অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।।
সুন্দর গোলাবী ঠোঁট সকলেরই কাম্য সুন্দর কোমল ঠোঁটের জন্য কিছু করণীয় আছে । সুন্দর হাসি সুন্দর ঠোট ছেলেমেয়ে সকলের আরাধ্য বিষয়, কিন্তু আমাদের কতিপয় অভ্যাসের কারণে ঠোট কালো হয়ে যায় । অতিরিক্ত চা পান এবং যারা বেশি রোদে যান বা ঠোঁটের যত্ন কম নেন তাদের কালচে দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে এসকল সমস্যা দূর করার জন্য প্রাকৃতিক ও সহজ কতগুলো উপায় সম্পর্কে আমরা জানব ।
গোলাপ জল :
তুলারবল তৈরি করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগান । এত ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁট বাড়তি যত্ন পাবে । ঠোঁটের দাগ দূর হব।
শসার জুস:
অর্ধেক শসা ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করুন । তহুলার বল দিয়ে এই জুস ঠোঁটে লাগাতে পারেন । ২০-৩০ মিনিট পর তা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন । শসার জুস আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দিতে পারে।
বিট:
এক টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ঘষতে থাকুন। ১৫-২০ মিনিট পর ভালো করে তা ধুয়ে ফেলুন। বিটের রস ঠোঁটের পোড়া ও কালচে ভাব দূর করবে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সতেজতা এনে দিতে পারে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।
বেকিং সোডা :
বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে ২-৩ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভেজা ভাব শুকিয়ে গেলে ঠোঁটের কোনো জেল ব্যবহার করুন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার :
এক চা-চামচ পানিতে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দানকারী উপাদান হিসেবে কাজ করবে এটি।
ঘৃতকুমারী:
ঘৃতকুমারীর রয়েছে তাক লাগানো গুণ। ঘৃতকুমারীর জলীয় অংশ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
গ্লিসারিন:
তুলা দিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে একটু গ্লিসারিন মাখিয়ে রাখুন। এতে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। শুষ্কতা দেখা যাবে না।
লেবু মধূ
অনেকক্ষণ যাঁদের রোদে থাকতে হয়, তাঁরা লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এ মিশ্রণ কিছুক্ষণ ঠোঁটে রাখুন। এরপর ভেজা নরম কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলুন।
নারকেল তেল :
আঙুলের মাথায় একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখুন। এতে যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ঠোঁট আর্দ্র ও সবল রাখে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন, পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।
গাজরের রস :
গাজরের রস করে একটা বাটিতে নিয়ে, তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে খানিকটা স্যাফরন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতাও ফিরে আসবে, রঙও ফিরবে একই সাথে।
টমেটোপেষ্ট :
টমেটো পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে ক্রিম মিক্স করে লাগান অথবা টমেটো পেস্টের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে লাগান।
গোলাপের পাপড়ি :
গোলাপের মত ঠোঁট পেতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করব না, তাই কি হয়? কিছু গোলাপের পাপড়ি নিন এবং দুধে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পাপড়িগুলো বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু আর গ্লিসারিন দিন। এবার পেস্টটা আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এক টুকরো তুলা দুধে ভিজিয়ে পেস্টটি তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অসাধারণ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
স্ট্রবেরির রস:
স্ট্রবেরির রসঃ দুই চা চামচ স্ট্রবেরি রসের সঙ্গে এক চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে ঠোঁটে হালকা করে ঘষে রেখে দিন। মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহারে ঠোঁটে গোলাপী আভা ফিরে আসে।
ঠোঁট সুন্দর রাখতে নিচের কাজগুলো না কারা উত্তম :
চা, কফিসহ অন্যান্য পানীয় আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য দায়ী। এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কেননা, ধূমপান করলে ঠোঁট কালো হবেই।
পানিশূন্যতা আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন পানি পান করুন, কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস।
ঠোঁট কখনই বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না।
