রচন্ড দাবদাহ
আমাদের শস্যকে বিপর্যস্ত করলো
তখন আমরা শ্রাবণের মেঘের মত
যূথবদ্ধ হলাম।
বর্ষণের স্নিগ্ধ প্রলেপে
মৃত মৃত্তিকাকে সঞ্জীবিত করলাম।
বারিসিক্ত ভূমিতে
পরিচ্ছন্ন বীজ বপন করলাম।
সুগঠিত স্বেদবিন্দুর মত
শস্যের সৌকর্য অবলোকন করলাম,
এবং এক অবিশ্বাস্য আঘ্রাণ
আনিঃশ্বাস গ্রহণ করলাম।
তখন বিষসর্প প্রভুগণ
অন্ধকার গহ্বরে প্রবেশ করলো
এবং আমরা ঘন সন্নিবিষ্ট তাম্রলিপির মত
রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হলাম।
তখন আমরা সমবেত কন্ঠে
কবিতাকে ধারণ করলাম।
দিগন্ত বিদীর্ণ করা বজ্রের উদ্ভাসন কবিতা
রক্তজবার মত প্রতিরোধের উচ্চারণ কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
পরভৃতের গ্লানি তাকে ভূলুন্ঠিত করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
অভ্যূত্থানের জলোচ্ছ্বাস তাকে নতজানু করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
পলিমাটির সৌরভ তাকে পরিত্যাগ করবে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তিনি স্বপ্নের মত সত্য ভাষণের কথা বলতেন
সুপ্রাচীন সংগীতের আশ্চর্য ব্যাপ্তির কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
যখন কবিকে হত্যা করা হল
তখন আমরা নদী এবং সমুদ্রের মোহনার মত
সৌভ্রত্রে সম্মিলিত হলাম।
প্রজ্জ্বলিত সূর্যের মত অগ্নিগর্ভ হলাম।
ক্ষিপ্রগতি বিদ্যুতের মত
ত্রিভূবন পরিভ্রমণ করলাম।
এবং হিংস্র ঘাতক নতজানু হয়ে
কবিতার কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলো।
তখন আমরা দুঃখকে ক্রোধ
এবং ক্রোধকে আনন্দিত করলাম।
নদী এবং সমুদ্রে মোহনার মত
সম্মিলিত কন্ঠস্বর কবিতা
অবদমিত ক্রোধের আনন্দিত উত্সারণ কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে তরঙ্গের সৌহার্দ থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
নিঃসঙ্গ বিষাদ তাকে অভিশপ্ত করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মূক ও বধির থেকে যাবে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
আমি একগুচ্ছ রক্তজবার কথা বলছি।
আমি জলোচ্ছ্বাসের মত
অভ্যূত্থানের কথা বলছি
উত্ক্ষিপ্ত নক্ষত্রের মত
কমলের চোখের কথা বলছি
প্রস্ফুটিত পুষ্পের মত
সহস্র ক্ষতের কথা বলছি
আমি নিরুদ্দিষ্ট সন্তানের জননীর কথা বলছি
আমি বহ্নমান মৃত্যু
এবং স্বাধীনতার কথা বলছি।
যখন রাজশক্তি আমাদের আঘাত করলো
তখন আমরা প্রাচীণ সংগীতের মত
ঋজু এবং সংহত হলাম।
পর্বত শৃংগের মত
মহাকাশকে স্পর্শ করলাম।
দিকচক্রবালের মত
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলাম;
এবং শ্বেত সন্ত্রাসকে
সমূলে উত্পাটিত করলাম।
তখন আমরা নক্ষত্রপুঞ্জের মত
উজ্জ্বল এবং প্রশান্ত হলাম।
উত্ক্ষিপ্ত নক্ষত্রের প্রস্ফুটিত ক্ষতচিহ্ন কবিতা
স্পর্ধিত মধ্যাহ্নের আলোকিত উম্মোচন কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে নীলিমাকে স্পর্শ করতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে মধ্যাহ্নের প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত হতে পারে না।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে সন্ত্রাসের প্রতিহত করতে পারে না।
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি শ্রমজীবী মানুষের
উদ্বেল অভিযাত্রার কথা বলছি
আদিবাস অরণ্যের
অনার্য সংহতির কথা বলছি
শৃংখলিত বৃক্ষের
উর্দ্ধমুখী অহংকারের কথা বলছি,
আমি অতীত এবং সমকালের কথা বলছি।
শৃংখলিত বৃক্ষের উর্দ্ধমুখী অহংকার কবিতা
আদিবাস অরণ্যের অনার্য সংহতি কবিতা।
যে কবিতা শুনতে জানে না
যূথভ্রষ্ট বিশৃংখলা তাকে বিপর্যস্ত করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
বিভ্রান্ত অবক্ষয় তাকে দৃষ্টিহীন করবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম হীনমন্য থেকে যাবে।
