আপনি যখন এক মাসের জন্য প্রতিদিন আদা খান তখন আপনার শরীরে এটি ঘটে
এটি আপনার দেহের সাথে এটি করে:
আদা প্রতিদিন
আপনি কি এক মাস ধরে প্রতিদিন আদা খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আমরা আপনাকে থামাব না! প্রতিদিন আদা খাওয়ার অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পার্শ্ব দ্রষ্টব্য: আপনার প্রতিদিন এক টুকরো আদা লাগবে না। একটি বড় টুকরো - প্রায় 1.5 সেন্টিমিটার - কে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে নিন আপনার স্মুদি, চা বা এশিয়ান খাবারের সাথে। ভাবছেন যে এটি আপনার দেহের সাথে কী করে? আমরা আপনাকে এটি ব্যাখ্যা করব।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি: দেহে প্রদাহ দ্রুত হ্রাস পায়। এটি আদা এর প্রদাহ বিরোধী প্রভাবের কারণে।
বমিভাব অদৃশ্য হয়ে যায়: আপনি কি সকালে প্রায়শই বমি বমি ভাব করেন? আমরা বাজি দিয়েছি যে প্রতিদিন আদা খাওয়া আপনাকে সাহায্য করবে! প্রতিদিন আদা খেলে বমি বমি ভাব শীঘ্রই হ্রাস পাবে। পরামর্শ: বিশেষত গর্ভবতী মহিলা এবং কেমোথেরাপি করানো লোকেরা এতে উপকৃত হতে পারে।
পেশী ব্যথা হ্রাস: আপনার পেশীতে ব্যথা বা অঙ্গে ব্যথা আছে? আদা খাওয়ার এতে ভাল প্রভাব থাকতে পারে। প্রতিদিন আদা সেবন করলে ধীরে ধীরে ব্যথা সহজ হবে।
অন্ত্রের গতিবিধি উত্সাহ দেয় : প্রতিদিন আদা খাওয়া আপনার অন্ত্রের গতিবিধির জন্য অনেক ভাল কাজ করে। আপনি কি নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? তাহলে এটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
ঋতুস্রাব ব্যথা: আপনি কি মাসের এই সময়টিতে ধ্রুবক ব্যথা করছেন? তাহলে প্রতিদিন আদা খাওয়া আপনাকে সাহায্য করতে পারে। মশলা ব্যথার ওষুধ খাওয়ার মতো, যা তীব্র পেটের ব্যথা উপশম করতে পারে।
কোলেস্টেরল হ্রাস করে: এক মাস ধরে প্রতিদিন আদা খাওয়ার ফলে শরীরে "খারাপ" কোলেস্টেরল কমে যায়। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ আদাতে থাকা পদার্থ দ্বারা হ্রাস পায়।
ইমিউন সিস্টেম বাড়ায়: আদাতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। আপনি কি ইতিমধ্যে ঠান্ডা বা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন? তারপরে আদা আপনাকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।।
সুন্দর গোলাবী ঠোঁট সকলেরই কাম্য সুন্দর কোমল ঠোঁটের জন্য কিছু করণীয় আছে । সুন্দর হাসি সুন্দর ঠোট ছেলেমেয়ে সকলের আরাধ্য বিষয়, কিন্তু আমাদের কতিপয় অভ্যাসের কারণে ঠোট কালো হয়ে যায় । অতিরিক্ত চা পান এবং যারা বেশি রোদে যান বা ঠোঁটের যত্ন কম নেন তাদের কালচে দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে এসকল সমস্যা দূর করার জন্য প্রাকৃতিক ও সহজ কতগুলো উপায় সম্পর্কে আমরা জানব ।
গোলাপ জল :
তুলারবল তৈরি করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগান । এত ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁট বাড়তি যত্ন পাবে । ঠোঁটের দাগ দূর হব।
শসার জুস:
অর্ধেক শসা ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করুন । তহুলার বল দিয়ে এই জুস ঠোঁটে লাগাতে পারেন । ২০-৩০ মিনিট পর তা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন । শসার জুস আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দিতে পারে।
বিট:
এক টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ঘষতে থাকুন। ১৫-২০ মিনিট পর ভালো করে তা ধুয়ে ফেলুন। বিটের রস ঠোঁটের পোড়া ও কালচে ভাব দূর করবে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সতেজতা এনে দিতে পারে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।
বেকিং সোডা :
বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে ২-৩ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভেজা ভাব শুকিয়ে গেলে ঠোঁটের কোনো জেল ব্যবহার করুন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার :
এক চা-চামচ পানিতে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দানকারী উপাদান হিসেবে কাজ করবে এটি।
ঘৃতকুমারী:
ঘৃতকুমারীর রয়েছে তাক লাগানো গুণ। ঘৃতকুমারীর জলীয় অংশ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
গ্লিসারিন:
তুলা দিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে একটু গ্লিসারিন মাখিয়ে রাখুন। এতে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। শুষ্কতা দেখা যাবে না।
লেবু মধূ
অনেকক্ষণ যাঁদের রোদে থাকতে হয়, তাঁরা লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এ মিশ্রণ কিছুক্ষণ ঠোঁটে রাখুন। এরপর ভেজা নরম কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলুন।
নারকেল তেল :
আঙুলের মাথায় একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখুন। এতে যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ঠোঁট আর্দ্র ও সবল রাখে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন, পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।
গাজরের রস :