সরাসরি সূর্যের আলো ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট করে। যতদূর সম্ভব এটা এড়িয়ে চলুন। বাইরে যেতে হলে উঁচুমানের সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।
আপনার খাবারে রাখুন প্রচুর শাকসবজি।
আমাদের শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান ও স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। ফলে চোখের যত্ন নেয়া আমাদের জন্য আবশ্যক। কখনও নিজেদের অজান্তে আবার কখনও বা কিছু অভ্যাসের করণে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে ফেলছি আমরাই।
চিকিৎসকদের মতে, এ সকল অভ্যাস বদলাতে পারলে জ্যোতি কমার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান। যা কিনা চোখের জ্যোতি কমার অন্যতম কারন।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ব্যবহার এ সব আজকাল জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। ফলে এ সব অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দেয়া যায় না। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট, কাড়ে নিচ্ছে চোখের দৃষ্টি।
ধূমপানে আসক্তি, কেবল হার্ট নয়, ধোঁয়া থাবা বসাচ্ছে আপনার চোখেও। ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বরান্বিত করে। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধূমপানকেই চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।
চোখের অসুখ থাকলে তো সময় অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অসুখ না থাকলেও বছরে দু’বার চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই কাজে অবহেলা করবেন না।
চোখের জ্যোতি বাড়ার উপায়
১.ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি করে যথা: মিষ্টি পেঁপে, কাঁঠাল, কুমড়া, কালো কচু শাক, হেলেঞ্চা শাক, পুঁই শাক, লাউ শাক, ধনিয়া পাতা, পাট শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, কলিজা, মলাঢেলা ছোট্ট মাছ।
ক. সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি
আমাদের জীবনের সবার সেরা বন্ধু হলো সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি। এতে আছে লুটেইন এবং জিয়াক্স্যানথিন এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মাংসপেশির ক্ষয় রোধ করে। এরা চোখের মাংসপেশিকেও শক্তিশালী করে এবং রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
খ. গাজর
সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি গাজর আমাদের চোখের জন্য বেশ উপকারী। আসলেও তাই। গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং চোখের কার্যক্রম সচল রাখায় সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এছাড়া চোখের কোনো ধরনের ক্ষয়ও হতে দেয় না গাজর।
গ. পূর্ণ শস্য
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যে গ্লিকেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা চোখের পেশির ক্ষয় এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই শস্য রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করে যা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসার প্রধান কারণ।
ঘ. সাইট্রাস ফল
লেবু এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই ফল চোখের স্বাস্থ্য খুবই ভালো রাখে। এবং চোখের পেশির ক্ষয়রোধ করে। এছাড়া ভিটামিন সি আমদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
ঙ. বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা চোখ সংক্রান্ত রোগ কমায়। এতে থাকা ভিটামিন ই চোখে ছানি পড়া এবং ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
চ. মাছ এবং মাছের তেলের ক্যাপসুল
মাছেও আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা চোখে রক্ত সরবরাহের শিরা-উপশিরাগুলোকে শক্তিশালী করে। এছাড়া এটি ব্রেন পাওয়ারও বাড়ায়। যার ফলে দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়। এছাড়া চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে এটি।
ছ. সূর্যমুখী ফুলের বীজ
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক। এসব বীজ থেকে পাওয়া তেলে আছে ক্যারোটিনয়েড যা ছানি পড়া রোধ করে।
জ. টমেটো
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। প্রতিদিন টমেটো খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি হারায় না।
ঝ. কলাই
কিডনি বিন, কালো-চোখ মটরশুটি এবং ডালে আছে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড এবং জিঙ্ক। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখলে রেটিনায় কোনো ক্ষয় এবং ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
ঞ. ডিম
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিমও বেশ কার্যকর। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে আছে লিউটেইন, জিয়াক্সানথিন এবং জিঙ্ক যা রেটিনায় কোনো ধরনের ক্ষয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