যখন আমরা নগরীতে প্রবেশ করলাম
তখন চতুর্দিকে ক্ষুধা।
নিঃসঙ্গ মৃত্তিকা শস্যহীন
ফলবতী বৃক্ষরাজি নিস্ফল
এবং ভাসমান ভূখন্ডের মত
ছিন্নমূল মানুষেরা ক্ষুধার্ত।
যখন আমরা নগরীতে প্রবেশ করলাম
তখন আদিগন্ত বিশৃংখলা।
নিরুদ্দিষ্ট সন্তানের জননী শোকসন্তপ্ত
দীর্ঘদেহ পুত্রগণ বিভ্রান্ত
এবং রক্তবর্ণ কমলের মত
বিস্ফোরিত নেত্র দৃষ্টিহীন।
তখন আমরা পূর্বপুরুষকে
স্মরণ করলাম।
প্রপিতামহের বীর গাঁথা
স্মরণ করলাম।
আদিবাসী অরণ্য এবং নতজানু শ্বাপদের কথা
স্মরণ করলাম।
তখন আমরা পর্বতের মত অবিচল
এবং ধ্রুবনক্ষত্রের মত স্থির লক্ষ্য হলাম।
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি স্থির লক্ষ্য মানুষের
সশস্ত্র অভ্যুত্থানের কথা বলছি
শ্রেণীযুদ্ধের অলিন্দে
ইতিহাসের বিচরণের কথা বলছি
আমি ইতিহাস এবং স্বপ্নের কথা বলছি।
স্বপ্নের মত সত্যভাষণ ইতিহাস
ইতিহাসের আনন্দিত অভিজ্ঞান কবিতা
যে বিনিদ্র সে স্বপ্ন দেখতে পারে না
যে অসুখী সে কবিতা লিখতে পারে না।
যে উদ্গত অংকুরের মত আনন্দিত
সে কবি
যে সত্যের মত স্বপ্নভাবী
সে কবি
যখন মানুষ মানুষকে ভালবাসবে
তখন প্রত্যেকে কবি।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি বিচলিত বর্তমান
এবং অন্তিম সংগ্রামের কথা বলছি।
খন্ডযুদ্ধের বিরতিতে
আমরা ভূমি কর্ষণ করেছি।
হত্যা এবং ঘাতকের সংকীর্ণ ছায়াপথে
পরিচ্ছন্ন বীজ বপন করেছি।
এবং প্রবহমান নদীর সুকুমার দাক্ষিণ্যে
শস্যের পরিচর্যা করছি।
আমাদের মুখাবয়ব অসুন্দর
কারণ বিকৃতির প্রতি ঘৃণা
মানুষকে কুশ্রী করে দ্যায়।
আমাদের কণ্ঠস্বর রূঢ়
কারণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
কণ্ঠকে কর্কশ করে তোলে।
আমাদের পৃষ্ঠদেশে নাক্ষত্রিক ক্ষতচিহ্ন
কারণ উচ্চারিত শব্দ আশ্চর্য বিশ্বাসঘাতক
আমাদেরকে বারবার বধ্যভূমিতে উপনীত করেছে।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমার সন্তানেরা
আমি তোমাদের বলছি।
যেদিন প্রতিটি উচ্চারিত শব্দ
সূর্যের মত সত্য হবে
সেই ভবিষ্যতের কথা বলছি,
সেই ভবিষ্যতের কবিতার কথা বলছি।
আমি বিষসর্প প্রভুদের
চির প্রয়াণের কথা বলছি
দ্বন্দ্ব এবং বিরোধের
পরিসমাপ্তির কথা বলছি
সুতীব্র ঘৃণার
চূড়ান্ত অবসানের কথা বলছি।
আমি সুপুরুষ ভালবাসার
সুকণ্ঠ সংগীতের কথা বলছি।
যে কর্ষণ করে
শস্যের সম্ভার তাকে সমৃদ্ধ করবে।
যে মত্স্য লালন করে
প্রবহমান নদী তাকে পুরস্কৃত করবে।
যে গাভীর পরিচর্যা করে
জননীর আশীর্বাদ তাকে দীর্ঘায়ু করবে।
যে লৌহখন্ডকে প্রজ্জ্বলিত করে
ইস্পাতের তরবারি তাকে সশস্ত্র করবে।
দীর্ঘদেহ পুত্রগণ
আমি তোমাদের বলছি।
আমি আমার মায়ের কথা বলছি
বোনের মৃত্যুর কথা বলছি
ভাইয়ের যুদ্ধের কথা বলছি
আমি আমার ভালবাসার কথা বলছি।
আমি কবি এবং কবিতার কথা বলছি।
সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা
সুপুরুষ ভালবাসার সুকণ্ঠ সংগীত কবিতা
জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি মুক্ত শব্দ কবিতা
রক্তজবার মতো প্রতিরোধের উচ্চারণ কবিতা।
আমরা কি তাঁর মত কবিতার কথা বলতে পারবো
আমরা কি তাঁর মত স্বাধীনতার কথা বলতে পারবো ?
বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮
সমাার্থক শব্দ
সমার্থক শব্দ । একার্থক শব্দ
প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ?
যে সকল শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে তাকে সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ বলে।
প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কখন হয়।
যে সকল শব্দ একই অর্থপ্রকাশ করে বা একই অর্থে ব্যবহার করা যায় ,তাদের বলা হয় প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলে।
