রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা

বিদ্রোহী
--কবি কাজী নজরুল ইসলাম

          বল বীর-
বল উন্নত মম শির !
শির নেহারী আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর! 
বল বীর -
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার ‘আসন’ আরশ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির !
আমি চিরদুর্দম,দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ , আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস !
আমি মহাভায় , আমি অভিশাপ পৃথ্বীর ,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার !
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
অামি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল !
আমি মানি না কো কোনো আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঞড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী -সুত বিশ্ব-বিধাতৃর !

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির !
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই , আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাণ্বীর ,আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল ,
আমি চল-চঞ্চল , ঠমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দেই তিন দোল ;
আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল।
আমি তাই  করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’
করি শত্রুর সাথে গলাগলি , ধরি মৃত্যুর  সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা !
আমি মহামারী , আমি ভীতি এ ধরীত্রির ;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির !আমি চির-দূরন্ত দুর্মর
আমি দূর্দম মম প্রাণের  পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ। আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ , আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি , আমি ধ্বংস , আমি লোকালয় , আমি শ্মশান,
আমি অবসান , নিশাবসান। আমি ঈন্দ্রাণী -সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য়
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের  বাঁশরী আর হাতে রণ তূর্য ;আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমমেশ , ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল  বাীর -
চির-উন্নত মম শির ! আমি সন্ন্যাসী সুর  সৈনিক,
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান  গৈরিক।
অামি বেদুইন , আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া  করি না কাহারে কূর্ণিশ।
আমি বজ্র , আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার,
অামি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল , ধর্মরাজের দণ্ড,
আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচণ্ড !
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বমিত্র-শিষ্য,
আমিদাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।
আমি প্রাণ -খোলা  হাসি উল্লাস, আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস
আমি মহাপ্রলয়ের দ্বদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত , কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ , আমি বিধির দর্পহারী!
আমি প্রভঞ্জনের  উচ্ছাস আমি বরিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল , আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল ঊর্মির হিন্দোল-দোল! আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী , তন্বী নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম , আমি ধন্যি ! আমি উন্মন, মন-উদাসীর ,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর।
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের ,
আমি অবমানিতের  মরম-বেদনা , বিষ-জ্বালা , প্রিয় লাঞ্ছিতি বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা , ব্যাথা সূনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর -কম্পন আমি থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর !
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা , তাঁর কাঁকণ-চুড়ির কন্-কন্।
আমি চির শিশু, চির কিশোর ,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচল কাচুলি নিচোর !
আমি উত্তর-বায়ু মলয় -অনিল  উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির ,গভীর রাগিণী,বেণু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা ,  আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়াছবি!
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি , এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ !
আমি সহসা আমারে চিনেছি , আমার খুলিয়া  গিয়াছে সব বাঁধ ! আমি উহ্থান, আমি পতন , আমি অচেতন
চিতে চেতন,
আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী , মানব -বিজয় -কেতন।
ছুটি ঝড়ের মতন করতালী দিয়া
স্বর্গ মর্ত্য-করতলে ,
তাজী বোরবাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলো ! আমি বসুধা -বক্ষে আগ্রেয়াদ্রী, বাড়ব বহ্নি, কালানল ,
আমি পাতালে মাতাল ,অগ্নি-পাথার -কলরোল-কল কোলাহল !
আমি তড়িতে চড়িয়া , উড়ে চলি  জোড় তুড়ি দিয় দিয়া লম্ফ,
আমি ত্রাস সঞ্চারি, ভুবনে সহসা , সঞ্চারি ভূমিকম্প। ধরি বাসুকির ফণা জাপটি-
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের  পাখা সাপটি। আমি দেবশিশু , আমি চঞ্চল ,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া  ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!
আমি অর্ফিয়াসের  বাঁশরী,
মহা-সিন্ধু উতলা ঘুমঘুম
ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম
মম বাঁশরীর তানে পাশরি।
আমি শ্যমের হাতের বাঁশরী । আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া ,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোযখে নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া !
আমি বিদ্রোহ-বাহী  নিখিল অখিল ব্যাপিয়া ! আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরনীরে কর বরণীয়া, কভূ বিপুল ধ্বংস ধন্যা-
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষহইতে যুগল কন্যা !
আমি অন্যায় , আমি উল্কা , আমি শনি,
আমি ধুমকেতু জ্বলা,  বিষধর কাল-ফণী!
আমি ছিন্নমস্তা চণ্ডী , আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে  বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি ! আমি মৃন্ময় , আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয় ,  আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির -দুর্জয়,
জগদীশ্বর -ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ--পাতাল মর্ত্যে!
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ।
আমি সহসা আমারে চিনেছি , আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধা !
আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার ,
        নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদারা!
আমি হল বলরাম-স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি’ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।
মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল ,আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না ,
অত্যাচারীর খকড়গ কৃপাণ ভমি রণ -ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত !
আমি বিদ্রোহী ভূগু, ভগবান বুকে ্ এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্ট্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন !
আমি চির -বিদ্রোহী বীর-
        বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির !
[অগ্নি-বীণা]