২. সব সময় চোখকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে, চোখকে ধূলিকণা থেকে বাঁচাতে হবে,
৩. বেশী করে কোরআন শরীফপাঠ করুন আল্লাহর রহমতে দৃষ্টিশক্তি কোনো দিন ও কমবে না,
৪. মোবাইল, কম্পিউটার, টিভির ক্ষতিকর তেজক্রিয় রশ্মি থেকে চোখকে দূরে রাখুন,
৫. চোখে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
পুনরায় আগের মত দৃষ্টিশক্তি ফেরত না পেলেও কিছু ব্যায়াম ও খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করে দৃষ্টি শক্তি আবার বাড়িতে দিতে পারেন। চোখের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম আছে যেগুলো আপনি নিয়মতি করতে পারেন। চোখের জন্য এরোবিক ব্যায়াম খুব কার্যকরি। তাছাড়া সাঁতার ও টেনিস খেলা চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দিতে পারে।
যে সব খাদ্য দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে:-
১) এলাচ ৪ গ্রাম মাত্রায় সকালে খেলে এক মাস থেকে ৪০ দিনের মধ্যে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি দূর হয়। চোখ ঠাণ্ডা হয়, চোখের জ্যোতি বাড়ে।
২) রাতের বেলায় একটা পাত্রে দু’চামচ ত্রিফলা চূর্ণ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন অথবা ঐ জল নিয়ে চোখের ওপর ছিটে দিন। এতেও চোখের জ্যোতি বাড়ে। এমনকি বৃদ্ধাবস্থাতেও চোখ নির্মল ও সতেজ থাকবে।
৩) পুষ্টিবিদদের মতে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, বিটা ক্যারোটিন ও লিউটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রধানত আসে মাছ থেকে। এছাড়া ফ্লাক্স সিডস, ওয়ালনাটস, পেশতা ও বাঁধাকপিতে পাওয়া যায় এধরনের চর্বি। আর বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায় গাজর এবং সবুজ শাক-সবজি, ফলমূলে। লিউটিন পাওয়া যায় ডিমের সাদা অংশে। চোখের জ্যোতি বাড়াতে এই লিউটিন সহায়ক।
৪) ডিমের সাদা অংশ ছাড়াও সবুজ শাক-সবজিতেও থাকে প্রচুর লিউটিন। চোখের জ্যোতির জন্য ক্ষতিকর খাবারেরও একটি তালিকা দিয়েছেন পুষ্টিবিদগণ। যেসব খাদ্য কম খাওয়া উচিত অথবা পরিহার করা উচিত তা হচ্ছে সুগার, প্রক্রিয়াজাত ময়দা, ট্রান্সফ্যাট (বনস্পতি) ও ধূমপান।
৫) যদি দেখা যায় চোখের দৃষ্টি ক্রমশঃ স্তিমিত হয়ে আসছে তাহলে কমলা লেবুর রসে বাটা গোলমরিচ ও সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে। অন্ততঃ তিনমাস এভাবে নিয়মিত সেবন করতে হবে।
৬) এক কাপ গাজরের রসে পৌনে এক কাপ পালং বা চৌলাইয়ের শাকের রস মিশিয়ে সকালে সূর্যোদয়ের সময়ে এবং বিকালে সূর্যাস্তের সময়ে নিয়মিত সেবন করতে পারলে সেবনকারীর চশমার দরকার হবে না কোনো দিন।
৭) শোয়ার সময় সপ্তাহে তিন দিন তুলোর মোটা পলতে দুধে ভিজিয়ে চোখে রেখে তার ওপর পটি বেঁধে দিলে চোখ ভালো থাকে। আবার কখনো কখনো ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা শীতল ও স্বচ্ছ দুধ দু’তিন ফোঁটা চোখে দিলে চোখ শীতল থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি কখনো ক্ষীণ হয় না।
৮) বাদামের ৮-১০ টি দানা (অর্থাৎ শাঁস) রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে খানিকটা দুধ খেয়ে নিতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ার সঙ্গে বলবৃদ্ধিও হবে।
৯) ধনে পিষে নিয়ে তার রস বের করে দু’ফোঁটা করে প্রতিদিন দু’চোখে দিলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়।
১০ টি উপায়ে বৃদ্ধি করুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি অসুস্থতার হিড়িক পড়ে যায়। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ। এমন সমস্যাগুলোর কারণ একটাই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। আসুন, আজ জেনে নেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো।
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:৪১ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮, ১৬:০১
ছবি সংগৃহীত
প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি অসুস্থতার হিড়িক পড়ে যায়। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ। এমন সমস্যাগুলোর কারণ একটাই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে আমাদের শরীর পরিবেশের সাথে ঠিক খাপ খাওয়াতে পারে না, ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অসুস্থতার ব্যাপারটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি আমাদের পড়াশোনা এবং পেশাগত ক্ষেত্রেও তা সৃষ্টি করে বিড়ম্বনা। ভাবছেন কী করে এড়ানো যায় এই অসুস্থতা? একেবারেই সহজ। নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে তুলুন শক্তিশালী, এসব মৌসুমি রোগ-বালাই আপনাকে আর বিরক্ত করতে পারবে না। দেখে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলার ১০ টি কার্যকরী কৌশল।
১) খাবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করবেন না
শরীরের যেসব কোষ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম, তাদের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় চিনি। এ কারণে খাবারে অতিরিক্ত চিনি মেশাবেন না। কোমল পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এর বদলে চিনি ছাড়া ফলের রস, চা এবং সাধারণ পানি দিয়ে তৃপ্তি মেটান। এতে যেমন শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাবে, তেমনি থাকবে ভেতর থেকে পরিষ্কার।
২) স্ট্রেস নেবেন না
কিছু পরিমাণ স্ট্রেস জীবনেরই অংশ। কিন্তু এই স্ট্রেস যদি আপনাকে অসুস্থ করে ফেলে তবে বুঝতে হবে জীবন থেকে স্ট্রেস ঝেঁটিয়ে বিদায় দেবার সময় এসেছে। খুব বেশি স্ট্রেসের মাঝে থাকলে মানুষ ঠাণ্ডা, সর্দি, জ্বর এমনকি আরও গুরুতরস অব অসুখে পড়তে পারে। ক্রমাগত স্ট্রেস নিতে থাকলে শরীর কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনে ভরে যায়, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। স্ট্রেস বেশি নেবেন না, ধ্যান করুন, বুক ভরে শ্বাস নিন এবং যে সব কাজ বা মানুষ আপনার স্ট্রেস বাড়িয়ে চলেছে তাদেরকে জীবন থেকে ছাঁটাই করে দিন।
৩) আদা-রসুন
আদা একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ, যা শরীরকে রাখে উষ্ণ এবং ক্ষতিকর টক্সিন দেহে জমতে বাধা দেয়। বিশেষ করে ফুসফুস এবং সাইনাসের ক্ষতি হতে দেয় না আদা। আর রসুন কাঁচা খেতে পারলে তা খুবই উপকারি। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই মশলাটি।
৪) ভিটামিন সি
এই ভিটামিনটা যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তা আমাদের সবারই জানা। অনেক তাজা ফল-মূলে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখুন নিয়মিত।
৫) খাদ্যতালিকায় রাখুন কপি
ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি এসব সবজি মূলত আমাদের যকৃৎ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ যকৃৎ শরীরের মাঝে থাকা বিষাক্ত পদার্থকে বের করে দেয়। এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসব কপি খেয়ে যকৃৎ সুস্থ রাখাটা খুবই জরুরী। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সব তাজা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাজা মানে তাজা, ফ্রিজে এক সপ্তাহ রেখে খাদ্যগুণ কমানো সবজি নয়। যতটা সম্ভব তাজা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন।
৬) শরীর রাখুন সচল
সারা দিন ডেস্কে বসে কাজ করলে অথবা অলসতা করে শরীর অচল করে রাখাটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ইওপরে রাখতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। শরীর সচল থাকলে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং লিউকোসাইট (রোধ প্রতিরোধের এক ধরণের কোষ) এর পরিমাণ বাড়ায়। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে নিয়ম করে জিমে যেতে হবে। সে সময়টুকু না পেলে অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটতে যান, বাচ্চাদের সাথে খেলা করুন এমনকি টিভির সামনে নাচুন।
৭) আরাম করে ঘুমান
ক্লান্তি থেকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই নয়, ইনসমনিয়া হতে পারে স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধির কারণ। প্রতি রাতে সময়মত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমান, রোগে ভোগার সম্ভাবনা কমবে।
৮) স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
বেশি ওজন যেমন খারাপ তেমনি খুব কম ওজনও কিন্তু খারাপ। নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর একটি ওজন বজায় রাখুন সঠিক খাদ্যভ্যাস, ব্যায়াম এবং স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপনের মাধ্যমে।
৯) প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে থাকুন
পরিবারের মানুষ এবং বন্ধুদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে- এটা পরীক্ষিত সত্য। একাকী থাকেন যারা, তাদের চাইতে বন্ধুদের মাঝে থাকা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয় শক্তিশালী।
১০) মনকে রাখুন সুস্থ
মন সুস্থ রাখুন, শান্ত রাখুন, শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলার শক্তি পাবে। এর জন্য ধ্যান করতে পারেন। শুধুহ তাই নয়, নিয়মিত প্রাণ খুলে হাসার অভ্যাসটাও আপনার উপকারে আসবে। এতে আপনার শরীর ধরে নেয় আপনি সুখি, এবং তাতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো থাকে। বিশ্বাস না হলে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না!.
