মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮

  
বাংলা ১ম পত্র  প্রশ্ন

   বিষয়:বাংলা ১ম পত্র                                                         পূর্ণ মান৭০ কোড-১০১

 [ বি:দ্য  ডান পাশের সংখ্যায় পূর্ণমান জ্ঞাপক ক-বিভাগ হতে ৩টি, খ-বিভাগ হতে ৩টি এবং গ-বিভাগ হতে ১টি সর্মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ দুষণীয়]

              ক-বিভাগ(গদ্য)
. বান্দবান সরকারি মহিলা কলেজ প্রঙ্গণে ‘রকস মিউজিয়ম’ অবস্থিত। রকস  মিউজিয়মে বাঙালি
সংস্কৃতির বহু পুরনো লোকজ উপাদান সংরক্ষিত রয়েছে । বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে ।এই মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বহু বছরের পুরনো বাঙালি জাতির ব্যবহৃত অস্ত্রাদি,তৈজসপত্র,গীতবাদ্য ,নৃত্যে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, জলযান হিসেবে ব্যবহৃতহ নৌকা এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বিভিন্ন আকৃতির পাথর ও কোহিনূর শিলালিপি । বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশনস্বরুপ।

ক.পাশ্চাত্যদেশে জাদুঘরতত্ত্ব কী বিষয় হিসেবে বিকশিত?                                 ১
খ.‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী? ব্যাখ্যা করো ।                                                ২
গ.উদ্দীপকে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তুলে ধরো ।  ৩
ঘ.“বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশন স্বরুপ।” মন্তব্যটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন করো ।      ৪

২.নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায় ।অনুভুতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে।তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম ;পার্থক্য কেবল তরুলতা ও জীব জন্তুর বৃদ্ধির ওপর তাদের নিজেদের কোন হাত নেই,মানুষের বৃদ্ধির ওপর তার নিজের হাত রয়েছে।আর এখানেই মানুষের মর্যাদা ।মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয় আত্নিকও । মানুষের আত্না সৃষ্টি  করে নিতে হয় , তা তৈরি পাওয়া যায় না ।

ক.পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর কোথায় ছিল ?         ১
খ.জাদুঘরের প্রথান কাজ কি ?                  ২
গ.উদ্দীপকটির সাথে জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়গত অনৈক্য রয়েছে । আলোচনা কর ।     ৩
ঘ.বৃক্ষের মতো জাদঘরও আমাদেরকে সার্থকতার গান শোনায ।’—তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।  ৪

৩.মুক্তিযোদ্ধা  রুমি তার মামার নিকট আগরতলা থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই জুন তারিখে একটি চিঠি লেখ্ তার কিছু অংশ- প্রিয় পাশা মামা
আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লরছি ।আমরা জয়ী হব । আমাদের সবার জন্য দোয়া করো । কি লিখব বুঝতে পারছি না-কত কী নিয়ে যে লেখার আছে।নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ,ভয়াবহ ধ্বংসের  যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য।ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত বরেছে, মানব ইতহাসে যার তুলনা নেই।আর  নিউটন যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব। 

ক.রইনকোট গল্পটি কত খ্রিষ্ট্রাব্দে প্রকাশিত হয়?   ১
খ.‘মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর  রেইনকোটের ওপর।’একথা কেন বলা হয়েছে।   ২
গ.উদ্দীপকের  রুমি ‘রেইনকোট’ গল্পের  কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ? বর্ণনা  দাও।     ৩
ঘ.উদ্দীপকটি  ‘রেইনকোট’ গল্পের সামগ্রিক  দিক ধারণ করতে পেরেছে কি ? যুক্তিসহ প্রতিপন্ন করো ।   ৪

৪.‘হে দরিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের সন্মান।’

ক. ‘নেকলেস’ গল্পটিতে কে দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারেন?                  ১
খ. দারিদ্রের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবসথা কেমন হয়েছিল?        ২
গ. কবিতাংশে কবির ভাবনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের ভাবনার বৈসাদৃশ্য নিরুপণ করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের চেতনার বিষয়টি মাদাম লোইসেলের মধ্যে থাকলে তাঁর পরিণতি হতো ভিন্ন”-মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।                                                                 ৪