wkpdm=nor-c,nora.toua
-------🌿------

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা বানানের নিয়ম ‘ম’ ফলা


◼️প্রশ্নঃ বাংলা বানানের ক্ষেত্রে `ম’ ফলার নিয়ম গুলো আলোচনা কর।
১.পদের প্রথমে ব্যঞ্জনবর্ণের ‘ম’ ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত তার কোন উচ্চারণ হয় না , যেমন স্মরণ (শঁরোন্)  শ্মশান (শঁশান্) স্মৃতি (সৃঁতি)
২.পদের মধ্যে বা অন্তে ‘ম’ –ফলা সংযুক্ত বর্ণের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে থাকে। `ম' যেহেতু নাসিক্য ধ্বনি সেজন্য দ্বিত্ব উচ্চারিত শেষ ধ্বনি সামান্য নাসিক্য প্রভাবিত হয়। ছদ্ম (ছদদোঁ) পদ্ম (পদদোঁ) আত্ম (আততোঁ) আকস্মাৎ(আকশশাঁত) রশ্মি(রোশশিঁ)
৩.কিন্তু বাংলা ভাষায় পদের মধ্যে কিংবা অন্তে সর্বত্র  ‘ম’ ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয় না ।
যেমনঃ-
গ+ম-ফলা : বাগ্মী, যুগ্ম(জুগমো)
ঙ+ম-ফলা: বাঙ্ময়, বাঙ্ময়ী(বাঙ্ মোয়ী)
ট্+ম-ফলাঃ কুট্মল (কটমল্)কুট্মলিত(কটমোলিত)
ণ+ম-ফলাঃ হিরণ্ময়(হিরন্ ময়)ষাণ্মাসিক(শান্ মাসিক্)
ন্+ম-ফলাঃ উন্মাদ উন্মার্গ চিন্ময় জগন্ময় জন্ম মৃন্ময়
ম্+ম-ফলাঃ সম্মান , সম্মতি সম্মামনা
ল্+ম-ফলাঃ গুল্ম বাল্মীকি
৪.যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘ম’ ফলার উচ্চারণ হয় না , তবে এ ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের শেষ বর্ণটিকে প্রমিত উচ্চারণে সামান্য সানুনাসিক করে তোলে যথা: সূক্ষ্ম লক্ষ্মী (ল+ক+ষ+ম+ী ) লক্ষ্মণ (ল+ক+ষ+ম+ণ) {লক্ খোঁন্} এখানে ম অক্ষরটি বানানে থাকলেও উচ্চারণ  হয়নি ।
৫.এছাড়া বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কতিপয় ‘ম’ ফলা যুক্ত বানান ও উচ্চারণে সাংস্কৃতি রীতি অনুসৃত।কুস্মান্ড , স্মিত আয়ূস্মতী ইত্যাদি।

◼️প্রশ্ন:-বাংলা বানানে ঙ ,ঞ ধ্বনির উচ্চারণ এর নিয়ম লেখ।
১.  ঙ এবং ং এর উচ্চারণ অং হয় । যেমন ব্যাঙ (ব্যাং)বাঙালি (বাংআলি) বঙ্কিম (বংকিম) রঙ (রং)
২. ঞ এর উচ্চারণ তিন রকম হয় ।
৩ স্বতন্ত্র ঞ এর মতো যেমন মিঞা(মিয়া) মিঞ (মিঁয়ো)
৪.  যুক্ত ঞ+চ/ছ/জ/ঝ- ন এর মতো উচ্চারণ হয় যেমন: অঞ্চল (অনচল) বাঞ্ছা (বানছা) ব্যঞ্জন (ব্যানজোন) ঝঞ্ঝা(ঝনঝা)
আর যদি জ+ঞ হয়  তাহলে উচ্চারণ হবে গ বা গূগঁ এর মতো যেমন জ্ঞান (গ্যাঁন),যজ্ঞ (যোগগোঁ) জ্ঞানী জ্ঞাতো বিজ্ঞ বিজ্ঞপ্তি,বিজ্ঞান,অকৃতজ্ঞ,
জ্ঞাতি,(গ্যাঁতো) জ্ঞাতব্য,জিজ্ঞাস্য [এসকল বানানের ক্ষেত্রে জ+ঞ=গ গগঁ এর উচ্চারণ হব]