১. করোনা থেকে বাচার আরও একটি বিষয় যুক্ত হল ঘুম : গবেষকের নাম লেভেন্ট ওজতুর্ক। তার দাবি, পর্যাপ্ত ঘুম করোনা থেকে বাঁচতে অত্যন্ত উপযোগী। তিনি জানান, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ন্যাচারাল কিলার সেল বাড়িয়ে দেয়। এই কিলার সেল ভাইরাস ও ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তুরস্কের এডিরিন প্রদেশের টার্কিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবৃত্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত লেভেন্ট ওজতুর্ক বলেন, আইসোলেশনে থাকাকালে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে শরীরের ডেথ সেল বাড়িয়ে করোনাকে পরাস্ত করে দেওয়া সম্ভব।
ঘুমের ব্যাঘাত হলে শরীরের ন্যাচারাল কিলার সেলগুলো কমে যায়। এই কোষগুলি টিউমার এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভাইরাসকে প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ করতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন বলে দাবি করেন ওই গবেষক।
তিনি বলেন, শরীরের ইমিউন সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করার মূল চাবিকাঠি হল স্বাস্থ্যকর ঘুম। ঘুম ভালো হলে শরীর প্রাকৃতিকভাবেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে একে পরাজিত করতে পারে।
ওজতুর্কের দাবি, এমনকি মাত্র এক রাতের পর্যাপ্ত ঘুমেও শরীরে প্রাকৃতিক ঘাতক লিম্ফোসাইটের সংখ্যা এবং ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পায় যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার মতে, নতুন এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে কম লোকের সাথে যোগাযোগ করা এবং বেশি বেশি ঘুমানো।
করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে সেই অভ্যাসটিই করতে হবে। বাড়িতে এই অলস সময়ে আমরা ঘুমাতে পারি। তবে বাড়িতে থাকলে টিভি, কম্পিউটার এবং মোবাইলের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সামনে বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না। এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।।
২.করোনা চিকিৎসায় আশার আলো : ব্লাড প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসা অর্থাত করোনা সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুয়ের হথে প্লাজমা দিয়ে নতুন রোগীর চিকিৎসা করা যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ইয়ান লিপকিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিত্সায় নতুন পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন।
৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রায় ৮০% করোনাভাইরাস রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠেন
৪.বিশ্বে এখান সবচেয়ে বেশি করোনায় আকান্ত যুক্তবাষ্ট্র
৫.িইতালিতে ৯১৯ জনের মৃত্যু দু:সংবাদ ৯১১৩ জনে মোট মৃত্যু
শরীরের মূল্যবান অঙ্গ চোখ। এই চোখই ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে অবারিত। চোখের মাধ্যমেই জীবন গড়ে উঠে যান সমাজের উচ্চতর স্থানে। কিন্তু এই অঙ্গটিই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।
কিছু চেনাজানা ভুলের ফলে নিজের অজান্তেই ক্ষতি হয় চোখের। ক্লান্তিতে চোখ বুজে না এলে দেয়া হয় না পানির ঝাপটাও। দৃষ্টি ঝাপসা না হওয়া পর্যন্ত চোখ নিয়ে মাথা ঘামান না অনেকেই। এ থেকেই বাড়তে থাকে চোখের সমস্যা।
এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ভুলগুলো কিভাবে এড়িয়ে চলা যায়-
• চলন্ত ট্রেন, বাস বা দূরন্ত গতির গাড়িতে বসে বই পড়লে চোখে স্ট্রেন পড়ে। ছোট ছোট কম্পমান অক্ষর পড়তে গিয়ে চোখে চাপ পড়ে বেশি, তাই এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
• অন্ধকারে টিভি স্ক্রিন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে চোখ রাখলে পুরো কনসেন্ট্রেশন মনিটরে গিয়ে পড়ে, যা চোখের পক্ষে অস্বস্তিদায়ক। ব্লু রে’র প্রভাবও অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে একটানা দেখবেন না এবং ঘরের আলো জ্বালিয়ে দেখলেই ভাল।