৫.মানুষের চেয়ে বড় আকৃতির অসংখ্য প্রাণী পৃথিবীতে আছে,কিন্তু তাদের  বিবেক আর বিবেচনা করার শক্তি নেই। ফলে তারা ভালো-মন্দ পৃথক করার ক্ষমতা রাখে না।বস্তুত মনই হচ্ছে সভ্যতার ও সমাজের মূল স্তম্ভ ।প্রাণের দিক থেকে মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর নানা সাদৃশ্য আছে ,কিন্তু মনের দিক থেকে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য ।আর ।এই স্বাতন্ত্র্য বা বৈসাদৃশ্যের মূল কারন হচ্ছে ক্ষমাশীলতা ।

ক.সকল প্রাণীর মূল গঠন উপাদান কী ?     ১
খ.‘না, মানুষকে নেওয়া ঠিক হবে না।’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?   ২
গ.উদ্দীপকের মানুষের সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে বর্ণিত মানুষের বৈসাদৃশ্য কোথায়?ব্যাখ্যা করো।                                                                     ৩
ঘ.‘সুবিবেচক হলে মানুষ সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত’তুমি কি মন্তব্যটির সাথে একমত?উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলল্বনে বিশ্লেষণ করো।                     ৪
                                  খ-বিভাগ(পদ্য)

৬.পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে মানুষকে বলা হয়েছে –‘অমৃতস্য পুত্রা’আশরাফুল মাখলুকাত’।বিজ্ঞানেও বলা হয়েছে-homo sapiens একমাত্র মানুষেরই রয়েছে সভ্যতা এবং সে সভ্যতার চোখ ঝলসানো অগ্রগতি।আবার মানুষের সামনেই রয়েছে হিরোসিমা ও নাগাসাকির ধ্বংসযজ্ঞ ।ইসরায়েলি গোলার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ফিলিস্তিন।মার্কিন হামলার বিধ্বস্ত ইরাক, আফগানিস্তান  প্রস্তুত রয়েছে আমাদের এই পৃথিবরি মতো কুড়িটি পৃথিবী মাত্র দশ মিনিটে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার মতো মারণাস্ত্র্ কবি তাই
যথার্থই বলেন-মানুষ আত্নভেদী আত্ননাশী নীলপতঙ্গ।
একদিন পাঁজরের হাড় দিয়ে গড়েছে এ পৃথিবী
একদিন মানুষই ধ্বংস করবে তাক।

ক.প্রণিজগত একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী কোনটি ?   ১
খ.‘ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে আসলে কোন মৌলিক পাথর্ক্য নেই –ব্যাখ্যা করো ।  ২
গ.উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্পে পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে মানুষকে শ্রেষ্ঠ ও বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গ্রহণ না করার যৌক্তিকতাকে সমর্থন করে ?তুলে ধরো।            ৩
ঘ.‘মানবসভ্যতার ভালো-মন্দের দায় একমাত্র মানুষেরেই’-উদ্দীপক এবং ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলম্বনে সিদ্ধান্তটি পযার্লোচনা করো।                      ৪
৭.কবির  পক্ষে সমাজকে বোঝা দরকার, কবিতার অস্থিরতার ভেতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কার জ্ঞান।কাল বা সময় বৈনাশিক;কিন্তু সে সেই সমস্ত কুয়াশাগুলোকেই কেটে কেটে চলছে,যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপ্তি বাড়াবার পক্ষে অন্তরায়ের মতো।এই সমস্ত চেতনা নিয়েই মানবতার ও কবিমানসের ঐতিহ্য।
ক.কবিতার মুক্ত শব্দগুলো কোথা থেকে উচ্চারিত হয় ?  ১
খ.পূবর্পুরুষ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?      ২
গ.উদ্দীপকের ইতিহাস চেতনা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’কবিতায় কোন পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে তা তুলে ধরো।  ৩
ঘ.“উদ্দীপকের মানবতাও কবিমানস ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ।”বিশ্লেষণ করো ।৪
৮.পুকুরের ঘাটে বসে কবিতার বই  পড়ছিল রাশেদ।হঠাৎ তার বন্ধু অর্ক এসে বিদ্রুপ ভরা কণ্ঠে বলল-এত কবিতা পড়ে কী হবে?পুকুরে সাঁতার কাটি। রাশেদ মাথা তুলে বলল-শোন,যে কবিতা পড়ে না ,সে সাঁতার কাটায় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।