সমার্থক শব্দ বাংলা ভাষার এ কটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ, সৌন্দর্য রুপায়ণ,তথা ব্যাবহার মাধূর্য্যময় অবয়ব গঠনে প্রতিশব্দ গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রতিশব্দের ব্যবহারের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল।
১.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি হয়
২.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দের বার বার প্রয়োগজনিত সমস্যার সমাধার করা যায়।
৩.এর ব্যবহারে প্রকাশশৈলীতে অভিনবত্ব আসে।
৪.বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
৫.এর মাধ্যামে পাঠক নাানা ধরনের নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচয় হয়।
৭.নানা ধরনের সাহিত্য রচনায় ,কবিতায় মিল দেওয়ায, বক্তৃতা আকর্ষণীয় করার জন্য সাহিত্যের ভাবকে পাঠকের মনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন সমার্থক শব্দের প্রয়োজন পরে।
সমার্থক বা প্রতিশব্দের নমুনা :-
অক্ষম= ক্ষমতাহীন, অসমর্থ,হতবল,বলহীন,হীনবল ,অপারগ,সামর্থ্যহীন,অসহায়,অযোগ্য
অক্ষয়= চিরন্তন,ক্ষয়হীন,নাশহীন,অব্যয়,অলয় অনশ্বর ,স্থায়ী,অমর,
অঙ্গ= দেহ, শরীর ,অবয়ব,গা,গতর,দেহাংশ,আকৃতি,গাত্র
অঙ্গীকার= প্রতিজ্ঞা,সংকল্প,পণ ,শপথ,প্রতিশ্রুতি,জবান,হলফ,বাগদান।
অচেতন= অসাড়,নিশ্চেতন,সংজ্ঞাহীন, বেহুঁস,
অজ্ঞ= মূর্খ, নির্বো্ধ, অশিক্ষিত,জ্ঞানহীন,বেকুব,অজ্ঞানী
অতিরিক্ত= অত্যধিক,বেশি,মেলা,অনেক,প্রতুল,ভূরি
অতীত= গতদিন, তৎকাল ,পূর্ব,সেকাল,আগের
অত্যাচর= পীড়ন ,উৎপীড়ন,নিপীড়ন ,নির্যাতন,জুলুম
অদুশ্য= অলক্ষিত,অদৃষ্ট,অগোচর,অদেখা,নাদেখা
অধ্যয়ন= শিক্ষণ,লেখাপড়া, শিক্ষাগ্রহন,পঠন, পাঠ,জ্ঞানার্জন,বিদ্যাভ্যাস
অনন্ত= সীমাহীন,অন্তহীন,শাশত্ব,অশেষ,চিরস্থায়ী,চিরায়ত,অপার,চিরন্তন,চির,অসীম,নিরবধি,অবিনাশী
অনিবার্য= অবধারিত,অব্যর্থ,অমোঘ,দুর্নিবার,অলঙ্গনীয়,অসংবরণীয়
অনুকরণ= অনুসরণ , নকল , প্রতিরুপীকরণ,সাদৃশ্যকরণ,
অনেক= বেশি, নানা একাধিক,বহু,অঢেল,যথেষ্ট,অজস্র,
অভাব= অনটন,দারিদ্র,দৈন্য, দীনতা.দুরবস্থা,দুস্থিতি,ঘাটতি,
অগ্নি = অনল, পাবক, আগুন, দহন,সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি
অন্ধকার = আঁধার, তমঃ, তমিস্রা,তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম
অখন্ড = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত,পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।
অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।
অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।
অপূর্ব= অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক,অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব,চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।
অক্ষয় = চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন,অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়,অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।
অঙ্গ = দেহ,শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র,বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি,দেহাংশ
অবস্থা= দশা, রকম, প্রকার,গতিক,হাল,স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা,ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।
আইন = বিধান, কানুন, বিহিতক,অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি,ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।
আসল= খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।
আনন্দ= হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত,সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।