• যাদের সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়, তাদের কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম খুব কমন। চোখের ড্রাইনেসও দেখা যায়। তাই কিছু সময় অন্তর মেশিনের সামনে থেকে উঠে চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে আসুন। লুব্রিকেটিং আই ড্রপও ব্যবহার করতে পারেন।
• টেলিভিশন, মোবাইল এবং কম্পিউটার স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। চশমার লেন্সে অ্যান্টি গ্লেয়ার, অ্যান্টি রিফ্লেক্টিভ কোটিং ব্যবহার করুন।
• সানগ্লাস ব্যবহার জরুরি। না ধুয়ে চোখে হাত দেবেন না কখনওই, এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। চোখের পেশিকে আরাম দিতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কী করে বুঝবেন আপনার শিশুটির দেখতে সমস্যা হচ্ছে? তাহলে নজর দিন-
• টেলিভিশন বা কম্পিউটার স্ক্রিনের একদম সামনে গিয়ে বসে কি না।
• বই বা মোবাইল চোখের একদম কাছে ধরছে কি না।
• পড়াশোনায় অমনোযোগী হচ্ছে কি না।
• আঞ্জনি হলে সহজেই সারতে চায় না।
• রঙের ব্যবহার, পাজল ও ডিটেলে কাজ করায় সমস্যা।
• বার বার চোখে পানি আসা।
এগুলো যখনই দেখবেন তখনই মনে করবেন শিশুর চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই তাকে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান।
এ ছাড়া যেসব খাবার খেয়ে চোখের এই সমস্যা দূরে রাখবেন-
চোখ ভাল রাখতে সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খাওয়া জরুরি। ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, পালংশাক, ব্রকোলি, গাজর, লেবুর মতো সিট্রাস ফ্রুট, বাদাম, ডিম, সামুদ্রিক মাছ ও ছোট মাছ খাওয়া চোখের পক্ষে ভাল। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ধূমপান চোখের ক্ষতি করে। তাই ধূমপান ছেড়ে উপরোক্ত খাবারগুলো ছোট-বড় সবাই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলে শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সম্পদ চোখকে বাঁচিয়ে রাখুন।
এএইচ/
করোনা ভাইরাসে আপনার ব্যক্তিগত হাইজিনের জন্য যা করনীয়:
১.বাজারের মাক্স জীবানুমুক্ত করে নিন। (মাইক্রোওভেন ব্যবহার করে )
২.ঘরে তৈরী মাক্স ব্যবহার করুন। (কারণ সুতি কাপড় সহজেই সিদ্ধকরে জীবানুমুক্ত করা যায়)
৩.এন ৯৫ মাক্স ব্যবহার করুন (তিন স্তরে বিশিষ্ট্য মাক্স ৩০০ /৫০০টাকা দাম পাওয়া যাবে কিনা বলতে পারব না )।
৪.সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন অথবা স্যানিটাইজার জেল ব্যবহার করুন ।
৫.হাচিঁ কাশি হতে দুরে থাকুন ।
৬.হাচি কাশিতে টিসু ব্যবহার করুন টিসু সেফ জায়গায় ফেলুন।
৭.হাত না ধুয়ে নাক মুখ চোখে স্পর্শ করবেন না।
৮.অসুস্থ মানুষ হতে দুরে থাকুন।
৯.গণ-পরিবহন ত্যাগ করুন।
১০.জনসমাগমস্থল ত্যাগ করুন।
১১.লিফট ব্যবহার না করুন।
১২.টাকার মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে (টাকা হাতাহাতি করলে ভালোকরে হাত ধুয়ে নিন )।
১৩.শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন না ( করমর্দন )।
১৪.আরাম করার জন্য মোবাইল নিয়ে টয়লেটে যাবেন না। বন্ধু বান্ধবীদের সাথে জরুরী কাজ থাকলে মোবাইল ব্যবহার করুন।
১৫.জায়গার দরজার হাতল, বাসের ছিটসহ অফিসের কি-বোর্ড, মাউসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস থাকতে পারে।
১৬.জরুরী ঔষধ কিনে রাখুন বার বার যাতে বাহিরে না যেতে হয় কমন ঐষধ প্যারাসিটামল, হেক্সাসল, ডেটল, স্যাভলন, প্রভিসেফর, অ্যাজিথ্রোমাইসিন,সাবান, আপনার যে ঔষধ প্রতিদিন খেতে হয় সে সকল ঔষধ ।
১৭.পোষা প্রণীর সংস্পর্শে আসা যাবে না ।
১৮.খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে ।
১৯.প্যাকেট জাত খাদ্য ব্যাবহার করুন । আটা,তেল,বিস্কুট,লুডুস,ম্যাকারনি।
২০.বেশি পানি পান করুন তাতে শরীর এর বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
২১.সিগারেট খাবেন না ।
২২.প্রযোজনীয় ঘুম যান।
২৩.বয়লার মুরগী না খাওয়া উত্তম।
২৪.ময়লা কাপড় দ্রুত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলুন।