  
বাংলা ১ম পত্র  প্রশ্ন

   বিষয়:বাংলা ১ম পত্র                                                         পূর্ণ মান৭০ কোড-১০১

 [ বি:দ্য  ডান পাশের সংখ্যায় পূর্ণমান জ্ঞাপক ক-বিভাগ হতে ৩টি, খ-বিভাগ হতে ৩টি এবং গ-বিভাগ হতে ১টি সর্মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ দুষণীয়]

              ক-বিভাগ(গদ্য)
. বান্দবান সরকারি মহিলা কলেজ প্রঙ্গণে ‘রকস মিউজিয়ম’ অবস্থিত। রকস  মিউজিয়মে বাঙালি
সংস্কৃতির বহু পুরনো লোকজ উপাদান সংরক্ষিত রয়েছে । বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে ।এই মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বহু বছরের পুরনো বাঙালি জাতির ব্যবহৃত অস্ত্রাদি,তৈজসপত্র,গীতবাদ্য ,নৃত্যে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, জলযান হিসেবে ব্যবহৃতহ নৌকা এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বিভিন্ন আকৃতির পাথর ও কোহিনূর শিলালিপি । বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশনস্বরুপ।

ক.পাশ্চাত্যদেশে জাদুঘরতত্ত্ব কী বিষয় হিসেবে বিকশিত?                                 ১
খ.‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী? ব্যাখ্যা করো ।                                                ২
গ.উদ্দীপকে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তুলে ধরো ।  ৩
ঘ.“বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশন স্বরুপ।” মন্তব্যটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন করো ।      ৪

২.নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায় ।অনুভুতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে।তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম ;পার্থক্য কেবল তরুলতা ও জীব জন্তুর বৃদ্ধির ওপর তাদের নিজেদের কোন হাত নেই,মানুষের বৃদ্ধির ওপর তার নিজের হাত রয়েছে।আর এখানেই মানুষের মর্যাদা ।মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয় আত্নিকও । মানুষের আত্না সৃষ্টি  করে নিতে হয় , তা তৈরি পাওয়া যায় না ।

ক.পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর কোথায় ছিল ?         ১
খ.জাদুঘরের প্রথান কাজ কি ?                  ২
গ.উদ্দীপকটির সাথে জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়গত অনৈক্য রয়েছে । আলোচনা কর ।     ৩
ঘ.বৃক্ষের মতো জাদঘরও আমাদেরকে সার্থকতার গান শোনায ।’—তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।  ৪

৩.মুক্তিযোদ্ধা  রুমি তার মামার নিকট আগরতলা থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই জুন তারিখে একটি চিঠি লেখ্ তার কিছু অংশ- প্রিয় পাশা মামা
আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লরছি ।আমরা জয়ী হব । আমাদের সবার জন্য দোয়া করো । কি লিখব বুঝতে পারছি না-কত কী নিয়ে যে লেখার আছে।নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ,ভয়াবহ ধ্বংসের  যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য।ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত বরেছে, মানব ইতহাসে যার তুলনা নেই।আর  নিউটন যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব। 

ক.রইনকোট গল্পটি কত খ্রিষ্ট্রাব্দে প্রকাশিত হয়?   ১
খ.‘মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর  রেইনকোটের ওপর।’একথা কেন বলা হয়েছে।   ২
গ.উদ্দীপকের  রুমি ‘রেইনকোট’ গল্পের  কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ? বর্ণনা  দাও।     ৩
ঘ.উদ্দীপকটি  ‘রেইনকোট’ গল্পের সামগ্রিক  দিক ধারণ করতে পেরেছে কি ? যুক্তিসহ প্রতিপন্ন করো ।   ৪