ক.আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কোন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন ? ১
খ.যে কবিতা শুনতে জানেনা ,সে মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না কেন?        ২
গ.উদ্দীপ ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার সাদৃশ্য চিহ্নিত করো ।        ৩
ঘ.‘যে কবিতা পড়ে না ,সে সাঁতার কাটায় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়’‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার অালোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।                             ৪

৯.বনের পাখি বলে,‘খাচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।’
খাঁচার পাখি বলে,‘বনের পাখি,আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলি।’
বনের পাখি বরে না,
আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।’
খাঁচার পাখি বলে ‘হায়
আমি কেমনে বনে বাহিরিব।’

ক.‘লোক-লোকান্তর ‘কবিতায় কবির চেতনারুপ পাখি কীসের ডালে বসে আছে।   ১
খ.‘মাথার ওপরে নিচে বনচারী বাতাসের তালে দোলে বন্য পানপাতা..‘চরণটির মধ্য দিয়ে কী প্রকাশ পেয়েছে?  ২
গ.উদ্দীপকের খাঁচার পাখি এবং ‘লোক-লোকান্তর ‘কবিতার পাখির মধ্যে বৈসাদৃশ্য নিরুপণ করো।   ৩
ঘ.“উদ্দীপক ও ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতা উভয় ক্ষেত্রেই পাথি মুক্তির প্রতীক।”উক্তিটি বিশ্লেষণ কর ।  ৪

১০.বাঙালি বহু রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে অর্জিত করেছে স্বাধীন এক রাষ্ট্র। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ,ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুহ্থান এবং অবশেষে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির প্রতিবাদী সত্তার পরিচালক। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে স্বধীনতার ডাক দিয়ে বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন  বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন মাতৃভূমি।
ক. কত বঙ্গাব্দে নূরলদীনের ডাকে মানুষ জেগে উঠেছিল?   ১
খ. ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’-কেন?   ২
গ.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকের সাথে ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।  ৩
ঘ.‘বাঙালি জাতি চিরকালই শোষণের বিরোদ্ধে সোচ্চার’ উদ্দীপক ও ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো ।  ৪
                            গ বিভাগন (লালসালু উপন্যাস)
১১.উত্তরাঞ্চলকে অনেকেই বলেন ,‘বাহেরমুল্লুক’। সেই ‘বাহেরমুল্লুকের’ অনেক স্থানই  ফি-বছর তিস্তা-ব্রহ্মপু্ত্রের ভায়াল ভাঙনের কবলে পড়ে।এই ভাঙন কবলিত গৃহহীন মনসুর মিয়া সপরিবারে চলে যান সূদুর –দক্ষিণের দ্বীপাঞ্চলে। সেখানে ভেজষ চিকিৎসকের পেশায় তাঁর অল্পদিনেই সুনাম হয় ।জটিল রোগীর  আগমন ঘটলে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। উপার্জনের পয়সায় দ্বিপাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্যে স্কুল প্রতিষ্ঠার কথাও ভাবেন।

১২.ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে।বন্ধুদের সঙ্গে ছুটোছুটি করা ,অবাধে সাঁতার কাটা তার আনন্দের কাজ।তার বাবা অভাবের  তাড়নায় ‍ওয়াসিকাকে পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন।লোকটি গ্রামের মাতব্বর ।তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও চঞ্চল ও স্বাধনিচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।

ক.ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল?   ১
খ.‘সজোরে নড়তে থাকা পাখাটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. ওয়াসিকা লালসালু উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ-ব্যাখ্যা কর।                           ৩
ঘ.উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি –মূল্যায়ন কর ।                                                                                   ৪


বাংলা ১ম পত্র ঢাকা বোর্ড প্রশ্ন ২০১৮ সাল


এইচ এস সি প্রশ্ন 








বাংলা ২য় পত্র প্রশ্ন ২০১৮





সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

ণত্ববিধান ষত্ব বিধান কাহাকে বলে

◼️প্রশ্ন: ণত্ব-বিধান বলতে  কী বোঝ ণত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম লেখ ।
উত্তর: য়ে নিয়ম অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যাবহৃত সংস্কৃতিক  শব্দের বানানে ‘ন’  স্থানে মূধর্ন্য হয়  তাকে ণত্ব-বিধান বলে।
অর্থাৎ তৎসম শব্দের বানানে  ণ - ব্যাবহারের নিয়ম কে ণত্ব-বিধান বলে।