২৫.ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় ভালো করে সেদ্ধ করুন।
২৬ ঘরের বাইরে যখনই বের হবেন, মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না।(কমন মাক্স করোনা না আটকালেও ধুলোবালি সহ অন্যান্য রোগ হতে রক্ষা পাবেন)।
২৭.প্রচুর ফলের রস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
২৮.ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত-মুখ ধুয়ে নিন।
২৯.কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।
৩০.উচ্চ তাপমাত্রায় ভালভাবে ব্যবহারের কাপড় শুকিয়ে নিন।
৩১.আপনি প্রতিদিন যা করেন তা হল নামাজ দোষা পাঠ তওবা পাঠ করুন।
৩২.বেশি বেশি কোরআন খতম করুন।
৩৩.ঘর মুছার জন্য ডেটল ,স্যাভলন ব্যবহার করুন।
৩৪.বাহিরে গেলে হ্যান্ড গ্লোভস্ ব্যবহার করতে পারেন।
৩৫.গোসল করার জন্য ডেটল অথবা স্যাভলন ব্যবহার করতে পারেন।
৩৬.গৃহপরিচারিকা বা বাইরে থেকে যারা ঘরে আসছেন তাদের বিষয়ে সাবধান হতে হবে। তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
৩৭.প্রতিদিন ঘরে আনা তরল দুধের প্যাকেটকে ভালো করে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
৩৮.বাজার হতে আসলে ঘরের বাহিরে টেপ/কলে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত পা ধূয়ে ঘরে প্রবেশ করুন।
৩৯.টুট্থ ব্রাশ পেষ্ট একটি কোটার ভিতরে রাখুন যেন তেলাপুকা সহ কোন ছোট প্রানীর সংস্পর্শে না আসে
তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট হতে,
সুস্থথাকুন ভাল থাকুন ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। তখন বলা হয়, এই তিনজনের মধ্যে দু'জন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাদের কাছ থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গবেষণা
নতুন করোনাভাইরাস বাতাসে কয়েক ঘণ্টা টিকতে পারে
কালের কণ্ঠ ডেস্ক ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ | পড়া যাবে ২ মিনিটেপ্রিন্ট
অ- অ অ+
নভেল করোনাভাইরাস বাতাসে কয়েক ঘণ্টা ও কোনো কিছুর উপরিভাগে কয়েক দিন পর্যন্ত সংক্রামক হিসেবে কার্যকর থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। কভিড-১৯ খ্যাত শ্বাসতন্ত্রের এই রোগ থেকে রক্ষায় নির্দেশনা দিতে জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (এনআইএআইডি) বিজ্ঞানীরা গবেষণাটি চালান।
বাড়ি বা হাসপাতালে কাশি বা বস্তুর সংস্পর্শের মাধ্যমে নিত্যব্যবহার্য কোনো কিছুতে সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে থাকা ভাইরাস প্রতিস্থাপন করে তাঁরা অনুসন্ধান করেন, এসবের উপরিভাগে ভাইরাসটি কতক্ষণ টিকে থাকে।
ভাইরাসটির নকল তৈরিতে কাশি বা হাঁচির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তরল ফোঁটায় যন্ত্রের সাহায্যে অ্যারোসল ছিটিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, হাঁচি বা কাশির তরল ফোঁটায় বাহিত হলে অ্যারোসলের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস অন্তত তিন ঘণ্টা কার্যকর থাকে। প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলে তিন দিন পরেও ভাইরাসটিকে কার্যকর অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে কার্ডবোর্ডে ২৪ ঘণ্টা পরে ভাইরাসটিকে কার্যকর পাওয়া যায়নি। আর তামার মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস অকার্যকর হতে চার ঘণ্টা লেগেছে।
অ্যারোসলের ফোঁটায় ভাইরাসটির অর্ধেক (হাফ-লাইফ) অকার্যকর হতে ৬৬ মিনিট সময় লাগে বলে গবেষণাদল খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু আরো এক ঘণ্টা ছয় মিনিট পর ভাইরাসটির মাত্র তিন-চতুর্থাংশ অকার্যকর হয়।
গবেষকদলের নেতৃত্বে থাকা এনআইএআইডির রকি মাউন্টেইন ল্যাবরেটরির নিল্টজ ভ্যান ডোরেমালেনের মতে, তৃতীয় ঘণ্টার পর কার্যকর ভাইরাসের পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ১২ শতাংশ। আর স্টেইনলেস স্টিলে ভাইরাসটির অর্ধেক কার্যকারিতা হারাতে পাঁচ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট এবং প্লাস্টিকে ছয় ঘণ্টা ৪৯ মিনিট সময় লেগেছে বলে গবেষকরা দেখেছেন।