গাজরের রস করে একটা বাটিতে নিয়ে, তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে খানিকটা স্যাফরন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতাও ফিরে আসবে, রঙও ফিরবে একই সাথে।
টমেটোপেষ্ট :
টমেটো পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে ক্রিম মিক্স করে লাগান অথবা টমেটো পেস্টের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে লাগান।
গোলাপের পাপড়ি :
গোলাপের মত ঠোঁট পেতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করব না, তাই কি হয়? কিছু গোলাপের পাপড়ি নিন এবং দুধে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পাপড়িগুলো বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু আর গ্লিসারিন দিন। এবার পেস্টটা আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এক টুকরো তুলা দুধে ভিজিয়ে পেস্টটি তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অসাধারণ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
স্ট্রবেরির রস:
স্ট্রবেরির রসঃ দুই চা চামচ স্ট্রবেরি রসের সঙ্গে এক চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে ঠোঁটে হালকা করে ঘষে রেখে দিন। মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহারে ঠোঁটে গোলাপী আভা ফিরে আসে।
ঠোঁট সুন্দর রাখতে নিচের কাজগুলো না কারা উত্তম :
চা, কফিসহ অন্যান্য পানীয় আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য দায়ী। এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কেননা, ধূমপান করলে ঠোঁট কালো হবেই।
পানিশূন্যতা আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন পানি পান করুন, কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস।
ঠোঁট কখনই বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না।
সরাসরি সূর্যের আলো ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট করে। যতদূর সম্ভব এটা এড়িয়ে চলুন। বাইরে যেতে হলে উঁচুমানের সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।
আপনার খাবারে রাখুন প্রচুর শাকসবজি।
আমাদের শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান ও স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। ফলে চোখের যত্ন নেয়া আমাদের জন্য আবশ্যক। কখনও নিজেদের অজান্তে আবার কখনও বা কিছু অভ্যাসের করণে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে ফেলছি আমরাই।
চিকিৎসকদের মতে, এ সকল অভ্যাস বদলাতে পারলে জ্যোতি কমার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান। যা কিনা চোখের জ্যোতি কমার অন্যতম কারন।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ব্যবহার এ সব আজকাল জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। ফলে এ সব অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দেয়া যায় না। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট, কাড়ে নিচ্ছে চোখের দৃষ্টি।
ধূমপানে আসক্তি, কেবল হার্ট নয়, ধোঁয়া থাবা বসাচ্ছে আপনার চোখেও। ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বরান্বিত করে। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধূমপানকেই চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।
চোখের অসুখ থাকলে তো সময় অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অসুখ না থাকলেও বছরে দু’বার চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই কাজে অবহেলা করবেন না।
চোখের জ্যোতি বাড়ার উপায়
১.ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি করে যথা: মিষ্টি পেঁপে, কাঁঠাল, কুমড়া, কালো কচু শাক, হেলেঞ্চা শাক, পুঁই শাক, লাউ শাক, ধনিয়া পাতা, পাট শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, কলিজা, মলাঢেলা ছোট্ট মাছ।
ক. সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি
আমাদের জীবনের সবার সেরা বন্ধু হলো সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি। এতে আছে লুটেইন এবং জিয়াক্স্যানথিন এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মাংসপেশির ক্ষয় রোধ করে। এরা চোখের মাংসপেশিকেও শক্তিশালী করে এবং রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
খ. গাজর
সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি গাজর আমাদের চোখের জন্য বেশ উপকারী। আসলেও তাই। গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং চোখের কার্যক্রম সচল রাখায় সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এছাড়া চোখের কোনো ধরনের ক্ষয়ও হতে দেয় না গাজর।
গ. পূর্ণ শস্য
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যে গ্লিকেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা চোখের পেশির ক্ষয় এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই শস্য রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করে যা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসার প্রধান কারণ।
ঘ. সাইট্রাস ফল