আদি= প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,প্রাচীন, মূল।
অতনু= মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প
আকাশ = আসমান, অম্বর, গগন,নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ
আলোক = আলো, জ্যোতি, কিরণ,দীপ্তি, প্রভা
ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা
ঈশ্বর = আল্লাহ্ , খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ,
অমরেশ, পরেশ, লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক, ভগবান, ধাতা।
উঁচু = উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।
উদাহরণ = দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির,নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।
উত্তম = প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।
উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।
একতা= ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ,সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।
কপাল= ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট,নিয়তি, অলিক
কোকিল= পরভৃত, পিক, বসন্তদূত
কষ্ট = মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।
কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ,সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।
খ্যাতি = যশ,প্রসিদ্ধি,সুখ্যাতি,সুনাম,নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি।
কন্যা= মেয়ে, দুহিতা, দুলালী,আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া
ঘোড়া= অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম
মেঘ= ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।
সূর্য = দিবাকর, প্রভাকর, ভাস্কর, রবি, তপন, দিনেশ, ভানু, রোদ, সবিতা, আদিত্য, মার্তন্ড, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, অংশু, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা
পৃথিবী = ধরা, ধরাধাম, ধরণী, ধরিত্রী, ভুবন, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, বিশ্ব, পৃথিবী, দুনিয়া, জগত, সংসার, সৃষ্টি, মর্ত, মর্তধাম, মহী, মেদিনী, অবনী, স্থলভাগ, ভূ-মণ্ডল, ইহলোক
আলো = বাতি, প্রদীপ, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা,
সাগর = সমুদ্র, বারিধি, পারাবার, পাথার, বারীন্দ্র, অর্ণব, সিন্ধু, জলনিধি, জলধি, জলধর, সায়র, জলাধিপতি, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, বারীন্দ্র, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি
অগ্নি = আগুন, জ্বালানি, তেজ, শিখা, অনল, বহ্নি, হুতাশন, পাবক, দহন, সর্বভূক, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি
পর্বত =পাহাড়, অচল, অদ্রি, গিরি, ভূধর, শৈল, অটল, চূড়া, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র
সোনা= স্বর্ণ, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ
বন = কানন অরণ্য, জঙ্গল, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহ
পাখি = পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ
আকাশ = গগন, অম্বর, নভঃ, ব্যোম, ঊর্ধ্বলোক, মেঘমণ্ডল, আসমান, নভোমণ্ডল, খগ, অন্তরীক্ষ
অন্ধকার = আঁধার, তমসা, তিমির, তমঃ, তমিস্রা, আন্ধার,
তমস্র ঈশ্বর = সৃষ্টিকর্তা, ভগবান, বিধাতা, বিষ্ণু, আল্লাহ, খোদা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, আদিনাথ
দেবতা = অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অজর, ঠাকুর