ণত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম
১.সাধারণভাবে তৎসম শব্দে ঋ ,র,ষ -এর  পর মূধর্ন্য হয়।
উদাহরণ- ঋণ, কারণ,মরণ,ভীষণ,ভাষণ ইত্যাদি।

২.র= র,ঋ ,রেফ  র্   ,ঋকার  ‍ৃ র-ফলা (্র্র) অথবা ক্ষ এর পরে য়দি  স্বরবর্ণ ,
ক-বর্গের ক খ গ ঘ ঙ  এবং প-বর্গের প ফ ব ভ ম আরও য য় হ,ং এই বর্গের যেকোন বর্ণ আস  ে। তবে তার পরেও  ণ হবে।
উদাহরণ- অপরাহ্ণ,পরিবহণ,রক্ষিণী, রোণপ , কৃপণ ,গৃহিণী ,অর্পণ, চর্বণ, পার্বণ, পূর্বাহ্ণ, অগ্রহায়ণ ,গ্রহণ ইত্যাদি।

৩. ট -বর্গের  ট ঠ ড ঢ -এই চারটি বণের পূর্বে যদি ন ধ্বণি থাকে এবং ন সহযোগে যদি যুক্তবর্ণ তৈরি  হয়  তা হলে সর্বদা মূর্ধন্য হবে । যেমন-কণ্টক, ঘণ্টা, কণ্ঠ,দণ্ড ইত্যাদি।

৪.উত্তর ,পর,পার,চান্দ্র,নার ,রাম,শব্দের পরে অনয়  শব্দ যোগ হলে  দন্তন্য পাল্টে মূর্ধন্য হবে
উদাহরণ
উত্তর+ অয়ন=উত্তরায়ণ
পর+ অয়ন= পরায়ণ
পার+অয়ন= পারায়ণ
চান্দ্র+অয়ন=চান্দ্রায়ণ
নার +অয়ন=নারাযণ
রাম+অয়ণ=রামায়ণ

৫.পরি, প্র, নির --এ তিনটি উপসর্গের পর ণত্ব-বিধানে নিয়ম অনুসারে   ‘ন’  ‘ণ’  তে  পরিণত হয়।
পরিণত, পরিণাম , প্রনয়ণ, প্রমাণ ইত্যাদি।

৬.বিদেশি শব্দের বানানে  ণত্ব-বিধান প্রযোজ্য হয় না। উদাহরণ -অ্যাকাউন্ট,এজেন্ট,টেন্ডার ,বন্ড ইত্যাদি।

◼️ ষত্ব-বিধান  কাকে বলে ? বাংলা ভাষায় ষত্ব-বিধানের  পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর: ষত্ব-বিধান: যে রীতি অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বানানে মূর্ধন্য  ‘ষ’  ব্যবহৃত হয়  তাকে ষত্ব বিধান বলে ।

ষত্ব-বিধানের পাঁচটি নিয়ম :

১.ঋ বা ‘ঋ’ কারের পরে মূর্ধন্য  ‘ষ’ হয়  যেমন: ঋষভ, কৃষক,বৃষ  ইত্যাদি

২.রেফ এর পর মূর্ধন্য  -ষ  হবে যেমন - বর্ষা, বার্ষিক , বিমর্ষ ,শীর্ষ ইত্যাদি

৩. ট ,ঠ -এই দুইটি বর্ণের পূর্বে সর্বদা ‘ষ’ হবে । যেমন : অনিষ্ট , অকৃষ্ট , তুষ্ট ,দুষ্ট , নষ্ট, নির্দিষ্ট , অনুষ্ঠান ,ওষ্ঠ ,  কনিষ্ঠ, কাষ্ঠ,কোষ্টী , জেষ্ঠ  ,জৈষ্ঠ্ ,পৃষ্ঠ ,বলিষ্ঠ , ভূমিষ্ঠ ,শ্রেষ্ঠ  ইত্যাদি।

৪. ই-কারান্ত  উ-কারান্ত  উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’  হবে। অভিষেক ,অনুষঙ্গ, প্রতিষেধক, অনুষ্ঠান , বিষম ,সুষমা  ইত্যাদি।