৪.‘হে দরিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের সন্মান।’

ক. ‘নেকলেস’ গল্পটিতে কে দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারেন?                  ১
খ. দারিদ্রের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবসথা কেমন হয়েছিল?        ২
গ. কবিতাংশে কবির ভাবনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য নিরুপণ করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের চেতনার বিষয়টি মাদাম লোইসেলের মধ্যে থাকলে তাঁর পরিণতি হতো ভিন্ন”-মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।                                                                 ৪

৫.মানুষের চেয়ে বড় আকৃতির অসংখ্য প্রাণী পৃথিবীতে আছে,কিন্তু তাদের  বিবেক আর বিবেচনা করার শক্তি নেই। ফলে তারা ভালো-মন্দ পৃথক করার ক্ষমতা রাখে না।বস্তুত মনই হচ্ছে সভ্যতার ও সমাজের মূল স্তম্ভ ।প্রাণের দিক থেকে মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর নানা সাদৃশ্য আছে ,কিন্তু মনের দিক থেকে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য ।আর ।এই স্বাতন্ত্র্য বা বৈসাদৃশ্যের মূল কারন হচ্ছে ক্ষমাশীলতা ।

ক.সকল প্রাণীর মূল গঠন উপাদান কী ?     ১
খ.‘না, মানুষকে নেওয়া ঠিক হবে না।’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?   ২
গ.উদ্দীপকের মানুষের সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে বর্ণিত মানুষের বৈসাদৃশ্য কোথায়?ব্যাখ্যা করো।                                                                     ৩
ঘ.‘সুবিবেচক হলে মানুষ সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত’তুমি কি মন্তব্যটির সাথে একমত?উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলল্বনে বিশ্লেষণ করো।                     ৪
                                  খ-বিভাগ(পদ্য)

৬.পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে মানুষকে বলা হয়েছে –‘অমৃতস্য পুত্রা’আশরাফুল মাখলুকাত’।বিজ্ঞানেও বলা হয়েছে-homo sapiens একমাত্র মানুষেরই রয়েছে সভ্যতা এবং সে সভ্যতার চোখ ঝলসানো অগ্রগতি।আবার মানুষের সামনেই রয়েছে হিরোসিমা ও নাগাসাকির ধ্বংসযজ্ঞ ।ইসরায়েলি গোলার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ফিলিস্তিন।মার্কিন হামলার বিধ্বস্ত ইরাক, আফগানিস্তান  প্রস্তুত রয়েছে আমাদের এই পৃথিবরি মতো কুড়িটি পৃথিবী মাত্র দশ মিনিটে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার মতো মারণাস্ত্র্ কবি তাই
যথার্থই বলেন-মানুষ আত্নভেদী আত্ননাশী নীলপতঙ্গ।
একদিন পাঁজরের হাড় দিয়ে গড়েছে এ পৃথিবী
একদিন মানুষই ধ্বংস করবে তাক।

ক.প্রণিজগত একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী কোনটি ?   ১
খ.‘ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে আসলে কোন মৌলিক পাথর্ক্য নেই –ব্যাখ্যা করো ।  ২
গ.উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্পে পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে মানুষকে শ্রেষ্ঠ ও বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গ্রহণ না করার যৌক্তিকতাকে সমর্থন করে ?তুলে ধরো।            ৩
ঘ.‘মানবসভ্যতার ভালো-মন্দের দায় একমাত্র মানুষেরেই’-উদ্দীপক এবং ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলম্বনে সিদ্ধান্তটি পযার্লোচনা করো।                      ৪
৭.কবির  পক্ষে সমাজকে বোঝা দরকার, কবিতার অস্থিরতার ভেতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কার জ্ঞান।কাল বা সময় বৈনাশিক;কিন্তু সে সেই সমস্ত কুয়াশাগুলোকেই কেটে কেটে চলছে,যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপ্তি বাড়াবার পক্ষে অন্তরায়ের মতো।এই সমস্ত চেতনা নিয়েই মানবতার ও কবিমানসের ঐতিহ্য।
ক.কবিতার মুক্ত শব্দগুলো কোথা থেকে উচ্চারিত হয় ?  ১
খ.পূবর্পুরুষ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?      ২
গ.উদ্দীপকের ইতিহাস চেতনা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’কবিতায় কোন পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে তা তুলে ধরো।  ৩
ঘ.“উদ্দীপকের মানবতাও কবিমানস ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ।”বিশ্লেষণ করো ।৪
৮.পুকুরের ঘাটে বসে কবিতার বই  পড়ছিল রাশেদ।হঠাৎ তার বন্ধু অর্ক এসে বিদ্রুপ ভরা কণ্ঠে বলল-এত কবিতা পড়ে কী হবে?পুকুরে সাঁতার কাটি। রাশেদ মাথা তুলে বলল-শোন,যে কবিতা পড়ে না ,সে সাঁতার কাটায় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।