কার্ডবোর্ডে ভাইরাসটির অর্ধেক জীবন নেমে আসে সাড়ে তিন ঘণ্টায়। তবে ওই সব ফলাফলে নির্ধারিত ছাঁচ না পাওয়ায় সংখ্যাগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
+++++++++++++++++++++
করোনা ভাইরাস এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ:
করোনা মোকাবিলা ও ভাইরাস থেকে বাঁচার এমনই ১১টি পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা। পাঠকের জন্য সেই পরামর্শগুলো তুলে ধরা হলো-
১. যেকোনও কাজের পর সাবান ও অ্যালকোহলের উপস্থিতি আছে এমন হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে দুই হাত বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে নিলে করোনা ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়।
২. যাদের হাঁচি-কাশি আছে তাদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ হাঁচি-কাশিতে মুখ থেকে তরল নির্গত হয়। আশপাশের বাসাতেও তখন জীবাণু মিশে ছড়িয়ে পড়ে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে আপনিও সংক্রমিত হতে পারে। মানুষের ভিড় থেকে দূরে থাকুন।
৩. বারবার হাত দিয়ে নিজের চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না। কারণ মানব শরীরে জীবাণু প্রবেশের প্রধান ফটক হচ্ছে চোখ, নাক, মুখ।
৪. হাঁচি-কাশি কিংবা গায়ে জ্বর থাকলে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। ভ্রমণরত অবস্থায় অসুস্থ কিংবা হাঁচি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. সংক্রমণ এড়াতে শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। কোনও শিশুকে করোনা আক্রান্ত মনে হলে কিংবা সে আক্রান্ত হলেও তার সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। তার যত্ন নিন।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে নাক-মুখ দিয়ে যেন ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। তবে আপনার মাস্কটি কতটা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি মাস্ক একবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার না করে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করবেন না।
৭. হাঁচি-কাশি এলে টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। তাতে করে নিজে ও আপনার আশপাশের মানুষরাও করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকবে। আর ব্যবহৃত টিস্যু ফেলতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে। যত্রতত্র ফেললে ভাইরাস ছড়াতে পারে। যেখানে সেখানে সর্দি, কাশি, থুতু ফেলবেন না।
৮. যদি জ্বর, হাঁচি-কাশি বা শ্বাসকষ্ট হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অসুস্থ বোধ করলে যতটা সম্ভব বাসায় থাকুন, বিশ্রামে থাকুন। করোনা মোকাবিলায় প্রতিটি দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি স্ব স্ব দেশের চিকিৎসক ও সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। তাই সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
৯. করোনা সংক্রমিত কোনও দেশ থেকে কেউ নিরাপদ এলাকায় আসলে তাকে অন্তত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এ সময়টাতে ওই ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। তাতে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কম থাকবে।
১০. যেকোনও খাবার ভালো করে রান্না করে খান। ডিম কিংবা অন্য খাবার ভালো করে সেদ্ধ করে খান। তাতে করে কোনও জীবাণু থাকলে সেটি আগুনে ধ্বংস হয়ে যাবে। কাঁচা মাংস খাবেন না।
১১. বাসার আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র অ্যান্টিসেফটিক লিকুইড দিয়ে পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরুন। কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গারগিল করুন। গরম পানি পান করুন। যে ব্রাশ দিয়ে কাপড় কিংবা ঘর পরিষ্কার করেন সেই ব্রাশটিও প্রতিদিন ভালো করে পরিষ্কার করে রাখুন।
কাউকে ক্ষুধা বা সংক্রমণের মধ্য থেকে কোনো একটা বেছে নিতে বাধ্য করা উচিত নয়। এ সংকটের সময় তাদের জীবিকা রক্ষায় রাষ্ট্রকেই যথাসম্ভব ভূমিকা নিতে হবে।
খাদ্য