লেবু এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই ফল চোখের স্বাস্থ্য খুবই ভালো রাখে। এবং চোখের পেশির ক্ষয়রোধ করে। এছাড়া ভিটামিন সি আমদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
ঙ. বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা চোখ সংক্রান্ত রোগ কমায়। এতে থাকা ভিটামিন ই চোখে ছানি পড়া এবং ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
চ. মাছ এবং মাছের তেলের ক্যাপসুল
মাছেও আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা চোখে রক্ত সরবরাহের শিরা-উপশিরাগুলোকে শক্তিশালী করে। এছাড়া এটি ব্রেন পাওয়ারও বাড়ায়। যার ফলে দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়। এছাড়া চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে এটি।
ছ. সূর্যমুখী ফুলের বীজ
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক। এসব বীজ থেকে পাওয়া তেলে আছে ক্যারোটিনয়েড যা ছানি পড়া রোধ করে।
জ. টমেটো
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। প্রতিদিন টমেটো খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি হারায় না।
ঝ. কলাই
কিডনি বিন, কালো-চোখ মটরশুটি এবং ডালে আছে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড এবং জিঙ্ক। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখলে রেটিনায় কোনো ক্ষয় এবং ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
ঞ. ডিম
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিমও বেশ কার্যকর। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে আছে লিউটেইন, জিয়াক্সানথিন এবং জিঙ্ক যা রেটিনায় কোনো ধরনের ক্ষয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
২. সব সময় চোখকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে, চোখকে ধূলিকণা থেকে বাঁচাতে হবে,
৩. বেশী করে কোরআন শরীফপাঠ করুন আল্লাহর রহমতে দৃষ্টিশক্তি কোনো দিন ও কমবে না,
৪. মোবাইল, কম্পিউটার, টিভির ক্ষতিকর তেজক্রিয় রশ্মি থেকে চোখকে দূরে রাখুন,
৫. চোখে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
পুনরায় আগের মত দৃষ্টিশক্তি ফেরত না পেলেও কিছু ব্যায়াম ও খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করে দৃষ্টি শক্তি আবার বাড়িতে দিতে পারেন। চোখের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম আছে যেগুলো আপনি নিয়মতি করতে পারেন। চোখের জন্য এরোবিক ব্যায়াম খুব কার্যকরি। তাছাড়া সাঁতার ও টেনিস খেলা চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দিতে পারে।
যে সব খাদ্য দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে:-
১) এলাচ ৪ গ্রাম মাত্রায় সকালে খেলে এক মাস থেকে ৪০ দিনের মধ্যে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি দূর হয়। চোখ ঠাণ্ডা হয়, চোখের জ্যোতি বাড়ে।
২) রাতের বেলায় একটা পাত্রে দু’চামচ ত্রিফলা চূর্ণ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন অথবা ঐ জল নিয়ে চোখের ওপর ছিটে দিন। এতেও চোখের জ্যোতি বাড়ে। এমনকি বৃদ্ধাবস্থাতেও চোখ নির্মল ও সতেজ থাকবে।
৩) পুষ্টিবিদদের মতে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, বিটা ক্যারোটিন ও লিউটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রধানত আসে মাছ থেকে। এছাড়া ফ্লাক্স সিডস, ওয়ালনাটস, পেশতা ও বাঁধাকপিতে পাওয়া যায় এধরনের চর্বি। আর বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায় গাজর এবং সবুজ শাক-সবজি, ফলমূলে। লিউটিন পাওয়া যায় ডিমের সাদা অংশে। চোখের জ্যোতি বাড়াতে এই লিউটিন সহায়ক।
৪) ডিমের সাদা অংশ ছাড়াও সবুজ শাক-সবজিতেও থাকে প্রচুর লিউটিন। চোখের জ্যোতির জন্য ক্ষতিকর খাবারেরও একটি তালিকা দিয়েছেন পুষ্টিবিদগণ। যেসব খাদ্য কম খাওয়া উচিত অথবা পরিহার করা উচিত তা হচ্ছে সুগার, প্রক্রিয়াজাত ময়দা, ট্রান্সফ্যাট (বনস্পতি) ও ধূমপান।
৫) যদি দেখা যায় চোখের দৃষ্টি ক্রমশঃ স্তিমিত হয়ে আসছে তাহলে কমলা লেবুর রসে বাটা গোলমরিচ ও সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে। অন্ততঃ তিনমাস এভাবে নিয়মিত সেবন করতে হবে।
৬) এক কাপ গাজরের রসে পৌনে এক কাপ পালং বা চৌলাইয়ের শাকের রস মিশিয়ে সকালে সূর্যোদয়ের সময়ে এবং বিকালে সূর্যাস্তের সময়ে নিয়মিত সেবন করতে পারলে সেবনকারীর চশমার দরকার হবে না কোনো দিন।
৭) শোয়ার সময় সপ্তাহে তিন দিন তুলোর মোটা পলতে দুধে ভিজিয়ে চোখে রেখে তার ওপর পটি বেঁধে দিলে চোখ ভালো থাকে। আবার কখনো কখনো ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা শীতল ও স্বচ্ছ দুধ দু’তিন ফোঁটা চোখে দিলে চোখ শীতল থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি কখনো ক্ষীণ হয় না।
৮) বাদামের ৮-১০ টি দানা (অর্থাৎ শাঁস) রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে খানিকটা দুধ খেয়ে নিতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ার সঙ্গে বলবৃদ্ধিও হবে।
৯) ধনে পিষে নিয়ে তার রস বের করে দু’ফোঁটা করে প্রতিদিন দু’চোখে দিলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়।