ক.আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কোন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন ? ১
খ.যে কবিতা শুনতে জানেনা ,সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না কেন?        ২
গ.উদ্দীপ ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য চিহ্নিত করো ।        ৩
ঘ.‘যে কবিতা পড়ে না ,সে সাঁতার কাটায় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়’‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার অালোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।                             ৪

৯.বনের পাখি বলে,‘খাচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।’
খাঁচার পাখি বলে,‘বনের পাখি,আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলি।’
বনের পাখি বরে না,
আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।’
খাঁচার পাখি বলে ‘হায়
আমি কেমনে বনে বাহিরিব।’

ক.‘লোক-লোকান্তর ‘কবিতায় কবির চেতনারুপ পাখি কীসের ডালে বসে আছে।   ১
খ.‘মাথার ওপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে দোলে বন্য পানপাতা..‘চরণটির মধ্য দিয়ে কী প্রকাশ পেয়েছে?  ২
গ.উদ্দীপকের খাঁচার পাখি এবং ‘লোক-লোকান্তর ‘কবিতার পাখির মধ্যে বৈসাদৃশ্য নিরুপণ করো।   ৩
ঘ.“উদ্দীপক ও ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতা উভয় ক্ষেত্রেই পাথি মুক্তির প্রতীক।”উক্তিটি বিশ্লেষণ কর ।  ৪

১০.বাঙালি বহু রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে অর্জিত করেছে স্বাধীন এক রাষ্ট্র। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ,ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুহ্থান এবং অবশেষে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির প্রতিবাদী সত্তার পরিচালক। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে স্বধীনতার ডাক দিয়ে বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন  বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন মাতৃভূমি।
ক. কত বঙ্গাব্দে নূরলদীনের ডাকে মানুষ জেগে উঠেছিল?   ১
খ. ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’-কেন?   ২
গ.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকের সাথে ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।  ৩
ঘ.‘বাঙালি জাতি চিরকালই শোষণের বিরোদ্ধে সোচ্চার’ উদ্দীপক ও ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো ।  ৪
                            গ বিভাগন (লালসালু উপন্যাস)
১১.উত্তরাঞ্চলকে অনেকেই বলেন ,‘বাহেরমুল্লুক’। সেই ‘বাহেরমুল্লুকের’ অনেক স্থানই  ফি-বছর তিস্তা-ব্রহ্মপু্ত্রের ভায়াল ভাঙনের কবলে পড়ে।এই ভাঙন কবলিত গৃহহীন মনসুর মিয়া সপরিবারে চলে যান সূদুর –দক্ষিণের দ্বীপাঞ্চলে। সেখানে ভেজষ চিকিৎসকের পেশায় তাঁর অল্পদিনেই সুনাম হয় ।জটিল রোগীর  আগমন ঘটলে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। উপার্জনের পয়সায় দ্বিপাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্যে স্কুল প্রতিষ্ঠার কথাও ভাবেন।

১২.ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে।বন্ধুদের সঙ্গে ছুটোছুটি করা ,অবাধে সাঁতার কাটা তার আনন্দের কাজ।তার বাবা অভাবের  তাড়নায় ‍ওয়াসিকাকে পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন।লোকটি গ্রামের মাতব্বর ।তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও চঞ্চল ও স্বাধনিচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।

ক.ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল?   ১
খ.‘সজোরে নড়তে থাকা পাখাটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. ওয়াসিকা লালসালু উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ-ব্যাখ্যা কর।                           ৩
ঘ.উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি –মূল্যায়ন কর ।                                                                                   ৪


বাংলা ১ম পত্র ঢাকা বোর্ড প্রশ্ন ২০১৮ সাল


এইচ এস সি প্রশ্ন 








বাংলা ২য় পত্র প্রশ্ন ২০১৮