জল = পানি, অম্বু, জীবন, নীর সলিল, বারি, উদক, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়
বৃক্ষ = গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ
বায়ু = বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ
চাঁদ = চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, সুধাংশু, হিমাংশু, চন্দ্রমা, শশী, সুধাকর, সোম, ইন্দু, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত
মানুষ = লোক,মানব, মনুষ্য, , জন, নৃ, নর
মৃত্যু = ইন্তেকাল, ইহলীলা-সংবরণ, ইহলোক ত্যাগ, চিরবিদায়, জান্নাতবাসী হওয়া, দেহত্যাগ, পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, পরলোকগমন, লোকান্তরগমন,
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, স্বর্গলাভ
মহৎ = উন্নত, উদার, মহান, বড়, বিশিষ্ট, বিশাল, বৃহৎ, মস্ত, মহানুভব, বদান্য, মহীয়ান
পণ্ডিত = বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ
চালাক = চতুর, বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, সপ্রতিভ
সাহসী = অভীক, নির্ভীক
অপূর্ব =আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, অদ্ভুত, সুন্দর
উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত
খেচর=পাখি, পক্ষ ি, বিহগ, বিহঙ্গ, দ্বিজ, খগ, বিহঙ্গম , কচর, চিরিয়া
গভীর =অগাধ, প্রগাঢ়, নিবিড়, অতল , গহন, গম্ভীর ,অতলস্পর্শী, অথই
গঙ্গা=ভাগীরথী,শিবপত্নী, গোমতী , কৃষ্ণবেণী, পিনাকিনী,কাবেরী
গরু=ধেনু, গো, গাভি , পয়স্বিনী,গোরু মূর্খ
কপাল = ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক
ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা
পর্দা = আড়াল, পরদা, পর্দা, যবনিকা, মশারি, অভিনয়শেষ, অবগুণ্ঠন, আবরণ, ছদ্মবেশ, ত্তড়, আচ্ছাদন, প্রাবরণ, মুড়ি, বিছানার চাদর, ঝিল্লী, জীবদেহের ঝিল্লি, উদ্ভিদ্দেহের ঝিল্লি
মাটি = ক্ষিতি, মৃত্তিকা উত্তম = সেরা, শ্রেষ্ঠ, প্রকৃষ্ট, ভালো, অগ্রণী, অতুল
দৃষ্টান্ত = উদাহরণ, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা
একতা = ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, একাত্মতা, একীভাব
পূর্ণ = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, অখন্ড, সমগ্র, সমাগ্রিক
আদি = প্রথম, প্রাচীন, মূল, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,
আইন = নিয়ম, কানুন, বিধি, বিধান, ধারা, অনুবিধি। বিহিতক, অধিনিয়ম, উপবিধি, বিল, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা আসল = প্রকৃত, খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, যথার্থ
আনন্দ = সুখ, হাসি, খুশি, হাসিখুশি, মজা, হর্ষ, হরষ, পুলক,স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ,প্রমোদ,উল্লাস, তুষ্টি
দু:খ = কষ্ট, মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস
অবস্থা = দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল
অক্ষয় = ক্ষয়হীন, চিরন্তন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী
খ্যাতি = যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।
কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী,
ফুল = পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন
পদ্ম = কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ
মেঘ = জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর
বিদ্যুত = বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা
নদী = তটিনী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী
নৌকা = নাও, তরণী, জলযান, তরী
তীর = কূট, তট, সৈকত, কূল, পাড়, পুলিন, ধার, কিনারা
ঢেউ= তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরী, বীচি, মওজ