৫. ক  খ  প  ফ  এদের  আগে ইঃ (ঃি ) অথবা  উঃ (বা ‍ু ঃ ) থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গের জায়গায় সর্বদা   ‘ষ’   হবে । যেমন:
অবিঃ+কার =আবিষ্কার
দুঃ+কর   =দুষ্কর
নিঃ+ফল  =নিষ্ফল
৬. ট ঠ - এই  দুটি  মূর্ধন্য বর্ণের পূর্বে সর্বদা   ষ  হবে ; অর্থাৎ . যুক্তাক্ষরের রূপ হবে  ষ্ট/ষ্ঠ । যেমন: অনিষ্ট অপচেষ্টা চেষ্টা .অনুষ্ঠান, লগিষ্ঠ শ্রেষ্ঠ

-------🌿------

বাংলা ব্যাকরণ

⬀⬁১.প্রশ্নঃ- বাংলা  ব্যাকরণ কাকে বলে ? বাংলা ভাষার ব্যাকরণ পাঠের  প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
 অথবা
 প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর

উত্তরঃ  ড. মুহম্মদ  শহীদুল্লাহর মতে  যে শাস্ত্র পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।

কোন ভাষা সমন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হলে সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজন অপরিসীম কারণ
১.ব্যাকরণ পাঠের মধ্য  দিযে  আমরা সচেতনভাবে ভাষাটির সার্থক ব্যবহার করতে পারি বা অন্য কেউ ভুল করলে সে ভুলটি কেন করল কি ধরনের ভুর করল তা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারি ।
২.একটি ভাষার ব্যকরণ জানলে আমাদের অন্য ভাষার ব্যকরণ জানতে সুবিধা হয় । পৃথিবীর সকল ভাষার সাথে একটি মৌলিক ঐক্য আছে।
৩. ব্যাকরন আমাদের শেখায় ভাষা নিয়মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
৪.ভাষার সৌন্দর্য সম্ভোগের জন্যও সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠ আবশ্যক।
৫.সাহিত্যের রস আস্বাদনের জন্য ব্যাকরণ জানা আবশ্যক।
৬.ব্যাকরণ পাঠের মাধ্যমে ভাষার স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা  যায়।ভাষাকে আরো বিশুদ্ধভাবে লিখা বলা যায়। উল্লেখিত কারনে ব্যাকরণ পাঠ খুবই প্রয়োজন।

⍇প্রশ্নঃ বাংলা ব্যাকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
⍇প্রশ্নঃব্যাকরণে কী কী বিষয় আলোচিত হয় ? উদাহরণসহ  আলোচনা কর।

➤উত্তর ঃপ্রত্যেক ভাষাতেই তিনটি মৌলিক অংশ থাকে যথা--
১.ধ্বণি (sound) ২. শব্দ (word) ৩. বাক্য  (sentence)

উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের সাথে আরও একটি উপাদান রয়েছে , তা হল অর্থ  শব্দের অর্থবিচারে বাক্যের অর্থবিচার হয়
 অতএব ভাষার মৌলিক অংশ চারটি  যেমনঃ

১.ধ্বনি   ২. শব্দ  ৩.বাক্য   ৪. অর্থ  যার দরুন  সকল ভাষাতেই ব্যকরণের চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় :
ক.ধ্বণিতত্ত্ব    খ. বাক্যতত্ত্ব
 গ.শব্দতত্ত্ব      ঘ. অর্থতত্ত্ব
এই চার তত্ত্ব নিয়ে  ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠে।

১.ধ্বনিতত্ত্বঃ ধ্বনির উচ্চারন প্রনালী , উচ্চারণ স্থান,ধ্বণির প্রতীক বা বর্ণের বিন্যাস ,ধ্বনিসংযোগন বা সন্ধি ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ ,ণত্ব ষত্ব -বিধান ইত্যাদি বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

২.শব্দতত্ত্বঃ এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক  সম্মিলনে তৈরী হয় ,  শব্দের  অর্থযুক্ত  ক্ষুদ্রাংশকে বলাহয় রুপ। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্বও বলা হয়ে থাকে।এ অংশে শব্দের প্রকার , পদের পরিচয় , শব্দগঠন  উপসর্গ, প্রত্যয় , বিভক্তি , লিঙ্গ, বচন ,ধাতু ,শব্দরূপ,কারক ,সমাস ,ক্রিয়া-প্রকরণ,ক্রিয়ার কাল,ক্রিয়ার ভাব, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

৩. বাক্যতত্ত্বঃ বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালি , বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন , বিয়োজন ,এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা ,বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।

৪. অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থ বিচার ,বাক্যের অর্থবিচার অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ  অর্থতত্বের আলোচ্য বিষয়।