রাত = রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা
দিন = দিবস, দিবা, দিনমান
দেহ = গা, গতর, গাত্র, তনু, শরীর, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, অঙ্গ, অবয়ব, , কাঠামো, আকৃতি
ঘর = গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান
ধন = অর্থ, বিত্ত, বিভব, সম্পদদেহ,
দ্বন্দ্ব = বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ
নারী = অবলা, কামিনী, মহিলা, স্ত্রীলোক, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, ভাসিনী, কান্তা, সীমন্তনী
স্ত্রী = পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ, অর্ধাঙ্গী, জীবন সাথী, বউ, গৃহিণী, গিন্নী
পিতা = বাবা, আব্বা, জনক,
মাতা = মা, গর্ভধারিণী, প্রসূতি, জননী, জন্মদাত্রী
পুত্র = ছেলে, তনয়, নন্দন, সুত, আত্মজ
কন্যা = মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া
কোকিল = পরভৃত, পিক, বসন্তদূত
গরু = গো, গাভী, ধেনু
রাজা = নৃপতি, নরপতি, ভূপতি, বাদশাহ
স্বর্গ = দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত
বিলাস = আরাম, শৌখিনতা
উঁচু = লম্বা, দীর্ঘ, মহৎ, বড় বড়, উঁচা, উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ
অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, নিরলস, অনলস, পরিশ্রমী, অদম্য, উদ্যমী, অশ্রান্ত
অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম
সাপ = অহি, আশীবিষ, নাগ, ফণী, ভুজঙ্গ, সর্প, উরহ,নাগিনী, ভুজগ, ভুজঙ্গম,সরীসৃপ, ফণাধর, বিষধর,বায়ুভুক
হাতি = হস্তী, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর
ঘোড়া = অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম
হাত = কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি
চুল = অলক, কুন্তল, কেশ, চিকুর
চোখ = অক্ষি, চক্ষু, নয়ন, নেত্র, লোচন, আঁখি, দর্শনেন্দ্রিয়
কান = কর্ণ, শ্রবণ লাল = লোহিত, রক্তবর্ণ
স্ত্রী=ভার্যা, পত্নী,সহধর্মিণী দার ,জায়া,বনিতা,ধর্মপত্নী
সমূহ=সকল ,বৃন্দ,নিচয়,সমুদয়,মালা, রাজি
সিংহ=পশুরাজ,কেশরী,মৃগরাজ,মৃগেন্দ্র
সাদা=শ্বেত শুভ্র,ধবল ,সফেদ,নির্মল,সহজ
সৎ=সত্য,নিত্য,সাধু,শুভ,
সম্মেলন=সভা, জমায়েত,মিটিং,বৈঠক,অধিবেশন,সমাবেশ
স্বত্ব=স্বামিত্ব,মালিকানা,অধিকার ,অংশিত্ব,প্রভুত্ব
সদস্য=সভ্য, পারিষদ,পার্ষদ,মেম্বার
সুন্দরী=রুপবতী , রুপসী,সূরুপা,
স্বভাব=নিজভাব ,চরিত্র,আচরণ ,প্রকৃতি
সাধন=সম্পাদন, উপায় , সাধনা, আরাধনা,সহায় ,সাফল্য
হাতি=গজ,হস্তী , করী , দ্বিপ, বারণ,দম্ভী,নাগ,রদী ,ঐরাবত,
হওয়া =ঘটা,জন্মানো,উৎপন্ন,বৃদ্ধি,মেলা, জোটা, বাড়া,
হীন=নীচ,অধম ,নিন্দনীয়, অবনত, গরিব, অক্ষম
হরিণ=মৃগ,কুরঙ্গ,সারঙ্গ সুনয়ন,
সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮
কবিতা
কে
– ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত
বল দেখি এ জগতে ধার্মিক কে হয়,সর্ব জীবে দয়া যার, ধার্মিক সে হয়।
বল দেখি এ জগতে সুখী বলি কারে,
সতত আরোগী যেই, সুখী বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে বিজ্ঞ বলি কারে,
হিতাহিত বোধ যার, বিজ্ঞ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে ধীর বলি কারে,
বিপদে যে স্থির থাকে, ধীর বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে মূর্খ বলি কারে,
নিজ কার্য নষ্ট করে, মূর্খ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে সাধু বলি কারে,
পরের যে ভাল করে, সাধু বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে জ্ঞানী বলি কারে,
নিজ বোধ আছে যার জ্ঞানী বলি তারে।
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি